অলকানন্দা রায়, ঢাকা
আর কয়েক দিন পর আসতে চলেছে গ্রীষ্ম। জানা যাচ্ছে, এবার গরমের তীব্রতা হবে বেশি। সেটা বোঝা যাচ্ছে এর মধ্যেই। একটু একটু করে গরমের তীব্রতা বাড়ছে প্রতিদিনই। এমন গরম থেকে বাঁচতে এই আধুনিক সময়ে জনপ্রিয় মাধ্যম হলো শীতাতপনিয়ন্ত্রণ। তার জন্য আছে যন্ত্র, যেটাকে আমরা এয়ারকন্ডিশনার বা সংক্ষেপে এসি বলে চিনি।
কিন্তু শুধু এসি কেনার কথা ভাবলেই হবে না। ঠিকঠাক জানা থাকা চাই কোন এসিতে পাওয়া যাবে প্রয়োজনীয় সুবিধা, কোনটার দাম কত ইত্যাদি তথ্য।
এসি কেনার আগে জানুন
ওয়ালটনের রেসিডেনসিয়াল এসির রিসার্চ অ্যান্ড ইনোভেশন (আর অ্যান্ড আই) বিভাগের প্রধান আরিফুল ইসলাম বেশ কিছু বিষয় জানিয়েছেন। তিনি জানান, কেনার আগে জানতে হবে এসির সক্ষমতা। এর ওপর নির্ভর করে ঘরের শীতলতা ও আরাম। ঘরের দৈর্ঘ্য-প্রস্থের ওপর নির্ভর করে এসির সক্ষমতা।
ঘরের আকার অনুসারে এসি
৯০ থেকে ১২০ বর্গ ফুটের ঘরের জন্য প্রয়োজন ১ টন এসি।
১২০ থেকে ১৮০ বর্গ ফুট ঘরের জন্য প্রয়োজন দেড় টন এসি।
১৮০ থেকে ২৪০ বর্গফুটের ঘরের জন্য দরকার হবে ২ টন এসি।
আবার ঘরে বেশি মাত্রায় রোদ প্রবেশ করলে আরও বেশি ক্ষমতার এসির প্রয়োজন হতে পারে। সে জন্য জেনে নিতে হবে এসির বিদ্যুৎসাশ্রয়ী ক্ষমতা সম্পর্কে।
স্টার মার্ক
এনার্জি ইফিসিয়েন্সি মার্ক দেখে এসি কিনতে হবে। এই মার্কিং থেকে জানা যাবে কোন এসির বিদ্যুৎ খরচ কতটা হবে। পণ্যের গায়ে এক থেকে পাঁচটি স্টার মার্ক থাকলে সেই এসির বিদ্যুৎ খরচ হবে কম। মানে যত বেশি স্টার মার্ক, তত বিদ্যুৎ খরচ কম হবে।
কোন এসির কোন কাজ
বাজারে বিভিন্ন ধরনের এসি কিনতে পাওয়া যায়। এগুলোর মধ্যে রয়েছে স্প্লিট টাইপ এসি, উইন্ডো টাইপ এসি, প্যাকেজ টাইপ এসি, সেন্ট্রাল এসি। উইন্ডো ও স্প্লিট টাইপ এসি বাসা কিংবা অফিসের জন্য সুবিধাজনক।
অসুবিধা
উইন্ডো ও স্প্লিট দুই টাইপের এসিতেই কিছু সীমাবদ্ধতা আছে। ক্রেতাদের তা জানা দরকার। উইন্ডো এসির শব্দ ও বিদ্যুৎ খরচ বেশি, শীতল করার ক্ষমতা কম, ঘরজুড়ে বাতাস ছড়ানোয় সীমাবদ্ধতা ও পানি পড়ার সমস্যা আছে। স্প্লিট এসি এখন প্রায় সব বাসাবাড়ি বা অফিসে দেখা যায়। কিন্তু এর ইনডোর ও আউটডোর দুটি ইউনিট থাকায় খুব সহজে এটি বসানো যায় না।
প্যাকেজ টাইপ এসি সাধারণত ৩ টন থেকে ২০ টনের হয়ে থাকে। বাসাবাড়ির জন্য এটি সুবিধার নয়। আর সেন্ট্রাল এসি একটি নির্দিষ্ট জায়গায় স্থাপন করা হয় বলে একসঙ্গে অনেক রুমের তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণ করে। আমাদের বাসাবাড়ির ডিজাইন এই ধরনের এসির জন্য উপযুক্ত নয়।
জায়গা নির্বাচন
স্প্লিট এসির দুটি ইউনিট। থাকায় ঘরে ও বাইরে দুই জায়গায় বসাতে হয় দুটি অংশ। এ জন্য দুই পাশেই যথাযথ জায়গা নির্বাচন করা গুরুত্বপূর্ণ। সঠিক জায়গায় কম্প্রেসর ইউনিট লাগাতে না পারলে এটি ঠিকমতো কাজ করবে না। আবার দেয়ালের বাধা অথবা বেশি রোদ পড়ে এমন জায়গায় কম্প্রেসর ইউনিট লাগালে বাড়তে পারে বিদ্যুৎ খরচ।
এসির যত্নআত্তি
সবকিছুর মতো নিয়মিত যত্ন নিতে হয় এসির। না হলে ঘটতে পারে দুর্ঘটনা। ছয় মাস পরপর বা বছরে একবার দক্ষ কারিগর দিয়ে পরীক্ষা করাতে হয় এটি। এ ছাড়া এসি থেকে শব্দ বা কম্পন টের পেলে এটি বন্ধ রেখে কারিগরকে দেখিয়ে নিতে হবে। তাহলেই এড়ানো যাবে ব্লাস্ট হয়ে আগুন লাগার মতো দুর্ঘটনা। অনেক প্রতিষ্ঠান থেকে পাওয়া যায় এগুলো রোধে বিভিন্ন সার্ভিস।
১৫ দিন অন্তর এসির ফিল্টার নেট পরিষ্কার করতে হবে। বড়জোর মিনিটপাঁচেকের এ কাজ আপনার এসিকে রাখবে নিরাপদ ও কর্মক্ষম। আপনার এলাকায় ধুলা কম হলে এ কাজটা মাসে একবার করলেই চলবে। কীভাবে এ কাজটি করবেন তা বিক্রেতা প্রতিষ্ঠান থেকে শিখে নিতে হবে। এসি চালানো না হলে অবশ্য এর প্রয়োজন নেই। ঘরের ধুলা বা ঝুল পরিষ্কার করার সময় এসি বন্ধ করে কাপড় দিয়ে ঢেকে রাখা উচিত।
এসির ফাংশন ও ফিচার
প্রায় প্রতিটি এয়ার কন্ডিশনারেই বাতাসের আর্দ্রতা বজায় রাখার ফাংশন থাকে। সাধারণত ১৯ থেকে ৬০ ডেসিবেল শব্দ হলে সেটা সহনীয়। কেনার আগে তাই এ বিষয়ে জেনে নিতে হবে। স্লিপ মুড, অটোরিস্টার্ট ফিচারগুলো বেশ কাজের। কেনার আগে এসব নিশ্চিত হয়ে কিনতে হবে। কিছু ভালো ফিল্টারের এসি ধুলাবালু দূর করে থাকে। এমনকি সেগুলো বাতাস শীতল করার ক্ষমতাও বাড়িয়ে থাকে। বাড়িতে ধুলাবালুর পরিমাণ বেশি হলে বুঝেশুনে ভালোমানের ফিল্টারওয়ালা এসি কিনুন।
এসি ব্র্যান্ড
বাজারে অনেক দেশি-বিদেশি ব্র্যান্ডের এসি কিনতে পাওয়া যায়। দেশের জনপ্রিয় ব্র্যান্ডগুলোর মধ্যে রয়েছে স্যামসাং, এলজি, জেনারেল, শিগো, ক্যারিয়ার, শার্প, র্যাংগস, গ্রি, ভিশন, সিঙ্গার, ওয়ালটন, ট্রান্সটেক, ওয়ার্লপুল, প্যানাসনিক, হিটাচি। এগুলো ছাড়া রয়েছে নন-ব্র্যান্ডের অনেক এসি।
আর কয়েক দিন পর আসতে চলেছে গ্রীষ্ম। জানা যাচ্ছে, এবার গরমের তীব্রতা হবে বেশি। সেটা বোঝা যাচ্ছে এর মধ্যেই। একটু একটু করে গরমের তীব্রতা বাড়ছে প্রতিদিনই। এমন গরম থেকে বাঁচতে এই আধুনিক সময়ে জনপ্রিয় মাধ্যম হলো শীতাতপনিয়ন্ত্রণ। তার জন্য আছে যন্ত্র, যেটাকে আমরা এয়ারকন্ডিশনার বা সংক্ষেপে এসি বলে চিনি।
কিন্তু শুধু এসি কেনার কথা ভাবলেই হবে না। ঠিকঠাক জানা থাকা চাই কোন এসিতে পাওয়া যাবে প্রয়োজনীয় সুবিধা, কোনটার দাম কত ইত্যাদি তথ্য।
এসি কেনার আগে জানুন
ওয়ালটনের রেসিডেনসিয়াল এসির রিসার্চ অ্যান্ড ইনোভেশন (আর অ্যান্ড আই) বিভাগের প্রধান আরিফুল ইসলাম বেশ কিছু বিষয় জানিয়েছেন। তিনি জানান, কেনার আগে জানতে হবে এসির সক্ষমতা। এর ওপর নির্ভর করে ঘরের শীতলতা ও আরাম। ঘরের দৈর্ঘ্য-প্রস্থের ওপর নির্ভর করে এসির সক্ষমতা।
ঘরের আকার অনুসারে এসি
৯০ থেকে ১২০ বর্গ ফুটের ঘরের জন্য প্রয়োজন ১ টন এসি।
১২০ থেকে ১৮০ বর্গ ফুট ঘরের জন্য প্রয়োজন দেড় টন এসি।
১৮০ থেকে ২৪০ বর্গফুটের ঘরের জন্য দরকার হবে ২ টন এসি।
আবার ঘরে বেশি মাত্রায় রোদ প্রবেশ করলে আরও বেশি ক্ষমতার এসির প্রয়োজন হতে পারে। সে জন্য জেনে নিতে হবে এসির বিদ্যুৎসাশ্রয়ী ক্ষমতা সম্পর্কে।
স্টার মার্ক
এনার্জি ইফিসিয়েন্সি মার্ক দেখে এসি কিনতে হবে। এই মার্কিং থেকে জানা যাবে কোন এসির বিদ্যুৎ খরচ কতটা হবে। পণ্যের গায়ে এক থেকে পাঁচটি স্টার মার্ক থাকলে সেই এসির বিদ্যুৎ খরচ হবে কম। মানে যত বেশি স্টার মার্ক, তত বিদ্যুৎ খরচ কম হবে।
কোন এসির কোন কাজ
বাজারে বিভিন্ন ধরনের এসি কিনতে পাওয়া যায়। এগুলোর মধ্যে রয়েছে স্প্লিট টাইপ এসি, উইন্ডো টাইপ এসি, প্যাকেজ টাইপ এসি, সেন্ট্রাল এসি। উইন্ডো ও স্প্লিট টাইপ এসি বাসা কিংবা অফিসের জন্য সুবিধাজনক।
অসুবিধা
উইন্ডো ও স্প্লিট দুই টাইপের এসিতেই কিছু সীমাবদ্ধতা আছে। ক্রেতাদের তা জানা দরকার। উইন্ডো এসির শব্দ ও বিদ্যুৎ খরচ বেশি, শীতল করার ক্ষমতা কম, ঘরজুড়ে বাতাস ছড়ানোয় সীমাবদ্ধতা ও পানি পড়ার সমস্যা আছে। স্প্লিট এসি এখন প্রায় সব বাসাবাড়ি বা অফিসে দেখা যায়। কিন্তু এর ইনডোর ও আউটডোর দুটি ইউনিট থাকায় খুব সহজে এটি বসানো যায় না।
প্যাকেজ টাইপ এসি সাধারণত ৩ টন থেকে ২০ টনের হয়ে থাকে। বাসাবাড়ির জন্য এটি সুবিধার নয়। আর সেন্ট্রাল এসি একটি নির্দিষ্ট জায়গায় স্থাপন করা হয় বলে একসঙ্গে অনেক রুমের তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণ করে। আমাদের বাসাবাড়ির ডিজাইন এই ধরনের এসির জন্য উপযুক্ত নয়।
জায়গা নির্বাচন
স্প্লিট এসির দুটি ইউনিট। থাকায় ঘরে ও বাইরে দুই জায়গায় বসাতে হয় দুটি অংশ। এ জন্য দুই পাশেই যথাযথ জায়গা নির্বাচন করা গুরুত্বপূর্ণ। সঠিক জায়গায় কম্প্রেসর ইউনিট লাগাতে না পারলে এটি ঠিকমতো কাজ করবে না। আবার দেয়ালের বাধা অথবা বেশি রোদ পড়ে এমন জায়গায় কম্প্রেসর ইউনিট লাগালে বাড়তে পারে বিদ্যুৎ খরচ।
এসির যত্নআত্তি
সবকিছুর মতো নিয়মিত যত্ন নিতে হয় এসির। না হলে ঘটতে পারে দুর্ঘটনা। ছয় মাস পরপর বা বছরে একবার দক্ষ কারিগর দিয়ে পরীক্ষা করাতে হয় এটি। এ ছাড়া এসি থেকে শব্দ বা কম্পন টের পেলে এটি বন্ধ রেখে কারিগরকে দেখিয়ে নিতে হবে। তাহলেই এড়ানো যাবে ব্লাস্ট হয়ে আগুন লাগার মতো দুর্ঘটনা। অনেক প্রতিষ্ঠান থেকে পাওয়া যায় এগুলো রোধে বিভিন্ন সার্ভিস।
১৫ দিন অন্তর এসির ফিল্টার নেট পরিষ্কার করতে হবে। বড়জোর মিনিটপাঁচেকের এ কাজ আপনার এসিকে রাখবে নিরাপদ ও কর্মক্ষম। আপনার এলাকায় ধুলা কম হলে এ কাজটা মাসে একবার করলেই চলবে। কীভাবে এ কাজটি করবেন তা বিক্রেতা প্রতিষ্ঠান থেকে শিখে নিতে হবে। এসি চালানো না হলে অবশ্য এর প্রয়োজন নেই। ঘরের ধুলা বা ঝুল পরিষ্কার করার সময় এসি বন্ধ করে কাপড় দিয়ে ঢেকে রাখা উচিত।
এসির ফাংশন ও ফিচার
প্রায় প্রতিটি এয়ার কন্ডিশনারেই বাতাসের আর্দ্রতা বজায় রাখার ফাংশন থাকে। সাধারণত ১৯ থেকে ৬০ ডেসিবেল শব্দ হলে সেটা সহনীয়। কেনার আগে তাই এ বিষয়ে জেনে নিতে হবে। স্লিপ মুড, অটোরিস্টার্ট ফিচারগুলো বেশ কাজের। কেনার আগে এসব নিশ্চিত হয়ে কিনতে হবে। কিছু ভালো ফিল্টারের এসি ধুলাবালু দূর করে থাকে। এমনকি সেগুলো বাতাস শীতল করার ক্ষমতাও বাড়িয়ে থাকে। বাড়িতে ধুলাবালুর পরিমাণ বেশি হলে বুঝেশুনে ভালোমানের ফিল্টারওয়ালা এসি কিনুন।
এসি ব্র্যান্ড
বাজারে অনেক দেশি-বিদেশি ব্র্যান্ডের এসি কিনতে পাওয়া যায়। দেশের জনপ্রিয় ব্র্যান্ডগুলোর মধ্যে রয়েছে স্যামসাং, এলজি, জেনারেল, শিগো, ক্যারিয়ার, শার্প, র্যাংগস, গ্রি, ভিশন, সিঙ্গার, ওয়ালটন, ট্রান্সটেক, ওয়ার্লপুল, প্যানাসনিক, হিটাচি। এগুলো ছাড়া রয়েছে নন-ব্র্যান্ডের অনেক এসি।
চীনের সবচেয়ে ধনী ব্যক্তি এখন টিকটকের মালিক প্রতিষ্ঠান বাইটড্যান্সের সহ-প্রতিষ্ঠাতা ঝ্যাং ইয়িমিং। দেশটির ধনী ব্যক্তিদের একটি তালিকা প্রকাশ করেছে হুরুন রিসার্চ ইনস্টিটিউট। এই তালিকায় ৪৯ দশমিক ৩ বিলিয়ন মার্কিন ডলার বা ৪ হাজার ৯৩০ কোটি ডলার সম্পদ নিয়ে প্রথম স্থান অর্জন করেছেন ঝ্যাং। ২০২৩ সালের তুলনায় তা
১১ ঘণ্টা আগেগুগলের নতুন কোডগুলোর প্রায় এক–চতুর্থাংশের বেশি কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা বা এআই দিয়ে তৈরি। গত মঙ্গলবার কোম্পানিটির ত্রৈমাসিক প্রতিবেদন প্রকাশের সময় এসব তথ্য জানায় সিইও সুন্দর পিচাই।
১৩ ঘণ্টা আগেকৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা বা এআই সিস্টেমগুলোর জন্য ব্রডকম ও টিএসএমসি–এর সহযোগিতায় নিজস্ব চিপ তৈরি করছে ওপেনএআই। এর পাশাপাশি অবকাঠামোগত চাহিদা পূরণের জন্য এনভিডিয়া ও এএমডি–এর চিপগুলোও ব্যবহার করছে কোম্পানিটি। সংবাদ সংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদনে এসব তথ্য জানা যায়।
১৪ ঘণ্টা আগেমেটা, টিকটক ও কোয়াইয় নামের চীনের শর্ট ভিডিও প্ল্যাটফর্মের বিরুদ্ধে দুটি মামলা দায়ের করেছে ব্রাজিলের ভোক্তা অধিকার গ্রুপ কালেকটিভ ডিফেন্স ইনস্টিটিউট। মামলার অভিযোগ বলা হয়, কোম্পানিগুলো অপ্রাপ্তবয়স্কদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণে ব্যর্থ হয়েছে। তাই মামলায় ৩ বিলিয়ন রেইস বা প্রায় ৫২৫ মি
১৬ ঘণ্টা আগে