নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
তাঁর অপেক্ষায় সকাল থেকেই বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন (বাফুফে) ভবনে হাজির গণমাধ্যমকর্মীরা। সেই কাজী সালাউদ্দিন বাফুফে ভবনে এলেন বেলা আড়াইটায়। পাঁচ মিনিটেরও কম সময়ের মধ্য সারলেন সংক্ষিপ্ত ব্রিফিং। এড়িয়ে গেলেন অনিয়মের দায়ে দুই বছরের জন্য নিষেধাজ্ঞা পাওয়া তাঁর এক দশকের সাধারণ সম্পাদক আবু নাঈম সোহাগকে নিয়ে করা যত প্রশ্ন।
আর্থিক অনিয়ম ও জালিয়াতির দায়ে দুই বছরের জন্য বাফুফে সাধারণ সম্পাদক আবু নাঈম সোহাগকে সব রকম ফুটবল কার্যক্রম থেকে নিষিদ্ধ করেছে ফিফা। সোহাগ এই নিষেধাজ্ঞা পেয়েছেন গতকাল। তাঁর বিরুদ্ধে তিনটি ধারায় অনিয়মের অভিযোগ এনেছে ফিফা।
সোহাগের নিষেধাজ্ঞার বিষয়টি গতকালই এড়িয়ে গিয়েছিলেন কাজী সালাউদ্দিন। বলেছিলেন, ফেডারেশনে এসে যা বলার বলবেন। বাফুফে সভাপতি কথা রেখেছেন। তবে সাংবাদিকদের প্রশ্ন করার তেমন সুযোগই দিলেন না। অধিকাংশ কথাই বলে গেলেন নিজের মতো করে।
শুরুতে সালাউদ্দিন নিজের মতো করে বলেছেন, ‘আপনারা যেমন গতকাল ডকুমেন্ট পেয়েছেন। আমিও গতকালই জানতে পেরেছি। গতকাল, আজকেও ডকুমেন্টস পড়েছি, তবে শেষ করতে পারি নাই। তাঁর বিরুদ্ধে যা যা করার ছিল যেমন ব্যান করা, এটা আপনারা দেখেছেন—সেটা হয়ে গেছে।’
ফিফার নিষেধাজ্ঞা অনুযায়ী আপাতত সোহাগ নিষিদ্ধ থাকবেন বলেই জানালেন সালাউদ্দিন। তবে চূড়ান্ত আসবে জরুরি সভার পর। বাফুফে সভাপতি বলেছেন, ‘আমি একটা জরুরি সভা ডেকে সিদ্ধান্ত নিতে চেয়েছিলাম। তবে আমাদের ভাইস প্রেসিডেন্টদের মধ্যে দুজন ভাইস প্রেসিডেন্ট দেশের বাইরে আছেন। তাই আমি বৈঠক ডাকতে পারিনি। ওনারা কাল-পরশু দেশে এসে পৌঁছাবেন। সকলে এসে পৌঁছালে পরশু দিন আমরা বৈঠক ডেকে সিদ্ধান্ত নেব। এরপর আপনাদের জানিয়ে দেব পরবর্তী পদক্ষেপ কী হবে।
‘আপাতত ফিফা যে সিদ্ধান্ত নিয়েছে, আমরা সেখানেই আছি। বাদবাকি বাফুফে কী সিদ্ধান্ত নেবে, তার জন্য সকলকে দুদিন অপেক্ষা করতে হবে। সোমবার দিন ফিফা খুলবে। এরপর আমি ফিফার প্রেসিডেন্টের সঙ্গে কথা বলব। এরপর আমরা নিজেদের মধ্যে বৈঠক করে সিদ্ধান্ত নেব, আমাদের পরবর্তী পদক্ষেপ কী হবে।’
গতকালই ফিফার চিঠিতে চাউর হয়ে যায়, নিষেধাজ্ঞা পেয়েছেন সোহাগ। তাঁর আগে কিছুই জানতেন না বলে মন্তব্য সালাউদ্দিনের, ‘ওরা যখন জুরিখে গেছিল। তখন জানি যে একটা ইয়ে চলছে....। তখনো অফিশিয়ালি আমাকে কেউ জানায়নি। এখনো অফিশিয়ালি আমি ফিফা থেকে কোনো চিঠি পাই নাই। এথিক্স কমিটির যে সিদ্ধান্ত, এটা আপনার জন্য সারপ্রাইজিং ছিল কি না? এথিক্স কমিটির যে সিদ্ধান্ত নেয় হয়েছে, এটা নিয়ে আমি সোহগের সঙ্গে কথা বলেছি গতকাল রাতে। সে আমাকে বলেছে, এথিক্স কমিটির যে সিদ্ধান্ত সেটা তার ওপর অবিচার করা হয়েছে বলে সে (সোহাগ) মনে করে। এটা নিয়ে কোর্ট অব অরবিট্রেশন ফর স্পোর্টসে যাবে বলে আমাকে জানিয়েছেন।’
সোহাগের সব অনিয়মের তথ্যাদি নিজেদের চিঠিতে প্রকাশ করেছে ফিফা। সাধারণ সম্পাদকের এসব কুকর্মকে অনিয়ম বলে নারাজ সালাউদ্দিন, ‘ওরা (ফিফা) কিন্তু বলে নাই আর্থিক অনিয়ম। ফিফার রিপোর্টে আর্থিক অনিয়ম বলা হয়নি। ওরা কোড অব এথিক্স এবং রেসপনসিবিলিটি নিয়ে বলেছে। যা-ই বলা হয়েছে, সবই এখানে আসবে এখানে লুকানোর কিছু নাই। তবে কিছু বলার আগে আমার সকলের সঙ্গে বসে সিদ্ধান্ত নিতে হবে। আমার সব ভাইস প্রেসিডেন্ট এবং সিনিয়র মেম্বারদের সঙ্গে বসে সিদ্ধান্ত নিতে হবে এবং সিদ্ধান্ত যেটা হবে সেটাই আমি সকলকে জানাব।’
সোহাগের অনিয়ম বাংলাদেশের ফুটবলের অনিয়ম কি না, সেই প্রশ্নের জবাব সোজাসাপ্টা এড়িয়ে গেছেন সালাউদ্দিন। ‘ধন্যবাদ’ বলে চলে যান নিজের কক্ষে।
এদিকে নিজের নিষেধাজ্ঞার বিপক্ষে আপিল করবেন বলে জানিয়েছেন আবু নাঈম সোহাগ। তাঁর আইনজীবী আজমালুল হোসেনের প্যাডে একটি বিবৃতিতে বলা হয়েছে ফিফার নিষেধাজ্ঞার বিরুদ্ধে সুইজারল্যান্ডের জুরিখে অবস্থিত কোর্ট অব আরবিট্রেশন ফর স্পোর্টসে আপিল করবেন তিনি। এ ছাড়া সোহাগের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে তিনি বলেন, ‘দ্রুতই সত্য সকলের সামনে আসবে।’
আইনজীবীর প্যাডে দেওয়া বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ফিফা আরেকটু কথা বলে ব্যাপারটি মেটাতে পারত। এমন নিষেধাজ্ঞা কে তিনি উদ্দেশ্যপ্রণোদিত মনে করেন। ফিফার যে অর্থসংক্রান্ত লেনদেন নিয়ে অভিযোগ করেছে, সেটা ফিফা আগে জেনেছে, চিঠি নিয়েছে, দ্রব্যাদির দাম সবকিছু জেনে চিঠি ইস্যু করেছে। ফিফার অনুমতি ছাড়া কোনো কিছুই করেননি সোহাগ—এমন দাবি করেছেন তাঁর আইনজীবী।
তাঁর অপেক্ষায় সকাল থেকেই বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন (বাফুফে) ভবনে হাজির গণমাধ্যমকর্মীরা। সেই কাজী সালাউদ্দিন বাফুফে ভবনে এলেন বেলা আড়াইটায়। পাঁচ মিনিটেরও কম সময়ের মধ্য সারলেন সংক্ষিপ্ত ব্রিফিং। এড়িয়ে গেলেন অনিয়মের দায়ে দুই বছরের জন্য নিষেধাজ্ঞা পাওয়া তাঁর এক দশকের সাধারণ সম্পাদক আবু নাঈম সোহাগকে নিয়ে করা যত প্রশ্ন।
আর্থিক অনিয়ম ও জালিয়াতির দায়ে দুই বছরের জন্য বাফুফে সাধারণ সম্পাদক আবু নাঈম সোহাগকে সব রকম ফুটবল কার্যক্রম থেকে নিষিদ্ধ করেছে ফিফা। সোহাগ এই নিষেধাজ্ঞা পেয়েছেন গতকাল। তাঁর বিরুদ্ধে তিনটি ধারায় অনিয়মের অভিযোগ এনেছে ফিফা।
সোহাগের নিষেধাজ্ঞার বিষয়টি গতকালই এড়িয়ে গিয়েছিলেন কাজী সালাউদ্দিন। বলেছিলেন, ফেডারেশনে এসে যা বলার বলবেন। বাফুফে সভাপতি কথা রেখেছেন। তবে সাংবাদিকদের প্রশ্ন করার তেমন সুযোগই দিলেন না। অধিকাংশ কথাই বলে গেলেন নিজের মতো করে।
শুরুতে সালাউদ্দিন নিজের মতো করে বলেছেন, ‘আপনারা যেমন গতকাল ডকুমেন্ট পেয়েছেন। আমিও গতকালই জানতে পেরেছি। গতকাল, আজকেও ডকুমেন্টস পড়েছি, তবে শেষ করতে পারি নাই। তাঁর বিরুদ্ধে যা যা করার ছিল যেমন ব্যান করা, এটা আপনারা দেখেছেন—সেটা হয়ে গেছে।’
ফিফার নিষেধাজ্ঞা অনুযায়ী আপাতত সোহাগ নিষিদ্ধ থাকবেন বলেই জানালেন সালাউদ্দিন। তবে চূড়ান্ত আসবে জরুরি সভার পর। বাফুফে সভাপতি বলেছেন, ‘আমি একটা জরুরি সভা ডেকে সিদ্ধান্ত নিতে চেয়েছিলাম। তবে আমাদের ভাইস প্রেসিডেন্টদের মধ্যে দুজন ভাইস প্রেসিডেন্ট দেশের বাইরে আছেন। তাই আমি বৈঠক ডাকতে পারিনি। ওনারা কাল-পরশু দেশে এসে পৌঁছাবেন। সকলে এসে পৌঁছালে পরশু দিন আমরা বৈঠক ডেকে সিদ্ধান্ত নেব। এরপর আপনাদের জানিয়ে দেব পরবর্তী পদক্ষেপ কী হবে।
‘আপাতত ফিফা যে সিদ্ধান্ত নিয়েছে, আমরা সেখানেই আছি। বাদবাকি বাফুফে কী সিদ্ধান্ত নেবে, তার জন্য সকলকে দুদিন অপেক্ষা করতে হবে। সোমবার দিন ফিফা খুলবে। এরপর আমি ফিফার প্রেসিডেন্টের সঙ্গে কথা বলব। এরপর আমরা নিজেদের মধ্যে বৈঠক করে সিদ্ধান্ত নেব, আমাদের পরবর্তী পদক্ষেপ কী হবে।’
গতকালই ফিফার চিঠিতে চাউর হয়ে যায়, নিষেধাজ্ঞা পেয়েছেন সোহাগ। তাঁর আগে কিছুই জানতেন না বলে মন্তব্য সালাউদ্দিনের, ‘ওরা যখন জুরিখে গেছিল। তখন জানি যে একটা ইয়ে চলছে....। তখনো অফিশিয়ালি আমাকে কেউ জানায়নি। এখনো অফিশিয়ালি আমি ফিফা থেকে কোনো চিঠি পাই নাই। এথিক্স কমিটির যে সিদ্ধান্ত, এটা আপনার জন্য সারপ্রাইজিং ছিল কি না? এথিক্স কমিটির যে সিদ্ধান্ত নেয় হয়েছে, এটা নিয়ে আমি সোহগের সঙ্গে কথা বলেছি গতকাল রাতে। সে আমাকে বলেছে, এথিক্স কমিটির যে সিদ্ধান্ত সেটা তার ওপর অবিচার করা হয়েছে বলে সে (সোহাগ) মনে করে। এটা নিয়ে কোর্ট অব অরবিট্রেশন ফর স্পোর্টসে যাবে বলে আমাকে জানিয়েছেন।’
সোহাগের সব অনিয়মের তথ্যাদি নিজেদের চিঠিতে প্রকাশ করেছে ফিফা। সাধারণ সম্পাদকের এসব কুকর্মকে অনিয়ম বলে নারাজ সালাউদ্দিন, ‘ওরা (ফিফা) কিন্তু বলে নাই আর্থিক অনিয়ম। ফিফার রিপোর্টে আর্থিক অনিয়ম বলা হয়নি। ওরা কোড অব এথিক্স এবং রেসপনসিবিলিটি নিয়ে বলেছে। যা-ই বলা হয়েছে, সবই এখানে আসবে এখানে লুকানোর কিছু নাই। তবে কিছু বলার আগে আমার সকলের সঙ্গে বসে সিদ্ধান্ত নিতে হবে। আমার সব ভাইস প্রেসিডেন্ট এবং সিনিয়র মেম্বারদের সঙ্গে বসে সিদ্ধান্ত নিতে হবে এবং সিদ্ধান্ত যেটা হবে সেটাই আমি সকলকে জানাব।’
সোহাগের অনিয়ম বাংলাদেশের ফুটবলের অনিয়ম কি না, সেই প্রশ্নের জবাব সোজাসাপ্টা এড়িয়ে গেছেন সালাউদ্দিন। ‘ধন্যবাদ’ বলে চলে যান নিজের কক্ষে।
এদিকে নিজের নিষেধাজ্ঞার বিপক্ষে আপিল করবেন বলে জানিয়েছেন আবু নাঈম সোহাগ। তাঁর আইনজীবী আজমালুল হোসেনের প্যাডে একটি বিবৃতিতে বলা হয়েছে ফিফার নিষেধাজ্ঞার বিরুদ্ধে সুইজারল্যান্ডের জুরিখে অবস্থিত কোর্ট অব আরবিট্রেশন ফর স্পোর্টসে আপিল করবেন তিনি। এ ছাড়া সোহাগের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে তিনি বলেন, ‘দ্রুতই সত্য সকলের সামনে আসবে।’
আইনজীবীর প্যাডে দেওয়া বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ফিফা আরেকটু কথা বলে ব্যাপারটি মেটাতে পারত। এমন নিষেধাজ্ঞা কে তিনি উদ্দেশ্যপ্রণোদিত মনে করেন। ফিফার যে অর্থসংক্রান্ত লেনদেন নিয়ে অভিযোগ করেছে, সেটা ফিফা আগে জেনেছে, চিঠি নিয়েছে, দ্রব্যাদির দাম সবকিছু জেনে চিঠি ইস্যু করেছে। ফিফার অনুমতি ছাড়া কোনো কিছুই করেননি সোহাগ—এমন দাবি করেছেন তাঁর আইনজীবী।
বাংলাদেশের ব্যাটিং লাইনআপ হুড়মুড়িয়ে ধসে পড়ে নিয়মিতই। মাঝে মধ্যে দুই একটা জুটিতে যা রান হয়, সেটা পরাজয়ের ব্যবধান কমানো ছাড়া আর কিছুই করতে পারে না।
২৮ মিনিট আগেদক্ষিণ আফ্রিকা সিরিজের মাঝখানেই শোনা গেল নাজমুল হোসেন শান্ত বাংলাদেশ দলের নেতৃত্ব ছেড়ে দিচ্ছেন। তবে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) সভাপতি ফারুক আহমেদের কথায় বোঝা গেল, শান্তকে এই মুহূর্তে নেতৃত্ব থেকে সরানো হচ্ছে না।
২ ঘণ্টা আগেইচ্ছে প্রকাশ করেও সাকিব আল হাসান মিরপুরে খেলতে পারেননি তাঁর বিদায়ী টেস্ট ৷ দুবাইয়ে এসেও ঢাকায় আসতে পারেননি ৷ আজ বিসিবি সভাপতি জানিয়েছেন, সাকিবের খেলার সম্ভাবনা নেই আসন্ন আফগানিস্তান সিরিজেও।
২ ঘণ্টা আগেবাংলাদেশের হতশ্রী ব্যাটিং তো নতুন কিছু নয়। টেস্টে যেখানে ব্যাটারদের ধৈর্য, স্কিলের ‘টেস্ট’ হওয়ার কথা, সেখানে বাংলাদেশ ব্যর্থ হচ্ছে বারবার। চট্টগ্রামে আজ তৃতীয় দিনের খেলা শুরু হতে না হতেই টপাটপ উইকেট হারাতে শুরু করে নাজমুল হোসেন শান্তর দল।
৩ ঘণ্টা আগে