নিজস্ব প্রতিবেদক, খুলনা
চট্টগ্রাম, ময়মনসিংহের মতো খুলনার গণসমাবেশ থেকেও সরকারের পদত্যাগ এবং নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচন অনুষ্ঠানের দাবি জানিয়েছে বিএনপি। আর তা হলে, জনগণের দুর্বার আন্দোলনের মাধ্যমে শেখ হাসিনার সরকারকে পদত্যাগে বাধ্য করা হবে বলে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর হুঁশিয়ারি দিয়েছেন।
বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল বলেন, ‘এই স্বৈরাচারী সরকারকে হটাতে বাংলাদেশের মানুষ আজ জেগে উঠেছে। শত ভয়ভীতি, বাধা-বিপত্তি এবং হামলা-মামলায় আর জনগণ ভয় পায় না। তারই প্রমাণ খুলনার এই বিশাল গণসমাবেশ। এই গণসমাবেশের যে দাবি, তা মেনে নিয়ে সরকারকে স্বেচ্ছায়, মানে মানে কেটে পড়া উচিত। অন্যথায় এই অবৈধ সরকারকে কীভাবে নামাতে হয় তা জনগণের আন্দোলনই ঠিক করে দেবে।’
বিএনপির বিভাগীয় পর্যায়ে চলমান আন্দোলন কর্মসূচির অংশ হিসেবে আজ শনিবার বিকেলে খুলনা নগরীর সোনালী ব্যাংক চত্বরের যশোর মহাসড়কে গণসমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন ফখরুল।
মির্জা ফখরুল বলেন, ‘রক্ত দিচ্ছেন, তা আমাদের অধিকার আদায়ের জন্য, গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার করার জন্য। আমরা স্বাধীনতা যুদ্ধ করেছিলাম, গণতন্ত্র ও মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠা, অর্থনৈতিক মুক্তির জন্য। কিন্তু শেখ হাসিনার সরকার আমাদের সে অধিকার ও গণতন্ত্র নস্যাৎ করেছে। দেশকে আজ নরকে পরিণত করেছে। অর্থনৈতিক ব্যবস্থা ধ্বংস করেছে। তারা জনগণের ভোট চুরি করে ক্ষমতায় গেছে। মধ্য রাতে ভোট ডাকাতি করে অবৈধভাবে ক্ষমতা দখল করে আছে। গণতন্ত্র নস্যাৎ করেছে, আমাদের সকল অর্জন ধ্বংস করেছে। আবার ২০২৩ সালে নির্বাচন আসছে। সে নির্বাচনে জয়লাভ করার জন্য ষড়যন্ত্র শুরু করেছে।’
আওয়ামী লীগের অধীনে সুষ্ঠু নির্বাচন কোনোভাবেই সম্ভব নয় মন্তব্য করে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘আওয়ামী লীগ কখনো গণতন্ত্রে বিশ্বাস করে না। তারা গণতন্ত্র নষ্ট করে দিয়েছে। এই সরকার দেশের ভোট ব্যবস্থাকেও ধ্বংস করে দিয়েছে। এ থেকে প্রমাণিত হয়, দলীয় সরকারের অধীনে কখনো সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব নয়। তাই এই সরকারকে হটিয়ে নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচন করতে বাধ্য করা হবে।’
ফখরুল বলেন, ‘বর্তমানে যে নির্বাচন কমিশন গঠন করা হয়েছে, তা শেখ হাসিনার তৈরি করা নির্বাচন কমিশন। বর্তমান নির্বাচন কমিশন একটা নিরপেক্ষ হাব-ভাব দেখিয়ে তার প্রমাণ করতে চাইছেন, তারা স্বাধীন। নির্বাচন কমিশনের কথা ডিসি, এসপিরা শোনে না। এই নির্বাচন কমিশন দিয়ে কোনো কাজ হবে না। এই জন্য এই নির্বাচন কমিশন নিয়ে আমরা কোনো কথা বলছি না। শেখ হাসিনা সরকারের পদত্যাগ এবং তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচন হতে হবে। এই লক্ষ্যেই আমরা আন্দোলন করছি।’
বিভিন্ন দুর্নীতি ও লোডশেডিংয়ের কথা তুলে ধরে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘এই সরকার মেগা প্রকল্পের নামে মেগা দুর্নীতি করেছে, শেয়ার বাজারে হাজার হাজার কোটি টাকা লুটপাট করেছে। বিদ্যুৎ সেক্টরে হাজার হাজার কোটি টাকা লুটে নিয়ে আজ বিদ্যুৎ দিতে পারছে না। বিদ্যুতের উন্নয়নের নামে দিনে ৫ / ৬ বার লোডশেডিং করা হচ্ছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘১৯৭৪ সালে আওয়ামী লীগের দুঃশাসনে দেশে দুর্ভিক্ষ হয়েছিল। ইদানীং শেখ হাসিনা দেশে দুর্ভিক্ষের পদধ্বনির কথা বলছেন। কিন্তু কিছুদিন আগে তিনি বলেছিলেন, বাংলাদেশে খাদ্য সংকট হবে না। শেখ হাসিনা ক্ষমতায় আসার আগে বলেছিল, তারা ১০ টাকা কেজি দরে চল খাওয়াবে। সেই চালের দাম এখন ৯০ টাকা হয়েছে। তারা বলেছিল, ঘরে ঘরে চাকরি দেবে। এখন চাকরি পেতে হলে আওয়ামী লীগের লোকজন ২০ লাখ টাকা ঘুষ নেয়। এরা মিথ্যা প্রচার করে, জনগণের সঙ্গে প্রতারণা করে। দেশে প্রতিটি জিনিসের দাম বাড়িয়েছে। তারা উন্নয়নের নামে হাজার হাজার কোটি টাকা চুরি করে, লুট করে বিদেশে টাকা পাচার করেছে। আর আমরা জনগণ কষ্টে আছি। বর্গিরা এসে আমাদের সবকিছু লুট করে নিয়ে যাচ্ছে। এরা বর্গি।’
বিএনপির মহাসচিব অভিযোগ করে বলেন, ‘আমরা শান্তিপূর্ণভাবে সমাবেশ করতে চেয়েছিলাম। কিন্তু আমাদের সমাবেশ পণ্ড করতে ক্ষমতাসীন দলের পেটোয়া বাহিনী এবং পুলিশ আমাদের নেতা-কর্মীদের ওপর বিভিন্ন জায়গায় ধরপাকড়, গ্রেপ্তার ও হামলা করে আহত করেছে। এর বিচার একদিন হবেই। আমরা তো শান্তিপূর্ণ আন্দোলন করছি, আপনারাই সহিংসতা ছড়াচ্ছেন। আমাদের সমাবেশ পণ্ড করতে আপনারা পরিবহন ধর্মঘট ডেকেছেন। আপনারাই সন্ত্রাস করেন।’
সমাবেশে আরও বক্তৃতা করেন, দলের স্থায়ী কমিটির অন্যতম সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, বাবা গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, ড. আব্দুল মঈন খান, ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু, কেন্দ্রীয় নেতা শহিদ উদ্দিন এ্যানি, নিতাই চন্দ্র রায় ও আব্দুল আউয়াল মিন্টু।
বিএনপির গণসমাবেশে খুলনা, যশোর, কুষ্টিয়া, ঝিনাইদহ, চুয়াডাঙ্গা, মেহেরপুর, মাগুরা, নড়াইল, সাতক্ষীরা ও বাগেরহাট জেলার নেতা-কর্মীরা অংশ নেন।
শনিবার বেলা দেড়টার দিকে খুলনা নগর বিএনপির আহ্বায়ক শফিকুল আলম মনার সভাপতিত্বে আনুষ্ঠানিকভাবে গণসমাবেশের কার্যক্রম শুরু হলেও এর আগে থেকেই স্থানীয় নেতারা সমাবেশে বক্তব্য দেওয়া শুরু করেন।
এদিকে পরিবহন বন্ধ থাকায় সমাবেশে আসতে নানা বাধা ও ভোগান্তি সহ্য করতে হয়েছে বলে জানান বিএনপির নেতা-কর্মীরা। অনেকে হেঁটে এবং ব্যক্তিগত গাড়ি ও নৌপথে এসেছেন। পথে ক্ষমতাসীন দলের লোকজন সমাবেশে আসতে বাধা দিয়েছেন বলে অভিযোগ করেন তাঁরা।
খুলনা নগর বিএনপির আহ্বায়ক শফিকুল আলম মনা বলেন, ‘গত (শুক্রবার) রাত থেকে আওয়ামী সন্ত্রাসীরা ভয়ভীতি দেখালেও মানুষ ভীত নয়। গণপরিবহন বন্ধ থাকার পরও মানুষের উপস্থিতি প্রমাণ করে, এ সরকারকে মানুষ আর দেখতে চায় না।’
এসব অভিযোগের বিষয় খুলনা নগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এমডিএ বাবুল রানা আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘বিএনপির কর্মসূচিতে আমাদের বাধা দেওয়ার কিছু নেই। অপ্রীতিকর ঘটনা যাতে না ঘটে, সে জন্য আমাদের নেতা-কর্মীরা রাজপথে ছিল। তাদের বাধা দেওয়ার বা সংঘর্ষের খবর আমাদের কাছে নেই। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ও আওয়ামী লীগ নেতা-কর্মীর তাদের বাধা দেয়নি।’
যানবাহন বন্ধ করে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করা হয়েছে কি না জানতে চাইলে বাবুল রানা বলেন, ‘এটা পরিবহনমালিক-শ্রমিকদের বিষয়। আওয়ামী লীগের সঙ্গে এর কোনো সম্পর্ক নেই। তারা কী কারণে বন্ধ করেছেন, সেটা তারাই ভালো বলতে পারবেন।’
আরও পড়ুন:
চট্টগ্রাম, ময়মনসিংহের মতো খুলনার গণসমাবেশ থেকেও সরকারের পদত্যাগ এবং নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচন অনুষ্ঠানের দাবি জানিয়েছে বিএনপি। আর তা হলে, জনগণের দুর্বার আন্দোলনের মাধ্যমে শেখ হাসিনার সরকারকে পদত্যাগে বাধ্য করা হবে বলে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর হুঁশিয়ারি দিয়েছেন।
বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল বলেন, ‘এই স্বৈরাচারী সরকারকে হটাতে বাংলাদেশের মানুষ আজ জেগে উঠেছে। শত ভয়ভীতি, বাধা-বিপত্তি এবং হামলা-মামলায় আর জনগণ ভয় পায় না। তারই প্রমাণ খুলনার এই বিশাল গণসমাবেশ। এই গণসমাবেশের যে দাবি, তা মেনে নিয়ে সরকারকে স্বেচ্ছায়, মানে মানে কেটে পড়া উচিত। অন্যথায় এই অবৈধ সরকারকে কীভাবে নামাতে হয় তা জনগণের আন্দোলনই ঠিক করে দেবে।’
বিএনপির বিভাগীয় পর্যায়ে চলমান আন্দোলন কর্মসূচির অংশ হিসেবে আজ শনিবার বিকেলে খুলনা নগরীর সোনালী ব্যাংক চত্বরের যশোর মহাসড়কে গণসমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন ফখরুল।
মির্জা ফখরুল বলেন, ‘রক্ত দিচ্ছেন, তা আমাদের অধিকার আদায়ের জন্য, গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার করার জন্য। আমরা স্বাধীনতা যুদ্ধ করেছিলাম, গণতন্ত্র ও মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠা, অর্থনৈতিক মুক্তির জন্য। কিন্তু শেখ হাসিনার সরকার আমাদের সে অধিকার ও গণতন্ত্র নস্যাৎ করেছে। দেশকে আজ নরকে পরিণত করেছে। অর্থনৈতিক ব্যবস্থা ধ্বংস করেছে। তারা জনগণের ভোট চুরি করে ক্ষমতায় গেছে। মধ্য রাতে ভোট ডাকাতি করে অবৈধভাবে ক্ষমতা দখল করে আছে। গণতন্ত্র নস্যাৎ করেছে, আমাদের সকল অর্জন ধ্বংস করেছে। আবার ২০২৩ সালে নির্বাচন আসছে। সে নির্বাচনে জয়লাভ করার জন্য ষড়যন্ত্র শুরু করেছে।’
আওয়ামী লীগের অধীনে সুষ্ঠু নির্বাচন কোনোভাবেই সম্ভব নয় মন্তব্য করে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘আওয়ামী লীগ কখনো গণতন্ত্রে বিশ্বাস করে না। তারা গণতন্ত্র নষ্ট করে দিয়েছে। এই সরকার দেশের ভোট ব্যবস্থাকেও ধ্বংস করে দিয়েছে। এ থেকে প্রমাণিত হয়, দলীয় সরকারের অধীনে কখনো সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব নয়। তাই এই সরকারকে হটিয়ে নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচন করতে বাধ্য করা হবে।’
ফখরুল বলেন, ‘বর্তমানে যে নির্বাচন কমিশন গঠন করা হয়েছে, তা শেখ হাসিনার তৈরি করা নির্বাচন কমিশন। বর্তমান নির্বাচন কমিশন একটা নিরপেক্ষ হাব-ভাব দেখিয়ে তার প্রমাণ করতে চাইছেন, তারা স্বাধীন। নির্বাচন কমিশনের কথা ডিসি, এসপিরা শোনে না। এই নির্বাচন কমিশন দিয়ে কোনো কাজ হবে না। এই জন্য এই নির্বাচন কমিশন নিয়ে আমরা কোনো কথা বলছি না। শেখ হাসিনা সরকারের পদত্যাগ এবং তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচন হতে হবে। এই লক্ষ্যেই আমরা আন্দোলন করছি।’
বিভিন্ন দুর্নীতি ও লোডশেডিংয়ের কথা তুলে ধরে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘এই সরকার মেগা প্রকল্পের নামে মেগা দুর্নীতি করেছে, শেয়ার বাজারে হাজার হাজার কোটি টাকা লুটপাট করেছে। বিদ্যুৎ সেক্টরে হাজার হাজার কোটি টাকা লুটে নিয়ে আজ বিদ্যুৎ দিতে পারছে না। বিদ্যুতের উন্নয়নের নামে দিনে ৫ / ৬ বার লোডশেডিং করা হচ্ছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘১৯৭৪ সালে আওয়ামী লীগের দুঃশাসনে দেশে দুর্ভিক্ষ হয়েছিল। ইদানীং শেখ হাসিনা দেশে দুর্ভিক্ষের পদধ্বনির কথা বলছেন। কিন্তু কিছুদিন আগে তিনি বলেছিলেন, বাংলাদেশে খাদ্য সংকট হবে না। শেখ হাসিনা ক্ষমতায় আসার আগে বলেছিল, তারা ১০ টাকা কেজি দরে চল খাওয়াবে। সেই চালের দাম এখন ৯০ টাকা হয়েছে। তারা বলেছিল, ঘরে ঘরে চাকরি দেবে। এখন চাকরি পেতে হলে আওয়ামী লীগের লোকজন ২০ লাখ টাকা ঘুষ নেয়। এরা মিথ্যা প্রচার করে, জনগণের সঙ্গে প্রতারণা করে। দেশে প্রতিটি জিনিসের দাম বাড়িয়েছে। তারা উন্নয়নের নামে হাজার হাজার কোটি টাকা চুরি করে, লুট করে বিদেশে টাকা পাচার করেছে। আর আমরা জনগণ কষ্টে আছি। বর্গিরা এসে আমাদের সবকিছু লুট করে নিয়ে যাচ্ছে। এরা বর্গি।’
বিএনপির মহাসচিব অভিযোগ করে বলেন, ‘আমরা শান্তিপূর্ণভাবে সমাবেশ করতে চেয়েছিলাম। কিন্তু আমাদের সমাবেশ পণ্ড করতে ক্ষমতাসীন দলের পেটোয়া বাহিনী এবং পুলিশ আমাদের নেতা-কর্মীদের ওপর বিভিন্ন জায়গায় ধরপাকড়, গ্রেপ্তার ও হামলা করে আহত করেছে। এর বিচার একদিন হবেই। আমরা তো শান্তিপূর্ণ আন্দোলন করছি, আপনারাই সহিংসতা ছড়াচ্ছেন। আমাদের সমাবেশ পণ্ড করতে আপনারা পরিবহন ধর্মঘট ডেকেছেন। আপনারাই সন্ত্রাস করেন।’
সমাবেশে আরও বক্তৃতা করেন, দলের স্থায়ী কমিটির অন্যতম সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, বাবা গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, ড. আব্দুল মঈন খান, ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু, কেন্দ্রীয় নেতা শহিদ উদ্দিন এ্যানি, নিতাই চন্দ্র রায় ও আব্দুল আউয়াল মিন্টু।
বিএনপির গণসমাবেশে খুলনা, যশোর, কুষ্টিয়া, ঝিনাইদহ, চুয়াডাঙ্গা, মেহেরপুর, মাগুরা, নড়াইল, সাতক্ষীরা ও বাগেরহাট জেলার নেতা-কর্মীরা অংশ নেন।
শনিবার বেলা দেড়টার দিকে খুলনা নগর বিএনপির আহ্বায়ক শফিকুল আলম মনার সভাপতিত্বে আনুষ্ঠানিকভাবে গণসমাবেশের কার্যক্রম শুরু হলেও এর আগে থেকেই স্থানীয় নেতারা সমাবেশে বক্তব্য দেওয়া শুরু করেন।
এদিকে পরিবহন বন্ধ থাকায় সমাবেশে আসতে নানা বাধা ও ভোগান্তি সহ্য করতে হয়েছে বলে জানান বিএনপির নেতা-কর্মীরা। অনেকে হেঁটে এবং ব্যক্তিগত গাড়ি ও নৌপথে এসেছেন। পথে ক্ষমতাসীন দলের লোকজন সমাবেশে আসতে বাধা দিয়েছেন বলে অভিযোগ করেন তাঁরা।
খুলনা নগর বিএনপির আহ্বায়ক শফিকুল আলম মনা বলেন, ‘গত (শুক্রবার) রাত থেকে আওয়ামী সন্ত্রাসীরা ভয়ভীতি দেখালেও মানুষ ভীত নয়। গণপরিবহন বন্ধ থাকার পরও মানুষের উপস্থিতি প্রমাণ করে, এ সরকারকে মানুষ আর দেখতে চায় না।’
এসব অভিযোগের বিষয় খুলনা নগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এমডিএ বাবুল রানা আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘বিএনপির কর্মসূচিতে আমাদের বাধা দেওয়ার কিছু নেই। অপ্রীতিকর ঘটনা যাতে না ঘটে, সে জন্য আমাদের নেতা-কর্মীরা রাজপথে ছিল। তাদের বাধা দেওয়ার বা সংঘর্ষের খবর আমাদের কাছে নেই। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ও আওয়ামী লীগ নেতা-কর্মীর তাদের বাধা দেয়নি।’
যানবাহন বন্ধ করে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করা হয়েছে কি না জানতে চাইলে বাবুল রানা বলেন, ‘এটা পরিবহনমালিক-শ্রমিকদের বিষয়। আওয়ামী লীগের সঙ্গে এর কোনো সম্পর্ক নেই। তারা কী কারণে বন্ধ করেছেন, সেটা তারাই ভালো বলতে পারবেন।’
আরও পড়ুন:
সংস্কার নিয়ে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের সঙ্গে বিএনপির কোনো বিরোধ নেই বলে মন্তব্য করেছেন দলটির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। তিনি বলেছেন, ‘সংস্কার কার্যক্রম নিয়ে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের সঙ্গে বিএনপির কোনো বিরোধ নেই। যারা ‘সংস্কার আগে নাকি নির্বাচন আগে’— ধরনের প্রশ্ন তুলে জনমনে বিভ্রান্তি সৃষ্টির
৩ ঘণ্টা আগেবিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সেলিমা রহমান বলেছেন, আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং আওয়ামী লীগের অন্য নেতাকর্মীরা ভারত ও অন্য দেশে অবস্থান করে বাংলাদেশে বিশৃঙ্খলা তৈরি করে অস্থিতিশীলতা তৈরির চেষ্টা করছে।
৫ ঘণ্টা আগেনতুন নির্বাচন কমিশনের দায়িত্ব গ্রহণকে স্বাগত জানিয়েছে বিএনপি। জনগণের প্রত্যাশা পূরণে নতুন কমিশন কাজ করবে বলেও আশা প্রকাশ করেছে দলটি
১ দিন আগেরাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিনের অপসারণ চেয়ে তাঁর নিয়োগ দেওয়া নতুন নির্বাচন কমিশন (ইসি) প্রত্যাখ্যান করেছে জাতীয় নাগরিক কমিটি। একই সঙ্গে নির্বাচন ব্যবস্থা সংস্কারের প্রাপ্ত প্রস্তাবের আলোকে নতুন আইনের অধীনে নতুন নির্বাচন কমিশন গঠনের দাবি জানিয়েছেন তারা
১ দিন আগে