নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
শতভাগ মানুষের ঘরে বিদ্যুৎ নিয়ে সরকারের সাফল্য ও আত্মতৃপ্তির বয়ান ইতিমধ্যেই দুঃসংবাদে পরিণত হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল (জেএসডি) সভাপতি আ স ম আবদুর রব।
আজ বুধবার গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে রব বলেন, সারা দেশে ব্যাপক লোডশেডিংয়ে জনজীবন দুর্ভোগে অতিষ্ঠ। বিদ্যুৎ না থাকায় চিকিৎসা, শিক্ষা ও শিল্প কারখানাসহ সব ক্ষেত্রে ব্যাপক ক্ষতি হচ্ছে। রাজধানীর বাইরে গ্রামাঞ্চলে বিদ্যুতের জন্য হাহাকার চলছে। বিদ্যুতের অভাবে সেচযন্ত্র বন্ধ থাকায় মৌসুমের আবাদসহ বিরূপ প্রভাব পড়ছে সামগ্রিক উৎপাদনে। বিদ্যুৎ উৎপাদনে সক্ষমতা বাড়লেও বিতরণ ও সরবরাহ সক্ষমতা বাড়েনি। বিদ্যুৎ বিপর্যয়ের এই দুর্গতি দ্রুত নিরসনের সম্ভাবনাও নেই।
রব বলেন, ‘সরকার এখন অফিস, দোকান, মার্কেট ও কাঁচা বাজার বন্ধসহ উৎপাদন উপকরণের সাশ্রয়ের যে নতুন বয়ান দিয়ে যাচ্ছে এতে জনগণ চরম ক্ষতির সম্মুখীন হবে। বিদ্যুতের অপচয়, অপ্রয়োজনীয়তা এবং কোথায় সাশ্রয় করা যায় তা চিহ্নিত করে সরবরাহ ও ব্যবহার নিয়ন্ত্রণ করতে পারছে না।’
গত এক দশকে বিদ্যুৎ খাতে সরকার বিপুল পরিমাণ অর্থাৎ ২.১৮ লাখ কোটি টাকা ঋণ নিয়েও জনগণের জন্য নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ নিশ্চিত করতে পারেনি। দক্ষতার অভাব, দুর্নীতি ও অপচয় বন্ধ করতে না পারলে এ খাতে দেনার পরিমাণ আরও বাড়বে। এ সকল দায় অবশ্যই সরকারকে বহন করতে হবে।
দেশের সক্ষমতার ৫৮ শতাংশ বিদ্যুৎ কেন্দ্র বসিয়ে রেখে ক্যাপাসিটি চার্জ দিতে হচ্ছে বছরে হাজার হাজার কোটি টাকা যা কোনোক্রমেই জাতীয় স্বার্থের সহায়ক নয় বলেও মত জেএসডি সভাপতির।
সরকারি খাতে কম মূল্যের বিদ্যুৎ উৎপাদনের চেয়ে বেসরকারি খাতে অধিক মূল্যের বিদ্যুৎ উৎপাদন ও ক্রয়কে সরকার সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়েছে উল্লেখ করে রব বলেন, বিদ্যুৎ খাতের তুঘলকি কর্মকাণ্ড বন্ধ করে দক্ষতা বৃদ্ধি করতে হবে। সরকারি সকল বিদ্যুৎ কেন্দ্র চালু করতে হবে ও অধিক ব্যয় বহুল রেন্টাল ও কুইক রেন্টাল বিদ্যুৎ কেন্দ্রগুলো বন্ধ করতে হবে। প্রয়োজনে জ্বালানি খাতে ভর্তুকি বাড়াতে হবে।
জলবায়ু সম্মেলনে জীবাশ্ম জ্বালানি বিশেষ করে কয়লা ব্যবহার বন্ধ করার পরিকল্পনা ঘোষণার পরও বাংলাদেশে অপরিকল্পিতভাবে কয়লা ভিত্তিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণ করা হয়েছে, এমনকি জ্বালানির উৎস বিবেচনায় নেওয়া হয়নি।
অনেক আন্তর্জাতিক আর্থিক সংস্থা নতুন করে কয়লা খাতে বিনিয়োগ না করার সিদ্ধান্ত জানিয়ে দিয়েছে। বাংলাদেশের বিদ্যুৎ খাতের জন্য এটি বড় দুঃসংবাদ। ফলে কয়লা থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা চরম ঝুঁকিতে পড়বে।
শতভাগ মানুষের ঘরে বিদ্যুৎ নিয়ে সরকারের সাফল্য ও আত্মতৃপ্তির বয়ান ইতিমধ্যেই দুঃসংবাদে পরিণত হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল (জেএসডি) সভাপতি আ স ম আবদুর রব।
আজ বুধবার গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে রব বলেন, সারা দেশে ব্যাপক লোডশেডিংয়ে জনজীবন দুর্ভোগে অতিষ্ঠ। বিদ্যুৎ না থাকায় চিকিৎসা, শিক্ষা ও শিল্প কারখানাসহ সব ক্ষেত্রে ব্যাপক ক্ষতি হচ্ছে। রাজধানীর বাইরে গ্রামাঞ্চলে বিদ্যুতের জন্য হাহাকার চলছে। বিদ্যুতের অভাবে সেচযন্ত্র বন্ধ থাকায় মৌসুমের আবাদসহ বিরূপ প্রভাব পড়ছে সামগ্রিক উৎপাদনে। বিদ্যুৎ উৎপাদনে সক্ষমতা বাড়লেও বিতরণ ও সরবরাহ সক্ষমতা বাড়েনি। বিদ্যুৎ বিপর্যয়ের এই দুর্গতি দ্রুত নিরসনের সম্ভাবনাও নেই।
রব বলেন, ‘সরকার এখন অফিস, দোকান, মার্কেট ও কাঁচা বাজার বন্ধসহ উৎপাদন উপকরণের সাশ্রয়ের যে নতুন বয়ান দিয়ে যাচ্ছে এতে জনগণ চরম ক্ষতির সম্মুখীন হবে। বিদ্যুতের অপচয়, অপ্রয়োজনীয়তা এবং কোথায় সাশ্রয় করা যায় তা চিহ্নিত করে সরবরাহ ও ব্যবহার নিয়ন্ত্রণ করতে পারছে না।’
গত এক দশকে বিদ্যুৎ খাতে সরকার বিপুল পরিমাণ অর্থাৎ ২.১৮ লাখ কোটি টাকা ঋণ নিয়েও জনগণের জন্য নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ নিশ্চিত করতে পারেনি। দক্ষতার অভাব, দুর্নীতি ও অপচয় বন্ধ করতে না পারলে এ খাতে দেনার পরিমাণ আরও বাড়বে। এ সকল দায় অবশ্যই সরকারকে বহন করতে হবে।
দেশের সক্ষমতার ৫৮ শতাংশ বিদ্যুৎ কেন্দ্র বসিয়ে রেখে ক্যাপাসিটি চার্জ দিতে হচ্ছে বছরে হাজার হাজার কোটি টাকা যা কোনোক্রমেই জাতীয় স্বার্থের সহায়ক নয় বলেও মত জেএসডি সভাপতির।
সরকারি খাতে কম মূল্যের বিদ্যুৎ উৎপাদনের চেয়ে বেসরকারি খাতে অধিক মূল্যের বিদ্যুৎ উৎপাদন ও ক্রয়কে সরকার সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়েছে উল্লেখ করে রব বলেন, বিদ্যুৎ খাতের তুঘলকি কর্মকাণ্ড বন্ধ করে দক্ষতা বৃদ্ধি করতে হবে। সরকারি সকল বিদ্যুৎ কেন্দ্র চালু করতে হবে ও অধিক ব্যয় বহুল রেন্টাল ও কুইক রেন্টাল বিদ্যুৎ কেন্দ্রগুলো বন্ধ করতে হবে। প্রয়োজনে জ্বালানি খাতে ভর্তুকি বাড়াতে হবে।
জলবায়ু সম্মেলনে জীবাশ্ম জ্বালানি বিশেষ করে কয়লা ব্যবহার বন্ধ করার পরিকল্পনা ঘোষণার পরও বাংলাদেশে অপরিকল্পিতভাবে কয়লা ভিত্তিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণ করা হয়েছে, এমনকি জ্বালানির উৎস বিবেচনায় নেওয়া হয়নি।
অনেক আন্তর্জাতিক আর্থিক সংস্থা নতুন করে কয়লা খাতে বিনিয়োগ না করার সিদ্ধান্ত জানিয়ে দিয়েছে। বাংলাদেশের বিদ্যুৎ খাতের জন্য এটি বড় দুঃসংবাদ। ফলে কয়লা থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা চরম ঝুঁকিতে পড়বে।
নতুন নির্বাচন কমিশনের দায়িত্ব গ্রহণকে স্বাগত জানিয়েছে বিএনপি। জনগণের প্রত্যাশা পূরণে নতুন কমিশন কাজ করবে বলেও আশা প্রকাশ করেছে দলটি
৪ ঘণ্টা আগেরাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিনের অপসারণ চেয়ে তাঁর নিয়োগ দেওয়া নতুন নির্বাচন কমিশন (ইসি) প্রত্যাখ্যান করেছে জাতীয় নাগরিক কমিটি। একই সঙ্গে নির্বাচন ব্যবস্থা সংস্কারের প্রাপ্ত প্রস্তাবের আলোকে নতুন আইনের অধীনে নতুন নির্বাচন কমিশন গঠনের দাবি জানিয়েছেন তারা
৬ ঘণ্টা আগেড. কামাল হোসেন আর গণফোরামের সঙ্গে যুক্ত নন এবং তিনি রাজনীতি থেকে অবসর নিয়েছেন—বলে জানিয়েছেন নিজেকে গণফোরামের সভাপতি দাবি করা এবং সাবেক সংসদ সদস্য মফিজুল ইসলাম খান কামাল।
১ দিন আগেনতুন রাজনৈতিক বন্দোবস্ত বলতে তারা কী বোঝাচ্ছে? তাদের এই ধারণা স্পষ্ট করা উচিত। আমি জানতে চাই, তাদের নতুন রাজনৈতিক মীমাংসা আসলে কী? আমি এ বিষয়ে কোথাও কিছু লেখা নথিভুক্ত পাইনি। তাদের প্রস্তাব কী, সেটা স্পষ্ট নয়। আমাদের যে ধরনের রাজনীতি আমরা কল্পনা করি, তা আমাদের সংবিধানে স্পষ্টভাবে নথিভুক্ত।
১ দিন আগে