অনলাইন ডেস্ক
বিশ্বের অন্যতম শীর্ষ ধনকুবের ইলন মাস্কের অন্যতম উদ্যোগ নিউরালিংক গত ২৯ জানুয়ারি প্রথমবারের মতো মানুষে মস্তিষ্কে ব্রেইন-কম্পিউটার ইন্টারফেস (বিসিআই) নামে একটি চিপ বসিয়েছে। এই চিপ মানুষের মস্তিষ্কের সংকেত পড়তে সক্ষম। বিজ্ঞানীরা মাস্কের এই উদ্যোগ নিয়ে দারুণ উচ্ছ্বসিত। তাঁদের আশা, দীর্ঘ মেয়াদে এই উদ্যোগ মানুষের জন্য আশীর্বাদই বয়ে আনবে। তবে কিছু শঙ্কার কথাও বলেছেন তাঁরা।
বিজ্ঞানবিষয়ক জার্নাল নেচারে প্রকাশিত এক নিবন্ধে বলা হয়েছে, ব্রেইন-কম্পিউটার ইন্টারফেস চিপগুলো সাধারণত মানুষের মস্তিষ্কের কর্মকাণ্ড রেকর্ড করতে পারে, সেগুলোর অর্থ কী, তা-ও বের করতে পারে অর্থাৎ ডিকোড করতে পারে। এটি কাজে লাগিয়ে গুরুতর প্যারালাইজড ব্যক্তিকে তাঁর চিন্তার মাধ্যমে কম্পিউটার, রোবোটিক হাত, হুইলচেয়ার বা অন্যান্য ডিভাইস নিয়ন্ত্রণের সুযোগ দেওয়া হবে।
এ বিষয়ে নেদারল্যান্ডসের ইউনিভার্সিটি মেডিকেল সেন্টার উট্রেখটের স্নায়ুবিজ্ঞানী ও ইন্টারন্যাশনাল বিসিআই সোসাইটির প্রেসিডেন্ট মারিস্কা ভ্যানস্টিনসেল বলেন, ‘আমি আশা করি, তাঁরা (নিউরালিংকের বিজ্ঞানীরা) এটিকে নিরাপদ বলে প্রমাণ করবেন। এটি মস্তিষ্কের সংকেত রেকর্ড ও ডিকোড ক্ষেত্রে স্বল্প ও দীর্ঘমেয়াদি কার্যকর হবে।’
কিন্তু নিউরালিংক এখনো এই চিপ স্থাপনের বিষয়ে কোনো বিস্তারিত তথ্য প্রকাশ না করায় বিজ্ঞানীরা খানিকটা হতাশ। মাস্কের টুইট ছাড়া এই চিপ প্রতিস্থাপনের বিষয়ে নিউরালিংক কোনো আনুষ্ঠানিক ঘোষণা দেয়নি। এমনকি এ বিষয়ে মাস্কের প্রতিষ্ঠান আনুষ্ঠানিক অনুমতিও নেয়নি।
এ বিষয়ে হতাশা ব্যক্ত করে যুক্তরাজ্যের অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন নিউরোইঞ্জিনিয়ার টিম ডেনিসন বলেন, নিউরালিংক এই প্রকল্পে স্বেচ্ছাসেবক হওয়ার আহ্বান জানিয়ে বিজ্ঞপ্তি দিয়েছিল। তবে এতে বিশদ বিবরণ নেই। যেমন, চিপ বসানোর অপারেশন কোথায় হচ্ছে, এর মূল্যায়নের ফলাফল কী ইত্যাদি বিষয়ে তাঁরা কিছু জানাচ্ছেন না।
অন্যান্য ব্রেইন-কম্পিউটার ইন্টারফেসের সঙ্গে নিউরালিংকের চিপের পার্থক্য কী
যুক্তরাষ্ট্রের উতাহের সল্ট লেক সিটির প্রতিষ্ঠান ব্ল্যাকরক নিউরোটেক বলছে, নিউরালিংক মূলত ব্যক্তির প্রতিটি নিউরনের কার্যক্রমকে আলাদাভাবে টার্গেট করে। এই প্রক্রিয়ায় ব্যক্তির মস্তিষ্কে একটি ইলেকট্রোড স্থাপনের প্রয়োজন হয়। বিপরীতে অন্যান্য প্রতিষ্ঠান এমন চিপ আবিষ্কার করছে, যা মস্তিষ্কের ওপর স্থাপন করলেই হয়। এই চিপগুলো মস্তিষ্কের সাধারণ কার্যকলাপ রেকর্ড করে।
নিউরোসায়েন্টিস্টরা দীর্ঘদিন ধরেই বলে আসছেন, মানুষের পরিশীলিত চিন্তা ডিকোড করার জন্য প্রতিটি নিউরন থেকে আলাদা ডেটা প্রয়োজন। তবে সাম্প্রতিক গবেষণা ইঙ্গিত দেয়, মস্তিষ্কের সাধারণ সংকেত থেকেও মানুষের চিন্তার বিষয়টি ডিকোড করা সম্ভব হতে পারে। নিউইয়র্কভিত্তিক কোম্পানি সিঙ্ক্রোন দেখিয়েছে, একটি কম ব্যান্ডউইডথে বিসিআই মানুষের মস্তিষ্কের উপরিভাগে বসানো হলে তা নিয়ে বেশ ভালোভাবেই একটি স্মার্টফোন নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব।
নিউরালিংকের চিপটি তারহীন। কিন্তু আগে এ ধরনের চিপ হতো তারযুক্ত এবং তা বসানো হতো মাথার খুলি ছিদ্র করে। ফলে মস্তিষ্কে ইনফেকশন হওয়ার আশঙ্কা ছিল। কিন্তু নিউরালিংকের বেলায় এই আশঙ্কা কম বললেই বলা যায়।
নিউরালিংকের ঘোষণা অনুসারে, তাদের চিপে ৬৪টি নমনীয় পলিমার সুতা রয়েছে। যেখানে মানুষের মস্তিষ্কের কর্মকাণ্ড রেকর্ড করার জন্য ১০২৪টি একক ইউনিট রয়েছে; যা অন্যান্য প্রতিষ্ঠানের চেয়ে অনেক বেশি। এ কারণে নিউরালিংকের চিপে ব্যান্ডউইডথ বাড়ানোর একটি উজ্জ্বল সম্ভাবনা আছে। এ ছাড়া নিউরালিংক জানিয়েছে, তারা এমন একটি রোবট তৈরির চেষ্টা করছে, যা কোনো ত্রুটি ছাড়াই মানুষের ব্রেইনে চিপ প্রতিস্থাপন করতে পারবে।
নিউরালিংকের চিপের সম্ভাবনার ব্যাপারে টিম ডেনিসন বলেন, ‘যে পরিসরে নিউরালিংক কাজ করছে, তা সত্যিই দুর্দান্ত। এখন দেখার বিষয় হলো, এটি কতটা ভালো কাজ করে। বিশেষ করে রোগীর নিরাপত্তা, চিপের সিগন্যাল গ্রহণ করার ক্ষমতা, স্থায়িত্ব এবং ব্যবহারকারীর সন্তুষ্টি কতটা হয়, তা-ই দেখার বিষয়।’
নিউরালিংক এই ট্রায়ালের বিষয়ে কোনো তথ্য প্রকাশ করেনি। এমনকি নেচার এই বিষয়ে একটি সাক্ষাৎকার চাইলে তা-ও ফিরিয়ে দেয় প্রতিষ্ঠানটি। তবে বিশেষজ্ঞরা আশা করেছেন, প্রথম পর্যায়ে নিরাপত্তাকেই সবচেয়ে বেশি প্রাধান্য দিতে হবে। চিপের তাৎক্ষণিক প্রভাব প্রতিনিয়ত পর্যবেক্ষণ করতে হবে। এ বিষয়ে ডেনিসন বলেছেন, ‘বিশেষ করে কোনো ধরনের স্ট্রোক, রক্তপাত, রক্তনালির ক্ষতি বা এমন কিছু কিংবা কোনো ধরনের ইনফেকশন হয় কি না, সে বিষয়ে দীর্ঘমেয়াদি পর্যবেক্ষণ করতে হবে।’
নিউরালিংক অবশ্য জানিয়েছে, যাদের মাথায় চিপ বসানো হয়েছে, তাদের নিবিড়ভাবে অন্তত ৫ বছর পর্যবেক্ষণ করতে হবে। তবে এ ক্ষেত্রে একটি বিষয়ে সতর্ক করেছেন ভ্যানস্টিনসেল। তিনি বলেছেন, নিউরালিংকের আগে যে বিসিআইগুলো বসানো হয়েছে, সেগুলোর কর্মদক্ষতা সময়ের সঙ্গে সঙ্গে কমে যায় কি না, তা নজরে রাখতে হবে।
নিউরালিংকের বিসিআই নিয়ে যেসব বিষয়ে উদ্বিগ্ন বিজ্ঞানীরা
বিজ্ঞানীরা বলছেন, মানুষের পরীক্ষার ক্ষেত্রে স্বেচ্ছাসেবকদের নিরাপত্তা ও সুস্থতা একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন। নিউরালিংকের এই পরীক্ষামূলক প্রতিস্থাপন যুক্তরাষ্ট্রের ফুড অ্যান্ড ড্রাগ অ্যাডমিনিস্ট্রেশন অনুমোদন দিলেও সরকারের অপর একটি সংস্থা ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল ডট গভ এর অনুমতি দেয়নি। এই নিয়ে বিজ্ঞানীরা কিছুটা অস্বস্তিতে।
বিজ্ঞানীরা আরও বলছেন, নিউরালিংকের বিসিআই প্রতিস্থাপনের পুরো ব্যাপারটি স্বচ্ছতা অবলম্বন জরুরি। এ বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্রের ওহাইওর বিসিআই গবেষক ইয়ান বুরখার্ট জানান, নিউরালিংক কী অর্জন করতে পারে, সে বিষয়টি জানার জন্য তিনি উত্তেজিত। তবে তিনি বলেছেন, ‘বিষয়টি সবার জন্য উন্মুক্ত করতে তারা কতটা তথ্য প্রকাশ করছে, সে বিষয়ে তাদের ভাবা উচিত। কারণ, কোনো ব্যক্তি যখন এই চিপ নিজের শরীরে প্রতিস্থাপন করতে চাইবেন, তখন সে বিষয়ে তাঁর জানা অনেক বেশি জরুরি।’
উল্লেখ্য, এক গাড়ি দুর্ঘটনায় ইয়ান বুরখার্টের ঘাড় ভেঙে গিয়েছিল এবং তিনি প্যারালাইজড হয়ে গিয়েছিলেন। পরে তিনি তাঁর মস্তিষ্কে একটি ব্ল্যাকরক চিপ বসিয়ে দীর্ঘ সাড়ে ৭ বছর ধরের সুবিধা ভোগ করছেন।
বিশ্বের অন্যতম শীর্ষ ধনকুবের ইলন মাস্কের অন্যতম উদ্যোগ নিউরালিংক গত ২৯ জানুয়ারি প্রথমবারের মতো মানুষে মস্তিষ্কে ব্রেইন-কম্পিউটার ইন্টারফেস (বিসিআই) নামে একটি চিপ বসিয়েছে। এই চিপ মানুষের মস্তিষ্কের সংকেত পড়তে সক্ষম। বিজ্ঞানীরা মাস্কের এই উদ্যোগ নিয়ে দারুণ উচ্ছ্বসিত। তাঁদের আশা, দীর্ঘ মেয়াদে এই উদ্যোগ মানুষের জন্য আশীর্বাদই বয়ে আনবে। তবে কিছু শঙ্কার কথাও বলেছেন তাঁরা।
বিজ্ঞানবিষয়ক জার্নাল নেচারে প্রকাশিত এক নিবন্ধে বলা হয়েছে, ব্রেইন-কম্পিউটার ইন্টারফেস চিপগুলো সাধারণত মানুষের মস্তিষ্কের কর্মকাণ্ড রেকর্ড করতে পারে, সেগুলোর অর্থ কী, তা-ও বের করতে পারে অর্থাৎ ডিকোড করতে পারে। এটি কাজে লাগিয়ে গুরুতর প্যারালাইজড ব্যক্তিকে তাঁর চিন্তার মাধ্যমে কম্পিউটার, রোবোটিক হাত, হুইলচেয়ার বা অন্যান্য ডিভাইস নিয়ন্ত্রণের সুযোগ দেওয়া হবে।
এ বিষয়ে নেদারল্যান্ডসের ইউনিভার্সিটি মেডিকেল সেন্টার উট্রেখটের স্নায়ুবিজ্ঞানী ও ইন্টারন্যাশনাল বিসিআই সোসাইটির প্রেসিডেন্ট মারিস্কা ভ্যানস্টিনসেল বলেন, ‘আমি আশা করি, তাঁরা (নিউরালিংকের বিজ্ঞানীরা) এটিকে নিরাপদ বলে প্রমাণ করবেন। এটি মস্তিষ্কের সংকেত রেকর্ড ও ডিকোড ক্ষেত্রে স্বল্প ও দীর্ঘমেয়াদি কার্যকর হবে।’
কিন্তু নিউরালিংক এখনো এই চিপ স্থাপনের বিষয়ে কোনো বিস্তারিত তথ্য প্রকাশ না করায় বিজ্ঞানীরা খানিকটা হতাশ। মাস্কের টুইট ছাড়া এই চিপ প্রতিস্থাপনের বিষয়ে নিউরালিংক কোনো আনুষ্ঠানিক ঘোষণা দেয়নি। এমনকি এ বিষয়ে মাস্কের প্রতিষ্ঠান আনুষ্ঠানিক অনুমতিও নেয়নি।
এ বিষয়ে হতাশা ব্যক্ত করে যুক্তরাজ্যের অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন নিউরোইঞ্জিনিয়ার টিম ডেনিসন বলেন, নিউরালিংক এই প্রকল্পে স্বেচ্ছাসেবক হওয়ার আহ্বান জানিয়ে বিজ্ঞপ্তি দিয়েছিল। তবে এতে বিশদ বিবরণ নেই। যেমন, চিপ বসানোর অপারেশন কোথায় হচ্ছে, এর মূল্যায়নের ফলাফল কী ইত্যাদি বিষয়ে তাঁরা কিছু জানাচ্ছেন না।
অন্যান্য ব্রেইন-কম্পিউটার ইন্টারফেসের সঙ্গে নিউরালিংকের চিপের পার্থক্য কী
যুক্তরাষ্ট্রের উতাহের সল্ট লেক সিটির প্রতিষ্ঠান ব্ল্যাকরক নিউরোটেক বলছে, নিউরালিংক মূলত ব্যক্তির প্রতিটি নিউরনের কার্যক্রমকে আলাদাভাবে টার্গেট করে। এই প্রক্রিয়ায় ব্যক্তির মস্তিষ্কে একটি ইলেকট্রোড স্থাপনের প্রয়োজন হয়। বিপরীতে অন্যান্য প্রতিষ্ঠান এমন চিপ আবিষ্কার করছে, যা মস্তিষ্কের ওপর স্থাপন করলেই হয়। এই চিপগুলো মস্তিষ্কের সাধারণ কার্যকলাপ রেকর্ড করে।
নিউরোসায়েন্টিস্টরা দীর্ঘদিন ধরেই বলে আসছেন, মানুষের পরিশীলিত চিন্তা ডিকোড করার জন্য প্রতিটি নিউরন থেকে আলাদা ডেটা প্রয়োজন। তবে সাম্প্রতিক গবেষণা ইঙ্গিত দেয়, মস্তিষ্কের সাধারণ সংকেত থেকেও মানুষের চিন্তার বিষয়টি ডিকোড করা সম্ভব হতে পারে। নিউইয়র্কভিত্তিক কোম্পানি সিঙ্ক্রোন দেখিয়েছে, একটি কম ব্যান্ডউইডথে বিসিআই মানুষের মস্তিষ্কের উপরিভাগে বসানো হলে তা নিয়ে বেশ ভালোভাবেই একটি স্মার্টফোন নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব।
নিউরালিংকের চিপটি তারহীন। কিন্তু আগে এ ধরনের চিপ হতো তারযুক্ত এবং তা বসানো হতো মাথার খুলি ছিদ্র করে। ফলে মস্তিষ্কে ইনফেকশন হওয়ার আশঙ্কা ছিল। কিন্তু নিউরালিংকের বেলায় এই আশঙ্কা কম বললেই বলা যায়।
নিউরালিংকের ঘোষণা অনুসারে, তাদের চিপে ৬৪টি নমনীয় পলিমার সুতা রয়েছে। যেখানে মানুষের মস্তিষ্কের কর্মকাণ্ড রেকর্ড করার জন্য ১০২৪টি একক ইউনিট রয়েছে; যা অন্যান্য প্রতিষ্ঠানের চেয়ে অনেক বেশি। এ কারণে নিউরালিংকের চিপে ব্যান্ডউইডথ বাড়ানোর একটি উজ্জ্বল সম্ভাবনা আছে। এ ছাড়া নিউরালিংক জানিয়েছে, তারা এমন একটি রোবট তৈরির চেষ্টা করছে, যা কোনো ত্রুটি ছাড়াই মানুষের ব্রেইনে চিপ প্রতিস্থাপন করতে পারবে।
নিউরালিংকের চিপের সম্ভাবনার ব্যাপারে টিম ডেনিসন বলেন, ‘যে পরিসরে নিউরালিংক কাজ করছে, তা সত্যিই দুর্দান্ত। এখন দেখার বিষয় হলো, এটি কতটা ভালো কাজ করে। বিশেষ করে রোগীর নিরাপত্তা, চিপের সিগন্যাল গ্রহণ করার ক্ষমতা, স্থায়িত্ব এবং ব্যবহারকারীর সন্তুষ্টি কতটা হয়, তা-ই দেখার বিষয়।’
নিউরালিংক এই ট্রায়ালের বিষয়ে কোনো তথ্য প্রকাশ করেনি। এমনকি নেচার এই বিষয়ে একটি সাক্ষাৎকার চাইলে তা-ও ফিরিয়ে দেয় প্রতিষ্ঠানটি। তবে বিশেষজ্ঞরা আশা করেছেন, প্রথম পর্যায়ে নিরাপত্তাকেই সবচেয়ে বেশি প্রাধান্য দিতে হবে। চিপের তাৎক্ষণিক প্রভাব প্রতিনিয়ত পর্যবেক্ষণ করতে হবে। এ বিষয়ে ডেনিসন বলেছেন, ‘বিশেষ করে কোনো ধরনের স্ট্রোক, রক্তপাত, রক্তনালির ক্ষতি বা এমন কিছু কিংবা কোনো ধরনের ইনফেকশন হয় কি না, সে বিষয়ে দীর্ঘমেয়াদি পর্যবেক্ষণ করতে হবে।’
নিউরালিংক অবশ্য জানিয়েছে, যাদের মাথায় চিপ বসানো হয়েছে, তাদের নিবিড়ভাবে অন্তত ৫ বছর পর্যবেক্ষণ করতে হবে। তবে এ ক্ষেত্রে একটি বিষয়ে সতর্ক করেছেন ভ্যানস্টিনসেল। তিনি বলেছেন, নিউরালিংকের আগে যে বিসিআইগুলো বসানো হয়েছে, সেগুলোর কর্মদক্ষতা সময়ের সঙ্গে সঙ্গে কমে যায় কি না, তা নজরে রাখতে হবে।
নিউরালিংকের বিসিআই নিয়ে যেসব বিষয়ে উদ্বিগ্ন বিজ্ঞানীরা
বিজ্ঞানীরা বলছেন, মানুষের পরীক্ষার ক্ষেত্রে স্বেচ্ছাসেবকদের নিরাপত্তা ও সুস্থতা একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন। নিউরালিংকের এই পরীক্ষামূলক প্রতিস্থাপন যুক্তরাষ্ট্রের ফুড অ্যান্ড ড্রাগ অ্যাডমিনিস্ট্রেশন অনুমোদন দিলেও সরকারের অপর একটি সংস্থা ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল ডট গভ এর অনুমতি দেয়নি। এই নিয়ে বিজ্ঞানীরা কিছুটা অস্বস্তিতে।
বিজ্ঞানীরা আরও বলছেন, নিউরালিংকের বিসিআই প্রতিস্থাপনের পুরো ব্যাপারটি স্বচ্ছতা অবলম্বন জরুরি। এ বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্রের ওহাইওর বিসিআই গবেষক ইয়ান বুরখার্ট জানান, নিউরালিংক কী অর্জন করতে পারে, সে বিষয়টি জানার জন্য তিনি উত্তেজিত। তবে তিনি বলেছেন, ‘বিষয়টি সবার জন্য উন্মুক্ত করতে তারা কতটা তথ্য প্রকাশ করছে, সে বিষয়ে তাদের ভাবা উচিত। কারণ, কোনো ব্যক্তি যখন এই চিপ নিজের শরীরে প্রতিস্থাপন করতে চাইবেন, তখন সে বিষয়ে তাঁর জানা অনেক বেশি জরুরি।’
উল্লেখ্য, এক গাড়ি দুর্ঘটনায় ইয়ান বুরখার্টের ঘাড় ভেঙে গিয়েছিল এবং তিনি প্যারালাইজড হয়ে গিয়েছিলেন। পরে তিনি তাঁর মস্তিষ্কে একটি ব্ল্যাকরক চিপ বসিয়ে দীর্ঘ সাড়ে ৭ বছর ধরের সুবিধা ভোগ করছেন।
যুক্তরাষ্ট্রে উচ্চ বিদ্যালয়ে পড়া দুই ছাত্রী এমন একটি গাণিতিক সমস্যার সমাধান করেছেন, যা এত দিন প্রায় অসম্ভব বলে মনে করতেন অনেকে। ২০২২ সালে ত্রিকোণমিতি ব্যবহার করে পিথাগোরাসের তত্ত্ব প্রমাণ করে আলোচনায় আসে ক্যালসিয়া জনসন ও নে’কিয়া জ্যাকসন। এই অর্জন এবার বিজ্ঞান সাময়িকী ‘আমেরিকান ম্যাথেমেটিক্যাল মান্থল
১৭ ঘণ্টা আগেসমুদ্রতীরে কাঁকড়ার চলাফেরা খেয়াল করলে দেখা যায়, এরা কখনো এদের সম্মুখের দিকে হাঁটে না! এরা সরাসরি সামনে হাঁটার পরিবর্তে দ্রুতগতিতে এক কাত হয়ে হাঁটে। যেখানে মানুষের জন্য ডান বা বাম দিকে একপাশে হাঁটা খুব কঠিন।
৩ দিন আগেনিজের যৌবন ধরে রাখতে বিভিন্ন পন্থা অবলম্বন করেন প্রযুক্তি ধনকুব ব্রায়ান জনসন। সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে নিজের চুলের চমকপ্রদ পরিবর্তন শেয়ার করেন। ৪৬ বছর বয়সী এই ব্যক্তি এক বছরের কম সময় নিজের চুল পড়া রোধ করেছেন ও চুলের প্রাকৃতিক রঙ পুনরুদ্ধার করেছেন।
৫ দিন আগেপ্রত্নতাত্ত্বিকেরা ধূমপানের উল্লেখযোগ্য স্থায়ী পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া আবিষ্কার করেছেন। তাঁদের গবেষণায় বেরিয়ে এসেছে, তামাক ধূমপায়ীদের হাড়ে যে চিহ্ন তৈরি করে—তা কেবল তাদের জীবিতাবস্থায় নয়, মৃত্যুর পরেও বহু শতাব্দী ধরে রয়ে যায়।
১২ দিন আগে