অনলাইন ডেস্ক
কল্পবিজ্ঞান ভিত্তিক গল্প, সিনেমা বা কার্টুনে রোবটের সঙ্গে শিশুর বন্ধুত্বের ঘটনা দেখানো হয়। বাস্তবেও শিশুরা মানুষের চেয়ে রোবটের ওপর বেশি আস্থা রাখে। সাম্প্রতিক এক গবেষণায় এমন প্রমাণই মিলেছে।
৩ থেকে ৬ বছর বয়সী ১১১টি শিশুর তথ্য নিয়ে এই গবেষণা পরিচালনা করা হয়। গবেষণায় দেখা যায়, শিশুরা মানুষের চেয়ে রোবটকে বেশি বিশ্বাস করে। ভুল করলেও রোবটদেরই বেশি পছন্দ করে শিশুরা।
কল্পকাহিনী থেকে সত্যকে বাছাই করার পাশাপাশি বিশ্ব সম্পর্কে জানার জন্য শিশুদের প্রচুর পরিমাণে নতুন তথ্য গ্রহণ করতে হয়। শিশুরা বিভিন্ন উৎস থেকে কীভাবে তথ্য সংগ্রহ করে তা এই গবেষণায় পর্যবেক্ষণ করা হয়।
গবেষণাপত্রে বলা হয়েছে, পরস্পর বিরোধী তথ্যের সম্মুখীন হলে শিশুরা কার কাছ থেকে শিখবে বা কাকে বেছে নেবে—এমন প্রশ্ন রয়ে যায়।
এই গবেষণায় শিশুদের বিভিন্ন দলে ভাগ করা হয়। তাদের কিছু ভিডিও দেখানো হয়। ভিডিওতে রোবট ও মানুষকে বিভিন্ন বস্তুকে নামাঙ্কিত করতে দেখা যায়। এর মধ্যে কিছু বস্তু ছিল যা শিশুরা আগে থেকেই চিনত। তবে কিছু বস্তু শিশুদের কাছে একদমই অচেনা ছিল।
ইচ্ছে করেই ভিডিওতে মানুষ ও রোবট সাধারণ বস্তুকে ভুল নামে লেবেল করা দেখানো হয়। যেমন: কোনো খাবারে প্লেটের নাম চামচ হিসেবে লেবেল করা হয়। এইভাবে গবেষকেরা ‘কাকে বিশ্বাস করতে হবে’ সে সম্পর্কে শিশুদের বোধকে প্রভাবিত করেন।
এভাবে ভিডিওতে রোবট ও মানুষ উভয়কেই সমানভাবে নির্ভরযোগ্য হিসেবে দেখানো হয়েছে। এরপর নতুন বস্তুর নাম জানতে শিশুদের রোবটের ওপর বেশি আস্থা রাখতে দেখা যায়। রোবটের লেবেলগুলোই সঠিক বলে বেশির ভাগ শিশুরা বিশ্বাস করে।
মানুষ নাকি রোবট, কার সঙ্গে নিজের গোপন তথ্য শেয়ার করতে চায়—এমন প্রশ্নে শিশুরা রোবটকেই বেছে নেয়। আর কার সঙ্গে বন্ধুত্ব গড়তে চায় বা কাকে শিক্ষক হিসেবে দেখতে চায় এমন প্রশ্নের উত্তরেও রোবটকে নির্বাচন করে তারা।
গবেষকেরা বলেন, ভুল লেবেল করা রোবট ও মানুষ নিয়েও শিশুদের মনোভাব ভিন্ন ছিল। শিশুরা মনে করে, মানুষ উদ্দেশ্যমূলকভাবে ভুল করে কিন্তু রোবট তা করে না।
তবে বয়স ভেদে শিশুদের প্রতিক্রিয়া বিভিন্ন ছিল। কিছু বেশি বয়সী শিশু আবার রোবটের চেয়ে মানুষের ওপর আস্থা বেশি রাখে। তবে এটি তখন সেই সময়ে ঘটে, যখন রোবটদের ভিডিওতে ভুল করতে দেখে। পুরো পর্যবেক্ষণের পর গবেষণার ফলাফলে দেখা যায়, শিশুরা মানুষের চেয়ে রোবটের ওপর কিছুটা বেশি আস্থা রাখে।
এই গবেষণা শিক্ষাক্ষেত্রে বেশি কাজে লাগবে। কারণ বিভিন্ন ক্ষেত্রে এখন প্রযুক্তি ব্যবহার হচ্ছে।
তবে মানুষের চেয়ে রোবটের ওপর শিশুরা কেন বেশি আস্থা রাখে তা তাদের জিজ্ঞেস করেনি গবেষকেরা। তা ছাড়া ভিডিওর মাধ্যমে মিথস্ক্রিয়া আর বাস্তব জীবনের মিথস্ক্রিয়ার মধ্যে পার্থক্য রয়েছে। তাই বাস্তব পরিবেশেও বিষয়টি নিয়ে গবেষণা করা প্রয়োজন।
গবেষণাটি সায়েন্স ডাইরেক্ট জার্নালের ‘কম্পিউটার ইন হিউম্যান বিহেভিয়ার’ বিভাগে প্রকাশিত হয়েছে।
তথ্যসূত্র: সায়েন্স অ্যালার্ট
কল্পবিজ্ঞান ভিত্তিক গল্প, সিনেমা বা কার্টুনে রোবটের সঙ্গে শিশুর বন্ধুত্বের ঘটনা দেখানো হয়। বাস্তবেও শিশুরা মানুষের চেয়ে রোবটের ওপর বেশি আস্থা রাখে। সাম্প্রতিক এক গবেষণায় এমন প্রমাণই মিলেছে।
৩ থেকে ৬ বছর বয়সী ১১১টি শিশুর তথ্য নিয়ে এই গবেষণা পরিচালনা করা হয়। গবেষণায় দেখা যায়, শিশুরা মানুষের চেয়ে রোবটকে বেশি বিশ্বাস করে। ভুল করলেও রোবটদেরই বেশি পছন্দ করে শিশুরা।
কল্পকাহিনী থেকে সত্যকে বাছাই করার পাশাপাশি বিশ্ব সম্পর্কে জানার জন্য শিশুদের প্রচুর পরিমাণে নতুন তথ্য গ্রহণ করতে হয়। শিশুরা বিভিন্ন উৎস থেকে কীভাবে তথ্য সংগ্রহ করে তা এই গবেষণায় পর্যবেক্ষণ করা হয়।
গবেষণাপত্রে বলা হয়েছে, পরস্পর বিরোধী তথ্যের সম্মুখীন হলে শিশুরা কার কাছ থেকে শিখবে বা কাকে বেছে নেবে—এমন প্রশ্ন রয়ে যায়।
এই গবেষণায় শিশুদের বিভিন্ন দলে ভাগ করা হয়। তাদের কিছু ভিডিও দেখানো হয়। ভিডিওতে রোবট ও মানুষকে বিভিন্ন বস্তুকে নামাঙ্কিত করতে দেখা যায়। এর মধ্যে কিছু বস্তু ছিল যা শিশুরা আগে থেকেই চিনত। তবে কিছু বস্তু শিশুদের কাছে একদমই অচেনা ছিল।
ইচ্ছে করেই ভিডিওতে মানুষ ও রোবট সাধারণ বস্তুকে ভুল নামে লেবেল করা দেখানো হয়। যেমন: কোনো খাবারে প্লেটের নাম চামচ হিসেবে লেবেল করা হয়। এইভাবে গবেষকেরা ‘কাকে বিশ্বাস করতে হবে’ সে সম্পর্কে শিশুদের বোধকে প্রভাবিত করেন।
এভাবে ভিডিওতে রোবট ও মানুষ উভয়কেই সমানভাবে নির্ভরযোগ্য হিসেবে দেখানো হয়েছে। এরপর নতুন বস্তুর নাম জানতে শিশুদের রোবটের ওপর বেশি আস্থা রাখতে দেখা যায়। রোবটের লেবেলগুলোই সঠিক বলে বেশির ভাগ শিশুরা বিশ্বাস করে।
মানুষ নাকি রোবট, কার সঙ্গে নিজের গোপন তথ্য শেয়ার করতে চায়—এমন প্রশ্নে শিশুরা রোবটকেই বেছে নেয়। আর কার সঙ্গে বন্ধুত্ব গড়তে চায় বা কাকে শিক্ষক হিসেবে দেখতে চায় এমন প্রশ্নের উত্তরেও রোবটকে নির্বাচন করে তারা।
গবেষকেরা বলেন, ভুল লেবেল করা রোবট ও মানুষ নিয়েও শিশুদের মনোভাব ভিন্ন ছিল। শিশুরা মনে করে, মানুষ উদ্দেশ্যমূলকভাবে ভুল করে কিন্তু রোবট তা করে না।
তবে বয়স ভেদে শিশুদের প্রতিক্রিয়া বিভিন্ন ছিল। কিছু বেশি বয়সী শিশু আবার রোবটের চেয়ে মানুষের ওপর আস্থা বেশি রাখে। তবে এটি তখন সেই সময়ে ঘটে, যখন রোবটদের ভিডিওতে ভুল করতে দেখে। পুরো পর্যবেক্ষণের পর গবেষণার ফলাফলে দেখা যায়, শিশুরা মানুষের চেয়ে রোবটের ওপর কিছুটা বেশি আস্থা রাখে।
এই গবেষণা শিক্ষাক্ষেত্রে বেশি কাজে লাগবে। কারণ বিভিন্ন ক্ষেত্রে এখন প্রযুক্তি ব্যবহার হচ্ছে।
তবে মানুষের চেয়ে রোবটের ওপর শিশুরা কেন বেশি আস্থা রাখে তা তাদের জিজ্ঞেস করেনি গবেষকেরা। তা ছাড়া ভিডিওর মাধ্যমে মিথস্ক্রিয়া আর বাস্তব জীবনের মিথস্ক্রিয়ার মধ্যে পার্থক্য রয়েছে। তাই বাস্তব পরিবেশেও বিষয়টি নিয়ে গবেষণা করা প্রয়োজন।
গবেষণাটি সায়েন্স ডাইরেক্ট জার্নালের ‘কম্পিউটার ইন হিউম্যান বিহেভিয়ার’ বিভাগে প্রকাশিত হয়েছে।
তথ্যসূত্র: সায়েন্স অ্যালার্ট
কোনো প্রাণী বিলুপ্ত হয়ে গেলে সাধারণত তা চিরতরে হারিয়ে যায়। তবে উলি ম্যামথের ক্ষেত্রে এই নিয়ম কিছুটা শিথিল হতে চলেছে। প্রায় ৪ হাজার বছর আগে পৃথিবী থেকে বিলুপ্ত হয়ে যাওয়া বিশাল এই হাতির মতো প্রাণীর কিছু জিনগত বৈশিষ্ট্য এখন পরীক্ষাগারে তৈরি ছোট্ট ইঁদুরের শরীরে নতুন করে ফিরে এসেছে। যুক্তরাষ্ট্রের ডালাস
১০ ঘণ্টা আগেবিশ্বজুড়ে স্মার্টফোন ব্যবহারকারীর সংখ্যা বাড়ছে। এটি এক মুহূর্তও দূরে থাকলে অস্বস্তি বোধ করেন অনেকেই। বর্তমানে স্মার্টফোন নিকোটিন বা অ্যালকোহলের মতোই আসক্তি তৈরি করে। নতুন গবেষণায় এমনই তথ্য পেয়েছেন গবেষকেরা।
১৫ ঘণ্টা আগেসূর্যগ্রহণের সময় চাঁদে কী হয়, তা দেখতে ও দেখাতে পৃথিবীর ইতিহাসে দ্বিতীয়বারের মতো চাঁদে অবতরণ করেছে ব্যক্তিমালিকানাধীন প্রতিষ্ঠানের একটি মহাকাশযান। আজ রোববার মার্কিন সময় রাত ৩টা ৩৫ মিনিটের দিকে (স্থানীয়) চাঁদের মাটি স্পর্শ করে টেক্সাসভিত্তিক প্রতিষ্ঠান ফায়ারফ্লাই অ্যারোস্পেসের চন্দ্রযান ব্লু ঘোস্ট।
২ দিন আগেপৃথিবীর নিকটতম গ্রহ মঙ্গলে আজ থেকে ৩৬০ কোটি বছর আগে বিশাল এক মহাসাগর ছিল এবং তার ঢেউ সৈকতে আছড়ে পড়ত। সম্প্রতি এমনটাই ইঙ্গিত দিচ্ছে নতুন গবেষণা। চীনের ঝুরং রোভার ২০২১-২২ সাল সময়ের মধ্যে মঙ্গলের ইউটোপিয়া প্লানিশিয়া এলাকায় অভিযান চালিয়ে ভূগর্ভস্থ রাডার ব্যবহার করে সম্ভাব্য এই প্রাচীন মহাসাগরের উপকূলরেখ
৩ দিন আগে