নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
পররাষ্ট্রমন্ত্রী একে আব্দুল মোমেনের বক্তব্যের তীব্র সমালোচনা করে সরকার ভারতের আনুকূল্যে টিকে আছে কিনা এমন প্রশ্ন তুলেছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। ওই বক্তব্যের বিষয়ে সরকার ও পররাষ্ট্রমন্ত্রীর কাছে পরিপূর্ণ ব্যাখ্যা চেয়েছেন তিনি। এমনকি বিষয়টিতে তিনি ভারতের কাছেও ব্যাখ্যা চেয়েছেন।
আজ শুক্রবার বিকেলে জাতীয় প্রেসক্লাবে স্বেচ্ছাসেবক দলের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর আলোচনায় এই ব্যাখ্যা চান বিএনপি মহাসচিব।
গত বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় চট্টগ্রামে এক অনুষ্ঠানে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘আমি ভারতে গিয়ে বলেছি, শেখ হাসিনাকে টিকিয়ে রাখার জন্য যা যা করা দরকার, আমি ভারত সরকারকে সেটা করার অনুরোধ করেছি।’
পররাষ্ট্রমন্ত্রীর ওই বক্তব্যের প্রসঙ্গে সরকারকে উদ্দেশ্য করে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘দুদিন আগে আওয়ামী লীগের মন্ত্রীরা সমাবেশ করে হুমকি দিয়েছেন। এতই যদি হুমকি-ধমকি দেন, তাহলে আপনাদের পররাষ্ট্রমন্ত্রী সরকার টিকিয়ে রাখার জন্য, প্রধানমন্ত্রীকে টিকেয়ে রাখার জন্য ভারতের সাহায্য দাবি করে কেন? আমরা এই কথাটার ব্যাখ্যা চাই। আমরা জানতে চাই এই সরকারের কাছে, পররাষ্ট্রমন্ত্রীর কাছে এবং ভারত সরকারের কাছেও। আজকে পররাষ্ট্রমন্ত্রী যে কথা বলেছেন, সেই কথার অর্থ কি? তাতে কি এটা দাঁড়ায় যে, এই সরকার টিকে আছে ভারতের আনুকূল্যে? এটা অত্যন্ত জরুরি কথা।’
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের সমালোচনা করে ফখরুল বলেন, ‘সড়ক ও সেতু মন্ত্রী, যিনি আবার আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক, তিনি অনেক কথা বলেন। এতই দক্ষ আপনারা, তাহলে আপনারা মন্ত্রী থাকার সময় উত্তরায় গার্ডার পড়ে ৫ জন মানুষ মারা যায়? গ্রেপ্তার করলেন ড্রাইভার, গার্ডকে। এর দায় প্রথমেই নিতে হবে সেতুমন্ত্রীকে। প্রকল্প পরিচালককে জবাব দিতে হবে। তাদের কাউকে তো গ্রেপ্তার করা হলো না।’
ফখরুল বলেন, ‘এই সরকার সম্পূর্ণভাবে দুর্নীতিবাজ, চোর-ডাকাতের সরকার। এদের কোন বৈধতা নাই। রাতের অন্ধকারে নির্বাচন করে জোর করে ক্ষমতায় বসে আছে। এরা বাংলাদেশের গণতন্ত্রকে ধ্বংস করে গণশত্রুতে পরিণত হয়েছে।’
গুম ও মানবাধিকার হরণের প্রসঙ্গ আসায় সরকারের মাথা ঘুরে গেছে দাবি করে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘জাতিসংঘের মানবাধিকার হাইকমিশনার যাওয়ার আগে বলে গেছেন, এখানে মানবাধিকার লঙ্ঘনের সমস্ত প্রমাণ পাওয়া গেছে এবং এর বিচার করা দরকার। আমাদের তথ্যমন্ত্রী আবার হাইকমিশনারকে সবক দিচ্ছেন যে প্যালেস্টাইন দেখেন, বার্মা দেখেন, আরে আগে আপনি বাংলাদেশ দেখেন। এই সরকার হাজার হাজার মানুষকে হত্যা, গুম করেছে। আয়নাঘরের বিষয়ে জনগণ জানতে চায়।’
আওয়ামী লীগ দুর্নীতি, লুটপাট করে দেশের মানুষের পেটে হাত দিয়ে দিয়েছে উল্লেখ করে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘সমস্ত জিনিসপত্রের দাম তিন-চার গুণ বেড়ে গেছে। বৈশ্বিক অর্থনৈতিক সংকটের কথা এখন বলা হচ্ছে কিন্তু আগে থেকে কেন এই বিষয়ে কোনো ব্যবস্থা নেননি? তেলের দাম এখন আবার কমতে শুরু করেছে। এখনো সরকার তেলের দাম কমাচ্ছে না।’
রাজপথে জনতার ঐক্য গড়ে গণ আন্দোলনের মাধ্যমে সরকারকে পরাজিত করার আহ্বান জানিয়ে ফখরুল আরও বলেন, ‘ক্ষমতায় টিকে থাকতে আওয়ামী লীগ যত প্রকার নির্যাতন আছে সবই করে যাচ্ছে। রাজনীতি, অর্থনীতি, বিচার ব্যবস্থা, ভোটাধিকার সবকিছু এরা ধ্বংস করেছে। এদের আর সময় দেওয়া যাবে না।’
পররাষ্ট্রমন্ত্রী একে আব্দুল মোমেনের বক্তব্যের তীব্র সমালোচনা করে সরকার ভারতের আনুকূল্যে টিকে আছে কিনা এমন প্রশ্ন তুলেছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। ওই বক্তব্যের বিষয়ে সরকার ও পররাষ্ট্রমন্ত্রীর কাছে পরিপূর্ণ ব্যাখ্যা চেয়েছেন তিনি। এমনকি বিষয়টিতে তিনি ভারতের কাছেও ব্যাখ্যা চেয়েছেন।
আজ শুক্রবার বিকেলে জাতীয় প্রেসক্লাবে স্বেচ্ছাসেবক দলের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর আলোচনায় এই ব্যাখ্যা চান বিএনপি মহাসচিব।
গত বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় চট্টগ্রামে এক অনুষ্ঠানে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘আমি ভারতে গিয়ে বলেছি, শেখ হাসিনাকে টিকিয়ে রাখার জন্য যা যা করা দরকার, আমি ভারত সরকারকে সেটা করার অনুরোধ করেছি।’
পররাষ্ট্রমন্ত্রীর ওই বক্তব্যের প্রসঙ্গে সরকারকে উদ্দেশ্য করে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘দুদিন আগে আওয়ামী লীগের মন্ত্রীরা সমাবেশ করে হুমকি দিয়েছেন। এতই যদি হুমকি-ধমকি দেন, তাহলে আপনাদের পররাষ্ট্রমন্ত্রী সরকার টিকিয়ে রাখার জন্য, প্রধানমন্ত্রীকে টিকেয়ে রাখার জন্য ভারতের সাহায্য দাবি করে কেন? আমরা এই কথাটার ব্যাখ্যা চাই। আমরা জানতে চাই এই সরকারের কাছে, পররাষ্ট্রমন্ত্রীর কাছে এবং ভারত সরকারের কাছেও। আজকে পররাষ্ট্রমন্ত্রী যে কথা বলেছেন, সেই কথার অর্থ কি? তাতে কি এটা দাঁড়ায় যে, এই সরকার টিকে আছে ভারতের আনুকূল্যে? এটা অত্যন্ত জরুরি কথা।’
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের সমালোচনা করে ফখরুল বলেন, ‘সড়ক ও সেতু মন্ত্রী, যিনি আবার আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক, তিনি অনেক কথা বলেন। এতই দক্ষ আপনারা, তাহলে আপনারা মন্ত্রী থাকার সময় উত্তরায় গার্ডার পড়ে ৫ জন মানুষ মারা যায়? গ্রেপ্তার করলেন ড্রাইভার, গার্ডকে। এর দায় প্রথমেই নিতে হবে সেতুমন্ত্রীকে। প্রকল্প পরিচালককে জবাব দিতে হবে। তাদের কাউকে তো গ্রেপ্তার করা হলো না।’
ফখরুল বলেন, ‘এই সরকার সম্পূর্ণভাবে দুর্নীতিবাজ, চোর-ডাকাতের সরকার। এদের কোন বৈধতা নাই। রাতের অন্ধকারে নির্বাচন করে জোর করে ক্ষমতায় বসে আছে। এরা বাংলাদেশের গণতন্ত্রকে ধ্বংস করে গণশত্রুতে পরিণত হয়েছে।’
গুম ও মানবাধিকার হরণের প্রসঙ্গ আসায় সরকারের মাথা ঘুরে গেছে দাবি করে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘জাতিসংঘের মানবাধিকার হাইকমিশনার যাওয়ার আগে বলে গেছেন, এখানে মানবাধিকার লঙ্ঘনের সমস্ত প্রমাণ পাওয়া গেছে এবং এর বিচার করা দরকার। আমাদের তথ্যমন্ত্রী আবার হাইকমিশনারকে সবক দিচ্ছেন যে প্যালেস্টাইন দেখেন, বার্মা দেখেন, আরে আগে আপনি বাংলাদেশ দেখেন। এই সরকার হাজার হাজার মানুষকে হত্যা, গুম করেছে। আয়নাঘরের বিষয়ে জনগণ জানতে চায়।’
আওয়ামী লীগ দুর্নীতি, লুটপাট করে দেশের মানুষের পেটে হাত দিয়ে দিয়েছে উল্লেখ করে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘সমস্ত জিনিসপত্রের দাম তিন-চার গুণ বেড়ে গেছে। বৈশ্বিক অর্থনৈতিক সংকটের কথা এখন বলা হচ্ছে কিন্তু আগে থেকে কেন এই বিষয়ে কোনো ব্যবস্থা নেননি? তেলের দাম এখন আবার কমতে শুরু করেছে। এখনো সরকার তেলের দাম কমাচ্ছে না।’
রাজপথে জনতার ঐক্য গড়ে গণ আন্দোলনের মাধ্যমে সরকারকে পরাজিত করার আহ্বান জানিয়ে ফখরুল আরও বলেন, ‘ক্ষমতায় টিকে থাকতে আওয়ামী লীগ যত প্রকার নির্যাতন আছে সবই করে যাচ্ছে। রাজনীতি, অর্থনীতি, বিচার ব্যবস্থা, ভোটাধিকার সবকিছু এরা ধ্বংস করেছে। এদের আর সময় দেওয়া যাবে না।’
নতুন নির্বাচন কমিশনের দায়িত্ব গ্রহণকে স্বাগত জানিয়েছে বিএনপি। জনগণের প্রত্যাশা পূরণে নতুন কমিশন কাজ করবে বলেও আশা প্রকাশ করেছে দলটি
৯ ঘণ্টা আগেরাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিনের অপসারণ চেয়ে তাঁর নিয়োগ দেওয়া নতুন নির্বাচন কমিশন (ইসি) প্রত্যাখ্যান করেছে জাতীয় নাগরিক কমিটি। একই সঙ্গে নির্বাচন ব্যবস্থা সংস্কারের প্রাপ্ত প্রস্তাবের আলোকে নতুন আইনের অধীনে নতুন নির্বাচন কমিশন গঠনের দাবি জানিয়েছেন তারা
১১ ঘণ্টা আগেড. কামাল হোসেন আর গণফোরামের সঙ্গে যুক্ত নন এবং তিনি রাজনীতি থেকে অবসর নিয়েছেন—বলে জানিয়েছেন নিজেকে গণফোরামের সভাপতি দাবি করা এবং সাবেক সংসদ সদস্য মফিজুল ইসলাম খান কামাল।
১ দিন আগেনতুন রাজনৈতিক বন্দোবস্ত বলতে তারা কী বোঝাচ্ছে? তাদের এই ধারণা স্পষ্ট করা উচিত। আমি জানতে চাই, তাদের নতুন রাজনৈতিক মীমাংসা আসলে কী? আমি এ বিষয়ে কোথাও কিছু লেখা নথিভুক্ত পাইনি। তাদের প্রস্তাব কী, সেটা স্পষ্ট নয়। আমাদের যে ধরনের রাজনীতি আমরা কল্পনা করি, তা আমাদের সংবিধানে স্পষ্টভাবে নথিভুক্ত।
২ দিন আগে