সম্পাদকীয়
চিংড়ি মাছের মধ্যে জেলি ঢুকিয়ে দিব্যি ব্যবসা করে চলেছেন একদল অসৎ ব্যবসায়ী। চিংড়ির ওজন বাড়ানোর জন্যই এই ফন্দি আঁটা হয়। জেলি দিয়ে এক কেজি চিংড়ির ওজন ২০০ গ্রাম করে বাড়ালে প্রতি কেজিতে কত টাকা বাড়তি লাভ হয়, সেটা হিসাব করলেই একেক জন ব্যবসায়ীর ফুলে ফেঁপে ওঠার রহস্যময় নোংরা পথটার দেখা পাওয়া যাবে।
আজকের পত্রিকার খুলনা সংস্করণে রূপসা ব্রিজ টোল এলাকায় এ রকম তিন ট্রাক চিংড়ি ধরা পড়ার খবর প্রকাশিত হয়েছে। তিন ট্রাকে ২ হাজার ১৬০ কেজি চিংড়ি ছিল। এই চিংড়িগুলো পরীক্ষা করতে গেলে তাদের মধ্যে জেলি পাওয়া যায়। ট্রাকের ১১ জনকে জেল দিয়েছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত।
যে দেশে চতুর ব্যবসায়ী আছেন, সেই দেশকে ঠেকিয়ে রাখবে কে? চিংড়ি মাছের মধ্যে জেলি ঢুকিয়ে যাঁরা দিব্যি আখের গুছিয়ে নিচ্ছেন, তাঁদের ব্যাপারেই আজ কথা হোক।
আমাদের দেশে কিছু অদ্ভুত ব্যাপার আছে, যা অন্য দেশের অসৎ ব্যক্তিরাও চাইলে রপ্ত করতে পারে। তার একটা হচ্ছে, ব্যবসা করতে গিয়ে অনৈতিকতাকে প্রশ্রয় দেওয়া। আইনকানুনকে পাশ কাটিয়ে যাওয়ার রাস্তাগুলোর সন্ধান পাওয়া যায় বলে এরা সাহসী হয়ে ওঠে। আরও সাহসী হয়, যখন এ ধরনের মারাত্মক অপরাধ করার পরও আইনের কোনো না কোনো ফাঁকফোকর গলে ঠিকই রেহাই পেয়ে যায়। কখনো কী সব কাজ করে, কোথায় কোথায় টাকাপয়সা খরচ করে, তা থাকে রহস্যময়। তখন অনৈতিকতাকে সেই অর্থের দাপটে জায়েজ করে নেওয়ার সুযোগ পেয়ে যায়।
আমাদের দেশে এ রকম অনেক ব্যবসায়ীই আছেন, যাঁরা নৈতিকতার ধার ধারেন না। ব্যবসার কাছে তাঁদের মানবিকতা ম্লান হয়ে যায়। কখনো কখনো ভেজাল ওষুধ কিংবা মেয়াদোত্তীর্ণ ওষুধ বিক্রি করতেও তাঁদের বাধে না। পেঁয়াজের কৃত্রিম সংকট তৈরি করে তাঁরা কোটিপতি হন। সিন্ডিকেট করে যেকোনো পণ্যের দাম বাড়িয়ে দেওয়া তাঁদের কাছে ছেলেখেলা। এ রকমই একটা ঠগবাজি পরিবেশে শরীরে জেলি ঢুকিয়ে বেচারা চিংড়ির কিছুটা ওজন বাড়িয়ে নিতে যে তাঁদের হাত কাঁপবে না, সেটা তো জানা কথা।
এতে ক্ষতিগ্রস্ত হন সাধারণ ক্রেতা। চিংড়ি মাছ খুব সস্তা খাদ্য নয়। গলদা বা বাগদা চিংড়ির কেজি ৬০০ থেকে হাজার ছাড়িয়ে। ১ হাজার টাকা কেজির চিংড়িতে ২০০ গ্রাম জেলি পুশ করা হলে অবৈধ পথে আয় কত হয়, তা শুনলে মাথা ঘুরে যাবে যে কারও। এমনও তো দেখা গেছে, কখনো মাছে পেরেক বা লোহা ঢুকিয়ে ওজন বাড়িয়ে বাড়তি মুনাফার স্বপ্ন দেখেছে কেউ কেউ।
যে কথা বারবার বলা হয়, সে কথাই এখানে আবারও বলতে হবে। খাদ্যদ্রব্যে ভেজাল দিলে তা শুধু সাধারণ মানুষ বেশি টাকা দিয়েই কেনে না; বরং সেটা খেয়ে শরীরে অসুখও বাঁধাতে পারে। কারণ, এই জেলি ক্ষতিকর রাসায়নিক পদার্থ দিয়ে তৈরি হয়। এ ধরনের অপরাধে লঘু শাস্তি দেওয়া হলে দুর্বৃত্তপনা কমবে না। কঠোর শাস্তিই তাদের অবৈধ পথে টাকা কামানো থামাতে পারে। আর কিছু নয়।
চিংড়ি মাছের মধ্যে জেলি ঢুকিয়ে দিব্যি ব্যবসা করে চলেছেন একদল অসৎ ব্যবসায়ী। চিংড়ির ওজন বাড়ানোর জন্যই এই ফন্দি আঁটা হয়। জেলি দিয়ে এক কেজি চিংড়ির ওজন ২০০ গ্রাম করে বাড়ালে প্রতি কেজিতে কত টাকা বাড়তি লাভ হয়, সেটা হিসাব করলেই একেক জন ব্যবসায়ীর ফুলে ফেঁপে ওঠার রহস্যময় নোংরা পথটার দেখা পাওয়া যাবে।
আজকের পত্রিকার খুলনা সংস্করণে রূপসা ব্রিজ টোল এলাকায় এ রকম তিন ট্রাক চিংড়ি ধরা পড়ার খবর প্রকাশিত হয়েছে। তিন ট্রাকে ২ হাজার ১৬০ কেজি চিংড়ি ছিল। এই চিংড়িগুলো পরীক্ষা করতে গেলে তাদের মধ্যে জেলি পাওয়া যায়। ট্রাকের ১১ জনকে জেল দিয়েছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত।
যে দেশে চতুর ব্যবসায়ী আছেন, সেই দেশকে ঠেকিয়ে রাখবে কে? চিংড়ি মাছের মধ্যে জেলি ঢুকিয়ে যাঁরা দিব্যি আখের গুছিয়ে নিচ্ছেন, তাঁদের ব্যাপারেই আজ কথা হোক।
আমাদের দেশে কিছু অদ্ভুত ব্যাপার আছে, যা অন্য দেশের অসৎ ব্যক্তিরাও চাইলে রপ্ত করতে পারে। তার একটা হচ্ছে, ব্যবসা করতে গিয়ে অনৈতিকতাকে প্রশ্রয় দেওয়া। আইনকানুনকে পাশ কাটিয়ে যাওয়ার রাস্তাগুলোর সন্ধান পাওয়া যায় বলে এরা সাহসী হয়ে ওঠে। আরও সাহসী হয়, যখন এ ধরনের মারাত্মক অপরাধ করার পরও আইনের কোনো না কোনো ফাঁকফোকর গলে ঠিকই রেহাই পেয়ে যায়। কখনো কী সব কাজ করে, কোথায় কোথায় টাকাপয়সা খরচ করে, তা থাকে রহস্যময়। তখন অনৈতিকতাকে সেই অর্থের দাপটে জায়েজ করে নেওয়ার সুযোগ পেয়ে যায়।
আমাদের দেশে এ রকম অনেক ব্যবসায়ীই আছেন, যাঁরা নৈতিকতার ধার ধারেন না। ব্যবসার কাছে তাঁদের মানবিকতা ম্লান হয়ে যায়। কখনো কখনো ভেজাল ওষুধ কিংবা মেয়াদোত্তীর্ণ ওষুধ বিক্রি করতেও তাঁদের বাধে না। পেঁয়াজের কৃত্রিম সংকট তৈরি করে তাঁরা কোটিপতি হন। সিন্ডিকেট করে যেকোনো পণ্যের দাম বাড়িয়ে দেওয়া তাঁদের কাছে ছেলেখেলা। এ রকমই একটা ঠগবাজি পরিবেশে শরীরে জেলি ঢুকিয়ে বেচারা চিংড়ির কিছুটা ওজন বাড়িয়ে নিতে যে তাঁদের হাত কাঁপবে না, সেটা তো জানা কথা।
এতে ক্ষতিগ্রস্ত হন সাধারণ ক্রেতা। চিংড়ি মাছ খুব সস্তা খাদ্য নয়। গলদা বা বাগদা চিংড়ির কেজি ৬০০ থেকে হাজার ছাড়িয়ে। ১ হাজার টাকা কেজির চিংড়িতে ২০০ গ্রাম জেলি পুশ করা হলে অবৈধ পথে আয় কত হয়, তা শুনলে মাথা ঘুরে যাবে যে কারও। এমনও তো দেখা গেছে, কখনো মাছে পেরেক বা লোহা ঢুকিয়ে ওজন বাড়িয়ে বাড়তি মুনাফার স্বপ্ন দেখেছে কেউ কেউ।
যে কথা বারবার বলা হয়, সে কথাই এখানে আবারও বলতে হবে। খাদ্যদ্রব্যে ভেজাল দিলে তা শুধু সাধারণ মানুষ বেশি টাকা দিয়েই কেনে না; বরং সেটা খেয়ে শরীরে অসুখও বাঁধাতে পারে। কারণ, এই জেলি ক্ষতিকর রাসায়নিক পদার্থ দিয়ে তৈরি হয়। এ ধরনের অপরাধে লঘু শাস্তি দেওয়া হলে দুর্বৃত্তপনা কমবে না। কঠোর শাস্তিই তাদের অবৈধ পথে টাকা কামানো থামাতে পারে। আর কিছু নয়।
১৫ বছর ধরে বিভিন্ন রাজনৈতিক দল বলার চেষ্টা করেছে, বাংলাদেশে নতুন রাজনৈতিক বন্দোবস্ত দরকার। ফ্যাসিবাদী কাঠামো থেকে বের হওয়ার জন্য নতুন রাজনৈতিক বন্দোবস্ত খুব প্রয়োজন। সেই বন্দোবস্তের রূপরেখাটা কেমন হবে, সেটা নিয়ে বহু বছর ধরে কথা হচ্ছে।
১ দিন আগেযেকোনো সরকারের অজনপ্রিয় তথা জনবিচ্ছিন্ন হওয়া এবং তার পরিণতিতে পতনের পেছনে আমলাতন্ত্রের বিরাট ভূমিকা থাকে। বিপরীতে সরকারের জনপ্রিয় হওয়ার পেছনেও প্রধান ভূমিকা রাখতে পারে তার প্রশাসনযন্ত্র। কেননা, সরকারের নীতি ও পরিকল্পনা এবং তার রাজনৈতিক কর্মসূচিগুলো মাঠপর্যায়ে বাস্তবায়িত হয় প্রশাসনের লোকজনের মাধ্যমেই
১ দিন আগেনভেম্বর মাসে ঢাকা শহরের অবস্থা কতটা অরক্ষিত ছিল, সেটা বোঝা যাবে ১১ নভেম্বর প্রকাশিত একটি সংবাদে। সংক্ষেপে সে খবরটি এ রকম: রোকেয়া হলে ডাকাতি গত মঙ্গলবার দিবাগত শেষ রাতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রোকেয়া হলে এক মারাত্মক ডাকাতি সংঘটিত হয়। দুষ্কৃতিকারীরা হলের প্রভোষ্ট ও হলে অবস্থানকারী ছাত্রীদের হাজার হাজার
১ দিন আগেপ্রতিকূলে চলা মানুষেরাই। আমাদের খাই খাই স্বভাবের সমাজে একজন ব্যতিক্রমী মানুষের উদাহরণ ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার পাহাড়ভাঙ্গা গ্রামের বাসিন্দা খোরশেদ আলী। তিনি একাই ১ লাখ ১০ হাজার তালগাছ রোপণ করেছেন। এ জন্য তিনি নিজের জমি বিক্রি করতেও কার্পণ্য করেননি। আর্থিকভাবে তেমন সচ্ছল নন খোরশেদ। অভাব-অনটন তাঁর সংসারে
১ দিন আগে