অনলাইন ডেস্ক
টার্ডিগ্রেড একটি আণুবীক্ষণিক প্রাণী। দেখতে আট পা বিশিষ্ট ক্ষুদ্র ভালুকের মতো। বিশ্বব্যাপী টার্ডিগ্রেডের প্রায় ১ হাজার ৩০০ প্রজাতি পাওয়া যায়।
এই ক্ষুদ্র প্রাণীর বিশেষ বৈশিষ্ট্য হলো—এরা সহজে মরে না। চরম প্রতিকূল পরিবেশেও দিব্যি বেঁচে থাকে। এমনকি খাবার বা পানি ছাড়াই ৩০ বছর পর্যন্ত বেঁচে থাকতে পারে টার্ডিগ্রেড।
১৭৭৩ সালে জার্মান যাজক জে. এ. ই গোয়েজ প্রথমবার টার্ডিগ্রেডের বর্ণনা দেন। এই প্রাণীকে ‘জল ভালুক’ আখ্যা দেন তিনি।
টার্ডিগ্রেডকে জলজ প্রাণী হিসেবে বিবেচনা করা হয়, কারণ পানিশূন্যতা প্রতিরোধে এর দেহের চারপাশে পানির একটি পাতলা স্তরের প্রয়োজন হয়। এই প্রাণীকে গভীর সমুদ্র থেকে শুরু করে বালির টিলা পর্যন্ত—সব ধরনের পরিবেশেই পাওয়া যায়। মিঠা পানির শেওলা এবং শৈবাল তাদের পছন্দের আবাসস্থল।
প্রাণীদের একটি অভিজাত শ্রেণি এক্সট্রিমোফাইলের অন্তর্ভুক্ত টার্ডিগ্রেড। এই শ্রেণির প্রাণীরা এমন পরিবেশে বেঁচে থাকতে পারে, যে পরিবেশে যে কোনো প্রাণীর বেঁচে থাকা প্রায় অসম্ভব। এরা চরম তাপমাত্রা, মারাত্মক তেজস্ক্রিয় বিকিরণ, লবণাক্ততা বা অম্লীয় পরিবেশে টিকে থাকতে পারে।
টার্ডিগ্রেড ০ ডিগ্রি সেলসিয়াস থেকে ১০০ ডিগ্রি সেলসিয়াসেরও বেশি তাপমাত্রায় বেঁচে থাকতে পারে। এ ছাড়া, মহাসাগরের গভীরতম স্থানে ভয়ানক চাপ সামলে বেঁচে থাকতে পারে। এমনকি মহাশূন্য, যেখানে তাপমাত্রা হিমাঙ্কের নিচে, অভিকর্ষজ বল শূন্য এবং তীব্র তেজস্ক্রিয় বিকিরণে মুহূর্তের মধ্যে মৃত্যু নিশ্চিত, সেখানেও টিকে থাকতে সক্ষম টার্ডিগ্রেড।
একটি ইউরোপীয় গবেষক দল ফোটন-এম ৩ নামক এক রকেটের মাধ্যমে ১০ দিনের জন্য একদল জীবন্ত টার্ডিগ্রেড পৃথিবীর কক্ষপথে প্রদক্ষিণ করতে পাঠিয়েছিল। ইসরায়েলি মহাকাশযান ‘বেরেশিট’ হাজার হাজার টার্ডিগ্রেড বহন করছিল। ২০১৯ সালের এপ্রিলে চাঁদে অবতরণের আগ মুহূর্তে মহাকাশযানটি বিধ্বস্ত হয়।
টার্ডিগ্রেডের এত সহনশীলতার আংশিক কারণ তাদের দেহে থাকা ‘ডিসাপ’ নামক একটি প্রোটিন। এই প্রোটিন তাদের ডিএনএকে ‘আয়োনাইজিং বিকিরণ’ থেকে রক্ষা করে থাকে। টার্ডিগ্রেডের বেঁচে থাকার আরেকটি আশ্চর্যজনক কৌশল হলো—এটি শুষ্ক পরিবেশে নিষ্ক্রিয় হয়ে পড়ে। এই নিষ্ক্রিয় হয়ে পড়াকে বলা হয় ‘ক্রিপ্টোবায়োসিস’। এ অবস্থায় তারা শরীর থেকে সমস্ত পানি বের করে মাথা এবং অঙ্গ–প্রত্যঙ্গ গুটিয়ে নিয়ে ছোট বলের মতো আকার নিয়ে গভীর ঘুমে চলে যায়। পরিবেশের উন্নতি হলে আগের রূপে ফিরে আসে।
দেখতে নরম হলেও টার্ডিগ্রেড মূলত বেশ শক্ত ত্বক দিয়ে আচ্ছাদিত। এই ত্বক ফড়িং, প্রেয়িং ম্যান্টিস এবং অন্যান্য পোকামাকড়ের বহিরাংশের মতো। টার্ডিগ্রেডের প্রতিটি পায়ে চার থেকে ছয়টি নখর থাকে। এর মাধ্যমে এরা উদ্ভিদকে আঁকড়ে ধরে রাখতে পারে। মুখের একটি বিশেষ অংশকে বলা হয় ‘বুকো ফ্যারিঞ্জিয়াল’, এর মাধ্যমে টার্ডিগ্রেড উদ্ভিদ এবং অণুজীব থেকে পুষ্টি গ্রহণ করে।
আমেরিকান মিউজিয়াম অব ন্যাচারাল হিস্ট্রির তথ্য মতে, টার্ডিগ্রেড পৃথিবীতে প্রায় ৬০ কোটি বছর ধরে বেঁচে রয়েছে। যেখানে ধারণা করা হয়, ডাইনোসরের জন্ম হয়েছিল প্রায় ৪০ কোটি বছর আগে।
টার্ডিগ্রেড একটি আণুবীক্ষণিক প্রাণী। দেখতে আট পা বিশিষ্ট ক্ষুদ্র ভালুকের মতো। বিশ্বব্যাপী টার্ডিগ্রেডের প্রায় ১ হাজার ৩০০ প্রজাতি পাওয়া যায়।
এই ক্ষুদ্র প্রাণীর বিশেষ বৈশিষ্ট্য হলো—এরা সহজে মরে না। চরম প্রতিকূল পরিবেশেও দিব্যি বেঁচে থাকে। এমনকি খাবার বা পানি ছাড়াই ৩০ বছর পর্যন্ত বেঁচে থাকতে পারে টার্ডিগ্রেড।
১৭৭৩ সালে জার্মান যাজক জে. এ. ই গোয়েজ প্রথমবার টার্ডিগ্রেডের বর্ণনা দেন। এই প্রাণীকে ‘জল ভালুক’ আখ্যা দেন তিনি।
টার্ডিগ্রেডকে জলজ প্রাণী হিসেবে বিবেচনা করা হয়, কারণ পানিশূন্যতা প্রতিরোধে এর দেহের চারপাশে পানির একটি পাতলা স্তরের প্রয়োজন হয়। এই প্রাণীকে গভীর সমুদ্র থেকে শুরু করে বালির টিলা পর্যন্ত—সব ধরনের পরিবেশেই পাওয়া যায়। মিঠা পানির শেওলা এবং শৈবাল তাদের পছন্দের আবাসস্থল।
প্রাণীদের একটি অভিজাত শ্রেণি এক্সট্রিমোফাইলের অন্তর্ভুক্ত টার্ডিগ্রেড। এই শ্রেণির প্রাণীরা এমন পরিবেশে বেঁচে থাকতে পারে, যে পরিবেশে যে কোনো প্রাণীর বেঁচে থাকা প্রায় অসম্ভব। এরা চরম তাপমাত্রা, মারাত্মক তেজস্ক্রিয় বিকিরণ, লবণাক্ততা বা অম্লীয় পরিবেশে টিকে থাকতে পারে।
টার্ডিগ্রেড ০ ডিগ্রি সেলসিয়াস থেকে ১০০ ডিগ্রি সেলসিয়াসেরও বেশি তাপমাত্রায় বেঁচে থাকতে পারে। এ ছাড়া, মহাসাগরের গভীরতম স্থানে ভয়ানক চাপ সামলে বেঁচে থাকতে পারে। এমনকি মহাশূন্য, যেখানে তাপমাত্রা হিমাঙ্কের নিচে, অভিকর্ষজ বল শূন্য এবং তীব্র তেজস্ক্রিয় বিকিরণে মুহূর্তের মধ্যে মৃত্যু নিশ্চিত, সেখানেও টিকে থাকতে সক্ষম টার্ডিগ্রেড।
একটি ইউরোপীয় গবেষক দল ফোটন-এম ৩ নামক এক রকেটের মাধ্যমে ১০ দিনের জন্য একদল জীবন্ত টার্ডিগ্রেড পৃথিবীর কক্ষপথে প্রদক্ষিণ করতে পাঠিয়েছিল। ইসরায়েলি মহাকাশযান ‘বেরেশিট’ হাজার হাজার টার্ডিগ্রেড বহন করছিল। ২০১৯ সালের এপ্রিলে চাঁদে অবতরণের আগ মুহূর্তে মহাকাশযানটি বিধ্বস্ত হয়।
টার্ডিগ্রেডের এত সহনশীলতার আংশিক কারণ তাদের দেহে থাকা ‘ডিসাপ’ নামক একটি প্রোটিন। এই প্রোটিন তাদের ডিএনএকে ‘আয়োনাইজিং বিকিরণ’ থেকে রক্ষা করে থাকে। টার্ডিগ্রেডের বেঁচে থাকার আরেকটি আশ্চর্যজনক কৌশল হলো—এটি শুষ্ক পরিবেশে নিষ্ক্রিয় হয়ে পড়ে। এই নিষ্ক্রিয় হয়ে পড়াকে বলা হয় ‘ক্রিপ্টোবায়োসিস’। এ অবস্থায় তারা শরীর থেকে সমস্ত পানি বের করে মাথা এবং অঙ্গ–প্রত্যঙ্গ গুটিয়ে নিয়ে ছোট বলের মতো আকার নিয়ে গভীর ঘুমে চলে যায়। পরিবেশের উন্নতি হলে আগের রূপে ফিরে আসে।
দেখতে নরম হলেও টার্ডিগ্রেড মূলত বেশ শক্ত ত্বক দিয়ে আচ্ছাদিত। এই ত্বক ফড়িং, প্রেয়িং ম্যান্টিস এবং অন্যান্য পোকামাকড়ের বহিরাংশের মতো। টার্ডিগ্রেডের প্রতিটি পায়ে চার থেকে ছয়টি নখর থাকে। এর মাধ্যমে এরা উদ্ভিদকে আঁকড়ে ধরে রাখতে পারে। মুখের একটি বিশেষ অংশকে বলা হয় ‘বুকো ফ্যারিঞ্জিয়াল’, এর মাধ্যমে টার্ডিগ্রেড উদ্ভিদ এবং অণুজীব থেকে পুষ্টি গ্রহণ করে।
আমেরিকান মিউজিয়াম অব ন্যাচারাল হিস্ট্রির তথ্য মতে, টার্ডিগ্রেড পৃথিবীতে প্রায় ৬০ কোটি বছর ধরে বেঁচে রয়েছে। যেখানে ধারণা করা হয়, ডাইনোসরের জন্ম হয়েছিল প্রায় ৪০ কোটি বছর আগে।
সেলিব্রিটি শেফ বা ইতালি নানিরা যা কখনোই কল্পনা করতে পারেননি তাই তৈরি করে দেখালেন যুক্তরাজ্যের ইউনিভার্সিটি কলেজ লন্ডনের গবেষকেরা। বিশ্বের সবচেয়ে পাতলা স্প্যাগেটি তৈরি করলেন তাঁরা। গবেষকেরা এমন এক স্টার্চ ন্যানোফাইবারের তৈরি স্প্যাগেটি তৈরি করেছে, যা মাত্র ৩৭২ ন্যানোমিটার চওড়া। চুলের চেয়ে ২০০ গুণ পাত
২ দিন আগেপ্রথমবারের মতো মিল্কিওয়ে গ্যালাক্সি বা আকাশগঙ্গা ছায়াপথের বাইরে একটি নক্ষত্রের মৃত্যুর মুহূর্তের ছবি তুলতে সক্ষম হয়েছেন বিজ্ঞানীরা। ছবিতে সুপারনোভা বিস্ফোরণের আগের পরিস্থিতি তুলে ধরেছে। ছবিতে নক্ষত্রটিকে অদ্ভুত ডিম আকারের কোকুনের (রেশমগুটি) মতো দেখা যায়।
২ দিন আগেআমাদের অনেকেরই অফিসে কাজ করতে গিয়ে দীর্ঘসময় বসে থাকতে হয়। আর দিনের একটা বড় সময় বসে থাকাটা বাড়ায় হৃৎপিণ্ডের রোগের ঝুঁকি। এমনকি অবসর সময়ে শরীরচর্চা করেও এই ক্ষতিকর প্রভাব থেকে রেহাই মিলবে না। এসব তথ্য উঠে এসেছে নতুন এক গবেষণায়।
৫ দিন আগেবিজ্ঞানীরা বলছেন, জিপিএসের সাহায্য ছাড়াই এআই ব্যবহারের মাধ্যমে ব্যাকটেরিয়া থেকে কোনো ব্যক্তির সাম্প্রতিক অবস্থান চিহ্নিত করা যাবে।
১১ দিন আগে