ইন্টার মিয়ামিতে এখনো অভিষেক হয়নি লিওনেল মেসির। তবু আর্জেন্টিনার বিশ্বজয়ী ফুটবলারকে যুক্তরাষ্ট্রে খেলতে দেখতে যেন সমর্থকদের তর সইছে না। 

সৌদি আরবের পর্যটন দূত হিসেবে এ বছরের মে মাসে মরুর দেশে মেসি ঘুরতে যান পুরো পরিবার নিয়ে। অনুমতি না নিয়ে যাওয়ায় মেসির সঙ্গে সম্পর্কের টানাপোড়েন শুরু হয় প্যারিস সেইন্ট জার্মেইয়ের (পিএসজি)। তখনই বার্সেলোনা, আল হিলাল, ইন্টার মিয়ামিসহ বিভিন্ন ক্লাবে যাওয়ার গুঞ্জন ছড়িয়ে পড়ে। যখন পিএসজিতে শেষ ম্যাচ খেলে ফেলেন, তখন ইন্টার মিয়ামির নাম শোনা যায়। মেসি নিজেও যুক্তরাষ্ট্রের ক্লাবটিতে যাওয়ার কথা জানিয়েছেন।

আনুষ্ঠানিক চুক্তি না হলেও মেসির ইন্টার মিয়ামিতে আসার খবর শুনেই আবেগপ্রবণ হয়ে পড়েন ক্লাবটির সমর্থকেরা। মিয়ামি হেরাল্ডকে ইন্টার মিয়ামির সমর্থক সিনটিয়া ম্যাককান তাঁর প্রতিক্রিয়া সম্পর্কে বলেন, ‘কাজ করার সময়ই আমি কেঁদে ফেলেছিলাম। আমার এক সহকর্মী সংবাদ পেয়ে আমাকে জানালেন। খবর শুনে বেশ অবাক হয়ে গিয়েছিলাম।’ এ ছাড়া ক্রিস্টিয়ান ট্রিয়ে নামে আরেকজন বলেন, ‘আমি সত্যিই অবাক হয়ে গিয়েছিলাম। যদিও গুঞ্জন চলছিল সে সম্ভবত আসছে। যতক্ষণ না এমন কিছু হয়, আসলে বিশ্বাস করা যায় না। আমিও বিশ্বাস করতে পারিনি।’

এমএলএস অল স্টার্সের বিপক্ষে আর্সেনালের ম্যাচে খেলার কথা ছিল মেসির। এরপর জানা যায়, আর্সেনালের বিপক্ষে অভিষেক হচ্ছে না আর্জেন্টাইন এই তারকা ফুটবলারের। ২১ জুলাই ক্রুজ আজুলের বিপক্ষে ম্যাচে ইন্টার মিয়ামির জার্সিতে অভিষেক হতে পারে। আর মেসির সঙ্গে ইন্টার মিয়ামির আনুষ্ঠানিক চুক্তি অনেকটাই হয়ে গেছে। এরই মধ্যে তিনি মিয়ামিতে বিলাসবহুল অ্যাপার্টমেন্ট কিনে ফেলেছেন। স্প্যানিশ সংবাদমাধ্যম কাদেনা সারের প্রতিবেদন অনুযায়ী, ২০১৯ সালে মিয়ামিতে পোর্শ ডিজাইন টাওয়ারে মেসি একটি অ্যাপার্টমেন্ট কিনেছেন। অ্যাপার্টমেন্ট কিনতে তাঁর খরচ হয়েছে ৯০ লাখ মার্কিন ডলার, বাংলাদেশি মুদ্রায় তা ৯৭ কোটি ৩৯ লাখ টাকা। পোর্শ ডিজাইন টাওয়ার এই বাড়িটি তৈরি হয়েছে ২০১৭ সালে। এই বিল্ডিং থেকে মিয়ামি সমুদ্রসৈকত কয়েক সেকেন্ড দূরে। আর ইন্টার মিয়ামি স্টেডিয়াম থেকে তা ২৫ মিনিট দূরের পথ। মেসির নতুন বাড়িতে রয়েছে সিনেমা, গলফ, রেসিং সিমুলেটরস এবং ঘরোয়া পর্যায়ে রেস্তোরাঁর ব্যবস্থা।