বাংলাদেশের জার্সিতে কেমন হলো কিংসলের অভিষেক

নিজস্ব প্রতিবেদক, সিলেট
প্রকাশ : ২৫ মার্চ ২০২৩, ২০: ১৫

পুরো ৯০ মিনিটই দাপুটে ফুটবল খেলল বাংলাদেশ। ফাঁকে ফাঁকে ভীতি ছড়ালেও পেরে ওঠেনি সিশেলস। প্রথমবারের মতো আফ্রিকার কোনো দলের বিপক্ষে জয়ের স্বাদ নিল বাংলাদেশ। সেই সঙ্গে বাংলাদেশের জার্সিতে আনুষ্ঠানিক অভিষেক হয়ে গেল নাইজেরিয়ান থেকে বাংলাদেশি হয়ে যাওয়া ৩৩ বছর বয়সী ফরোয়ার্ড এলিটা কিংসলের। 

আজ শনিবার সিলেট জেলা স্টেডিয়ামে প্রথম প্রীতি ম্যাচে ১-০ গোলে জিতেছে স্বাগতিকেরা। প্রথমার্ধের শেষদিকে দুই পক্ষের মধ্যে ব্যবধান গড়ে দেওয়া লক্ষ্যভেদটি করেন তারিক রায়হান কাজী। ব্যবধান যাই হোক, ম্যাচটা জিততে চেয়েছিলেন হাভিয়ের কাবরেরা। বাংলাদেশ কোচের সেই চাওয়াটাই পূরণ হয়েছে। কাজী তারিক রায়হানের একমাত্র গোলে সিশেলসকে হারিয়েছে বাংলাদেশ জাতীয় ফুটবল দল। 

২০১১ সাল থেকে বাংলাদেশের ঘরোয়া ফুটবলে খেলা কিংসলে ২০১২ সালে বিয়ে করেন বাংলাদেশের মেয়ে লিজা জাফরকে। ২০১৪ সালে বাংলাদেশি পাসপোর্টের জন্য আবেদন করেন এই নাইজেরিয়ান ফরোয়ার্ড। সেটা পেয়েও যান ২০২১ সালে। এত দিন ফিফা ও এএফসির সম্মতি পাওয়া সংক্রান্ত নানা জটিলায় বাংলাদেশের হয়ে খেলা হচ্ছিল না তাঁর। অবশেষে কিংসলের অভিষেকটা হয়ে আজ গেল। 

দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতে সজীবের বদলি নামেন কিংসলে। সৌদি আরবে ট্রেনিং ক্যাম্পের সময় মালাবির বিপক্ষে ম্যাচে লাল-সবুজের জার্সি পরে খেলেছিলেন নাইজেরিয়ান থেকে বাংলাদেশি হয়ে যাওয়া এই ফরোয়ার্ড। কিন্তু মালাবির বিপক্ষের ওই প্রস্তুতি ম্যাচটি ছিল ‘আন অফিশিয়াল।’ সিশেলসের বিপক্ষে বাংলাদেশের জার্সিতে তাই আনুষ্ঠানিক অভিষেক হলো ৩৩ বছর বয়সী এই ফরোয়ার্ডের। বাংলাদেশের হয়ে খেলতে পেরে নিজের স্বপ্ন পূরণ হয়েছে বলে জানিয়েছেন এলিটা। এলিটা তার ফেসবুক পেজে লিখেছেন, ‘জাতীয় দলের এই মর্যাদাপূর্ণ জার্সি পড়তে পারার জন্য আমি কৃতজ্ঞ। তাতে আমার স্বপ্ন পূরণ হয়েছে।’ ম্যাচে আজ একটা গোলের সুযোগ পেয়েছিলেন, কিন্তু সেটা কাজে লাগাতে পারেননি। চিপ করতে গিয়ে মিস করেছেন। লাল-সবুজ জার্সিতে প্রথম ম্যাচটা সেভাবে রাঙাতে না পারলেও ধারাবাহিক খেলতে পারলে ভবিষ্যতে হয়তো তাঁর পায়ের জাদু দেখা যেতেও পারে। 

সিলেটে ফাঁকা গ্যালারি: 
সিলেট স্টেডিয়ামে খেলা হলে সাধারণত দর্শকের ঢল দেখা যায়। কিন্তু এদিন একেবারে ভিন্ন দৃশ্যের অবতারণা হয়। গ্যালারিতে ছিল না ভক্ত-সমর্থকদের সরব উপস্থিতি। অধিকাংশ আসন ফাঁকা থাকার জন্য কেউ কেউ রমজান মাসকে কারণ হিসেবে উল্লেখ করেন, আবার কেউ কেউ দায়ী করেন প্রচার-প্রচারণার যথেষ্ট অভাবকে। বিষয়টি মানতে নারাজ সিলেট জেলা ক্রীড়া সংস্থার সাধারণ সম্পাদক মাহি উদ্দিন সেলিম। প্রেসবক্সে এসে তিনি বললেন, ‘রমজান মাস চলছে। ম্যাচ শেষ হওয়ার পর ইফতারের জন্য মাত্র মিনিট বিশেক বাকি থাকার কারণে দর্শক মাঠমুখী হয়নি। সময়টা আরও ঘণ্টাখানেক এগিয়ে নিলে আরেকটু সুবিধা হতো দর্শকদের।’

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

সম্পর্কিত