বগুড়ার শহীদ চান্দু স্টেডিয়ামে প্রথম দিন ছিল সুমন খানের তোপ, গতকাল দ্বিতীয় দিন দাগলেন সতীর্থ এনামুল হক। দুই পেসারের দুর্দান্ত বোলিংয়ে দেড় দিনেই ঢাকার কাছে ষষ্ঠ রাউন্ডে ইনিংস ও ১১ রানে হেরেছে রাজশাহী। ইনিংস ব্যবধানে জিতে শিরোপার লড়াই জমিয়ে তুলল ঢাকা। এ ম্যাচে বোনাসসহ ৯ পয়েন্ট অর্জন করেছে তারা। ছয় ম্যাচে ২ জয় ও ৪ ড্রয়ে ২৫ পয়েন্ট নিয়ে টেবিলের দুই নম্বরে উঠে এসেছে শুভাগত হোমের দল।

প্রথম ইনিংসে সুমনের হ্যাটট্রিকসহ ৭ উইকেটের বিপরীতে ৪২ রানে অলআউট হয়ে যায় রাজশাহী। সুবিধা করতে পারেনি ঢাকাও। ১৮১ রানে অলআউট হয়ে যায় তারা। ১৩৯ রানে পিছিয়ে থেকে দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাটিংয়ে নেমে রাজশাহী গুটিয়ে যায় ১২৮ রানে। ৫ উইকেট নিয়েছেন এনামুল। লিগে ৬ ম্যাচে ৩২ উইকেট নিয়ে সর্বোচ্চ উইকেটশিকারিও ঢাকার এ পেসার।

সিলেট থেকে মাত্র ৪ পয়েন্ট দূরে ঢাকা। এখনো একটি ম্যাচ বাকি আছে তাদের। ৫ ম্যাচ শেষে শীর্ষে থাকা সিলেটের ২৯ পয়েন্ট। বরিশালের বিপক্ষে ষষ্ঠ রাউন্ডে আজ দ্বিতীয় দিন শেষে তিন ফিফটিতে ৬ উইকেটে সিলেট তুলেছে ২১৭ রান। মুবিন আহমেদ দিসান ৫৩, অধিনায়ক অমিত হাসান ৫৬ ও নাসুম আহমেদ ৫৩ রানে ফিরেছেন। তার আগে বরিশাল প্রথম দিনের ৭ উইকেটে ২৫৮ রান থেকে আরও ৪৬ রান যোগ করে প্রথম ইনিংসে। অর্থাৎ ৩০৪ রানে থামে তাদের ইনিংস। তাদের থেকে সিলেট এখনো পিছিয়ে ৮৭ রানে। হারলে শিরোপার পথ কঠিন হয়ে যাবে তাদের জন্য।

সিলেট একাডেমি গ্রাউন্ডে খুলনার ২০৪ রানের জবাবে পারভেজ হোসেন ইমনের সেঞ্চুরিতে প্রথম ইনিংসে ২২০ রান তুলেছে চট্টগ্রাম। প্রথম শ্রেণি ক্রিকেটে ক্যারিয়ারের প্রথম সেঞ্চুরি করে ১৩৯ বলে ১০৭ রানে থামেন ইমন। ইনিংসে ছিল ১৯টি চার ও ১টি ছক্কা। খুলনার হয়ে বাঁহাতি পেসার মেহেদী হাসান রানা ৫ উইকেট। ১৬ রানে পিছিয়ে থেকে দিন শেষে খুলনা ১ উইকেটে ৫৬ রান করেছে, তাদের লিড দাঁড়াল ৪০।

কক্সবাজার একাডেমি মাঠে রংপুরের বিপক্ষে প্রথম ইনিংসে ৪৭৫ রানের বড় সংগ্রহ পেয়েছে ঢাকা মহানগর। গতকাল ১৫৩ রানে অপরাজিত থাকা নাইম শেখ আজ ফিরলেন ১৮০ রানে। মজার ব্যাপার, উইকেটরক্ষক মিম মোসাদ্দেক ছাড়া রংপুরের একাদশের ১০ খেলোয়াড়কেই বোলিংয়ে ব্যবহার করেছে। দিন শেষে রংপুর করেছে ২ উইকেটে ৩২ রান।