নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
আমেরিকা সুষ্ঠু নির্বাচনের কথা বললেও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনের কথা বলেনি বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেন, আমেরিকানরা এসে চলে গেলেন। মূলত একটি সুষ্ঠু, অবাধ ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচন হলো তাঁদের জিস্ট। যা তাঁরা বলতে চেয়েছিলেন। বন্ধু দেশ হিসেবে এ রকম নির্বাচন তাঁদের কাম্য। তাঁরা সফট টোনে বলে গেছেন। এখানে কাউকে ধমক দিয়ে বা ভিসা নীতি আসবে, এ নিষেধাজ্ঞা আসবে, এটা না করলে ওইটা হবে, এ ধরনের উক্তি তাঁরা করেননি। তাঁরা সুষ্ঠু নির্বাচনের কথা বলেছেন। অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনের কথা বলেননি।
আজ শুক্রবার রাজধানীর ধানমন্ডিতে আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার রাজনৈতিক কার্যালয়ে দলের সহযোগী সংগঠনগুলোর সভাপতি-সাধারণ সম্পাদকদের হওয়া মতবিনিময় সভার শুরুতে এসব কথা বলেন ওবায়দুল কাদের।
কাদের বলেন, এখানে বিদেশিরা এসেছেন। নির্বাচন সম্পর্কে জানতে, পরিবেশ দেখতে। সবাই যে শুধু নির্বাচনের জন্য আসছেন, সেটা কিন্তু না। আমেরিকানরা প্রথমে এসে রোহিঙ্গা ক্যাম্পে গেছেন। তাঁরা কোনো রাজনৈতিক দলের সঙ্গে কথা বলেননি। আমেরিকা সরকারের বিভিন্ন মন্ত্রণালয় বিশেষত প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে আলোচনা করেছেন। তাঁরা আসার আগে বিএনপি তাদের অপপ্রচারের মাধ্যমে যে আশঙ্কা, ধারণাটা সৃষ্টি করতে চেয়েছিল, সেটা হচ্ছে এবার আর সরকারের উপায় নেই। নিষেধাজ্ঞা নির্ঘাত আসছে।
আওয়ামী লীগের এই নেতা আরও বলেন, বিএনপি মনে করছে ইউরোপীয় ইউনিয়ন ও আমেরিকার প্রতিনিধিরা সরকারকে বিপদে ফেলবে। নিষেধাজ্ঞা নিয়ে আসবে। হয়তো সরকারকে বলে দেবে, এভাবে নির্বাচন করো। পার্লামেন্ট বিলুপ্ত হয়ে যাবে। তত্ত্বাবধায়ক এসে যাবে। আবার প্রধানমন্ত্রীকে পদত্যাগ করতে হবে। এসব কিছু ধারণা, আশঙ্কা তারা (বিএনপি) তৈরি করেছিল। জনমনেও ভীতি—আবার কী হচ্ছে।
কাদের বলেন, শেষ পর্যন্ত কী হলো? আমেরিকানরা এসে চলে গেলেন। তাঁরা মূলত একটি সুষ্ঠু, অবাধ ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচন হলো তাঁদের জিস্ট। যা তাঁরা বলতে চেয়েছিলেন। বন্ধু দেশ হিসেবে এ রকম নির্বাচন তাঁদের কাম্য। বন্ধু দেশ হিসেবে এ রকম তাঁরা বলে গেছেন সফট টোনে। এখানে কাউকে ধমক দিয়ে বা ভিসা নীতি আসবে, এ নিষেধাজ্ঞা আসবে, এটা না করলে ওইটা হবে, এ ধরনের উক্তি তাঁরা করেননি। তাঁরা সুষ্ঠু নির্বাচনের কথা বলেছেন। অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনের কথা বলেননি। অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনের কোনো কিছুই তাঁরা বলেননি। তাঁরা বলেছেন, শান্তিপূর্ণ নির্বাচন, নট অংশগ্রহণমূলক। অবাধ, শান্তিপূর্ণ নির্বাচন ছিল তাঁদের বক্তব্যের মূল কথা, মূল ফোকাস।
বিএনপির চেষ্টা ব্যর্থ হয়েছে জানিয়ে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘আমরা যেটা মনে করি, বিএনপি মিথ্যা তথ্য উপস্থাপনের মাধ্যমে বিদেশিদের প্রতিনিধিদের বিভ্রান্ত করার মাধ্যমে তাদের কাছ থেকে যে পক্ষপাতমূলক সমর্থন চেয়েছিল, সেটা ব্যর্থ হয়েছে।’
বিদেশিরা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অঙ্গীকার ও নির্বাচনের প্রস্তুতির প্রতি সমর্থন করেছে বলে দাবি করেন ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে হস্তক্ষেপ না করার প্রতিশ্রুতিও ব্যক্ত করেছে বিদেশিরা। আমরা এইটুকু বুঝি, এর বাইরে কিছু শুনতে চাই না। যা আলোচনা হয়েছে সব গণমাধ্যমে চলে এসেছে।’
সংবিধান অনুযায়ী নির্বাচন হবে জানিয়ে কাদের বলেন, ‘সবাই একমত, আমরা সংবিধান সম্মতভাবে নির্বাচন করব। জনগণের প্রতি আস্থা থাকলে পেছনের দরজা দিয়ে ক্ষমতা দখলের চক্রান্ত বিএনপি পরিহার করত। তারা সাংবিধানিক শাসনব্যবস্থার প্রতি নেতিবাচক মনোভাব পোষণ করছে। নির্বাচন ভন্ডুলের অপচেষ্টা তাদের আছে। এটা হলে তার দায় বিএনপিকে নিতে হবে।’
ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘বিএনপি আসলে দফা কয়টা তা জানে না। দল কয়টা সেটাও জানে না। এবার দেখলাম ৫৪টা, তারপর ৫২, এখন আবার ৩৭ দল এসেছে। এখন রাষ্ট্রকে মেরামত করবে এর জন্য ৩২ দফা। আগে ছিল ২৭ দফা। তাদের আন্দোলন, জগাখিচুড়ি ঐক্যজোটের পরিণতি গতবারও দেখেছি। এবারও ঠিক সেই দিকে যাচ্ছে।’
কাদের বলেন, বিএনপি আসলে চিত্রটা বুঝে গেছে। তারা সেই ডিসেম্বর থেকে যে তোড়জোড়, গণ-অভ্যুত্থান। এখন তো এটাই হলো বাস্তবতা—গণ-অভ্যুত্থান থেকে পদযাত্রা। তার মানে তাদের কতটা অবনতি হয়েছে। তাদের নেতা-কর্মীরা হতাশ। নেতাদের দোষারোপ করছে। যে আওয়াজ নিয়ে এসেছিল মনে হয়েছিল সেই দিনই সরকার পতন ঘটাবে।
কাদের আরও বলেন, ‘ইউটিউবসহ বিভিন্ন মাধ্যমে যে অপপ্রচার হয়েছে, তাতে মনে হয়েছে ঢাকা শহর তারা ঘিরে ফেলবে, আমরা পালাবার পথ পাব না।’
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, এ দফায় তারা এক দফার যে হাঁকডাক দিল, নেতা-কর্মীদের বোঝাতে চাইল, এবার সরকার পতন হবেই। কিন্তু সরকার পতনের এক দফা থেকে তারা আবার পদযাত্রায় গেল, এর অর্থ সরকারের পতন ঘটাতে যে শক্তি, সমাবেশ তাদের দরকার সেটা পারছে না। এর মূল কৃতিত্ব আওয়ামী লীগ নয়, দলীয় সভাপতি শেখ হাসিনার কারণেই। তাঁর জনপ্রিয়তা বিরোধী দলের ভয়ের কারণ। তারা এই জনপ্রিয়তাকে ভয় পায়।
নেতা-কর্মীদের উদ্দেশে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘আমাদের আচরণে আমরা একটি দায়িত্বশীল সরকারি দল তার প্রমাণ জনগণের সামনে রাখতে হবে। আসন্ন নির্বাচনকে সামনে রেখে আমরা এমন কিছু বলব না, করব না, যাতে আমাদের সম্পর্কে জনমনে বিভ্রান্তি বা সংশয় সৃষ্টি হয়। আর জনগণ যেন মনে না করে, আমরা সংঘাতের কোনো উসকানি দিচ্ছি। আমরা জেতা দল, আমরা জিতব ইনশা আল্লাহ। কয়েকটা মাস আমাদের ধৈর্য ও সহিষ্ণুতার পরিচয় দিতে হবে।’
বিভিন্ন সহযোগী সংগঠনের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের মধ্যে দূরত্ব দেখা গেছে, যা সমাধানের তাগিদ দেন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক। তিনি বলেন, ‘কারও কারও মধ্যে এ লক্ষণ দেখা যাচ্ছে। তা হলে আমরা বিকল্প ব্যবস্থা নেব। কারণ, আমাদের দলকে বিচ্ছিন্ন হতে দেব না। শেখ হাসিনার নেতৃত্বে ঐক্য ধরে রাখতে হবে। কোনো গ্যাপ থাকলে আলোচনা করে দূরত্ব ঘোচাতে হবে।’
এ সময় আগামীতে আওয়ামী লীগের সব সমাবেশের নাম হবে ‘শান্তি ও উন্নয়ন সমাবেশ’ বলে জানান ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেন, ‘আগামী ৩০ জুলাই আমাদের নেত্রী রংপুর যাবেন। আগস্ট মাসে তিনি ব্যাপকভাবে জেলা পর্যায়ে সমাবেশ করবেন। সেই সূচি তৈরি হচ্ছে। মহামারির কারণে গ্যাপ হয়ে গেছে। তাই নেত্রীরও জেলা পর্যায়ে যাওয়ার প্রয়োজন আছে।’
সেপ্টেম্বর থেকে নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা। এ সময় আওয়ামী লীগ শান্তিপূর্ণভাবে সতর্কতার সঙ্গে রাজপথে থাকবে বলে জানান কাদের। তিনি বলেন, ‘আমরা শান্তিপূর্ণ নির্বাচন চাই। শান্তিপূর্ণ নির্বাচনের জন্য শান্তিপূর্ণ পরিবেশ প্রয়োজন। সে পরিবেশ আমরা রক্ষা করব।’
এ সময় আগস্ট মাসে কৃষক সমাবেশ, ছাত্র সমাবেশ, শ্রমিক সমাবেশ, যুব সমাবেশ করার জন্য সহযোগী ও ভ্রাতৃপ্রতিম সংগঠনগুলোকে করার জন্য নির্দেশনা দেন ওবায়দুল কাদের।
১৮ জুলাই ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের আয়োজনে শান্তি ও উন্নয়নের শোভাযাত্রা করবে বলে জানান কাদের। তিনি বলেন, রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ার ইনস্টিটিউট থেকে বঙ্গবন্ধু ভবন পর্যন্ত শোভাযাত্রা অনুষ্ঠিত হবে। পরদিন ১৯ জুলাই ঢাকা মহানগর উত্তর শোভাযাত্রা করবে। এ সময় ঢাকা মহানগর উত্তরের পক্ষ থেকে সাতরাস্তা থেকে মহাখালী পর্যন্ত করার প্রস্তাব দেওয়া হয়। জবাবে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘ওই দিন কি ওদের (বিএনপি) যাত্রাপথে বিঘ্ন হবে?’ জবাবে উত্তরের সাধারণ সম্পাদক এস এম মান্নান কচি বলেন, ‘ওরা উত্তরা থেকে বাহাদুর শাহ পার্কে যাবে।’ পরে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘বাড্ডাতে করার প্রস্তাব দেন।’ এ সময় কচি বলেন, ‘ওই রাস্তাটা (সাতরাস্তা) ভালো।’ জবাবে কাদের বলেন, ‘ভালো এক কথা কিন্তু সংঘর্ষ যেন না হয়। মুখোমুখি বর্জন করতে হবে। রুটটা আমরা পরে নির্ধারণ করব।’
আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য বীরেন শিকদারের বিরুদ্ধে ইসরায়েলের নাগরিক মেন্দি সাফাদির সঙ্গে বৈঠক করার অভিযোগ উঠেছে, এ নিয়ে কোনো ব্যবস্থা দল নেবে কি না জানতে চাইলে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘এগুলো গুজব। আমাদের কাছে এ ধরনের কোনো তথ্য নেই।’
আমেরিকা সুষ্ঠু নির্বাচনের কথা বললেও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনের কথা বলেনি বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেন, আমেরিকানরা এসে চলে গেলেন। মূলত একটি সুষ্ঠু, অবাধ ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচন হলো তাঁদের জিস্ট। যা তাঁরা বলতে চেয়েছিলেন। বন্ধু দেশ হিসেবে এ রকম নির্বাচন তাঁদের কাম্য। তাঁরা সফট টোনে বলে গেছেন। এখানে কাউকে ধমক দিয়ে বা ভিসা নীতি আসবে, এ নিষেধাজ্ঞা আসবে, এটা না করলে ওইটা হবে, এ ধরনের উক্তি তাঁরা করেননি। তাঁরা সুষ্ঠু নির্বাচনের কথা বলেছেন। অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনের কথা বলেননি।
আজ শুক্রবার রাজধানীর ধানমন্ডিতে আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার রাজনৈতিক কার্যালয়ে দলের সহযোগী সংগঠনগুলোর সভাপতি-সাধারণ সম্পাদকদের হওয়া মতবিনিময় সভার শুরুতে এসব কথা বলেন ওবায়দুল কাদের।
কাদের বলেন, এখানে বিদেশিরা এসেছেন। নির্বাচন সম্পর্কে জানতে, পরিবেশ দেখতে। সবাই যে শুধু নির্বাচনের জন্য আসছেন, সেটা কিন্তু না। আমেরিকানরা প্রথমে এসে রোহিঙ্গা ক্যাম্পে গেছেন। তাঁরা কোনো রাজনৈতিক দলের সঙ্গে কথা বলেননি। আমেরিকা সরকারের বিভিন্ন মন্ত্রণালয় বিশেষত প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে আলোচনা করেছেন। তাঁরা আসার আগে বিএনপি তাদের অপপ্রচারের মাধ্যমে যে আশঙ্কা, ধারণাটা সৃষ্টি করতে চেয়েছিল, সেটা হচ্ছে এবার আর সরকারের উপায় নেই। নিষেধাজ্ঞা নির্ঘাত আসছে।
আওয়ামী লীগের এই নেতা আরও বলেন, বিএনপি মনে করছে ইউরোপীয় ইউনিয়ন ও আমেরিকার প্রতিনিধিরা সরকারকে বিপদে ফেলবে। নিষেধাজ্ঞা নিয়ে আসবে। হয়তো সরকারকে বলে দেবে, এভাবে নির্বাচন করো। পার্লামেন্ট বিলুপ্ত হয়ে যাবে। তত্ত্বাবধায়ক এসে যাবে। আবার প্রধানমন্ত্রীকে পদত্যাগ করতে হবে। এসব কিছু ধারণা, আশঙ্কা তারা (বিএনপি) তৈরি করেছিল। জনমনেও ভীতি—আবার কী হচ্ছে।
কাদের বলেন, শেষ পর্যন্ত কী হলো? আমেরিকানরা এসে চলে গেলেন। তাঁরা মূলত একটি সুষ্ঠু, অবাধ ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচন হলো তাঁদের জিস্ট। যা তাঁরা বলতে চেয়েছিলেন। বন্ধু দেশ হিসেবে এ রকম নির্বাচন তাঁদের কাম্য। বন্ধু দেশ হিসেবে এ রকম তাঁরা বলে গেছেন সফট টোনে। এখানে কাউকে ধমক দিয়ে বা ভিসা নীতি আসবে, এ নিষেধাজ্ঞা আসবে, এটা না করলে ওইটা হবে, এ ধরনের উক্তি তাঁরা করেননি। তাঁরা সুষ্ঠু নির্বাচনের কথা বলেছেন। অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনের কথা বলেননি। অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনের কোনো কিছুই তাঁরা বলেননি। তাঁরা বলেছেন, শান্তিপূর্ণ নির্বাচন, নট অংশগ্রহণমূলক। অবাধ, শান্তিপূর্ণ নির্বাচন ছিল তাঁদের বক্তব্যের মূল কথা, মূল ফোকাস।
বিএনপির চেষ্টা ব্যর্থ হয়েছে জানিয়ে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘আমরা যেটা মনে করি, বিএনপি মিথ্যা তথ্য উপস্থাপনের মাধ্যমে বিদেশিদের প্রতিনিধিদের বিভ্রান্ত করার মাধ্যমে তাদের কাছ থেকে যে পক্ষপাতমূলক সমর্থন চেয়েছিল, সেটা ব্যর্থ হয়েছে।’
বিদেশিরা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অঙ্গীকার ও নির্বাচনের প্রস্তুতির প্রতি সমর্থন করেছে বলে দাবি করেন ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে হস্তক্ষেপ না করার প্রতিশ্রুতিও ব্যক্ত করেছে বিদেশিরা। আমরা এইটুকু বুঝি, এর বাইরে কিছু শুনতে চাই না। যা আলোচনা হয়েছে সব গণমাধ্যমে চলে এসেছে।’
সংবিধান অনুযায়ী নির্বাচন হবে জানিয়ে কাদের বলেন, ‘সবাই একমত, আমরা সংবিধান সম্মতভাবে নির্বাচন করব। জনগণের প্রতি আস্থা থাকলে পেছনের দরজা দিয়ে ক্ষমতা দখলের চক্রান্ত বিএনপি পরিহার করত। তারা সাংবিধানিক শাসনব্যবস্থার প্রতি নেতিবাচক মনোভাব পোষণ করছে। নির্বাচন ভন্ডুলের অপচেষ্টা তাদের আছে। এটা হলে তার দায় বিএনপিকে নিতে হবে।’
ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘বিএনপি আসলে দফা কয়টা তা জানে না। দল কয়টা সেটাও জানে না। এবার দেখলাম ৫৪টা, তারপর ৫২, এখন আবার ৩৭ দল এসেছে। এখন রাষ্ট্রকে মেরামত করবে এর জন্য ৩২ দফা। আগে ছিল ২৭ দফা। তাদের আন্দোলন, জগাখিচুড়ি ঐক্যজোটের পরিণতি গতবারও দেখেছি। এবারও ঠিক সেই দিকে যাচ্ছে।’
কাদের বলেন, বিএনপি আসলে চিত্রটা বুঝে গেছে। তারা সেই ডিসেম্বর থেকে যে তোড়জোড়, গণ-অভ্যুত্থান। এখন তো এটাই হলো বাস্তবতা—গণ-অভ্যুত্থান থেকে পদযাত্রা। তার মানে তাদের কতটা অবনতি হয়েছে। তাদের নেতা-কর্মীরা হতাশ। নেতাদের দোষারোপ করছে। যে আওয়াজ নিয়ে এসেছিল মনে হয়েছিল সেই দিনই সরকার পতন ঘটাবে।
কাদের আরও বলেন, ‘ইউটিউবসহ বিভিন্ন মাধ্যমে যে অপপ্রচার হয়েছে, তাতে মনে হয়েছে ঢাকা শহর তারা ঘিরে ফেলবে, আমরা পালাবার পথ পাব না।’
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, এ দফায় তারা এক দফার যে হাঁকডাক দিল, নেতা-কর্মীদের বোঝাতে চাইল, এবার সরকার পতন হবেই। কিন্তু সরকার পতনের এক দফা থেকে তারা আবার পদযাত্রায় গেল, এর অর্থ সরকারের পতন ঘটাতে যে শক্তি, সমাবেশ তাদের দরকার সেটা পারছে না। এর মূল কৃতিত্ব আওয়ামী লীগ নয়, দলীয় সভাপতি শেখ হাসিনার কারণেই। তাঁর জনপ্রিয়তা বিরোধী দলের ভয়ের কারণ। তারা এই জনপ্রিয়তাকে ভয় পায়।
নেতা-কর্মীদের উদ্দেশে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘আমাদের আচরণে আমরা একটি দায়িত্বশীল সরকারি দল তার প্রমাণ জনগণের সামনে রাখতে হবে। আসন্ন নির্বাচনকে সামনে রেখে আমরা এমন কিছু বলব না, করব না, যাতে আমাদের সম্পর্কে জনমনে বিভ্রান্তি বা সংশয় সৃষ্টি হয়। আর জনগণ যেন মনে না করে, আমরা সংঘাতের কোনো উসকানি দিচ্ছি। আমরা জেতা দল, আমরা জিতব ইনশা আল্লাহ। কয়েকটা মাস আমাদের ধৈর্য ও সহিষ্ণুতার পরিচয় দিতে হবে।’
বিভিন্ন সহযোগী সংগঠনের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের মধ্যে দূরত্ব দেখা গেছে, যা সমাধানের তাগিদ দেন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক। তিনি বলেন, ‘কারও কারও মধ্যে এ লক্ষণ দেখা যাচ্ছে। তা হলে আমরা বিকল্প ব্যবস্থা নেব। কারণ, আমাদের দলকে বিচ্ছিন্ন হতে দেব না। শেখ হাসিনার নেতৃত্বে ঐক্য ধরে রাখতে হবে। কোনো গ্যাপ থাকলে আলোচনা করে দূরত্ব ঘোচাতে হবে।’
এ সময় আগামীতে আওয়ামী লীগের সব সমাবেশের নাম হবে ‘শান্তি ও উন্নয়ন সমাবেশ’ বলে জানান ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেন, ‘আগামী ৩০ জুলাই আমাদের নেত্রী রংপুর যাবেন। আগস্ট মাসে তিনি ব্যাপকভাবে জেলা পর্যায়ে সমাবেশ করবেন। সেই সূচি তৈরি হচ্ছে। মহামারির কারণে গ্যাপ হয়ে গেছে। তাই নেত্রীরও জেলা পর্যায়ে যাওয়ার প্রয়োজন আছে।’
সেপ্টেম্বর থেকে নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা। এ সময় আওয়ামী লীগ শান্তিপূর্ণভাবে সতর্কতার সঙ্গে রাজপথে থাকবে বলে জানান কাদের। তিনি বলেন, ‘আমরা শান্তিপূর্ণ নির্বাচন চাই। শান্তিপূর্ণ নির্বাচনের জন্য শান্তিপূর্ণ পরিবেশ প্রয়োজন। সে পরিবেশ আমরা রক্ষা করব।’
এ সময় আগস্ট মাসে কৃষক সমাবেশ, ছাত্র সমাবেশ, শ্রমিক সমাবেশ, যুব সমাবেশ করার জন্য সহযোগী ও ভ্রাতৃপ্রতিম সংগঠনগুলোকে করার জন্য নির্দেশনা দেন ওবায়দুল কাদের।
১৮ জুলাই ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের আয়োজনে শান্তি ও উন্নয়নের শোভাযাত্রা করবে বলে জানান কাদের। তিনি বলেন, রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ার ইনস্টিটিউট থেকে বঙ্গবন্ধু ভবন পর্যন্ত শোভাযাত্রা অনুষ্ঠিত হবে। পরদিন ১৯ জুলাই ঢাকা মহানগর উত্তর শোভাযাত্রা করবে। এ সময় ঢাকা মহানগর উত্তরের পক্ষ থেকে সাতরাস্তা থেকে মহাখালী পর্যন্ত করার প্রস্তাব দেওয়া হয়। জবাবে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘ওই দিন কি ওদের (বিএনপি) যাত্রাপথে বিঘ্ন হবে?’ জবাবে উত্তরের সাধারণ সম্পাদক এস এম মান্নান কচি বলেন, ‘ওরা উত্তরা থেকে বাহাদুর শাহ পার্কে যাবে।’ পরে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘বাড্ডাতে করার প্রস্তাব দেন।’ এ সময় কচি বলেন, ‘ওই রাস্তাটা (সাতরাস্তা) ভালো।’ জবাবে কাদের বলেন, ‘ভালো এক কথা কিন্তু সংঘর্ষ যেন না হয়। মুখোমুখি বর্জন করতে হবে। রুটটা আমরা পরে নির্ধারণ করব।’
আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য বীরেন শিকদারের বিরুদ্ধে ইসরায়েলের নাগরিক মেন্দি সাফাদির সঙ্গে বৈঠক করার অভিযোগ উঠেছে, এ নিয়ে কোনো ব্যবস্থা দল নেবে কি না জানতে চাইলে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘এগুলো গুজব। আমাদের কাছে এ ধরনের কোনো তথ্য নেই।’
নতুন নির্বাচন কমিশনের দায়িত্ব গ্রহণকে স্বাগত জানিয়েছে বিএনপি। জনগণের প্রত্যাশা পূরণে নতুন কমিশন কাজ করবে বলেও আশা প্রকাশ করেছে দলটি
১২ ঘণ্টা আগেরাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিনের অপসারণ চেয়ে তাঁর নিয়োগ দেওয়া নতুন নির্বাচন কমিশন (ইসি) প্রত্যাখ্যান করেছে জাতীয় নাগরিক কমিটি। একই সঙ্গে নির্বাচন ব্যবস্থা সংস্কারের প্রাপ্ত প্রস্তাবের আলোকে নতুন আইনের অধীনে নতুন নির্বাচন কমিশন গঠনের দাবি জানিয়েছেন তারা
১৪ ঘণ্টা আগেড. কামাল হোসেন আর গণফোরামের সঙ্গে যুক্ত নন এবং তিনি রাজনীতি থেকে অবসর নিয়েছেন—বলে জানিয়েছেন নিজেকে গণফোরামের সভাপতি দাবি করা এবং সাবেক সংসদ সদস্য মফিজুল ইসলাম খান কামাল।
১ দিন আগেনতুন রাজনৈতিক বন্দোবস্ত বলতে তারা কী বোঝাচ্ছে? তাদের এই ধারণা স্পষ্ট করা উচিত। আমি জানতে চাই, তাদের নতুন রাজনৈতিক মীমাংসা আসলে কী? আমি এ বিষয়ে কোথাও কিছু লেখা নথিভুক্ত পাইনি। তাদের প্রস্তাব কী, সেটা স্পষ্ট নয়। আমাদের যে ধরনের রাজনীতি আমরা কল্পনা করি, তা আমাদের সংবিধানে স্পষ্টভাবে নথিভুক্ত।
২ দিন আগে