ক্রীড়া ডেস্ক
দুই বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন স্পেন ও জার্মানিকে নিয়ে মাতামাতি একটু বেশিই হচ্ছে। কাতার বিশ্বকাপে ইউরোপের দুই জায়ান্ট একই গ্রুপে পড়েছে বলেই এত উন্মাদনা। কিন্তু একটু গভীরে গিয়ে ভাবলেই একটা বিষয় পরিষ্কার, নামের প্রতি সুবিচার করতে পারলে দুই দলের জন্য নকআউট পর্বে যাওয়াটা কঠিন হবে না। কারণ শক্তিমত্তায় জাপান কিংবা অন্য দলের (নিউজিল্যান্ড কিংবা কোস্টারিকা) চেয়ে ঢের এগিয়ে ইউরোপের দুই পরাশক্তি।
শুক্রবার রাতে কাতারের দোহায় মঞ্চস্থ হয়েছে রোমাঞ্চকর ও উৎকণ্ঠার ড্র। সেখানে খুব কঠিন গ্রুপ খুঁজে বের করা দুষ্কর। আগের বিশ্বকাপগুলোর তুলনায় এবারের ফুটবল মহাযজ্ঞের ড্রটা এই জায়গাটাতেই আলাদা। বিশ্বাস হচ্ছে না? ২০১৮, ২০১৪ ও ২০১০ বিশ্বকাপ ঘেঁটে দেখলেই তো খটকা দূর হওয়ার কথা। তিনটি আয়োজনেই গ্রুপপর্বে ঝরে পড়েছে ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়নরা।
আসলে ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়নদের নকআউট পর্বের আগেই টুর্নামেন্ট থেকে ছিটকে যাওয়াটা একপ্রকার রীতি হয়ে দাঁড়িয়েছে। সেই হিসাবে নিয়মটা পাল্টানোর সুবর্ণ সুযোগ পাচ্ছে ফ্রান্স। অলৌকিক কিছু না হলে এমবাপ্পে-পগবাদের শেষ ষোলোর পথ অনেকটাই মসৃণ। অপ্রত্যাশিত কিছু না ঘটলে অন্য ফেবারিটদেরও পরের রাউন্ডে ওঠা খুব কঠিন কিছু নয়।
‘ডি’ গ্রুপে ফ্রান্সের প্রতিপক্ষ ডেনমার্ক ও তিউনিশিয়া। গ্রুপের চতুর্থ দল হিসেবে প্লে-অফ পর্ব থেকে পেরু, অস্ট্রেলিয়া কিংবা সংযুক্ত আরব আরিরাত যে-ই মূল পর্বে উঠে আসুক, ফ্রান্সের দুশ্চিন্তার খুব একটা কারণ নেই। তাদের মতো তুলনামূলক সহজ গ্রুপেই পড়েছে ফেভারিট নেদারল্যান্ডস, ইংল্যান্ড, বেলজিয়াম, ক্রোয়েশিয়া ও ব্রাজিল। তাহলে এবারের আয়োজনে মৃত্যুকূপ কোনটা?
কোনো টুর্নামেন্টে ড্রয়ের পর এই প্রশ্নের উত্তর নিয়েই সবচেয়ে বেশি কৌতূহল থাকে ফুটবলপ্রেমীদের। সেটা এবারের বিশ্বকাপে প্রায় অনুপস্থিত বলা যায়। তবে ঠিক ‘ডেথ’ গ্রুপ না হলেও ‘সি’ ও ‘এইচ’ গ্রুপটাকে সহজ বলা কঠিন। তুলনামূলক বিচারে এ দুটি গ্রুপ বাকি ছয়টির চেয়ে একটু আলাদা। এ দুই গ্রুপে পড়েছে এই শতাব্দীর সেরা দুই ফুটবলার ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো ও লিওনেল মেসির দল।
‘সি’ গ্রুপে আর্জেন্টিনার তিন প্রতিপক্ষ মেক্সিকো, পোল্যান্ড ও সৌদি আরব। শেষ দলটিকে খুব একটা পাত্তা না দিলেও মেসিদের ভাবনার কারণ হয়ে উঠতে পারে মেক্সিকো ও পোল্যান্ড। গত বিশ্বকাপে জার্মানিকে গ্রুপ পর্ব থেকে ছিটকে দিতে মেক্সিকোর ছিল বিরাট ভূমিকা। আর পোল্যান্ডকে নিয়ে কোনো দল যতটা না ভাবে, তার চেয়েও বেশি ভাবতে হয় সময়ের অন্যতম সেরা স্ট্রাইকার রবার্ট লেভানডফস্কিকে নিয়ে। বিশ্বের যেকোনো দলকে দুশ্চিন্তায় ফেলে দিতে সক্ষম তিনি।
মেসির আর্জেন্টিনার জন্য গ্রুপটা তাই সহজ নয়। একই সমীকরণ রোনালদোর পর্তুগালের ক্ষেত্রেও। গ্রুপ পর্বের ম্যাচে ইউরোর সাবেক চ্যাম্পিয়নরা মুখোমুখি হবে দুইবারের বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন সুয়ারেজ-কাভানিদের উরুগুয়ের। গ্রুপের আরেক দল দক্ষিণ কোরিয়া। মনে করিয়ে দেওয়া ভালো, চার বছর আগে এশিয়ান দলটির বিপক্ষে ২-০ গোলে হেরেই বিদায় নিয়েছিল পাওয়ারহাউজ জার্মানি।
তাই স্রেফ উরুগুয়ে নয়, দক্ষিণ কোরিয়াও পর্তুগালের দুর্ভাবনার কারণ হয়ে উঠতে পারে। গ্রুপের যে দলটাকে ‘খর্বশক্তি’র তকমা দেওয়া হচ্ছে, সেই ঘানা কিন্তু ফেলনার দল নয়। ২০১০ বিশ্বকাপের সবচেয়ে বড় চমক তারা। উঠেছিল কোয়ার্টার ফাইনালে। আফ্রিকান এই দলটার বিপক্ষে পর্তুগাল বা অন্যরা যে জিতবে, সেই নিশ্চয়তা দেওয়া কঠিন। কাজেই ৮ গ্রুপের মধ্যে ‘এইচ’ গ্রুপটাই সবচেয়ে বেশি উন্মুক্ত।
গ্রুপ ‘এ’: কাতার, নেদারল্যান্ডস, সেনেগাল, ইকুয়েডর।
গ্রুপ ‘বি’: ইংল্যান্ড, যুক্তরাষ্ট্র, ইরান, ওয়েলস/ইউক্রেন/স্কটল্যান্ড।
গ্রুপ ‘সি’: আর্জেন্টিনা, মেক্সিকো, পোল্যান্ড, সৌদি আরব।
গ্রুপ ‘ডি’: ফ্রান্স, ডেনমার্ক, তিউনিশিয়া, পেরু/অস্ট্রেলিয়া/সংযুক্ত আরব আমিরাত।
গ্রুপ ‘ই’: স্পেন, জার্মানি, জাপান, নিউজিল্যান্ড/কোস্টারিকা।
গ্রুপ ‘এফ’: বেলজিয়াম, ক্রোয়েশিয়া, মরক্কো, কানাডা।
গ্রুপ ‘জি’: ব্রাজিল, সুইজারল্যান্ড, সার্বিয়া, ক্যামেরুন।
গ্রুপ ‘এইচ’: পর্তুগাল, উরুগুয়ে, দক্ষিণ কোরিয়া, ঘানা।
দুই বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন স্পেন ও জার্মানিকে নিয়ে মাতামাতি একটু বেশিই হচ্ছে। কাতার বিশ্বকাপে ইউরোপের দুই জায়ান্ট একই গ্রুপে পড়েছে বলেই এত উন্মাদনা। কিন্তু একটু গভীরে গিয়ে ভাবলেই একটা বিষয় পরিষ্কার, নামের প্রতি সুবিচার করতে পারলে দুই দলের জন্য নকআউট পর্বে যাওয়াটা কঠিন হবে না। কারণ শক্তিমত্তায় জাপান কিংবা অন্য দলের (নিউজিল্যান্ড কিংবা কোস্টারিকা) চেয়ে ঢের এগিয়ে ইউরোপের দুই পরাশক্তি।
শুক্রবার রাতে কাতারের দোহায় মঞ্চস্থ হয়েছে রোমাঞ্চকর ও উৎকণ্ঠার ড্র। সেখানে খুব কঠিন গ্রুপ খুঁজে বের করা দুষ্কর। আগের বিশ্বকাপগুলোর তুলনায় এবারের ফুটবল মহাযজ্ঞের ড্রটা এই জায়গাটাতেই আলাদা। বিশ্বাস হচ্ছে না? ২০১৮, ২০১৪ ও ২০১০ বিশ্বকাপ ঘেঁটে দেখলেই তো খটকা দূর হওয়ার কথা। তিনটি আয়োজনেই গ্রুপপর্বে ঝরে পড়েছে ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়নরা।
আসলে ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়নদের নকআউট পর্বের আগেই টুর্নামেন্ট থেকে ছিটকে যাওয়াটা একপ্রকার রীতি হয়ে দাঁড়িয়েছে। সেই হিসাবে নিয়মটা পাল্টানোর সুবর্ণ সুযোগ পাচ্ছে ফ্রান্স। অলৌকিক কিছু না হলে এমবাপ্পে-পগবাদের শেষ ষোলোর পথ অনেকটাই মসৃণ। অপ্রত্যাশিত কিছু না ঘটলে অন্য ফেবারিটদেরও পরের রাউন্ডে ওঠা খুব কঠিন কিছু নয়।
‘ডি’ গ্রুপে ফ্রান্সের প্রতিপক্ষ ডেনমার্ক ও তিউনিশিয়া। গ্রুপের চতুর্থ দল হিসেবে প্লে-অফ পর্ব থেকে পেরু, অস্ট্রেলিয়া কিংবা সংযুক্ত আরব আরিরাত যে-ই মূল পর্বে উঠে আসুক, ফ্রান্সের দুশ্চিন্তার খুব একটা কারণ নেই। তাদের মতো তুলনামূলক সহজ গ্রুপেই পড়েছে ফেভারিট নেদারল্যান্ডস, ইংল্যান্ড, বেলজিয়াম, ক্রোয়েশিয়া ও ব্রাজিল। তাহলে এবারের আয়োজনে মৃত্যুকূপ কোনটা?
কোনো টুর্নামেন্টে ড্রয়ের পর এই প্রশ্নের উত্তর নিয়েই সবচেয়ে বেশি কৌতূহল থাকে ফুটবলপ্রেমীদের। সেটা এবারের বিশ্বকাপে প্রায় অনুপস্থিত বলা যায়। তবে ঠিক ‘ডেথ’ গ্রুপ না হলেও ‘সি’ ও ‘এইচ’ গ্রুপটাকে সহজ বলা কঠিন। তুলনামূলক বিচারে এ দুটি গ্রুপ বাকি ছয়টির চেয়ে একটু আলাদা। এ দুই গ্রুপে পড়েছে এই শতাব্দীর সেরা দুই ফুটবলার ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো ও লিওনেল মেসির দল।
‘সি’ গ্রুপে আর্জেন্টিনার তিন প্রতিপক্ষ মেক্সিকো, পোল্যান্ড ও সৌদি আরব। শেষ দলটিকে খুব একটা পাত্তা না দিলেও মেসিদের ভাবনার কারণ হয়ে উঠতে পারে মেক্সিকো ও পোল্যান্ড। গত বিশ্বকাপে জার্মানিকে গ্রুপ পর্ব থেকে ছিটকে দিতে মেক্সিকোর ছিল বিরাট ভূমিকা। আর পোল্যান্ডকে নিয়ে কোনো দল যতটা না ভাবে, তার চেয়েও বেশি ভাবতে হয় সময়ের অন্যতম সেরা স্ট্রাইকার রবার্ট লেভানডফস্কিকে নিয়ে। বিশ্বের যেকোনো দলকে দুশ্চিন্তায় ফেলে দিতে সক্ষম তিনি।
মেসির আর্জেন্টিনার জন্য গ্রুপটা তাই সহজ নয়। একই সমীকরণ রোনালদোর পর্তুগালের ক্ষেত্রেও। গ্রুপ পর্বের ম্যাচে ইউরোর সাবেক চ্যাম্পিয়নরা মুখোমুখি হবে দুইবারের বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন সুয়ারেজ-কাভানিদের উরুগুয়ের। গ্রুপের আরেক দল দক্ষিণ কোরিয়া। মনে করিয়ে দেওয়া ভালো, চার বছর আগে এশিয়ান দলটির বিপক্ষে ২-০ গোলে হেরেই বিদায় নিয়েছিল পাওয়ারহাউজ জার্মানি।
তাই স্রেফ উরুগুয়ে নয়, দক্ষিণ কোরিয়াও পর্তুগালের দুর্ভাবনার কারণ হয়ে উঠতে পারে। গ্রুপের যে দলটাকে ‘খর্বশক্তি’র তকমা দেওয়া হচ্ছে, সেই ঘানা কিন্তু ফেলনার দল নয়। ২০১০ বিশ্বকাপের সবচেয়ে বড় চমক তারা। উঠেছিল কোয়ার্টার ফাইনালে। আফ্রিকান এই দলটার বিপক্ষে পর্তুগাল বা অন্যরা যে জিতবে, সেই নিশ্চয়তা দেওয়া কঠিন। কাজেই ৮ গ্রুপের মধ্যে ‘এইচ’ গ্রুপটাই সবচেয়ে বেশি উন্মুক্ত।
গ্রুপ ‘এ’: কাতার, নেদারল্যান্ডস, সেনেগাল, ইকুয়েডর।
গ্রুপ ‘বি’: ইংল্যান্ড, যুক্তরাষ্ট্র, ইরান, ওয়েলস/ইউক্রেন/স্কটল্যান্ড।
গ্রুপ ‘সি’: আর্জেন্টিনা, মেক্সিকো, পোল্যান্ড, সৌদি আরব।
গ্রুপ ‘ডি’: ফ্রান্স, ডেনমার্ক, তিউনিশিয়া, পেরু/অস্ট্রেলিয়া/সংযুক্ত আরব আমিরাত।
গ্রুপ ‘ই’: স্পেন, জার্মানি, জাপান, নিউজিল্যান্ড/কোস্টারিকা।
গ্রুপ ‘এফ’: বেলজিয়াম, ক্রোয়েশিয়া, মরক্কো, কানাডা।
গ্রুপ ‘জি’: ব্রাজিল, সুইজারল্যান্ড, সার্বিয়া, ক্যামেরুন।
গ্রুপ ‘এইচ’: পর্তুগাল, উরুগুয়ে, দক্ষিণ কোরিয়া, ঘানা।
বুলাওয়েতে পাকিস্তান ২১ ওভার ব্যাটিং করলেই শুরু হয় বৃষ্টি। তারপর আর ব্যাটিংয়ের সুযোগ পায়নি তারা। ফলে শুরুতেই ব্যাটিং বিপর্যয়ে পড়া পাকিস্তান শেষ লড়াইয়ের সুযোগ পায়নি। ডাকওয়ার্থ লুইস স্টার্ন (ডিএলএস) পদ্ধতিতে সিরিজের প্রথম ওয়ানডেতে ৮০ রানে জিম্বাবুয়ের কাছে হেরেছে তারা। তিন ওয়ানডের সিরিজে ১-০ ব্যবধানে এগ
১১ ঘণ্টা আগেবগুড়ার শহীদ চান্দু স্টেডিয়ামে প্রথম দিন ছিল সুমন খানের তোপ, গতকাল দ্বিতীয় দিন দাগলেন সতীর্থ এনামুল হক। দুই পেসারের দুর্দান্ত বোলিংয়ে দেড় দিনেই ঢাকার কাছে ষষ্ঠ রাউন্ডে ইনিংস ও ১১ রানে হেরেছে রাজশাহী। ইনিংস ব্যবধানে জিতে শিরোপার লড়াই জমিয়ে তুলল ঢাকা। এ ম্যাচে বোনাসসহ ৯ পয়েন্ট অর্জন করেছে তারা। ছয় ম্যা
১১ ঘণ্টা আগেজেদ্দায় চলছে আইপিএলের নিলাম। সেখানে চমকে দিয়েছেন ভেঙ্কাটেশ আইয়ার, তাঁর দাম উঠেছে ২৩ কোটি ৭৫ লাখ রূপিতে। তাঁর ভিত্তি মূল্য ছিল ২ কোটি রুপি। নিলামের টেবিলে ২৯ বছর বয়সী অলরাউন্ডারকে পেতে বেঙ্গালুরু ও কলকাতার মধ্যে বেশ লড়াই হয়েছে। শেষ পর্যন্ত তাঁর পুরোনো দল কলকাতাই দলে নিয়েছে বড় অঙ্কে। ভেঙ্কাটেশকে দিয়ে
১১ ঘণ্টা আগেবাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগ (বিপিএল) ফুটবলের ১৭ তম আসর শুরু ২৯ নভেম্বর থেকে। প্রথম দিনেই মাঠে নামছে গত আসরের চ্যাম্পিয়ন বসুন্ধরা কিংস ও রানারআপ মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাব।
১২ ঘণ্টা আগে