ক্রীড়া ডেস্ক
টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে বাংলাদেশের পতাকা ওড়ানোর সুযোগ পাওয়া ১৫ ক্রিকেটারকে নিয়ে নিজের মতামত জানিয়েছেন চন্ডিকা হাথুরুসিংহে। বিসিবির পেজে দেওয়া সাক্ষাৎকারে বাংলাদেশের কোচের কথায় ফুটে উঠেছে ক্রিকেটারদের সামর্থ্যের বিষয়টি। অবশ্য শুধু খেলোয়াড় হিসেবে নন, নাজমুল হোসেন শান্ত-সাকিব আল হাসানরা মানুষ হিসেবে কেমন সেটিও উঠে এসেছে এই সাক্ষাৎকারে। বাকিটা হাথুরুসিংহের মুখ থেকেই শুনুন—
নাজমুল হোসেন শান্ত (অধিনায়ক): শান্ত আমাদের নেতা। খুবই ভালো একজন নেতা। তার নেতৃত্বগুণেই আমরা খেলব। ড্রেসিংরুমে সতীর্থদের সঙ্গে আনন্দফূর্তি করলেও যখন মাঠে নামে সে খুবই লড়াকু মানসিকতার। বিশ্বকাপে প্রথমবার নেতৃত্বের বাহুবন্ধনী পাওয়ায় তার কাঁধে গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব আছে। নিশ্চিত সে চ্যালেঞ্জ নিতে প্রস্তুত।
তাসকিন আহমেদ (সহ-অধিনায়ক): তাসকিন খুবই আবেগপ্রবণ মানুষ। সে যেদিন মনের দিক থেকে ভালো থাকে আমরা তার কাছ থেকে সেরাটা পাই। খেলোয়াড় এবং কোচদের কাছে খুবই জনপ্রিয় সে। সব সময় চেষ্টা করে দলকে সেরা দিতে এবং নিজের উন্নতি করতে। সঙ্গে দুর্দান্ত একজন মানুষ।
লিটন দাস: লিটন আমদের শীর্ষ ব্যাটারদের একজন। এই বিশ্বকাপে তার ব্যাট থেকে বড় কিছু প্রত্যাশা করছি। ঈশ্বর প্রদত্ত একজন মেধাবী ব্যাটার। যেকোনো পজিশনে সে আমাদের অন্যতম একজন ফিল্ডার। মাঠের বাইরে কিছুটা শান্ত। তবে খেলাটা ভালো বুঝতে পারে। আর কৌশলগত দিক থেকেও দলকে সমর্থন দেয়।
সাকিব আল হাসান: খেলার কিংবদন্তি। সকলে জানি সে সব টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপেই খেলছে। এটা তার সবচেয়ে বড় বিশ্বকাপ হতে যাচ্ছে। আশা করি, তিন বিভাগেই দলের হয়ে সে অবদান রাখবে। সব দিক থেকেই সে দুর্দান্ত একজন নেতা। সে খেলোয়াড়দের সঙ্গে ভালোভাবে মিশে যেতে পারে। সে শ্রদ্ধার সঙ্গে নির্দেশনা দেয় এবং খেলাটিকে সত্যি দারুণভাবে পড়তে জানে।
মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ: মাহমুদউল্লাহ সম্ভবত আমাদের দলের অনুপ্রেরণা। সে ড্রেসিংরুম এবং দলে শান্তি বয়ে আনে। যখন সে কথা বলে প্রত্যেকেই তাকে শুনে। আমি মনে করি খেলাটা বুঝতে পারেন এমন খেলোয়াড়দের মধ্যে সে খুবই ভালো একজন। ভয়ডরহীন ব্যাটিংয়ে সম্প্রতি সে তার ব্যাটিং লেভেল অন্য মাত্রায় নিয়েছে। আমি মনে করি সে দলের জন্য খুবই ভালো। সে চাপের মুহূর্ত দারুণভাবে সামলাতে পারে এবং বিশ্বকাপে তরুণদের গাইড করতে পারবে।
সৌম্য সরকার: সৌম্য সরকার স্বভাবতই ঈশ্বরপ্রদত্ত একজন খেলোয়াড়। আমি মনে করি সে এখন পর্যন্ত ভালো ছন্দে না থাকলেও সময় মতো তার কাছে আমরা সেরাটা দেখতে পারব। তিন সংস্করণেই সে আবারও দলে অবদান রাখবে। দুর্দান্ত একজন ফিল্ডারও। নিজেদের দিনে সে ম্যাচ জেতানো খেলোয়াড়। আশা করি সে আমাদের বেশ কয়েকটি ম্যাচ জেতাবে।
তানজিদ হাসান তামিম: খুবই রোমাঞ্চকর একজন খেলোয়াড় তামিম। আমি মনে করি ব্যাটার হিসেবে ভবিষ্যৎ তার উজ্জ্বল। খেলার জন্য তার হাতে অনেক সময় রয়েছে। যখন সে ব্যাটিং করে তা দেখতে পারাটা দারুণ। অন্যদের তুলনায় তার বেশি সময় আছে। তরুণ এবং আনন্দদায়ক একজন ব্যাটার। সঙ্গে দুর্দান্ত ফিল্ডারও।
তাওহীদ হৃদয়: রোমাঞ্চকর তরুণ একজন খেলোয়াড়। নিজস্ব স্টাইলে খেলাটা খেলে। স্বাভাবিক ক্রিকেটারদের চেয়ে সে ব্যতিক্রম। খুবই মেধাবী এবং সবকিছুতেই ক্ষিপ্রগামী। ফিল্ডিং, হাঁটা, কথা বলা সবকিছুতেই ক্ষিপ্র সে। টি-টোয়েন্টির জন্য দারুণ একজ খেলোয়াড়।
জাকের আলি অনিক: জাকির দলে নতুন। ব্যাটিংয়ে প্রচণ্ড চাপের মুহূর্তেও তার চোখে-মুখে শান্ত-স্বাভাবিক থাকার বিষয়টি দেখতে পেরেছি। তরুণ খেলোয়াড় হিসেবে সে নিজের প্রতি বিশ্বাস রাখে। খুবই বৈচিত্র্যময় খেলোয়াড়। অনুশীলনে কঠোর পরিশ্রম করে। আমি মনে করি সে আমাদের জন্য একটা সারপ্রাইজ প্যাকেজ।
তানভীর ইসলাম: তানভীর আমাদের দলে অনন্য কিছু যোগ করতে পারে। সে নতুন বলে পাওয়ার প্লেতে বোলিং করতে পারে। দীর্ঘ সময় ধরে ঘরোয়া টুর্নামেন্ট বিপিএল, ডিপিএলে সে দারুণ কিছু করেছে। ঘরোয়া পারফরম্যান্সে তাকে আন্তর্জাতিক পর্যায়ে আত্মবিশ্বাস দেবে বলে মনে করি। যদি সে সুযোগ পায় দলে অদ্বিতীয় ভূমিকা রাখবে। পাওয়ার প্লেতে তার কাছে আমাদের প্রত্যাশা থাকবে দারুণ কিছু দেখার।
শেখ মেহেদী হাসান: শেখ মেহেদী একজন বৈচিত্র্যময় অলরাউন্ডার। তার প্রধান কাজ বোলিং। নতুন বলে সে খুবই ভালো। আমি মনে করি সে চতুরতার সঙ্গে চাপের মুহূর্ত কাটিয়ে উঠতে পারে। ড্রেসিংরুমে প্রত্যেকেই তার সঙ্গে মজা করে। সে মিডল অর্ডারে ব্যাটিংয়েও আমাদের সহায়তা করে।
রিশাদ হোসেন: খেলোয়াড় হিসেবে কতটা উন্নতি করেছে রিশাদ তা দেখার জন্য সত্যি উন্মুখ আছি। যখন আমরা তাকে শুরুতে দেখেছিলাম বাংলাদেশে লেগ স্পিনারদের খুব কমই দেখা যায়, তবে সে ক্লাসিক লেগ স্পিনারদের মতো নয়। সে খুবই লম্বা একজন অ্যাথলেট। দুর্দান্ত ফিল্ডার। দলের অন্যতম একজন ফিল্ডার সে। জানি না তার মাথায় কী কাজ করে তবে সে দ্রুত শিখতে জানে। চাপের সময় তাকেও শান্ত থাকতে দেখেছি। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে সে ব্যাটিংয়ে দুর্দান্ত কিছু পারফরম্যান্স করেছে। তাকে ধারাবাহিকভাবে রানে দেখতে চাই।
মোস্তাফিজুর রহমান: মোস্তাফিজ সম্পর্কে কী বলতে পারি। ফিজ এক অনন্য খেলোয়াড়। আমি মনে করি খুবই দুষ্প্রাপ্য খেলোয়াড় আমাদের জন্য। সঙ্গে বিশ্ব ক্রিকেটেরও। খুব কম বোলারই আছে বল হাতে সে যা করে তা করতে পারে। তার বাহু এবং কবজি অনন্য ফ্লেক্সিবিলিটির। সে দীর্ঘ সময় ধরে পারফরম্যান্স করছে, আইপিএলে খেলেছে। সে তার নিজস্ব দক্ষতার সঙ্গে খুবই আরামপ্রিয়। দলীয় আলোচনায় সে আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে বক্তব্য রাখে। বোলিংয়ে সে নেতৃত্ব দেয়। সে খুবই মজার লোক। তবে আমি বুঝতে পারি না সে কি বলে। কিন্তু সকলে তার সঙ্গ উপভোগ করে। সে যাই বলুক না কেন তার সতীর্থরা তা পছন্দ করে।
শরীফুল ইসলাম: ৬ ফুট ৪ ইঞ্চির একজন পেসার যে দ্রুত গতিতে বোলিং করতে পারে। সে খুবই মেধাবী এবং দলে অবদান রাখার মতো একজন খেলোয়াড়। সে জানে কীভাবে উইকেট নিতে হয়। সে খুবই কর্মঠ। তবে গোল্ড ফিশের মতো দ্রুত ভুলে যায়। আমি মনে করি সে সব সময় আত্মবিশ্বাসী। ভালো ফিল্ডার এবং ব্যাটেও অবদান রাখতে জানে।
তানজিম হাসান সাকিব: আমি মনে করি সাকিবের সাফল্যের বড় চাবিকাঠি হচ্ছে তার সংকল্প। চ্যালেঞ্জ নিতে ভয় পায় না। দক্ষতার সর্বোচ্চটুকু দেওয়ার চেষ্টা করে। সে অনুশীলনে কঠোর পরিশ্রম করে। দলকে সমর্থনও দেয়। যে কাজই দেওয়া হোক না কেন, এমনকি সে যদি সুযোগ না পেলেও... সত্যি দুর্দান্ত একজন সতীর্থ। আপনি চাইলে তাকে বড় হৃদয়ে ব্যক্তি বলতে পারেন।
টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে বাংলাদেশের পতাকা ওড়ানোর সুযোগ পাওয়া ১৫ ক্রিকেটারকে নিয়ে নিজের মতামত জানিয়েছেন চন্ডিকা হাথুরুসিংহে। বিসিবির পেজে দেওয়া সাক্ষাৎকারে বাংলাদেশের কোচের কথায় ফুটে উঠেছে ক্রিকেটারদের সামর্থ্যের বিষয়টি। অবশ্য শুধু খেলোয়াড় হিসেবে নন, নাজমুল হোসেন শান্ত-সাকিব আল হাসানরা মানুষ হিসেবে কেমন সেটিও উঠে এসেছে এই সাক্ষাৎকারে। বাকিটা হাথুরুসিংহের মুখ থেকেই শুনুন—
নাজমুল হোসেন শান্ত (অধিনায়ক): শান্ত আমাদের নেতা। খুবই ভালো একজন নেতা। তার নেতৃত্বগুণেই আমরা খেলব। ড্রেসিংরুমে সতীর্থদের সঙ্গে আনন্দফূর্তি করলেও যখন মাঠে নামে সে খুবই লড়াকু মানসিকতার। বিশ্বকাপে প্রথমবার নেতৃত্বের বাহুবন্ধনী পাওয়ায় তার কাঁধে গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব আছে। নিশ্চিত সে চ্যালেঞ্জ নিতে প্রস্তুত।
তাসকিন আহমেদ (সহ-অধিনায়ক): তাসকিন খুবই আবেগপ্রবণ মানুষ। সে যেদিন মনের দিক থেকে ভালো থাকে আমরা তার কাছ থেকে সেরাটা পাই। খেলোয়াড় এবং কোচদের কাছে খুবই জনপ্রিয় সে। সব সময় চেষ্টা করে দলকে সেরা দিতে এবং নিজের উন্নতি করতে। সঙ্গে দুর্দান্ত একজন মানুষ।
লিটন দাস: লিটন আমদের শীর্ষ ব্যাটারদের একজন। এই বিশ্বকাপে তার ব্যাট থেকে বড় কিছু প্রত্যাশা করছি। ঈশ্বর প্রদত্ত একজন মেধাবী ব্যাটার। যেকোনো পজিশনে সে আমাদের অন্যতম একজন ফিল্ডার। মাঠের বাইরে কিছুটা শান্ত। তবে খেলাটা ভালো বুঝতে পারে। আর কৌশলগত দিক থেকেও দলকে সমর্থন দেয়।
সাকিব আল হাসান: খেলার কিংবদন্তি। সকলে জানি সে সব টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপেই খেলছে। এটা তার সবচেয়ে বড় বিশ্বকাপ হতে যাচ্ছে। আশা করি, তিন বিভাগেই দলের হয়ে সে অবদান রাখবে। সব দিক থেকেই সে দুর্দান্ত একজন নেতা। সে খেলোয়াড়দের সঙ্গে ভালোভাবে মিশে যেতে পারে। সে শ্রদ্ধার সঙ্গে নির্দেশনা দেয় এবং খেলাটিকে সত্যি দারুণভাবে পড়তে জানে।
মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ: মাহমুদউল্লাহ সম্ভবত আমাদের দলের অনুপ্রেরণা। সে ড্রেসিংরুম এবং দলে শান্তি বয়ে আনে। যখন সে কথা বলে প্রত্যেকেই তাকে শুনে। আমি মনে করি খেলাটা বুঝতে পারেন এমন খেলোয়াড়দের মধ্যে সে খুবই ভালো একজন। ভয়ডরহীন ব্যাটিংয়ে সম্প্রতি সে তার ব্যাটিং লেভেল অন্য মাত্রায় নিয়েছে। আমি মনে করি সে দলের জন্য খুবই ভালো। সে চাপের মুহূর্ত দারুণভাবে সামলাতে পারে এবং বিশ্বকাপে তরুণদের গাইড করতে পারবে।
সৌম্য সরকার: সৌম্য সরকার স্বভাবতই ঈশ্বরপ্রদত্ত একজন খেলোয়াড়। আমি মনে করি সে এখন পর্যন্ত ভালো ছন্দে না থাকলেও সময় মতো তার কাছে আমরা সেরাটা দেখতে পারব। তিন সংস্করণেই সে আবারও দলে অবদান রাখবে। দুর্দান্ত একজন ফিল্ডারও। নিজেদের দিনে সে ম্যাচ জেতানো খেলোয়াড়। আশা করি সে আমাদের বেশ কয়েকটি ম্যাচ জেতাবে।
তানজিদ হাসান তামিম: খুবই রোমাঞ্চকর একজন খেলোয়াড় তামিম। আমি মনে করি ব্যাটার হিসেবে ভবিষ্যৎ তার উজ্জ্বল। খেলার জন্য তার হাতে অনেক সময় রয়েছে। যখন সে ব্যাটিং করে তা দেখতে পারাটা দারুণ। অন্যদের তুলনায় তার বেশি সময় আছে। তরুণ এবং আনন্দদায়ক একজন ব্যাটার। সঙ্গে দুর্দান্ত ফিল্ডারও।
তাওহীদ হৃদয়: রোমাঞ্চকর তরুণ একজন খেলোয়াড়। নিজস্ব স্টাইলে খেলাটা খেলে। স্বাভাবিক ক্রিকেটারদের চেয়ে সে ব্যতিক্রম। খুবই মেধাবী এবং সবকিছুতেই ক্ষিপ্রগামী। ফিল্ডিং, হাঁটা, কথা বলা সবকিছুতেই ক্ষিপ্র সে। টি-টোয়েন্টির জন্য দারুণ একজ খেলোয়াড়।
জাকের আলি অনিক: জাকির দলে নতুন। ব্যাটিংয়ে প্রচণ্ড চাপের মুহূর্তেও তার চোখে-মুখে শান্ত-স্বাভাবিক থাকার বিষয়টি দেখতে পেরেছি। তরুণ খেলোয়াড় হিসেবে সে নিজের প্রতি বিশ্বাস রাখে। খুবই বৈচিত্র্যময় খেলোয়াড়। অনুশীলনে কঠোর পরিশ্রম করে। আমি মনে করি সে আমাদের জন্য একটা সারপ্রাইজ প্যাকেজ।
তানভীর ইসলাম: তানভীর আমাদের দলে অনন্য কিছু যোগ করতে পারে। সে নতুন বলে পাওয়ার প্লেতে বোলিং করতে পারে। দীর্ঘ সময় ধরে ঘরোয়া টুর্নামেন্ট বিপিএল, ডিপিএলে সে দারুণ কিছু করেছে। ঘরোয়া পারফরম্যান্সে তাকে আন্তর্জাতিক পর্যায়ে আত্মবিশ্বাস দেবে বলে মনে করি। যদি সে সুযোগ পায় দলে অদ্বিতীয় ভূমিকা রাখবে। পাওয়ার প্লেতে তার কাছে আমাদের প্রত্যাশা থাকবে দারুণ কিছু দেখার।
শেখ মেহেদী হাসান: শেখ মেহেদী একজন বৈচিত্র্যময় অলরাউন্ডার। তার প্রধান কাজ বোলিং। নতুন বলে সে খুবই ভালো। আমি মনে করি সে চতুরতার সঙ্গে চাপের মুহূর্ত কাটিয়ে উঠতে পারে। ড্রেসিংরুমে প্রত্যেকেই তার সঙ্গে মজা করে। সে মিডল অর্ডারে ব্যাটিংয়েও আমাদের সহায়তা করে।
রিশাদ হোসেন: খেলোয়াড় হিসেবে কতটা উন্নতি করেছে রিশাদ তা দেখার জন্য সত্যি উন্মুখ আছি। যখন আমরা তাকে শুরুতে দেখেছিলাম বাংলাদেশে লেগ স্পিনারদের খুব কমই দেখা যায়, তবে সে ক্লাসিক লেগ স্পিনারদের মতো নয়। সে খুবই লম্বা একজন অ্যাথলেট। দুর্দান্ত ফিল্ডার। দলের অন্যতম একজন ফিল্ডার সে। জানি না তার মাথায় কী কাজ করে তবে সে দ্রুত শিখতে জানে। চাপের সময় তাকেও শান্ত থাকতে দেখেছি। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে সে ব্যাটিংয়ে দুর্দান্ত কিছু পারফরম্যান্স করেছে। তাকে ধারাবাহিকভাবে রানে দেখতে চাই।
মোস্তাফিজুর রহমান: মোস্তাফিজ সম্পর্কে কী বলতে পারি। ফিজ এক অনন্য খেলোয়াড়। আমি মনে করি খুবই দুষ্প্রাপ্য খেলোয়াড় আমাদের জন্য। সঙ্গে বিশ্ব ক্রিকেটেরও। খুব কম বোলারই আছে বল হাতে সে যা করে তা করতে পারে। তার বাহু এবং কবজি অনন্য ফ্লেক্সিবিলিটির। সে দীর্ঘ সময় ধরে পারফরম্যান্স করছে, আইপিএলে খেলেছে। সে তার নিজস্ব দক্ষতার সঙ্গে খুবই আরামপ্রিয়। দলীয় আলোচনায় সে আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে বক্তব্য রাখে। বোলিংয়ে সে নেতৃত্ব দেয়। সে খুবই মজার লোক। তবে আমি বুঝতে পারি না সে কি বলে। কিন্তু সকলে তার সঙ্গ উপভোগ করে। সে যাই বলুক না কেন তার সতীর্থরা তা পছন্দ করে।
শরীফুল ইসলাম: ৬ ফুট ৪ ইঞ্চির একজন পেসার যে দ্রুত গতিতে বোলিং করতে পারে। সে খুবই মেধাবী এবং দলে অবদান রাখার মতো একজন খেলোয়াড়। সে জানে কীভাবে উইকেট নিতে হয়। সে খুবই কর্মঠ। তবে গোল্ড ফিশের মতো দ্রুত ভুলে যায়। আমি মনে করি সে সব সময় আত্মবিশ্বাসী। ভালো ফিল্ডার এবং ব্যাটেও অবদান রাখতে জানে।
তানজিম হাসান সাকিব: আমি মনে করি সাকিবের সাফল্যের বড় চাবিকাঠি হচ্ছে তার সংকল্প। চ্যালেঞ্জ নিতে ভয় পায় না। দক্ষতার সর্বোচ্চটুকু দেওয়ার চেষ্টা করে। সে অনুশীলনে কঠোর পরিশ্রম করে। দলকে সমর্থনও দেয়। যে কাজই দেওয়া হোক না কেন, এমনকি সে যদি সুযোগ না পেলেও... সত্যি দুর্দান্ত একজন সতীর্থ। আপনি চাইলে তাকে বড় হৃদয়ে ব্যক্তি বলতে পারেন।
পার্থে সকালে শুরু হয়েছে অস্ট্রেলিয়া-ভারত প্রথম টেস্ট। রাতে সিরিজের প্রথম টেস্টে খেলতে নামছে বাংলাদেশ-ওয়েস্ট ইন্ডিজ। বাংলাদেশ সময় রাত ৮টায় শুরু হচ্ছে বাংলাদেশ-ওয়েস্ট ইন্ডিজ সিরিজের প্রথম টেস্ট। ফুটবলে ক্রিস্টিয়ানো রোনালদোর আল নাসরের ম্যাচ রয়েছে। এক নজরে দেখে নিন টিভিতে কী কী খেলা রয়েছে।
৪ মিনিট আগেখেলা, ক্রিকেট, বাংলাদেশ ক্রিকেট, ওয়েস্ট ইন্ডিজ ক্রিকেট, টেস্ট ক্রিকেট
২০ মিনিট আগেটি-টোয়েন্টিতে ২০২৪ সাল ভারতের কেটেছে অসাধারণ। ক্রিকেটের রাজকীয় সংস্করণ টেস্টেও তাদের শুরুটা ছিল দুর্দান্ত। তবে বছরের শেষভাগে এসে টেস্টে হোঁচট খাচ্ছে এশিয়ার দলটি। সুদূর অস্ট্রেলিয়াতে এসেও বেকায়দায় পড়েছে ভারত।
৪৩ মিনিট আগেবাংলাদেশ দল অ্যান্টিগায় ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে টেস্ট সিরিজের প্রথম ম্যাচ খেলতে মাঠে নামবে আজ। টেস্ট শুরুর আগেই গত রাতে একাদশ ঘোষণা করেছে ওয়েস্ট ইন্ডিজ।
১ ঘণ্টা আগে