নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, ‘জ্বালানি তেলে মূল্য নিয়ে নানা কথা বলা হচ্ছে। ৮ হাজার কোটিরও বেশি টাকা বাংলাদেশ ভর্তুকি দিয়েছে। আর কতো ভর্তুকি?’ তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, আন্তর্জাতিক বাজারে জ্বালানি মূল্য কমলে আমরাও এখানে সমন্বয় করব। এটা বলার পরও আজকে বিএনপিসহ তাদের দোসররা মাঠে নেমেছে এবং সরকারের বিরুদ্ধে প্রতিনিয়ত মিথ্যাচার করছে, বিষোদগার করছে। তারপরও আমাদের নেত্রী বলেছে, আপনারা একটু ধৈর্য ধরুন। আমার তো মনে হয় এই সংকট থেকে তিনি মুক্তি দিতে পারবেন। সেই আত্মবিশ্বাস আমাদের নেত্রীর রয়েছে।
আজ বৃহস্পতিবার রাজধানীর বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউতে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে দলের এক জরুরি সভায় সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন ওবায়দুল কাদের।
জ্বালানি তেলের দাম বাড়ায় জোটের শরিকদের আন্দোলনকে কীভাবে দেখছে আওয়ামী লীগ এমন প্রশ্নের জবাবে কাদের বলেন, ‘জোটের শরিকদের দলগতভাবে কর্মসূচি দেওয়ার অধিকার আছে। তারা করতে চাইলে করবে। এটা তো কোনো কথা না।’
ক্ষমতাসীন দলটির সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন ১৪ দলীয় জোটকে নির্বাচনী জোট। এই জোট তাদের নির্বাচনী অ্যালায়েন্স, কৌশলগত জোট। এখানে আদর্শের কোনো বিষয় নেই। তাহলে জাতীয় পার্টির সঙ্গে আমরা কেন জোট করেছি? এসব ব্যাপারতো ভাবতে হবে।’
জ্বালানি তেলের দাম বাড়ার বিষয়ে দলীয় ফোরামে আলোচনা হয়েছে কীনা এমন প্রশ্নের জবাবে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘এটা সরকারের ব্যাপার। এটা দলীয় মিটিংয়ে আলোচনা হয়ে করে না। সরকারিভাবে এটা সিদ্ধান্ত হয় এবং এখানে বিদ্যুৎ মন্ত্রণালয়ের প্রধান কিন্তু প্রধানমন্ত্রী।’
ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘সারা দুনিয়ার পরিস্থিতি বাংলাদেশের সম্ভাব্য প্রতিক্রিয়া সবকিছু জেনেশুনে এটা করা হয়েছে...আমরা আগে বলেছি এটা আমরা বাধ্য হয়ে নিরুপায় হয়ে করেছি। মানুষকে আমরা কষ্ট দিতে চায়নি। কিন্তু আমাদের সামনে অন্য কোনো বা বিকল্প কোনো পথ ছিল না। এটা প্রধানমন্ত্রী বলেছে বিশ্ববাজারে তেলের দাম কমলে ঠিক তখনেই আমরা তেলের দাম কমাবো। দেশে চারবার আমরা দাম কমিয়েছি। এই উদাহরণ নেই।
কাদের বলেন, ‘আজকে বিশ্ব পরিস্থিতির কারণে এই পরিস্থিতি হয়েছে। যখন স্বাভাবিক সময় আসবে তখন আমাদের প্রমিজ থেকে পিছিয়ে যাব না।’
তিনি বলেন, আজকের সংকট সাময়িক। এই সংকট কেটে যাবে। এবং এই সংকট উত্তরণের জন্য সবকিছুই প্রধানমন্ত্রী করে যাচ্ছেন।
আওয়ামী লীগ রাজপথ থেকে ক্ষমতায় এসেছে উল্লেখ করে ওবায়দুল কাদের বলেন, তারা (বিএনপি ও সমমনা দলগুলো) যেভাবে হুমকি-ধমকি দিচ্ছে, রাজপথ মনে আমরা ভুলে গেছি। আমরাও আছি। অচিরেই রাজপথে দেখতে পাবেন। শোকের মাসে হয়তো আমরা কিছু কিছু প্রোগ্রাম করছি না।
আমরা চিন্তা করছি অপপ্রচার, মিথ্যাচার, সাম্প্রদায়িকতার বিরুদ্ধে জনগণকে বিভ্রান্ত করা হচ্ছে। আমাদেরও প্রতিবাদ করতে হবে। জনগণকে সচেতন করতে হবে। সেই জন্য আমরা আগামী ১৭ আগস্ট সিরিজ বোমা হামলা দিবসে আমরা সবাই ঐক্যবদ্ধভাবে একটা বিক্ষোভ সমাবেশ আমরা করতে চাই। আগামী বুধবার বিকেল চারটায় রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন চত্বরে সবাই মিলিত হব। কিছুক্ষণ সমাবেশ করার পর আমরা মিছিল সহকারে বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউ পর্যন্ত আসব। এই কর্মসূচি জেলা, উপজেলা, থানা ও ইউনিয়নে পালন করা হবে।
এ সময় নেতা কর্মীদের উদ্দেশ্যে ওবায়দুল কাদের বলেন, সবাই প্রস্তুত আছেন? আছেন মাঠে? খেলা হবে, মোকাবিলা হবে, যার যা কিছু ফ্রি-স্টাইল বাংলাদেশে হতে দেব না আমরা।
জ্বালানি তেলের দাম বৃদ্ধির প্রতিবাদে বিরোধী কর্মসূচি প্রসঙ্গে জানতে চাইলে ওবায়দুল কাদের বলেন, এটাতো গণতন্ত্রের বিষয়। আমরা তাদের বাধা দেব কেন? তারা যদি এই আন্দোলনের সঙ্গে সহিংসতার উপাদান যুক্ত করে। আগুন সন্ত্রাস নিয়ে মাঠে নামলে আমরা নীরব হয়ে ববে থাকব? ঘরে বসে থাকব? আওয়ামী লীগের নেতা কর্মীরা কি আঙুল চুষবে? প্রতিরোধ করতে হবে। প্রতিবাদ করতে হবে। রাজপথে মোকাবিলা হবে।
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, ‘জ্বালানি তেলে মূল্য নিয়ে নানা কথা বলা হচ্ছে। ৮ হাজার কোটিরও বেশি টাকা বাংলাদেশ ভর্তুকি দিয়েছে। আর কতো ভর্তুকি?’ তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, আন্তর্জাতিক বাজারে জ্বালানি মূল্য কমলে আমরাও এখানে সমন্বয় করব। এটা বলার পরও আজকে বিএনপিসহ তাদের দোসররা মাঠে নেমেছে এবং সরকারের বিরুদ্ধে প্রতিনিয়ত মিথ্যাচার করছে, বিষোদগার করছে। তারপরও আমাদের নেত্রী বলেছে, আপনারা একটু ধৈর্য ধরুন। আমার তো মনে হয় এই সংকট থেকে তিনি মুক্তি দিতে পারবেন। সেই আত্মবিশ্বাস আমাদের নেত্রীর রয়েছে।
আজ বৃহস্পতিবার রাজধানীর বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউতে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে দলের এক জরুরি সভায় সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন ওবায়দুল কাদের।
জ্বালানি তেলের দাম বাড়ায় জোটের শরিকদের আন্দোলনকে কীভাবে দেখছে আওয়ামী লীগ এমন প্রশ্নের জবাবে কাদের বলেন, ‘জোটের শরিকদের দলগতভাবে কর্মসূচি দেওয়ার অধিকার আছে। তারা করতে চাইলে করবে। এটা তো কোনো কথা না।’
ক্ষমতাসীন দলটির সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন ১৪ দলীয় জোটকে নির্বাচনী জোট। এই জোট তাদের নির্বাচনী অ্যালায়েন্স, কৌশলগত জোট। এখানে আদর্শের কোনো বিষয় নেই। তাহলে জাতীয় পার্টির সঙ্গে আমরা কেন জোট করেছি? এসব ব্যাপারতো ভাবতে হবে।’
জ্বালানি তেলের দাম বাড়ার বিষয়ে দলীয় ফোরামে আলোচনা হয়েছে কীনা এমন প্রশ্নের জবাবে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘এটা সরকারের ব্যাপার। এটা দলীয় মিটিংয়ে আলোচনা হয়ে করে না। সরকারিভাবে এটা সিদ্ধান্ত হয় এবং এখানে বিদ্যুৎ মন্ত্রণালয়ের প্রধান কিন্তু প্রধানমন্ত্রী।’
ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘সারা দুনিয়ার পরিস্থিতি বাংলাদেশের সম্ভাব্য প্রতিক্রিয়া সবকিছু জেনেশুনে এটা করা হয়েছে...আমরা আগে বলেছি এটা আমরা বাধ্য হয়ে নিরুপায় হয়ে করেছি। মানুষকে আমরা কষ্ট দিতে চায়নি। কিন্তু আমাদের সামনে অন্য কোনো বা বিকল্প কোনো পথ ছিল না। এটা প্রধানমন্ত্রী বলেছে বিশ্ববাজারে তেলের দাম কমলে ঠিক তখনেই আমরা তেলের দাম কমাবো। দেশে চারবার আমরা দাম কমিয়েছি। এই উদাহরণ নেই।
কাদের বলেন, ‘আজকে বিশ্ব পরিস্থিতির কারণে এই পরিস্থিতি হয়েছে। যখন স্বাভাবিক সময় আসবে তখন আমাদের প্রমিজ থেকে পিছিয়ে যাব না।’
তিনি বলেন, আজকের সংকট সাময়িক। এই সংকট কেটে যাবে। এবং এই সংকট উত্তরণের জন্য সবকিছুই প্রধানমন্ত্রী করে যাচ্ছেন।
আওয়ামী লীগ রাজপথ থেকে ক্ষমতায় এসেছে উল্লেখ করে ওবায়দুল কাদের বলেন, তারা (বিএনপি ও সমমনা দলগুলো) যেভাবে হুমকি-ধমকি দিচ্ছে, রাজপথ মনে আমরা ভুলে গেছি। আমরাও আছি। অচিরেই রাজপথে দেখতে পাবেন। শোকের মাসে হয়তো আমরা কিছু কিছু প্রোগ্রাম করছি না।
আমরা চিন্তা করছি অপপ্রচার, মিথ্যাচার, সাম্প্রদায়িকতার বিরুদ্ধে জনগণকে বিভ্রান্ত করা হচ্ছে। আমাদেরও প্রতিবাদ করতে হবে। জনগণকে সচেতন করতে হবে। সেই জন্য আমরা আগামী ১৭ আগস্ট সিরিজ বোমা হামলা দিবসে আমরা সবাই ঐক্যবদ্ধভাবে একটা বিক্ষোভ সমাবেশ আমরা করতে চাই। আগামী বুধবার বিকেল চারটায় রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন চত্বরে সবাই মিলিত হব। কিছুক্ষণ সমাবেশ করার পর আমরা মিছিল সহকারে বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউ পর্যন্ত আসব। এই কর্মসূচি জেলা, উপজেলা, থানা ও ইউনিয়নে পালন করা হবে।
এ সময় নেতা কর্মীদের উদ্দেশ্যে ওবায়দুল কাদের বলেন, সবাই প্রস্তুত আছেন? আছেন মাঠে? খেলা হবে, মোকাবিলা হবে, যার যা কিছু ফ্রি-স্টাইল বাংলাদেশে হতে দেব না আমরা।
জ্বালানি তেলের দাম বৃদ্ধির প্রতিবাদে বিরোধী কর্মসূচি প্রসঙ্গে জানতে চাইলে ওবায়দুল কাদের বলেন, এটাতো গণতন্ত্রের বিষয়। আমরা তাদের বাধা দেব কেন? তারা যদি এই আন্দোলনের সঙ্গে সহিংসতার উপাদান যুক্ত করে। আগুন সন্ত্রাস নিয়ে মাঠে নামলে আমরা নীরব হয়ে ববে থাকব? ঘরে বসে থাকব? আওয়ামী লীগের নেতা কর্মীরা কি আঙুল চুষবে? প্রতিরোধ করতে হবে। প্রতিবাদ করতে হবে। রাজপথে মোকাবিলা হবে।
নতুন নির্বাচন কমিশনের দায়িত্ব গ্রহণকে স্বাগত জানিয়েছে বিএনপি। জনগণের প্রত্যাশা পূরণে নতুন কমিশন কাজ করবে বলেও আশা প্রকাশ করেছে দলটি
৯ ঘণ্টা আগেরাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিনের অপসারণ চেয়ে তাঁর নিয়োগ দেওয়া নতুন নির্বাচন কমিশন (ইসি) প্রত্যাখ্যান করেছে জাতীয় নাগরিক কমিটি। একই সঙ্গে নির্বাচন ব্যবস্থা সংস্কারের প্রাপ্ত প্রস্তাবের আলোকে নতুন আইনের অধীনে নতুন নির্বাচন কমিশন গঠনের দাবি জানিয়েছেন তারা
১১ ঘণ্টা আগেড. কামাল হোসেন আর গণফোরামের সঙ্গে যুক্ত নন এবং তিনি রাজনীতি থেকে অবসর নিয়েছেন—বলে জানিয়েছেন নিজেকে গণফোরামের সভাপতি দাবি করা এবং সাবেক সংসদ সদস্য মফিজুল ইসলাম খান কামাল।
১ দিন আগেনতুন রাজনৈতিক বন্দোবস্ত বলতে তারা কী বোঝাচ্ছে? তাদের এই ধারণা স্পষ্ট করা উচিত। আমি জানতে চাই, তাদের নতুন রাজনৈতিক মীমাংসা আসলে কী? আমি এ বিষয়ে কোথাও কিছু লেখা নথিভুক্ত পাইনি। তাদের প্রস্তাব কী, সেটা স্পষ্ট নয়। আমাদের যে ধরনের রাজনীতি আমরা কল্পনা করি, তা আমাদের সংবিধানে স্পষ্টভাবে নথিভুক্ত।
২ দিন আগে