নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
তথ্যমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, ‘বিএনপি নেতৃবৃন্দ ইতিহাসকে বিকৃত করছে। স্বাধীনতার পঞ্চাশ বছর পরেও যারা ইতিহাস বিকৃত করছে তাদের বিচার হওয়া প্রয়োজন।’
আজ সোমবার বিকেলে রাজধানীর তেজগাঁও শিল্প এলাকায় দৈনিক আমাদের সময় পত্রিকার ১৮ বছরে পদার্পণ উৎসবে শুভেচ্ছাদান শেষে উপস্থিত সাংবাদিকেরা চট্টগ্রামের কালুরঘাটে রোববার বিএনপির সমাবেশ করতে চাওয়া নিয়ে প্রশ্ন করলে সম্প্রচারমন্ত্রী পাল্টা প্রশ্ন রেখে বলেন ‘কালুরঘাটে কি জন্য, সমাবেশ-ইতিহাস বিকৃত করার জন্য?’
‘পুলিশের ভাষ্যমতে বিএনপি ষোলোশহর সমাবেশ ও ফুল দেওয়ার অনুমতি নিয়েছিল, কালুরঘাটে সমাবেশের অনুমতি নেয়নি’ উল্লেখ করে তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘বিএনপির বেশির ভাগ সমাবেশেই গন্ডগোল হয়, গাড়িঘোড়া ভাঙচুর করে আবার নিজেরাও মারামারি করে। জনগণের জানমালের নিরাপত্তা বিধান পুলিশের দায়িত্ব এবং বিনা অনুমতিতে সমাবেশ করা যায় না।’
ড. হাছান বলেন, ‘জিয়াউর রহমান মুক্তিযুদ্ধের সময় প্রকৃতপক্ষে সোয়াত জাহাজ থেকে অস্ত্র খালাস করতে যাচ্ছিল। মানুষের বাধায় ফেরত এসেছিল। পরবর্তীতে ২৭ মার্চ তাকে দিয়ে বঙ্গবন্ধুর স্বাধীনতা ঘোষণা পাঠ করানো হয়।’
‘আর মুক্তিযুদ্ধে জিয়াউর রহমানের কর্মকাণ্ডে তখনকার পাকিস্তানি কর্নেল পরবর্তীতে যিনি পাকিস্তানের সেনাপ্রধান হয়েছিলেন, তিনি চিঠি লিখেছিলেন যে, তার কর্মকাণ্ডে পাকিস্তানিরা খুশি এবং তাঁর স্ত্রী-পুত্র নিয়ে কোনো চিন্তা না করতে; অর্থাৎ প্রকৃতপক্ষে মুক্তিযোদ্ধার ছদ্মবেশে জিয়াউর রহমান ছিল পাকিস্তানিদের গুপ্তচর’ বলেন তথ্যমন্ত্রী।
এ সময় দ্রব্যমূল্য নিয়ে বামজোটের ডাকা সোমবারের অর্ধদিবস হরতাল নিয়ে প্রশ্নের জবাবে হাছান মাহমুদ বলেন, ‘ঢাকাসহ সারা দেশে বামজোটের হরতালে ঢাকা শহরে যানবাহনের প্রচণ্ড জ্যাম। যারা হরতাল ডেকেছে তাদের লজ্জা হচ্ছে কি না জানি না, তাদের জন্য বরং আমারই লজ্জা লাগছে যে হরতালে জনগণ বিন্দুমাত্র সাড়া দেয়নি। আর জাফরুল্লাহ সাহেবও হরতাল ডেকেছিলেন, তবে হরতাল ডেকে লন্ডন চলে গেছেন।’
মন্ত্রী বলেন, ‘যুদ্ধ ও করোনার কারণে সারা পৃথিবীতে দ্রব্যমূল্য বেড়েছে এবং দেশেও আমদানিনির্ভর কিছু পণ্যের মূল্য বেড়েছে। কিন্তু প্রধানমন্ত্রী এবং তাঁর সরকার স্বল্প আয়ের মানুষের মধ্যে যেভাবে কম মূল্যে পণ্য বিক্রি করার ব্যবস্থা করেছেন, এক কোটি ফ্যামিলি কার্ড দিয়েছেন, তাতে জনগণের মধ্যে স্বস্তি নেমে এসেছে। এবং যে সমস্ত অসাধু ব্যবসায়ীকে বিএনপি ভেতরে-ভেতরে তাল দিয়েছিল, তারাও প্রধানমন্ত্রীর এই উদ্যোগের কারণে তাদের হীন উদ্দেশ্য চরিতার্থ করতে পারেনি।’
‘কিন্তু এই প্রেক্ষাপটে বাম ভাইয়েরা যারা মুক্তিযুদ্ধে পক্ষে বলে তাদেরকে আমি সম্মান জানাই তারা কেন এই হরতালটা ডেকে নিজেদেরকে হাস্যকর করলেন-সেটিই আমার প্রশ্ন’ উল্লেখ করেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান।
অসাধু ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থার প্রশ্নে মন্ত্রী বলেন, ‘ভোগ্যপণ্য পর্যাপ্ত মজুত আছে। বাংলাদেশের ইতিহাসে এখন সবচেয়ে বেশি চাল মজুত আছে এবং সমস্ত ভোগ্যপণ্য রমজানের চাহিদার চেয়ে বেশি মজুত আছে। কেউ যদি অহেতুক দ্রব্যমূল্য বাড়ানোর চেষ্টা করে সরকার ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।’
এর আগে দৈনিক আমাদের সময় পত্রিকার জন্য শুভেচ্ছা বক্তব্যে তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী হাছান মাহমুদ বলেন, ‘দৈনিক আমাদের সময় শুরু থেকেই মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে ধারণ করে ১৭ বছর ধরে সমাজের চিত্র পরিস্ফুটনে বলিষ্ঠ ভূমিকা রেখে চলেছে। আগামীতেও পত্রিকাটি সমাজের বলিষ্ঠ দর্পণ হিসেবেই কাজ করবে, এটিই আমার প্রত্যাশা।’
ইউনিক গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহা. নূর আলী, দৈনিক আমাদের সময় পত্রিকার প্রকাশক এস. এম. বকস কল্লোল, সম্পাদক মোহাম্মদ গোলাম সারওয়ার, সাংবাদিক ও কর্মকর্তা-কর্মচারিবৃন্দকে সঙ্গে নিয়ে এ সময় পত্রিকার প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে কেক কাটেন ড. হাছান মাহমুদ।
তথ্যমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, ‘বিএনপি নেতৃবৃন্দ ইতিহাসকে বিকৃত করছে। স্বাধীনতার পঞ্চাশ বছর পরেও যারা ইতিহাস বিকৃত করছে তাদের বিচার হওয়া প্রয়োজন।’
আজ সোমবার বিকেলে রাজধানীর তেজগাঁও শিল্প এলাকায় দৈনিক আমাদের সময় পত্রিকার ১৮ বছরে পদার্পণ উৎসবে শুভেচ্ছাদান শেষে উপস্থিত সাংবাদিকেরা চট্টগ্রামের কালুরঘাটে রোববার বিএনপির সমাবেশ করতে চাওয়া নিয়ে প্রশ্ন করলে সম্প্রচারমন্ত্রী পাল্টা প্রশ্ন রেখে বলেন ‘কালুরঘাটে কি জন্য, সমাবেশ-ইতিহাস বিকৃত করার জন্য?’
‘পুলিশের ভাষ্যমতে বিএনপি ষোলোশহর সমাবেশ ও ফুল দেওয়ার অনুমতি নিয়েছিল, কালুরঘাটে সমাবেশের অনুমতি নেয়নি’ উল্লেখ করে তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘বিএনপির বেশির ভাগ সমাবেশেই গন্ডগোল হয়, গাড়িঘোড়া ভাঙচুর করে আবার নিজেরাও মারামারি করে। জনগণের জানমালের নিরাপত্তা বিধান পুলিশের দায়িত্ব এবং বিনা অনুমতিতে সমাবেশ করা যায় না।’
ড. হাছান বলেন, ‘জিয়াউর রহমান মুক্তিযুদ্ধের সময় প্রকৃতপক্ষে সোয়াত জাহাজ থেকে অস্ত্র খালাস করতে যাচ্ছিল। মানুষের বাধায় ফেরত এসেছিল। পরবর্তীতে ২৭ মার্চ তাকে দিয়ে বঙ্গবন্ধুর স্বাধীনতা ঘোষণা পাঠ করানো হয়।’
‘আর মুক্তিযুদ্ধে জিয়াউর রহমানের কর্মকাণ্ডে তখনকার পাকিস্তানি কর্নেল পরবর্তীতে যিনি পাকিস্তানের সেনাপ্রধান হয়েছিলেন, তিনি চিঠি লিখেছিলেন যে, তার কর্মকাণ্ডে পাকিস্তানিরা খুশি এবং তাঁর স্ত্রী-পুত্র নিয়ে কোনো চিন্তা না করতে; অর্থাৎ প্রকৃতপক্ষে মুক্তিযোদ্ধার ছদ্মবেশে জিয়াউর রহমান ছিল পাকিস্তানিদের গুপ্তচর’ বলেন তথ্যমন্ত্রী।
এ সময় দ্রব্যমূল্য নিয়ে বামজোটের ডাকা সোমবারের অর্ধদিবস হরতাল নিয়ে প্রশ্নের জবাবে হাছান মাহমুদ বলেন, ‘ঢাকাসহ সারা দেশে বামজোটের হরতালে ঢাকা শহরে যানবাহনের প্রচণ্ড জ্যাম। যারা হরতাল ডেকেছে তাদের লজ্জা হচ্ছে কি না জানি না, তাদের জন্য বরং আমারই লজ্জা লাগছে যে হরতালে জনগণ বিন্দুমাত্র সাড়া দেয়নি। আর জাফরুল্লাহ সাহেবও হরতাল ডেকেছিলেন, তবে হরতাল ডেকে লন্ডন চলে গেছেন।’
মন্ত্রী বলেন, ‘যুদ্ধ ও করোনার কারণে সারা পৃথিবীতে দ্রব্যমূল্য বেড়েছে এবং দেশেও আমদানিনির্ভর কিছু পণ্যের মূল্য বেড়েছে। কিন্তু প্রধানমন্ত্রী এবং তাঁর সরকার স্বল্প আয়ের মানুষের মধ্যে যেভাবে কম মূল্যে পণ্য বিক্রি করার ব্যবস্থা করেছেন, এক কোটি ফ্যামিলি কার্ড দিয়েছেন, তাতে জনগণের মধ্যে স্বস্তি নেমে এসেছে। এবং যে সমস্ত অসাধু ব্যবসায়ীকে বিএনপি ভেতরে-ভেতরে তাল দিয়েছিল, তারাও প্রধানমন্ত্রীর এই উদ্যোগের কারণে তাদের হীন উদ্দেশ্য চরিতার্থ করতে পারেনি।’
‘কিন্তু এই প্রেক্ষাপটে বাম ভাইয়েরা যারা মুক্তিযুদ্ধে পক্ষে বলে তাদেরকে আমি সম্মান জানাই তারা কেন এই হরতালটা ডেকে নিজেদেরকে হাস্যকর করলেন-সেটিই আমার প্রশ্ন’ উল্লেখ করেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান।
অসাধু ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থার প্রশ্নে মন্ত্রী বলেন, ‘ভোগ্যপণ্য পর্যাপ্ত মজুত আছে। বাংলাদেশের ইতিহাসে এখন সবচেয়ে বেশি চাল মজুত আছে এবং সমস্ত ভোগ্যপণ্য রমজানের চাহিদার চেয়ে বেশি মজুত আছে। কেউ যদি অহেতুক দ্রব্যমূল্য বাড়ানোর চেষ্টা করে সরকার ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।’
এর আগে দৈনিক আমাদের সময় পত্রিকার জন্য শুভেচ্ছা বক্তব্যে তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী হাছান মাহমুদ বলেন, ‘দৈনিক আমাদের সময় শুরু থেকেই মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে ধারণ করে ১৭ বছর ধরে সমাজের চিত্র পরিস্ফুটনে বলিষ্ঠ ভূমিকা রেখে চলেছে। আগামীতেও পত্রিকাটি সমাজের বলিষ্ঠ দর্পণ হিসেবেই কাজ করবে, এটিই আমার প্রত্যাশা।’
ইউনিক গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহা. নূর আলী, দৈনিক আমাদের সময় পত্রিকার প্রকাশক এস. এম. বকস কল্লোল, সম্পাদক মোহাম্মদ গোলাম সারওয়ার, সাংবাদিক ও কর্মকর্তা-কর্মচারিবৃন্দকে সঙ্গে নিয়ে এ সময় পত্রিকার প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে কেক কাটেন ড. হাছান মাহমুদ।
নতুন নির্বাচন কমিশনের দায়িত্ব গ্রহণকে স্বাগত জানিয়েছে বিএনপি। জনগণের প্রত্যাশা পূরণে নতুন কমিশন কাজ করবে বলেও আশা প্রকাশ করেছে দলটি
২ ঘণ্টা আগেরাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিনের অপসারণ চেয়ে তাঁর নিয়োগ দেওয়া নতুন নির্বাচন কমিশন (ইসি) প্রত্যাখ্যান করেছে জাতীয় নাগরিক কমিটি। একই সঙ্গে নির্বাচন ব্যবস্থা সংস্কারের প্রাপ্ত প্রস্তাবের আলোকে নতুন আইনের অধীনে নতুন নির্বাচন কমিশন গঠনের দাবি জানিয়েছেন তারা
৪ ঘণ্টা আগেড. কামাল হোসেন আর গণফোরামের সঙ্গে যুক্ত নন এবং তিনি রাজনীতি থেকে অবসর নিয়েছেন—বলে জানিয়েছেন নিজেকে গণফোরামের সভাপতি দাবি করা এবং সাবেক সংসদ সদস্য মফিজুল ইসলাম খান কামাল।
১ দিন আগেনতুন রাজনৈতিক বন্দোবস্ত বলতে তারা কী বোঝাচ্ছে? তাদের এই ধারণা স্পষ্ট করা উচিত। আমি জানতে চাই, তাদের নতুন রাজনৈতিক মীমাংসা আসলে কী? আমি এ বিষয়ে কোথাও কিছু লেখা নথিভুক্ত পাইনি। তাদের প্রস্তাব কী, সেটা স্পষ্ট নয়। আমাদের যে ধরনের রাজনীতি আমরা কল্পনা করি, তা আমাদের সংবিধানে স্পষ্টভাবে নথিভুক্ত।
১ দিন আগে