গোপালপুর (টাঙ্গাইল) প্রতিনিধি
আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচন টাঙ্গাইল-২ (গোপালপুর-ভূঞাপুর) আসনে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী ছোট মনির ও কর্মী-সমর্থকদের বিরুদ্ধে সন্ত্রাসী হামলা, সংঘাতপূর্ণ পরিবেশ সৃষ্টিসহ নানা অভিযোগ তুলে সংবাদ সম্মেলন করেছেন ঈগল প্রতীকের স্বতন্ত্র প্রার্থী ইউনুছ ইসলাম তালুকদার। আজ শুক্রবার সকালে গোপালপুর উপজেলার ঝাওয়াইল বাজারে নিজ কার্যালয়ে এ সংবাদ সম্মেলন করেন তিনি।
সংবাদ সম্মেলন স্বতন্ত্র প্রার্থী ইউনুছ ইসলাম তালুকদার অভিযোগ করেন, ভোটাভুটিতে হেরে যাওয়ার ভয়ে নৌকার প্রার্থী ছোট মনির এবং তার কর্মীরা সন্ত্রাসী হামলা, সংঘাত ও নৈরাজ্যের পরিবেশ তৈরি করছে। গোপনে গাড়িভর্তি অবৈধ অস্ত্রশস্ত্র সরবরাহ করে এবং বহিরাগত সন্ত্রাসীদের ভাড়ায় এনে নির্বাচনী এলাকায় ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করছেন। এমনকি স্বতন্ত্র প্রার্থীর ওপর প্রকাশ্যে সন্ত্রাসী কায়দায় হামলা এবং অনবরত প্রাণনাশের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। নির্বাচন কমিশন ঘোষিত আচরণবিধি তোয়াক্কা না করে সর্বত্র জবরদস্তি চালিয়ে যাচ্ছেন।
ইউনুছ ইসলাম তালুকদার লিখিত বক্তব্যে জানান, গত ১২ ডিসেম্বর নৌকার কর্মীরা সন্ত্রাসী হামলা চালিয়ে ঈগল প্রতীকের কর্মী আনছার আলীকে বেধড়ক পিটিয়ে গুরুতর আহত করে। এ ঘটনায় থানায় লিখিত অভিযোগ দেওয়া হলেও ওসি কোনো ব্যবস্থা নেননি।
তিনি আরও বলেন, গত ১৮ ডিসেম্বর নৌকার কর্মীরা হাদিরা বাজারে অবস্থিত ঈগল প্রতীকের নির্বাচনী অফিসে হামলা চালিয়ে ভাঙচুর করে। গত ১৯ ডিসেম্বর ভূঞাপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এবং মেয়র বীর মুক্তিযোদ্ধা মাসুদুল হক মাসুদ এবং গোপালপুর পৌরসভার মেয়র রকিবুল হক ছানাসহ অন্যান্য নেতা-কর্মীকে সঙ্গে নিয়ে ভূঞাপুর পৌরশহরের কাঁচাবাজারে দারোগআলী সুপার মার্কেটের ডেল্টালাইফ ইনস্যুরেন্স অফিসে মতবিনিময়কালে দেশীয় অস্ত্রশস্ত্রসহ নৌকার ৩০-৪০ কর্মী সেখান হামলা ও ভাঙচুর চালায়।
একই দিন ভূঞাপুরের গোবিন্দাসী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি ইকরাম উদ্দিন মৃধার বাড়ি যাওয়াকালে নৌকার কর্মীরা অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে প্রাণনাশের লক্ষে আমার গাড়িতে দুই দফা হামলা ও ভাঙচুর চালায়। তাদের হামলায় ঈগল প্রতীকের কয়েক কর্মী আহত হয়। এ ঘটনায় ভূঞাপুর থানা-পুলিশ নৌকার কর্মী নামধারী তিন সন্ত্রাসীকে গ্রেপ্তার করে।
গত ২০ ডিসেম্বর সন্ধ্যা ৭টায় গোপালপুর পৌরশহরের পোস্ট অফিস এলাকা থেকে নৌকার প্রার্থী ছোট মনিরের নির্বাচনী কাজে ব্যবহৃত একটি মাইক্রোবাস আটক করে র্যাব-১৪ এর সদস্যরা। তারা ওই গাড়ি থেকে বিপুল পরিমাণ নৌকার পোস্টার ও দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র উদ্ধার করে। সন্ত্রাসী কাজে ব্যবহারের জন্যই এসব অস্ত্রশস্ত্র আনা হয়েছিল। এ ঘটনায় মাইক্রোচালক মনির ড্রাইভারকে গ্রেপ্তার করে জেলহাজতে পাঠায়।
স্বতন্ত্র প্রার্থী ইউনুছ ইসলাম তালুকদার বলেন, সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণভাবে নির্বাচন হলে বিপুল ভোটে ঈগলের কাছে নৌকা হেরে যাবে জেনে নানা ধরনের সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে এলাকায় ভীতিকর পরিস্থিতি সৃষ্টি করছে নৌকার কর্মীরা। নৌকার প্রার্থী ছোট মনির ও তার কর্মীরা নির্বাচনী আচরণবিধি মানছেন না। প্রতিটি ইউনিয়নে একাধিক নির্বাচনী ক্যাম্প স্থাপন করে নৌকার প্রার্থী আচরণবিধি ভাঙছেন এবং সর্বত্র ঈগল কর্মী-সমর্থকদের ভয়ভীতি ও প্রাণনাশের হুমকি দিচ্ছেন।
এমতাবস্থায় মাননীয় প্রধানমন্ত্রী যে প্রতিযোগিতামূলক, অংশগ্রহণপূর্ণ, অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন চাচ্ছেন, সেটি নিয়ে ভোটারদের মধ্যে নানা সংশয় দেখা দিয়েছে। এ জন্য তিনি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের নিকট নৌকার প্রার্থী ছোট মনিরের বিরুদ্ধে সঠিক তদন্ত এবং আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানান তিনি।
এ সময় তার সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন ঝাওয়াইল ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ সভাপতি মো. শাহজাহান আলী, সম্পাদক মো. রফিকুল ইসলাম তালুকদার, ঝাওয়াইল ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান তালুকদার, যুগ্ম সম্পাদক এসএম লিটন, ইউনিয়ন যুবলীগ সভাপতি ফিরোজ সরকারসহ নেতা-কর্মীরা।
আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচন টাঙ্গাইল-২ (গোপালপুর-ভূঞাপুর) আসনে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী ছোট মনির ও কর্মী-সমর্থকদের বিরুদ্ধে সন্ত্রাসী হামলা, সংঘাতপূর্ণ পরিবেশ সৃষ্টিসহ নানা অভিযোগ তুলে সংবাদ সম্মেলন করেছেন ঈগল প্রতীকের স্বতন্ত্র প্রার্থী ইউনুছ ইসলাম তালুকদার। আজ শুক্রবার সকালে গোপালপুর উপজেলার ঝাওয়াইল বাজারে নিজ কার্যালয়ে এ সংবাদ সম্মেলন করেন তিনি।
সংবাদ সম্মেলন স্বতন্ত্র প্রার্থী ইউনুছ ইসলাম তালুকদার অভিযোগ করেন, ভোটাভুটিতে হেরে যাওয়ার ভয়ে নৌকার প্রার্থী ছোট মনির এবং তার কর্মীরা সন্ত্রাসী হামলা, সংঘাত ও নৈরাজ্যের পরিবেশ তৈরি করছে। গোপনে গাড়িভর্তি অবৈধ অস্ত্রশস্ত্র সরবরাহ করে এবং বহিরাগত সন্ত্রাসীদের ভাড়ায় এনে নির্বাচনী এলাকায় ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করছেন। এমনকি স্বতন্ত্র প্রার্থীর ওপর প্রকাশ্যে সন্ত্রাসী কায়দায় হামলা এবং অনবরত প্রাণনাশের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। নির্বাচন কমিশন ঘোষিত আচরণবিধি তোয়াক্কা না করে সর্বত্র জবরদস্তি চালিয়ে যাচ্ছেন।
ইউনুছ ইসলাম তালুকদার লিখিত বক্তব্যে জানান, গত ১২ ডিসেম্বর নৌকার কর্মীরা সন্ত্রাসী হামলা চালিয়ে ঈগল প্রতীকের কর্মী আনছার আলীকে বেধড়ক পিটিয়ে গুরুতর আহত করে। এ ঘটনায় থানায় লিখিত অভিযোগ দেওয়া হলেও ওসি কোনো ব্যবস্থা নেননি।
তিনি আরও বলেন, গত ১৮ ডিসেম্বর নৌকার কর্মীরা হাদিরা বাজারে অবস্থিত ঈগল প্রতীকের নির্বাচনী অফিসে হামলা চালিয়ে ভাঙচুর করে। গত ১৯ ডিসেম্বর ভূঞাপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এবং মেয়র বীর মুক্তিযোদ্ধা মাসুদুল হক মাসুদ এবং গোপালপুর পৌরসভার মেয়র রকিবুল হক ছানাসহ অন্যান্য নেতা-কর্মীকে সঙ্গে নিয়ে ভূঞাপুর পৌরশহরের কাঁচাবাজারে দারোগআলী সুপার মার্কেটের ডেল্টালাইফ ইনস্যুরেন্স অফিসে মতবিনিময়কালে দেশীয় অস্ত্রশস্ত্রসহ নৌকার ৩০-৪০ কর্মী সেখান হামলা ও ভাঙচুর চালায়।
একই দিন ভূঞাপুরের গোবিন্দাসী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি ইকরাম উদ্দিন মৃধার বাড়ি যাওয়াকালে নৌকার কর্মীরা অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে প্রাণনাশের লক্ষে আমার গাড়িতে দুই দফা হামলা ও ভাঙচুর চালায়। তাদের হামলায় ঈগল প্রতীকের কয়েক কর্মী আহত হয়। এ ঘটনায় ভূঞাপুর থানা-পুলিশ নৌকার কর্মী নামধারী তিন সন্ত্রাসীকে গ্রেপ্তার করে।
গত ২০ ডিসেম্বর সন্ধ্যা ৭টায় গোপালপুর পৌরশহরের পোস্ট অফিস এলাকা থেকে নৌকার প্রার্থী ছোট মনিরের নির্বাচনী কাজে ব্যবহৃত একটি মাইক্রোবাস আটক করে র্যাব-১৪ এর সদস্যরা। তারা ওই গাড়ি থেকে বিপুল পরিমাণ নৌকার পোস্টার ও দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র উদ্ধার করে। সন্ত্রাসী কাজে ব্যবহারের জন্যই এসব অস্ত্রশস্ত্র আনা হয়েছিল। এ ঘটনায় মাইক্রোচালক মনির ড্রাইভারকে গ্রেপ্তার করে জেলহাজতে পাঠায়।
স্বতন্ত্র প্রার্থী ইউনুছ ইসলাম তালুকদার বলেন, সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণভাবে নির্বাচন হলে বিপুল ভোটে ঈগলের কাছে নৌকা হেরে যাবে জেনে নানা ধরনের সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে এলাকায় ভীতিকর পরিস্থিতি সৃষ্টি করছে নৌকার কর্মীরা। নৌকার প্রার্থী ছোট মনির ও তার কর্মীরা নির্বাচনী আচরণবিধি মানছেন না। প্রতিটি ইউনিয়নে একাধিক নির্বাচনী ক্যাম্প স্থাপন করে নৌকার প্রার্থী আচরণবিধি ভাঙছেন এবং সর্বত্র ঈগল কর্মী-সমর্থকদের ভয়ভীতি ও প্রাণনাশের হুমকি দিচ্ছেন।
এমতাবস্থায় মাননীয় প্রধানমন্ত্রী যে প্রতিযোগিতামূলক, অংশগ্রহণপূর্ণ, অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন চাচ্ছেন, সেটি নিয়ে ভোটারদের মধ্যে নানা সংশয় দেখা দিয়েছে। এ জন্য তিনি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের নিকট নৌকার প্রার্থী ছোট মনিরের বিরুদ্ধে সঠিক তদন্ত এবং আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানান তিনি।
এ সময় তার সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন ঝাওয়াইল ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ সভাপতি মো. শাহজাহান আলী, সম্পাদক মো. রফিকুল ইসলাম তালুকদার, ঝাওয়াইল ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান তালুকদার, যুগ্ম সম্পাদক এসএম লিটন, ইউনিয়ন যুবলীগ সভাপতি ফিরোজ সরকারসহ নেতা-কর্মীরা।
নতুন নির্বাচন কমিশনের দায়িত্ব গ্রহণকে স্বাগত জানিয়েছে বিএনপি। জনগণের প্রত্যাশা পূরণে নতুন কমিশন কাজ করবে বলেও আশা প্রকাশ করেছে দলটি
১ ঘণ্টা আগেরাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিনের অপসারণ চেয়ে তাঁর নিয়োগ দেওয়া নতুন নির্বাচন কমিশন (ইসি) প্রত্যাখ্যান করেছে জাতীয় নাগরিক কমিটি। একই সঙ্গে নির্বাচন ব্যবস্থা সংস্কারের প্রাপ্ত প্রস্তাবের আলোকে নতুন আইনের অধীনে নতুন নির্বাচন কমিশন গঠনের দাবি জানিয়েছেন তারা
৩ ঘণ্টা আগেড. কামাল হোসেন আর গণফোরামের সঙ্গে যুক্ত নন এবং তিনি রাজনীতি থেকে অবসর নিয়েছেন—বলে জানিয়েছেন নিজেকে গণফোরামের সভাপতি দাবি করা এবং সাবেক সংসদ সদস্য মফিজুল ইসলাম খান কামাল।
১ দিন আগেনতুন রাজনৈতিক বন্দোবস্ত বলতে তারা কী বোঝাচ্ছে? তাদের এই ধারণা স্পষ্ট করা উচিত। আমি জানতে চাই, তাদের নতুন রাজনৈতিক মীমাংসা আসলে কী? আমি এ বিষয়ে কোথাও কিছু লেখা নথিভুক্ত পাইনি। তাদের প্রস্তাব কী, সেটা স্পষ্ট নয়। আমাদের যে ধরনের রাজনীতি আমরা কল্পনা করি, তা আমাদের সংবিধানে স্পষ্টভাবে নথিভুক্ত।
১ দিন আগে