ডয়চে ভেলে
বিশ্বের অনেক দেশেই বয়স্ক মানুষ বেড়ে চলায় তাঁদের পরিচর্যা বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে উঠছে। রোবট এখনো পুরোপুরি নার্সিং কর্মীদের জায়গা নিতে না পারলেও তাঁদের কাজের বোঝা ধীরে ধীরে কমিয়ে আনছে।
পেপার, জেমি ও ইয়ানি নামের রোবট বেশ ব্যস্ত। জার্মানির এরলেনবাখ শহরে কারিটাসের সেন্ট জন্স বৃদ্ধাশ্রমে মানুষের মতো দেখতে এই হিউম্যানয়েড রোবটগুলো কাজ করে। সুসানে ক্যোনিশের মতে এটা বড় একটা সুবিধা। কারণ, এভাবে তারা বৃদ্ধ-বৃদ্ধাদের হৃদয় জয় করতে পারে। তাঁর মতে, ‘শারীরিক গঠনের সুবিধাও রয়েছে। কিছুটা শিশুর মতো। আমাদের বয়স্ক মানুষগুলো সব সময়ে বসে থাকেন। উচ্চতার দৌলতে রোবটগুলো তাদের চোখে চোখ রেখে কথা বলতে পারে।'
প্রায় চার বছর ধরে পেপারকে সেখানে কাজে লাগানো হচ্ছে। সে সময়ে এই রোবটের দাম পড়েছিল প্রায় ৪০ হাজার ইউরো। সকালে ব্যায়ামের সময়েও সেই অর্থ উসুল হয়ে যায়। পেপার তার নির্দেশ দেওয়ার সময়ে নার্সিং কর্মীরা বয়স্ক মানুষকে ব্যায়াম করতে সাহায্য করে। পেপার না থাকলে সেটা সম্ভব হতো না।
পেপার ও অন্য রোবটগুলো বৃদ্ধাশ্রমের বাসিন্দাদের ব্যস্ত রাখে। দুপুরে ঘুমের সময়েও রোবট তাঁদের ওপর নজর রাখে। কেউ ঘুম থেকে উঠে পড়ে গেলে জেমি নার্সিং কর্মীদের সংকেত পাঠায়। ফলে মানুষ কর্মীরা কিছুটা বিশ্রাম পান। সুসানে ক্যোনিশ বলেন, ‘সহকর্মীরাও অবশ্যই বাসিন্দাদের ওপর নজর রাখেন। কিন্তু তারই মাঝে তাঁদের কখনো অন্য কোনো কাজও সারতে হয়।’
ইয়ানি শুধু নাচের মাধ্যমে মনোরঞ্জন করে না, ওষুধ খাওয়ার কথাও মনে করিয়ে দেয়। নার্সিং স্টাফদের সাধারণত সে সময়ে উপস্থিত থাকার কোনো প্রয়োজন হয় না। সুযোগ পেলে ইয়ানি একাই সেই কাজ সামলাতে পারে। সেন্ট জন বৃদ্ধাশ্রমের কর্মী নিকোল স্ট্রেল-আবট বলেন, ‘আমরা এমনটা করি না। কারণ, যন্ত্র মানুষের বিকল্প হোক আমাদের কাছে তা একেবারেই কাম্য নয়। কোনো না কোনো কর্মী সঙ্গেই উপস্থিত থাকেন।'
পেপার, জেমি ও ইয়ানি কাগজে–কলমে নার্সিং রোবট হিসেবে স্বীকৃতি পায়নি। তাদের ক্ষমতা আসলে সীমিত।
ভবিষ্যতে এ ক্ষেত্রে কী সম্ভব হতে পারে, গার্মিশ-পার্টেনকিয়ার্শেন শহরে সে বিষয়ে গবেষণা চলছে। গার্মি নামের রোবট এমন সব মানুষকে দৈনন্দিন কাজে সাহায্য করে, যাঁদের সহায়তার প্রয়োজন রয়েছে। জেরিয়াট্রনিক্স গবেষণাকেন্দ্রের গ্যুন্টার স্টাইনেবাখ বলেন, ‘আমরা সেই লক্ষ্যই পূরণ করতে চাই৷ আমরা রোগীদের এমনভাবে সাহায্য করতে চাই, যাতে তারা যতকাল সম্ভব নিজেদের মর্জিমাফিক বাসায় থাকতে পারেন। সঙ্গে শুধু যান্ত্রিক সাহায্যের ব্যবস্থা থাকবে।'
বাসার কাজে রোবটের পুরোপুরি ব্যবহার সম্ভব করতে আরও অনেক সময় লাগবে। গার্মি এখনো গবেষণার পর্যায়ে রয়েছে। দৈনন্দিন কাজের পাশাপাশি সেই রোবট টেলিমেডিসিনের ক্ষেত্রেও সহায়তা করতে পারবে, এমনটা আশা করা হচ্ছে।
ড. আবদেল জলিল নাসেরি প্রায় চার বছর ধরে নিজের টিমের সঙ্গে এক গবেষণা চালাচ্ছেন। রোবোটিক্স ও এআই কীভাবে স্বাস্থ্য ও পরিচর্যার ক্ষেত্রে সার্থকভাবে কাজে লাগানো যায়, সেটাই তাঁদের গবেষণার বিষয়। ধারাবাহিকভাবে গার্মির উন্নতি ঘটানো হচ্ছে। সেই রোবট এমনকি রোগীর প্রয়োজনও শনাক্ত করতে পারছে।
ড. নাসেরি বলেন, ‘এই রোবট মুখের অভিব্যক্তি চিনতে পারে। আনন্দ, ব্যথা ইত্যাদি টের পায়। রোগী কেমন বোধ করছেন, রোবট তা বুঝতে পারে। সেই অনুযায়ী রোবট পদক্ষেপ নিতে পারে। এ ছাড়া পড়ে যাওয়ার মতো দৃশ্যমান ঘটনাও সে চিনতে পারে। রোবট সরাসরি প্রশ্নও করতে পারে। রোগী যদি বলে তেষ্টা পাচ্ছে, গার্মি তখন প্রশ্ন করে, তুমি কি এক বোতল পানি নাকি গরম চা পান করতে চাও? কেউ যদি বলে ঠান্ডা লাগছে, তখন গার্মি বলে, আমি কি একটা চাদর নাকি জ্যাকেট নিয়ে আসব?'
খুদে সাহায্যকারীরা নার্সিং কর্মীদের কাজের বোঝা কিছুটা কমাচ্ছে এবং অবশ্যই সবার মনে অনেক আনন্দ দিচ্ছে।
বিশ্বের অনেক দেশেই বয়স্ক মানুষ বেড়ে চলায় তাঁদের পরিচর্যা বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে উঠছে। রোবট এখনো পুরোপুরি নার্সিং কর্মীদের জায়গা নিতে না পারলেও তাঁদের কাজের বোঝা ধীরে ধীরে কমিয়ে আনছে।
পেপার, জেমি ও ইয়ানি নামের রোবট বেশ ব্যস্ত। জার্মানির এরলেনবাখ শহরে কারিটাসের সেন্ট জন্স বৃদ্ধাশ্রমে মানুষের মতো দেখতে এই হিউম্যানয়েড রোবটগুলো কাজ করে। সুসানে ক্যোনিশের মতে এটা বড় একটা সুবিধা। কারণ, এভাবে তারা বৃদ্ধ-বৃদ্ধাদের হৃদয় জয় করতে পারে। তাঁর মতে, ‘শারীরিক গঠনের সুবিধাও রয়েছে। কিছুটা শিশুর মতো। আমাদের বয়স্ক মানুষগুলো সব সময়ে বসে থাকেন। উচ্চতার দৌলতে রোবটগুলো তাদের চোখে চোখ রেখে কথা বলতে পারে।'
প্রায় চার বছর ধরে পেপারকে সেখানে কাজে লাগানো হচ্ছে। সে সময়ে এই রোবটের দাম পড়েছিল প্রায় ৪০ হাজার ইউরো। সকালে ব্যায়ামের সময়েও সেই অর্থ উসুল হয়ে যায়। পেপার তার নির্দেশ দেওয়ার সময়ে নার্সিং কর্মীরা বয়স্ক মানুষকে ব্যায়াম করতে সাহায্য করে। পেপার না থাকলে সেটা সম্ভব হতো না।
পেপার ও অন্য রোবটগুলো বৃদ্ধাশ্রমের বাসিন্দাদের ব্যস্ত রাখে। দুপুরে ঘুমের সময়েও রোবট তাঁদের ওপর নজর রাখে। কেউ ঘুম থেকে উঠে পড়ে গেলে জেমি নার্সিং কর্মীদের সংকেত পাঠায়। ফলে মানুষ কর্মীরা কিছুটা বিশ্রাম পান। সুসানে ক্যোনিশ বলেন, ‘সহকর্মীরাও অবশ্যই বাসিন্দাদের ওপর নজর রাখেন। কিন্তু তারই মাঝে তাঁদের কখনো অন্য কোনো কাজও সারতে হয়।’
ইয়ানি শুধু নাচের মাধ্যমে মনোরঞ্জন করে না, ওষুধ খাওয়ার কথাও মনে করিয়ে দেয়। নার্সিং স্টাফদের সাধারণত সে সময়ে উপস্থিত থাকার কোনো প্রয়োজন হয় না। সুযোগ পেলে ইয়ানি একাই সেই কাজ সামলাতে পারে। সেন্ট জন বৃদ্ধাশ্রমের কর্মী নিকোল স্ট্রেল-আবট বলেন, ‘আমরা এমনটা করি না। কারণ, যন্ত্র মানুষের বিকল্প হোক আমাদের কাছে তা একেবারেই কাম্য নয়। কোনো না কোনো কর্মী সঙ্গেই উপস্থিত থাকেন।'
পেপার, জেমি ও ইয়ানি কাগজে–কলমে নার্সিং রোবট হিসেবে স্বীকৃতি পায়নি। তাদের ক্ষমতা আসলে সীমিত।
ভবিষ্যতে এ ক্ষেত্রে কী সম্ভব হতে পারে, গার্মিশ-পার্টেনকিয়ার্শেন শহরে সে বিষয়ে গবেষণা চলছে। গার্মি নামের রোবট এমন সব মানুষকে দৈনন্দিন কাজে সাহায্য করে, যাঁদের সহায়তার প্রয়োজন রয়েছে। জেরিয়াট্রনিক্স গবেষণাকেন্দ্রের গ্যুন্টার স্টাইনেবাখ বলেন, ‘আমরা সেই লক্ষ্যই পূরণ করতে চাই৷ আমরা রোগীদের এমনভাবে সাহায্য করতে চাই, যাতে তারা যতকাল সম্ভব নিজেদের মর্জিমাফিক বাসায় থাকতে পারেন। সঙ্গে শুধু যান্ত্রিক সাহায্যের ব্যবস্থা থাকবে।'
বাসার কাজে রোবটের পুরোপুরি ব্যবহার সম্ভব করতে আরও অনেক সময় লাগবে। গার্মি এখনো গবেষণার পর্যায়ে রয়েছে। দৈনন্দিন কাজের পাশাপাশি সেই রোবট টেলিমেডিসিনের ক্ষেত্রেও সহায়তা করতে পারবে, এমনটা আশা করা হচ্ছে।
ড. আবদেল জলিল নাসেরি প্রায় চার বছর ধরে নিজের টিমের সঙ্গে এক গবেষণা চালাচ্ছেন। রোবোটিক্স ও এআই কীভাবে স্বাস্থ্য ও পরিচর্যার ক্ষেত্রে সার্থকভাবে কাজে লাগানো যায়, সেটাই তাঁদের গবেষণার বিষয়। ধারাবাহিকভাবে গার্মির উন্নতি ঘটানো হচ্ছে। সেই রোবট এমনকি রোগীর প্রয়োজনও শনাক্ত করতে পারছে।
ড. নাসেরি বলেন, ‘এই রোবট মুখের অভিব্যক্তি চিনতে পারে। আনন্দ, ব্যথা ইত্যাদি টের পায়। রোগী কেমন বোধ করছেন, রোবট তা বুঝতে পারে। সেই অনুযায়ী রোবট পদক্ষেপ নিতে পারে। এ ছাড়া পড়ে যাওয়ার মতো দৃশ্যমান ঘটনাও সে চিনতে পারে। রোবট সরাসরি প্রশ্নও করতে পারে। রোগী যদি বলে তেষ্টা পাচ্ছে, গার্মি তখন প্রশ্ন করে, তুমি কি এক বোতল পানি নাকি গরম চা পান করতে চাও? কেউ যদি বলে ঠান্ডা লাগছে, তখন গার্মি বলে, আমি কি একটা চাদর নাকি জ্যাকেট নিয়ে আসব?'
খুদে সাহায্যকারীরা নার্সিং কর্মীদের কাজের বোঝা কিছুটা কমাচ্ছে এবং অবশ্যই সবার মনে অনেক আনন্দ দিচ্ছে।
চলতি বছরের শুরুতে বেশ কিছু আইপ্যাড ও ম্যাকের আপডেট নিয়ে এলেও ২০২৫ সালে আরও কিছু ডিভাইস নিয়ে আসতে পারে অ্যাপল। এর বেশির ভাগই সেপ্টেম্বর বা অক্টোবরে আসার সম্ভাবনা রয়েছে। তবে এর আগেও বেশ কিছু চমক দিতে পারে এই টেক জায়ান্ট।
৯ ঘণ্টা আগেবিশ্বব্যাপী জনপ্রিয় মেসেজিং অ্যাপ হোয়াটসঅ্যাপে যুক্ত হলো একাধিক নতুন ও আকর্ষণীয় ফিচার। সম্প্রতি এক ব্লগ পোস্টে নতুন ফিচারগুলোর বিস্তারিত প্রকাশ করেছে হোয়াটসঅ্যাপ। চ্যাট, কল ও চ্যানেলের জন্য এসব নতুন ফিচার যুক্ত করেছে মেটা।
১০ ঘণ্টা আগেকৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা বা এআই চ্যাটবট চ্যাটজিপিটির সঙ্গে যত কথাই হোক না কেন, তা এখন সব মনে রাখতে পারবে। ওপেনএআই-এর প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা স্যাম অল্টম্যান ঘোষণা দিয়েছেন, চ্যাটজিপিটি এখন থেকে ব্যবহারকারীর সঙ্গে হওয়া প্রতিটি কথোপকথন মনে রাখতে পারবে। এতে করে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা নির্ভর এই সহকারী...
১২ ঘণ্টা আগেবহুল প্রতীক্ষিত ওয়ানইউআই ৭ আপডেট রোলআউট করা শুরু করেছে স্যামসাং। গত ৭ এপ্রিল প্রথমে দক্ষিণ কোরিয়ায় চালু হয়েছিল আপডেটটি এবং এখন এটি ইউরোপ, উত্তর আমেরিকা হয়ে ধীরে ধীরে বাংলাদেশী ব্যবহারকারীদের কাছেও পৌঁছাবে। এআই-ভিত্তিক আধুনিক ফিচার, নতুনভাবে ডিজাইন করা ইন্টারফেস এবং উন্নত প্যারফরমেন্স এই আপডেট...
১৪ ঘণ্টা আগে