দক্ষিণ আফ্রিকাকে আরও একবার চ্যাম্পিয়ন করতে চান মার্করাম

ক্রীড়া ডেস্ক
প্রকাশ : ২৭ জুন ২০২৪, ১৫: ৫২
আপডেট : ২৭ জুন ২০২৪, ১৬: ৩০

শিরোপা জয়ের স্বাদ এইডেন মার্করাম কখনো যে পাননি, তা নয়। ২০১৪ সালে দক্ষিণ আফ্রিকা অনূর্ধ্ব-১৯ দলকে নেতৃত্ব দিয়ে জিতিয়েছেন শিরোপা। সেই মার্করামের অধিনায়কত্বে আরও একবার চ্যাম্পিয়ন হওয়ার দ্বারপ্রান্তে প্রোটিয়ারা। আফগানিস্তানকে ৯ উইকেটে হারিয়ে ২০২৪ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের ফাইনালে উঠেছে দক্ষিণ আফ্রিকা।

১৯৯২ থেকে শুরু করে ২০২৩—গত ৩১ বছরে পাঁচটি ওয়ানডে বিশ্বকাপ, দুটি টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপসহ সাতবার সেমিফাইনালেই আটকে যায় দক্ষিণ আফ্রিকা। অবশেষে ৩২ বছরের সেমিফাইনাল ফাঁড়া প্রোটিয়ারা আজ কাটাল ত্রিনিদাদের ব্রায়ান লারা স্টেডিয়ামে। মার্করামের নেতৃত্বাধীন প্রোটিয়া বাহিনীর এবার ফাইনালে ওঠার পথ খুব একটা মসৃণ ছিল না। প্রথম পর্বে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে সহজে জিতলেও ব্যাটিংটা আশানুরূপ হয়নি। বাংলাদেশ, নেপালের বিপক্ষে নিশ্চিত হারতে থাকা দুটি ম্যাচ জিতেছে। প্রোটিয়াদের হারাতেও বেগ পেতে হয়েছে। 

চারে চার করে সুপার এইটে ওঠার পর দক্ষিণ আফ্রিকা হয়ে ওঠে আরও অপ্রতিরোধ্য। প্রথম রাউন্ডে ///ধুকতে থাকা কুইন্টন ডি কক দ্বিতীয় রাউন্ডে এসে রানের দেখা পেয়েছেন। ইংল্যান্ড ও ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে রুদ্ধশ্বাস লড়াইয়ে ম্যাচ দুটি জিতে নেন প্রোটিয়ারা। সাতে সাত করার পর মার্করাম-ডি ককরা পেয়েছেন আফগানিস্তানকে। যেখানে আফগানরা রূপকথার গল্প লিখে উঠেছিল সেমিফাইনালে। সেমিতে রশিদ খান-নাভিন উল হকদের তুড়ি মেরে উড়িয়ে দিয়েছে প্রোটিয়ারা। অ্যানরিখ নরকীয়া, কাগিসো রাবাদা, তাবরেইজ শামসি—১৩, ১২ ও ১১ উইকেট নিয়ে এবারের বিশ্বকাপে দক্ষিণ আফ্রিকার সর্বোচ্চ তিন উইকেট সংগ্রাহক। এই রাবাদা ২০১৪ অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপজয়ী প্রোটিয়া দলের সদস্য ছিলেন। আফগানদের উড়িয়ে দেওয়ার পর আজ ম্যাচ শেষে পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে মার্করাম বলেন, ‘জিতে ভালো লাগছে। এটা পুরো দলীয় প্রচেষ্টা। শিরোপা জয়ের পথে আরও এক ধাপ এগিয়ে যেতে পেরে খুব ভালো লাগছে।’ 
 
টস জিতে আজ ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নেওয়াই যেন রশিদ খানের জন্য বুমেরাং হয়ে গেছে। দক্ষিণ আফ্রিকার বোলিং তোপে ১১.৫ ওভারে ৫৬ রানে অলআউট হয়ে যায়। মার্কো ইয়ানসেন, শামসি নিয়েছেন ৩টি করে উইকেট এবং ২টি করে উইকেট নেন রাবাদা ও নরকীয়া। ব্যাটিংয়ে শুরুতে হোঁচট খেলেও রিজা হেন্ড্রিকস-মার্করামের ৪৩ বলে ৫৫ রানের অবিচ্ছেদ্য জুটিতে সহজে জিতে যায় প্রোটিয়ারা। ৬৭ বল হাতে রেখে ৯ উইকেটের জয়ে মার্করাম বলেন, ‘টস হেরে যাওয়া ভাগ্যবান মনে করছি। আমরাও ব্যাটিং নিতাম। বোলাররা দারুণ বোলিং করেছে। এই কন্ডিশনে স্বাভাবিক খেলতে চেয়েছি। ব্যাটারদের জন্য সত্যিই অনেক কঠিন। তবে আমরা জানতাম যে শুধু এখানে একটা জুটির ব্যাপার। ভাগ্যও সহায় হয়েছিল এবং জুটি গড়তে পেরেছি।’

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত