রানা আব্বাস, কলম্বো থেকে
লঙ্কান ভদ্রলোকের নামটা আর শোনা হয়নি। তিনি প্রেমাদাসায় কাজ করা দুই আলোকচিত্রীকে বারবার অনুরোধ করছেন তাঁর ছেলের একটা ছবি তুলে দিতে। বাংলাদেশের নেটে তাঁর ছেলে বোলিং করছেন। ছেলেকে দেখার চেয়ে তাঁর নজর বেশি থাকল রঙ্গনা হেরাথের দিকে।
‘এখনো রঙ্গনা ভয়ংকর’—কথাটা যখন তিনি বলছিলেন, তখন লিটন দাস নেটে বোল্ড হয়ে গেলেন বাংলাদেশের স্পিন পরামর্শকের এক দুর্দান্ত আর্মারে। ‘ব্যাটারকে বিভ্রান্ত করা ফ্লাইট কিংবা ড্রিফট, হেরাথকে চাইলে বাংলাদেশ কাল (আজ) খেলিয়ে দিতে পারে’—লঙ্কান ভদ্রলোকের রসিকতা।
গতকাল প্রেমাদাসা স্টেডিয়ামে বাংলাদেশের প্রতিনিধি হয়ে সংবাদ সম্মেলনে আসা চণ্ডিকা হাথুরুসিংহেকে পেয়ে শ্রীলঙ্কান সাংবাদিকেরা প্রশ্ন করলেন সিংহলিজ ভাষায়। লঙ্কান সংবাদকর্মীরা যতটা মন খুলে প্রশ্ন করতে পারলেন বাংলাদেশ কোচকে, হাথুরুকে ততটা স্বচ্ছন্দ মনে হলো না। মাতৃভাষার সঙ্গে যথেষ্ট ইংরেজির মিশ্রণ ছিল তাঁর কথায়। পরিবার নিয়ে সিডনিতে দীর্ঘ সময় থিতু হয়ে যাওয়ায় নিজের ভাষাটা আগের মতো অনর্গল বলতে হাথুরুকে বোধ হয় একটু বেগই পেতে হয়। সংবাদ সম্মেলন থেকে ড্রেসিং রুমে ফেরার সময় এ নিয়ে নিজেই একচোট হাসলেন।
কলম্বোয় আজ শ্রীলঙ্কাকে হারাতে হাথুরু-হেরাথকে সব চেষ্টাই করতে হবে। পেশাদার জীবনে সাফল্যই যেখানে শেষ কথা, আবেগের সেখানে কি আর ঠাঁই হয়? হাথুরু অবশ্য বরাবরই আবেগশূন্য থাকার চেষ্টা করেন। বাংলাদেশের ফাইনালের স্বপ্ন বাঁচিয়ে রাখতে আজ স্বদেশিদের ‘অপ্রিয়’ কাজ অবলীলায় করতে হবে হাথুরু আর তাঁর সহকর্মী হেরাথকে।
২০১৮ নিদাহাস ট্রফিতে হাথুরুকে ঠিক বিপরীত এক পরিস্থিতির মুখোমুখি হতে হয়েছিল। তখন তিনি শ্রীলঙ্কার কোচ। বাংলাদেশ থেকে কদিন আগেই মেয়াদ শেষ হওয়ার আগে চাকরি ছেড়ে এসে তুমুল আলোচিত-বিতর্কিত। ঠিক এ সময় বাংলাদেশ হাথুরুর শ্রীলঙ্কাকে টানা দুই ম্যাচে হারিয়ে দিয়েছিল। পাঁচ বছর আগে হাথুরুর জন্য সেটি তিক্ত স্মৃতি হলেও বাংলাদেশের কাছে তা ছিল মধুর স্মৃতি। সেই স্মৃতি গতকাল মনে করিয়ে দিতে হাথুরু বললেন, ‘বাংলাদেশ শ্রীলঙ্কাকে হারাতে সেবার খুব ভালো খেলেছিল। সেটা অন্য সংস্করণ ছিল (টি-টোয়েন্টি)। তবে মনে হয় না, সেখান থেকে এখন আর কিছু নেওয়ার আছে।’
সময়ের সঙ্গে প্রেক্ষাপট বদলেছে। কিন্তু বদলে যায়নি এক পরিসংখ্যান। টি-টোয়েন্টি জিতলেও কলম্বোর এই মাঠে বাংলাদেশ ১১ ওয়ানডে খেলে জিততে পারেনি ১টিতেও। এবার শুধু বিবর্ণ এই পরিসংখ্যান পরিবর্তনেই নয়, ফাইনালের আশা টিকিয়ে থাকতে হলে ভিন্ন কিছু করতেই হবে বাংলাদেশকে। আর সেটি করতে হলে ব্যাটিংয়ে ধারাবাহিকতা থাকতে হবে, বিশেষ করে টপ অর্ডারে। হাথুরু বলছেন, ‘আমরা জানি, নিকট অতীতে কী ঘটেছে। আমরাও ভালো খেলছি। ভিন্ন ভিন্ন কন্ডিশনে সর্বশেষ দু-তিনটা ম্যাচ খেলতে হয়েছে। এটা আমাদের জন্য বড় চ্যালেঞ্জ। আমরা কতটা সক্ষম বা করে দেখাতে পারি, সেটা নিয়ে আমাদের কথা হয়েছে। ধারাবাহিকতার অভাব নিয়ে আমাদের কাজ করতে হবে। আমরা এটা নিয়ে কথাও বলেছি। ভালো কিছু করে দেখাতে আমরা উন্মুখ হয়ে আছি।’
প্রেমাদাসায় বিবর্ণ পরিসংখ্যান আর লাহোরে পাকিস্তানের বিপক্ষে বিধ্বস্ত হয়ে কলম্বোয় ফেরা বাংলাদেশের সামনে আরেকটি পরিসংখ্যান কিছুটা ‘হুংকার’ই দিচ্ছে। শ্রীলঙ্কা টানা নিজেদের সর্বশেষ ১২টি ওয়ানডে জিতেছে। এই পরিসংখ্যান নিয়ে হাথুরু বললেন, ‘শ্রীলঙ্কা ভালো খেলছে। টানা ১২ ম্যাচ জিতেছে। কিছু জিতেছে সহযোগী দেশের বিপক্ষে (পাঁচটি, বিশ্বকাপ বাছাইপর্বে)। তবে হ্যাঁ, তারা ভালো খেলছে।’
শ্রীলঙ্কাকে প্রশংসার সঙ্গে একটু খোঁচাও যেন থাকল হাথুরুর কথায়। এটাই পেশাদার কোচের পরিচয়, যে দলের হয়ে কাজ করবেন, তাদের সাফল্যের পতাকা ওড়ানোই তাঁর লক্ষ্য। আজ প্রেমাদাসার গ্যালারিভর্তি স্টেডিয়ামে তিনি একই লক্ষ্যে থাকবেন বাংলাদেশের ডাগআউটে।
লঙ্কান ভদ্রলোকের নামটা আর শোনা হয়নি। তিনি প্রেমাদাসায় কাজ করা দুই আলোকচিত্রীকে বারবার অনুরোধ করছেন তাঁর ছেলের একটা ছবি তুলে দিতে। বাংলাদেশের নেটে তাঁর ছেলে বোলিং করছেন। ছেলেকে দেখার চেয়ে তাঁর নজর বেশি থাকল রঙ্গনা হেরাথের দিকে।
‘এখনো রঙ্গনা ভয়ংকর’—কথাটা যখন তিনি বলছিলেন, তখন লিটন দাস নেটে বোল্ড হয়ে গেলেন বাংলাদেশের স্পিন পরামর্শকের এক দুর্দান্ত আর্মারে। ‘ব্যাটারকে বিভ্রান্ত করা ফ্লাইট কিংবা ড্রিফট, হেরাথকে চাইলে বাংলাদেশ কাল (আজ) খেলিয়ে দিতে পারে’—লঙ্কান ভদ্রলোকের রসিকতা।
গতকাল প্রেমাদাসা স্টেডিয়ামে বাংলাদেশের প্রতিনিধি হয়ে সংবাদ সম্মেলনে আসা চণ্ডিকা হাথুরুসিংহেকে পেয়ে শ্রীলঙ্কান সাংবাদিকেরা প্রশ্ন করলেন সিংহলিজ ভাষায়। লঙ্কান সংবাদকর্মীরা যতটা মন খুলে প্রশ্ন করতে পারলেন বাংলাদেশ কোচকে, হাথুরুকে ততটা স্বচ্ছন্দ মনে হলো না। মাতৃভাষার সঙ্গে যথেষ্ট ইংরেজির মিশ্রণ ছিল তাঁর কথায়। পরিবার নিয়ে সিডনিতে দীর্ঘ সময় থিতু হয়ে যাওয়ায় নিজের ভাষাটা আগের মতো অনর্গল বলতে হাথুরুকে বোধ হয় একটু বেগই পেতে হয়। সংবাদ সম্মেলন থেকে ড্রেসিং রুমে ফেরার সময় এ নিয়ে নিজেই একচোট হাসলেন।
কলম্বোয় আজ শ্রীলঙ্কাকে হারাতে হাথুরু-হেরাথকে সব চেষ্টাই করতে হবে। পেশাদার জীবনে সাফল্যই যেখানে শেষ কথা, আবেগের সেখানে কি আর ঠাঁই হয়? হাথুরু অবশ্য বরাবরই আবেগশূন্য থাকার চেষ্টা করেন। বাংলাদেশের ফাইনালের স্বপ্ন বাঁচিয়ে রাখতে আজ স্বদেশিদের ‘অপ্রিয়’ কাজ অবলীলায় করতে হবে হাথুরু আর তাঁর সহকর্মী হেরাথকে।
২০১৮ নিদাহাস ট্রফিতে হাথুরুকে ঠিক বিপরীত এক পরিস্থিতির মুখোমুখি হতে হয়েছিল। তখন তিনি শ্রীলঙ্কার কোচ। বাংলাদেশ থেকে কদিন আগেই মেয়াদ শেষ হওয়ার আগে চাকরি ছেড়ে এসে তুমুল আলোচিত-বিতর্কিত। ঠিক এ সময় বাংলাদেশ হাথুরুর শ্রীলঙ্কাকে টানা দুই ম্যাচে হারিয়ে দিয়েছিল। পাঁচ বছর আগে হাথুরুর জন্য সেটি তিক্ত স্মৃতি হলেও বাংলাদেশের কাছে তা ছিল মধুর স্মৃতি। সেই স্মৃতি গতকাল মনে করিয়ে দিতে হাথুরু বললেন, ‘বাংলাদেশ শ্রীলঙ্কাকে হারাতে সেবার খুব ভালো খেলেছিল। সেটা অন্য সংস্করণ ছিল (টি-টোয়েন্টি)। তবে মনে হয় না, সেখান থেকে এখন আর কিছু নেওয়ার আছে।’
সময়ের সঙ্গে প্রেক্ষাপট বদলেছে। কিন্তু বদলে যায়নি এক পরিসংখ্যান। টি-টোয়েন্টি জিতলেও কলম্বোর এই মাঠে বাংলাদেশ ১১ ওয়ানডে খেলে জিততে পারেনি ১টিতেও। এবার শুধু বিবর্ণ এই পরিসংখ্যান পরিবর্তনেই নয়, ফাইনালের আশা টিকিয়ে থাকতে হলে ভিন্ন কিছু করতেই হবে বাংলাদেশকে। আর সেটি করতে হলে ব্যাটিংয়ে ধারাবাহিকতা থাকতে হবে, বিশেষ করে টপ অর্ডারে। হাথুরু বলছেন, ‘আমরা জানি, নিকট অতীতে কী ঘটেছে। আমরাও ভালো খেলছি। ভিন্ন ভিন্ন কন্ডিশনে সর্বশেষ দু-তিনটা ম্যাচ খেলতে হয়েছে। এটা আমাদের জন্য বড় চ্যালেঞ্জ। আমরা কতটা সক্ষম বা করে দেখাতে পারি, সেটা নিয়ে আমাদের কথা হয়েছে। ধারাবাহিকতার অভাব নিয়ে আমাদের কাজ করতে হবে। আমরা এটা নিয়ে কথাও বলেছি। ভালো কিছু করে দেখাতে আমরা উন্মুখ হয়ে আছি।’
প্রেমাদাসায় বিবর্ণ পরিসংখ্যান আর লাহোরে পাকিস্তানের বিপক্ষে বিধ্বস্ত হয়ে কলম্বোয় ফেরা বাংলাদেশের সামনে আরেকটি পরিসংখ্যান কিছুটা ‘হুংকার’ই দিচ্ছে। শ্রীলঙ্কা টানা নিজেদের সর্বশেষ ১২টি ওয়ানডে জিতেছে। এই পরিসংখ্যান নিয়ে হাথুরু বললেন, ‘শ্রীলঙ্কা ভালো খেলছে। টানা ১২ ম্যাচ জিতেছে। কিছু জিতেছে সহযোগী দেশের বিপক্ষে (পাঁচটি, বিশ্বকাপ বাছাইপর্বে)। তবে হ্যাঁ, তারা ভালো খেলছে।’
শ্রীলঙ্কাকে প্রশংসার সঙ্গে একটু খোঁচাও যেন থাকল হাথুরুর কথায়। এটাই পেশাদার কোচের পরিচয়, যে দলের হয়ে কাজ করবেন, তাদের সাফল্যের পতাকা ওড়ানোই তাঁর লক্ষ্য। আজ প্রেমাদাসার গ্যালারিভর্তি স্টেডিয়ামে তিনি একই লক্ষ্যে থাকবেন বাংলাদেশের ডাগআউটে।
বুলাওয়েতে পাকিস্তান ২১ ওভার ব্যাটিং করলেই শুরু হয় বৃষ্টি। তারপর আর ব্যাটিংয়ের সুযোগ পায়নি তারা। ফলে শুরুতেই ব্যাটিং বিপর্যয়ে পড়া পাকিস্তান শেষ লড়াইয়ের সুযোগ পায়নি। ডাকওয়ার্থ লুইস স্টার্ন (ডিএলএস) পদ্ধতিতে সিরিজের প্রথম ওয়ানডেতে ৮০ রানে জিম্বাবুয়ের কাছে হেরেছে তারা। তিন ওয়ানডের সিরিজে ১-০ ব্যবধানে এগ
৭ ঘণ্টা আগেবগুড়ার শহীদ চান্দু স্টেডিয়ামে প্রথম দিন ছিল সুমন খানের তোপ, গতকাল দ্বিতীয় দিন দাগলেন সতীর্থ এনামুল হক। দুই পেসারের দুর্দান্ত বোলিংয়ে দেড় দিনেই ঢাকার কাছে ষষ্ঠ রাউন্ডে ইনিংস ও ১১ রানে হেরেছে রাজশাহী। ইনিংস ব্যবধানে জিতে শিরোপার লড়াই জমিয়ে তুলল ঢাকা। এ ম্যাচে বোনাসসহ ৯ পয়েন্ট অর্জন করেছে তারা। ছয় ম্যা
৭ ঘণ্টা আগেজেদ্দায় চলছে আইপিএলের নিলাম। সেখানে চমকে দিয়েছেন ভেঙ্কাটেশ আইয়ার, তাঁর দাম উঠেছে ২৩ কোটি ৭৫ লাখ রূপিতে। তাঁর ভিত্তি মূল্য ছিল ২ কোটি রুপি। নিলামের টেবিলে ২৯ বছর বয়সী অলরাউন্ডারকে পেতে বেঙ্গালুরু ও কলকাতার মধ্যে বেশ লড়াই হয়েছে। শেষ পর্যন্ত তাঁর পুরোনো দল কলকাতাই দলে নিয়েছে বড় অঙ্কে। ভেঙ্কাটেশকে দিয়ে
৭ ঘণ্টা আগেবাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগ (বিপিএল) ফুটবলের ১৭ তম আসর শুরু ২৯ নভেম্বর থেকে। প্রথম দিনেই মাঠে নামছে গত আসরের চ্যাম্পিয়ন বসুন্ধরা কিংস ও রানারআপ মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাব।
৮ ঘণ্টা আগে