
বিষধর সাপের দংশনে সময় মতো প্রতিষেধক বা অ্যান্টিভেনম প্রয়োগ করা না হলে মৃত্যু অনিবার্য! তবে বড় সমস্যা হলো, প্রজাতি ভেদে অ্যান্টিভেনম আলাদা হয়। ফলে দংশনকারী সাপ চিহ্নিত করতে না পারার কারণে সঠিক অ্যান্টিভেনম প্রয়োগ করা যায় না। ফলে রোগী মৃত্যুঝুঁকিতে পড়েন। এই সমস্যা সমাধানে গোখরা, ক্রেইট বা শঙ্খিনী ও ব্ল্যাক মাম্বার মতো বিষধর সাপের সর্বজনীন অ্যান্টিভেনম তৈরি করছেন গবেষকেরা।
যুক্তরাষ্ট্রের স্ক্রিপস রিসার্চ ইনস্টিটিউটের ইমিউনোলজি অ্যান্ড মাইক্রোবায়োলজি বিভাগের প্রধান গবেষক আইরিন এস খালেক ও তাঁর সহকর্মীরা একটি সর্বজনীন অ্যান্টিভেনম তৈরির ক্ষেত্রে উল্লেখ্যযোগ্য সাফল্য পেয়েছেন।
সায়েন্স ট্রান্সলেশন মেডিসিন জার্নালে গবেষণাপত্রটি প্রকাশিত হয়েছে। এই অ্যান্টিভেনম যেকোনো বিষধর সাপের বিষের প্রভাবকে প্রশমিত করতে সহায়তা করতে পারে। তাই এটিকে ‘সর্বজনীন অ্যান্টিভেনম’ বলা হচ্ছে।
গবেষণাগারে তৈরি একটি অ্যান্টিবডি নিয়ে গবেষণাপত্রে আলোচনা করা হয়েছে। সারা বিশ্বের বিভিন্ন প্রজাতির সাপের বিষে পাওয়া নিউরোটক্সিন (যেসব বিষ স্নায়ুতন্ত্রকে বিকল করে দেয়) প্রশমিত করতে পারে।
বিষধর সাপের কামড়ে প্রতি বছর বিশ্বে প্রায় ১ লাখ ৩৮ হাজার মানুষের মৃত্যু হয়। আর বেঁচে গেলেও অনেকে নানা শারীরিক ও মানসিক সমস্যায় ভোগেন।
বাংলাদেশেও প্রতিবছর ৪ লাখেরও বেশি মানুষ সাপের দংশনের শিকার হন। তাঁদের মধ্যে সাড়ে ৭ হাজারের বেশি মানুষের মৃত্যু হয়। সরকারি গবেষণায় দেখা গেছে, সাপের কামড়ের ঘটনাগুলোর ৯৫ শতাংশই গ্রামাঞ্চলে ঘটে। আক্রান্ত ব্যক্তিদের ১০ দশমিক ৬ শতাংশ পরে শারীরিক এবং ১ দশমিক ৯ শতাংশ মানসিক সমস্যায় ভোগেন।
আর বিশ্বব্যাপী এই ভুক্তভোগীদের বেশির ভাগই শিশু ও কৃষক।
প্রচলিত অ্যান্টিভেনমগুলোর সক্রিয় উপাদান হলো অ্যান্টিটক্সিন অ্যান্টিবডি। ঘোড়ার শরীরে অল্প পরিমাণে সাপের বিষ ঢুকিয়ে এসব অ্যান্টিবডি তৈরি করা হয়। অ্যান্টিভেনম তৈরির এই পদ্ধতি অবশ্য এক শতাব্দীরও বেশি সময় ধরে চলে আসছে। তবে এই পদ্ধতির বেশ কিছু ত্রুটি রয়েছে।
নির্দিষ্ট প্রজাতিকে লক্ষ্য করে অ্যান্টিভেনমগুলো তৈরি করা হয়, এ ছাড়া এগুলোর খুব একটা শক্তিশালীও নয়। এ কারণে সাপের বিষের প্রভাব প্রশমিত করতে এ ধরনের অ্যান্টিভেনম বেশি পরিমাণে গ্রহণ করতে হয়।
এ ছাড়া এসব অ্যান্টিভেনম ঘোড়ার অ্যান্টিবডি দিয়ে তৈরি করা হয়, তাই মানুষের শরীরে প্রবেশ করালে তীব্র পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া দেখা দিতে পারে। কারণ, মানুষের রক্তপ্রবাহের রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থা ঘোড়ার অ্যান্টিবডিকে ‘বহিরাগত’ বলে শনাক্ত করে এবং তীব্র প্রতিক্রিয়া দেখায়।
গবেষণাগারে পরিবর্তিত জিন বিশিষ্ট কোষ ব্যবহার করে অ্যান্টিবডি তৈরি করা হয়। বিশেষ করে মানুষের ক্যানসার ও রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থার সমস্যা সম্পর্কিত রোগের চিকিৎসায় এ ধরনের অ্যান্টিবডি ব্যবহার করা হয়। গবেষকেরা আশা করেন, একই প্রযুক্তি ব্যবহার করে অ্যান্টিভেনমও তৈরি যাবে এবং এই অ্যান্টিভেনম প্রথাগত অ্যান্টিভেনমকে প্রতিস্থাপিত করবে। গবেষণাগারে তৈরি অ্যান্টিভেনম এমনভাবে উপযোগী করে তোলা হবে যে, মানুষের রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থা সেটিকে আর ‘বহিরাগত’ বলে শনাক্ত করতে পারবে না। ফলে এতে প্রচলিত অ্যান্টিভেনমের মতো পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া থাকবে না। নতুন অ্যান্টিভেনমও সেভাবে তৈরি করা হয়েছে।
সাপের বিষের মধ্য সবচেয়ে প্রাণঘাতী হলো নিউরোটক্সিন। মস্তিষ্ক থেকে সংকেত বিভিন্ন অঙ্গপ্রত্যঙ্গের পেশিতে পৌঁছাতে বাধা দেয় এই বিষ। ফলে মানুষ পক্ষাঘাতগ্রস্ত হয়, শরীর অবশ হয়ে আসে। এই বিষ মানুষের ফুসফুসের অনৈচ্ছিক পেশিকেও অবশ করে দেয়। ফলে ফুসফুসের সংকোচন–প্রসারণ থেমে গিয়ে দ্রুত শ্বাস বন্ধ হয়ে মানুষ মারা যায়।
আফ্রিকান ব্ল্যাক মাম্বা, এশিয়ান কেউটে, বিভিন্ন জাতের গোখরা এবং ভারতীয় উপমহাদেশে প্রাপ্ত বিশ্বের সবচেয়ে মারাত্মক বিষধর শঙ্খিনী সাপে নিউরোটক্সিন পাওয়া যায়।
গবেষণাগারে তৈরি অ্যান্টিবডিকে ৯৫ ম্যাট ৫ নামে চিহ্নিত করা হয়েছে। কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার (এআই) টুল ব্যবহার করে ৫ হাজার কোটি অ্যান্টিবডি নিয়ে পরীক্ষা–নিরীক্ষার পর এই নতুন অ্যান্টিবডি আবিষ্কার করা হয়েছে। এই অ্যান্টিবডি বিভিন্ন প্রজাতির সাপের নিউরোটক্সিন শনাক্তের পাশাপাশি এগুলোর ভয়ংকর প্রভাব প্রশমিত করতে পারে।
অ্যান্টিভেনমটির কার্যকারিতা পরীক্ষার জন্য ইঁদুরের শরীরের সাপের বিষ প্রবেশ করানো হয়। গবেষণায় দেখা যায়, ৯৫ ম্যাট ৫ ইঁদুরকে পক্ষাঘাতগ্রস্ত হওয়া থেকে রক্ষা করে ও বাঁচিয়ে দেয়। প্রতিবার পরীক্ষায় একই ফলাফল পাওয়া গেছে। এই ফলাফল একটি সর্বজনীন অ্যান্টিভেনম বিকাশের সম্ভাবনা তৈরি করেছে।
তবে ৯৫ ম্যাট ৫ অ্যান্টিবডি শুধু নিউরোটক্সিনের মতো বিষের ক্ষেত্রে কাজ করে। সর্বজনীন অ্যান্টিভেনম তৈরির জন্য আরও অনেক ধরনের অ্যান্টিবডি প্রয়োজন। কারণ সব সাপের বিষে শুধু নিউরোটক্সিন থাকে না। অন্যান্য সাপের বিষে অন্য বিষাক্ত রাসায়নিক থাকতে পারে।
কিছু সাপের বিষে হেমোটক্সিন থাকে, যার ফলে সাপে কামড়ালে রক্তপাত হয়। আবার কিছু সাপের বিষে সাইটোটক্সিন থাকে, যা ত্বক ও হাড়ের ক্ষতি করে। একটি সর্বজনীন অ্যান্টিভেনম তৈরি করার জন্য যে কোনো সাপের কামড়ের চিকিৎসা করতে সক্ষম এমন অ্যান্টিবডি তৈরি করতে হবে; ৯৫ ম্যাট ৫ অ্যান্টিবডির মতোই কার্যকর আরও কিছু অ্যান্টিবডি তৈরি করতে হবে।
পরীক্ষাগারে তৈরি অ্যান্টিবডিগুলো কতটুকু কার্যকর ও নিরাপদ নিশ্চিত হতে মানুষের শরীরে এটির পরীক্ষা করা জরুরি। নতুন অ্যান্টিভেনমের গুণাগুণ ঠিক রাখতে ফ্রিজে (শূন্য ডিগ্রি সেলসিয়াসের নিচে) সংরক্ষণ করতে হবে। বিশ্বের উষ্ণ অঞ্চলের জন্য যেখানে হিমাগার ও নির্ভরযোগ্য বিদ্যুৎ সরবরাহ নেই সেখানে এসব ওষুধ সংরক্ষণ একটি চ্যালেঞ্জ। আর গবেষণাগারে তৈরি অ্যান্টিবডি সাধারণত অত্যন্ত ব্যয়বহুল হয়। ফলে সাধারণ মানুষের ব্যবহারের উপযোগী করতে এর উৎপাদন সাশ্রয়ী হওয়া জরুরি।

বিষধর সাপের দংশনে সময় মতো প্রতিষেধক বা অ্যান্টিভেনম প্রয়োগ করা না হলে মৃত্যু অনিবার্য! তবে বড় সমস্যা হলো, প্রজাতি ভেদে অ্যান্টিভেনম আলাদা হয়। ফলে দংশনকারী সাপ চিহ্নিত করতে না পারার কারণে সঠিক অ্যান্টিভেনম প্রয়োগ করা যায় না। ফলে রোগী মৃত্যুঝুঁকিতে পড়েন। এই সমস্যা সমাধানে গোখরা, ক্রেইট বা শঙ্খিনী ও ব্ল্যাক মাম্বার মতো বিষধর সাপের সর্বজনীন অ্যান্টিভেনম তৈরি করছেন গবেষকেরা।
যুক্তরাষ্ট্রের স্ক্রিপস রিসার্চ ইনস্টিটিউটের ইমিউনোলজি অ্যান্ড মাইক্রোবায়োলজি বিভাগের প্রধান গবেষক আইরিন এস খালেক ও তাঁর সহকর্মীরা একটি সর্বজনীন অ্যান্টিভেনম তৈরির ক্ষেত্রে উল্লেখ্যযোগ্য সাফল্য পেয়েছেন।
সায়েন্স ট্রান্সলেশন মেডিসিন জার্নালে গবেষণাপত্রটি প্রকাশিত হয়েছে। এই অ্যান্টিভেনম যেকোনো বিষধর সাপের বিষের প্রভাবকে প্রশমিত করতে সহায়তা করতে পারে। তাই এটিকে ‘সর্বজনীন অ্যান্টিভেনম’ বলা হচ্ছে।
গবেষণাগারে তৈরি একটি অ্যান্টিবডি নিয়ে গবেষণাপত্রে আলোচনা করা হয়েছে। সারা বিশ্বের বিভিন্ন প্রজাতির সাপের বিষে পাওয়া নিউরোটক্সিন (যেসব বিষ স্নায়ুতন্ত্রকে বিকল করে দেয়) প্রশমিত করতে পারে।
বিষধর সাপের কামড়ে প্রতি বছর বিশ্বে প্রায় ১ লাখ ৩৮ হাজার মানুষের মৃত্যু হয়। আর বেঁচে গেলেও অনেকে নানা শারীরিক ও মানসিক সমস্যায় ভোগেন।
বাংলাদেশেও প্রতিবছর ৪ লাখেরও বেশি মানুষ সাপের দংশনের শিকার হন। তাঁদের মধ্যে সাড়ে ৭ হাজারের বেশি মানুষের মৃত্যু হয়। সরকারি গবেষণায় দেখা গেছে, সাপের কামড়ের ঘটনাগুলোর ৯৫ শতাংশই গ্রামাঞ্চলে ঘটে। আক্রান্ত ব্যক্তিদের ১০ দশমিক ৬ শতাংশ পরে শারীরিক এবং ১ দশমিক ৯ শতাংশ মানসিক সমস্যায় ভোগেন।
আর বিশ্বব্যাপী এই ভুক্তভোগীদের বেশির ভাগই শিশু ও কৃষক।
প্রচলিত অ্যান্টিভেনমগুলোর সক্রিয় উপাদান হলো অ্যান্টিটক্সিন অ্যান্টিবডি। ঘোড়ার শরীরে অল্প পরিমাণে সাপের বিষ ঢুকিয়ে এসব অ্যান্টিবডি তৈরি করা হয়। অ্যান্টিভেনম তৈরির এই পদ্ধতি অবশ্য এক শতাব্দীরও বেশি সময় ধরে চলে আসছে। তবে এই পদ্ধতির বেশ কিছু ত্রুটি রয়েছে।
নির্দিষ্ট প্রজাতিকে লক্ষ্য করে অ্যান্টিভেনমগুলো তৈরি করা হয়, এ ছাড়া এগুলোর খুব একটা শক্তিশালীও নয়। এ কারণে সাপের বিষের প্রভাব প্রশমিত করতে এ ধরনের অ্যান্টিভেনম বেশি পরিমাণে গ্রহণ করতে হয়।
এ ছাড়া এসব অ্যান্টিভেনম ঘোড়ার অ্যান্টিবডি দিয়ে তৈরি করা হয়, তাই মানুষের শরীরে প্রবেশ করালে তীব্র পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া দেখা দিতে পারে। কারণ, মানুষের রক্তপ্রবাহের রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থা ঘোড়ার অ্যান্টিবডিকে ‘বহিরাগত’ বলে শনাক্ত করে এবং তীব্র প্রতিক্রিয়া দেখায়।
গবেষণাগারে পরিবর্তিত জিন বিশিষ্ট কোষ ব্যবহার করে অ্যান্টিবডি তৈরি করা হয়। বিশেষ করে মানুষের ক্যানসার ও রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থার সমস্যা সম্পর্কিত রোগের চিকিৎসায় এ ধরনের অ্যান্টিবডি ব্যবহার করা হয়। গবেষকেরা আশা করেন, একই প্রযুক্তি ব্যবহার করে অ্যান্টিভেনমও তৈরি যাবে এবং এই অ্যান্টিভেনম প্রথাগত অ্যান্টিভেনমকে প্রতিস্থাপিত করবে। গবেষণাগারে তৈরি অ্যান্টিভেনম এমনভাবে উপযোগী করে তোলা হবে যে, মানুষের রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থা সেটিকে আর ‘বহিরাগত’ বলে শনাক্ত করতে পারবে না। ফলে এতে প্রচলিত অ্যান্টিভেনমের মতো পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া থাকবে না। নতুন অ্যান্টিভেনমও সেভাবে তৈরি করা হয়েছে।
সাপের বিষের মধ্য সবচেয়ে প্রাণঘাতী হলো নিউরোটক্সিন। মস্তিষ্ক থেকে সংকেত বিভিন্ন অঙ্গপ্রত্যঙ্গের পেশিতে পৌঁছাতে বাধা দেয় এই বিষ। ফলে মানুষ পক্ষাঘাতগ্রস্ত হয়, শরীর অবশ হয়ে আসে। এই বিষ মানুষের ফুসফুসের অনৈচ্ছিক পেশিকেও অবশ করে দেয়। ফলে ফুসফুসের সংকোচন–প্রসারণ থেমে গিয়ে দ্রুত শ্বাস বন্ধ হয়ে মানুষ মারা যায়।
আফ্রিকান ব্ল্যাক মাম্বা, এশিয়ান কেউটে, বিভিন্ন জাতের গোখরা এবং ভারতীয় উপমহাদেশে প্রাপ্ত বিশ্বের সবচেয়ে মারাত্মক বিষধর শঙ্খিনী সাপে নিউরোটক্সিন পাওয়া যায়।
গবেষণাগারে তৈরি অ্যান্টিবডিকে ৯৫ ম্যাট ৫ নামে চিহ্নিত করা হয়েছে। কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার (এআই) টুল ব্যবহার করে ৫ হাজার কোটি অ্যান্টিবডি নিয়ে পরীক্ষা–নিরীক্ষার পর এই নতুন অ্যান্টিবডি আবিষ্কার করা হয়েছে। এই অ্যান্টিবডি বিভিন্ন প্রজাতির সাপের নিউরোটক্সিন শনাক্তের পাশাপাশি এগুলোর ভয়ংকর প্রভাব প্রশমিত করতে পারে।
অ্যান্টিভেনমটির কার্যকারিতা পরীক্ষার জন্য ইঁদুরের শরীরের সাপের বিষ প্রবেশ করানো হয়। গবেষণায় দেখা যায়, ৯৫ ম্যাট ৫ ইঁদুরকে পক্ষাঘাতগ্রস্ত হওয়া থেকে রক্ষা করে ও বাঁচিয়ে দেয়। প্রতিবার পরীক্ষায় একই ফলাফল পাওয়া গেছে। এই ফলাফল একটি সর্বজনীন অ্যান্টিভেনম বিকাশের সম্ভাবনা তৈরি করেছে।
তবে ৯৫ ম্যাট ৫ অ্যান্টিবডি শুধু নিউরোটক্সিনের মতো বিষের ক্ষেত্রে কাজ করে। সর্বজনীন অ্যান্টিভেনম তৈরির জন্য আরও অনেক ধরনের অ্যান্টিবডি প্রয়োজন। কারণ সব সাপের বিষে শুধু নিউরোটক্সিন থাকে না। অন্যান্য সাপের বিষে অন্য বিষাক্ত রাসায়নিক থাকতে পারে।
কিছু সাপের বিষে হেমোটক্সিন থাকে, যার ফলে সাপে কামড়ালে রক্তপাত হয়। আবার কিছু সাপের বিষে সাইটোটক্সিন থাকে, যা ত্বক ও হাড়ের ক্ষতি করে। একটি সর্বজনীন অ্যান্টিভেনম তৈরি করার জন্য যে কোনো সাপের কামড়ের চিকিৎসা করতে সক্ষম এমন অ্যান্টিবডি তৈরি করতে হবে; ৯৫ ম্যাট ৫ অ্যান্টিবডির মতোই কার্যকর আরও কিছু অ্যান্টিবডি তৈরি করতে হবে।
পরীক্ষাগারে তৈরি অ্যান্টিবডিগুলো কতটুকু কার্যকর ও নিরাপদ নিশ্চিত হতে মানুষের শরীরে এটির পরীক্ষা করা জরুরি। নতুন অ্যান্টিভেনমের গুণাগুণ ঠিক রাখতে ফ্রিজে (শূন্য ডিগ্রি সেলসিয়াসের নিচে) সংরক্ষণ করতে হবে। বিশ্বের উষ্ণ অঞ্চলের জন্য যেখানে হিমাগার ও নির্ভরযোগ্য বিদ্যুৎ সরবরাহ নেই সেখানে এসব ওষুধ সংরক্ষণ একটি চ্যালেঞ্জ। আর গবেষণাগারে তৈরি অ্যান্টিবডি সাধারণত অত্যন্ত ব্যয়বহুল হয়। ফলে সাধারণ মানুষের ব্যবহারের উপযোগী করতে এর উৎপাদন সাশ্রয়ী হওয়া জরুরি।

কোনো বড় ধরনের সৌরঝড় বা প্রযুক্তিগত বিপর্যয়ের কারণে যদি পৃথিবীর কক্ষপথে থাকা স্যাটেলাইটগুলো হঠাৎ নিজেদের গতিপথ পরিবর্তনের সক্ষমতা হারায়, তবে মাত্র কয়েক দিনের মধ্যেই ভয়াবহ সংঘর্ষ শুরু হতে পারে বলে সতর্ক করেছেন বিজ্ঞানীরা।
২ দিন আগে
উত্তর ইতালির একটি ন্যাশনাল পার্কে ২১ কোটি বছর আগের ডাইনোসরের পায়ের ছাপ পাওয়া গেছে। তাও আবার একটি-দুটি নয়, হাজার হাজার। এই পায়ের ছাপগুলোর কয়েকটির ব্যাস ১৫ ইঞ্চি পর্যন্ত। আর এগুলো সমান্তরাল সারিতে সাজানো। এসবের মধ্যে অনেকগুলোতে আঙুল ও নখের ছাপ স্পষ্ট বোঝা গেছে
৩ দিন আগে
ব্রিটিশ কলম্বিয়ার উপকূলে একদিন। স্যামন মাছের ঝাঁক পড়িমড়ি করে ছুটতে দেখা গেল। তাদের পিছেই চোখে পড়ল কিলার হোয়েল নামে পরিচিত অরকা ও হোয়াইট–সাইডেড ডলফিনের দলকে। তাও আবার একসঙ্গে! এই দুই শিকারী প্রাণীকে জোটবেঁধে স্যামন শিকারে ছুটতে দেখে যারপরনাই বিস্মিত বিজ্ঞানীরা।
৬ দিন আগে
ফ্রান্সের ব্রিতানি উপকূলের কাছে সমুদ্রের গভীরে এক বিশাল পাথরের প্রাচীরের সন্ধান মিলেছে। এই প্রাচীন প্রায় ৭ হাজার বছর আগে—অর্থাৎ ৫ হাজার খ্রিষ্টপূর্বাব্দে নির্মিত বলে ধারণা করা হচ্ছে। ফরাসি সামুদ্রিক প্রত্নতাত্ত্বিকেরা ধারণা করছেন, সমুদ্রের জলস্তর বৃদ্ধির কারণে যে প্রস্তর যুগের সমাজ এই এলাকা...
৮ দিন আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

কোনো বড় ধরনের সৌরঝড় বা প্রযুক্তিগত বিপর্যয়ের কারণে যদি পৃথিবীর কক্ষপথে থাকা স্যাটেলাইটগুলো হঠাৎ নিজেদের গতিপথ পরিবর্তনের সক্ষমতা হারায়, তবে মাত্র কয়েক দিনের মধ্যেই ভয়াবহ সংঘর্ষ শুরু হতে পারে বলে সতর্ক করেছেন বিজ্ঞানীরা। নতুন এক গবেষণা বলছে, বর্তমান পরিস্থিতিতে সব স্যাটেলাইট একযোগে অচল হয়ে পড়লে প্রথম সংঘর্ষ ঘটতে সময় লাগবে গড়ে মাত্র ২.৮ দিন।
গত সাত বছরে পৃথিবীর কক্ষপথে স্যাটেলাইটের সংখ্যা তিনগুণেরও বেশি বেড়েছে। ২০১৮ সালে যেখানে প্রায় ৪ হাজার স্যাটেলাইট ছিল, এখন সেই সংখ্যা প্রায় ১৪ হাজারে পৌঁছেছে। এই বিস্ফোরণধর্মী বৃদ্ধির পেছনে প্রধান ভূমিকা রেখেছে স্পেসএক্সের স্টারলিংক প্রকল্প। নিম্ন-পৃথিবী কক্ষপথে (৩৪০ থেকে ৫৫০ কিলোমিটার উচ্চতায়) বর্তমানে স্টারলিংকের স্যাটেলাইটই রয়েছে ৯ হাজারের বেশি।
কক্ষপথে এত বেশি স্যাটেলাইট থাকার কারণে নিয়মিত সংঘর্ষ এড়াতে ‘কলিশন অ্যাভয়ডেন্স ম্যানুভার’ বা গতিপথ পরিবর্তনের কৌশল নিতে হয়। স্পেসএক্স জানিয়েছে, ২০২৪ সালের ১ ডিসেম্বর থেকে ২০২৫ সালের ৩১ মে পর্যন্ত মাত্র ছয় মাসে তারা ১ লাখ ৪৪ হাজারেরও বেশি সংঘর্ষ এড়ানোর কৌশল প্রয়োগ করেছে।
গত মঙ্গলবার (১৬ ডিসেম্বর) এই বিষয়ে এক প্রতিবেদনে নিও সায়েন্টিস্ট জানিয়েছে, প্রিন্সটন বিশ্ববিদ্যালয়ের সারা থিয়েল ও তাঁর সহকর্মীরা স্যাটেলাইটের অবস্থানসংক্রান্ত উন্মুক্ত তথ্য বিশ্লেষণ করে সংঘর্ষ ঝুঁকি পরিমাপের জন্য নতুন একটি সূচক তৈরি করেছেন। এই সূচকের নাম দেওয়া হয়েছে ‘ক্র্যাশ ক্লক’।
গবেষণায় দেখা গেছে, ২০১৮ সালে যদি সব স্যাটেলাইট হঠাৎ নিয়ন্ত্রণ হারাত, তবে প্রথম সংঘর্ষ হতে সময় লাগত প্রায় ১২১ দিন। কিন্তু বর্তমানে সেই সময় নেমে এসেছে মাত্র ২.৮ দিনে। এই তথ্য বিজ্ঞানীদেরও বিস্মিত করেছে।
সব স্যাটেলাইট একসঙ্গে অচল হয়ে পড়ার সম্ভাবনা কম হলেও ২০২৪ সালের মে মাসে শক্তিশালী সৌরঝড়ে স্টারলিংক স্যাটেলাইটগুলোতে অস্বাভাবিক ঢেউয়ের মতো প্রতিক্রিয়া দেখা গিয়েছিল। ভবিষ্যতে আরও শক্তিশালী সৌরঝড় হলে পরিস্থিতি আরও জটিল হতে পারে।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন—আগামী বছরগুলোতে স্পেসএক্স, অ্যামাজন ও চীনের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান আরও হাজার হাজার স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণ করতে যাচ্ছে। ফলে কক্ষপথে ভিড় আরও বাড়বে, আর ‘ক্র্যাশ ক্লক’-এর সময়সীমা আরও এগিয়ে আসবে। এই পরিস্থিতি মহাকাশ ব্যবস্থাপনা নিয়ে নতুন করে ভাবার প্রয়োজনীয়তা সামনে আনছে।

কোনো বড় ধরনের সৌরঝড় বা প্রযুক্তিগত বিপর্যয়ের কারণে যদি পৃথিবীর কক্ষপথে থাকা স্যাটেলাইটগুলো হঠাৎ নিজেদের গতিপথ পরিবর্তনের সক্ষমতা হারায়, তবে মাত্র কয়েক দিনের মধ্যেই ভয়াবহ সংঘর্ষ শুরু হতে পারে বলে সতর্ক করেছেন বিজ্ঞানীরা। নতুন এক গবেষণা বলছে, বর্তমান পরিস্থিতিতে সব স্যাটেলাইট একযোগে অচল হয়ে পড়লে প্রথম সংঘর্ষ ঘটতে সময় লাগবে গড়ে মাত্র ২.৮ দিন।
গত সাত বছরে পৃথিবীর কক্ষপথে স্যাটেলাইটের সংখ্যা তিনগুণেরও বেশি বেড়েছে। ২০১৮ সালে যেখানে প্রায় ৪ হাজার স্যাটেলাইট ছিল, এখন সেই সংখ্যা প্রায় ১৪ হাজারে পৌঁছেছে। এই বিস্ফোরণধর্মী বৃদ্ধির পেছনে প্রধান ভূমিকা রেখেছে স্পেসএক্সের স্টারলিংক প্রকল্প। নিম্ন-পৃথিবী কক্ষপথে (৩৪০ থেকে ৫৫০ কিলোমিটার উচ্চতায়) বর্তমানে স্টারলিংকের স্যাটেলাইটই রয়েছে ৯ হাজারের বেশি।
কক্ষপথে এত বেশি স্যাটেলাইট থাকার কারণে নিয়মিত সংঘর্ষ এড়াতে ‘কলিশন অ্যাভয়ডেন্স ম্যানুভার’ বা গতিপথ পরিবর্তনের কৌশল নিতে হয়। স্পেসএক্স জানিয়েছে, ২০২৪ সালের ১ ডিসেম্বর থেকে ২০২৫ সালের ৩১ মে পর্যন্ত মাত্র ছয় মাসে তারা ১ লাখ ৪৪ হাজারেরও বেশি সংঘর্ষ এড়ানোর কৌশল প্রয়োগ করেছে।
গত মঙ্গলবার (১৬ ডিসেম্বর) এই বিষয়ে এক প্রতিবেদনে নিও সায়েন্টিস্ট জানিয়েছে, প্রিন্সটন বিশ্ববিদ্যালয়ের সারা থিয়েল ও তাঁর সহকর্মীরা স্যাটেলাইটের অবস্থানসংক্রান্ত উন্মুক্ত তথ্য বিশ্লেষণ করে সংঘর্ষ ঝুঁকি পরিমাপের জন্য নতুন একটি সূচক তৈরি করেছেন। এই সূচকের নাম দেওয়া হয়েছে ‘ক্র্যাশ ক্লক’।
গবেষণায় দেখা গেছে, ২০১৮ সালে যদি সব স্যাটেলাইট হঠাৎ নিয়ন্ত্রণ হারাত, তবে প্রথম সংঘর্ষ হতে সময় লাগত প্রায় ১২১ দিন। কিন্তু বর্তমানে সেই সময় নেমে এসেছে মাত্র ২.৮ দিনে। এই তথ্য বিজ্ঞানীদেরও বিস্মিত করেছে।
সব স্যাটেলাইট একসঙ্গে অচল হয়ে পড়ার সম্ভাবনা কম হলেও ২০২৪ সালের মে মাসে শক্তিশালী সৌরঝড়ে স্টারলিংক স্যাটেলাইটগুলোতে অস্বাভাবিক ঢেউয়ের মতো প্রতিক্রিয়া দেখা গিয়েছিল। ভবিষ্যতে আরও শক্তিশালী সৌরঝড় হলে পরিস্থিতি আরও জটিল হতে পারে।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন—আগামী বছরগুলোতে স্পেসএক্স, অ্যামাজন ও চীনের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান আরও হাজার হাজার স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণ করতে যাচ্ছে। ফলে কক্ষপথে ভিড় আরও বাড়বে, আর ‘ক্র্যাশ ক্লক’-এর সময়সীমা আরও এগিয়ে আসবে। এই পরিস্থিতি মহাকাশ ব্যবস্থাপনা নিয়ে নতুন করে ভাবার প্রয়োজনীয়তা সামনে আনছে।

যুক্তরাষ্ট্রের স্ক্রিপস রিসার্চ ইনস্টিটিউটের ইমিউনোলজি অ্যান্ড মাইক্রোবায়োলজি বিভাগের প্রধান গবেষক আইরিন এস খালেক ও তাঁর সহকর্মীরা একটি সর্বজনীন অ্যান্টিভেনম তৈরির ক্ষেত্রে উল্লেখ্যযোগ্য সাফল্য পেয়েছেন।
১০ মার্চ ২০২৪
উত্তর ইতালির একটি ন্যাশনাল পার্কে ২১ কোটি বছর আগের ডাইনোসরের পায়ের ছাপ পাওয়া গেছে। তাও আবার একটি-দুটি নয়, হাজার হাজার। এই পায়ের ছাপগুলোর কয়েকটির ব্যাস ১৫ ইঞ্চি পর্যন্ত। আর এগুলো সমান্তরাল সারিতে সাজানো। এসবের মধ্যে অনেকগুলোতে আঙুল ও নখের ছাপ স্পষ্ট বোঝা গেছে
৩ দিন আগে
ব্রিটিশ কলম্বিয়ার উপকূলে একদিন। স্যামন মাছের ঝাঁক পড়িমড়ি করে ছুটতে দেখা গেল। তাদের পিছেই চোখে পড়ল কিলার হোয়েল নামে পরিচিত অরকা ও হোয়াইট–সাইডেড ডলফিনের দলকে। তাও আবার একসঙ্গে! এই দুই শিকারী প্রাণীকে জোটবেঁধে স্যামন শিকারে ছুটতে দেখে যারপরনাই বিস্মিত বিজ্ঞানীরা।
৬ দিন আগে
ফ্রান্সের ব্রিতানি উপকূলের কাছে সমুদ্রের গভীরে এক বিশাল পাথরের প্রাচীরের সন্ধান মিলেছে। এই প্রাচীন প্রায় ৭ হাজার বছর আগে—অর্থাৎ ৫ হাজার খ্রিষ্টপূর্বাব্দে নির্মিত বলে ধারণা করা হচ্ছে। ফরাসি সামুদ্রিক প্রত্নতাত্ত্বিকেরা ধারণা করছেন, সমুদ্রের জলস্তর বৃদ্ধির কারণে যে প্রস্তর যুগের সমাজ এই এলাকা...
৮ দিন আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

উত্তর ইতালির একটি ন্যাশনাল পার্কে ২১ কোটি বছর আগের ডাইনোসরের পায়ের ছাপ পাওয়া গেছে। তাও আবার একটি-দুটি নয়, হাজার হাজার। এই পায়ের ছাপগুলোর কয়েকটির ব্যাস ১৫ ইঞ্চি পর্যন্ত। আর এগুলো সমান্তরাল সারিতে সাজানো। এসবের মধ্যে অনেকগুলোতে আঙুল ও নখের ছাপ স্পষ্ট বোঝা গেছে বলে বিবিসির প্রতিবেদনে জানা গেছে।
ধারণা করা হচ্ছে, এই ডাইনোসরগুলো ছিল ‘প্রোসাওরোপড’ (prosauropod) প্রজাতির। এ প্রজাতির ডাইনোসরের গলা লম্বা ও মাথা ছোট এবং ধারালো নখবিশিষ্ট তৃণভোজী প্রাণী ছিল।
মিলানভিত্তিক জীবাশ্মবিদ ক্রিস্টিয়ানো ডাল সাসো বলেন, ‘কখনো কল্পনাও করিনি, আমি যে অঞ্চলে বাস করি, সেখানেই এমন এক যুগান্তকারী আবিষ্কারের দেখা পাব।’
গত সেপ্টেম্বরে মিলানের উত্তর-পূর্বে অবস্থিত স্টেলভিও ন্যাশনাল পার্কের একটি খাঁড়া পাহাড়ের গায়ে কয়েক শ মিটার পর্যন্ত বিস্তৃত এই পায়ের ছাপগুলো একজন আলোকচিত্রীর চোখে ধরা পড়ে।
বিবিসির প্রতিবেদনে জানা যায়, ২০ থেকে ২৫ কোটি বছর আগে ট্রায়াসিক যুগে এই পাহাড়ের অংশটি ছিল একটি সমুদ্র তীরবর্তী সমতল ভূমি, যা পরে আল্পাইন পর্বতমালায় রূপান্তরিত হয়।
ডাল সাসো আরও বলেন, এই জায়গা ডাইনোসরে পরিপূর্ণ ছিল; এটি একটি বিশাল বৈজ্ঞানিক সম্পদ।
ডাল সাসো আরও যোগ করেন, ডাইনোসরের দলগুলো সুশৃঙ্খলভাবে চলাচল করত এবং সেখানে আরও কিছু চিহ্ন পাওয়া গেছে, যেগুলো থেকে মনে হয়, পশুরা আত্মরক্ষার উদ্দেশ্যে দলবদ্ধ হয়ে বৃত্তাকারে অবস্থান নিত।
আবিষ্কারকেরা বলছেন, প্রোসাওরোপডগুলো ১০ মিটার বা ৩৩ ফুট পর্যন্ত লম্বা হতে পারত। তারা সাধারণত দুই পায়ে হাঁটত, তবে কিছু ক্ষেত্রে পায়ের ছাপের সামনে হাতের ছাপও পাওয়া গেছে। এটি ইঙ্গিত দেয় যে, তারা সম্ভবত মাঝেমধ্যে থেমে বিশ্রাম নেওয়ার সময় তাদের সামনের পা মাটিতে রাখত।
আলোকচিত্রী এলিয়ো ডেলা ফেরেরা এই স্থান আবিষ্কার করেছিলেন। তিনি বলেন, ‘এই আবিষ্কার আমাদের সবার মধ্যে ভাবনার খোরাক জোগাবে এবং আমরা যেখানে বাস করি, আমাদের ঘর, আমাদের পৃথিবী, এই জায়গাগুলো সম্পর্কে আমরা কতটা কম জানি, তা বোঝায়।’
ইতালির সংস্কৃতি মন্ত্রণালয় এক বিজ্ঞপ্তিতে জানায়, এলাকাটি অত্যন্ত দুর্গম এবং যাতায়াতের কোনো পথ নেই। তাই গবেষণার কাজে ড্রোনের পাশাপাশি রিমোট সেন্সিং প্রযুক্তি ব্যবহার করা হবে।
উল্লেখ্য, আগামী বছর ইতালিতে শীতকালীন অলিম্পিক অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। আর ডাইনোসরের পায়ের ছাপ পাওয়া স্টেলভিও ন্যাশনাল পার্কটি সুইজারল্যান্ডের সঙ্গে ইতালির সীমান্তবর্তী ফ্রায়েল উপত্যকায় অবস্থিত। মন্ত্রণালয় জানায়, এটি যেন অনেকটা এমন যে, স্বয়ং ইতিহাসই বিশ্বের সর্ববৃহৎ এই ক্রীড়া ইভেন্টকে শ্রদ্ধা জানাতে চেয়েছে; প্রকৃতি ও ক্রীড়ার মধ্যে এক প্রতীকী সেতুবন্ধনের মাধ্যমে অতীত ও বর্তমানকে এক সুতায় গেঁথেছে।

উত্তর ইতালির একটি ন্যাশনাল পার্কে ২১ কোটি বছর আগের ডাইনোসরের পায়ের ছাপ পাওয়া গেছে। তাও আবার একটি-দুটি নয়, হাজার হাজার। এই পায়ের ছাপগুলোর কয়েকটির ব্যাস ১৫ ইঞ্চি পর্যন্ত। আর এগুলো সমান্তরাল সারিতে সাজানো। এসবের মধ্যে অনেকগুলোতে আঙুল ও নখের ছাপ স্পষ্ট বোঝা গেছে বলে বিবিসির প্রতিবেদনে জানা গেছে।
ধারণা করা হচ্ছে, এই ডাইনোসরগুলো ছিল ‘প্রোসাওরোপড’ (prosauropod) প্রজাতির। এ প্রজাতির ডাইনোসরের গলা লম্বা ও মাথা ছোট এবং ধারালো নখবিশিষ্ট তৃণভোজী প্রাণী ছিল।
মিলানভিত্তিক জীবাশ্মবিদ ক্রিস্টিয়ানো ডাল সাসো বলেন, ‘কখনো কল্পনাও করিনি, আমি যে অঞ্চলে বাস করি, সেখানেই এমন এক যুগান্তকারী আবিষ্কারের দেখা পাব।’
গত সেপ্টেম্বরে মিলানের উত্তর-পূর্বে অবস্থিত স্টেলভিও ন্যাশনাল পার্কের একটি খাঁড়া পাহাড়ের গায়ে কয়েক শ মিটার পর্যন্ত বিস্তৃত এই পায়ের ছাপগুলো একজন আলোকচিত্রীর চোখে ধরা পড়ে।
বিবিসির প্রতিবেদনে জানা যায়, ২০ থেকে ২৫ কোটি বছর আগে ট্রায়াসিক যুগে এই পাহাড়ের অংশটি ছিল একটি সমুদ্র তীরবর্তী সমতল ভূমি, যা পরে আল্পাইন পর্বতমালায় রূপান্তরিত হয়।
ডাল সাসো আরও বলেন, এই জায়গা ডাইনোসরে পরিপূর্ণ ছিল; এটি একটি বিশাল বৈজ্ঞানিক সম্পদ।
ডাল সাসো আরও যোগ করেন, ডাইনোসরের দলগুলো সুশৃঙ্খলভাবে চলাচল করত এবং সেখানে আরও কিছু চিহ্ন পাওয়া গেছে, যেগুলো থেকে মনে হয়, পশুরা আত্মরক্ষার উদ্দেশ্যে দলবদ্ধ হয়ে বৃত্তাকারে অবস্থান নিত।
আবিষ্কারকেরা বলছেন, প্রোসাওরোপডগুলো ১০ মিটার বা ৩৩ ফুট পর্যন্ত লম্বা হতে পারত। তারা সাধারণত দুই পায়ে হাঁটত, তবে কিছু ক্ষেত্রে পায়ের ছাপের সামনে হাতের ছাপও পাওয়া গেছে। এটি ইঙ্গিত দেয় যে, তারা সম্ভবত মাঝেমধ্যে থেমে বিশ্রাম নেওয়ার সময় তাদের সামনের পা মাটিতে রাখত।
আলোকচিত্রী এলিয়ো ডেলা ফেরেরা এই স্থান আবিষ্কার করেছিলেন। তিনি বলেন, ‘এই আবিষ্কার আমাদের সবার মধ্যে ভাবনার খোরাক জোগাবে এবং আমরা যেখানে বাস করি, আমাদের ঘর, আমাদের পৃথিবী, এই জায়গাগুলো সম্পর্কে আমরা কতটা কম জানি, তা বোঝায়।’
ইতালির সংস্কৃতি মন্ত্রণালয় এক বিজ্ঞপ্তিতে জানায়, এলাকাটি অত্যন্ত দুর্গম এবং যাতায়াতের কোনো পথ নেই। তাই গবেষণার কাজে ড্রোনের পাশাপাশি রিমোট সেন্সিং প্রযুক্তি ব্যবহার করা হবে।
উল্লেখ্য, আগামী বছর ইতালিতে শীতকালীন অলিম্পিক অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। আর ডাইনোসরের পায়ের ছাপ পাওয়া স্টেলভিও ন্যাশনাল পার্কটি সুইজারল্যান্ডের সঙ্গে ইতালির সীমান্তবর্তী ফ্রায়েল উপত্যকায় অবস্থিত। মন্ত্রণালয় জানায়, এটি যেন অনেকটা এমন যে, স্বয়ং ইতিহাসই বিশ্বের সর্ববৃহৎ এই ক্রীড়া ইভেন্টকে শ্রদ্ধা জানাতে চেয়েছে; প্রকৃতি ও ক্রীড়ার মধ্যে এক প্রতীকী সেতুবন্ধনের মাধ্যমে অতীত ও বর্তমানকে এক সুতায় গেঁথেছে।

যুক্তরাষ্ট্রের স্ক্রিপস রিসার্চ ইনস্টিটিউটের ইমিউনোলজি অ্যান্ড মাইক্রোবায়োলজি বিভাগের প্রধান গবেষক আইরিন এস খালেক ও তাঁর সহকর্মীরা একটি সর্বজনীন অ্যান্টিভেনম তৈরির ক্ষেত্রে উল্লেখ্যযোগ্য সাফল্য পেয়েছেন।
১০ মার্চ ২০২৪
কোনো বড় ধরনের সৌরঝড় বা প্রযুক্তিগত বিপর্যয়ের কারণে যদি পৃথিবীর কক্ষপথে থাকা স্যাটেলাইটগুলো হঠাৎ নিজেদের গতিপথ পরিবর্তনের সক্ষমতা হারায়, তবে মাত্র কয়েক দিনের মধ্যেই ভয়াবহ সংঘর্ষ শুরু হতে পারে বলে সতর্ক করেছেন বিজ্ঞানীরা।
২ দিন আগে
ব্রিটিশ কলম্বিয়ার উপকূলে একদিন। স্যামন মাছের ঝাঁক পড়িমড়ি করে ছুটতে দেখা গেল। তাদের পিছেই চোখে পড়ল কিলার হোয়েল নামে পরিচিত অরকা ও হোয়াইট–সাইডেড ডলফিনের দলকে। তাও আবার একসঙ্গে! এই দুই শিকারী প্রাণীকে জোটবেঁধে স্যামন শিকারে ছুটতে দেখে যারপরনাই বিস্মিত বিজ্ঞানীরা।
৬ দিন আগে
ফ্রান্সের ব্রিতানি উপকূলের কাছে সমুদ্রের গভীরে এক বিশাল পাথরের প্রাচীরের সন্ধান মিলেছে। এই প্রাচীন প্রায় ৭ হাজার বছর আগে—অর্থাৎ ৫ হাজার খ্রিষ্টপূর্বাব্দে নির্মিত বলে ধারণা করা হচ্ছে। ফরাসি সামুদ্রিক প্রত্নতাত্ত্বিকেরা ধারণা করছেন, সমুদ্রের জলস্তর বৃদ্ধির কারণে যে প্রস্তর যুগের সমাজ এই এলাকা...
৮ দিন আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

ব্রিটিশ কলম্বিয়ার উপকূলে একদিন। স্যামন মাছের ঝাঁক পড়িমড়ি করে ছুটতে দেখা গেল। তাদের পিছেই চোখে পড়ল কিলার হোয়েল নামে পরিচিত অরকা ও হোয়াইট–সাইডেড ডলফিনের দলকে। তাও আবার একসঙ্গে! এই দুই শিকারী প্রাণীকে জোটবেঁধে স্যামন শিকারে ছুটতে দেখে যারপরনাই বিস্মিত বিজ্ঞানীরা। শিকার একই হওয়ায় দুই শিকারী জোট বেঁধেছে বলে মনে করছেন তাঁরা।
এ নিয়ে একটি গবেষণাও প্রকাশিত হয়েছে। সায়েন্টিফিক রিপোর্টস সাময়িকীতে প্রকাশিত ওই গবেষণায় বলা হয়েছে, এই দুই শিকারি প্রাণীর মধ্যে হয়তো একটি সহযোগিতামূলক সম্পর্ক গড়ে উঠেছে।
গবেষকেরা বলছেন, ‘কানাডার ব্রিটিশ কলম্বিয়া উপকূলে প্যাসিফিক হোয়াইট–সাইডেড ডলফিন ও নর্দার্ন রেসিডেন্ট কিলার হোয়েলের মধ্যে এ ধরনের একটি রহস্যজনক সম্পর্ক দেখা যায়, যেখানে এই দুই সিটাসিয়ান প্রজাতিকে প্রায়ই একে অপরের কয়েক মিটারের মধ্যেই দেখা যায়।’
ব্রিটিশ কলম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়, লাইবনিজ ইনস্টিটিউট ও হাকাই ইনস্টিটিউটের সঙ্গে কাজ করা বিজ্ঞানীরা ড্রোন ভিডিও ও শব্দগত রেকর্ডিং সংগ্রহ করে তার ভিত্তিতে জানান, এই প্রথম অরকা ও ডলফিনের এভাবে খাদ্য চাহিদা পূরণে যৌথভাবে কাজ করতে দেখা গেল।
গবেষণার প্রধান লেখক সারা ফরচুন দ্য গার্ডিয়ানকে বলেন, ‘স্যামন শিকারের পারদর্শিতায় শীর্ষস্থানে রয়েছে এই তিমিগুলো। তারা অত্যন্ত দক্ষ ও বিশেষায়িত শিকারি। মনে হচ্ছিল ডলফিনগুলো তাদের নেতৃত্ব দিচ্ছে। অরকাদের এভাবে ডলফিনের অনুসরণ করতে দেখা ছিল একেবারেই অপ্রত্যাশিত আর ভীষণ রোমাঞ্চকর।’
দুই শিকারির মধ্যে সদ্য গড়ে ওঠা এই সম্পর্কের কারণ নিয়ে বিজ্ঞানীরা এখনো নিশ্চিত নন। একটি সম্ভাবনা হলো ক্লেপ্টোপ্যারাসিটিজম, যেখানে ডলফিনেরা অরকার শিকার ছিনিয়ে নিতে পারে।
আরেকটি ব্যাখ্যা হতে পারে, ডলফিনেরা স্তন্যপায়ীভোজী ট্রানসিয়েন্ট কিলার হোয়েল এবং কিছুটা কম মাত্রায় বড় হাঙরের হাত থেকে সুরক্ষা পেতে এই সম্পর্ক গড়ে তুলছে।
তবে সারা ফরচুনের মতে, যদি ডলফিনেরা পরজীবীর মতো আচরণ করত, তাহলে সদ্য ধরা শিকার নিয়ে সাধারণত অত্যন্ত রক্ষণশীল কিলার হোয়েলেরা এতটা শান্ত থাকত না, যেমনটি পর্যবেক্ষণে দেখা গেছে। এতে গবেষকদের সামনে সবচেয়ে জোরালো ব্যাখ্যাটি উঠে এসেছে, এই দুই শিকারি আসলে পরস্পরকে সহযোগিতা করছে।
সারা ফরচুন আরও বলেন, ‘অরকাগুলো নিজেদের অবস্থান এমনভাবে নিচ্ছিল, যেন তারা ডলফিনদের অনুসরণ করছে। ফলে ডলফিনদেরই নেতৃত্বের ভূমিকায় দেখা যাচ্ছিল। বিষয়টি আমাদের আরও গভীরভাবে তথ্য বিশ্লেষণ করতে এবং আসলে কী ঘটছে তা বোঝার চেষ্টা করতে আগ্রহী করে তোলে।’
এই সহযোগিতা নিয়ে রহস্য আরও ঘনীভূত হচ্ছে, কারণ নর্দার্ন রেসিডেন্ট অরকারা মূলত স্যামন শিকারে বিশেষজ্ঞ আর হোয়াইট–সাইডেড ডলফিন সাধারণত হেরিং ও অ্যাঙ্কোভির মতো ছোট মাছ খেয়ে থাকে।

ব্রিটিশ কলম্বিয়ার উপকূলে একদিন। স্যামন মাছের ঝাঁক পড়িমড়ি করে ছুটতে দেখা গেল। তাদের পিছেই চোখে পড়ল কিলার হোয়েল নামে পরিচিত অরকা ও হোয়াইট–সাইডেড ডলফিনের দলকে। তাও আবার একসঙ্গে! এই দুই শিকারী প্রাণীকে জোটবেঁধে স্যামন শিকারে ছুটতে দেখে যারপরনাই বিস্মিত বিজ্ঞানীরা। শিকার একই হওয়ায় দুই শিকারী জোট বেঁধেছে বলে মনে করছেন তাঁরা।
এ নিয়ে একটি গবেষণাও প্রকাশিত হয়েছে। সায়েন্টিফিক রিপোর্টস সাময়িকীতে প্রকাশিত ওই গবেষণায় বলা হয়েছে, এই দুই শিকারি প্রাণীর মধ্যে হয়তো একটি সহযোগিতামূলক সম্পর্ক গড়ে উঠেছে।
গবেষকেরা বলছেন, ‘কানাডার ব্রিটিশ কলম্বিয়া উপকূলে প্যাসিফিক হোয়াইট–সাইডেড ডলফিন ও নর্দার্ন রেসিডেন্ট কিলার হোয়েলের মধ্যে এ ধরনের একটি রহস্যজনক সম্পর্ক দেখা যায়, যেখানে এই দুই সিটাসিয়ান প্রজাতিকে প্রায়ই একে অপরের কয়েক মিটারের মধ্যেই দেখা যায়।’
ব্রিটিশ কলম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়, লাইবনিজ ইনস্টিটিউট ও হাকাই ইনস্টিটিউটের সঙ্গে কাজ করা বিজ্ঞানীরা ড্রোন ভিডিও ও শব্দগত রেকর্ডিং সংগ্রহ করে তার ভিত্তিতে জানান, এই প্রথম অরকা ও ডলফিনের এভাবে খাদ্য চাহিদা পূরণে যৌথভাবে কাজ করতে দেখা গেল।
গবেষণার প্রধান লেখক সারা ফরচুন দ্য গার্ডিয়ানকে বলেন, ‘স্যামন শিকারের পারদর্শিতায় শীর্ষস্থানে রয়েছে এই তিমিগুলো। তারা অত্যন্ত দক্ষ ও বিশেষায়িত শিকারি। মনে হচ্ছিল ডলফিনগুলো তাদের নেতৃত্ব দিচ্ছে। অরকাদের এভাবে ডলফিনের অনুসরণ করতে দেখা ছিল একেবারেই অপ্রত্যাশিত আর ভীষণ রোমাঞ্চকর।’
দুই শিকারির মধ্যে সদ্য গড়ে ওঠা এই সম্পর্কের কারণ নিয়ে বিজ্ঞানীরা এখনো নিশ্চিত নন। একটি সম্ভাবনা হলো ক্লেপ্টোপ্যারাসিটিজম, যেখানে ডলফিনেরা অরকার শিকার ছিনিয়ে নিতে পারে।
আরেকটি ব্যাখ্যা হতে পারে, ডলফিনেরা স্তন্যপায়ীভোজী ট্রানসিয়েন্ট কিলার হোয়েল এবং কিছুটা কম মাত্রায় বড় হাঙরের হাত থেকে সুরক্ষা পেতে এই সম্পর্ক গড়ে তুলছে।
তবে সারা ফরচুনের মতে, যদি ডলফিনেরা পরজীবীর মতো আচরণ করত, তাহলে সদ্য ধরা শিকার নিয়ে সাধারণত অত্যন্ত রক্ষণশীল কিলার হোয়েলেরা এতটা শান্ত থাকত না, যেমনটি পর্যবেক্ষণে দেখা গেছে। এতে গবেষকদের সামনে সবচেয়ে জোরালো ব্যাখ্যাটি উঠে এসেছে, এই দুই শিকারি আসলে পরস্পরকে সহযোগিতা করছে।
সারা ফরচুন আরও বলেন, ‘অরকাগুলো নিজেদের অবস্থান এমনভাবে নিচ্ছিল, যেন তারা ডলফিনদের অনুসরণ করছে। ফলে ডলফিনদেরই নেতৃত্বের ভূমিকায় দেখা যাচ্ছিল। বিষয়টি আমাদের আরও গভীরভাবে তথ্য বিশ্লেষণ করতে এবং আসলে কী ঘটছে তা বোঝার চেষ্টা করতে আগ্রহী করে তোলে।’
এই সহযোগিতা নিয়ে রহস্য আরও ঘনীভূত হচ্ছে, কারণ নর্দার্ন রেসিডেন্ট অরকারা মূলত স্যামন শিকারে বিশেষজ্ঞ আর হোয়াইট–সাইডেড ডলফিন সাধারণত হেরিং ও অ্যাঙ্কোভির মতো ছোট মাছ খেয়ে থাকে।

যুক্তরাষ্ট্রের স্ক্রিপস রিসার্চ ইনস্টিটিউটের ইমিউনোলজি অ্যান্ড মাইক্রোবায়োলজি বিভাগের প্রধান গবেষক আইরিন এস খালেক ও তাঁর সহকর্মীরা একটি সর্বজনীন অ্যান্টিভেনম তৈরির ক্ষেত্রে উল্লেখ্যযোগ্য সাফল্য পেয়েছেন।
১০ মার্চ ২০২৪
কোনো বড় ধরনের সৌরঝড় বা প্রযুক্তিগত বিপর্যয়ের কারণে যদি পৃথিবীর কক্ষপথে থাকা স্যাটেলাইটগুলো হঠাৎ নিজেদের গতিপথ পরিবর্তনের সক্ষমতা হারায়, তবে মাত্র কয়েক দিনের মধ্যেই ভয়াবহ সংঘর্ষ শুরু হতে পারে বলে সতর্ক করেছেন বিজ্ঞানীরা।
২ দিন আগে
উত্তর ইতালির একটি ন্যাশনাল পার্কে ২১ কোটি বছর আগের ডাইনোসরের পায়ের ছাপ পাওয়া গেছে। তাও আবার একটি-দুটি নয়, হাজার হাজার। এই পায়ের ছাপগুলোর কয়েকটির ব্যাস ১৫ ইঞ্চি পর্যন্ত। আর এগুলো সমান্তরাল সারিতে সাজানো। এসবের মধ্যে অনেকগুলোতে আঙুল ও নখের ছাপ স্পষ্ট বোঝা গেছে
৩ দিন আগে
ফ্রান্সের ব্রিতানি উপকূলের কাছে সমুদ্রের গভীরে এক বিশাল পাথরের প্রাচীরের সন্ধান মিলেছে। এই প্রাচীন প্রায় ৭ হাজার বছর আগে—অর্থাৎ ৫ হাজার খ্রিষ্টপূর্বাব্দে নির্মিত বলে ধারণা করা হচ্ছে। ফরাসি সামুদ্রিক প্রত্নতাত্ত্বিকেরা ধারণা করছেন, সমুদ্রের জলস্তর বৃদ্ধির কারণে যে প্রস্তর যুগের সমাজ এই এলাকা...
৮ দিন আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

ফ্রান্সের ব্রিতানি উপকূলের কাছে সমুদ্রের গভীরে এক বিশাল পাথরের প্রাচীরের সন্ধান মিলেছে। এই প্রাচীন প্রায় ৭ হাজার বছর আগে—অর্থাৎ ৫ হাজার খ্রিষ্টপূর্বাব্দে নির্মিত বলে ধারণা করা হচ্ছে। ফরাসি সামুদ্রিক প্রত্নতাত্ত্বিকেরা ধারণা করছেন, সমুদ্রের জলস্তর বৃদ্ধির কারণে যে প্রস্তর যুগের সমাজ এই এলাকা থেকে অদৃশ্য হয়ে গিয়েছিল, এই আবিষ্কার হয়তো সেই সমাজেরই প্রতিনিধিত্ব করছে। সেখানে তলিয়ে যাওয়া শহরের প্রচলিত কিংবদন্তির নিদর্শনও হতে পারে এই প্রাচীর।
১২০ মিটার দীর্ঘ এই প্রাচীর ফ্রান্সের জলসীমায় পাওয়া সমুদ্রতলের সবচেয়ে বড় অবকাঠামো। প্রত্নতাত্ত্বিকদের অনুমান, এটি হয়তো মাছ ধরার জন্য এক ধরনের ফাঁদ হিসেবে ব্যবহৃত হতো, অথবা সমুদ্রের ক্রমবর্ধমান জলস্তর থেকে সুরক্ষা দেওয়ার জন্য বাঁধ হিসেবে নির্মিত হয়েছিল।
প্রাচীরটি ব্রিতানির পশ্চিম প্রান্তে অবস্থিত ইলে দে সঁ-এর উপকূলে আবিষ্কৃত হয়েছে। সমুদ্র সৈকতে জোয়ারের চিহ্ন এখনো বহন করছে এই প্রাচীর। বর্তমানে প্রাচীরটি প্রায় নয় মিটার গভীরে ডুবে আছে। দ্বীপটি আগের আকারের তুলনায় অনেকটাই ছোট হয়ে গেছে, সমুদ্রের পানিস্তর বৃদ্ধির এটি বড় প্রমাণ।
প্রাচীরটির গড় প্রস্থ প্রায় ২০ মিটার এবং উচ্চতা দুই মিটার। নিয়মিত ব্যবধানে ডুবুরিরা এর মধ্যে বড় গ্রানাইট পাথর বা মনোলিথ-এর অস্তিত্ব খুঁজে পেয়েছেন। এগুলো দুটি সমান্তরাল রেখায় প্রাচীরের ওপরে উঁচু হয়ে আছে। মনে করা হচ্ছে, এই মনোলিথগুলোই প্রাচীরের মূল ভিত্তি হিসেবে শিলাস্তরের ওপর স্থাপন করা হয়েছিল এবং পরবর্তীতে স্ল্যাব ও ছোট পাথর দিয়ে তাদের ঘিরে প্রাচীর নির্মাণ করা হয়। যদি মাছ ধরার ফাঁদ হিসেবে ব্যবহারের অনুমানটি সঠিক হয়, তাহলে বলা যায়, মনোলিথগুলোতে জোয়ারের পানি নেমে যাওয়ার সময় মাছ ধরার জাল বেঁধে রাখা হতো।
প্রাচীরটির মোট ভর প্রায় ৩ হাজার ৩০০ টন। প্রত্নতাত্ত্বিক ইভান পাইয়ার বলেন, এই বিশাল নির্মাণ একটি সুসংগঠিত সমাজের কাজ হতে পারে। মূলত শিকারি-সংগ্রাহক (হান্টার গ্যাদারার) জনগোষ্ঠী এটি নির্মাণ করেছে, যারা সম্পদের প্রাচুর্য থাকায় স্থিতিশীল জীবনযাপন শুরু করেছিল। অথবা, এটি ছিল ৫ হাজার খ্রিষ্টপূর্বাব্দে এই অঞ্চলে আসা নব্যপ্রস্তর যুগের জনগোষ্ঠীর নির্মাণ।
পাইয়ারের মতে, মনোলিথগুলো নব্যপ্রস্তর যুগের বিখ্যাত মেনহিরগুলোর চেয়েও প্রাচীন। ফলে এটি পাথর উত্তোলন, কাটা এবং পরিবহনের জ্ঞান তৎকালীন শিকারি-সংগ্রাহক সমাজ থেকে পরবর্তী নব্যপ্রস্তর যুগের কৃষকদের কাছে স্থানান্তরিত হওয়ার ইঙ্গিত দেয়।
ইন্টারন্যাশনাল জার্নাল অব নটিক্যাল আর্কিওলজিতে প্রকাশিত গবেষণাপত্রে বলা হয়েছে, এই আবিষ্কার স্থানীয় ব্রেটোন কিংবদন্তিগুলোর উৎস হতে পারে। যেমন, ব্রিতানির উপকূলে অবস্থিত বে অব দোয়ারনেনেজ-এর আশপাশে ডুবে যাওয়া শহর ইশ (Ys)-এর কিংবদন্তি। গবেষকদের মতে, একটি অত্যন্ত সুসংগঠিত সমাজ দ্বারা গঠিত অঞ্চলের বিলুপ্তি মানুষের স্মৃতিতে গভীরভাবে প্রোথিত হয়েছে। সমুদ্রের জলস্তর দ্রুত বৃদ্ধির ফলে মাছ ধরার কাঠামো, প্রতিরক্ষামূলক কাজ এবং বাস্তুচ্যুতির ঘটনাগুলো সম্ভবত স্থানীয় মানুষের মনে দীর্ঘস্থায়ী ছাপ ফেলেছিল।

ফ্রান্সের ব্রিতানি উপকূলের কাছে সমুদ্রের গভীরে এক বিশাল পাথরের প্রাচীরের সন্ধান মিলেছে। এই প্রাচীন প্রায় ৭ হাজার বছর আগে—অর্থাৎ ৫ হাজার খ্রিষ্টপূর্বাব্দে নির্মিত বলে ধারণা করা হচ্ছে। ফরাসি সামুদ্রিক প্রত্নতাত্ত্বিকেরা ধারণা করছেন, সমুদ্রের জলস্তর বৃদ্ধির কারণে যে প্রস্তর যুগের সমাজ এই এলাকা থেকে অদৃশ্য হয়ে গিয়েছিল, এই আবিষ্কার হয়তো সেই সমাজেরই প্রতিনিধিত্ব করছে। সেখানে তলিয়ে যাওয়া শহরের প্রচলিত কিংবদন্তির নিদর্শনও হতে পারে এই প্রাচীর।
১২০ মিটার দীর্ঘ এই প্রাচীর ফ্রান্সের জলসীমায় পাওয়া সমুদ্রতলের সবচেয়ে বড় অবকাঠামো। প্রত্নতাত্ত্বিকদের অনুমান, এটি হয়তো মাছ ধরার জন্য এক ধরনের ফাঁদ হিসেবে ব্যবহৃত হতো, অথবা সমুদ্রের ক্রমবর্ধমান জলস্তর থেকে সুরক্ষা দেওয়ার জন্য বাঁধ হিসেবে নির্মিত হয়েছিল।
প্রাচীরটি ব্রিতানির পশ্চিম প্রান্তে অবস্থিত ইলে দে সঁ-এর উপকূলে আবিষ্কৃত হয়েছে। সমুদ্র সৈকতে জোয়ারের চিহ্ন এখনো বহন করছে এই প্রাচীর। বর্তমানে প্রাচীরটি প্রায় নয় মিটার গভীরে ডুবে আছে। দ্বীপটি আগের আকারের তুলনায় অনেকটাই ছোট হয়ে গেছে, সমুদ্রের পানিস্তর বৃদ্ধির এটি বড় প্রমাণ।
প্রাচীরটির গড় প্রস্থ প্রায় ২০ মিটার এবং উচ্চতা দুই মিটার। নিয়মিত ব্যবধানে ডুবুরিরা এর মধ্যে বড় গ্রানাইট পাথর বা মনোলিথ-এর অস্তিত্ব খুঁজে পেয়েছেন। এগুলো দুটি সমান্তরাল রেখায় প্রাচীরের ওপরে উঁচু হয়ে আছে। মনে করা হচ্ছে, এই মনোলিথগুলোই প্রাচীরের মূল ভিত্তি হিসেবে শিলাস্তরের ওপর স্থাপন করা হয়েছিল এবং পরবর্তীতে স্ল্যাব ও ছোট পাথর দিয়ে তাদের ঘিরে প্রাচীর নির্মাণ করা হয়। যদি মাছ ধরার ফাঁদ হিসেবে ব্যবহারের অনুমানটি সঠিক হয়, তাহলে বলা যায়, মনোলিথগুলোতে জোয়ারের পানি নেমে যাওয়ার সময় মাছ ধরার জাল বেঁধে রাখা হতো।
প্রাচীরটির মোট ভর প্রায় ৩ হাজার ৩০০ টন। প্রত্নতাত্ত্বিক ইভান পাইয়ার বলেন, এই বিশাল নির্মাণ একটি সুসংগঠিত সমাজের কাজ হতে পারে। মূলত শিকারি-সংগ্রাহক (হান্টার গ্যাদারার) জনগোষ্ঠী এটি নির্মাণ করেছে, যারা সম্পদের প্রাচুর্য থাকায় স্থিতিশীল জীবনযাপন শুরু করেছিল। অথবা, এটি ছিল ৫ হাজার খ্রিষ্টপূর্বাব্দে এই অঞ্চলে আসা নব্যপ্রস্তর যুগের জনগোষ্ঠীর নির্মাণ।
পাইয়ারের মতে, মনোলিথগুলো নব্যপ্রস্তর যুগের বিখ্যাত মেনহিরগুলোর চেয়েও প্রাচীন। ফলে এটি পাথর উত্তোলন, কাটা এবং পরিবহনের জ্ঞান তৎকালীন শিকারি-সংগ্রাহক সমাজ থেকে পরবর্তী নব্যপ্রস্তর যুগের কৃষকদের কাছে স্থানান্তরিত হওয়ার ইঙ্গিত দেয়।
ইন্টারন্যাশনাল জার্নাল অব নটিক্যাল আর্কিওলজিতে প্রকাশিত গবেষণাপত্রে বলা হয়েছে, এই আবিষ্কার স্থানীয় ব্রেটোন কিংবদন্তিগুলোর উৎস হতে পারে। যেমন, ব্রিতানির উপকূলে অবস্থিত বে অব দোয়ারনেনেজ-এর আশপাশে ডুবে যাওয়া শহর ইশ (Ys)-এর কিংবদন্তি। গবেষকদের মতে, একটি অত্যন্ত সুসংগঠিত সমাজ দ্বারা গঠিত অঞ্চলের বিলুপ্তি মানুষের স্মৃতিতে গভীরভাবে প্রোথিত হয়েছে। সমুদ্রের জলস্তর দ্রুত বৃদ্ধির ফলে মাছ ধরার কাঠামো, প্রতিরক্ষামূলক কাজ এবং বাস্তুচ্যুতির ঘটনাগুলো সম্ভবত স্থানীয় মানুষের মনে দীর্ঘস্থায়ী ছাপ ফেলেছিল।

যুক্তরাষ্ট্রের স্ক্রিপস রিসার্চ ইনস্টিটিউটের ইমিউনোলজি অ্যান্ড মাইক্রোবায়োলজি বিভাগের প্রধান গবেষক আইরিন এস খালেক ও তাঁর সহকর্মীরা একটি সর্বজনীন অ্যান্টিভেনম তৈরির ক্ষেত্রে উল্লেখ্যযোগ্য সাফল্য পেয়েছেন।
১০ মার্চ ২০২৪
কোনো বড় ধরনের সৌরঝড় বা প্রযুক্তিগত বিপর্যয়ের কারণে যদি পৃথিবীর কক্ষপথে থাকা স্যাটেলাইটগুলো হঠাৎ নিজেদের গতিপথ পরিবর্তনের সক্ষমতা হারায়, তবে মাত্র কয়েক দিনের মধ্যেই ভয়াবহ সংঘর্ষ শুরু হতে পারে বলে সতর্ক করেছেন বিজ্ঞানীরা।
২ দিন আগে
উত্তর ইতালির একটি ন্যাশনাল পার্কে ২১ কোটি বছর আগের ডাইনোসরের পায়ের ছাপ পাওয়া গেছে। তাও আবার একটি-দুটি নয়, হাজার হাজার। এই পায়ের ছাপগুলোর কয়েকটির ব্যাস ১৫ ইঞ্চি পর্যন্ত। আর এগুলো সমান্তরাল সারিতে সাজানো। এসবের মধ্যে অনেকগুলোতে আঙুল ও নখের ছাপ স্পষ্ট বোঝা গেছে
৩ দিন আগে
ব্রিটিশ কলম্বিয়ার উপকূলে একদিন। স্যামন মাছের ঝাঁক পড়িমড়ি করে ছুটতে দেখা গেল। তাদের পিছেই চোখে পড়ল কিলার হোয়েল নামে পরিচিত অরকা ও হোয়াইট–সাইডেড ডলফিনের দলকে। তাও আবার একসঙ্গে! এই দুই শিকারী প্রাণীকে জোটবেঁধে স্যামন শিকারে ছুটতে দেখে যারপরনাই বিস্মিত বিজ্ঞানীরা।
৬ দিন আগে