সম্পাদকীয়
নতুন একটি ছাত্রসংগঠনের জন্ম হলো ২৬ ফেব্রুয়ারি। মানুষের জন্মের সময় যে প্রসব বেদনায় বিদীর্ণ হন মা, সে রকমই এক যন্ত্রণার মধ্য দিয়ে কি আগমন ঘটল এই সদ্য ভূমিষ্ঠ দলটির? নাকি জন্মের সময় যে ঘটনাগুলো ঘটল, সে ঘটনাগুলো এতটাই অনাকাঙ্ক্ষিত যে সন্তান ভূমিষ্ঠ হওয়ার মতো পবিত্র একটি ঘটনার সঙ্গে একে মেলানো ঠিক হবে না? পাঠক তা নিজ বুদ্ধিবলেই বিচার করবেন। আমরা শুধু বলতে পারি, এই হাতাহাতি-মারামারির দায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতাদেরই বহন করতে হবে।
আজকের পত্রিকার প্রথম পৃষ্ঠায় যে ছবিটি ছাপা হয়েছে, তাতে দেখা যাচ্ছে শিক্ষার্থীদের চোখেমুখে ফুটে উঠেছে হিংস্রতা। একজন শিক্ষার্থীর পরিধেয় জামা ছিঁড়ে তাঁকে উদোম করে ফেলেছেন আরও কজন শিক্ষার্থী। বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভুক্তভোগীরা যেসব বক্তব্য রাখছেন, তাতে হিংস্রতার ভয়াবহতাও জানা যাচ্ছে। এক শিক্ষার্থী অন্য এক শিক্ষার্থীর বিরুদ্ধে কামড়ে দেওয়ার অভিযোগও তুলেছেন। এইসব কথা নিয়ে রকে-রেস্তোরাঁয়, বন্ধুদের আড্ডায় বেশ রসিকতাও চলছে।
বিরোধের সূত্রপাত হয়েছে এই নিয়ে যে নতুন ছাত্রসংগঠনের নেতারা মূলত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়কেন্দ্রিক। এই সংগঠনের উচ্চ পদগুলোর কোনোটিতেই বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে কোনো প্রতিনিধি রাখা হয়নি। সংগঠনটির নেতৃত্ব গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় গঠিত হয়েছে, নাকি তা শিক্ষার্থীদের ওপর চাপিয়ে দেওয়া হয়েছে, সে প্রশ্ন এড়ানো যাবে না। এ কথা তো মিথ্যে নয় যে, যখন বৈষম্যবিরোধী আন্দোলন প্রায় স্তিমিত হয়ে গিয়েছিল, তখন বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরাই এগিয়ে এসে সে আন্দোলন অব্যাহত রেখেছিলেন। বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা মূলত অবস্থাপন্ন পরিবারের সন্তান হয় বলে তাঁরা সাধারণত এ ধরনের আন্দোলন থেকে দূরে থাকেন। কিন্তু জুলাই-আগস্টের আন্দোলনে তাঁদের অংশগ্রহণ ছিল চোখে পড়ার মতো। তাই শিক্ষার্থীদের একটি ছাত্রসংগঠন হতে যাচ্ছে অথচ বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের আমলেই নেওয়া হচ্ছে না, এটা দৃষ্টিকটু। দিন বদলেছে। এখন যেকোনো স্ফুলিঙ্গ থেকেই অগ্নিশিখার জন্ম হতে পারে, তা-ই তো দেখা গেল।
বিভেদের আরও কিছু কারণ ছিল বটে, কিন্তু বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের কমিটিতে না রাখাটাই যে বড় কারণ, সে কথা বললে কিছুই বাড়িয়ে বলা হবে না।
নতুন ছাত্রসংগঠনের একাধিক সূত্র জানিয়েছে, আসন্ন ডাকসু নির্বাচনকে কেন্দ্র করেই নতুন এই সংগঠন গড়ে তোলা হচ্ছে। সংগঠনটি স্বতন্ত্রভাবে নিজেদের কার্যক্রম পরিচালনা করলেও কৌশলগতভাবে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ও জাতীয় নাগরিক কমিটির উদ্যোগে যে রাজনৈতিক দল গঠিত হচ্ছে, তাদের সঙ্গে আন্দোলন, কর্মসূচি পালন করবে। এবং সে সঙ্গে তারা এ কথাও বলেছে যে সংগঠনটি প্রথাগত ছাত্রসংগঠনগুলোর মতো মূল দলের ‘লেজুড়বৃত্তি’ করবে না।
লেজুড়বৃত্তি করা না-করার বিষয়টি তাদের কার্যক্রম শুরু হলেই বোঝা যাবে। নতুন রাজনৈতিক দলের সঙ্গে নতুন ছাত্রসংগঠনটির কর্মসূচি, আন্দোলনপ্রক্রিয়া মিলে গেলে তাকে কী নামে অভিহিত করতে হবে, সে প্রশ্নের উত্তর কি তাঁরা দিতে পারবেন?
নতুন একটি ছাত্রসংগঠনের জন্ম হলো ২৬ ফেব্রুয়ারি। মানুষের জন্মের সময় যে প্রসব বেদনায় বিদীর্ণ হন মা, সে রকমই এক যন্ত্রণার মধ্য দিয়ে কি আগমন ঘটল এই সদ্য ভূমিষ্ঠ দলটির? নাকি জন্মের সময় যে ঘটনাগুলো ঘটল, সে ঘটনাগুলো এতটাই অনাকাঙ্ক্ষিত যে সন্তান ভূমিষ্ঠ হওয়ার মতো পবিত্র একটি ঘটনার সঙ্গে একে মেলানো ঠিক হবে না? পাঠক তা নিজ বুদ্ধিবলেই বিচার করবেন। আমরা শুধু বলতে পারি, এই হাতাহাতি-মারামারির দায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতাদেরই বহন করতে হবে।
আজকের পত্রিকার প্রথম পৃষ্ঠায় যে ছবিটি ছাপা হয়েছে, তাতে দেখা যাচ্ছে শিক্ষার্থীদের চোখেমুখে ফুটে উঠেছে হিংস্রতা। একজন শিক্ষার্থীর পরিধেয় জামা ছিঁড়ে তাঁকে উদোম করে ফেলেছেন আরও কজন শিক্ষার্থী। বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভুক্তভোগীরা যেসব বক্তব্য রাখছেন, তাতে হিংস্রতার ভয়াবহতাও জানা যাচ্ছে। এক শিক্ষার্থী অন্য এক শিক্ষার্থীর বিরুদ্ধে কামড়ে দেওয়ার অভিযোগও তুলেছেন। এইসব কথা নিয়ে রকে-রেস্তোরাঁয়, বন্ধুদের আড্ডায় বেশ রসিকতাও চলছে।
বিরোধের সূত্রপাত হয়েছে এই নিয়ে যে নতুন ছাত্রসংগঠনের নেতারা মূলত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়কেন্দ্রিক। এই সংগঠনের উচ্চ পদগুলোর কোনোটিতেই বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে কোনো প্রতিনিধি রাখা হয়নি। সংগঠনটির নেতৃত্ব গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় গঠিত হয়েছে, নাকি তা শিক্ষার্থীদের ওপর চাপিয়ে দেওয়া হয়েছে, সে প্রশ্ন এড়ানো যাবে না। এ কথা তো মিথ্যে নয় যে, যখন বৈষম্যবিরোধী আন্দোলন প্রায় স্তিমিত হয়ে গিয়েছিল, তখন বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরাই এগিয়ে এসে সে আন্দোলন অব্যাহত রেখেছিলেন। বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা মূলত অবস্থাপন্ন পরিবারের সন্তান হয় বলে তাঁরা সাধারণত এ ধরনের আন্দোলন থেকে দূরে থাকেন। কিন্তু জুলাই-আগস্টের আন্দোলনে তাঁদের অংশগ্রহণ ছিল চোখে পড়ার মতো। তাই শিক্ষার্থীদের একটি ছাত্রসংগঠন হতে যাচ্ছে অথচ বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের আমলেই নেওয়া হচ্ছে না, এটা দৃষ্টিকটু। দিন বদলেছে। এখন যেকোনো স্ফুলিঙ্গ থেকেই অগ্নিশিখার জন্ম হতে পারে, তা-ই তো দেখা গেল।
বিভেদের আরও কিছু কারণ ছিল বটে, কিন্তু বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের কমিটিতে না রাখাটাই যে বড় কারণ, সে কথা বললে কিছুই বাড়িয়ে বলা হবে না।
নতুন ছাত্রসংগঠনের একাধিক সূত্র জানিয়েছে, আসন্ন ডাকসু নির্বাচনকে কেন্দ্র করেই নতুন এই সংগঠন গড়ে তোলা হচ্ছে। সংগঠনটি স্বতন্ত্রভাবে নিজেদের কার্যক্রম পরিচালনা করলেও কৌশলগতভাবে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ও জাতীয় নাগরিক কমিটির উদ্যোগে যে রাজনৈতিক দল গঠিত হচ্ছে, তাদের সঙ্গে আন্দোলন, কর্মসূচি পালন করবে। এবং সে সঙ্গে তারা এ কথাও বলেছে যে সংগঠনটি প্রথাগত ছাত্রসংগঠনগুলোর মতো মূল দলের ‘লেজুড়বৃত্তি’ করবে না।
লেজুড়বৃত্তি করা না-করার বিষয়টি তাদের কার্যক্রম শুরু হলেই বোঝা যাবে। নতুন রাজনৈতিক দলের সঙ্গে নতুন ছাত্রসংগঠনটির কর্মসূচি, আন্দোলনপ্রক্রিয়া মিলে গেলে তাকে কী নামে অভিহিত করতে হবে, সে প্রশ্নের উত্তর কি তাঁরা দিতে পারবেন?
দীর্ঘ সাড়ে পনেরো বছর পর বাংলাদেশের রাজনৈতিক পটপরিবর্তন ভারত ও বাংলাদেশের সম্পর্কের সমীকরণ বদলে দিয়েছে। গণ-অভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর অন্তর্বর্তী সরকারের হাল ধরেন শান্তিতে নোবেলজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূস। মূলত এর পর থেকেই দুই দেশের সম্পর্কে একধরনের শীতলতা সৃষ্টি হয়েছে। একসময়ের
৮ ঘণ্টা আগেবাংলাদেশের রাজনৈতিক সংস্কৃতির অন্যতম বৈশিষ্ট্য হলো প্রচারণার মাধ্যমে বাস্তবতাকে নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা। আওয়ামী লীগ সরকার দীর্ঘদিন ধরে রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় থেকে একধরনের ‘গণতান্ত্রিক কর্তৃত্ববাদী’ শাসনব্যবস্থা প্রতিষ্ঠা করে, যেখানে বিরোধীদের দুর্বল করা এবং আন্দোলন দমনের জন্য নানামুখী কৌশল প্রয়োগ করা হয়েছিল।
৮ ঘণ্টা আগেগত বছরই এ দেশের সর্বস্তরের মানুষ বৈষম্যের বিরুদ্ধে দাঁড়িয়ে একটা রেজিমের পতন ঘটিয়েছিল। এ জন্য অসংখ্য তাজা প্রাণ বলি দিতে হয়েছে। কিন্তু আমলাতন্ত্রে যে কোনো পরিবর্তন হয়নি, সেটা বুঝতে তেমন কোনো সমস্যা হয় না। আমলারা নিজের গামলা ভরার বিষয়টি ভালো বোঝেন। এ নিয়েই ২০ এপ্রিল আজকের পত্রিকায় একটি সংবাদ প্রকাশিত
৮ ঘণ্টা আগেদেশের সংবিধান, পুলিশ, স্থানীয় সরকার, নির্বাচন, বিচারব্যবস্থাসহ বিভিন্ন খাতে সংস্কারের নানা আলাপ হয়েছে, হচ্ছে। কিন্তু এই সময়ে অর্থনৈতিক সংস্কার নিয়ে খুব বেশি কিছু করা হয়েছে কি না, সেই প্রশ্ন তুলেছেন অর্থনীতি নিয়ে অন্তর্বর্তী সরকারেরই গঠন করা শ্বেতপত্র প্রণয়ন কমিটির প্রধান ড. দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য।
১ দিন আগে