নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
মুখে হাসিটা লেগেই আছে সাদিয়া আক্তার উর্মির। আব্দুল কাদের স্বরনের চোখেও আনন্দ ঝিলিক দিয়ে গেল। জাতীয় ক্রীড়া পুরস্কার পাওয়া ব্যক্তিরা যখন একে একে বলছেন-শোনাচ্ছেন তাঁদের আনন্দের কথা। উর্মি-স্বরনকে তখন সাহায্য নিতে হলো নিজেদের পিতা কিংবা শিক্ষকের। তাঁদের এই অনুভূতি প্রকাশের ভাষাটাই সবার থেকে আলাদা করেছে বিশেষভাবে সক্ষম বা বুদ্ধিপ্রতিবন্ধী দুই ক্রীড়াবিদকে।
২০১৯ সাল থেকে জাতীয় ক্রীড়া পুরস্কারে বিশেষভাবে সক্ষম ক্রীড়াবিদেরাও পাচ্ছেন তাঁদের সাফল্যের স্বীকৃতি। সেই বছরই টেবিল টেনিস ক্যাটাগরিতে মনোনয়ন পান স্পেশাল অলিম্পিকে তিন সোনাজয়ী টেবিল টেনিস খেলোয়াড় সাদিয়া আক্তার উর্মি। পরের বছর অর্থাৎ ২০২০ সালের জন্য মনোনয়ন পেয়েছেন স্পেশাল অলিম্পিকে ছয় সোনাজয়ী ব্যাডমিন্টন খেলোয়াড় আব্দুল কাদের স্বরন। সাধারণ সুস্থ খেলোয়াড়দের চেয়ে বেশি সাফল্য এনে দেওয়া এই খেলোয়াড়দের হাতে জাতীয় ক্রীড়া পুরস্কার তুলে দেওয়ার প্রশংসনীয় উদ্যোগ নিয়েছে যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়। আজ ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে নিজেদের সাফল্যের স্বীকৃতি ঘরে তুলেছেন উর্মি ও স্বরন।
কেমন লাগছে পুরস্কার পেয়ে, এই প্রতিবেদকের প্রশ্নটা শুনতে না পেলেও ঠিকই অনুমান করে নিলেন উর্মি। ভাঙা গলায় শুধু বলতে পারলেন ‘ভালো’। ছাত্রীকে সাহায্য করতে এগিয়ে এলেন শিক্ষক ও কোচ আব্দুস সেলিম। পাশে দাঁড়িয়ে উর্মির বাবা বাবুল আক্তার। ছাত্রীর সংগ্রামের গল্পটা শোনালেন বাংলাদেশ সেনাবাহিনী পরিচালিত বিশেষায়িত স্কুলের শিক্ষক আব্দুস সেলিম, ‘অজপাড়াগাঁ থেকে উঠে আসার পর উর্মির অনেক শারীরিক ও মানসিক সমস্যা ছিল। টানা প্রশিক্ষণের পর তার ধীরে ধীরে উন্নতি হয়েছে। আন্তর্জাতিক টুর্নামেন্টে সোনাসহ একাধিক পদক জিতেছে।’
মেয়ের সাফল্যে সব কষ্ট যেন আজ দূর হয়ে গেছে উর্মির বাবা বাবুল আক্তারের, ‘কষ্টটা অনেক কঠিন ছিল, কিন্তু আজ সব দূর হয়ে গেছে। মেয়েকে নিয়ে আজ গর্ব হচ্ছে, আনন্দ হচ্ছে। মেয়ের সাফল্য শুধু আমার না, পুরো দেশের।’
উর্মির মতো স্বরনের গল্পটাও প্রায় একই। শ্রবণ অক্ষমতা নিয়ে জন্মানো ছেলেকে নিয়ে দুশ্চিন্তায় ডুবে ছিলেন বাবা সুলাইমান হোসেন। সমাজকল্যাণের এক কর্মকর্তার পরামর্শে ২০১৪ সালে ছেলেকে ভর্তি করিয়ে দেন বিশেষায়িত প্রতিষ্ঠান সুইড বাংলাদেশ স্কুলে। কানে শুনতে না পারা সেই স্বরন আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতায় জিতেছেন ৭ সোনা। ২০১৫ সালে প্রধানমন্ত্রীর হাত থেকে নিয়েছেন পুরস্কার। আজ বাবাকে নিয়ে এসেছেন জাতীয় ক্রীড়া পুরস্কারের মঞ্চে। ছেলের এমন সাফল্যে কথা বলার ভাষাই হারিয়ে ফেলেছেন বাবা সুলাইমান হোসেন। বললেন, ‘সৃষ্টিকর্তা স্বরনকে শোনার ক্ষমতা দেননি। ওকে কীভাবে প্রতিষ্ঠিত করব তা নিয়ে খুব কষ্টে ছিলাম। আজ ছেলে জাতীয় পুরস্কার পেয়েছে। আমরা চেষ্টা করব ওকে সর্বোচ্চ সমর্থন দেওয়ার। আমাদের জীবনে এ অনেক পাওয়া।’
মুখে হাসিটা লেগেই আছে সাদিয়া আক্তার উর্মির। আব্দুল কাদের স্বরনের চোখেও আনন্দ ঝিলিক দিয়ে গেল। জাতীয় ক্রীড়া পুরস্কার পাওয়া ব্যক্তিরা যখন একে একে বলছেন-শোনাচ্ছেন তাঁদের আনন্দের কথা। উর্মি-স্বরনকে তখন সাহায্য নিতে হলো নিজেদের পিতা কিংবা শিক্ষকের। তাঁদের এই অনুভূতি প্রকাশের ভাষাটাই সবার থেকে আলাদা করেছে বিশেষভাবে সক্ষম বা বুদ্ধিপ্রতিবন্ধী দুই ক্রীড়াবিদকে।
২০১৯ সাল থেকে জাতীয় ক্রীড়া পুরস্কারে বিশেষভাবে সক্ষম ক্রীড়াবিদেরাও পাচ্ছেন তাঁদের সাফল্যের স্বীকৃতি। সেই বছরই টেবিল টেনিস ক্যাটাগরিতে মনোনয়ন পান স্পেশাল অলিম্পিকে তিন সোনাজয়ী টেবিল টেনিস খেলোয়াড় সাদিয়া আক্তার উর্মি। পরের বছর অর্থাৎ ২০২০ সালের জন্য মনোনয়ন পেয়েছেন স্পেশাল অলিম্পিকে ছয় সোনাজয়ী ব্যাডমিন্টন খেলোয়াড় আব্দুল কাদের স্বরন। সাধারণ সুস্থ খেলোয়াড়দের চেয়ে বেশি সাফল্য এনে দেওয়া এই খেলোয়াড়দের হাতে জাতীয় ক্রীড়া পুরস্কার তুলে দেওয়ার প্রশংসনীয় উদ্যোগ নিয়েছে যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়। আজ ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে নিজেদের সাফল্যের স্বীকৃতি ঘরে তুলেছেন উর্মি ও স্বরন।
কেমন লাগছে পুরস্কার পেয়ে, এই প্রতিবেদকের প্রশ্নটা শুনতে না পেলেও ঠিকই অনুমান করে নিলেন উর্মি। ভাঙা গলায় শুধু বলতে পারলেন ‘ভালো’। ছাত্রীকে সাহায্য করতে এগিয়ে এলেন শিক্ষক ও কোচ আব্দুস সেলিম। পাশে দাঁড়িয়ে উর্মির বাবা বাবুল আক্তার। ছাত্রীর সংগ্রামের গল্পটা শোনালেন বাংলাদেশ সেনাবাহিনী পরিচালিত বিশেষায়িত স্কুলের শিক্ষক আব্দুস সেলিম, ‘অজপাড়াগাঁ থেকে উঠে আসার পর উর্মির অনেক শারীরিক ও মানসিক সমস্যা ছিল। টানা প্রশিক্ষণের পর তার ধীরে ধীরে উন্নতি হয়েছে। আন্তর্জাতিক টুর্নামেন্টে সোনাসহ একাধিক পদক জিতেছে।’
মেয়ের সাফল্যে সব কষ্ট যেন আজ দূর হয়ে গেছে উর্মির বাবা বাবুল আক্তারের, ‘কষ্টটা অনেক কঠিন ছিল, কিন্তু আজ সব দূর হয়ে গেছে। মেয়েকে নিয়ে আজ গর্ব হচ্ছে, আনন্দ হচ্ছে। মেয়ের সাফল্য শুধু আমার না, পুরো দেশের।’
উর্মির মতো স্বরনের গল্পটাও প্রায় একই। শ্রবণ অক্ষমতা নিয়ে জন্মানো ছেলেকে নিয়ে দুশ্চিন্তায় ডুবে ছিলেন বাবা সুলাইমান হোসেন। সমাজকল্যাণের এক কর্মকর্তার পরামর্শে ২০১৪ সালে ছেলেকে ভর্তি করিয়ে দেন বিশেষায়িত প্রতিষ্ঠান সুইড বাংলাদেশ স্কুলে। কানে শুনতে না পারা সেই স্বরন আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতায় জিতেছেন ৭ সোনা। ২০১৫ সালে প্রধানমন্ত্রীর হাত থেকে নিয়েছেন পুরস্কার। আজ বাবাকে নিয়ে এসেছেন জাতীয় ক্রীড়া পুরস্কারের মঞ্চে। ছেলের এমন সাফল্যে কথা বলার ভাষাই হারিয়ে ফেলেছেন বাবা সুলাইমান হোসেন। বললেন, ‘সৃষ্টিকর্তা স্বরনকে শোনার ক্ষমতা দেননি। ওকে কীভাবে প্রতিষ্ঠিত করব তা নিয়ে খুব কষ্টে ছিলাম। আজ ছেলে জাতীয় পুরস্কার পেয়েছে। আমরা চেষ্টা করব ওকে সর্বোচ্চ সমর্থন দেওয়ার। আমাদের জীবনে এ অনেক পাওয়া।’
বুলাওয়েতে পাকিস্তান ২১ ওভার ব্যাটিং করলেই শুরু হয় বৃষ্টি। তারপর আর ব্যাটিংয়ের সুযোগ পায়নি তারা। ফলে শুরুতেই ব্যাটিং বিপর্যয়ে পড়া পাকিস্তান শেষ লড়াইয়ের সুযোগ পায়নি। ডাকওয়ার্থ লুইস স্টার্ন (ডিএলএস) পদ্ধতিতে সিরিজের প্রথম ওয়ানডেতে ৮০ রানে জিম্বাবুয়ের কাছে হেরেছে তারা। তিন ওয়ানডের সিরিজে ১-০ ব্যবধানে এগ
৮ ঘণ্টা আগেবগুড়ার শহীদ চান্দু স্টেডিয়ামে প্রথম দিন ছিল সুমন খানের তোপ, গতকাল দ্বিতীয় দিন দাগলেন সতীর্থ এনামুল হক। দুই পেসারের দুর্দান্ত বোলিংয়ে দেড় দিনেই ঢাকার কাছে ষষ্ঠ রাউন্ডে ইনিংস ও ১১ রানে হেরেছে রাজশাহী। ইনিংস ব্যবধানে জিতে শিরোপার লড়াই জমিয়ে তুলল ঢাকা। এ ম্যাচে বোনাসসহ ৯ পয়েন্ট অর্জন করেছে তারা। ছয় ম্যা
৮ ঘণ্টা আগেজেদ্দায় চলছে আইপিএলের নিলাম। সেখানে চমকে দিয়েছেন ভেঙ্কাটেশ আইয়ার, তাঁর দাম উঠেছে ২৩ কোটি ৭৫ লাখ রূপিতে। তাঁর ভিত্তি মূল্য ছিল ২ কোটি রুপি। নিলামের টেবিলে ২৯ বছর বয়সী অলরাউন্ডারকে পেতে বেঙ্গালুরু ও কলকাতার মধ্যে বেশ লড়াই হয়েছে। শেষ পর্যন্ত তাঁর পুরোনো দল কলকাতাই দলে নিয়েছে বড় অঙ্কে। ভেঙ্কাটেশকে দিয়ে
৯ ঘণ্টা আগেবাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগ (বিপিএল) ফুটবলের ১৭ তম আসর শুরু ২৯ নভেম্বর থেকে। প্রথম দিনেই মাঠে নামছে গত আসরের চ্যাম্পিয়ন বসুন্ধরা কিংস ও রানারআপ মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাব।
১০ ঘণ্টা আগে