ঢাবি সংবাদদাতা
জুলাই গণঅভ্যুত্থানে নেতৃত্বদানকারী সংগঠকদের নেতৃত্বে আসছে স্বতন্ত্র ছাত্রসংগঠন। আজই এই সংগঠনের পক্ষে জনমত জরিপ এবং সদস্য সংগ্রহ শুরু হবে। অনলাইন এবং অফলাইনে সদস্য সংগ্রহ চলবে আজ এবং আগামীকাল। জনমতের ভিত্তিতে সংগঠনটির নাম এবং কাঠামো ঠিক করা হবে।
আজ সোমবার বিকেল সাড়ে ৪টায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মধুর ক্যানটিনে এক সংবাদ সম্মেলনে নতুন ছাত্রসংগঠনের বিষয়ে এসব জানান বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সংগঠকেরা।
তাঁরা বলেন, গণঅভ্যুত্থানে নেতৃত্বদানকারী এ সংগঠন হবে স্বতন্ত্র। গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় এই সংগঠনের নেতা নির্বাচিত হবে। অন্য কোনো রাজনৈতিক দল এই সংগঠনের কোনো সিদ্ধান্তকে প্রভাবিত করতে পারবে না।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক আবু বাকের মজুমদার বলেন, ‘যারা জুলাই অভ্যুত্থানের স্পিরিটকে ধারণ করতে চায়, তাঁদের নেতৃত্বেই এই সংগঠন গঠিত হবে। আজ সোমবার এবং আগামীকাল (মঙ্গলবার) নতুন ছাত্রসংগঠনের বিষয়ে জনমত জরিপ ও সদস্য আহ্বান কর্মসূচি চলবে। সোমবার সন্ধ্যার পর থেকে অনলাইনে এবং মঙ্গলবার সকাল ১০টা থেকে বিভিন্ন স্থানে বুথ বসিয়ে এই কার্যক্রম চালানো হবে।’
তিনি আরও বলেন, ‘মঙ্গলবার দেশের সকল সরকারি-বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়, স্কুল, কলেজ, মাদ্রাসায় জনমত জরিপ এবং সদস্য সংগ্রহের এই কার্যক্রম পরিচালিত হবে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসি, কার্জন হল, মোকাররম ভবন, আইন অনুষদ, কলা ভবন, ব্যবসায় শিক্ষা অনুষদসহ বিভিন্ন স্থানে এই কার্যক্রম পরিচালনায় বুথ বসানো হবে।’
আসন্ন নতুন ছাত্রসংগঠনটির বৈশিষ্ট্য বর্ণনা করতে গিয়ে তিনি বলেন, ‘এই সংগঠন কখনো লেজুড়বৃত্তিক ছাত্ররাজনীতি করবে না, এটি স্বতন্ত্র সংগঠন হিসেবে আত্মপ্রকাশ করবে। সংগঠনটির নেতৃত্ব বাছাই হবে গণতান্ত্রিক উপায়ে। সংগঠনটি অর্থনৈতিক কাঠামো পরিচালনায় সদস্যদের থেকে ফি নেওয়া হবে। এই সংগঠনের মূল স্লোগান হবে ‘স্টুডেন্ট ফার্স্ট, বাংলাদেশ ফার্স্ট’।
সমন্বয়ক তাহমিদ আল মুদাসসির চৌধুরী বলেন, ‘সংগঠনটির নাম এবং তারিখ এখনো চূড়ান্ত করা হয়নি। শিক্ষার্থীদের মতামতের ভিত্তিতে সংগঠনটির নাম এবং গঠনতন্ত্র চূড়ান্ত করা হবে। সংগঠনটি শিক্ষাঙ্গনে ছাত্রসংসদের পক্ষে অবস্থান নিবে। বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক ক্যালেন্ডারে ছাত্রসংসদকে অন্তর্ভুক্ত করার এবং তা বাস্তবায়নের পক্ষে কাজ করবে সংগঠনটি।’
রাজনৈতিক ছাত্রসংগঠন জুলাই অভ্যুত্থানের নয় দফার সপ্তম দফার সঙ্গে সাংঘর্ষিক নয় নিশ্চিত করে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের দপ্তর সম্পাদক জাহিদ আহসান বলেন, ‘এই সংগঠন কোনো মাদার পার্টির নিয়ন্ত্রণে থাকবে না। ফলে ৯ দফার সপ্তম দফা অর্থাৎ লেজুড়বৃত্তিক ছাত্ররাজনীতির বিরোধিতার সঙ্গে এটি সাংঘর্ষিক না। আমরা এখনো শিক্ষাঙ্গনে লেজুড়বৃত্তিক ছাত্ররাজনীতির বিপক্ষেই আছি।’
সমন্বয়ক রিফাত রশিদ বলেন, ‘সংগঠনটির উদ্দেশ্য জুলাইয়ের আশা-আকাঙ্ক্ষাকে বাস্তবায়ন করা। এই আদর্শিক পরিসরে থেকে যেই দলই রাজনীতি করবে আমরা তাকে সমর্থন দিয়ে যাব।’
সংগঠনের মৌলিক প্রস্তাবনা
সংবাদ সম্মেলনে গণঅভ্যুত্থানে নেতৃত্বদানকারী আসন্ন ছাত্রসংগঠন নিয়ে বেশ কিছু প্রস্তাবনা পেশ করেন সমন্বয়কেরা। প্রস্তাবনাগুলোর মধ্যে রয়েছে, আদর্শিক বাইনারির সাংস্কৃতিক দ্বন্দ্বের বাইরে গিয়ে মধ্যমপন্থী ছাত্ররাজনীতিকে প্রতিষ্ঠা করা। জাতি, ধর্ম, বর্ণ নির্বিশেষে অন্তর্ভুক্তিমূলক ছাত্ররাজনীতি তৈরি করা, যেখানে পরিচয়ের ভিত্তিতে কাউকে অবমূল্যায়ন করা হবে না। মূলধারার রাজনৈতিক পরিসরে নারীদের যে অনুপস্থিতি রয়েছে সেটিকে বিবেচনায় নিয়ে নারীর রাজনৈতিক মানস বিনির্মাণ করা, রাজনৈতিক চর্চার পরিবেশ তৈরি করা এবং রাজনৈতিক ব্যবস্থাকে নারীবান্ধব করে তোলার মাধ্যমে নারী-পুরুষ নির্বিশেষে সকলের জন্য সমান সুযোগের সৃষ্টি করা।
প্রস্তাবনাগুলোর মধ্যে আরও রয়েছে, শিক্ষার্থীদের অধিকার আদায়ের প্রশ্নে আপসহীন ছাত্ররাজনীতির প্রতিশ্রুতি দেওয়া। বাংলাদেশের সংগ্রাম ও স্বাধীনতার ইতিহাসকে স্বীকার করে এবং ছাত্রজনতার সংগ্রামী চেতনাকে ভিত্তি করে ছাত্ররাজনীতি সক্রিয় রাখা।
বিগত সরকারের সময় শিক্ষাপরিসরে পরিকল্পিতভাবে যে রাজনৈতিক ক্ষমতায়ন করা হয়েছে এবং শিক্ষার্থী সংসদ কাঠামোকে অকার্যকর করে রাখা হয়েছে তা দূর করা, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোতে শিক্ষার্থী সংসদ কাঠামো পুনর্বহালে সর্বোচ্চ গুরুত্বারোপ করা।
সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক আব্দুল কাদের, হাসিবুল ইসলাম, রাফিয়া রেহনুমা হৃদি প্রমুখ।
জুলাই গণঅভ্যুত্থানে নেতৃত্বদানকারী সংগঠকদের নেতৃত্বে আসছে স্বতন্ত্র ছাত্রসংগঠন। আজই এই সংগঠনের পক্ষে জনমত জরিপ এবং সদস্য সংগ্রহ শুরু হবে। অনলাইন এবং অফলাইনে সদস্য সংগ্রহ চলবে আজ এবং আগামীকাল। জনমতের ভিত্তিতে সংগঠনটির নাম এবং কাঠামো ঠিক করা হবে।
আজ সোমবার বিকেল সাড়ে ৪টায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মধুর ক্যানটিনে এক সংবাদ সম্মেলনে নতুন ছাত্রসংগঠনের বিষয়ে এসব জানান বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সংগঠকেরা।
তাঁরা বলেন, গণঅভ্যুত্থানে নেতৃত্বদানকারী এ সংগঠন হবে স্বতন্ত্র। গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় এই সংগঠনের নেতা নির্বাচিত হবে। অন্য কোনো রাজনৈতিক দল এই সংগঠনের কোনো সিদ্ধান্তকে প্রভাবিত করতে পারবে না।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক আবু বাকের মজুমদার বলেন, ‘যারা জুলাই অভ্যুত্থানের স্পিরিটকে ধারণ করতে চায়, তাঁদের নেতৃত্বেই এই সংগঠন গঠিত হবে। আজ সোমবার এবং আগামীকাল (মঙ্গলবার) নতুন ছাত্রসংগঠনের বিষয়ে জনমত জরিপ ও সদস্য আহ্বান কর্মসূচি চলবে। সোমবার সন্ধ্যার পর থেকে অনলাইনে এবং মঙ্গলবার সকাল ১০টা থেকে বিভিন্ন স্থানে বুথ বসিয়ে এই কার্যক্রম চালানো হবে।’
তিনি আরও বলেন, ‘মঙ্গলবার দেশের সকল সরকারি-বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়, স্কুল, কলেজ, মাদ্রাসায় জনমত জরিপ এবং সদস্য সংগ্রহের এই কার্যক্রম পরিচালিত হবে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসি, কার্জন হল, মোকাররম ভবন, আইন অনুষদ, কলা ভবন, ব্যবসায় শিক্ষা অনুষদসহ বিভিন্ন স্থানে এই কার্যক্রম পরিচালনায় বুথ বসানো হবে।’
আসন্ন নতুন ছাত্রসংগঠনটির বৈশিষ্ট্য বর্ণনা করতে গিয়ে তিনি বলেন, ‘এই সংগঠন কখনো লেজুড়বৃত্তিক ছাত্ররাজনীতি করবে না, এটি স্বতন্ত্র সংগঠন হিসেবে আত্মপ্রকাশ করবে। সংগঠনটির নেতৃত্ব বাছাই হবে গণতান্ত্রিক উপায়ে। সংগঠনটি অর্থনৈতিক কাঠামো পরিচালনায় সদস্যদের থেকে ফি নেওয়া হবে। এই সংগঠনের মূল স্লোগান হবে ‘স্টুডেন্ট ফার্স্ট, বাংলাদেশ ফার্স্ট’।
সমন্বয়ক তাহমিদ আল মুদাসসির চৌধুরী বলেন, ‘সংগঠনটির নাম এবং তারিখ এখনো চূড়ান্ত করা হয়নি। শিক্ষার্থীদের মতামতের ভিত্তিতে সংগঠনটির নাম এবং গঠনতন্ত্র চূড়ান্ত করা হবে। সংগঠনটি শিক্ষাঙ্গনে ছাত্রসংসদের পক্ষে অবস্থান নিবে। বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক ক্যালেন্ডারে ছাত্রসংসদকে অন্তর্ভুক্ত করার এবং তা বাস্তবায়নের পক্ষে কাজ করবে সংগঠনটি।’
রাজনৈতিক ছাত্রসংগঠন জুলাই অভ্যুত্থানের নয় দফার সপ্তম দফার সঙ্গে সাংঘর্ষিক নয় নিশ্চিত করে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের দপ্তর সম্পাদক জাহিদ আহসান বলেন, ‘এই সংগঠন কোনো মাদার পার্টির নিয়ন্ত্রণে থাকবে না। ফলে ৯ দফার সপ্তম দফা অর্থাৎ লেজুড়বৃত্তিক ছাত্ররাজনীতির বিরোধিতার সঙ্গে এটি সাংঘর্ষিক না। আমরা এখনো শিক্ষাঙ্গনে লেজুড়বৃত্তিক ছাত্ররাজনীতির বিপক্ষেই আছি।’
সমন্বয়ক রিফাত রশিদ বলেন, ‘সংগঠনটির উদ্দেশ্য জুলাইয়ের আশা-আকাঙ্ক্ষাকে বাস্তবায়ন করা। এই আদর্শিক পরিসরে থেকে যেই দলই রাজনীতি করবে আমরা তাকে সমর্থন দিয়ে যাব।’
সংগঠনের মৌলিক প্রস্তাবনা
সংবাদ সম্মেলনে গণঅভ্যুত্থানে নেতৃত্বদানকারী আসন্ন ছাত্রসংগঠন নিয়ে বেশ কিছু প্রস্তাবনা পেশ করেন সমন্বয়কেরা। প্রস্তাবনাগুলোর মধ্যে রয়েছে, আদর্শিক বাইনারির সাংস্কৃতিক দ্বন্দ্বের বাইরে গিয়ে মধ্যমপন্থী ছাত্ররাজনীতিকে প্রতিষ্ঠা করা। জাতি, ধর্ম, বর্ণ নির্বিশেষে অন্তর্ভুক্তিমূলক ছাত্ররাজনীতি তৈরি করা, যেখানে পরিচয়ের ভিত্তিতে কাউকে অবমূল্যায়ন করা হবে না। মূলধারার রাজনৈতিক পরিসরে নারীদের যে অনুপস্থিতি রয়েছে সেটিকে বিবেচনায় নিয়ে নারীর রাজনৈতিক মানস বিনির্মাণ করা, রাজনৈতিক চর্চার পরিবেশ তৈরি করা এবং রাজনৈতিক ব্যবস্থাকে নারীবান্ধব করে তোলার মাধ্যমে নারী-পুরুষ নির্বিশেষে সকলের জন্য সমান সুযোগের সৃষ্টি করা।
প্রস্তাবনাগুলোর মধ্যে আরও রয়েছে, শিক্ষার্থীদের অধিকার আদায়ের প্রশ্নে আপসহীন ছাত্ররাজনীতির প্রতিশ্রুতি দেওয়া। বাংলাদেশের সংগ্রাম ও স্বাধীনতার ইতিহাসকে স্বীকার করে এবং ছাত্রজনতার সংগ্রামী চেতনাকে ভিত্তি করে ছাত্ররাজনীতি সক্রিয় রাখা।
বিগত সরকারের সময় শিক্ষাপরিসরে পরিকল্পিতভাবে যে রাজনৈতিক ক্ষমতায়ন করা হয়েছে এবং শিক্ষার্থী সংসদ কাঠামোকে অকার্যকর করে রাখা হয়েছে তা দূর করা, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোতে শিক্ষার্থী সংসদ কাঠামো পুনর্বহালে সর্বোচ্চ গুরুত্বারোপ করা।
সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক আব্দুল কাদের, হাসিবুল ইসলাম, রাফিয়া রেহনুমা হৃদি প্রমুখ।
সংবিধান সংস্কারের বিষয়ে গণভোটের প্রস্তাব জাকের পার্টি করেছে বলে জানিয়েছেন দলটির মহাসচিব শামীম হায়দার। তিনি বলেছেন, বড় বড় জায়গার বিষয়ে গণভোটের মাধ্যমে নির্ধারণ হওয়া উচিত। নির্বাচনে কালো টাকা ও পেশিশক্তির প্রভাব থাকলে তথাকথিত বড় দলগুলোর প্রভাব থাকে। তাহলে নির্বাচন সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ হবে না।
৩ ঘণ্টা আগেফিলিস্তিনিদের আত্মনিয়ন্ত্রণ, নিরাপত্তা ও রাষ্ট্রীয় সার্বভৌমত্ব প্রতিষ্ঠার পথ উন্মুক্ত করতে হবে। পূর্ব জেরুজালেমকে ফিলিস্তিন রাষ্ট্রের রাজধানী হিসেবে আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃতি দিতে হবে। ১৯৬৭ সালের পূর্ববর্তী ভূমি ফিরিয়ে দেওয়ার জন্য বাধ্যবাধকতা তৈরি; গণহত্যা বন্ধে কার্যকর ও সম্মিলিত পদক্ষেপ নিতে হবে।
৪ ঘণ্টা আগেবিশেষ ক্ষমতা আইন বাতিল এবং মেঘনা আলমের মুক্তির দাবি জানিয়েছে গণতান্ত্রিক অধিকার কমিটি। রাষ্ট্রীয় বাহিনীর অপব্যবহার ও বিদেশি কূটনীতিকের প্রভাবে নাগরিক অধিকার ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় উদ্বেগ জানিয়েছে সংগঠনটি।
৬ ঘণ্টা আগেসংবিধান সংস্কার কমিশনের প্রস্তাবে মুক্তিযুদ্ধ ও ২০২৪ সালের গণ-অভ্যুত্থানকে সমান গুরুত্ব দেওয়ার চেষ্টা করা হচ্ছে বলে অভিযোগ করেছে বাংলাদেশ জাসদ। দলটি বলেছে, মুক্তিযুদ্ধকে খাটো করার প্রস্তাব গ্রহণযোগ্য নয়। চব্বিশের গণ-অভ্যুত্থানের ঐতিহাসিক তাৎপর্য রয়েছে, সেই সঙ্গে নব্বইয়ের গণ-অভ্যুত্থানও...
১০ ঘণ্টা আগে