সম্পাদকীয়
মানুষ প্রকৃতির অংশ। প্রকৃতির পরম ভালোবাসায় যেমন বীজ থেকে জন্ম নেয় একটি উদ্ভিদ, ঠিক তেমনি মায়ের ভালোবাসায় পরিপূর্ণ হয়ে ওঠে তার সন্তান। তাই প্রকৃতি ও নারীর সম্পর্ক কোথাও যেন নিবিড় সূত্রে গাঁথা। সৃষ্টির শুরু থেকে নারীর জীবনপ্রবাহ জড়িয়ে আছে প্রকৃতির সঙ্গে। তারাই প্রথম শুরু করেছিল কৃষিকাজ।
নারীর কোমল মন প্রকৃতিকে ভালোবাসে। সেই ভালোবাসা পুরুষের চেয়ে অনেক বেশি। তারা ভোরে পাখির ডাকে ঘুম থেকে ওঠে, আর সারা দিনের কাজকর্মে কোনো না কোনোভাবে প্রকৃতিকে সুরক্ষা করছে। এসব কাজে নারীরা সচেতনভাবেই দূষণের হাত থেকে রক্ষা করছে পরিবেশকে। পারস্পরিক এই নিবিড় সম্পর্কের ফলে প্রকৃতির সঙ্গে নারীরা অবিচ্ছেদ্য এক বন্ধনে আবদ্ধ হচ্ছে।
আমাদের গ্রামীণ নারীকে মনে হয় প্রকৃতির কন্যা। পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষায় এই দেশের গ্রামীণ নারীদের অবদান অনেক বেশি। গ্রামীণ নারীরা প্রকৃতি থেকে খাদ্য, পানি, জ্বালানি, গবাদিপশু, পাখির জন্য খাদ্য সংগ্রহ করে থাকে। আবার প্রকৃতির রক্ষণাবেক্ষণে তারা শস্য উৎপাদন থেকে শুরু করে বীজ সংরক্ষণ, প্রাকৃতিক উপায়ে সার তৈরি করে। এতে পরিবেশের সঙ্গে তাদের সম্পর্ক হয়ে ওঠে অনেক গভীর। গ্রামের নারীদের মতো শহরের নারীরাও বাসায় বৃক্ষরোপণ ও পরিচর্যা করছে। প্রতিনিয়ত যত্ন নিচ্ছেন গাছের। অন্যদিকে কর্মক্ষেত্রের পরিবেশ স্বাস্থ্যকর রাখার ক্ষেত্রেও নারীরা পুরুষের তুলনায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে।
যে প্রকৃতি আমাদের বেঁচে থাকার উৎস, সেই প্রকৃতিকে আজ বিভিন্নভাবে ধ্বংস করা হচ্ছে। যে পরিবেশের কারণে মানুষ প্রাণভরে নিশ্বাস নিচ্ছে, সেই পরিবেশ আজ হুমকির মুখে। পরিবেশদূষণ আজকের বিশ্বে অনেক বড় সমস্যা হয়ে দেখা দিয়েছে। আমাদের সবুজ বন উজাড় হয়ে যাচ্ছে, নদীর পানিতে ভাসছে দূষিত বর্জ্য, বাতাসে মিশছে বিষাক্ত কার্বন। এসব কারণে আমাদের ষড়্ঋতুর বৈশিষ্ট্যও প্রতিনিয়ত পরিবর্তিত হয়ে যাচ্ছে, যা প্রকৃতির জন্য হুমকি।
এই দূষণের কারণে জলবায়ুর গতিবিধি পরিবর্তিত হচ্ছে। আর জলবায়ুর পরিবর্তনের জন্য নারীরা ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছে বেশি। যেমন, প্রাকৃতিক দুর্যোগের পর গ্রামীণ নারীদের আশ্রয়, খাদ্যসংকট, নিরাপত্তা, স্বাস্থ্যসম্মত স্যানিটেশন, কর্মহীনতা, কর্মস্থলে যাওয়ার সমস্যায় পড়তে হচ্ছে। যেকোনো দুর্যোগে খাদ্য, বাসস্থান, স্বাস্থ্য, শিক্ষা, নিরাপত্তাসহ বিভিন্ন সমস্যা মোকাবিলা করতে হয় নারীকে। তাই পরিবেশ বিপর্যয়ে নারীরাই বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়।
দেড় বছর ধরে করোনাভাইরাসের দাপটে স্থবির হয়ে আছে পুরো বিশ্ব। সামান্য একটু অক্সিজেনের অভাবে মারা গেছে হাজার হাজার মানুষ। এ ক্ষেত্রে সিলিন্ডারের অক্সিজেন মানুষের প্রাণ বাঁচিয়েছে। প্রকৃতিতে বিনা মূল্যে অক্সিজেন সরবরাহ করে গাছ। আমরা করোনাকালে অক্সিজেন সরবরাহকারী গাছের প্রতি কি যত্ন নিয়েছি? কয়টা গাছ আমরা এই সময়ে লাগিয়েছি?
কিছুদিন আগে রেস্তোরাঁ বানানোর জন্য সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে শত শত গাছ কেটে ফেলা হলো। সোহরাওয়ার্দী উদ্যানকে বলা হয় ঢাকার ফুসফুস। আমরা কি সবাই এই গাছ কাটার বিরুদ্ধে কথা বলেছি? এত গাছ কেটে ফেললে আমাদের অক্সিজেন সরবরাহ করবে কে? দূষিত বায়ুর শহর হিসেবে ঢাকা বিশ্বে অন্যতম। আর সেই শহরের গাছ যদি আমরা বারবার কেটে ফেলি, তাহলে আমাদের পরবর্তী প্রজন্মের ভবিষ্যৎ কী হবে?
এ বছর ৫ জুন পরিবেশ দিবসের প্রতিপাদ্য ছিল ‘বাস্তুতন্ত্র পুনরুদ্ধার’। কীভাবে পুনরুদ্ধার হবে এই বাস্তুতন্ত্র? আমরা তো পরিবেশের গুরুত্ব অনুধাবন করছি না। প্রকৃতিকে সুস্থ রাখা দূরের কথা, আমরা নিজেদের স্বার্থে পরিবেশকে ধ্বংস করছি।
আসুন, বাস্তুতন্ত্রের পুনরুদ্ধারের জন্য আমরা গাছ লাগাই, ভালোবেসে আগলে রাখি। আমাদের বেঁচে থাকার একমাত্র অবলম্বন প্রাণ-প্রকৃতি-পরিবেশ। প্রকৃতি না বাঁচলে আমরাও বাঁচব না। আসুন, আমরা আমাদের নিজেদের স্বার্থে পরিবেশকে ধ্বংস না করে রক্ষা করি। যেসব শিশু পৃথিবীতে আসবে, তাদের বসবাসযোগ্য পৃথিবী গড়ে তুলি।
মানুষ প্রকৃতির অংশ। প্রকৃতির পরম ভালোবাসায় যেমন বীজ থেকে জন্ম নেয় একটি উদ্ভিদ, ঠিক তেমনি মায়ের ভালোবাসায় পরিপূর্ণ হয়ে ওঠে তার সন্তান। তাই প্রকৃতি ও নারীর সম্পর্ক কোথাও যেন নিবিড় সূত্রে গাঁথা। সৃষ্টির শুরু থেকে নারীর জীবনপ্রবাহ জড়িয়ে আছে প্রকৃতির সঙ্গে। তারাই প্রথম শুরু করেছিল কৃষিকাজ।
নারীর কোমল মন প্রকৃতিকে ভালোবাসে। সেই ভালোবাসা পুরুষের চেয়ে অনেক বেশি। তারা ভোরে পাখির ডাকে ঘুম থেকে ওঠে, আর সারা দিনের কাজকর্মে কোনো না কোনোভাবে প্রকৃতিকে সুরক্ষা করছে। এসব কাজে নারীরা সচেতনভাবেই দূষণের হাত থেকে রক্ষা করছে পরিবেশকে। পারস্পরিক এই নিবিড় সম্পর্কের ফলে প্রকৃতির সঙ্গে নারীরা অবিচ্ছেদ্য এক বন্ধনে আবদ্ধ হচ্ছে।
আমাদের গ্রামীণ নারীকে মনে হয় প্রকৃতির কন্যা। পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষায় এই দেশের গ্রামীণ নারীদের অবদান অনেক বেশি। গ্রামীণ নারীরা প্রকৃতি থেকে খাদ্য, পানি, জ্বালানি, গবাদিপশু, পাখির জন্য খাদ্য সংগ্রহ করে থাকে। আবার প্রকৃতির রক্ষণাবেক্ষণে তারা শস্য উৎপাদন থেকে শুরু করে বীজ সংরক্ষণ, প্রাকৃতিক উপায়ে সার তৈরি করে। এতে পরিবেশের সঙ্গে তাদের সম্পর্ক হয়ে ওঠে অনেক গভীর। গ্রামের নারীদের মতো শহরের নারীরাও বাসায় বৃক্ষরোপণ ও পরিচর্যা করছে। প্রতিনিয়ত যত্ন নিচ্ছেন গাছের। অন্যদিকে কর্মক্ষেত্রের পরিবেশ স্বাস্থ্যকর রাখার ক্ষেত্রেও নারীরা পুরুষের তুলনায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে।
যে প্রকৃতি আমাদের বেঁচে থাকার উৎস, সেই প্রকৃতিকে আজ বিভিন্নভাবে ধ্বংস করা হচ্ছে। যে পরিবেশের কারণে মানুষ প্রাণভরে নিশ্বাস নিচ্ছে, সেই পরিবেশ আজ হুমকির মুখে। পরিবেশদূষণ আজকের বিশ্বে অনেক বড় সমস্যা হয়ে দেখা দিয়েছে। আমাদের সবুজ বন উজাড় হয়ে যাচ্ছে, নদীর পানিতে ভাসছে দূষিত বর্জ্য, বাতাসে মিশছে বিষাক্ত কার্বন। এসব কারণে আমাদের ষড়্ঋতুর বৈশিষ্ট্যও প্রতিনিয়ত পরিবর্তিত হয়ে যাচ্ছে, যা প্রকৃতির জন্য হুমকি।
এই দূষণের কারণে জলবায়ুর গতিবিধি পরিবর্তিত হচ্ছে। আর জলবায়ুর পরিবর্তনের জন্য নারীরা ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছে বেশি। যেমন, প্রাকৃতিক দুর্যোগের পর গ্রামীণ নারীদের আশ্রয়, খাদ্যসংকট, নিরাপত্তা, স্বাস্থ্যসম্মত স্যানিটেশন, কর্মহীনতা, কর্মস্থলে যাওয়ার সমস্যায় পড়তে হচ্ছে। যেকোনো দুর্যোগে খাদ্য, বাসস্থান, স্বাস্থ্য, শিক্ষা, নিরাপত্তাসহ বিভিন্ন সমস্যা মোকাবিলা করতে হয় নারীকে। তাই পরিবেশ বিপর্যয়ে নারীরাই বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়।
দেড় বছর ধরে করোনাভাইরাসের দাপটে স্থবির হয়ে আছে পুরো বিশ্ব। সামান্য একটু অক্সিজেনের অভাবে মারা গেছে হাজার হাজার মানুষ। এ ক্ষেত্রে সিলিন্ডারের অক্সিজেন মানুষের প্রাণ বাঁচিয়েছে। প্রকৃতিতে বিনা মূল্যে অক্সিজেন সরবরাহ করে গাছ। আমরা করোনাকালে অক্সিজেন সরবরাহকারী গাছের প্রতি কি যত্ন নিয়েছি? কয়টা গাছ আমরা এই সময়ে লাগিয়েছি?
কিছুদিন আগে রেস্তোরাঁ বানানোর জন্য সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে শত শত গাছ কেটে ফেলা হলো। সোহরাওয়ার্দী উদ্যানকে বলা হয় ঢাকার ফুসফুস। আমরা কি সবাই এই গাছ কাটার বিরুদ্ধে কথা বলেছি? এত গাছ কেটে ফেললে আমাদের অক্সিজেন সরবরাহ করবে কে? দূষিত বায়ুর শহর হিসেবে ঢাকা বিশ্বে অন্যতম। আর সেই শহরের গাছ যদি আমরা বারবার কেটে ফেলি, তাহলে আমাদের পরবর্তী প্রজন্মের ভবিষ্যৎ কী হবে?
এ বছর ৫ জুন পরিবেশ দিবসের প্রতিপাদ্য ছিল ‘বাস্তুতন্ত্র পুনরুদ্ধার’। কীভাবে পুনরুদ্ধার হবে এই বাস্তুতন্ত্র? আমরা তো পরিবেশের গুরুত্ব অনুধাবন করছি না। প্রকৃতিকে সুস্থ রাখা দূরের কথা, আমরা নিজেদের স্বার্থে পরিবেশকে ধ্বংস করছি।
আসুন, বাস্তুতন্ত্রের পুনরুদ্ধারের জন্য আমরা গাছ লাগাই, ভালোবেসে আগলে রাখি। আমাদের বেঁচে থাকার একমাত্র অবলম্বন প্রাণ-প্রকৃতি-পরিবেশ। প্রকৃতি না বাঁচলে আমরাও বাঁচব না। আসুন, আমরা আমাদের নিজেদের স্বার্থে পরিবেশকে ধ্বংস না করে রক্ষা করি। যেসব শিশু পৃথিবীতে আসবে, তাদের বসবাসযোগ্য পৃথিবী গড়ে তুলি।
বীর মুক্তিযোদ্ধা আবদুল হাই কানুকে জুতার মালা গলায় দিয়ে লাঞ্ছিত করেছে একদল দুর্বৃত্ত। এই দুর্বৃত্তরা জামায়াতে ইসলামীর রাজনীতি করেন বলে খবরে প্রকাশ। তাঁরা এই বীর মুক্তিযোদ্ধাকে এলাকাছাড়া করেছেন। বর্ষীয়ান এই মুক্তিযোদ্ধা একটি ভিডিও বার্তা দিয়েছেন। তাঁর কথা শুনতে শুনতে মনে হলো, অপমান কি তাঁকে করা হলো, ন
১ দিন আগেএ বছর প্রায় শেষের পথে। এদিকে আরবের সবচেয়ে জনবহুল দেশটি ধীরে ধীরে ঘুণে ধরা রাজনৈতিক শৃঙ্খলে এক স্থবির ম্যামথ হয়ে রয়ে গেছে। শাসকদের দেশে বৈধতা নেই। কেবল পশ্চিমা ও উপসাগরীয় আরব দেশগুলোর কাছ থেকে পাওয়া নগদ অর্থ দেশটিকে টিকিয়ে রেখেছে। এই দেশগুলো সব সময় মিসরে শাসকদের বিরুদ্ধে জনবিস্ফোরণের আশঙ্কায় থাকে।
১ দিন আগেডিসেম্বরের ইউরোপে শীত জাঁকিয়ে বসতে শুরু করে। আকাশ থেকে নেমে আসে পেঁজা তুলার মতো নরম তুলতুলে তুষার। শ্বেত শুভ্রতার অপার্থিব এবং পবিত্র সৌন্দর্যে ঢেকে যায় চারদিক! এ সময়ে মহাসমারোহে বড়দিন আসে। উষ্ণতার ফল্গুধারায় উদ্বেলিত হয় হৃদয়। অন্ধকার নামতেই নানা বর্ণের আলোকসজ্জায় উজ্জ্বল হয় নগর, বন্দর, বাড়িঘর। ধর্ম
১ দিন আগেডিসেম্বরের প্রান্তে এসে আমরা যখন নতুন বছরের আশা-প্রত্যাশা নিয়ে বিশ্লেষণ করতে থাকি, ঠিক তখনই আসে বছরের শেষ উৎসব বড়দিন, যা ভালোবাসা ও একতার বার্তা বহন করে। বড়দিন মানেই শান্তি, ভালোবাসা এবং নতুন সূচনার প্রতীক। যিশুখ্রিষ্টের জন্মদিন হিসেবে পালিত হলেও ধর্ম-বর্ণনির্বিশেষে সবাই মিলে উদ্যাপন করে বড়দিন। বাং
১ দিন আগে