অনলাইন ডেস্ক
কথোপকথন বা একজনের কথায় আরেকজনের জবাব শুধু মানুষের মধ্যেই যে সীমাবদ্ধ তা নয়। শিম্পাঞ্জিরা সাধারণত শব্দের চেয়ে অঙ্গভঙ্গি পছন্দ করলেও তাদের ধারণার আদান-প্রদান মানুষের মতোই দ্রুত হয় এবং একই রকম সাংস্কৃতিক নিদর্শন প্রতিফলিত করে। একটি নতুন গবেষণায় বেরিয়ে এসেছে এসব তথ্য।
বন্য পূর্ব আফ্রিকান শিম্পাঞ্জিদের নিজেদের মধ্যে ইশারার আদান-প্রদান পর্যবেক্ষণ করেছেন আন্তর্জাতিক গবেষকদের একটি দল। এক সেকেন্ড পর্যন্ত বিরতির পরে প্রতিক্রিয়া পেয়েছেন তাঁরা অপর পক্ষের কাছ থেকে। কিছু প্রতিক্রিয়া বলা চলে ছিল তাৎক্ষণিক। মানুষের উত্তপ্ত আলোচনার সময় যেমনটি ঘটে, তেমন শিম্পাঞ্জিদের একে অপরের প্রতিক্রিয়ায় বাধা দিতে দেখা যায়।
এসব তথ্য জানা যায় বিজ্ঞানভিত্তিক ওয়েবসাইট সায়েন্স অ্যালার্ট ডট কমের এক প্রতিবেদন থেকে।
‘আমরা দেখেছি যে শিম্পাঞ্জির অঙ্গভঙ্গি মানুষের কথোপকথনে প্রতিক্রিয়া জানানোর মতোই এবং খুব দ্রুত। এটি ধারণা দেয় মানুষের মতো একই ধরনের বিবর্তনের প্রক্রিয়াগুলি এদের সামাজিক, যোগাযোগমূলক মিথস্ক্রিয়াকে চালিত করছে।’ ব্যাখ্যা করেন গবেষণাপত্রের মূল লেখক এবং যুক্তরাজ্যের ইউনিভার্সিটি অব সেন্ট অ্যান্ড্রিউজের প্রাণিবিদ গাল বাদিহি।
এই গবেষণা প্রকাশিত হয়েছিল কারেন্ট বায়োলজি জার্নালে।
২৫২টি শিম্পাঞ্জির ৮ হাজার ৫০০টিরও বেশি অঙ্গভঙ্গি পরীক্ষা করে বাদিহি ও তাঁর সহকর্মীরা শিম্পাঞ্জিদের কার্যকলাপের মধ্যে মানুষের যোগাযোগের মতো বিষয় আবিষ্কার করেন। তেমনি তাদের বিভিন্ন দলের মধ্যে যোগাযোগের পার্থক্যও বেরিয়ে আসে।
‘আমরা বিভিন্ন শিম্পাঞ্জি সম্প্রদায়ের মধ্যে সামান্য পার্থক্য দেখেছি, যা আবার আমরা মানুষের বেলায়ও দেখি, যেখানে কথোপকথনের গতিতে সামান্য সাংস্কৃতিক বৈচিত্র্য রয়েছে। কিছু সংস্কৃতিতে এটি ধীরগতির, কোথাও আবার দ্রুত।’ বলেন বাদিহি।
গবেষকেরা আবিষ্কার করেন, উগান্ডার কানিয়াওয়ারা শিম্পাঞ্জিরা ‘কথোপকথনে’ দ্রুত। এদিকে কাছের বুদঙ্গো জঙ্গলে বাস করা সনসো শিম্পাঞ্জিদের বেলায় আবার এটা কিছুটা ধীর।
‘মানুষের কথা বিবেচনা করলে ড্যানিশরা জবাব দেওয়ার বেলায় ধীর। পূর্ব আফ্রিকার শিম্পাঞ্জিদের বিবেচনায় আনলে একই কথা খাটে উগান্ডার সনসোদের বেলায়।’ বলেন ইউনিভার্সিটি অব সেন্ট অ্যান্ড্রিউজের প্রাণিবিদ ক্যাথেরিন হোবেইটার।
পূর্ববর্তী বিভিন্ন গবেষণা মানুষের যোগাযোগের সঙ্গে এই প্রাণীদের যোগাযোগের আরও মিল চিহ্নিত করেছে। আমাদের শব্দগুলো একত্রে অর্থবোধক বাক্য তৈরি করে। এদিকে শিম্পাঞ্জিরা অর্থের দীর্ঘ ক্রম তৈরি করতে সংক্ষিপ্ত ঘন ঘন অঙ্গভঙ্গি ব্যবহার করে।
গবেষকেরা এই শিম্পাঞ্জিরা একে অপরকে কী বলছে, সে সম্পর্কে আরও জানতে আগ্রহী। তাঁদের অনুমান, অনেক অঙ্গভঙ্গি অনুরোধ হতে পারে। গবেষকেরা ইতিমধ্যে ‘চলো খেলি’ অঙ্গভঙ্গির ৫৮টি ভিন্ন সংস্করণ চিহ্নিত করেছেন, যা অরণ্যে বাস করা শিম্পাঞ্জিরা ব্যবহার করে।
‘এই যোগাযোগ শিম্পাঞ্জিদের সংঘাত এড়াতে এবং একে অপরকে সাহায্য করতে কাজে লাগে। তাদের অঙ্গভঙ্গি বা ইশারা অল্প দূরত্বে যোগাযোগে সাহায্য করে।’ সংবাদ সংস্থা পিএকে বলেন বাদিহি।
তিনি বলেন, ‘কাজেই, একটি শিম্পাঞ্জি হয়তো অপরটির কাছে ইশারায় খাবার চাইছে, সে তখন তাকে খাবার দিচ্ছে। আবার একটু কম উদার হলে হয়তো চলে যাওয়ার ইঙ্গিত দিয়ে প্রতিক্রিয়া জানাচ্ছে।’
একটি পর্যবেক্ষণে মনিকা নামে এক শিম্পাঞ্জি উরসাস নামের একটি শিম্পাঞ্জির সঙ্গে মারামারির পর হাত বাড়িয়ে দিতে দেখা যায় তার দিকে। উরসাস বিনিময়ে একটি টোকা দেয় সম্মতি হিসেবে। কীভাবে অঙ্গভঙ্গি সম্প্রীতি পুনঃপ্রতিষ্ঠা করতে ব্যবহার করা যেতে পারে, এটি তার উদাহরণ।
শিম্পাঞ্জি ও মানুষের ভাষার মধ্যে এখনো অনেক সুস্পষ্ট পার্থক্য রয়েছে। তবে এই গবেষণা প্রমাণ করে, একই রকম নিয়ম উভয়ের বেলাতেই দেখা যায়।
কথোপকথন বা একজনের কথায় আরেকজনের জবাব শুধু মানুষের মধ্যেই যে সীমাবদ্ধ তা নয়। শিম্পাঞ্জিরা সাধারণত শব্দের চেয়ে অঙ্গভঙ্গি পছন্দ করলেও তাদের ধারণার আদান-প্রদান মানুষের মতোই দ্রুত হয় এবং একই রকম সাংস্কৃতিক নিদর্শন প্রতিফলিত করে। একটি নতুন গবেষণায় বেরিয়ে এসেছে এসব তথ্য।
বন্য পূর্ব আফ্রিকান শিম্পাঞ্জিদের নিজেদের মধ্যে ইশারার আদান-প্রদান পর্যবেক্ষণ করেছেন আন্তর্জাতিক গবেষকদের একটি দল। এক সেকেন্ড পর্যন্ত বিরতির পরে প্রতিক্রিয়া পেয়েছেন তাঁরা অপর পক্ষের কাছ থেকে। কিছু প্রতিক্রিয়া বলা চলে ছিল তাৎক্ষণিক। মানুষের উত্তপ্ত আলোচনার সময় যেমনটি ঘটে, তেমন শিম্পাঞ্জিদের একে অপরের প্রতিক্রিয়ায় বাধা দিতে দেখা যায়।
এসব তথ্য জানা যায় বিজ্ঞানভিত্তিক ওয়েবসাইট সায়েন্স অ্যালার্ট ডট কমের এক প্রতিবেদন থেকে।
‘আমরা দেখেছি যে শিম্পাঞ্জির অঙ্গভঙ্গি মানুষের কথোপকথনে প্রতিক্রিয়া জানানোর মতোই এবং খুব দ্রুত। এটি ধারণা দেয় মানুষের মতো একই ধরনের বিবর্তনের প্রক্রিয়াগুলি এদের সামাজিক, যোগাযোগমূলক মিথস্ক্রিয়াকে চালিত করছে।’ ব্যাখ্যা করেন গবেষণাপত্রের মূল লেখক এবং যুক্তরাজ্যের ইউনিভার্সিটি অব সেন্ট অ্যান্ড্রিউজের প্রাণিবিদ গাল বাদিহি।
এই গবেষণা প্রকাশিত হয়েছিল কারেন্ট বায়োলজি জার্নালে।
২৫২টি শিম্পাঞ্জির ৮ হাজার ৫০০টিরও বেশি অঙ্গভঙ্গি পরীক্ষা করে বাদিহি ও তাঁর সহকর্মীরা শিম্পাঞ্জিদের কার্যকলাপের মধ্যে মানুষের যোগাযোগের মতো বিষয় আবিষ্কার করেন। তেমনি তাদের বিভিন্ন দলের মধ্যে যোগাযোগের পার্থক্যও বেরিয়ে আসে।
‘আমরা বিভিন্ন শিম্পাঞ্জি সম্প্রদায়ের মধ্যে সামান্য পার্থক্য দেখেছি, যা আবার আমরা মানুষের বেলায়ও দেখি, যেখানে কথোপকথনের গতিতে সামান্য সাংস্কৃতিক বৈচিত্র্য রয়েছে। কিছু সংস্কৃতিতে এটি ধীরগতির, কোথাও আবার দ্রুত।’ বলেন বাদিহি।
গবেষকেরা আবিষ্কার করেন, উগান্ডার কানিয়াওয়ারা শিম্পাঞ্জিরা ‘কথোপকথনে’ দ্রুত। এদিকে কাছের বুদঙ্গো জঙ্গলে বাস করা সনসো শিম্পাঞ্জিদের বেলায় আবার এটা কিছুটা ধীর।
‘মানুষের কথা বিবেচনা করলে ড্যানিশরা জবাব দেওয়ার বেলায় ধীর। পূর্ব আফ্রিকার শিম্পাঞ্জিদের বিবেচনায় আনলে একই কথা খাটে উগান্ডার সনসোদের বেলায়।’ বলেন ইউনিভার্সিটি অব সেন্ট অ্যান্ড্রিউজের প্রাণিবিদ ক্যাথেরিন হোবেইটার।
পূর্ববর্তী বিভিন্ন গবেষণা মানুষের যোগাযোগের সঙ্গে এই প্রাণীদের যোগাযোগের আরও মিল চিহ্নিত করেছে। আমাদের শব্দগুলো একত্রে অর্থবোধক বাক্য তৈরি করে। এদিকে শিম্পাঞ্জিরা অর্থের দীর্ঘ ক্রম তৈরি করতে সংক্ষিপ্ত ঘন ঘন অঙ্গভঙ্গি ব্যবহার করে।
গবেষকেরা এই শিম্পাঞ্জিরা একে অপরকে কী বলছে, সে সম্পর্কে আরও জানতে আগ্রহী। তাঁদের অনুমান, অনেক অঙ্গভঙ্গি অনুরোধ হতে পারে। গবেষকেরা ইতিমধ্যে ‘চলো খেলি’ অঙ্গভঙ্গির ৫৮টি ভিন্ন সংস্করণ চিহ্নিত করেছেন, যা অরণ্যে বাস করা শিম্পাঞ্জিরা ব্যবহার করে।
‘এই যোগাযোগ শিম্পাঞ্জিদের সংঘাত এড়াতে এবং একে অপরকে সাহায্য করতে কাজে লাগে। তাদের অঙ্গভঙ্গি বা ইশারা অল্প দূরত্বে যোগাযোগে সাহায্য করে।’ সংবাদ সংস্থা পিএকে বলেন বাদিহি।
তিনি বলেন, ‘কাজেই, একটি শিম্পাঞ্জি হয়তো অপরটির কাছে ইশারায় খাবার চাইছে, সে তখন তাকে খাবার দিচ্ছে। আবার একটু কম উদার হলে হয়তো চলে যাওয়ার ইঙ্গিত দিয়ে প্রতিক্রিয়া জানাচ্ছে।’
একটি পর্যবেক্ষণে মনিকা নামে এক শিম্পাঞ্জি উরসাস নামের একটি শিম্পাঞ্জির সঙ্গে মারামারির পর হাত বাড়িয়ে দিতে দেখা যায় তার দিকে। উরসাস বিনিময়ে একটি টোকা দেয় সম্মতি হিসেবে। কীভাবে অঙ্গভঙ্গি সম্প্রীতি পুনঃপ্রতিষ্ঠা করতে ব্যবহার করা যেতে পারে, এটি তার উদাহরণ।
শিম্পাঞ্জি ও মানুষের ভাষার মধ্যে এখনো অনেক সুস্পষ্ট পার্থক্য রয়েছে। তবে এই গবেষণা প্রমাণ করে, একই রকম নিয়ম উভয়ের বেলাতেই দেখা যায়।
যুক্তরাষ্ট্রে উচ্চ বিদ্যালয়ে পড়া দুই ছাত্রী এমন একটি গাণিতিক সমস্যার সমাধান করেছেন, যা এত দিন প্রায় অসম্ভব বলে মনে করতেন অনেকে। ২০২২ সালে ত্রিকোণমিতি ব্যবহার করে পিথাগোরাসের তত্ত্ব প্রমাণ করে আলোচনায় আসে ক্যালসিয়া জনসন ও নে’কিয়া জ্যাকসন। এই অর্জন এবার বিজ্ঞান সাময়িকী ‘আমেরিকান ম্যাথেমেটিক্যাল মান্থল
২০ ঘণ্টা আগেসমুদ্রতীরে কাঁকড়ার চলাফেরা খেয়াল করলে দেখা যায়, এরা কখনো এদের সম্মুখের দিকে হাঁটে না! এরা সরাসরি সামনে হাঁটার পরিবর্তে দ্রুতগতিতে এক কাত হয়ে হাঁটে। যেখানে মানুষের জন্য ডান বা বাম দিকে একপাশে হাঁটা খুব কঠিন।
৩ দিন আগেনিজের যৌবন ধরে রাখতে বিভিন্ন পন্থা অবলম্বন করেন প্রযুক্তি ধনকুব ব্রায়ান জনসন। সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে নিজের চুলের চমকপ্রদ পরিবর্তন শেয়ার করেন। ৪৬ বছর বয়সী এই ব্যক্তি এক বছরের কম সময় নিজের চুল পড়া রোধ করেছেন ও চুলের প্রাকৃতিক রঙ পুনরুদ্ধার করেছেন।
৬ দিন আগেপ্রত্নতাত্ত্বিকেরা ধূমপানের উল্লেখযোগ্য স্থায়ী পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া আবিষ্কার করেছেন। তাঁদের গবেষণায় বেরিয়ে এসেছে, তামাক ধূমপায়ীদের হাড়ে যে চিহ্ন তৈরি করে—তা কেবল তাদের জীবিতাবস্থায় নয়, মৃত্যুর পরেও বহু শতাব্দী ধরে রয়ে যায়।
১২ দিন আগে