পাকিস্তানকে চাপে রেখে ম্যাচ জমিয়ে তুলল বাংলাদেশ

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
প্রকাশ : ২৪ আগস্ট ২০২৪, ১৯: ২৭
আপডেট : ২৪ আগস্ট ২০২৪, ১৯: ৩০

১১৭ রানে পিছিয়ে থেকে শেষ বিকেলে ব্যাটিংয়ে নেমে দ্বিতীয় ইনিংসের শুরুটা ভালো হয়নি পাকিস্তানের। ১ উইকেটে ২৩ রানে চতুর্থ দিনের খেলা শেষ করেছে তারা। বাংলাদেশ দল এখনো এগিয়ে ৯৪ রানে। তৃতীয় ওভারে শরীফুল ইসলামের বলে উইকেটরক্ষক লিটন দাসকে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন ওপেনার সায়েম আইয়ুব (১)। 

পাকিস্তানকে চাপে রেখে শেষ দিন মাঠে নামবে নাজমুল হোসেন শান্তর দল। চার দিনের ব্যাটিং বিবেচনায়, ম্যাচ ড্র হওয়ার আভাসই দিচ্ছে। তবে অসাধারণ কিছু করে বাংলাদেশের সুযোগ রয়েছে ম্যাচ জিতে ইতিহাস গড়ারও। এ জন্য পাকিস্তানের স্বাগতিকদের অল্প রানেই আটকে রাখতে হবে। দিন শেষে আবদুল্লাহ শফিক ১২ ও শান মাসুদ ৯ রানে অপরাজিত আছেন। 

তার আগে মুশফিকুর রহিমের সেঞ্চুরির সঙ্গে চার ফিফটি, রাওয়ালপিন্ডি টেস্টে বাংলাদেশের প্রথম ইনিংস থামে ৫৬৫ রানে। পাকিস্তানের পাহাড়সম (৪৪৮ /৬) রান টপকে ১১৭ রানের লিড পায় সফরকারীরা। পাকিস্তানের বিপক্ষে টেস্টে এটি এখন বাংলাদেশের সর্বোচ্চ ইনিংস। এর আগে ২০১৫ সালে খুলনায় করেছিল ৫৫৫ রান। সব মিলিয়ে লাল বলে তৃতীয় সেরা ইনিংস তাদের। 

গতকালের ৫ উইকেটে ৩১৬ রান থেকে চতুর্থ দিনের ব্যাটিং শুরু করে বাংলাদেশ দল। বাকি ৫ উইকেটে আজ যোগ করেছে ২৪৯ রান। দিনের শুরুতেই অতিথিরা হারায় লিটন দাসের উইকেট। যে নাসিম শাহের ওপর তাণ্ডব চালিয়ে ফিফটি করেছেন গতকাল, তাঁর বলেই উইকেট বিড়িয়ে দিয়েছেন। 

 ১০১ তম ওভারের পঞ্চম বলে নাসিমের অনেক বাইরের বল ড্রাইভ করতে যান। ব্যাট ছুঁয়ে বল যায় পাকিস্তানি উইকেটরক্ষক মোহাম্মদ রিজওয়ানের হাতে। ৫৬ রানে ফেরেন লিটন। ভাঙে ষষ্ঠ উইকেটে মুশফিকের সঙ্গে ১১৪ রানের জুটি।  

 ৩৩২ রানে ৬ উইকেট হারায় বাংলাদেশ। সপ্তম উইকেটে মেহেদী হাসান মিরাজকে নিয়ে মুশফিকের আরেকটি দারুণ জুটি। শতরানের জুটি গড়ে টেস্ট ক্যারিয়ারের ১১ তম সেঞ্চুরিও তুলে নেন এই উইকেটরক্ষক-ব্যাটার। ৬ উইকেটে ৩৮৯ রানে মধ্যাহ্নভোজের বিরতিতে যায় বাংলাদেশ। দ্বিতীয় সেশনও নির্বিঘ্নে কাটিয়ে দেন মিরাজ-মুশফিক। 

মুশফিক হাঁটছিলেন ডাবল সেঞ্চুরির পথে, মিরাজ তুলে নেন সপ্তম টেস্ট ফিফটি। দলকে লিড এনে দিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছেন মুশফিক। কিন্তু সেঞ্চুরি পরও যেন আক্ষেপ থেকে গেল এই উইকেটরক্ষক-ব্যাটারের। ইনিংসের ১৫৭ তম ওভারে মোহাম্মদ আলীর বল বুঝে উঠতে পারেননি। স্কয়ার কাট করতে গিয়ে ব্যাট ছুঁয়ে বল চলে যায় উইকেটরক্ষক রিজওয়ানের হাতে।  

 ১৯১ রানে থামে মুশফিকের ইনিংস। ডাবল সেঞ্চুরি থেকে মাত্র ৯ রানের আক্ষেপ নিয়ে ফিরলেন ড্রেসিংরুমে। ৩৪১ বলের ইনিংসে মেরেছেন ২২টি চার ও একটি ছক্কা। টেস্টে পাকিস্তানের বিপক্ষে বাংলাদেশের ব্যাটারদের মধ্যে দ্বিতীয় সেরা ইনিংস এটি। ২০১৫ সালে সাকিব আল হাসান খেলেছিলেন ২০৬ রানের ইনিংস।  

মোহাম্মদের আঘাতে শুধু মুশফিকই আক্ষেপে পোড়েননি, গতকাল সেঞ্চুরি বঞ্চিত করেছেন ওপেনার সাদমান ইসলামকেও। অসাধারণ এক বলে ৯৩ রানে বোল্ড করেছিলেন এই বাঁহাতি ব্যাটারকে।  

মুশফিক আউট হয়ের সপ্তম উইকেটে মিরাজের সঙ্গে ভাঙে ১৯৬ রানের জুটি। ৯ নম্বরে ব্যাটিংয়ে নেমে রানের খাতা খোলার আগেই ফেরেন হাসান মাহমুদ। তাঁকে আউট করে ‘বেবি সেলিবরেশন’ করলেন শাহিন শাহ আফ্রিদি। মাঠ থেকেই শুনলেন পাকিস্তানে তাঁর স্ত্রী আনশা আফ্রিদি পুত্র সন্তানের জন্ম দিয়েছেন।  

ব্যাট চালাতে থাকেন মিরাজ। কিন্তু ১৭৯ বলে ৭৭ রানেই তাঁকেও থামিয়েছেন শাহিন। ইনিংসে ছিল ৬টি চার। ২২ রানে শরীফুল ইসলাম আউট হলে শেষ হয় বাংলাদেশের প্রথম ইনিংস। ১ রানে অপরাজিত থাকেন নাহিদ রানা। পাকিস্তানের হয়ে খুররম শাহজাদ ৩ টি,২টি করে উইকেট নিয়েছেন শাহিন শাহ, নাসিম শাহ ও মোহাম্মদ আলী।

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত