সম্পাদকীয়
প্রতিদিন সরকারের উন্নয়নের পাঁচালি শুনে মানুষের মনে কী প্রতিক্রিয়া হয়, তা কি সরকারের হয়ে যাঁরা উন্নয়ন-বার্তা বয়ান করেন, তাঁরা বোঝার চেষ্টা করেন? কিছু গান বারবার শুনেও কারও কারও ভালো লাগে। কিন্তু সবার কান তো আর গানে অভ্যস্ত নয়। তা ছাড়া, সুর ভালো লাগলেও এক জিনিস বেশি শুনলে মজা নষ্ট হয়ে যায়। কথায় আছে, লেবু বেশি কচলাতে নেই। এই সরকারের আমলে কী কী বড় বড় উন্নয়ন কর্মকাণ্ড হয়েছে বা হচ্ছে, তা মনে হয় এখন অনেকেরই জানার বাইরে নয়; বরং ঠোঁটস্থ হয়ে গেছে।
নিজস্ব অর্থায়নে পদ্মা সেতু বানানোর উদ্যোগ আমাদের জাতির মর্যাদা বাড়িয়েছে। সক্ষমতার পরিচয় তুলে ধরছে। ‘আমরাও পারি’ বলার স্পর্ধা বাড়িয়ে দিয়েছে। মেট্রোরেল ও কর্ণফুলী নদীর তলদেশে টানেল নির্মাণকাজ সম্পন্ন হওয়ার পথে। পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রসহ আরও কিছু মেগা প্রকল্পের কাজ শেষ হলে নিশ্চয়ই দেশের সমৃদ্ধি যাত্রা নিয়ে গৌরব করা যাবে।
এই সরকারের আমলে মানুষের গড় আয় বেড়েছে, আয়ু বেড়েছে, বিভিন্ন সামাজিক সূচকে আমরা প্রতিবেশী কোনো কোনো দেশকে পেছনে ফেলতে সক্ষম হয়েছি। কিন্তু আমাদের উন্নয়নযাত্রাকে ব্যঙ্গ করার মতো কিছু ঘটনাও ঘটছে।
সংবাদপত্রের যাঁরা নিয়মিত পাঠক, তাঁরা প্রতিদিন পড়ছেন এমন খবর যেগুলো অসত্য বা বিভ্রান্তিকর বলে উড়িয়ে দিতে পারছেন না। এ খবরগুলো রাজধানী বা অন্য বড় শহরের নয়। একটু দূরের হলেও এসব আমাদের দেশেরই খবর।
তিনটি খবরের নমুনা: নেত্রকোনার মদন উপজেলার একটি সড়কের ১০টি সেতু সংস্কারের অভাবে অচল হয়ে পড়েছে। এই সেতুগুলো জনসাধারণের কোনো কাজে আসছে না। চলাফেরায় চরম দুর্ভোগ সহ্য করতে হচ্ছে কয়েকটি গ্রামের মানুষকে।
পদ্মার ভাঙন রোধে ২৫০ কোটির বেশি টাকা ব্যয়ে পানি উন্নয়ন বোর্ড দোহারের অরঙ্গাবাদ থেকে বাহ্রাঘাট পর্যন্ত সাড়ে তিন কিলোমিটার রাস্তায় বাঁধ নির্মাণ করছে। তবে নির্মাণকাজ শেষ না হতেই তাতে ভাঙন দেখা দিয়েছে।
দীর্ঘদিন সংস্কারের অভাবে সোনারগাঁ উপজেলার জামপুর ইউনিয়নের গুরুত্বপূর্ণ একটি সড়কের বিভিন্ন স্থানে পিচ উঠে গিয়ে ছোট-বড় অসংখ্য গর্তের সৃষ্টি হয়ে চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে।
উদাহরণ না বাড়িয়ে বলার কথা এটাই যে, উন্নয়নের সঙ্গে বৈষম্যও বাড়ছে। শুধু মানুষে মানুষে ধনবৈষম্য নয়। বৈষম্য আরও অনেক ক্ষেত্রেই আছে। বড় বড় প্রকল্পের দিকে সরকারের নীতিনির্ধারকদের বেশি নজর থাকায় ছোট ছোট সমস্যা মানুষের জীবনকে কতটা কষ্টকর করে তুলছে, সেদিকে মনোযোগ কম।
দুর্নীতি, অপচয়, পরিকল্পনাহীনতা এবং সমন্বয়হীনতার সম্মিলিত ফল হচ্ছে: কোথাও সড়কের অবস্থা বেহাল, কোথাও দুর্নীতির কারণে নির্মাণকাজ শেষ হওয়ার আগেই স্থাপনা ভেঙে পড়ছে, কোথাও বা অপ্রয়োজনে তৈরি হচ্ছে ব্রিজ কিংবা কালভার্ট। বাইরে ফিটফাট, ভেতরে সদরঘাট বলে একটি কথা চালু আছে। আমাদের দেশের অবস্থা বোঝাতেই মনে হয় এ কথাটা চালু হয়েছে।
প্রতিদিন সরকারের উন্নয়নের পাঁচালি শুনে মানুষের মনে কী প্রতিক্রিয়া হয়, তা কি সরকারের হয়ে যাঁরা উন্নয়ন-বার্তা বয়ান করেন, তাঁরা বোঝার চেষ্টা করেন? কিছু গান বারবার শুনেও কারও কারও ভালো লাগে। কিন্তু সবার কান তো আর গানে অভ্যস্ত নয়। তা ছাড়া, সুর ভালো লাগলেও এক জিনিস বেশি শুনলে মজা নষ্ট হয়ে যায়। কথায় আছে, লেবু বেশি কচলাতে নেই। এই সরকারের আমলে কী কী বড় বড় উন্নয়ন কর্মকাণ্ড হয়েছে বা হচ্ছে, তা মনে হয় এখন অনেকেরই জানার বাইরে নয়; বরং ঠোঁটস্থ হয়ে গেছে।
নিজস্ব অর্থায়নে পদ্মা সেতু বানানোর উদ্যোগ আমাদের জাতির মর্যাদা বাড়িয়েছে। সক্ষমতার পরিচয় তুলে ধরছে। ‘আমরাও পারি’ বলার স্পর্ধা বাড়িয়ে দিয়েছে। মেট্রোরেল ও কর্ণফুলী নদীর তলদেশে টানেল নির্মাণকাজ সম্পন্ন হওয়ার পথে। পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রসহ আরও কিছু মেগা প্রকল্পের কাজ শেষ হলে নিশ্চয়ই দেশের সমৃদ্ধি যাত্রা নিয়ে গৌরব করা যাবে।
এই সরকারের আমলে মানুষের গড় আয় বেড়েছে, আয়ু বেড়েছে, বিভিন্ন সামাজিক সূচকে আমরা প্রতিবেশী কোনো কোনো দেশকে পেছনে ফেলতে সক্ষম হয়েছি। কিন্তু আমাদের উন্নয়নযাত্রাকে ব্যঙ্গ করার মতো কিছু ঘটনাও ঘটছে।
সংবাদপত্রের যাঁরা নিয়মিত পাঠক, তাঁরা প্রতিদিন পড়ছেন এমন খবর যেগুলো অসত্য বা বিভ্রান্তিকর বলে উড়িয়ে দিতে পারছেন না। এ খবরগুলো রাজধানী বা অন্য বড় শহরের নয়। একটু দূরের হলেও এসব আমাদের দেশেরই খবর।
তিনটি খবরের নমুনা: নেত্রকোনার মদন উপজেলার একটি সড়কের ১০টি সেতু সংস্কারের অভাবে অচল হয়ে পড়েছে। এই সেতুগুলো জনসাধারণের কোনো কাজে আসছে না। চলাফেরায় চরম দুর্ভোগ সহ্য করতে হচ্ছে কয়েকটি গ্রামের মানুষকে।
পদ্মার ভাঙন রোধে ২৫০ কোটির বেশি টাকা ব্যয়ে পানি উন্নয়ন বোর্ড দোহারের অরঙ্গাবাদ থেকে বাহ্রাঘাট পর্যন্ত সাড়ে তিন কিলোমিটার রাস্তায় বাঁধ নির্মাণ করছে। তবে নির্মাণকাজ শেষ না হতেই তাতে ভাঙন দেখা দিয়েছে।
দীর্ঘদিন সংস্কারের অভাবে সোনারগাঁ উপজেলার জামপুর ইউনিয়নের গুরুত্বপূর্ণ একটি সড়কের বিভিন্ন স্থানে পিচ উঠে গিয়ে ছোট-বড় অসংখ্য গর্তের সৃষ্টি হয়ে চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে।
উদাহরণ না বাড়িয়ে বলার কথা এটাই যে, উন্নয়নের সঙ্গে বৈষম্যও বাড়ছে। শুধু মানুষে মানুষে ধনবৈষম্য নয়। বৈষম্য আরও অনেক ক্ষেত্রেই আছে। বড় বড় প্রকল্পের দিকে সরকারের নীতিনির্ধারকদের বেশি নজর থাকায় ছোট ছোট সমস্যা মানুষের জীবনকে কতটা কষ্টকর করে তুলছে, সেদিকে মনোযোগ কম।
দুর্নীতি, অপচয়, পরিকল্পনাহীনতা এবং সমন্বয়হীনতার সম্মিলিত ফল হচ্ছে: কোথাও সড়কের অবস্থা বেহাল, কোথাও দুর্নীতির কারণে নির্মাণকাজ শেষ হওয়ার আগেই স্থাপনা ভেঙে পড়ছে, কোথাও বা অপ্রয়োজনে তৈরি হচ্ছে ব্রিজ কিংবা কালভার্ট। বাইরে ফিটফাট, ভেতরে সদরঘাট বলে একটি কথা চালু আছে। আমাদের দেশের অবস্থা বোঝাতেই মনে হয় এ কথাটা চালু হয়েছে।
‘গণতন্ত্র মঞ্চ’র অন্যতম নেতা সাইফুল হক বাংলাদেশের বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। ছাত্রজীবনে তিনি ছাত্র ঐক্য ফোরামের নেতা ছিলেন। তিনি পত্রিকায় নিয়মিত কলাম লেখেন। এখন পর্যন্ত ২০টি বই লিখেছেন। অন্তর্বর্তী সরকার এবং দেশের রাজনীতি নিয়ে...
১৩ ঘণ্টা আগেসদ্য ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগ আগামী নির্বাচনে অংশ নিতে পারবে কি না, তা নিয়ে নানা মাত্রিক আলোচনার মধ্যে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক সারজিস আলম নিজের ফেসবুক ওয়ালে লিখেছেন: ‘গণহত্যার বিচারের আগে আওয়ামী লীগকে কোনো নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে দেব না। প্রয়োজনে দ্বিতীয় অভ্যুত্থান হবে।’
১৩ ঘণ্টা আগেতিন মাস পার হলো, আমরা একটি অন্তর্বর্তী সরকারের শাসনামলের অধীনে আছি। জুলাই-আগস্টে সংঘটিত অভ্যুত্থানে স্বৈরাচারী সরকারের অবসান ঘটেছে। অভ্যুত্থানকে কেন্দ্র করে জনমনে আশার সঞ্চার হয়েছিল—সামাজিক সব বৈষম্যের অবসান ঘটবে, আমাদের সামগ্রিক অবস্থার ইতিবাচক পরিবর্তন সূচিত হবে, প্রকৃত স্বাধীনতা..
১৩ ঘণ্টা আগেচট্টগ্রামের আকবরশাহ থানার নাছিয়াঘোনা এলাকায় যাওয়া-আসা করতে গেলে বোঝা যায় সেটি দুর্গম এলাকা। এ কারণেই সেখানে বসানো হয়েছিল ফাঁড়ি। কিন্তু ৫ আগস্টে ক্ষমতার পটপরিবর্তনের পর পুলিশের থানা ও ফাঁড়িগুলোয় যখন আক্রমণ করা হচ্ছিল, তখন নুরু আলম নুরু নামের এক সন্ত্রাসীও সে সুযোগ নেন। তিনি পুলিশের ফাঁড়ি দখল করে...
১৩ ঘণ্টা আগে