অধিক উৎপাদনশীল সুস্বাদু নতুন জাত ‘সুবর্ণ রুই’

প্রতিনিধি
আপডেট : ০৪ জুলাই ২০২১, ০৭: ৩৬
Thumbnail image

ময়মনসিংহ: রুই মাছের চতুর্থ প্রজন্মের নতুন জাত উদ্ভাবন করেছেন ময়মনসিংহে মৎস্য গবেষণা ইনস্টিটিউটের (বিএফআরআই) বিজ্ঞানীরা। নাম দিয়েছেন ‘সুবর্ণ রুই’। আজ বৃহস্পতিবার সকালে এই নতুন জাত অবমুক্ত করা হয়।

বিজ্ঞানীরা বলছেন, সুবর্ণ রুই দ্রুত বর্ধনশীল। স্থানীয় জাতের চেয়ে ২০ দশমিক ১২ শতাংশ অধিক উৎপাদনশীল, খেতে সুস্বাদু। দেখতে লালচে ও আকর্ষণীয়। এটি মাঠপর্যায়ে সম্প্রসারণ করা হলে দেশে প্রায় আট টন মাছ অধিক উৎপাদন সম্ভব হবে, যার বাজারমূল্য ২ কোটি ৪০ লাখ টাকা।

সুবর্ণ রুই অবমুক্তকরণ অনুষ্ঠানে ভার্চ্যুয়ালি যুক্ত ছিলেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম এবং সচিব রওনক মাহমুদ।

নতুন জাতটির ব্যাপারে বাংলাদেশ মৎস্য গবেষণা ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক ড. ইয়াহিয়া মাহমুদ জানান, স্বাদু পানির অন্যতম প্রধান মাছ রুই। বাংলাদেশে চাষযোগ্য মাছের মধ্যে রুই সবচেয়ে বেশি বাণিজ্যিক গুরুত্বসম্পন্ন। বাংলাদেশ মৎস্য গবেষণা ইনস্টিটিউটে কৌলিতাত্ত্বিক গবেষণার মাধ্যমে রুই মাছের নতুন উন্নত জাত উন্নয়নে কাজ চলছে। এ ক্ষেত্রে যমুনা, ব্রহ্মপুত্র ও হালদা নদীর প্রাকৃতিক উৎসের রুই মাছ সংগ্রহ করে ধারাবাহিক গবেষণায় ২০২০ সালে রুই মাছের চতুর্থ প্রজন্ম উদ্ভাবন করা সম্ভব হয়।

ড. ইয়াহিয়া বলেন, চতুর্থ প্রজন্মের জাতের কৌলিতাত্ত্বিক অবদান স্থানীয় জাত অপেক্ষা বেশি, যা প্রজাতির বিশুদ্ধতা বজায় রাখার পাশাপাশি মৎস্য উৎপাদন বৃদ্ধিতে অগ্রণী ভূমিকা পালন রাখবে।

বিএফআরআই মহাপরিচালক জানান, অধিক উৎপাদনশীল ও অন্তঃপ্রজনন সমস্যামুক্ত উন্নতজাতের চতুর্থ প্রজন্মের সুবর্ণ রুই মাছ স্বাদু পানি ও আধা-লবণাক্ত পানির পুকুর, বিল, বাঁওড় এবং হাওরে চাষ করা যাবে। তা ছাড়া, উন্নত এ জাতের রেণু পোনা হ্যাচারি থেকে সংগ্রহ করে নার্সারি ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে অনেকেই লাভবান হতে পারবে।

নতুন জাতটির বিতরণ ও সম্প্রসারণ সম্পর্কে ড. ইয়াহিয়া মাহমুদ জানান, সুবর্ণ রুই মাঠ পর্যায়ে সম্প্রসারণের লক্ষ্যে প্রথমে এর জার্মপ্লাজম বিতরণ করা হবে। এ লক্ষ্যে ভিডিও সংযোগের মাধ্যমে মৎস্য অধিদপ্তর ও বেসরকারি পর্যায়ের নির্বাচিত ২০টি হ্যাচারিতে সুবর্ণ রুইয়ের জার্মপ্লাজম (রেণু/পোনা) আনুষ্ঠানিকভাবে হস্তান্তর করা হবে। হ্যাচারিতে এসব রেণু/পোনা লালন-পালন করে ‘ব্রুড মাছ’ তৈরি করা হবে এবং পোনা উৎপাদনে ব্যবহার করা হবে। উৎপাদিত পোনা পরবর্তীতে চাষাবাদের জন্য ব্যবহৃত হবে। সুবর্ণ রুই মাছের পোনা সরাসরি ইনস্টিটিউট থেকে দেশের বিভিন্ন এলাকার ৫০ জন মুক্তিযোদ্ধা ও প্রতিবন্ধীর পুকুরে বিনা মূল্যে সরবরাহ করা হবে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত