মো. মাসুম, টঙ্গিবাড়ী (মুন্সিগঞ্জ) প্রতিনিধি
বাপ-দাদারা জুতা সেলাই করতেন তাঁদের পরে আমিও একই পেশায় কাজ করছি। এই পেশায় কাজ করে পাঁচ সদস্যের পরিবার এখন আর চলে না। অন্য কোনো কাজও করতে পারি না। মানুষের এখন টাকা হয়ে গেছে, কেউ ছেঁড়া জুতা সেলাই করে পরে না। আমাদের কেউ সাহায্যও করে না। আক্ষেপের সঙ্গে এই কথাগুলো বলছিলেন ২০ বছর ধরে মুচি পেশায় নিয়োজিত মুন্সিগঞ্জের টঙ্গিবাড়ী উপজেলার বালিগাঁও বাজারের রঞ্জন দাস।
মুন্সিগঞ্জ জেলার টঙ্গিবাড়ী উপজেলার বিভিন্ন বাজারে রাস্তার পাশে দেখা যায় মুচি সম্প্রদায়ের লোকজনকে। ছেঁড়া জুতাকে চলার উপযোগী করে দিলেও তাঁদের ভাগ্যের নেই কোনো পরিবর্তন। খেয়ে না খেয়ে পরিবার-পরিজন নিয়ে কোনোরকমে চলছে তাঁদের জীবন।
উপজেলার বালিগাঁও বাজারের এক পাশে বসে থাকা বেশ কয়েকজন কর্মকার মুচি সম্প্রদায়ের সঙ্গে কথা হলে তাঁরা বলেন, ‘আমাদের মাঝে অনেকেই এই পেশা এখন ছেড়ে দিয়েছেন, সারা দিন কাজ করে ২০০ থেকে ৩০০ টাকা আয় হয়। এই টাকা দিয়ে কীভাবে পাঁচ থেকে ছয়জনের পরিবার চালাব।’
উপজেলার বড়লিয়া, বালিগাঁও ও দিঘিরপাড় দাসপাড়া এবং ঋষিবাড়ি এলাকার কয়েকজন মুচি সম্প্রদায়ের লোকের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, জুতা সেলাই কাজ করে এখন আর তাঁদের সংসার চলে না তাই অনেকেই এই পেশা ছেড়ে দিয়ে অন্য কাজ বেছে নিয়েছে। যারা ছোটবেলা থেকে এ কাজ করে আসছেন এখন অন্য কোনো কাজ করতে পারেন না শুধু তাঁরাই এখনো এই কাজ করছেন। এখন আর কেউ তাঁদের সন্তানদের এই কাজ শেখান না।
দিঘিরপাড় ঋষিবাড়ির জন্টু দাস বলেন, ‘৪০ বছর ধরে এই কাজ করে সংসার চালিয়েছি কিন্তু এখন আর পারছি না, সারা দিন কাজ করে বাড়িতে যাওয়ার সময় চাল-ডাল নিয়ে যেতে পারি না’
বালিগাঁও ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান হাজী দুলাল হোসেন বলেন, মুচি সম্প্রদায়ের বেশ কয়েকটি পরিবারকে সব সময় সরকারি সাহায্য সহযোগিতা করা হয়। যদি কেউ বাকি থাকে তাঁদেরও সহযোগিতার আওতায় আনা হবে।
বাপ-দাদারা জুতা সেলাই করতেন তাঁদের পরে আমিও একই পেশায় কাজ করছি। এই পেশায় কাজ করে পাঁচ সদস্যের পরিবার এখন আর চলে না। অন্য কোনো কাজও করতে পারি না। মানুষের এখন টাকা হয়ে গেছে, কেউ ছেঁড়া জুতা সেলাই করে পরে না। আমাদের কেউ সাহায্যও করে না। আক্ষেপের সঙ্গে এই কথাগুলো বলছিলেন ২০ বছর ধরে মুচি পেশায় নিয়োজিত মুন্সিগঞ্জের টঙ্গিবাড়ী উপজেলার বালিগাঁও বাজারের রঞ্জন দাস।
মুন্সিগঞ্জ জেলার টঙ্গিবাড়ী উপজেলার বিভিন্ন বাজারে রাস্তার পাশে দেখা যায় মুচি সম্প্রদায়ের লোকজনকে। ছেঁড়া জুতাকে চলার উপযোগী করে দিলেও তাঁদের ভাগ্যের নেই কোনো পরিবর্তন। খেয়ে না খেয়ে পরিবার-পরিজন নিয়ে কোনোরকমে চলছে তাঁদের জীবন।
উপজেলার বালিগাঁও বাজারের এক পাশে বসে থাকা বেশ কয়েকজন কর্মকার মুচি সম্প্রদায়ের সঙ্গে কথা হলে তাঁরা বলেন, ‘আমাদের মাঝে অনেকেই এই পেশা এখন ছেড়ে দিয়েছেন, সারা দিন কাজ করে ২০০ থেকে ৩০০ টাকা আয় হয়। এই টাকা দিয়ে কীভাবে পাঁচ থেকে ছয়জনের পরিবার চালাব।’
উপজেলার বড়লিয়া, বালিগাঁও ও দিঘিরপাড় দাসপাড়া এবং ঋষিবাড়ি এলাকার কয়েকজন মুচি সম্প্রদায়ের লোকের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, জুতা সেলাই কাজ করে এখন আর তাঁদের সংসার চলে না তাই অনেকেই এই পেশা ছেড়ে দিয়ে অন্য কাজ বেছে নিয়েছে। যারা ছোটবেলা থেকে এ কাজ করে আসছেন এখন অন্য কোনো কাজ করতে পারেন না শুধু তাঁরাই এখনো এই কাজ করছেন। এখন আর কেউ তাঁদের সন্তানদের এই কাজ শেখান না।
দিঘিরপাড় ঋষিবাড়ির জন্টু দাস বলেন, ‘৪০ বছর ধরে এই কাজ করে সংসার চালিয়েছি কিন্তু এখন আর পারছি না, সারা দিন কাজ করে বাড়িতে যাওয়ার সময় চাল-ডাল নিয়ে যেতে পারি না’
বালিগাঁও ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান হাজী দুলাল হোসেন বলেন, মুচি সম্প্রদায়ের বেশ কয়েকটি পরিবারকে সব সময় সরকারি সাহায্য সহযোগিতা করা হয়। যদি কেউ বাকি থাকে তাঁদেরও সহযোগিতার আওতায় আনা হবে।
ভোরের আলো ফোটার আগেই রাজধানীর আজিমপুর বাসস্ট্যান্ড সংলগ্ন শ্রমজীবীদের হাটে জড়ো হন শত শত শ্রমজীবী মানুষ। বিভিন্ন বয়সের পুরুষ ও নারী শ্রমিকেরা এই হাটে প্রতিদিন ভিড় করেন একটু কাজ পাওয়ার আশায়। তবে দিন যত যাচ্ছে, তাঁদের জীবনের লড়াই ততই কঠিন হয়ে উঠছে। দ্রব্যমূল্যের লাগামহীন ঊর্ধ্বগতি তাঁদের জীবনকে দুর্বিষ
২৬ অক্টোবর ২০২৪ফেলুদার দার্জিলিং জমজমাট বইয়ে প্রথম পরিচয় দার্জিলিংয়ের সঙ্গে। তারপর অঞ্জন দত্তের গানসহ আরও নানাভাবে হিল স্টেশনটির প্রতি এক ভালোবাসা তৈরি হয়। তাই প্রথমবার ভারত সফরে ওটি, শিমলা, মসুরির মতো লোভনীয় হিল স্টেশনগুলোকে বাদ দিয়ে দার্জিলিংকেই বেছে নেই। অবশ্য আজকের গল্প পুরো দার্জিলিং ভ্রমণের নয়, বরং তখন পরিচয়
২৩ অক্টোবর ২০২৪কথায় আছে না—‘ঘরপোড়া গরু, সিঁদুরেমেঘ দেখলেই ডরায়’! আমার হইছে এই অবস্থা। বাড়িতে এখন বাড়িআলী, বয়স্ক বাপ-মা আর ছোট মেয়ে। সকাল থেকে চার-পাঁচবার কতা বলিচি। সংসার গোচাচ্ছে। আইজকা সন্ধ্যার দিকে ঝড় আসপি শুনতিছি। চিন্তায় রাতে ভালো ঘুমাতে পারিনি...
২৬ মে ২০২৪প্রতিদিন ভোরে ট্রেনের হুইসেলে ঘুম ভাঙে রাকিব হাসানের। একটু একটু করে গড়ে ওঠা রেলপথ নির্মাণকাজ তাঁর চোখে দেখা। এরপর রেলপথে ট্রেন ছুটে চলা, ট্রেন ছুঁয়ে দেখা—সবই হলো; কিন্তু এখনো হয়নি চড়া। রাকিবের মুখে তাই ভারতীয় সংগীতশিল্পী হৈমন্তী শুক্লার বিখ্যাত গান। ‘আমার বলার কিছু ছিল না, চেয়ে চেয়ে দেখলাম, তুমি চলে
১১ ফেব্রুয়ারি ২০২৪