নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
এক দফা আন্দোলন দমাতে সরকারের আইনশৃঙ্খলা বাহিনী বিরোধী নেতা-কর্মীদের নতুন করে আবারও গুম করছে বলে অভিযোগ করেছে বিএনপি। আজ মঙ্গলবার বিকেলে এক ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলনে দলটির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী এই অভিযোগ করেন।
রুহুল কবির রিজভী বলেন, ‘একতরফা ও ভোটারবিহীন নির্বাচন করতে জনগণকে ভয় পাইয়ে দিতে আবার নতুন করে অদৃশ্য করা আর গুম করার কর্মসূচি শুরু করেছে সরকার। তিতুমীর কলেজের ছাত্রদলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহমুদুল হাসান রফিক ও সাইফুল ইসলামকে গোয়েন্দা পুলিশ তুলে নিয়ে গিয়ে এখনো পর্যন্ত তাদের খোঁজ দিচ্ছে না। এই যে তুলে নিয়ে যাওয়া, এই যে অদৃশ্য করা, গুম নতুন করে আবার শুরু হয়েছে।’
তরুণেরা গুমের টার্গেট হয়েছে মন্তব্য করে রিজভী বলেন, ‘এই গুমের টার্গেটই করা হয়েছে তরুণদের। এই তরুণেরা আন্দোলন সংগ্রামে ভ্যানগার্ড। তাদেরই টার্গেট করে তুলে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে।’
সারা দেশে হত্যালীলা চলছে বলে সংবাদ সম্মেলনে অভিযোগ করেছেন রিজভী। তিনি বলেন, ‘গত ৫ নভেম্বর কক্সবাজারের উখিয়া উপজেলার বিএনপির সাধারণ সম্পাদক সুলতান মাহমুদ চৌধুরীকে তার বাড়িতে পুলিশ-র্যাব ধরতে যায় এবং সেখানে ব্যাপক ভাঙচুর এবং গোলাগুলি করে। এতে গ্রামবাসী অনেকে আহত হয়। তাদের মধ্যে গুরুতর আহত জাকির হোসেন দুই-তিন দিন মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ে মঙ্গলবার মারা গেছেন। আমি এই হত্যাকাণ্ডের তীব্র প্রতিবাদ জানাচ্ছি।’
রিজভী বলেন, ‘এই হত্যা লীলা চলছে আজকে কয়েকদিন... ক্রমাগতভাবে। সরকারের সাজানো আইনশৃঙ্খলা বাহিনী তারা কোনো কিছু মানছে না। এখানে বিরোধী দলকে রাখা যাবে না, এখানে শেখ হাসিনার বিরুদ্ধাচরণ করবে, এদের কারও অস্তিত্ব থাকবে না... সেই শপথ নিয়ে নেমেছেন আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। অথচ তাদের হাতে বন্দুক, তাদের হাতে টিয়ারগ্যাস, তাদের হাতে যে অন্যান্য অস্ত্র এটা কিন্তু কেনা হয়েছে আওয়ামী লীগের পয়সায় নয়, ওইসব কেনা হয়েছে জনগণের ট্যাক্সের পয়সায়। জনগণের বিরুদ্ধে সেই গুলি, সেই টিয়ারগ্যাস, শটগানের গুলি, সমস্ত কিছু জনগণের ট্যাক্সের পয়সায়। অথচ এসব অস্ত্র জনগণের দিকে তাক করতে গিয়ে একের পর এক শুধু মৃত্যুর মিছিল, মানুষের লাশের সারি তৈরি হচ্ছে।’
সংবাদ সম্মেলনে দলের নেতা–কর্মীদের গ্রেপ্তার-মামলার চিত্র তুলে ধরে রিজভী বলেন, গত ২৪ ঘণ্টায় রাজধানীসহ সারা দেশে ৮ হাজার ৪৯৬ জনের বেশি গ্রেপ্তার হয়েছেন, মামলা হয়েছে ১৬টি। ১৭২৮ জনের বেশি নেতা-কর্মীকে এ সময় আসামি করা হয়েছে। এ ছাড়া ২৮ অক্টোবর মহাসমাবেশকে ঘিরে এ পর্যন্ত বিএনপির অন্তত ১১ হাজার ৯৩১ জন নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে, মামলা হয়েছে ৫৬১টি।
এদিকে এক দিনের বিরতি দিয়ে বুধবার ভোর ৬টা থেকে আবারও ৪৮ ঘণ্টার অবরোধের কর্মসূচি শুরু করতে যাচ্ছে বিএনপি। শুক্রবার ভোর ৬টায় এই কর্মসূচির সমাপ্তি ঘটবে। এ সময় দেশের সড়ক, রেল ও নৌপথে সর্বাত্মক অবরোধ পালনের আহ্বান জানিয়েছে বিএনপি। ২৮ অক্টোবরের পর এরই মধ্যে একদিনের হরতালসহ দুই দফায় প্রথমে তিন ও পরে দুই দিনের অবরোধ পালন করেছে দলটি। এদিন বিএনপির পাশাপাশি গণতন্ত্র মঞ্চ, ১২–দলীয় জোট, এলডিপিসহ অন্যান্য দল ও জোটও যুগপৎভাবে একই কর্মসূচি ঘোষণা করেছে। জামায়াতে ইসলামীও পৃথকভাবে বুধ ও বৃহস্পতিবার ৪৮ ঘণ্টার অবরোধ দিয়েছে।
সংবাদ সম্মেলনে এই কর্মসূচি সফল করতে নেতা কর্মীসহ দেশবাসীর প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। তিনি বলেন, ‘সকলে শান্তিতে বেঁচে থাকার জন্য আমাদের এই সংগ্রাম, আমাদের এই অবরোধ কর্মসূচি। এই কর্মসূচি হবে শান্তিপূর্ণ।’
রিজভী বলেন, ‘বিএনপিসহ জাতীয়তাবাদী শক্তির যত নেতা-কর্মীরা রয়েছেন এবং সমমনা দলগুলো যারা সংগ্রামে অংশগ্রহণ করছেন, তাদের প্রত্যেকের কাছে আমার আকুল আহ্বান, শত বাধা অতিক্রম করে যেমন কর্মসূচি পালন করে এসেছেন, আবার এই কর্মসূচি পালন করবেন। জনগণকে সঙ্গে নিয়ে পথে পথে বাধা দেবেন, মহাসড়কের অবরোধ তৈরি করবেন শান্তিপূর্ণভাবে অবস্থান করেই।’
এক দফা আন্দোলন দমাতে সরকারের আইনশৃঙ্খলা বাহিনী বিরোধী নেতা-কর্মীদের নতুন করে আবারও গুম করছে বলে অভিযোগ করেছে বিএনপি। আজ মঙ্গলবার বিকেলে এক ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলনে দলটির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী এই অভিযোগ করেন।
রুহুল কবির রিজভী বলেন, ‘একতরফা ও ভোটারবিহীন নির্বাচন করতে জনগণকে ভয় পাইয়ে দিতে আবার নতুন করে অদৃশ্য করা আর গুম করার কর্মসূচি শুরু করেছে সরকার। তিতুমীর কলেজের ছাত্রদলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহমুদুল হাসান রফিক ও সাইফুল ইসলামকে গোয়েন্দা পুলিশ তুলে নিয়ে গিয়ে এখনো পর্যন্ত তাদের খোঁজ দিচ্ছে না। এই যে তুলে নিয়ে যাওয়া, এই যে অদৃশ্য করা, গুম নতুন করে আবার শুরু হয়েছে।’
তরুণেরা গুমের টার্গেট হয়েছে মন্তব্য করে রিজভী বলেন, ‘এই গুমের টার্গেটই করা হয়েছে তরুণদের। এই তরুণেরা আন্দোলন সংগ্রামে ভ্যানগার্ড। তাদেরই টার্গেট করে তুলে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে।’
সারা দেশে হত্যালীলা চলছে বলে সংবাদ সম্মেলনে অভিযোগ করেছেন রিজভী। তিনি বলেন, ‘গত ৫ নভেম্বর কক্সবাজারের উখিয়া উপজেলার বিএনপির সাধারণ সম্পাদক সুলতান মাহমুদ চৌধুরীকে তার বাড়িতে পুলিশ-র্যাব ধরতে যায় এবং সেখানে ব্যাপক ভাঙচুর এবং গোলাগুলি করে। এতে গ্রামবাসী অনেকে আহত হয়। তাদের মধ্যে গুরুতর আহত জাকির হোসেন দুই-তিন দিন মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ে মঙ্গলবার মারা গেছেন। আমি এই হত্যাকাণ্ডের তীব্র প্রতিবাদ জানাচ্ছি।’
রিজভী বলেন, ‘এই হত্যা লীলা চলছে আজকে কয়েকদিন... ক্রমাগতভাবে। সরকারের সাজানো আইনশৃঙ্খলা বাহিনী তারা কোনো কিছু মানছে না। এখানে বিরোধী দলকে রাখা যাবে না, এখানে শেখ হাসিনার বিরুদ্ধাচরণ করবে, এদের কারও অস্তিত্ব থাকবে না... সেই শপথ নিয়ে নেমেছেন আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। অথচ তাদের হাতে বন্দুক, তাদের হাতে টিয়ারগ্যাস, তাদের হাতে যে অন্যান্য অস্ত্র এটা কিন্তু কেনা হয়েছে আওয়ামী লীগের পয়সায় নয়, ওইসব কেনা হয়েছে জনগণের ট্যাক্সের পয়সায়। জনগণের বিরুদ্ধে সেই গুলি, সেই টিয়ারগ্যাস, শটগানের গুলি, সমস্ত কিছু জনগণের ট্যাক্সের পয়সায়। অথচ এসব অস্ত্র জনগণের দিকে তাক করতে গিয়ে একের পর এক শুধু মৃত্যুর মিছিল, মানুষের লাশের সারি তৈরি হচ্ছে।’
সংবাদ সম্মেলনে দলের নেতা–কর্মীদের গ্রেপ্তার-মামলার চিত্র তুলে ধরে রিজভী বলেন, গত ২৪ ঘণ্টায় রাজধানীসহ সারা দেশে ৮ হাজার ৪৯৬ জনের বেশি গ্রেপ্তার হয়েছেন, মামলা হয়েছে ১৬টি। ১৭২৮ জনের বেশি নেতা-কর্মীকে এ সময় আসামি করা হয়েছে। এ ছাড়া ২৮ অক্টোবর মহাসমাবেশকে ঘিরে এ পর্যন্ত বিএনপির অন্তত ১১ হাজার ৯৩১ জন নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে, মামলা হয়েছে ৫৬১টি।
এদিকে এক দিনের বিরতি দিয়ে বুধবার ভোর ৬টা থেকে আবারও ৪৮ ঘণ্টার অবরোধের কর্মসূচি শুরু করতে যাচ্ছে বিএনপি। শুক্রবার ভোর ৬টায় এই কর্মসূচির সমাপ্তি ঘটবে। এ সময় দেশের সড়ক, রেল ও নৌপথে সর্বাত্মক অবরোধ পালনের আহ্বান জানিয়েছে বিএনপি। ২৮ অক্টোবরের পর এরই মধ্যে একদিনের হরতালসহ দুই দফায় প্রথমে তিন ও পরে দুই দিনের অবরোধ পালন করেছে দলটি। এদিন বিএনপির পাশাপাশি গণতন্ত্র মঞ্চ, ১২–দলীয় জোট, এলডিপিসহ অন্যান্য দল ও জোটও যুগপৎভাবে একই কর্মসূচি ঘোষণা করেছে। জামায়াতে ইসলামীও পৃথকভাবে বুধ ও বৃহস্পতিবার ৪৮ ঘণ্টার অবরোধ দিয়েছে।
সংবাদ সম্মেলনে এই কর্মসূচি সফল করতে নেতা কর্মীসহ দেশবাসীর প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। তিনি বলেন, ‘সকলে শান্তিতে বেঁচে থাকার জন্য আমাদের এই সংগ্রাম, আমাদের এই অবরোধ কর্মসূচি। এই কর্মসূচি হবে শান্তিপূর্ণ।’
রিজভী বলেন, ‘বিএনপিসহ জাতীয়তাবাদী শক্তির যত নেতা-কর্মীরা রয়েছেন এবং সমমনা দলগুলো যারা সংগ্রামে অংশগ্রহণ করছেন, তাদের প্রত্যেকের কাছে আমার আকুল আহ্বান, শত বাধা অতিক্রম করে যেমন কর্মসূচি পালন করে এসেছেন, আবার এই কর্মসূচি পালন করবেন। জনগণকে সঙ্গে নিয়ে পথে পথে বাধা দেবেন, মহাসড়কের অবরোধ তৈরি করবেন শান্তিপূর্ণভাবে অবস্থান করেই।’
নতুন নির্বাচন কমিশনের দায়িত্ব গ্রহণকে স্বাগত জানিয়েছে বিএনপি। জনগণের প্রত্যাশা পূরণে নতুন কমিশন কাজ করবে বলেও আশা প্রকাশ করেছে দলটি
৮ ঘণ্টা আগেরাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিনের অপসারণ চেয়ে তাঁর নিয়োগ দেওয়া নতুন নির্বাচন কমিশন (ইসি) প্রত্যাখ্যান করেছে জাতীয় নাগরিক কমিটি। একই সঙ্গে নির্বাচন ব্যবস্থা সংস্কারের প্রাপ্ত প্রস্তাবের আলোকে নতুন আইনের অধীনে নতুন নির্বাচন কমিশন গঠনের দাবি জানিয়েছেন তারা
৯ ঘণ্টা আগেড. কামাল হোসেন আর গণফোরামের সঙ্গে যুক্ত নন এবং তিনি রাজনীতি থেকে অবসর নিয়েছেন—বলে জানিয়েছেন নিজেকে গণফোরামের সভাপতি দাবি করা এবং সাবেক সংসদ সদস্য মফিজুল ইসলাম খান কামাল।
১ দিন আগেনতুন রাজনৈতিক বন্দোবস্ত বলতে তারা কী বোঝাচ্ছে? তাদের এই ধারণা স্পষ্ট করা উচিত। আমি জানতে চাই, তাদের নতুন রাজনৈতিক মীমাংসা আসলে কী? আমি এ বিষয়ে কোথাও কিছু লেখা নথিভুক্ত পাইনি। তাদের প্রস্তাব কী, সেটা স্পষ্ট নয়। আমাদের যে ধরনের রাজনীতি আমরা কল্পনা করি, তা আমাদের সংবিধানে স্পষ্টভাবে নথিভুক্ত।
২ দিন আগে