ক্রীড়া ডেস্ক
রূপকথার মতো ইনিংসে নায়ক কোহলি
পাকিস্তানের দেওয়া ১৬০ রানের বাধা পার হতে হলে শেষ চার ওভারে ৫৪ রান করতে হতো ভারতকে। উইকেটে বিরাট কোহলি ও হার্দিক পান্ডিয়া থাকায় ধীরে ধীরে ম্যাচ হেলতে শুরু ভারতের দিকে। ১৮তম ওভারে ১৬ রান তুলেছে ভারত। ১১ রান একার কেবল কোহলির। ১৯তম ওভারে দলের ১৫ রানে কোহলির অবদান দুই ছয় ও এক সিঙ্গেল। অথচ একটা সময় ২১ বলে মাত্র ১২ রান করেছিলেন কোহলি। হার্দিক পান্ডিয়াকে নিয়ে পরে ধীরে ধীরে ম্যাচে নিজেদের মাটি শক্ত করেছেন কোহলি। এরপরেই খুলেছেন হাত। পরের ৩২ বলে করেছেন ৭০ রান। ৪ ছক্কা ও ৬ চারে হার দেখতে থাকা ভারতকে অবিশ্বাস্য এক জয় এনে দিয়েছেন কোহলি।
শেষ বলে শ্বাসরুদ্ধকর লড়াই জিতল ভারত
অবিশ্বাস্য এক ম্যাচ জেতালেন কোহলি। ভারত জিতল বহুদিন পর্যন্ত মনে রাখার মতো একটা ম্যাচ। সমস্ত রোমাঞ্চ জমা হয়েছিল শেষ ওভারের জন্য। পাকিস্তানের সঙ্গে পুরোনো দিনের দ্বৈরথ মনে করিয়ে শেষ বলে শ্বাসরুদ্ধকর এক ম্যাচ জিতেছে ভারত। শেষ বলে চার মেরে ভারতকে জয় এনে দিয়েছেন রবিচন্দ্রন অশ্বিন। ৫৩ বলে ৮২ রানে ভারতের জয়ের নায়ক বিরাট কোহলি। শেষ ওভারে ১৬ রান করতে হতো ভারতকে। সেই ওভারেই জমে রইল যত রোমাঞ্চ। মোহাম্মদ নওয়াজের করা শেষ ওভারের প্রথম বলে বাবরকে ক্যাচ দিয়ে আউট হার্দিক পান্ডিয়া। ৩৭ বলে ৪০ রান করেছেন হার্দিক। ওভারের চতুর্থ বলে ছক্কা হাঁকালেন কোহলি। হাই ফুল টস হওয়ায় সেই বলটা হলো নো। ভারত পেল ফ্রিহিট। ফ্রিহিটের বলে কোহলির স্টাম্প ভাঙলেও বাই রানে ৩ রান পেয়েছে ভারত। পঞ্চম বলে দীনেশ কার্তিক স্টাম্পিংয়ে আউট হলে শেষ বলে ভারতকে করতে হতো দুই রান। নওয়াজ দিলেন ওয়াইড। ম্যাচ হলো টাই। শেষ বলে দরকার এক রান এমন সমীকরণে চার মেরেছেন অশ্বিন।
আরেকটি রোমাঞ্চকর সমাপ্তির পথে ভারত-পাকিস্তান
খেলাটা হেলে আছে দুই পাশেই। চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী পাকিস্তানকে হারাতে হলে শেষ তিন ওভারে ৪৮ রান করতে হবে ভারতকে। বিরাট কোহলি-হার্দিক পান্ডিয়া উইকেটে থাকায় ম্যাচে যেকোনো ফলই সম্ভব। শেষ তিন ওভারের একটি করবেন স্পিনাররা। ভারতের নজর সেদিকেই। দুই থিতু ব্যাটার থাকায় তুলনামূলক সুবিধাজনক অবস্থানেই আছে ভারত। অর্ধশতক ছুঁয়েছেন কোহলি।
আগ্রাসী চেহারায় ৫০ পেরোল কোহলি-হার্দিক জুটি
৩১ রানে ৪ উইকেট পড়ে যাওয়ার পর খোলসে ঢুকে গিয়েছিলেন বিরাট কোহলি ও হার্দিক পান্ডিয়া। ধীর গতির ছিল দুজনের পঞ্চম উইকেট জুটি। উইকেটে আগে থিতু হয়েছেন। এরপর হাত খুলেছেন দুজনেই। ৩৯ বলে ৫০ রানের জুটি গড়েছেন কোহলি-হার্দিক। পাকিস্তান ম্যাচেই আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে ১০০০ রানের মাইলফলক ছুঁয়েছেন হার্দিক পান্ডিয়া। ১৪ ওভার শেষে ভারতের রান ৪ উইকেটে ৯০।
পাকিস্তানের নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ে হাঁসফাঁস ভারতের
২১ বলে ১২। বিরাট কোহলির স্বভাববিরুদ্ধ ব্যাটিং। অন্য প্রান্তে হার্দিক পান্ডিয়াও খুলতে পারছেন না হাত। পাকিস্তানি বোলাররা এতটাই নিয়ন্ত্রিত বোলিং করছেন তাতে ১০ ওভারে মাত্র ৪৫ রান তুলেছে ভারত। ম্যাচটা জিততে হলে বাকি ১০ ওভারে ১১৫ করতে হবে কোহলিদের। হাতে আছে ৬ উইকেট।
রান আউটে কাঁটা অক্ষর প্যাটেল
ডানহাতি-বাঁহাতি ব্যাটিং বৈচিত্র্য আনতে একটু আগেই ব্যাটিংয়ে নেমেছিলেন অক্ষর প্যাটেল। উইকেটের অন্য প্রান্তে বিরাট কোহলি। কোহলিকে বেশিক্ষণ সঙ্গ দেওয়া হয়নি অক্ষর। সিঙ্গেল নিতে গিয়ে কোহলির সঙ্গে ভুল বোঝাবুঝিতে বাবর আজমের থ্রোতে রান আউট হয়েছেন ভারতীয় অলরাউন্ডার। ফেরার আগে ২ রান করেছেন অক্ষর। সপ্তম ওভার শেষে ভারতের রান ৪ উইকেটে ৩৩।
হুমকি হয়ে ওঠা সূর্যকুমারকেও ফেরালেন হারিস
উইকেটে এসে প্রথম বলেই চার মেরেছিলেন সূর্যকুমার যাদব। বোলার ছিলেন হারিস রউফ। হারিসের দ্বিতীয় ও পাকিস্তানের ষষ্ঠ ওভারের দ্বিতীয় বলেও চার মারেন সূর্যকুমার। হয়ে উঠছিলেন পাকিস্তানের মাথাব্যথার কারণ। বিপদ হয়ে ওঠার আগেই পরের বলে তাঁকে উইকেটের পেছনে মোহাম্মদ রিজওয়ানের ক্যাচ বানিয়েছেন হারিস। পাওয়ার প্লেতে শীর্ষ তিন ব্যাটারকে হারিয়ে বিপদে ভারত। পাওয়ার প্লে শেষে ভারতের সংগ্রহ ৩ উইকেটে ৩১ রান।
হারিসের শিকার রোহিত
রান তোলার গতি এমনিতেই মন্থর। এরইমধ্যে লোকেশ রাহুলকে হারিয়ে চাপে পড়ে গিয়েছিল ভারত। সেই চাপটা দ্বিগুন করেছেন অধিনায়ক রোহিত শর্মা নিজে। হারিস রউফের করা ৯০ মাইল বেগের বলে স্লিপে ক্যাচ দেন রোহিত। স্লিপে ঝাঁপিয়ে সেই ক্যাচ তালুবন্দী করেছেন ইফতিখার আহমেদ। ভারতীয় অধিনায়ক ফিরেছেন ৭ বলে ৪ রান করে। ভারতের দ্বিতীয় উইকেটের পতন ১০ রানে। চতুর্থ ওভার শেষে ভারতের সংগ্রহ ১৭ রান।
ভারতকে শুরুর ধাক্কা দিলেন নাসিম
লক্ষ্যটা খুব বেশি সহজ নয়, আবার তেমন কঠিনও নয় ভারতের শক্তিশালী ব্যাটিং লাইনআপের সামনে। সমৃদ্ধ ব্যাটিং লাইনআপের বিপক্ষে আঁটসাঁট বোলিংটাই হতে পারে জেতার একমাত্র রাস্তা। সেই পন্থা মেনেই পাকিস্তানকে সাফল্য এনে দিয়েছেন নাসিম শাহ। দ্বিতীয় ওভারের পঞ্চম বলে নাসিমের বলে খোঁচা মেরে নিজের স্টাম্প ভেঙেছেন লোকেশ রাহুল। ভারতের প্রথম উইকেটের পতন দলীয় ৭ রানে। ৮ বলে ৪ রানে ফিরেছেন রাহুল।
লড়াই করার মতো সংগ্রহ পেল পাকিস্তান
একসময় মনে হচ্ছিল ১৪০ রানও করতে পারবে না পাকিস্তান। হার্দিক পান্ডিয়ার আঘাতে বিধ্বস্ত মিডল অর্ডারের ধাক্কা সামলে পাকিস্তানকে লড়াইয়ের পুঁজি এনে দিয়েছে শান মাসুদের ৪২ বলে ৫২ রানের ইনিংস। ৫ চার মেরেছেন মাসুদ। একটি করে ছক্কা ও চারে ৮ বলে ১৬ রানের ক্যামিও ইনিংস খেলেছেন শাহিন শাহ আফ্রিদি। ৮ উইকেটে ১৫৯ রানের সংগ্রহে ভারতকে কঠিন চ্যালেঞ্জই ছুঁড়ে দিল পাকিস্তান।
মাসুদের একার লড়াই
এক প্রান্তে সবাই যখন আশা যাওয়ায় ব্যস্ত তখন অন্য প্রান্ত আগলে রেখে অর্ধশতক তুলে নিয়েছেন শান মাসুদ। ২৫ রানে পাওয়া সুযোগটাকে কাজে লাগিয়ে ৪০ বলে ৫০ করেছেন শান মাসুদ।
আর্শদ্বীপের প্রতিশোধ
এশিয়া কাপে আসিফ আলীর ক্যাচ ছেড়েছিলেন আর্শদ্বীপ সিং। এরপর ৮ বলে ১৬ রানে ভারতকে হারের রাস্তা দেখিয়েছিলেন আসিফ। সেই হারে এরপর ফাইনালেও উঠতে পারেনি ভারত। বিশ্বকাপে এসে মধুর প্রতিশোধ নিয়েছেন আর্শদ্বীপ। হাত খোলার আগেই বাউন্সারে আসিফকে বানিয়েছেন দীনেশ কার্তিকের ক্যাচ। ২ রানে ফিরেছেন আসিফ। ১৭তম ওভার শেষে ৭ উইকেট হারিয়ে পাকিস্তানের রান ১২৫।
হার্দিক নিলেন ৩ উইকেট
উইকেটে এসে শামির ওভারে দ্বিতীয় বলে চার মেরে চোখ রাঙ্গিয়েছিলেন শাদাব খান। তবে বিপদজনক হওয়ার আগেই পাকিস্তানি অলরাউন্ডারকে ফিরিয়েছেন হার্দিক পান্ডিয়া। হার্দিকের করা ১৩তম ওভারের দ্বিতীয় বলে ডিপ মিডউইকেটে সূর্যকুমার যাদবের হাতে ক্যাচ দিয়েছেন শাদাব। একই ওভারের শেষ বলে সেই একইভাবে হায়দার আলীকেও ফিরিয়েছেন হার্দিক। ফিল্ডারও সেই সূর্যকুমার যাদব। ৫ রান করেছেন শাদাব। হায়দার ফিরেছেন ২ রানে। পাকিস্তান তাদের পঞ্চম উইকেট হারিয়েছে ৯৮ রানে। ইনিংসে নিজের শেষ ওভারে মোহাম্মদ নওয়াজকেও ফিরিয়েছেন হার্দিক। ৯ রানে উইকেটের পেছনে দীনেশ কার্তিককে ক্যাচ দিয়েছেন নওয়াজ।
অর্ধশতক করে ফিরলেন ইফতিখার
একাদশ ওভারে শেষে ইফতিখারের রান ছিল ২৬ বলে ৩০। দ্বাদশ ওভারে অক্ষর প্যাটেলের ওভারে তিন ছক্কা মেরেছেন বিশালদেহি ইফতিখার। সেই ওভারে ২১ রান করে ৩২ বলে অর্ধশতক হাঁকিয়েছেন ইফতিখার। টি-টোয়েন্টি ক্যারিয়ারের দ্বিতীয় অর্ধশতক তুলে বেশিক্ষণ উইকেটে থাকা হয়নি পাকিস্তানি ব্যাটারের। পরের ওভারে শামির বলে এলবিডব্লিউ হয়ে ফিরেছেন ইফতিখার।
৫০ পেরোল মাসুদ-ইফতিখারের জুটি
১৫ রানে দুই ওপেনারকে হারিয়ে বেশ ভালো একটা ধাক্কাই খেয়েছিল পাকিস্তান। রান তোলার গতি খানিকটা মন্থর হলেও তৃতীয় উইকেট জুটিতে ভারতের বোলিংকে ভালোই সামলাচ্ছেন শান মাসুদ ও ইফতিখার আহমেদ। একাদশ ওভারে এসে ৫০ পেরিয়েছে দুজনের জুটি। সেই ওভার শেষে পাকিস্তানের সংগ্রহ ২ উইকেটে ৭০ রান। দ্বাদশ ওভারে এসে
বাঁচলেন মাসুদ
ইফতিখার আহমেদকে নিয়ে ইনিংস গড়ার কাজটা ভালোই চালিয়ে যাচ্ছেন শান মাসুদ। এর মাঝে একবার জীবনও পেয়েছেন। অষ্টম ওভারের তৃতীয় বলে মোহাম্মদ শামির বাউন্সারে ফাইন লেগে ক্যাচ দিয়েছিলেন। রবিচন্দ্র অশ্বিন ক্যাচ ধরলেও রিপ্লেতে দেখা গেছে বল তাঁর হাতে যাওয়ার আগে ছুঁয়েছে মাটি। অষ্টম ওভার শেষে পাকিস্তানের রান ২ উইকেটে ৪৪। মাসুদ জীবন পেয়েছেন ২৫ রানে।
পাওয়ার প্লেতে পিছিয়ে পাকিস্তান
যা ক্ষতি করার আর্শদ্বীপ সিং একাই করেছেন। তাঁর কাছে হার মেনেছেন পাকিস্তানের দুই ওপেনার। উইকেটে ইনিংস গড়ার কাজে ব্যস্ত শান মাসুদ ও ইফতিখার আহমেদ। পাওয়ার প্লেতে পাকিস্তান তুলেছে ৩২ রান।
আর্শদ্বীপে নাকাল পাকিস্তান
আগের ওভারে সুইং দিয়ে বাবর আজমকে বোকা বানিয়েছিলেন আর্শদ্বীপ সিং। এবার তাঁর বাউন্সারে পরাস্ত হয়েছেন আরেক পাকিস্তানি ওপেনার মোহাম্মদ রিজওয়ান। আর্শ্বদ্বীপের বাউন্সারে ডিপ ফাইন লেগে হুক করেছিলেন রিজওয়ান। ক্যাচ হাতছাড়া করেননি ভুবেনশ্বর কুমার। ৪ রানে ফিরেছেন রিজওয়ান। দলীয় ১৫ রানে দ্বিতীয় ওপেনারকে হারাল পাকিস্তান।
বাবরের ‘ডাক’
প্রথম ওভারেই ভুবেনশ্বর কুমারের বলে মিলছিল সুইংয়ের দেখা। আর্শদ্বীপ সিং সেই সুইংকেই বানালেন অস্ত্র। দ্বিতীয় ওভারে বল বোলিংয়ে এসেই পাকিস্তান অধিনায়ক বাবর আজমকে এলবিডব্লিউয়ের ফাঁদে ফেলেছেন আর্শদ্বীপ। শূন্য রানে বিদায় বাবরের।
পাকিস্তানের ব্যাটিংয়ে শুরু ভারত-পাকিস্তান দ্বৈরথ
শুভ অপরাহ্ণ। চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী ভারত-পাকিস্তানের আরেকটি স্নায়ুক্ষয়ী টি-টোয়েন্টি লড়াইয়ে আজকের পত্রিকার পক্ষ থেকে আপনাদের স্বাগতম। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে এটি দুই দলের সপ্তম লড়াই। আগের ৬ দেখায় ৪ ম্যাচ জিতে ভারত এগিয়ে থাকলেও গত বছর ভারতের মাটিতেই ১০ উইকেটে জিতেছিল পাকিস্তান। মেলবোর্নে আজ টস জিতেছে ভারত, নিয়েছে ফিল্ডিংয়ের সিদ্ধান্ত। এক লাখ দর্শক ধারণ ক্ষমতা সম্পন্ন মেলবোর্ন ক্রিকেট গ্রাউন্ডে আজ ‘ঠাঁই নাই’ ।
রূপকথার মতো ইনিংসে নায়ক কোহলি
পাকিস্তানের দেওয়া ১৬০ রানের বাধা পার হতে হলে শেষ চার ওভারে ৫৪ রান করতে হতো ভারতকে। উইকেটে বিরাট কোহলি ও হার্দিক পান্ডিয়া থাকায় ধীরে ধীরে ম্যাচ হেলতে শুরু ভারতের দিকে। ১৮তম ওভারে ১৬ রান তুলেছে ভারত। ১১ রান একার কেবল কোহলির। ১৯তম ওভারে দলের ১৫ রানে কোহলির অবদান দুই ছয় ও এক সিঙ্গেল। অথচ একটা সময় ২১ বলে মাত্র ১২ রান করেছিলেন কোহলি। হার্দিক পান্ডিয়াকে নিয়ে পরে ধীরে ধীরে ম্যাচে নিজেদের মাটি শক্ত করেছেন কোহলি। এরপরেই খুলেছেন হাত। পরের ৩২ বলে করেছেন ৭০ রান। ৪ ছক্কা ও ৬ চারে হার দেখতে থাকা ভারতকে অবিশ্বাস্য এক জয় এনে দিয়েছেন কোহলি।
শেষ বলে শ্বাসরুদ্ধকর লড়াই জিতল ভারত
অবিশ্বাস্য এক ম্যাচ জেতালেন কোহলি। ভারত জিতল বহুদিন পর্যন্ত মনে রাখার মতো একটা ম্যাচ। সমস্ত রোমাঞ্চ জমা হয়েছিল শেষ ওভারের জন্য। পাকিস্তানের সঙ্গে পুরোনো দিনের দ্বৈরথ মনে করিয়ে শেষ বলে শ্বাসরুদ্ধকর এক ম্যাচ জিতেছে ভারত। শেষ বলে চার মেরে ভারতকে জয় এনে দিয়েছেন রবিচন্দ্রন অশ্বিন। ৫৩ বলে ৮২ রানে ভারতের জয়ের নায়ক বিরাট কোহলি। শেষ ওভারে ১৬ রান করতে হতো ভারতকে। সেই ওভারেই জমে রইল যত রোমাঞ্চ। মোহাম্মদ নওয়াজের করা শেষ ওভারের প্রথম বলে বাবরকে ক্যাচ দিয়ে আউট হার্দিক পান্ডিয়া। ৩৭ বলে ৪০ রান করেছেন হার্দিক। ওভারের চতুর্থ বলে ছক্কা হাঁকালেন কোহলি। হাই ফুল টস হওয়ায় সেই বলটা হলো নো। ভারত পেল ফ্রিহিট। ফ্রিহিটের বলে কোহলির স্টাম্প ভাঙলেও বাই রানে ৩ রান পেয়েছে ভারত। পঞ্চম বলে দীনেশ কার্তিক স্টাম্পিংয়ে আউট হলে শেষ বলে ভারতকে করতে হতো দুই রান। নওয়াজ দিলেন ওয়াইড। ম্যাচ হলো টাই। শেষ বলে দরকার এক রান এমন সমীকরণে চার মেরেছেন অশ্বিন।
আরেকটি রোমাঞ্চকর সমাপ্তির পথে ভারত-পাকিস্তান
খেলাটা হেলে আছে দুই পাশেই। চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী পাকিস্তানকে হারাতে হলে শেষ তিন ওভারে ৪৮ রান করতে হবে ভারতকে। বিরাট কোহলি-হার্দিক পান্ডিয়া উইকেটে থাকায় ম্যাচে যেকোনো ফলই সম্ভব। শেষ তিন ওভারের একটি করবেন স্পিনাররা। ভারতের নজর সেদিকেই। দুই থিতু ব্যাটার থাকায় তুলনামূলক সুবিধাজনক অবস্থানেই আছে ভারত। অর্ধশতক ছুঁয়েছেন কোহলি।
আগ্রাসী চেহারায় ৫০ পেরোল কোহলি-হার্দিক জুটি
৩১ রানে ৪ উইকেট পড়ে যাওয়ার পর খোলসে ঢুকে গিয়েছিলেন বিরাট কোহলি ও হার্দিক পান্ডিয়া। ধীর গতির ছিল দুজনের পঞ্চম উইকেট জুটি। উইকেটে আগে থিতু হয়েছেন। এরপর হাত খুলেছেন দুজনেই। ৩৯ বলে ৫০ রানের জুটি গড়েছেন কোহলি-হার্দিক। পাকিস্তান ম্যাচেই আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে ১০০০ রানের মাইলফলক ছুঁয়েছেন হার্দিক পান্ডিয়া। ১৪ ওভার শেষে ভারতের রান ৪ উইকেটে ৯০।
পাকিস্তানের নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ে হাঁসফাঁস ভারতের
২১ বলে ১২। বিরাট কোহলির স্বভাববিরুদ্ধ ব্যাটিং। অন্য প্রান্তে হার্দিক পান্ডিয়াও খুলতে পারছেন না হাত। পাকিস্তানি বোলাররা এতটাই নিয়ন্ত্রিত বোলিং করছেন তাতে ১০ ওভারে মাত্র ৪৫ রান তুলেছে ভারত। ম্যাচটা জিততে হলে বাকি ১০ ওভারে ১১৫ করতে হবে কোহলিদের। হাতে আছে ৬ উইকেট।
রান আউটে কাঁটা অক্ষর প্যাটেল
ডানহাতি-বাঁহাতি ব্যাটিং বৈচিত্র্য আনতে একটু আগেই ব্যাটিংয়ে নেমেছিলেন অক্ষর প্যাটেল। উইকেটের অন্য প্রান্তে বিরাট কোহলি। কোহলিকে বেশিক্ষণ সঙ্গ দেওয়া হয়নি অক্ষর। সিঙ্গেল নিতে গিয়ে কোহলির সঙ্গে ভুল বোঝাবুঝিতে বাবর আজমের থ্রোতে রান আউট হয়েছেন ভারতীয় অলরাউন্ডার। ফেরার আগে ২ রান করেছেন অক্ষর। সপ্তম ওভার শেষে ভারতের রান ৪ উইকেটে ৩৩।
হুমকি হয়ে ওঠা সূর্যকুমারকেও ফেরালেন হারিস
উইকেটে এসে প্রথম বলেই চার মেরেছিলেন সূর্যকুমার যাদব। বোলার ছিলেন হারিস রউফ। হারিসের দ্বিতীয় ও পাকিস্তানের ষষ্ঠ ওভারের দ্বিতীয় বলেও চার মারেন সূর্যকুমার। হয়ে উঠছিলেন পাকিস্তানের মাথাব্যথার কারণ। বিপদ হয়ে ওঠার আগেই পরের বলে তাঁকে উইকেটের পেছনে মোহাম্মদ রিজওয়ানের ক্যাচ বানিয়েছেন হারিস। পাওয়ার প্লেতে শীর্ষ তিন ব্যাটারকে হারিয়ে বিপদে ভারত। পাওয়ার প্লে শেষে ভারতের সংগ্রহ ৩ উইকেটে ৩১ রান।
হারিসের শিকার রোহিত
রান তোলার গতি এমনিতেই মন্থর। এরইমধ্যে লোকেশ রাহুলকে হারিয়ে চাপে পড়ে গিয়েছিল ভারত। সেই চাপটা দ্বিগুন করেছেন অধিনায়ক রোহিত শর্মা নিজে। হারিস রউফের করা ৯০ মাইল বেগের বলে স্লিপে ক্যাচ দেন রোহিত। স্লিপে ঝাঁপিয়ে সেই ক্যাচ তালুবন্দী করেছেন ইফতিখার আহমেদ। ভারতীয় অধিনায়ক ফিরেছেন ৭ বলে ৪ রান করে। ভারতের দ্বিতীয় উইকেটের পতন ১০ রানে। চতুর্থ ওভার শেষে ভারতের সংগ্রহ ১৭ রান।
ভারতকে শুরুর ধাক্কা দিলেন নাসিম
লক্ষ্যটা খুব বেশি সহজ নয়, আবার তেমন কঠিনও নয় ভারতের শক্তিশালী ব্যাটিং লাইনআপের সামনে। সমৃদ্ধ ব্যাটিং লাইনআপের বিপক্ষে আঁটসাঁট বোলিংটাই হতে পারে জেতার একমাত্র রাস্তা। সেই পন্থা মেনেই পাকিস্তানকে সাফল্য এনে দিয়েছেন নাসিম শাহ। দ্বিতীয় ওভারের পঞ্চম বলে নাসিমের বলে খোঁচা মেরে নিজের স্টাম্প ভেঙেছেন লোকেশ রাহুল। ভারতের প্রথম উইকেটের পতন দলীয় ৭ রানে। ৮ বলে ৪ রানে ফিরেছেন রাহুল।
লড়াই করার মতো সংগ্রহ পেল পাকিস্তান
একসময় মনে হচ্ছিল ১৪০ রানও করতে পারবে না পাকিস্তান। হার্দিক পান্ডিয়ার আঘাতে বিধ্বস্ত মিডল অর্ডারের ধাক্কা সামলে পাকিস্তানকে লড়াইয়ের পুঁজি এনে দিয়েছে শান মাসুদের ৪২ বলে ৫২ রানের ইনিংস। ৫ চার মেরেছেন মাসুদ। একটি করে ছক্কা ও চারে ৮ বলে ১৬ রানের ক্যামিও ইনিংস খেলেছেন শাহিন শাহ আফ্রিদি। ৮ উইকেটে ১৫৯ রানের সংগ্রহে ভারতকে কঠিন চ্যালেঞ্জই ছুঁড়ে দিল পাকিস্তান।
মাসুদের একার লড়াই
এক প্রান্তে সবাই যখন আশা যাওয়ায় ব্যস্ত তখন অন্য প্রান্ত আগলে রেখে অর্ধশতক তুলে নিয়েছেন শান মাসুদ। ২৫ রানে পাওয়া সুযোগটাকে কাজে লাগিয়ে ৪০ বলে ৫০ করেছেন শান মাসুদ।
আর্শদ্বীপের প্রতিশোধ
এশিয়া কাপে আসিফ আলীর ক্যাচ ছেড়েছিলেন আর্শদ্বীপ সিং। এরপর ৮ বলে ১৬ রানে ভারতকে হারের রাস্তা দেখিয়েছিলেন আসিফ। সেই হারে এরপর ফাইনালেও উঠতে পারেনি ভারত। বিশ্বকাপে এসে মধুর প্রতিশোধ নিয়েছেন আর্শদ্বীপ। হাত খোলার আগেই বাউন্সারে আসিফকে বানিয়েছেন দীনেশ কার্তিকের ক্যাচ। ২ রানে ফিরেছেন আসিফ। ১৭তম ওভার শেষে ৭ উইকেট হারিয়ে পাকিস্তানের রান ১২৫।
হার্দিক নিলেন ৩ উইকেট
উইকেটে এসে শামির ওভারে দ্বিতীয় বলে চার মেরে চোখ রাঙ্গিয়েছিলেন শাদাব খান। তবে বিপদজনক হওয়ার আগেই পাকিস্তানি অলরাউন্ডারকে ফিরিয়েছেন হার্দিক পান্ডিয়া। হার্দিকের করা ১৩তম ওভারের দ্বিতীয় বলে ডিপ মিডউইকেটে সূর্যকুমার যাদবের হাতে ক্যাচ দিয়েছেন শাদাব। একই ওভারের শেষ বলে সেই একইভাবে হায়দার আলীকেও ফিরিয়েছেন হার্দিক। ফিল্ডারও সেই সূর্যকুমার যাদব। ৫ রান করেছেন শাদাব। হায়দার ফিরেছেন ২ রানে। পাকিস্তান তাদের পঞ্চম উইকেট হারিয়েছে ৯৮ রানে। ইনিংসে নিজের শেষ ওভারে মোহাম্মদ নওয়াজকেও ফিরিয়েছেন হার্দিক। ৯ রানে উইকেটের পেছনে দীনেশ কার্তিককে ক্যাচ দিয়েছেন নওয়াজ।
অর্ধশতক করে ফিরলেন ইফতিখার
একাদশ ওভারে শেষে ইফতিখারের রান ছিল ২৬ বলে ৩০। দ্বাদশ ওভারে অক্ষর প্যাটেলের ওভারে তিন ছক্কা মেরেছেন বিশালদেহি ইফতিখার। সেই ওভারে ২১ রান করে ৩২ বলে অর্ধশতক হাঁকিয়েছেন ইফতিখার। টি-টোয়েন্টি ক্যারিয়ারের দ্বিতীয় অর্ধশতক তুলে বেশিক্ষণ উইকেটে থাকা হয়নি পাকিস্তানি ব্যাটারের। পরের ওভারে শামির বলে এলবিডব্লিউ হয়ে ফিরেছেন ইফতিখার।
৫০ পেরোল মাসুদ-ইফতিখারের জুটি
১৫ রানে দুই ওপেনারকে হারিয়ে বেশ ভালো একটা ধাক্কাই খেয়েছিল পাকিস্তান। রান তোলার গতি খানিকটা মন্থর হলেও তৃতীয় উইকেট জুটিতে ভারতের বোলিংকে ভালোই সামলাচ্ছেন শান মাসুদ ও ইফতিখার আহমেদ। একাদশ ওভারে এসে ৫০ পেরিয়েছে দুজনের জুটি। সেই ওভার শেষে পাকিস্তানের সংগ্রহ ২ উইকেটে ৭০ রান। দ্বাদশ ওভারে এসে
বাঁচলেন মাসুদ
ইফতিখার আহমেদকে নিয়ে ইনিংস গড়ার কাজটা ভালোই চালিয়ে যাচ্ছেন শান মাসুদ। এর মাঝে একবার জীবনও পেয়েছেন। অষ্টম ওভারের তৃতীয় বলে মোহাম্মদ শামির বাউন্সারে ফাইন লেগে ক্যাচ দিয়েছিলেন। রবিচন্দ্র অশ্বিন ক্যাচ ধরলেও রিপ্লেতে দেখা গেছে বল তাঁর হাতে যাওয়ার আগে ছুঁয়েছে মাটি। অষ্টম ওভার শেষে পাকিস্তানের রান ২ উইকেটে ৪৪। মাসুদ জীবন পেয়েছেন ২৫ রানে।
পাওয়ার প্লেতে পিছিয়ে পাকিস্তান
যা ক্ষতি করার আর্শদ্বীপ সিং একাই করেছেন। তাঁর কাছে হার মেনেছেন পাকিস্তানের দুই ওপেনার। উইকেটে ইনিংস গড়ার কাজে ব্যস্ত শান মাসুদ ও ইফতিখার আহমেদ। পাওয়ার প্লেতে পাকিস্তান তুলেছে ৩২ রান।
আর্শদ্বীপে নাকাল পাকিস্তান
আগের ওভারে সুইং দিয়ে বাবর আজমকে বোকা বানিয়েছিলেন আর্শদ্বীপ সিং। এবার তাঁর বাউন্সারে পরাস্ত হয়েছেন আরেক পাকিস্তানি ওপেনার মোহাম্মদ রিজওয়ান। আর্শ্বদ্বীপের বাউন্সারে ডিপ ফাইন লেগে হুক করেছিলেন রিজওয়ান। ক্যাচ হাতছাড়া করেননি ভুবেনশ্বর কুমার। ৪ রানে ফিরেছেন রিজওয়ান। দলীয় ১৫ রানে দ্বিতীয় ওপেনারকে হারাল পাকিস্তান।
বাবরের ‘ডাক’
প্রথম ওভারেই ভুবেনশ্বর কুমারের বলে মিলছিল সুইংয়ের দেখা। আর্শদ্বীপ সিং সেই সুইংকেই বানালেন অস্ত্র। দ্বিতীয় ওভারে বল বোলিংয়ে এসেই পাকিস্তান অধিনায়ক বাবর আজমকে এলবিডব্লিউয়ের ফাঁদে ফেলেছেন আর্শদ্বীপ। শূন্য রানে বিদায় বাবরের।
পাকিস্তানের ব্যাটিংয়ে শুরু ভারত-পাকিস্তান দ্বৈরথ
শুভ অপরাহ্ণ। চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী ভারত-পাকিস্তানের আরেকটি স্নায়ুক্ষয়ী টি-টোয়েন্টি লড়াইয়ে আজকের পত্রিকার পক্ষ থেকে আপনাদের স্বাগতম। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে এটি দুই দলের সপ্তম লড়াই। আগের ৬ দেখায় ৪ ম্যাচ জিতে ভারত এগিয়ে থাকলেও গত বছর ভারতের মাটিতেই ১০ উইকেটে জিতেছিল পাকিস্তান। মেলবোর্নে আজ টস জিতেছে ভারত, নিয়েছে ফিল্ডিংয়ের সিদ্ধান্ত। এক লাখ দর্শক ধারণ ক্ষমতা সম্পন্ন মেলবোর্ন ক্রিকেট গ্রাউন্ডে আজ ‘ঠাঁই নাই’ ।
লিওনেল মেসির বার্সেলোনা ছাড়ার তিন বছরেরও বেশি সময় পেরিয়ে গেছে। তবু ক্লাবটির সঙ্গে তাঁর যে নাড়ির টান, সেটা তো এত সহজে ভুলে থাকা যায় না। ক্লাবটিকে যে তিনি কতটা মিস করেন, সেটা ফুটে উঠেছে তাঁর কথায়।
১১ মিনিট আগেজাতীয় ক্রিকেট লিগে (এনসিএল) বাকি আর মাত্র এক রাউন্ড। লিগের শেষ রাউন্ড তথা সপ্তম রাউন্ড শুরু আগামীকাল থেকে। তবে এর আগেই ২৫ বছরের দীর্ঘ আক্ষেপ ঘুচিয়ে শিরোপা ঘরে তুলেছে সিলেট বিভাগ। গত দুই মৌসুম ধরে শিরোপার খুব কাছাকাছি গিয়েও রানার্সআপ হয়ে সন্তুষ্ট থাকতে হয়েছিল সিলেটকে। তবে এবার আর হতাশ হতে হয়নি।
১ ঘণ্টা আগে৩, ২, ০, ১, ১৩, ৭, ০, ০, ০, ১০, ০—এই হলো ডারবান টেস্টে শ্রীলঙ্কার ব্যাটারদের প্রথম ইনিংসের রান। দক্ষিণ আফ্রিকার বোলারদের সামনে এক সেশন তো দূর কি বাত, সফরকারীরা টিকতে পেরেছে ১৩.৫ বল। মাত্র ৪২ রানে অলআউট হয়ে লজ্জার রেকর্ড গড়েছে লঙ্কানরা। টেস্টে এক ইনিংসে এটিই সর্বনিম্ন স্কোর তাদের।
১২ ঘণ্টা আগেবৃষ্টি আইনে সিরিজের প্রথম ওয়ানডেতে জিতেছিল জিম্বাবুয়ে। আর একটি ম্যাচ জিতলেই নিজেদের করে নিতে পারত সিরিজ। সঙ্গে প্রথমবারের মতো পেত পাকিস্তানের বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজ জয়ের স্বাদ। সেই ইচ্ছে অপূর্ণই থেকে গেল জিম্বাবুয়েনদের।
১৪ ঘণ্টা আগে