নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ না করে দলটির যারা দোষী, তদন্তের মাধ্যমে তাদের বিচার করতে হবে বলে জানিয়েছেন জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান গোলাম মোহাম্মদ (জি এম) কাদের। একই সঙ্গে তিনি জানিয়েছেন, নির্বাচন কমিশনে নিবন্ধিত সব দলকে নির্বাচনে অংশ নেওয়ার সুযোগ দিতে হবে।আজ শনিবার দুপুরে জাতীয় পার্টি চেয়ারম্যানের বনানী কার্যালয়ে সংবিধান সংরক্ষণ দিবস উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভায় সভাপতির বক্তব্যে তিনি এসব কথা।
জি এম কাদের বলেন, ‘আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করা উচিত হবে না। আওয়ামী লীগের যারা দোষ করেছে, তাদের তদন্তের মাধ্যমে বিচারের মুখোমুখি করুন। অকারণে মামলা দিয়ে কাউকেই শাস্তি দেওয়া ঠিক নয়।’
জি এম কাদের বলেন, ‘একটি সংগঠনের সবাই কি অপরাধী? যদি তাই ভাবেন, তাহলে শেখ হাসিনার সঙ্গে আপনাদের তফাত কী? শেখ হাসিনা মনে করত বিএনপি ও জামায়াত করলেই অপরাধী, এখন তো আপনারা সেটাই করছেন। আমরা চাই আগামী নির্বাচনে সব দল অংশ নিক। যাদের নিবন্ধন দিয়েছেন, তাদের কেন নির্বাচনে আসতে দেবেন না?’
নির্বাচন হতে হবে অবাধ, নিরপেক্ষ এবং অন্তর্ভুক্তিমূলক উল্লেখ করে তিনি বলেন, কোনো রাজনৈতিক দল যদি সন্ত্রাসী সংগঠন না হয়, তাদের উদ্দেশ্য যদি আইনবিরোধী না হয়, তাহলে সেই সব সংগঠনকে রাজনীতি ও নির্বাচন থেকে বাইরে রাখা যাবে না। তাদের মধ্যে কেউ সন্ত্রাসী বা অপরাধী হলে তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে এটাই নিয়ম।
জাতীয় ঐক্যের নামে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার জাতীয় অনৈক্যের সূচনা করেছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, বৈষম্যমুক্ত সমাজ গড়তে জাতীয় ঐক্য দরকার। সংস্কারে সবার মতামত দরকার আছে, পরবর্তীকালে এটি সংসদেও পাস করতে হবে। বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকার কি সবার মতামতের ভিত্তিতে সংস্কার করছে? এখন দেখা যাচ্ছে, ঐক্যের চেয়ে প্রতিশোধের বিষয়টি সামনে আসছে।
সরকারের সমালোচনা করে কাদের আরও বলেন, ‘আমরা সরকারকে সমর্থন দেওয়ার জন্য প্রস্তুত হয়ে ছিলাম। কিন্তু সরকার সেই সমর্থন পদদলিত করেছে। সাংবিধানিক সংস্কারের জন্য একটি প্রস্তাবনা তৈরি করেছিলাম। ওনাদের সঙ্গে কথা বলে আমরা সেটি হস্তান্তর করতে চেয়েছিলাম। তারা কর্মচারী দিয়ে সেই প্রস্তাবনা গ্রহণ করেছে, এমনকি ছবি তুলতেও নিষেধ ছিল তাতে। তারা সময় দিয়েও আমাদের কাছ থেকে প্রস্তাবনা গ্রহণ করতে চাইনি।’
আলোচনা সভায় আরও বক্তব্য দেন পার্টির মহাসচিব মো. মুজিবুল হক চুন্নু, কো-চেয়ারম্যান এ বি এম রুহুল আমিন হাওলাদার, প্রেসিডিয়াম সদস্য অ্যাড. মো. রেজাউল ইসলাম ভূঁইয়া প্রমুখ।
আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ না করে দলটির যারা দোষী, তদন্তের মাধ্যমে তাদের বিচার করতে হবে বলে জানিয়েছেন জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান গোলাম মোহাম্মদ (জি এম) কাদের। একই সঙ্গে তিনি জানিয়েছেন, নির্বাচন কমিশনে নিবন্ধিত সব দলকে নির্বাচনে অংশ নেওয়ার সুযোগ দিতে হবে।আজ শনিবার দুপুরে জাতীয় পার্টি চেয়ারম্যানের বনানী কার্যালয়ে সংবিধান সংরক্ষণ দিবস উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভায় সভাপতির বক্তব্যে তিনি এসব কথা।
জি এম কাদের বলেন, ‘আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করা উচিত হবে না। আওয়ামী লীগের যারা দোষ করেছে, তাদের তদন্তের মাধ্যমে বিচারের মুখোমুখি করুন। অকারণে মামলা দিয়ে কাউকেই শাস্তি দেওয়া ঠিক নয়।’
জি এম কাদের বলেন, ‘একটি সংগঠনের সবাই কি অপরাধী? যদি তাই ভাবেন, তাহলে শেখ হাসিনার সঙ্গে আপনাদের তফাত কী? শেখ হাসিনা মনে করত বিএনপি ও জামায়াত করলেই অপরাধী, এখন তো আপনারা সেটাই করছেন। আমরা চাই আগামী নির্বাচনে সব দল অংশ নিক। যাদের নিবন্ধন দিয়েছেন, তাদের কেন নির্বাচনে আসতে দেবেন না?’
নির্বাচন হতে হবে অবাধ, নিরপেক্ষ এবং অন্তর্ভুক্তিমূলক উল্লেখ করে তিনি বলেন, কোনো রাজনৈতিক দল যদি সন্ত্রাসী সংগঠন না হয়, তাদের উদ্দেশ্য যদি আইনবিরোধী না হয়, তাহলে সেই সব সংগঠনকে রাজনীতি ও নির্বাচন থেকে বাইরে রাখা যাবে না। তাদের মধ্যে কেউ সন্ত্রাসী বা অপরাধী হলে তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে এটাই নিয়ম।
জাতীয় ঐক্যের নামে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার জাতীয় অনৈক্যের সূচনা করেছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, বৈষম্যমুক্ত সমাজ গড়তে জাতীয় ঐক্য দরকার। সংস্কারে সবার মতামত দরকার আছে, পরবর্তীকালে এটি সংসদেও পাস করতে হবে। বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকার কি সবার মতামতের ভিত্তিতে সংস্কার করছে? এখন দেখা যাচ্ছে, ঐক্যের চেয়ে প্রতিশোধের বিষয়টি সামনে আসছে।
সরকারের সমালোচনা করে কাদের আরও বলেন, ‘আমরা সরকারকে সমর্থন দেওয়ার জন্য প্রস্তুত হয়ে ছিলাম। কিন্তু সরকার সেই সমর্থন পদদলিত করেছে। সাংবিধানিক সংস্কারের জন্য একটি প্রস্তাবনা তৈরি করেছিলাম। ওনাদের সঙ্গে কথা বলে আমরা সেটি হস্তান্তর করতে চেয়েছিলাম। তারা কর্মচারী দিয়ে সেই প্রস্তাবনা গ্রহণ করেছে, এমনকি ছবি তুলতেও নিষেধ ছিল তাতে। তারা সময় দিয়েও আমাদের কাছ থেকে প্রস্তাবনা গ্রহণ করতে চাইনি।’
আলোচনা সভায় আরও বক্তব্য দেন পার্টির মহাসচিব মো. মুজিবুল হক চুন্নু, কো-চেয়ারম্যান এ বি এম রুহুল আমিন হাওলাদার, প্রেসিডিয়াম সদস্য অ্যাড. মো. রেজাউল ইসলাম ভূঁইয়া প্রমুখ।
ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর প্রশ্ন উঠেছে বিদ্যমান সংবিধান নিয়ে। বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ও সংগঠনগুলো বলছে, বিদ্যমান সংবিধানের কারণে শেখ হাসিনা ফ্যাসিস্ট হয়ে উঠতে পেরেছেন। তাই ফ্যাসিস্ট-ব্যবস্থা বিলোপে বিদ্যমান সংবিধানের পুনর্লিখন, সংশোধন প্রয়োজন। তবে নতুন সংবিধান কীভাবে প্রণয়ন করা
২ ঘণ্টা আগেঅন্তর্বর্তী সরকার নতুন করে ভ্যাট আরোপ, টিসিবির ট্রাকসেল বন্ধ ও ৪৩ লাখ পরিবার কার্ড বাতিল করার ক্ষোভ প্রকাশ করেছে বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি (সিপিবি)। গতকাল শুক্রবার দলটি বলেছে, ‘স্বৈরাচারী সরকারের মতো জনগণের পকেট কাটার নীতি নিয়েছে অন্তর্বর্তী সরকার।’
৫ ঘণ্টা আগেকেউ যদি এটা নিয়ে মনগড়া কথা বলে, এটা তাদের সমস্যা। এখানে মাইনাস টুর কথা যারা বলে, এটা তাদের আশা। এই আশা জীবনে পূরণ হবে না...
৮ ঘণ্টা আগেস্বৈরাচারের সহযোগীদের কোনো রাজনৈতিক দলে প্রবেশ করানো হলে, সেই দলের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তোলা হবে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান ড. আসাদুজ্জামান রিপন।
১১ ঘণ্টা আগে