সম্পাদকীয়
ভোক্তার আর শান্তি নেই! তাঁরা যেন শাঁখের করাতের নিচে; দুদিক দিয়ে কাটে! নানান অজুহাতে ভোক্তার পকেট কাটার আয়োজন সব দিকে। এমনিতেই করোনার কারণে ভোক্তার পকেট খালি। তার মধ্যে বাজার গরম। এমন কোনো পণ্য নেই যার দাম বাড়েনি। শুধু বাড়েইনি; বলা যায় কিছু কিছু পণ্যের দাম অস্বাভাবিকভাবে বেড়েছে। ভোক্তারা যখন কায়ক্লেশে বেঁচে থাকার লড়াই করছেন, তখনই জানা গেল দেশীয় চিনির দামে নৈরাজ্যের কথা।
চিনির বাজারে কারসাজি করে দাম বাড়ানোর ঘটনা নতুন নয়। বিভিন্ন সময়ে বৈশ্বিক বাজারে দাম বৃদ্ধি, শুল্ক বেশিসহ নানান অজুহাতে পণ্যটির দাম বাড়ানোর প্রতিযোগিতা কিছুদিন ধরেই চলছে। চিনির বাজারটি বলা যায় রীতিমতো করপোরেটদের দখলে চলে গেছে। তাতেও সমস্যা হতো না, যদি তারা অতিমুনাফা না করত। একসময়ের দেশীয় উৎপাদননির্ভর পণ্যটি এখন তাদের দখলে এবং বলা যায় চাহিদার প্রায় পুরোটাই আমদানিনির্ভর। মাত্র অল্প কিছু পরিমাণ স্থানীয়ভাবে সরকারি চিনিকলের মাধ্যমে উৎপাদন হলেও নতুন করে এখানেও একটি অতিমুনাফালোভী চক্রের কারসাজি দেখা যাচ্ছে।
আজকের পত্রিকায় খবর এসেছে, দেশীয় চিনির বাজারও অস্থির করার অপচেষ্টা চলছে। প্রতি কেজি চিনির পাইকারি ও খুচরা দামে ব্যাপক পার্থক্য ধরা পড়েছে। সরকার ডিলারদের কাছে রাষ্ট্রায়ত্ত চিনিকলে উৎপাদিত প্রতি কেজি খোলা চিনি বিক্রি করছে ৬৩ টাকায়। অথচ খুচরা বাজারে একজন ভোক্তাকে তা কিনতে হচ্ছে ৯০ টাকায়। প্রশ্ন উঠেছে, কেজিতে অতিরিক্ত ২৭ টাকা যাচ্ছে কার পকেটে?
প্রতিবেদন বলছে, বাংলাদেশ চিনি ও খাদ্য শিল্প করপোরেশনের অধীনে সক্রিয় ডিলার আছেন ২ হাজার ৯০০ জন। একজন ডিলার মিল থেকে ৫০০ কেজি করে চিনি সরবরাহ পান। ৫০০ কেজি চিনি মিল থেকে সরাসরি তুলতে গেলে তাঁদের খরচ বেশি পড়ে—এ অজুহাতে তাঁরা নিজেদের নামে বরাদ্দের চিনি নিজেরা না তুলে তা অন্যের কাছে বিক্রি করে দিচ্ছেন। এতে বিভিন্ন হাত ঘুরে পণ্যটির দাম বেড়ে যাচ্ছে। ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন ভোক্তা। বাড়তি দামে চিনি বিক্রি করলেও ডিলারদের বিরুদ্ধে কিছু করার নেই বলে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ অসহায়ত্ব প্রকাশ করছে।
চিনির ডিলারদের এ দৌরাত্ম্য এখনই বন্ধ করতে হবে। সরকারি চিনি যদি ডিলাররা নিজেদের অতিমুনাফার লোভে এভাবে অন্যের কাছে বিক্রি করে দেন, আর তাঁদের বিরুদ্ধে কিছু করার নেই বলে করপোরেশন অসহায়ত্ব প্রকাশ করে, এটা কোনোভাবেই কাম্য নয়।
যারা এসব করছে তারা অজানা কেউ নয় নিশ্চয়ই। করপোরেশনের কাজ কী? কোন কোন ডিলার নিজের বরাদ্দের চিনি হস্তান্তর করে বাজারে অতিমুনাফাকে উসকে দিচ্ছেন, তা তাদেরই খুঁজে বের করতে হবে। যেহেতু করপোরেশন লাইসেন্সিং কর্তৃপক্ষ, সুতরাং তাদেরই বিষয়টি তদন্ত করে যারা এ অপকর্মে লিপ্ত, তাদের লাইসেন্স বাতিল করতে হবে। না হলে করপোরেটরাও তাদের আমদানি করা চিনির দাম আরেক দফা বাড়ানোর সুযোগ খুঁজবে।
ভোক্তার আর শান্তি নেই! তাঁরা যেন শাঁখের করাতের নিচে; দুদিক দিয়ে কাটে! নানান অজুহাতে ভোক্তার পকেট কাটার আয়োজন সব দিকে। এমনিতেই করোনার কারণে ভোক্তার পকেট খালি। তার মধ্যে বাজার গরম। এমন কোনো পণ্য নেই যার দাম বাড়েনি। শুধু বাড়েইনি; বলা যায় কিছু কিছু পণ্যের দাম অস্বাভাবিকভাবে বেড়েছে। ভোক্তারা যখন কায়ক্লেশে বেঁচে থাকার লড়াই করছেন, তখনই জানা গেল দেশীয় চিনির দামে নৈরাজ্যের কথা।
চিনির বাজারে কারসাজি করে দাম বাড়ানোর ঘটনা নতুন নয়। বিভিন্ন সময়ে বৈশ্বিক বাজারে দাম বৃদ্ধি, শুল্ক বেশিসহ নানান অজুহাতে পণ্যটির দাম বাড়ানোর প্রতিযোগিতা কিছুদিন ধরেই চলছে। চিনির বাজারটি বলা যায় রীতিমতো করপোরেটদের দখলে চলে গেছে। তাতেও সমস্যা হতো না, যদি তারা অতিমুনাফা না করত। একসময়ের দেশীয় উৎপাদননির্ভর পণ্যটি এখন তাদের দখলে এবং বলা যায় চাহিদার প্রায় পুরোটাই আমদানিনির্ভর। মাত্র অল্প কিছু পরিমাণ স্থানীয়ভাবে সরকারি চিনিকলের মাধ্যমে উৎপাদন হলেও নতুন করে এখানেও একটি অতিমুনাফালোভী চক্রের কারসাজি দেখা যাচ্ছে।
আজকের পত্রিকায় খবর এসেছে, দেশীয় চিনির বাজারও অস্থির করার অপচেষ্টা চলছে। প্রতি কেজি চিনির পাইকারি ও খুচরা দামে ব্যাপক পার্থক্য ধরা পড়েছে। সরকার ডিলারদের কাছে রাষ্ট্রায়ত্ত চিনিকলে উৎপাদিত প্রতি কেজি খোলা চিনি বিক্রি করছে ৬৩ টাকায়। অথচ খুচরা বাজারে একজন ভোক্তাকে তা কিনতে হচ্ছে ৯০ টাকায়। প্রশ্ন উঠেছে, কেজিতে অতিরিক্ত ২৭ টাকা যাচ্ছে কার পকেটে?
প্রতিবেদন বলছে, বাংলাদেশ চিনি ও খাদ্য শিল্প করপোরেশনের অধীনে সক্রিয় ডিলার আছেন ২ হাজার ৯০০ জন। একজন ডিলার মিল থেকে ৫০০ কেজি করে চিনি সরবরাহ পান। ৫০০ কেজি চিনি মিল থেকে সরাসরি তুলতে গেলে তাঁদের খরচ বেশি পড়ে—এ অজুহাতে তাঁরা নিজেদের নামে বরাদ্দের চিনি নিজেরা না তুলে তা অন্যের কাছে বিক্রি করে দিচ্ছেন। এতে বিভিন্ন হাত ঘুরে পণ্যটির দাম বেড়ে যাচ্ছে। ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন ভোক্তা। বাড়তি দামে চিনি বিক্রি করলেও ডিলারদের বিরুদ্ধে কিছু করার নেই বলে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ অসহায়ত্ব প্রকাশ করছে।
চিনির ডিলারদের এ দৌরাত্ম্য এখনই বন্ধ করতে হবে। সরকারি চিনি যদি ডিলাররা নিজেদের অতিমুনাফার লোভে এভাবে অন্যের কাছে বিক্রি করে দেন, আর তাঁদের বিরুদ্ধে কিছু করার নেই বলে করপোরেশন অসহায়ত্ব প্রকাশ করে, এটা কোনোভাবেই কাম্য নয়।
যারা এসব করছে তারা অজানা কেউ নয় নিশ্চয়ই। করপোরেশনের কাজ কী? কোন কোন ডিলার নিজের বরাদ্দের চিনি হস্তান্তর করে বাজারে অতিমুনাফাকে উসকে দিচ্ছেন, তা তাদেরই খুঁজে বের করতে হবে। যেহেতু করপোরেশন লাইসেন্সিং কর্তৃপক্ষ, সুতরাং তাদেরই বিষয়টি তদন্ত করে যারা এ অপকর্মে লিপ্ত, তাদের লাইসেন্স বাতিল করতে হবে। না হলে করপোরেটরাও তাদের আমদানি করা চিনির দাম আরেক দফা বাড়ানোর সুযোগ খুঁজবে।
‘গণতন্ত্র মঞ্চ’র অন্যতম নেতা সাইফুল হক বাংলাদেশের বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। ছাত্রজীবনে তিনি ছাত্র ঐক্য ফোরামের নেতা ছিলেন। তিনি পত্রিকায় নিয়মিত কলাম লেখেন। এখন পর্যন্ত ২০টি বই লিখেছেন। অন্তর্বর্তী সরকার এবং দেশের রাজনীতি নিয়ে...
১৪ ঘণ্টা আগেসদ্য ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগ আগামী নির্বাচনে অংশ নিতে পারবে কি না, তা নিয়ে নানা মাত্রিক আলোচনার মধ্যে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক সারজিস আলম নিজের ফেসবুক ওয়ালে লিখেছেন: ‘গণহত্যার বিচারের আগে আওয়ামী লীগকে কোনো নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে দেব না। প্রয়োজনে দ্বিতীয় অভ্যুত্থান হবে।’
১৪ ঘণ্টা আগেতিন মাস পার হলো, আমরা একটি অন্তর্বর্তী সরকারের শাসনামলের অধীনে আছি। জুলাই-আগস্টে সংঘটিত অভ্যুত্থানে স্বৈরাচারী সরকারের অবসান ঘটেছে। অভ্যুত্থানকে কেন্দ্র করে জনমনে আশার সঞ্চার হয়েছিল—সামাজিক সব বৈষম্যের অবসান ঘটবে, আমাদের সামগ্রিক অবস্থার ইতিবাচক পরিবর্তন সূচিত হবে, প্রকৃত স্বাধীনতা..
১৪ ঘণ্টা আগেচট্টগ্রামের আকবরশাহ থানার নাছিয়াঘোনা এলাকায় যাওয়া-আসা করতে গেলে বোঝা যায় সেটি দুর্গম এলাকা। এ কারণেই সেখানে বসানো হয়েছিল ফাঁড়ি। কিন্তু ৫ আগস্টে ক্ষমতার পটপরিবর্তনের পর পুলিশের থানা ও ফাঁড়িগুলোয় যখন আক্রমণ করা হচ্ছিল, তখন নুরু আলম নুরু নামের এক সন্ত্রাসীও সে সুযোগ নেন। তিনি পুলিশের ফাঁড়ি দখল করে...
১৪ ঘণ্টা আগে