অনলাইন ডেস্ক
একটি প্রতিষ্ঠিত ধারণা হলো, প্রত্যেক মানুষের আঙুলের ছাপ অনন্য। এ কারণেই বিভিন্ন ইলেকট্রনিক ডিভাইসের নিরাপত্তা এবং অপরাধী শনাক্তে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী সাধারণত বৃদ্ধাঙ্গুল অথবা তর্জনীর ছাপের ওপর ভরসা করে থাকে। শুধু তাই নয়, একই মানুষের প্রতিটি আঙুলেরও ছাপ আলাদা বলে মনে করা হয়।
কিন্তু নতুন এক কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) প্রযুক্তি আবিষ্কার করেছে, প্রত্যেকটি আঙুলের ছাপ অনন্য, প্রচলিত এ ধারণা সঠিক নয়। নতুন প্রযুক্তিটি ব্যবহার করে গবেষকেরা দেখেছেন, একজন মানুষের বিভিন্ন আঙুলের ছাপের মধ্যে মিল রয়েছে।
প্রচলিত ধারণা অনুযায়ী, একজন মানুষের তর্জনীর সঙ্গে অনামিকার ছাপে খুবই সামান্য মিল রয়েছে। এই অমিলের কারণেই অপরাধী শনাক্তে এই ‘ইন্ট্রা–পারসন ফিঙ্গারপ্রিন্ট’ বা একই ব্যক্তির বিভিন্ন আঙুলের ছাপের প্রভাব অনেক। উদাহরণস্বরূপ, যদি একজন অপরাধী বিভিন্ন অপরাধ সংঘটনের স্থানে বিভিন্ন আঙুলের ছাপ রেখে যায়, তাহলে পুলিশের পক্ষে একজন ব্যক্তির সঙ্গে ঘটনাগুলো সম্পর্কিত করা কঠিন হয়ে পড়ে।
একটি নতুন ‘ডিপ কনট্রাস্টিভ নেটওয়ার্ক’ কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা প্রযুক্তি তৈরি করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের কলাম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজ্ঞানীরা। ভবিষ্যতে অপরাধী ধরতে এটি বড় ভূমিকা রাখতে পারে। এই মডেলটিকে ৬০ হাজার ফিঙ্গারপ্রিন্টের ডেটাবেইসের মাধ্যমে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়।
গবেষকেরা বলছেন, দুটি আলাদা আঙুলের ছাপ একই মানুষের কি না তা মডেলটি ৭৭ শতাংশ নির্ভুলভাবে অনুমান করতে পারে। বর্তমানের ফরেনসিক মেডিসিন বিভাগের দক্ষতা দশগুণেরও বেশি বাড়িয়ে দিতে পারে এই উদ্ভাবন।
কলাম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনিয়র ইঞ্জিনিয়ার অ্যানিভ রে বলেন, ‘একবার ভেবে দেখুন, এআই মডেলটিকে লাখ লাখ আঙুলের ছাপের ডেটা দিয়ে প্রশিক্ষণ দেওয়া হলে, এটি কতটা নির্ভুলভাবে কাজ করবে!’
গবেষণার তত্ত্বাবধানকারী ডা. হড লিপসন বলেন, ‘যদি এই গবেষণার ফলাফল সঠিক হয়, তবে পুরোনো মামলাগুলো আবার সচল করা যেতে পারে। এমনকি নির্দোষ মানুষ খালাসও পেতে পারে।’
তাহলে এআই এমন কী বিষয় লক্ষ্য করল যেটি কয়েক দশকেও ফরেনসিক বিজ্ঞানীদের নজরে পড়েনি? প্রথাগতভাবে ফিঙ্গারপ্রিন্ট শনাক্ত করতে আঙুলের রিজের (আঙুলের নিচের অংশের উঁচু রেখা) শাখা ও শেষ প্রান্তগুলোর মধ্যে মিল দেখে চিহ্নিত করা হয়। তবে এআই এই পদ্ধতি অনুসরণ করে না। এটি রেখাগুলোর স্পর্শ কোণ ও বক্রতা এবং কেন্দ্রে রেখার ফাঁসের (লুপ) ওপর গুরুত্ব দেয়।
লিপসন বলেন, অনেকেই মনে করেন, এআই নতুন কিছু আবিষ্কার করতে পারে না। এটি শুধু আগের জ্ঞানই সামনে নিয়ে আসে। একটি সাধারণ এআইকে উপযুক্ত ডেটাবেইস দেওয়া হলে এটি কয়েক দশক ধরে বিশেষজ্ঞদের দৃষ্টি এড়িয়ে যাওয়া বিষয় সম্পর্কে তথ্য দিতে পারে— এই গবেষণা তারই প্রমাণ।
অবশ্য একজন মানুষের একাধিক আঙুলের ছাপে মিল থাকলেও অন্য মানুষের আঙুলের ছাপের সঙ্গে মিল পাওয়ার সম্ভাবনা নেই। দুজন মানুষের আঙুলের ছাপ মিলে যাওয়ার সম্ভাবনা ৬ হাজার ৪০০ কোটিতে একবার! স্কটল্যান্ড ইয়ার্ডের (লন্ডন মহানগর পুলিশ) ডেটাবেইস অনুসারে, লাখ লাখ বছর ব্যবধানে জন্ম নেওয়া দুজন মানুষের আঙুলের ছাপ মিলে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
যমজদেরও আঙুলের ছাপেও মিল থাকে না। আঙুলের খাঁজগুলো শুধু ডিএনএর ওপর নির্ভর করে না, ভ্রূণের বিকাশের ওপরও নির্ভর করে। আম্বিলিক্যাল কর্ডের (নাড়ি) দৈর্ঘ্য, জরায়ুতে ভ্রূণের অবস্থান, রক্তচাপ, পুষ্টি ও আঙুলের বৃদ্ধির হার— সবই আঙুলের ছাপের প্রকৃতি তৈরিতে ভূমিকা রাখে।
গরিলা, শিম্পাঞ্জি ও কোয়ালার মতো প্রাণীরও আঙুলের ছাপ মানুষের মতোই অনন্য।
তথ্যসূত্র: বিবিসি সায়েন্স ফোকাস
একটি প্রতিষ্ঠিত ধারণা হলো, প্রত্যেক মানুষের আঙুলের ছাপ অনন্য। এ কারণেই বিভিন্ন ইলেকট্রনিক ডিভাইসের নিরাপত্তা এবং অপরাধী শনাক্তে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী সাধারণত বৃদ্ধাঙ্গুল অথবা তর্জনীর ছাপের ওপর ভরসা করে থাকে। শুধু তাই নয়, একই মানুষের প্রতিটি আঙুলেরও ছাপ আলাদা বলে মনে করা হয়।
কিন্তু নতুন এক কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) প্রযুক্তি আবিষ্কার করেছে, প্রত্যেকটি আঙুলের ছাপ অনন্য, প্রচলিত এ ধারণা সঠিক নয়। নতুন প্রযুক্তিটি ব্যবহার করে গবেষকেরা দেখেছেন, একজন মানুষের বিভিন্ন আঙুলের ছাপের মধ্যে মিল রয়েছে।
প্রচলিত ধারণা অনুযায়ী, একজন মানুষের তর্জনীর সঙ্গে অনামিকার ছাপে খুবই সামান্য মিল রয়েছে। এই অমিলের কারণেই অপরাধী শনাক্তে এই ‘ইন্ট্রা–পারসন ফিঙ্গারপ্রিন্ট’ বা একই ব্যক্তির বিভিন্ন আঙুলের ছাপের প্রভাব অনেক। উদাহরণস্বরূপ, যদি একজন অপরাধী বিভিন্ন অপরাধ সংঘটনের স্থানে বিভিন্ন আঙুলের ছাপ রেখে যায়, তাহলে পুলিশের পক্ষে একজন ব্যক্তির সঙ্গে ঘটনাগুলো সম্পর্কিত করা কঠিন হয়ে পড়ে।
একটি নতুন ‘ডিপ কনট্রাস্টিভ নেটওয়ার্ক’ কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা প্রযুক্তি তৈরি করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের কলাম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজ্ঞানীরা। ভবিষ্যতে অপরাধী ধরতে এটি বড় ভূমিকা রাখতে পারে। এই মডেলটিকে ৬০ হাজার ফিঙ্গারপ্রিন্টের ডেটাবেইসের মাধ্যমে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়।
গবেষকেরা বলছেন, দুটি আলাদা আঙুলের ছাপ একই মানুষের কি না তা মডেলটি ৭৭ শতাংশ নির্ভুলভাবে অনুমান করতে পারে। বর্তমানের ফরেনসিক মেডিসিন বিভাগের দক্ষতা দশগুণেরও বেশি বাড়িয়ে দিতে পারে এই উদ্ভাবন।
কলাম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনিয়র ইঞ্জিনিয়ার অ্যানিভ রে বলেন, ‘একবার ভেবে দেখুন, এআই মডেলটিকে লাখ লাখ আঙুলের ছাপের ডেটা দিয়ে প্রশিক্ষণ দেওয়া হলে, এটি কতটা নির্ভুলভাবে কাজ করবে!’
গবেষণার তত্ত্বাবধানকারী ডা. হড লিপসন বলেন, ‘যদি এই গবেষণার ফলাফল সঠিক হয়, তবে পুরোনো মামলাগুলো আবার সচল করা যেতে পারে। এমনকি নির্দোষ মানুষ খালাসও পেতে পারে।’
তাহলে এআই এমন কী বিষয় লক্ষ্য করল যেটি কয়েক দশকেও ফরেনসিক বিজ্ঞানীদের নজরে পড়েনি? প্রথাগতভাবে ফিঙ্গারপ্রিন্ট শনাক্ত করতে আঙুলের রিজের (আঙুলের নিচের অংশের উঁচু রেখা) শাখা ও শেষ প্রান্তগুলোর মধ্যে মিল দেখে চিহ্নিত করা হয়। তবে এআই এই পদ্ধতি অনুসরণ করে না। এটি রেখাগুলোর স্পর্শ কোণ ও বক্রতা এবং কেন্দ্রে রেখার ফাঁসের (লুপ) ওপর গুরুত্ব দেয়।
লিপসন বলেন, অনেকেই মনে করেন, এআই নতুন কিছু আবিষ্কার করতে পারে না। এটি শুধু আগের জ্ঞানই সামনে নিয়ে আসে। একটি সাধারণ এআইকে উপযুক্ত ডেটাবেইস দেওয়া হলে এটি কয়েক দশক ধরে বিশেষজ্ঞদের দৃষ্টি এড়িয়ে যাওয়া বিষয় সম্পর্কে তথ্য দিতে পারে— এই গবেষণা তারই প্রমাণ।
অবশ্য একজন মানুষের একাধিক আঙুলের ছাপে মিল থাকলেও অন্য মানুষের আঙুলের ছাপের সঙ্গে মিল পাওয়ার সম্ভাবনা নেই। দুজন মানুষের আঙুলের ছাপ মিলে যাওয়ার সম্ভাবনা ৬ হাজার ৪০০ কোটিতে একবার! স্কটল্যান্ড ইয়ার্ডের (লন্ডন মহানগর পুলিশ) ডেটাবেইস অনুসারে, লাখ লাখ বছর ব্যবধানে জন্ম নেওয়া দুজন মানুষের আঙুলের ছাপ মিলে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
যমজদেরও আঙুলের ছাপেও মিল থাকে না। আঙুলের খাঁজগুলো শুধু ডিএনএর ওপর নির্ভর করে না, ভ্রূণের বিকাশের ওপরও নির্ভর করে। আম্বিলিক্যাল কর্ডের (নাড়ি) দৈর্ঘ্য, জরায়ুতে ভ্রূণের অবস্থান, রক্তচাপ, পুষ্টি ও আঙুলের বৃদ্ধির হার— সবই আঙুলের ছাপের প্রকৃতি তৈরিতে ভূমিকা রাখে।
গরিলা, শিম্পাঞ্জি ও কোয়ালার মতো প্রাণীরও আঙুলের ছাপ মানুষের মতোই অনন্য।
তথ্যসূত্র: বিবিসি সায়েন্স ফোকাস
সেলিব্রিটি শেফ বা ইতালি নানিরা যা কখনোই কল্পনা করতে পারেননি তাই তৈরি করে দেখালেন যুক্তরাজ্যের ইউনিভার্সিটি কলেজ লন্ডনের গবেষকেরা। বিশ্বের সবচেয়ে পাতলা স্প্যাগেটি তৈরি করলেন তাঁরা। গবেষকেরা এমন এক স্টার্চ ন্যানোফাইবারের তৈরি স্প্যাগেটি তৈরি করেছে, যা মাত্র ৩৭২ ন্যানোমিটার চওড়া। চুলের চেয়ে ২০০ গুণ পাত
২ দিন আগেপ্রথমবারের মতো মিল্কিওয়ে গ্যালাক্সি বা আকাশগঙ্গা ছায়াপথের বাইরে একটি নক্ষত্রের মৃত্যুর মুহূর্তের ছবি তুলতে সক্ষম হয়েছেন বিজ্ঞানীরা। ছবিতে সুপারনোভা বিস্ফোরণের আগের পরিস্থিতি তুলে ধরেছে। ছবিতে নক্ষত্রটিকে অদ্ভুত ডিম আকারের কোকুনের (রেশমগুটি) মতো দেখা যায়।
২ দিন আগেআমাদের অনেকেরই অফিসে কাজ করতে গিয়ে দীর্ঘসময় বসে থাকতে হয়। আর দিনের একটা বড় সময় বসে থাকাটা বাড়ায় হৃৎপিণ্ডের রোগের ঝুঁকি। এমনকি অবসর সময়ে শরীরচর্চা করেও এই ক্ষতিকর প্রভাব থেকে রেহাই মিলবে না। এসব তথ্য উঠে এসেছে নতুন এক গবেষণায়।
৫ দিন আগেবিজ্ঞানীরা বলছেন, জিপিএসের সাহায্য ছাড়াই এআই ব্যবহারের মাধ্যমে ব্যাকটেরিয়া থেকে কোনো ব্যক্তির সাম্প্রতিক অবস্থান চিহ্নিত করা যাবে।
১১ দিন আগে