বিশেষ প্রতিনিধি
ঢাকা: সরকার পতনের আন্দোলনকে সামনে রেখে চলছিল হেফাজতের কর্মকাণ্ড।
আজ মঙ্গলবার ঢাকার চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিতে একথা বলেন হেফাজতে ইসলামের কেন্দ্রীয় সহ–অর্থ সম্পাদক মুফতি মোহাম্মদ ইলিয়াস হামিদী।
ঢাকার কেরানীগঞ্জ থানার সন্ত্রাস বিরোধী আইনে করা একটি মামলায় পাঁচ দিনের রিমান্ড শেষে আদালতে হাজির করলে মুফতি ইলিয়াস স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি প্রদান করেন। জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট রাজিব হাসান ফৌজদারি কার্যবিধির ১৬৪ ধারায় মুফতি ইলিয়াসের জবানবন্দি লিপিবদ্ধ করেন।
গত ১৫ এপ্রিল কেরানীগঞ্জের একটি বাড়িতে সরকারবিরোধী সভা করার সময় মুফতি ইলিয়াসকে গ্রেপ্তার করা হয়। ওই দিনই পুলিশ বাদী হয়ে কেরানীগঞ্জ মডেল থানা সন্ত্রাস বিরোধী আইন একটি মামলা করেন। পরদিন ১৬ এপ্রিল তাঁকে আদালতে হাজির করে পাঁচ দিনের রিমান্ডে নেয় পুলিশ। জিজ্ঞাসাবাদে তিনি সরকারবিরোধী সভায় অংশ নেওয়ার কথা স্বীকার করেন ও আদালতে স্বীকারোক্তি দিতে রাজি হন।
বিশেষ সূত্রে জানা গেছে, মুফতি ইলিয়াস জবানবন্দিতে বলেছেন, স্বাধীনতা দিবসের আগে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বাংলাদেশ সফরে আসার বিরোধিতা করা হবে এটা ছিল হেফাজতে ইসলামের পরিকল্পিত কর্মসূচি। এই আন্দোলনকে ঘিরেই হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশ ব্লাসফেমি আইন চালু করার দাবিতে কঠোর কর্মসূচী দিয়ে আন্দোলন শুরু করবে। বড় ধরনের আন্দোলনের অংশ হিসেবে হেফাজত নেতারা বাংলাদেশের বিভিন্ন স্থানে বেশ কিছুদিন যাবৎ ওয়াজ মাহফিলের আয়োজন করে চলছিল।
ওইসব ওয়াজ মাহফিলে শিশু বক্তা রফিকুল ইসলাম মাদানী, হেফাজত নেতা মামুনুল হক, আজিজুল হক ইসলামাবাদী ও অন্যান্য আলেমরা পরিকল্পিতভাবে বিভিন্ন ধরনের উস্কানিমূলক জেহাদী বক্তব্য দিচ্ছিলেন। মুফতি ইলিয়াস নিজেও কোন কোন স্থানে ওয়াজ মাহফিলে বক্তব্য দেন। সেখানে তিনি বলেন নবীজিকে ব্যঙ্গাত্মক করে কেউ কোন কথা বললে তাকে খুন করা জায়েজ আছে।
মুফতি ইলিয়াস আরও বলেন, গত ২৬ মার্চ মোদির বিরুদ্ধে আন্দোলন শুরু হয় বায়তুল মোকাররম ঘিরে। মুফতি ইলিয়াস সেখানে ছিলেন। পুলিশের সঙ্গে ঐদিন ধাওয়া পাল্টা-ধাওয়া হলে সেখানে মাওলানা মামুনুল হক উপস্থিত হন। এক পর্যায়ে তিনি হেফাজত নেতাকর্মীদের নিয়ে বেরিয়ে আসেন। পরে চট্টগ্রামের হাটহাজারীতে মাদ্রাসায় পরবর্তী মিটিংয়ের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
জবানবন্দিতে মুফতি ইলিয়াস বলেন, এপ্রিলের প্রথম সপ্তাহে চট্টগ্রামে হেফাজতের ঊর্ধ্বতন নেতৃবৃন্দ সভায় মিলিত হন। ঢাকা, নারায়ণগঞ্জ, হাটহাজারী, ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় যেসব ঘটনার পর হেফাজতে ইসলাম সরকার পতনের ডাক দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেন। হাটহাজারী মাদ্রাসায় বসে সবাই হেফাজতের আমির আল্লামা বাবুনগরী, মামুনুল হক প্রমুখরা সিদ্ধান্ত নেন শাওয়াল মাসের ১৫ তারিখে সরকার পতনের ডাকে আন্দোলন শুরু করবেন। এজন্য সারাদেশের হেফাজত নেতা-কর্মীদের সংগঠিত করার নির্দেশনা দেন। ওই নির্দেশনার অংশ হিসেবে মুফতি ইলিয়াস কেরানীগঞ্জের নেতাকর্মীদের সংগঠিত করেছিলেন।
সরকার পতনের আন্দোলনে মূল উদ্যোক্তা বাবুনগরী, মামুনুল হক, কাশেমীসহ আরও কয়েকজনের নাম উল্লেখ করেছেন মুফতি ইলিয়াস।
এসময় ইলিয়াস হেফাজতে ইসলামের টাকা যোগানেরও বর্ণনা দিয়েছেন বলে জানা গেছে। স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেওয়ার পর আদালত তাঁকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
ঢাকা: সরকার পতনের আন্দোলনকে সামনে রেখে চলছিল হেফাজতের কর্মকাণ্ড।
আজ মঙ্গলবার ঢাকার চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিতে একথা বলেন হেফাজতে ইসলামের কেন্দ্রীয় সহ–অর্থ সম্পাদক মুফতি মোহাম্মদ ইলিয়াস হামিদী।
ঢাকার কেরানীগঞ্জ থানার সন্ত্রাস বিরোধী আইনে করা একটি মামলায় পাঁচ দিনের রিমান্ড শেষে আদালতে হাজির করলে মুফতি ইলিয়াস স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি প্রদান করেন। জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট রাজিব হাসান ফৌজদারি কার্যবিধির ১৬৪ ধারায় মুফতি ইলিয়াসের জবানবন্দি লিপিবদ্ধ করেন।
গত ১৫ এপ্রিল কেরানীগঞ্জের একটি বাড়িতে সরকারবিরোধী সভা করার সময় মুফতি ইলিয়াসকে গ্রেপ্তার করা হয়। ওই দিনই পুলিশ বাদী হয়ে কেরানীগঞ্জ মডেল থানা সন্ত্রাস বিরোধী আইন একটি মামলা করেন। পরদিন ১৬ এপ্রিল তাঁকে আদালতে হাজির করে পাঁচ দিনের রিমান্ডে নেয় পুলিশ। জিজ্ঞাসাবাদে তিনি সরকারবিরোধী সভায় অংশ নেওয়ার কথা স্বীকার করেন ও আদালতে স্বীকারোক্তি দিতে রাজি হন।
বিশেষ সূত্রে জানা গেছে, মুফতি ইলিয়াস জবানবন্দিতে বলেছেন, স্বাধীনতা দিবসের আগে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বাংলাদেশ সফরে আসার বিরোধিতা করা হবে এটা ছিল হেফাজতে ইসলামের পরিকল্পিত কর্মসূচি। এই আন্দোলনকে ঘিরেই হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশ ব্লাসফেমি আইন চালু করার দাবিতে কঠোর কর্মসূচী দিয়ে আন্দোলন শুরু করবে। বড় ধরনের আন্দোলনের অংশ হিসেবে হেফাজত নেতারা বাংলাদেশের বিভিন্ন স্থানে বেশ কিছুদিন যাবৎ ওয়াজ মাহফিলের আয়োজন করে চলছিল।
ওইসব ওয়াজ মাহফিলে শিশু বক্তা রফিকুল ইসলাম মাদানী, হেফাজত নেতা মামুনুল হক, আজিজুল হক ইসলামাবাদী ও অন্যান্য আলেমরা পরিকল্পিতভাবে বিভিন্ন ধরনের উস্কানিমূলক জেহাদী বক্তব্য দিচ্ছিলেন। মুফতি ইলিয়াস নিজেও কোন কোন স্থানে ওয়াজ মাহফিলে বক্তব্য দেন। সেখানে তিনি বলেন নবীজিকে ব্যঙ্গাত্মক করে কেউ কোন কথা বললে তাকে খুন করা জায়েজ আছে।
মুফতি ইলিয়াস আরও বলেন, গত ২৬ মার্চ মোদির বিরুদ্ধে আন্দোলন শুরু হয় বায়তুল মোকাররম ঘিরে। মুফতি ইলিয়াস সেখানে ছিলেন। পুলিশের সঙ্গে ঐদিন ধাওয়া পাল্টা-ধাওয়া হলে সেখানে মাওলানা মামুনুল হক উপস্থিত হন। এক পর্যায়ে তিনি হেফাজত নেতাকর্মীদের নিয়ে বেরিয়ে আসেন। পরে চট্টগ্রামের হাটহাজারীতে মাদ্রাসায় পরবর্তী মিটিংয়ের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
জবানবন্দিতে মুফতি ইলিয়াস বলেন, এপ্রিলের প্রথম সপ্তাহে চট্টগ্রামে হেফাজতের ঊর্ধ্বতন নেতৃবৃন্দ সভায় মিলিত হন। ঢাকা, নারায়ণগঞ্জ, হাটহাজারী, ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় যেসব ঘটনার পর হেফাজতে ইসলাম সরকার পতনের ডাক দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেন। হাটহাজারী মাদ্রাসায় বসে সবাই হেফাজতের আমির আল্লামা বাবুনগরী, মামুনুল হক প্রমুখরা সিদ্ধান্ত নেন শাওয়াল মাসের ১৫ তারিখে সরকার পতনের ডাকে আন্দোলন শুরু করবেন। এজন্য সারাদেশের হেফাজত নেতা-কর্মীদের সংগঠিত করার নির্দেশনা দেন। ওই নির্দেশনার অংশ হিসেবে মুফতি ইলিয়াস কেরানীগঞ্জের নেতাকর্মীদের সংগঠিত করেছিলেন।
সরকার পতনের আন্দোলনে মূল উদ্যোক্তা বাবুনগরী, মামুনুল হক, কাশেমীসহ আরও কয়েকজনের নাম উল্লেখ করেছেন মুফতি ইলিয়াস।
এসময় ইলিয়াস হেফাজতে ইসলামের টাকা যোগানেরও বর্ণনা দিয়েছেন বলে জানা গেছে। স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেওয়ার পর আদালত তাঁকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিনের অপসারণ চেয়ে তাঁর নিয়োগ দেওয়া নতুন নির্বাচন কমিশন (ইসি) প্রত্যাখ্যান করেছে জাতীয় নাগরিক কমিটি। একই সঙ্গে নির্বাচন ব্যবস্থা সংস্কারের প্রাপ্ত প্রস্তাবের আলোকে নতুন আইনের অধীনে নতুন নির্বাচন কমিশন গঠনের দাবি জানিয়েছেন তারা
২ ঘণ্টা আগেড. কামাল হোসেন আর গণফোরামের সঙ্গে যুক্ত নন এবং তিনি রাজনীতি থেকে অবসর নিয়েছেন—বলে জানিয়েছেন নিজেকে গণফোরামের সভাপতি দাবি করা এবং সাবেক সংসদ সদস্য মফিজুল ইসলাম খান কামাল।
২১ ঘণ্টা আগেনতুন রাজনৈতিক বন্দোবস্ত বলতে তারা কী বোঝাচ্ছে? তাদের এই ধারণা স্পষ্ট করা উচিত। আমি জানতে চাই, তাদের নতুন রাজনৈতিক মীমাংসা আসলে কী? আমি এ বিষয়ে কোথাও কিছু লেখা নথিভুক্ত পাইনি। তাদের প্রস্তাব কী, সেটা স্পষ্ট নয়। আমাদের যে ধরনের রাজনীতি আমরা কল্পনা করি, তা আমাদের সংবিধানে স্পষ্টভাবে নথিভুক্ত।
১ দিন আগেছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে দেশে রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের প্রেক্ষাপটে ঢাকা সেনানিবাসে সশস্ত্র বাহিনী দিবসের অনুষ্ঠানে উপস্থিত হয়েছিলেন বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া। দীর্ঘ এক যুগ পর গুরুত্বপূর্ণ এ দিবসের কর্মসূচিতে তাঁর অংশগ্রহণকে রাজনীতির জন্য ইতিবাচক ঘটনা বলে মনে করছেন বিশ্লেষক ও রাজনৈতিক দলগুলোর নেতারা
১ দিন আগে