অভিমান থেকেই ইংল্যান্ডের সঙ্গে সম্পর্ক শেষ মঈনের  

ক্রীড়া ডেস্ক
প্রকাশ : ০৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১১: ৩৯
আপডেট : ০৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১৭: ৩৬

২০২৪ সালের ২৭ জুন গায়ানায় টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে ইংল্যান্ডের জার্সিতে সবশেষ খেলেন মঈন আলী। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে শেষ পর্যন্ত এটাই হয়ে রইল মঈনের বিদায়ী ম্যাচ। অভিমান থেকেই  শেষ পর্যন্ত ইংল্যান্ডের সঙ্গে সম্পর্কের ইতি টানলেন এই তারকা অলরাউন্ডার। 

টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ শেষে সাদা বলের ক্রিকেট ইংল্যান্ড শুরু করতে যাচ্ছে ১১ সেপ্টেম্বর। সাউদাম্পটনে শুরু হচ্ছে ইংল্যান্ড-অস্ট্রেলিয়া তিন ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজ। সেই সিরিজের পর দল দুটি খেলবে পাঁচ ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজ। তবে কোনোটিতেই জায়গা পাননি মঈন। ডেইলি মেইলকে গত রাতে দেওয়া সাক্ষাৎকারে যখন আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে অবসরের ঘোষণা দেন মঈন, তখন উল্লেখ করেছেন এ ঘটনা (অস্ট্রেলিয়া সিরিজ থেকে বাদ পড়া)। ইংল্যান্ডের এই অলরাউন্ডার বলেন, ‘আমার বয়স ৩৭ বছর। অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে সিরিজের জন্য নেওয়া হয়নি আমাকে। ইংল্যান্ড ক্রিকেটের জন্য অনেক ম্যাচ খেলেছি। এখন পরবর্তী প্রজন্মের জন্য ছেড়ে দেওয়ার সময় এসেছে। আমার পর্ব শেষ।’

২০১৪ সালে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে ওয়ানডে দিয়ে শুরু মঈনের আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে পথচলা। ১০ বছরের ক্যারিয়ারে টেস্ট, ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টি মিলে খেলেছেন ২৯৮ ম্যাচ। ৮ সেঞ্চুরি ও ২৮ ফিফটিতে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে করেছেন ৬৬৭৮ রান। ঝড় তুলে ম্যাচের মোমেন্টামও পাল্টে দিয়েছেন অনেক বার। ব্যাটিংয়ের পাশাপাশি নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ে ব্যাটারদের ভড়কে দিতেও মঈনের জুড়ি মেলা ভার। ইংল্যান্ডের এই অলরাউন্ডার আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে নিয়েছেন ৩৬৬ উইকেট। অন্যদিকে ইংল্যান্ডের পাইপলাইনে তো ক্রিকেটারের অভাব নেই। কোনো ম্যাচ খারাপ খেললেই বাদ পড়তে হয় দীর্ঘ সময়ের জন্য। সেখানে ৩০০-এর কাছাকাছি ম্যাচ খেলা মঈনের জন্য অনেক কিছু, ‘আমি খুবই গর্বিত। যখন আমি ইংল্যান্ডের হয়ে খেলি, বুঝতেও পারিনি কত ম্যাচ খেলতে যাচ্ছি। প্রায় ৩০০ ম্যাচ খেলেছি।’

ইংল্যান্ডের ২০১৯ ওয়ানডে বিশ্বকাপ, ২০২২ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ—দুটি আইসিসি ইভেন্ট জয়ী দলে ছিলেন মঈন। এই মঈনই ২০২৩ সালে অ্যাশেজে ফিরলেন টেস্ট থেকে অবসর ভেঙে, যেখানে অবসরের ঘোষণা দিয়েছিলেন ২০২১ সালে ভারতের বিপক্ষে টেস্টের পর। ১০ বছরের আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ারে ক্রিকেটের রাজকীয় সংস্করণে খেলেছেন ৬৮ ম্যাচ। ৩০৯৪ রানের পাশাপাশি টেস্টে নিয়েছেন ২০৪ উইকেট। যেখানে ২০১৭ সালে লর্ডসে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে নেন ১০ উইকেট। ১১২ রানে ১০ উইকেট তাঁর টেস্টে এক ম্যাচের ক্যারিয়ারসেরা বোলিং। প্রোটিয়াদের বিপক্ষে সেই সিরিজেই লন্ডনের ওভালে হ্যাটট্রিক করেন তিনি। অবসরে যাওয়া মঈন টেস্টেই পেয়েছেন ক্রিকেটের আসল মজা, ‘প্রথম কয়েক বছর শুধু টেস্টই খেলেছি। যখন মরগান ওয়ানডে দলের দায়িত্ব নিল, তখন আরও বেশি মজা হয়েছিল। তবে টেস্টই ছিল আসল ক্রিকেট।’

আন্তর্জাতিক ক্রিকেট ছাড়লেও তাই ফ্র্যাঞ্চাইজি ক্রিকেট চালিয়ে যাবেন তিনি। এমনকি ভবিষ্যতে কোচিং পেশাও আশার ইঙ্গিত দিয়েছেন। ব্রেন্ডন ম্যাককালামের থেকে কোচিংয়ের অনুপ্রেরণা পেয়েছেন বলে জানিয়েছেন ইংলিশ অলরাউন্ডার। বর্তমানে ইংল্যান্ডের লাল বলের প্রধান কোচ ম্যাককালাম আগামী বছরের জানুয়ারি থেকে হচ্ছেন দলটির সীমিত ওভারের কোচও।  

 

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত