ইউটিউব শর্টসে অফিশিয়াল মিউজিক ভিডিও যুক্ত করা যাবে

অনলাইন ডেস্ক
Thumbnail image

ইউটিউব শর্টসে অফিশিয়াল মিউজিক ভিডিও ক্লিপ যুক্ত করার ফিচার এসেছে। এর মাধ্যমে জনপ্রিয় শিল্পীদের মিউজিক ভিডিও ক্লিপ বা ‘রিমিক্স’ যুক্ত করা যাবে। ফলে কপিরাইটের ঝামেলা ছাড়াই ব্যবহারকারীরা ইউটিউবের মিউজিক ভিডিওর বিশাল ভান্ডার শর্টসে ব্যবহার করতে পারবেন। 

ইউটিউব শর্টস ইউটিউবের একটি ফিচার। এতে ৬০ সেকেন্ডের স্বল্পদৈর্ঘ্যের ভিডিও আপলোড করা যায়। টিকটকের সঙ্গে প্রতিযোগিতায় নামতে এ ফিচার আনে ইউটিউব। সম্প্রতি ইউনিভার্সাল মিউজিক গ্রুপ টিকটিক থেকে তাদের মিউজিকগুলো তুলে নেয়। এই কোম্পানির আওতায় টেইলর সুইফট, বিলি আইলিশ ও আরিয়ানা গ্রান্ডের মতো জনপ্রিয় শিল্পীদের মিউজিক ভিডিও রয়েছে। আর টিকটকের এই খারাপ সময়ে ইউটিউব মিউজিক ভিডিও যুক্ত করার ফিচার আনার ঘোষণা দিল। তাই টিকটিকের চেয়ে ইউটিউবে স্বল্পদৈর্ঘ্যের ভিডিও বানাতে ক্রিয়েটররা বেশি আগ্রহী হবে বলে ধারণা করা যাচ্ছে।     

ভিডিও রিমিক্সের জন্য শর্টসের ক্রিয়েটররা ইউটিউবের চারটি টুল ব্যবহার করতে পারেন—

কোলাব টুল 
‘কোলাব’ টুলের মাধ্যমে নিজের ভিডিওর পাশাপাশি মিউজিক ভিডিও চলতে থাকবে। যেমন: এমন শর্টস তৈরি করা যাবে, যেখানে মিউজিক ভিডিওর কোরিওগ্রাফির পাশাপাশি ক্রিয়েটররাও নাচতে পারবেন। 

গ্রিন স্ক্রিন টুল
গ্রিন স্ক্রিনের মাধ্যমে মিউজিক ভিডিওকে নিজের শর্টসের ব্যাকগ্রাউন্ড হিসেবে ব্যবহার করা যাবে। এই পদ্ধতি রিঅ্যাকশন ভিডিওতে ব্যবহারের জন্য উপযোগী। অনেকেই বিভিন্ন মিউজিক ভিডিও দেখে নিজের প্রথম প্রতিক্রিয়া দেখানোর ভিডিও তৈরি করে। এসব ক্ষেত্রে ভিডিও বানানো প্রক্রিয়া সহজ হয়ে যায়। 

কাট টুল 
কাট টুলের মাধ্যমে মিউজিক ভিডিওয়ের ৫ সেকেন্ড ভিডিও নিজের ভিডিওতে যুক্ত করা যায়। 

সাউন্ড টুল 
সাউন্ড টুলের মাধ্যমে শর্টসের ক্রিয়েটরদের মিউজিক ভিডিওয়ের মিউজিক ব্যবহারের সুবিধা দেয়। নিজের ভিডিওয়ের সঙ্গে এসব মিউজিক জুড়ে দেওয়া যায়। 

রিমিক্স করার ফিচারটি ব্যবহারের জন্য পছন্দের মিউজিক ভিডিওটি চালু করে রিমিক্স বাটন নির্বাচন করুন। এরপর চারটি টুলের যেকোনো একটি ব্যবহার করুন। তবে সব মিউজিক ভিডিও শর্টসে ব্যবহার করা যাবে না। যেসব শিল্পী বা মিউজিক কোম্পানি অনুমতি দেয় না, তাদের ভিডিও ব্যবহার করা যাবে না। 

ইউটিউবের প্রোডাক্ট ম্যানেজমেন্টের সিনিয়র ডিরেক্টর সারাহ আলি বলেন, ‘ইউটিউবে মিউজিক ভিডিও বারবার দেখা যায়, একই গান থেকে তৈরি করা অন্যান্য শর্টসগুলোও দেখতে পারেন ও আপনার প্রিয় শিল্পীদের বিভিন্ন মিউজিক দেখতে ও শুনতে পারবেন এবং সেই ভিডিওগুলো নিজের মতো করে রিমিক্স করে আবার নতুন করে দেখতে পারবেন।’

আলি আরও বলেন, এই সুবিধাগুলো মেটার রিলস ও টিকটকে মতো প্রতিদ্বন্দ্বী প্ল্যাটফর্মগুলোতে নেই। তাই প্ল্যাটফর্মগুলোর সঙ্গে প্রতিযোগিতায় ইউটিউব এগিয়ে থাকবে। 

কিছুদিন আগে গুগল জানায়, ইউটিউব শর্টসে প্রতিদিনের ভিউ ৭ হাজার কোটি ছাড়িয়েছে। ২০২৩ সালের ফেব্রুয়ারিতে এই সংখ্যা ছিল ৫ হাজার কোটি। এই সংখ্যা দিয়ে ইউটিউব শর্টসের ভিউয়ার বাড়ছে বলে বোঝা গেলেও, এটি ফেসবুক ও ইনস্টাগ্রামের রিলস থেকে এখনো পিছিয়ে রয়েছে। মেটা বলছে, গত বছরের অক্টোবরে এই দুই প্ল্যাটফর্ম মিলিয়ে ১৪ হাজার কোটি ভিউ হয়। 

তথ্যসূত্র: টেকক্রাঞ্চ

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত