
বর্তমান সময়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম হিসেবে ফেসবুকের জনপ্রিয়তা সবচেয়ে বেশি। জনপ্রিয়তা পাবেই-বা না কেন? এই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমই যে বর্তমানে আয়ের অন্যতম মাধ্যম হয়ে উঠেছে! ফেসবুকের মাধ্যমে কীভাবে আয় করা যায়, তা নিয়েই আজকের এই লেখা।
যুগের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে আমরা হয়ে উঠছি আধুনিক। বিভিন্ন প্রযুক্তি ব্যবহারে নিজেদের জীবনকে সহজ করে নিয়েছি এবং নিচ্ছি। আর এই প্রযুক্তি ব্যবহারের ফলে ঘরে বসে আয়ের পথ খুঁজে নিচ্ছে মানুষ।
আমাদের দৈনন্দিন জীবনের বেশির ভাগ সময় অতিবাহিত হচ্ছে ফেসবুকে। আপনি চাইলে ফেসবুককে একটি পরিবার হিসেবে ধরে নিলেও ভুল হবে না।
একটি যোগাযোগমাধ্যমে ঘরে বসে বিশ্বের যেকোনো স্থানে, যেকোনো দেশের মানুষের সঙ্গে আমরা যোগাযোগ করছি। এই ফেসবুকের মাধ্যমে অল্প সময়ের মধ্যে বার্তা বিনিময় করা যায়, কল করা যায়, ভিডিও কলের মাধ্যমে একই সঙ্গে কথা বলে তথ্য আদান-প্রদান করা যায়। সম্পূর্ণ হিসাব করলে ফেসবুক সবার চেয়ে এগিয়ে আছে বলতে হবে।
বর্তমানে গুগল অ্যাডসেন্স ও ফেসবুক থেকে আয়ের বিষয়ে আমরা অনেকেই অবগত। এর মধ্যে ফেসবুক এমন জনপ্রিয় একটি জায়গা হয়ে দাঁড়িয়েছে যে, আপনি শুধু কিছু নিয়মকানুন ও গাইডলাইন জানলে খুব সহজেই টাকা আয় করতে পারেন।
ফেসবুক থেকে আয় (২০২২)
আমরা অনেকেই এমন অনেক বিজ্ঞাপন দেখেছি যে, কীভাবে ঘরে বসে ফেসবুক থেকে টাকা উপার্জন করা যায়, তাই না? কিন্তু দুঃখজনক হলেও সত্যি যে, এই বিজ্ঞাপন সব সময় আমাদের উপকারে আসে না। কারণ, তারা শেখানোর চেয়ে নিজেদের উপার্জনের উদ্দেশ্যেই হয়তো এমন বিজ্ঞাপন দিয়ে থাকে।
বর্তমান করোনা পরিস্থিতিতে লকডাউনের কারণে গৃহবন্দী সময়কে কাজে লাগিয়ে সহজেই আপনিও পারেন ফেসবুকের মাধ্যমে আয় করতে। তবে তার জন্য আপনাকে সঠিক গাইডলাইন অনুসরণ করতে হবে।
গোটা বিশ্বের সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলতে গিয়ে আমরাও এখন ডিজিটাল আইডিয়া কার্যকর করতে বেশি আগ্রহী হচ্ছি। ফেসবুককে আমরা সবচেয়ে সহজ প্ল্যাটফর্ম হিসেবে দেখে আসছি, যা থেকে খুব সহজেই ইনকাম করতে পারবেন। দিনের পর দিন আমরা টাকা আয়ের জন্য এই প্ল্যাটফর্মটাই বেছে নিচ্ছি, যেটা ঘরে বসে কাজ করতে আমাদের উদ্দীপনা দিচ্ছে।
ফেসবুকে আয় করার পদ্ধতি
জেনে খুশি হবেন যে, ফেসবুকে শুধু এক-দুটি মাধ্যমেই টাকা উপার্জন করা যায় না। ফেসবুকে আপনি বিভিন্ন উপায়ে টাকা উপার্জন করতে পারবেন, আর সেটা খুবই সহজ। চলুন তবে আজ দেখে নিই আপনি কী কী উপায়ে সামাজিক যোগাযোগ ফেসবুকের মাধ্যমে ইনকাম করতে পারবেন।
ফেসবুকে কনটেন্ট ক্রিয়েশন করে আয়
এখনকার সময়ে খুব বেশি জনপ্রিয়তা পাওয়া একটি পেশা হচ্ছে কনটেন্ট ক্রিয়েশন। আগে শুধু ভিডিও আপলোডের জন্য ইউটিউবকে গুরুত্ব দেওয়া হতো। কিন্তু বর্তমানে আমরা এখন ভিডিও আপলোডের ক্ষেত্রে, নিজেকে একজন কনটেন্ট ক্রিয়েটর হিসেবে প্রতিষ্ঠার ক্ষেত্রে বেছে নিচ্ছে ফেসবুককে। আমরা দেখছি, দিনের পর দিন কনটেন্ট ক্রিয়েটররা ফেসবুককে ভিডিও আপলোড ও কনটেন্ট শেয়ারিংয়ের অন্যতম সেরা প্ল্যাটফর্ম হিসেবে ব্যবহার করতে শুরু করেছে।
কনটেন্ট ক্রিয়েটররা সাধারণত কী করেন? তাঁরা নিজের সৃজনশীলতা, মেধা ও বুদ্ধিমত্তা কাজে লাগিয়ে শিক্ষা, সংস্কৃতি, ইতিহাস, ঐতিহ্য কিংবা অন্য যেকোনো বিষয়ের ওপর কনটেন্ট তৈরি করেন।
একজন কনটেন্ট ক্রিয়েটর তাঁর কনটেন্টগুলো নিজেদের ফেসবুক অ্যাকাউন্, কিংবা নিজস্ব পেজ অ্যাকাউন্টে পাবলিশ করেন। এর মাধ্যমে তাঁদের সেই কনটেন্ট বিশ্ব দেখতে পারে এবং ভিউ বাড়ে। সেই ভিডিও সবাই উপভোগ করে, আবার নিজের ফ্রেন্ড সার্কেলে সেই ভিডিও শেয়ারও করে অনেকে।
এভাবে ভিডিওগুলো ছড়িয়ে পড়ে সারা সোশ্যাল মিডিয়ায় এবং এর ভিউ বাড়তে থাকে। আপনি একজন কনটেন্ট ক্রিয়েটর হিসেবে ফেসবুককে বেছে নিয়ে থাকলে আপনার জন্য টাকা ইনকাম করার বিভিন্ন সুযোগ রয়েছে। যেমন—
১। ফেসবুক অ্যাড থেকে
২। গুগল অ্যাডসেন্স থেকে
৩। বিভিন্ন স্পনসরশিপ থেকে
কনটেন্ট ক্রিয়েটর ক্যারিয়ারে আপনি সাফল্য পেতে পারেন এভাবেই। সঠিকভাবে কনটেন্ট ক্রিয়েট করে সোশ্যাল মিডিয়াতে ছড়িয়ে দিতে পারলে আপনি নিজেকে একটি ভালো উচ্চতায় অধিষ্ঠিত করতে পারবেন। একজন ভালো কনটেন্ট ক্রিয়েটর হয়ে উঠতে পারলে ফেসবুক থেকে আয় করতে পারবেন খুব সহজে।
ফেসবুক পেজের মাধ্যমে টাকা আয়
আমরা সবাই ই-কমার্স প্ল্যাটফর্ম সম্পর্কে জানি, যা বর্তমানে বহুল আলোচিত একটি ব্যবসার পথ। অল্প সময়ে আয় বৃদ্ধির লক্ষ্যে এই পেশায় আগ্রহী হচ্ছে অনেকেই। আমরা সব সময় চাই নিজের একটি পরিচয় তৈরি করতে। আমরা চাই একটি স্বাধীন ব্যবসা করতে। এ ক্ষেত্রে ই-কমার্স হচ্ছে জনপ্রিয় একটি প্ল্যাটফর্ম। এ ক্ষেত্রে ফেসবুকের জনপ্রিয়তা এতটাই বেড়েছে যে, নতুন টার্ম হিসেবে সামনে এসেছে এফ-কমার্স। এফ-কমার্স হলো ফেসবুক পেজ বা আইডির মাধ্যমে নিজের ব্যবসা উদ্যোগকে এগিয়ে নেওয়া। বর্তমানে বহু ব্যবসা গড়ে উঠছে শুধু ফেসবুককে কেন্দ্র করেই।
ফেসবুকে আমরা বিভিন্ন বয়সের মানুষ রয়েছি। এ ক্ষেত্রে ই-কমার্স ব্যবসা আমাদের সাফল্য এনে দিতে অনেক সহায়তা করতে পারে। এখনকার সময়ে যারা ব্যবসা করার চিন্তাধারা নিয়ে এগিয়ে আসে, তারা ফেসবুকে নিজের একটি পেজ খোলে। সময়ের সঙ্গে তাদের সেই পেজে মানুষের উপস্থিতি বাড়ে। দিনের পর দিন বাড়তে থাকে তাদের পেজের ফলোয়ার। ব্যবসার উদ্দেশ্যে খোলা পেজটি আস্তে আস্তে জনপ্রিয়তা পেতে থাকে।
অনেকেই আবার তাদের ফেসবুক পেজটিতে ঠিকমতো সময় দিতে পারে না কর্মব্যস্ততার কারণে। সে ক্ষেত্রে অনেকেই তাদের পেজটি বিক্রি করেও টাকা আয় করতে পারবেন। এ ক্ষেত্রে লাভ উভয় পক্ষের। প্রথমত, পেজ বিক্রির মাধ্যমে আপনি একটা ভালো টাকা পেতে পারেন, যা আপনাকে লাভবান করবে। পাশাপাশি যিনি পেজ কিনবে, তিনিও লাভবান হবে। কারণ, সেটা জনপ্রিয়তা পাওয়া একটি ফেসবুক পেজ। তাই ফেসবুক থেকে টাকা আয় করতে চাইলে আপনি আপনার পেজটি বিক্রি করে টাকা আয় করতে পারেন।
ফেসবুকে ফ্যান পেজ তৈরি করে আয়
টাকা উপার্জনের ক্ষেত্রে ফেসবুক সত্যিই অসাধারণ একটি প্ল্যাটফর্ম। আপনি নিজের পরিচিতি বৃদ্ধির ক্ষেত্রে ফেসবুকে পেজ খুলতে পারেন।
সে ক্ষেত্রে অনেকেই আছেন, যারা জানেন না কীভাবে একটি ফেসবুক পেজ তৈরি করতে হয়। ধরুন, আপনার একটি ফেসবুক আইডি আছে এবং সেই ফেসবুক আইডিতে ৫০০-এর অধিক ফ্রেন্ড আছে; তাহলে দেরি না করে আপনিও তৈরি করতে পারেন একটি ফ্যানপেজ। এই ফ্যানপেজে আপনি চাইলে আপনার ব্যবসার প্রচার, বিভিন্ন পণ্য বিক্রি ইত্যাদির মাধ্যমে টাকা উপার্জন করতে পারেন।
ফেসবুকে ভিডিও আপলোড করে টাকা উপার্জন
আপনি চাইলে ইউটিউবের মতো ফেসবুকেও এখন ভিডিও আপলোড করে টাকা আয় করতে পারেন। ঠিক একইভাবে আপনি ইউটিউবের মতো আপনার ফেসবুক ভিডিওগুলোতে মনিটাইজ করে ইনকাম করতে পারবেন। এ ক্ষেত্রে একটু পার্থক্য হচ্ছে—ইউটিউবে গুগল অ্যাডসেন্স ব্যবহার করে ভিডিও মনিটাইজ করে টাকা উপার্জন করা হয়। আর অনেকটা একইভাবে হলেও ফেসবুকে অ্যাড চয়েসের মাধ্যমে কাজ করে টাকা আয় করা হয়।
Freelancing ও ফেসবুক মার্কেটিং ম্যানেজার হিসেবে টাকা উপার্জন
প্রথমে জানিয়ে নিই ফ্রিল্যান্সিং কী এবং তারপর আমরা জানাব কীভাবে Freelancing ও ফেসবুক মার্কেটিং ম্যানেজার হিসেবে টাকা উপার্জন করা যায়। ফ্রিল্যান্সিং বলতে মূলত কোনো প্রতিষ্ঠানের অধীনে কাজ না করে নিজের মতো স্বাধীনভাবে কাজ করাকে বোঝায়। সহজ ভাষায় বলতে গেলে, ফ্রিল্যান্সিং হচ্ছে নিজের দক্ষতা, শিক্ষা ও অভিজ্ঞতা কাজে লাগিয়ে একাধিক ক্লায়েন্টের কাজ করা। এ ক্ষেত্রে আপনি কোনো একটি প্রতিষ্ঠানের অধীনে কাজ করতে বাধ্য নন এবং আপনি স্বাধীনভাবে কাজ করতে পারেন।
বিভিন্ন মার্কেটপ্লেস যেমন ফাইভার, আপওয়ার্কসহ অন্যসব জায়গায় গেলে আপনি দেখতে পাবেন, আপনার সামনে ফেসবুক মার্কেটিং ম্যানেজার হিসেবে কাজ করতে প্রচুর জব অফার রয়েছে। তাই আপনি যদি ফেসবুক মার্কেটিং শিখতে পারেন, তাহলে আপনার জন্য ফ্রিল্যান্সিং করে টাকা উপার্জন একটি অসাধারণ পথ।
এই কাজ করার ক্ষেত্রে অবশ্যই আপনাকে জানতে হবে কীভাবে ফেসবুকে অ্যাড রান করতে হয়। আপনাকে তারা ফেসবুক পেজ ম্যানেজ করার জন্য হায়ার করবে। তাই অবশ্যই শিখে নিন, কীভাবে ফেসবুক পেজ চালাতে হয়। আরেকটি খুশির বিষয় হচ্ছে, আপনি চাইলে এই কাজগুলো মোবাইল দিয়েও সম্পন্ন করতে পারবেন। বর্তমানে ছাত্রদের জন্য অনলাইনে ইনকাম এবং মোবাইল দিয়ে টাকা উপার্জনের ক্ষেত্রে ফেসবুক সবচেয়ে বেশি সাহায্য করছে।
ফেসবুক গ্রুপের মাধ্যমে টাকা আয়
আমরা আগেই বলেছি ই-কমার্স হচ্ছে বর্তমান সময়ের সবচেয়ে জনপ্রিয় ব্যবসাক্ষেত্র। আপনি চাইলে এই প্ল্যাটফর্মকে ভাগ্য পরিবর্তনের কেন্দ্রবিন্দুও করতে পারেন। ফেসবুককে কেন্দ্র করে এখন নানা ব্যবসা করা হচ্ছে। আপনার ব্যবসার পণ্যসমূহ ঠিক তখনই মানুষের আকর্ষণ কেড়ে নেবে, যখন সেটা সুন্দরভাবে তুলে ধরতে পারবেন। তাই এ ক্ষেত্রে বিজ্ঞাপন প্রচার হতে পারে সবচেয়ে কার্যকর পদ্ধতি।
আপনার ব্যবসাকে সবার সামনে সুন্দর করে তুলে ধরার ক্ষেত্রে একটা গ্রুপের ভূমিকাও অনেক। কারণ, আপনার ব্যবসার পণ্যগুলো প্রোমোট করে কমিশনভিত্তিক ভালো পরিমাণের টাকা আয় করতে একটি গ্রুপ থাকা জরুরি। তাই গ্রুপ থেকে আপনি টাকা আয় করতে চাইলে গ্রুপের মাধ্যমে অন্যের প্রোডাক্ট প্রোমোট করে ভালো টাকা ইনকাম করতে পারবেন।
অনলাইন মার্কেটিং হচ্ছে এই সময়ের আরেকটি অসাধারণ জায়গা, যার মাধ্যমে আমরা ভালো টাকা উপার্জন করতে পারি। ফেসবুককে কেন্দ্র করে অনেকগুলো মার্কেটপ্লেস আছে। খুঁজলে দেখতে পাবেন ফেসবুকে অনেক রকম অনলাইন শপ রয়েছে।
আমরা বিভিন্ন গ্রুপ বা পেজে পণ্যের ছবি, বিবরণ, সাইজ ও মূল্য লিখে সেই প্রোডাক্টগুলোকে প্রোমোট করি। পণ্য অর্ডার করতে গ্রাহকেরা ইনবক্সে অথবা কমেন্টে আমাদের জানান। আবার কিছু কিছু কোম্পানিতে অর্ডার করার সময় ক্রেডিট কার্ড বা বিকাশের মাধ্যমে মূল্য পরিশোধের সিস্টেম চালু থাকে।
ফেসবুক মার্কেটপ্লেস থেকে টাকা আয়
ফেসবুক মার্কেটপ্লেস থেকে আয় করা যায় সহজেই। এই জায়গায় আপনি নিজের বা অন্য কারও নতুন-পুরোনো পণ্য বিক্রি করে আয় করতে পারবেন। আপনি যদি প্লে স্টোর চেক করেন, তাহলে অনেকগুলো রিসেলিং অ্যাপ পেয়ে যাবেন। যেমন— Glowroad, Shop 101, Messho. আপনার প্রথম কাজ হবে এই অ্যাপগুলো ইনস্টল করা। তারপর রেজিস্ট্রেশন করে ব্যাংক ডিটেইলসহ সাবমিট করুন।
এই অ্যাপগুলোতে আপনি কী পাবেন? এখানে আপনি বিভিন্ন কোম্পানির ভিন্ন ভিন্ন প্রোডাক্ট পাবেন। আপনার কাজ হবে সেই প্রোডাক্টগুলোর ছবি ডাউনলোড করে ফেসবুক মার্কেটপ্লেসে লিস্ট করে এসবের মূল্য দিয়ে দেওয়া।
এই মার্কেটিংয়ের ক্ষেত্রে ধরুন আপনি ওই অ্যাপ থেকে একটি টি-শার্ট কিনলেন ১৫০ টাকা দিয়ে। এবার আপনি সেটা চেঞ্জ করে প্রাইস করলেন ২৫০ টাকা। এ ক্ষেত্রে যখন আপনি আইটেমটি বিক্রি করতে পারবেন, তখন আপনার লাভ হচ্ছে ১০০ টাকা।
আপনি এভাবে চাইলে অনেকগুলো ছবি আপনার নিজের ফেসবুক মার্কেটপ্লেসে লিস্ট করতে পারেন। এবার কেউ আপনাকে ওই পণ্য কেনার জন্য মেসেজ করলে তখন তাঁর অ্যাড্রেসটা সেই অ্যাপসে, আর সেখানে আপনার প্রাইসটি ফিক্সড করে দিন। এ ক্ষেত্রে আপনি যদি ফেসবুক শপ ডিজাইন জেনে থাকেন, তাহলে এটা আপনার জন্য আরও বেশি ভালো হয়।
এরপর কোম্পানি সেই অ্যাড্রেসে প্রোডাক্ট ডেলিভারি করে দেবে আপনার নামে। আর পণ্যটি বিক্রি হওয়ার পর একটা ফিক্সড কমিশন চলে আসবে আপনার ব্যাংক অ্যাকাউন্টে। এভাবেই আপনি ফেসবুক মার্কেটিংয়ের মাধ্যমে টাকা উপার্জন করতে পারেন।
গুগল অ্যাডসেন্স ও টাকা উপার্জন
আমরা সবাই গুগল অ্যাডসেন্স সম্পর্কে খুব একটা পরিচিত নই। এটি হচ্ছে গুগল পরিচালিত একটি ওয়েব অ্যাপ্লিকেশন, যা মূলত একটি লাভ-অংশীদার প্রকল্প নামে পরিচিত। গুগল অ্যাডসেন্সের মাধ্যমে গুগল ও তার ব্যবহারকারীরা তাদের নিজেদের ওয়েবসাইটে বিজ্ঞাপন প্রচার করে অর্থ উপার্জন করে থাকে। এ ক্ষেত্রে একটি ব্লগ বা ওয়েবসাইটের মালিক কিছু নিয়ম অনুসরণ করে তাদের নিজেদের সাইটে গুগল নির্ধারিত বিজ্ঞাপন দেখানোর মাধ্যমে টাকা উপার্জন করতে পারেন।
গুগল অ্যাডসেন্স থেকে ইনকাম করার ক্ষেত্রে আপনাকে প্রথমে গুগল অ্যাডসেন্সের পাবলিশার হতে হবে। এরপর আপনার ব্লগ/ওয়েবসাইট বা ইউটিউব চ্যানেলে অ্যাডসেন্সের বিজ্ঞাপন প্রচার করতে হবে। সেই বিজ্ঞাপন দেখে কেউ যখন ক্লিক করবে, তখন প্রতি ক্লিকের জন্য নির্দিষ্ট পরিমাণ টাকা আপনি পাবেন। এটা ছাড়াও শুধু আপনার ব্লগ/সাইটের বিজ্ঞাপন দেখানোর জন্যও আপনি কিছু ইনকাম করতে পারেন।
তবে হ্যাঁ, গুগল অ্যাডসেন্স বিজ্ঞাপনের কোডগুলো সঠিক জায়গায় বসাতে হবে, যাতে করে ভিজিটররা সহজে বিজ্ঞাপনটি দেখতে পান এবং ক্লিক করেন। জেনে রাখা ভালো, গুগল অ্যাডসেন্স সব সময় কনটেন্ট-বিষয়ক বিজ্ঞাপন প্রদর্শন করে। তাই ভিজিটরের সুবিধার্থে আপনি বিজ্ঞাপনের কোডগুলো বসাবেন। ভিজিটর নিশ্চয়ই তাঁর প্রয়োজনে বিজ্ঞাপনে ক্লিক করবেন। তবে ভুল করেও বেশি বিজ্ঞাপন ব্যবহার না করাই ভালো।
কারণ, গুগল অ্যাডসেন্স তাদের বিজ্ঞাপনের পাশাপাশি অন্য কোনো বিজ্ঞাপন দেখতে পছন্দ করে না। গুগল অ্যাডসেন্সের জন্য আবেদন করার আগে খেয়াল করে দেখুন অন্য বিজ্ঞাপনের বিষয়গুলো। চেষ্টা করুন ভিজিটরের চাহিদামতো অরিজিনাল, সৃজনশীল ও মানসম্পন্ন কনটেন্ট তৈরি করতে। অ্যাডসেন্স থেকে ভালো ইনকাম জেনারেট করতে এটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
ব্লগে সব সময় নতুন নতুন আর্টিকেল পোস্ট করার চেষ্টা করুন, যা ইউনিক ও নতুন ভিজিটর পেতে অবশ্যই আপনাকে সাহায্য করবে। এসইও অনুযায়ী ব্লগে সৃজনশীল কনটেন্ট শেয়ার করলেই ভিজিটর ও আয় দুটিই বাড়তে থাকবে এবং এ বিষয়ে আপনি আশাবাদী থাকতে পারেন।
ফেসবুকে কনটেন্ট রাইটিং গ্রুপ থেকে আয়
বর্তমান সময়ে আয়ের অনেক উৎস বের হচ্ছে। আর ফেসবুক সোশ্যাল মিডিয়া ঘরে বসে সহজে আয় করার নতুন পদ্ধতি তৈরির ক্ষেত্রে অনেক বেশিই প্রভাব ফেলছে। ফেসবুকে আয়ের এতসব প্ল্যাটফর্মের মধ্যে উল্লেখযোগ্য একটি হলো আর্টিকেল রাইটিং কিংবা কনটেন্ট রাইটিং।
এখন ফেসবুকের বিভিন্ন গ্রুপের মাধ্যমে আপনি সহজেই পেতে পারেন আর্টিকেল রাইটিংয়ের কাজ। এই কাজ করে আপনি ভালো টাকা আয় করতে পারবেন। তাই আপনি যদি মনে করেন আর্টিকেল রাইটিং আপনার জন্য সহজ হবে, তাহলে আজই শুরু করতে পারেন আর্টিকেল রাইটিং।
অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং ও ফেসবুকে আয়
আমাদের অনেকের মনেই প্রশ্ন জাগবে যে, অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিংটা আবার কী? তাই প্রথমেই আমরা আপনাকে বলতে চাই যে, অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং হচ্ছে কোনো কোম্পানি বা কোনো প্রতিষ্ঠানের প্রোডাক্ট বিক্রি করে দেওয়া। এটাও খুবই জনপ্রিয় একটি আয়ের পথ।
আপনি চাইলে খুব সহজেই আপনার ফেসবুক পেজ বা গ্রুপে অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করে টাকা আয় করতে পারবেন। এই মাধ্যমে আপনি যাদের প্রোডাক্ট বিক্রি করে দেবেন, তাদের কাছ থেকে কিছু কমিশন পাবেন।
যে মার্কেটপ্লেসে অনেক ওয়েবসাইট রয়েছে, সেখানে আপনি এই ওয়েবসাইটগুলোর অ্যাফিলিয়েট প্রোগ্রামে থাকতে পারেন। বড় বড় ওয়েবসাইট; যেমন—আমাজন, আলিবাবা, ফ্লিপকার্ট ওয়েবসাইটগুলোতে অ্যাফিলিয়েট প্রোগ্রামে যোগদানের মাধ্যমে চাইলে আপনি টাকা উপার্জন করতে পারেন। এ ছাড়া টেক রিলেটেড কনটেন্ট পেজ হলে আপনার জন্য রয়েছে সুবর্ণ সুযোগ। চাইলে আপনার ফেসবুক পেজ থেকে খুবই বড় অঙ্কের টাকা আয় করতে পারবেন।
এসব পথ অনুসরণ করে আপনি খুব সহজেই ফেসবুক থেকে আয় করতে পারবেন। বর্তমান সময়ে ঘরে বসে আয়ের ক্ষেত্রে ফেসবুকের অবদান সত্যিই অপরিসীম। তাই বসে না থেকে আজই শুরু করতে পারেন ফেসবুকে টাকা উপার্জন।
ফেসবুক সম্পর্কিত পড়ুন:

বর্তমান সময়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম হিসেবে ফেসবুকের জনপ্রিয়তা সবচেয়ে বেশি। জনপ্রিয়তা পাবেই-বা না কেন? এই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমই যে বর্তমানে আয়ের অন্যতম মাধ্যম হয়ে উঠেছে! ফেসবুকের মাধ্যমে কীভাবে আয় করা যায়, তা নিয়েই আজকের এই লেখা।
যুগের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে আমরা হয়ে উঠছি আধুনিক। বিভিন্ন প্রযুক্তি ব্যবহারে নিজেদের জীবনকে সহজ করে নিয়েছি এবং নিচ্ছি। আর এই প্রযুক্তি ব্যবহারের ফলে ঘরে বসে আয়ের পথ খুঁজে নিচ্ছে মানুষ।
আমাদের দৈনন্দিন জীবনের বেশির ভাগ সময় অতিবাহিত হচ্ছে ফেসবুকে। আপনি চাইলে ফেসবুককে একটি পরিবার হিসেবে ধরে নিলেও ভুল হবে না।
একটি যোগাযোগমাধ্যমে ঘরে বসে বিশ্বের যেকোনো স্থানে, যেকোনো দেশের মানুষের সঙ্গে আমরা যোগাযোগ করছি। এই ফেসবুকের মাধ্যমে অল্প সময়ের মধ্যে বার্তা বিনিময় করা যায়, কল করা যায়, ভিডিও কলের মাধ্যমে একই সঙ্গে কথা বলে তথ্য আদান-প্রদান করা যায়। সম্পূর্ণ হিসাব করলে ফেসবুক সবার চেয়ে এগিয়ে আছে বলতে হবে।
বর্তমানে গুগল অ্যাডসেন্স ও ফেসবুক থেকে আয়ের বিষয়ে আমরা অনেকেই অবগত। এর মধ্যে ফেসবুক এমন জনপ্রিয় একটি জায়গা হয়ে দাঁড়িয়েছে যে, আপনি শুধু কিছু নিয়মকানুন ও গাইডলাইন জানলে খুব সহজেই টাকা আয় করতে পারেন।
ফেসবুক থেকে আয় (২০২২)
আমরা অনেকেই এমন অনেক বিজ্ঞাপন দেখেছি যে, কীভাবে ঘরে বসে ফেসবুক থেকে টাকা উপার্জন করা যায়, তাই না? কিন্তু দুঃখজনক হলেও সত্যি যে, এই বিজ্ঞাপন সব সময় আমাদের উপকারে আসে না। কারণ, তারা শেখানোর চেয়ে নিজেদের উপার্জনের উদ্দেশ্যেই হয়তো এমন বিজ্ঞাপন দিয়ে থাকে।
বর্তমান করোনা পরিস্থিতিতে লকডাউনের কারণে গৃহবন্দী সময়কে কাজে লাগিয়ে সহজেই আপনিও পারেন ফেসবুকের মাধ্যমে আয় করতে। তবে তার জন্য আপনাকে সঠিক গাইডলাইন অনুসরণ করতে হবে।
গোটা বিশ্বের সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলতে গিয়ে আমরাও এখন ডিজিটাল আইডিয়া কার্যকর করতে বেশি আগ্রহী হচ্ছি। ফেসবুককে আমরা সবচেয়ে সহজ প্ল্যাটফর্ম হিসেবে দেখে আসছি, যা থেকে খুব সহজেই ইনকাম করতে পারবেন। দিনের পর দিন আমরা টাকা আয়ের জন্য এই প্ল্যাটফর্মটাই বেছে নিচ্ছি, যেটা ঘরে বসে কাজ করতে আমাদের উদ্দীপনা দিচ্ছে।
ফেসবুকে আয় করার পদ্ধতি
জেনে খুশি হবেন যে, ফেসবুকে শুধু এক-দুটি মাধ্যমেই টাকা উপার্জন করা যায় না। ফেসবুকে আপনি বিভিন্ন উপায়ে টাকা উপার্জন করতে পারবেন, আর সেটা খুবই সহজ। চলুন তবে আজ দেখে নিই আপনি কী কী উপায়ে সামাজিক যোগাযোগ ফেসবুকের মাধ্যমে ইনকাম করতে পারবেন।
ফেসবুকে কনটেন্ট ক্রিয়েশন করে আয়
এখনকার সময়ে খুব বেশি জনপ্রিয়তা পাওয়া একটি পেশা হচ্ছে কনটেন্ট ক্রিয়েশন। আগে শুধু ভিডিও আপলোডের জন্য ইউটিউবকে গুরুত্ব দেওয়া হতো। কিন্তু বর্তমানে আমরা এখন ভিডিও আপলোডের ক্ষেত্রে, নিজেকে একজন কনটেন্ট ক্রিয়েটর হিসেবে প্রতিষ্ঠার ক্ষেত্রে বেছে নিচ্ছে ফেসবুককে। আমরা দেখছি, দিনের পর দিন কনটেন্ট ক্রিয়েটররা ফেসবুককে ভিডিও আপলোড ও কনটেন্ট শেয়ারিংয়ের অন্যতম সেরা প্ল্যাটফর্ম হিসেবে ব্যবহার করতে শুরু করেছে।
কনটেন্ট ক্রিয়েটররা সাধারণত কী করেন? তাঁরা নিজের সৃজনশীলতা, মেধা ও বুদ্ধিমত্তা কাজে লাগিয়ে শিক্ষা, সংস্কৃতি, ইতিহাস, ঐতিহ্য কিংবা অন্য যেকোনো বিষয়ের ওপর কনটেন্ট তৈরি করেন।
একজন কনটেন্ট ক্রিয়েটর তাঁর কনটেন্টগুলো নিজেদের ফেসবুক অ্যাকাউন্, কিংবা নিজস্ব পেজ অ্যাকাউন্টে পাবলিশ করেন। এর মাধ্যমে তাঁদের সেই কনটেন্ট বিশ্ব দেখতে পারে এবং ভিউ বাড়ে। সেই ভিডিও সবাই উপভোগ করে, আবার নিজের ফ্রেন্ড সার্কেলে সেই ভিডিও শেয়ারও করে অনেকে।
এভাবে ভিডিওগুলো ছড়িয়ে পড়ে সারা সোশ্যাল মিডিয়ায় এবং এর ভিউ বাড়তে থাকে। আপনি একজন কনটেন্ট ক্রিয়েটর হিসেবে ফেসবুককে বেছে নিয়ে থাকলে আপনার জন্য টাকা ইনকাম করার বিভিন্ন সুযোগ রয়েছে। যেমন—
১। ফেসবুক অ্যাড থেকে
২। গুগল অ্যাডসেন্স থেকে
৩। বিভিন্ন স্পনসরশিপ থেকে
কনটেন্ট ক্রিয়েটর ক্যারিয়ারে আপনি সাফল্য পেতে পারেন এভাবেই। সঠিকভাবে কনটেন্ট ক্রিয়েট করে সোশ্যাল মিডিয়াতে ছড়িয়ে দিতে পারলে আপনি নিজেকে একটি ভালো উচ্চতায় অধিষ্ঠিত করতে পারবেন। একজন ভালো কনটেন্ট ক্রিয়েটর হয়ে উঠতে পারলে ফেসবুক থেকে আয় করতে পারবেন খুব সহজে।
ফেসবুক পেজের মাধ্যমে টাকা আয়
আমরা সবাই ই-কমার্স প্ল্যাটফর্ম সম্পর্কে জানি, যা বর্তমানে বহুল আলোচিত একটি ব্যবসার পথ। অল্প সময়ে আয় বৃদ্ধির লক্ষ্যে এই পেশায় আগ্রহী হচ্ছে অনেকেই। আমরা সব সময় চাই নিজের একটি পরিচয় তৈরি করতে। আমরা চাই একটি স্বাধীন ব্যবসা করতে। এ ক্ষেত্রে ই-কমার্স হচ্ছে জনপ্রিয় একটি প্ল্যাটফর্ম। এ ক্ষেত্রে ফেসবুকের জনপ্রিয়তা এতটাই বেড়েছে যে, নতুন টার্ম হিসেবে সামনে এসেছে এফ-কমার্স। এফ-কমার্স হলো ফেসবুক পেজ বা আইডির মাধ্যমে নিজের ব্যবসা উদ্যোগকে এগিয়ে নেওয়া। বর্তমানে বহু ব্যবসা গড়ে উঠছে শুধু ফেসবুককে কেন্দ্র করেই।
ফেসবুকে আমরা বিভিন্ন বয়সের মানুষ রয়েছি। এ ক্ষেত্রে ই-কমার্স ব্যবসা আমাদের সাফল্য এনে দিতে অনেক সহায়তা করতে পারে। এখনকার সময়ে যারা ব্যবসা করার চিন্তাধারা নিয়ে এগিয়ে আসে, তারা ফেসবুকে নিজের একটি পেজ খোলে। সময়ের সঙ্গে তাদের সেই পেজে মানুষের উপস্থিতি বাড়ে। দিনের পর দিন বাড়তে থাকে তাদের পেজের ফলোয়ার। ব্যবসার উদ্দেশ্যে খোলা পেজটি আস্তে আস্তে জনপ্রিয়তা পেতে থাকে।
অনেকেই আবার তাদের ফেসবুক পেজটিতে ঠিকমতো সময় দিতে পারে না কর্মব্যস্ততার কারণে। সে ক্ষেত্রে অনেকেই তাদের পেজটি বিক্রি করেও টাকা আয় করতে পারবেন। এ ক্ষেত্রে লাভ উভয় পক্ষের। প্রথমত, পেজ বিক্রির মাধ্যমে আপনি একটা ভালো টাকা পেতে পারেন, যা আপনাকে লাভবান করবে। পাশাপাশি যিনি পেজ কিনবে, তিনিও লাভবান হবে। কারণ, সেটা জনপ্রিয়তা পাওয়া একটি ফেসবুক পেজ। তাই ফেসবুক থেকে টাকা আয় করতে চাইলে আপনি আপনার পেজটি বিক্রি করে টাকা আয় করতে পারেন।
ফেসবুকে ফ্যান পেজ তৈরি করে আয়
টাকা উপার্জনের ক্ষেত্রে ফেসবুক সত্যিই অসাধারণ একটি প্ল্যাটফর্ম। আপনি নিজের পরিচিতি বৃদ্ধির ক্ষেত্রে ফেসবুকে পেজ খুলতে পারেন।
সে ক্ষেত্রে অনেকেই আছেন, যারা জানেন না কীভাবে একটি ফেসবুক পেজ তৈরি করতে হয়। ধরুন, আপনার একটি ফেসবুক আইডি আছে এবং সেই ফেসবুক আইডিতে ৫০০-এর অধিক ফ্রেন্ড আছে; তাহলে দেরি না করে আপনিও তৈরি করতে পারেন একটি ফ্যানপেজ। এই ফ্যানপেজে আপনি চাইলে আপনার ব্যবসার প্রচার, বিভিন্ন পণ্য বিক্রি ইত্যাদির মাধ্যমে টাকা উপার্জন করতে পারেন।
ফেসবুকে ভিডিও আপলোড করে টাকা উপার্জন
আপনি চাইলে ইউটিউবের মতো ফেসবুকেও এখন ভিডিও আপলোড করে টাকা আয় করতে পারেন। ঠিক একইভাবে আপনি ইউটিউবের মতো আপনার ফেসবুক ভিডিওগুলোতে মনিটাইজ করে ইনকাম করতে পারবেন। এ ক্ষেত্রে একটু পার্থক্য হচ্ছে—ইউটিউবে গুগল অ্যাডসেন্স ব্যবহার করে ভিডিও মনিটাইজ করে টাকা উপার্জন করা হয়। আর অনেকটা একইভাবে হলেও ফেসবুকে অ্যাড চয়েসের মাধ্যমে কাজ করে টাকা আয় করা হয়।
Freelancing ও ফেসবুক মার্কেটিং ম্যানেজার হিসেবে টাকা উপার্জন
প্রথমে জানিয়ে নিই ফ্রিল্যান্সিং কী এবং তারপর আমরা জানাব কীভাবে Freelancing ও ফেসবুক মার্কেটিং ম্যানেজার হিসেবে টাকা উপার্জন করা যায়। ফ্রিল্যান্সিং বলতে মূলত কোনো প্রতিষ্ঠানের অধীনে কাজ না করে নিজের মতো স্বাধীনভাবে কাজ করাকে বোঝায়। সহজ ভাষায় বলতে গেলে, ফ্রিল্যান্সিং হচ্ছে নিজের দক্ষতা, শিক্ষা ও অভিজ্ঞতা কাজে লাগিয়ে একাধিক ক্লায়েন্টের কাজ করা। এ ক্ষেত্রে আপনি কোনো একটি প্রতিষ্ঠানের অধীনে কাজ করতে বাধ্য নন এবং আপনি স্বাধীনভাবে কাজ করতে পারেন।
বিভিন্ন মার্কেটপ্লেস যেমন ফাইভার, আপওয়ার্কসহ অন্যসব জায়গায় গেলে আপনি দেখতে পাবেন, আপনার সামনে ফেসবুক মার্কেটিং ম্যানেজার হিসেবে কাজ করতে প্রচুর জব অফার রয়েছে। তাই আপনি যদি ফেসবুক মার্কেটিং শিখতে পারেন, তাহলে আপনার জন্য ফ্রিল্যান্সিং করে টাকা উপার্জন একটি অসাধারণ পথ।
এই কাজ করার ক্ষেত্রে অবশ্যই আপনাকে জানতে হবে কীভাবে ফেসবুকে অ্যাড রান করতে হয়। আপনাকে তারা ফেসবুক পেজ ম্যানেজ করার জন্য হায়ার করবে। তাই অবশ্যই শিখে নিন, কীভাবে ফেসবুক পেজ চালাতে হয়। আরেকটি খুশির বিষয় হচ্ছে, আপনি চাইলে এই কাজগুলো মোবাইল দিয়েও সম্পন্ন করতে পারবেন। বর্তমানে ছাত্রদের জন্য অনলাইনে ইনকাম এবং মোবাইল দিয়ে টাকা উপার্জনের ক্ষেত্রে ফেসবুক সবচেয়ে বেশি সাহায্য করছে।
ফেসবুক গ্রুপের মাধ্যমে টাকা আয়
আমরা আগেই বলেছি ই-কমার্স হচ্ছে বর্তমান সময়ের সবচেয়ে জনপ্রিয় ব্যবসাক্ষেত্র। আপনি চাইলে এই প্ল্যাটফর্মকে ভাগ্য পরিবর্তনের কেন্দ্রবিন্দুও করতে পারেন। ফেসবুককে কেন্দ্র করে এখন নানা ব্যবসা করা হচ্ছে। আপনার ব্যবসার পণ্যসমূহ ঠিক তখনই মানুষের আকর্ষণ কেড়ে নেবে, যখন সেটা সুন্দরভাবে তুলে ধরতে পারবেন। তাই এ ক্ষেত্রে বিজ্ঞাপন প্রচার হতে পারে সবচেয়ে কার্যকর পদ্ধতি।
আপনার ব্যবসাকে সবার সামনে সুন্দর করে তুলে ধরার ক্ষেত্রে একটা গ্রুপের ভূমিকাও অনেক। কারণ, আপনার ব্যবসার পণ্যগুলো প্রোমোট করে কমিশনভিত্তিক ভালো পরিমাণের টাকা আয় করতে একটি গ্রুপ থাকা জরুরি। তাই গ্রুপ থেকে আপনি টাকা আয় করতে চাইলে গ্রুপের মাধ্যমে অন্যের প্রোডাক্ট প্রোমোট করে ভালো টাকা ইনকাম করতে পারবেন।
অনলাইন মার্কেটিং হচ্ছে এই সময়ের আরেকটি অসাধারণ জায়গা, যার মাধ্যমে আমরা ভালো টাকা উপার্জন করতে পারি। ফেসবুককে কেন্দ্র করে অনেকগুলো মার্কেটপ্লেস আছে। খুঁজলে দেখতে পাবেন ফেসবুকে অনেক রকম অনলাইন শপ রয়েছে।
আমরা বিভিন্ন গ্রুপ বা পেজে পণ্যের ছবি, বিবরণ, সাইজ ও মূল্য লিখে সেই প্রোডাক্টগুলোকে প্রোমোট করি। পণ্য অর্ডার করতে গ্রাহকেরা ইনবক্সে অথবা কমেন্টে আমাদের জানান। আবার কিছু কিছু কোম্পানিতে অর্ডার করার সময় ক্রেডিট কার্ড বা বিকাশের মাধ্যমে মূল্য পরিশোধের সিস্টেম চালু থাকে।
ফেসবুক মার্কেটপ্লেস থেকে টাকা আয়
ফেসবুক মার্কেটপ্লেস থেকে আয় করা যায় সহজেই। এই জায়গায় আপনি নিজের বা অন্য কারও নতুন-পুরোনো পণ্য বিক্রি করে আয় করতে পারবেন। আপনি যদি প্লে স্টোর চেক করেন, তাহলে অনেকগুলো রিসেলিং অ্যাপ পেয়ে যাবেন। যেমন— Glowroad, Shop 101, Messho. আপনার প্রথম কাজ হবে এই অ্যাপগুলো ইনস্টল করা। তারপর রেজিস্ট্রেশন করে ব্যাংক ডিটেইলসহ সাবমিট করুন।
এই অ্যাপগুলোতে আপনি কী পাবেন? এখানে আপনি বিভিন্ন কোম্পানির ভিন্ন ভিন্ন প্রোডাক্ট পাবেন। আপনার কাজ হবে সেই প্রোডাক্টগুলোর ছবি ডাউনলোড করে ফেসবুক মার্কেটপ্লেসে লিস্ট করে এসবের মূল্য দিয়ে দেওয়া।
এই মার্কেটিংয়ের ক্ষেত্রে ধরুন আপনি ওই অ্যাপ থেকে একটি টি-শার্ট কিনলেন ১৫০ টাকা দিয়ে। এবার আপনি সেটা চেঞ্জ করে প্রাইস করলেন ২৫০ টাকা। এ ক্ষেত্রে যখন আপনি আইটেমটি বিক্রি করতে পারবেন, তখন আপনার লাভ হচ্ছে ১০০ টাকা।
আপনি এভাবে চাইলে অনেকগুলো ছবি আপনার নিজের ফেসবুক মার্কেটপ্লেসে লিস্ট করতে পারেন। এবার কেউ আপনাকে ওই পণ্য কেনার জন্য মেসেজ করলে তখন তাঁর অ্যাড্রেসটা সেই অ্যাপসে, আর সেখানে আপনার প্রাইসটি ফিক্সড করে দিন। এ ক্ষেত্রে আপনি যদি ফেসবুক শপ ডিজাইন জেনে থাকেন, তাহলে এটা আপনার জন্য আরও বেশি ভালো হয়।
এরপর কোম্পানি সেই অ্যাড্রেসে প্রোডাক্ট ডেলিভারি করে দেবে আপনার নামে। আর পণ্যটি বিক্রি হওয়ার পর একটা ফিক্সড কমিশন চলে আসবে আপনার ব্যাংক অ্যাকাউন্টে। এভাবেই আপনি ফেসবুক মার্কেটিংয়ের মাধ্যমে টাকা উপার্জন করতে পারেন।
গুগল অ্যাডসেন্স ও টাকা উপার্জন
আমরা সবাই গুগল অ্যাডসেন্স সম্পর্কে খুব একটা পরিচিত নই। এটি হচ্ছে গুগল পরিচালিত একটি ওয়েব অ্যাপ্লিকেশন, যা মূলত একটি লাভ-অংশীদার প্রকল্প নামে পরিচিত। গুগল অ্যাডসেন্সের মাধ্যমে গুগল ও তার ব্যবহারকারীরা তাদের নিজেদের ওয়েবসাইটে বিজ্ঞাপন প্রচার করে অর্থ উপার্জন করে থাকে। এ ক্ষেত্রে একটি ব্লগ বা ওয়েবসাইটের মালিক কিছু নিয়ম অনুসরণ করে তাদের নিজেদের সাইটে গুগল নির্ধারিত বিজ্ঞাপন দেখানোর মাধ্যমে টাকা উপার্জন করতে পারেন।
গুগল অ্যাডসেন্স থেকে ইনকাম করার ক্ষেত্রে আপনাকে প্রথমে গুগল অ্যাডসেন্সের পাবলিশার হতে হবে। এরপর আপনার ব্লগ/ওয়েবসাইট বা ইউটিউব চ্যানেলে অ্যাডসেন্সের বিজ্ঞাপন প্রচার করতে হবে। সেই বিজ্ঞাপন দেখে কেউ যখন ক্লিক করবে, তখন প্রতি ক্লিকের জন্য নির্দিষ্ট পরিমাণ টাকা আপনি পাবেন। এটা ছাড়াও শুধু আপনার ব্লগ/সাইটের বিজ্ঞাপন দেখানোর জন্যও আপনি কিছু ইনকাম করতে পারেন।
তবে হ্যাঁ, গুগল অ্যাডসেন্স বিজ্ঞাপনের কোডগুলো সঠিক জায়গায় বসাতে হবে, যাতে করে ভিজিটররা সহজে বিজ্ঞাপনটি দেখতে পান এবং ক্লিক করেন। জেনে রাখা ভালো, গুগল অ্যাডসেন্স সব সময় কনটেন্ট-বিষয়ক বিজ্ঞাপন প্রদর্শন করে। তাই ভিজিটরের সুবিধার্থে আপনি বিজ্ঞাপনের কোডগুলো বসাবেন। ভিজিটর নিশ্চয়ই তাঁর প্রয়োজনে বিজ্ঞাপনে ক্লিক করবেন। তবে ভুল করেও বেশি বিজ্ঞাপন ব্যবহার না করাই ভালো।
কারণ, গুগল অ্যাডসেন্স তাদের বিজ্ঞাপনের পাশাপাশি অন্য কোনো বিজ্ঞাপন দেখতে পছন্দ করে না। গুগল অ্যাডসেন্সের জন্য আবেদন করার আগে খেয়াল করে দেখুন অন্য বিজ্ঞাপনের বিষয়গুলো। চেষ্টা করুন ভিজিটরের চাহিদামতো অরিজিনাল, সৃজনশীল ও মানসম্পন্ন কনটেন্ট তৈরি করতে। অ্যাডসেন্স থেকে ভালো ইনকাম জেনারেট করতে এটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
ব্লগে সব সময় নতুন নতুন আর্টিকেল পোস্ট করার চেষ্টা করুন, যা ইউনিক ও নতুন ভিজিটর পেতে অবশ্যই আপনাকে সাহায্য করবে। এসইও অনুযায়ী ব্লগে সৃজনশীল কনটেন্ট শেয়ার করলেই ভিজিটর ও আয় দুটিই বাড়তে থাকবে এবং এ বিষয়ে আপনি আশাবাদী থাকতে পারেন।
ফেসবুকে কনটেন্ট রাইটিং গ্রুপ থেকে আয়
বর্তমান সময়ে আয়ের অনেক উৎস বের হচ্ছে। আর ফেসবুক সোশ্যাল মিডিয়া ঘরে বসে সহজে আয় করার নতুন পদ্ধতি তৈরির ক্ষেত্রে অনেক বেশিই প্রভাব ফেলছে। ফেসবুকে আয়ের এতসব প্ল্যাটফর্মের মধ্যে উল্লেখযোগ্য একটি হলো আর্টিকেল রাইটিং কিংবা কনটেন্ট রাইটিং।
এখন ফেসবুকের বিভিন্ন গ্রুপের মাধ্যমে আপনি সহজেই পেতে পারেন আর্টিকেল রাইটিংয়ের কাজ। এই কাজ করে আপনি ভালো টাকা আয় করতে পারবেন। তাই আপনি যদি মনে করেন আর্টিকেল রাইটিং আপনার জন্য সহজ হবে, তাহলে আজই শুরু করতে পারেন আর্টিকেল রাইটিং।
অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং ও ফেসবুকে আয়
আমাদের অনেকের মনেই প্রশ্ন জাগবে যে, অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিংটা আবার কী? তাই প্রথমেই আমরা আপনাকে বলতে চাই যে, অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং হচ্ছে কোনো কোম্পানি বা কোনো প্রতিষ্ঠানের প্রোডাক্ট বিক্রি করে দেওয়া। এটাও খুবই জনপ্রিয় একটি আয়ের পথ।
আপনি চাইলে খুব সহজেই আপনার ফেসবুক পেজ বা গ্রুপে অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করে টাকা আয় করতে পারবেন। এই মাধ্যমে আপনি যাদের প্রোডাক্ট বিক্রি করে দেবেন, তাদের কাছ থেকে কিছু কমিশন পাবেন।
যে মার্কেটপ্লেসে অনেক ওয়েবসাইট রয়েছে, সেখানে আপনি এই ওয়েবসাইটগুলোর অ্যাফিলিয়েট প্রোগ্রামে থাকতে পারেন। বড় বড় ওয়েবসাইট; যেমন—আমাজন, আলিবাবা, ফ্লিপকার্ট ওয়েবসাইটগুলোতে অ্যাফিলিয়েট প্রোগ্রামে যোগদানের মাধ্যমে চাইলে আপনি টাকা উপার্জন করতে পারেন। এ ছাড়া টেক রিলেটেড কনটেন্ট পেজ হলে আপনার জন্য রয়েছে সুবর্ণ সুযোগ। চাইলে আপনার ফেসবুক পেজ থেকে খুবই বড় অঙ্কের টাকা আয় করতে পারবেন।
এসব পথ অনুসরণ করে আপনি খুব সহজেই ফেসবুক থেকে আয় করতে পারবেন। বর্তমান সময়ে ঘরে বসে আয়ের ক্ষেত্রে ফেসবুকের অবদান সত্যিই অপরিসীম। তাই বসে না থেকে আজই শুরু করতে পারেন ফেসবুকে টাকা উপার্জন।
ফেসবুক সম্পর্কিত পড়ুন:

বর্তমান সময়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম হিসেবে ফেসবুকের জনপ্রিয়তা সবচেয়ে বেশি। জনপ্রিয়তা পাবেই-বা না কেন? এই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমই যে বর্তমানে আয়ের অন্যতম মাধ্যম হয়ে উঠেছে! ফেসবুকের মাধ্যমে কীভাবে আয় করা যায়, তা নিয়েই আজকের এই লেখা।
যুগের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে আমরা হয়ে উঠছি আধুনিক। বিভিন্ন প্রযুক্তি ব্যবহারে নিজেদের জীবনকে সহজ করে নিয়েছি এবং নিচ্ছি। আর এই প্রযুক্তি ব্যবহারের ফলে ঘরে বসে আয়ের পথ খুঁজে নিচ্ছে মানুষ।
আমাদের দৈনন্দিন জীবনের বেশির ভাগ সময় অতিবাহিত হচ্ছে ফেসবুকে। আপনি চাইলে ফেসবুককে একটি পরিবার হিসেবে ধরে নিলেও ভুল হবে না।
একটি যোগাযোগমাধ্যমে ঘরে বসে বিশ্বের যেকোনো স্থানে, যেকোনো দেশের মানুষের সঙ্গে আমরা যোগাযোগ করছি। এই ফেসবুকের মাধ্যমে অল্প সময়ের মধ্যে বার্তা বিনিময় করা যায়, কল করা যায়, ভিডিও কলের মাধ্যমে একই সঙ্গে কথা বলে তথ্য আদান-প্রদান করা যায়। সম্পূর্ণ হিসাব করলে ফেসবুক সবার চেয়ে এগিয়ে আছে বলতে হবে।
বর্তমানে গুগল অ্যাডসেন্স ও ফেসবুক থেকে আয়ের বিষয়ে আমরা অনেকেই অবগত। এর মধ্যে ফেসবুক এমন জনপ্রিয় একটি জায়গা হয়ে দাঁড়িয়েছে যে, আপনি শুধু কিছু নিয়মকানুন ও গাইডলাইন জানলে খুব সহজেই টাকা আয় করতে পারেন।
ফেসবুক থেকে আয় (২০২২)
আমরা অনেকেই এমন অনেক বিজ্ঞাপন দেখেছি যে, কীভাবে ঘরে বসে ফেসবুক থেকে টাকা উপার্জন করা যায়, তাই না? কিন্তু দুঃখজনক হলেও সত্যি যে, এই বিজ্ঞাপন সব সময় আমাদের উপকারে আসে না। কারণ, তারা শেখানোর চেয়ে নিজেদের উপার্জনের উদ্দেশ্যেই হয়তো এমন বিজ্ঞাপন দিয়ে থাকে।
বর্তমান করোনা পরিস্থিতিতে লকডাউনের কারণে গৃহবন্দী সময়কে কাজে লাগিয়ে সহজেই আপনিও পারেন ফেসবুকের মাধ্যমে আয় করতে। তবে তার জন্য আপনাকে সঠিক গাইডলাইন অনুসরণ করতে হবে।
গোটা বিশ্বের সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলতে গিয়ে আমরাও এখন ডিজিটাল আইডিয়া কার্যকর করতে বেশি আগ্রহী হচ্ছি। ফেসবুককে আমরা সবচেয়ে সহজ প্ল্যাটফর্ম হিসেবে দেখে আসছি, যা থেকে খুব সহজেই ইনকাম করতে পারবেন। দিনের পর দিন আমরা টাকা আয়ের জন্য এই প্ল্যাটফর্মটাই বেছে নিচ্ছি, যেটা ঘরে বসে কাজ করতে আমাদের উদ্দীপনা দিচ্ছে।
ফেসবুকে আয় করার পদ্ধতি
জেনে খুশি হবেন যে, ফেসবুকে শুধু এক-দুটি মাধ্যমেই টাকা উপার্জন করা যায় না। ফেসবুকে আপনি বিভিন্ন উপায়ে টাকা উপার্জন করতে পারবেন, আর সেটা খুবই সহজ। চলুন তবে আজ দেখে নিই আপনি কী কী উপায়ে সামাজিক যোগাযোগ ফেসবুকের মাধ্যমে ইনকাম করতে পারবেন।
ফেসবুকে কনটেন্ট ক্রিয়েশন করে আয়
এখনকার সময়ে খুব বেশি জনপ্রিয়তা পাওয়া একটি পেশা হচ্ছে কনটেন্ট ক্রিয়েশন। আগে শুধু ভিডিও আপলোডের জন্য ইউটিউবকে গুরুত্ব দেওয়া হতো। কিন্তু বর্তমানে আমরা এখন ভিডিও আপলোডের ক্ষেত্রে, নিজেকে একজন কনটেন্ট ক্রিয়েটর হিসেবে প্রতিষ্ঠার ক্ষেত্রে বেছে নিচ্ছে ফেসবুককে। আমরা দেখছি, দিনের পর দিন কনটেন্ট ক্রিয়েটররা ফেসবুককে ভিডিও আপলোড ও কনটেন্ট শেয়ারিংয়ের অন্যতম সেরা প্ল্যাটফর্ম হিসেবে ব্যবহার করতে শুরু করেছে।
কনটেন্ট ক্রিয়েটররা সাধারণত কী করেন? তাঁরা নিজের সৃজনশীলতা, মেধা ও বুদ্ধিমত্তা কাজে লাগিয়ে শিক্ষা, সংস্কৃতি, ইতিহাস, ঐতিহ্য কিংবা অন্য যেকোনো বিষয়ের ওপর কনটেন্ট তৈরি করেন।
একজন কনটেন্ট ক্রিয়েটর তাঁর কনটেন্টগুলো নিজেদের ফেসবুক অ্যাকাউন্, কিংবা নিজস্ব পেজ অ্যাকাউন্টে পাবলিশ করেন। এর মাধ্যমে তাঁদের সেই কনটেন্ট বিশ্ব দেখতে পারে এবং ভিউ বাড়ে। সেই ভিডিও সবাই উপভোগ করে, আবার নিজের ফ্রেন্ড সার্কেলে সেই ভিডিও শেয়ারও করে অনেকে।
এভাবে ভিডিওগুলো ছড়িয়ে পড়ে সারা সোশ্যাল মিডিয়ায় এবং এর ভিউ বাড়তে থাকে। আপনি একজন কনটেন্ট ক্রিয়েটর হিসেবে ফেসবুককে বেছে নিয়ে থাকলে আপনার জন্য টাকা ইনকাম করার বিভিন্ন সুযোগ রয়েছে। যেমন—
১। ফেসবুক অ্যাড থেকে
২। গুগল অ্যাডসেন্স থেকে
৩। বিভিন্ন স্পনসরশিপ থেকে
কনটেন্ট ক্রিয়েটর ক্যারিয়ারে আপনি সাফল্য পেতে পারেন এভাবেই। সঠিকভাবে কনটেন্ট ক্রিয়েট করে সোশ্যাল মিডিয়াতে ছড়িয়ে দিতে পারলে আপনি নিজেকে একটি ভালো উচ্চতায় অধিষ্ঠিত করতে পারবেন। একজন ভালো কনটেন্ট ক্রিয়েটর হয়ে উঠতে পারলে ফেসবুক থেকে আয় করতে পারবেন খুব সহজে।
ফেসবুক পেজের মাধ্যমে টাকা আয়
আমরা সবাই ই-কমার্স প্ল্যাটফর্ম সম্পর্কে জানি, যা বর্তমানে বহুল আলোচিত একটি ব্যবসার পথ। অল্প সময়ে আয় বৃদ্ধির লক্ষ্যে এই পেশায় আগ্রহী হচ্ছে অনেকেই। আমরা সব সময় চাই নিজের একটি পরিচয় তৈরি করতে। আমরা চাই একটি স্বাধীন ব্যবসা করতে। এ ক্ষেত্রে ই-কমার্স হচ্ছে জনপ্রিয় একটি প্ল্যাটফর্ম। এ ক্ষেত্রে ফেসবুকের জনপ্রিয়তা এতটাই বেড়েছে যে, নতুন টার্ম হিসেবে সামনে এসেছে এফ-কমার্স। এফ-কমার্স হলো ফেসবুক পেজ বা আইডির মাধ্যমে নিজের ব্যবসা উদ্যোগকে এগিয়ে নেওয়া। বর্তমানে বহু ব্যবসা গড়ে উঠছে শুধু ফেসবুককে কেন্দ্র করেই।
ফেসবুকে আমরা বিভিন্ন বয়সের মানুষ রয়েছি। এ ক্ষেত্রে ই-কমার্স ব্যবসা আমাদের সাফল্য এনে দিতে অনেক সহায়তা করতে পারে। এখনকার সময়ে যারা ব্যবসা করার চিন্তাধারা নিয়ে এগিয়ে আসে, তারা ফেসবুকে নিজের একটি পেজ খোলে। সময়ের সঙ্গে তাদের সেই পেজে মানুষের উপস্থিতি বাড়ে। দিনের পর দিন বাড়তে থাকে তাদের পেজের ফলোয়ার। ব্যবসার উদ্দেশ্যে খোলা পেজটি আস্তে আস্তে জনপ্রিয়তা পেতে থাকে।
অনেকেই আবার তাদের ফেসবুক পেজটিতে ঠিকমতো সময় দিতে পারে না কর্মব্যস্ততার কারণে। সে ক্ষেত্রে অনেকেই তাদের পেজটি বিক্রি করেও টাকা আয় করতে পারবেন। এ ক্ষেত্রে লাভ উভয় পক্ষের। প্রথমত, পেজ বিক্রির মাধ্যমে আপনি একটা ভালো টাকা পেতে পারেন, যা আপনাকে লাভবান করবে। পাশাপাশি যিনি পেজ কিনবে, তিনিও লাভবান হবে। কারণ, সেটা জনপ্রিয়তা পাওয়া একটি ফেসবুক পেজ। তাই ফেসবুক থেকে টাকা আয় করতে চাইলে আপনি আপনার পেজটি বিক্রি করে টাকা আয় করতে পারেন।
ফেসবুকে ফ্যান পেজ তৈরি করে আয়
টাকা উপার্জনের ক্ষেত্রে ফেসবুক সত্যিই অসাধারণ একটি প্ল্যাটফর্ম। আপনি নিজের পরিচিতি বৃদ্ধির ক্ষেত্রে ফেসবুকে পেজ খুলতে পারেন।
সে ক্ষেত্রে অনেকেই আছেন, যারা জানেন না কীভাবে একটি ফেসবুক পেজ তৈরি করতে হয়। ধরুন, আপনার একটি ফেসবুক আইডি আছে এবং সেই ফেসবুক আইডিতে ৫০০-এর অধিক ফ্রেন্ড আছে; তাহলে দেরি না করে আপনিও তৈরি করতে পারেন একটি ফ্যানপেজ। এই ফ্যানপেজে আপনি চাইলে আপনার ব্যবসার প্রচার, বিভিন্ন পণ্য বিক্রি ইত্যাদির মাধ্যমে টাকা উপার্জন করতে পারেন।
ফেসবুকে ভিডিও আপলোড করে টাকা উপার্জন
আপনি চাইলে ইউটিউবের মতো ফেসবুকেও এখন ভিডিও আপলোড করে টাকা আয় করতে পারেন। ঠিক একইভাবে আপনি ইউটিউবের মতো আপনার ফেসবুক ভিডিওগুলোতে মনিটাইজ করে ইনকাম করতে পারবেন। এ ক্ষেত্রে একটু পার্থক্য হচ্ছে—ইউটিউবে গুগল অ্যাডসেন্স ব্যবহার করে ভিডিও মনিটাইজ করে টাকা উপার্জন করা হয়। আর অনেকটা একইভাবে হলেও ফেসবুকে অ্যাড চয়েসের মাধ্যমে কাজ করে টাকা আয় করা হয়।
Freelancing ও ফেসবুক মার্কেটিং ম্যানেজার হিসেবে টাকা উপার্জন
প্রথমে জানিয়ে নিই ফ্রিল্যান্সিং কী এবং তারপর আমরা জানাব কীভাবে Freelancing ও ফেসবুক মার্কেটিং ম্যানেজার হিসেবে টাকা উপার্জন করা যায়। ফ্রিল্যান্সিং বলতে মূলত কোনো প্রতিষ্ঠানের অধীনে কাজ না করে নিজের মতো স্বাধীনভাবে কাজ করাকে বোঝায়। সহজ ভাষায় বলতে গেলে, ফ্রিল্যান্সিং হচ্ছে নিজের দক্ষতা, শিক্ষা ও অভিজ্ঞতা কাজে লাগিয়ে একাধিক ক্লায়েন্টের কাজ করা। এ ক্ষেত্রে আপনি কোনো একটি প্রতিষ্ঠানের অধীনে কাজ করতে বাধ্য নন এবং আপনি স্বাধীনভাবে কাজ করতে পারেন।
বিভিন্ন মার্কেটপ্লেস যেমন ফাইভার, আপওয়ার্কসহ অন্যসব জায়গায় গেলে আপনি দেখতে পাবেন, আপনার সামনে ফেসবুক মার্কেটিং ম্যানেজার হিসেবে কাজ করতে প্রচুর জব অফার রয়েছে। তাই আপনি যদি ফেসবুক মার্কেটিং শিখতে পারেন, তাহলে আপনার জন্য ফ্রিল্যান্সিং করে টাকা উপার্জন একটি অসাধারণ পথ।
এই কাজ করার ক্ষেত্রে অবশ্যই আপনাকে জানতে হবে কীভাবে ফেসবুকে অ্যাড রান করতে হয়। আপনাকে তারা ফেসবুক পেজ ম্যানেজ করার জন্য হায়ার করবে। তাই অবশ্যই শিখে নিন, কীভাবে ফেসবুক পেজ চালাতে হয়। আরেকটি খুশির বিষয় হচ্ছে, আপনি চাইলে এই কাজগুলো মোবাইল দিয়েও সম্পন্ন করতে পারবেন। বর্তমানে ছাত্রদের জন্য অনলাইনে ইনকাম এবং মোবাইল দিয়ে টাকা উপার্জনের ক্ষেত্রে ফেসবুক সবচেয়ে বেশি সাহায্য করছে।
ফেসবুক গ্রুপের মাধ্যমে টাকা আয়
আমরা আগেই বলেছি ই-কমার্স হচ্ছে বর্তমান সময়ের সবচেয়ে জনপ্রিয় ব্যবসাক্ষেত্র। আপনি চাইলে এই প্ল্যাটফর্মকে ভাগ্য পরিবর্তনের কেন্দ্রবিন্দুও করতে পারেন। ফেসবুককে কেন্দ্র করে এখন নানা ব্যবসা করা হচ্ছে। আপনার ব্যবসার পণ্যসমূহ ঠিক তখনই মানুষের আকর্ষণ কেড়ে নেবে, যখন সেটা সুন্দরভাবে তুলে ধরতে পারবেন। তাই এ ক্ষেত্রে বিজ্ঞাপন প্রচার হতে পারে সবচেয়ে কার্যকর পদ্ধতি।
আপনার ব্যবসাকে সবার সামনে সুন্দর করে তুলে ধরার ক্ষেত্রে একটা গ্রুপের ভূমিকাও অনেক। কারণ, আপনার ব্যবসার পণ্যগুলো প্রোমোট করে কমিশনভিত্তিক ভালো পরিমাণের টাকা আয় করতে একটি গ্রুপ থাকা জরুরি। তাই গ্রুপ থেকে আপনি টাকা আয় করতে চাইলে গ্রুপের মাধ্যমে অন্যের প্রোডাক্ট প্রোমোট করে ভালো টাকা ইনকাম করতে পারবেন।
অনলাইন মার্কেটিং হচ্ছে এই সময়ের আরেকটি অসাধারণ জায়গা, যার মাধ্যমে আমরা ভালো টাকা উপার্জন করতে পারি। ফেসবুককে কেন্দ্র করে অনেকগুলো মার্কেটপ্লেস আছে। খুঁজলে দেখতে পাবেন ফেসবুকে অনেক রকম অনলাইন শপ রয়েছে।
আমরা বিভিন্ন গ্রুপ বা পেজে পণ্যের ছবি, বিবরণ, সাইজ ও মূল্য লিখে সেই প্রোডাক্টগুলোকে প্রোমোট করি। পণ্য অর্ডার করতে গ্রাহকেরা ইনবক্সে অথবা কমেন্টে আমাদের জানান। আবার কিছু কিছু কোম্পানিতে অর্ডার করার সময় ক্রেডিট কার্ড বা বিকাশের মাধ্যমে মূল্য পরিশোধের সিস্টেম চালু থাকে।
ফেসবুক মার্কেটপ্লেস থেকে টাকা আয়
ফেসবুক মার্কেটপ্লেস থেকে আয় করা যায় সহজেই। এই জায়গায় আপনি নিজের বা অন্য কারও নতুন-পুরোনো পণ্য বিক্রি করে আয় করতে পারবেন। আপনি যদি প্লে স্টোর চেক করেন, তাহলে অনেকগুলো রিসেলিং অ্যাপ পেয়ে যাবেন। যেমন— Glowroad, Shop 101, Messho. আপনার প্রথম কাজ হবে এই অ্যাপগুলো ইনস্টল করা। তারপর রেজিস্ট্রেশন করে ব্যাংক ডিটেইলসহ সাবমিট করুন।
এই অ্যাপগুলোতে আপনি কী পাবেন? এখানে আপনি বিভিন্ন কোম্পানির ভিন্ন ভিন্ন প্রোডাক্ট পাবেন। আপনার কাজ হবে সেই প্রোডাক্টগুলোর ছবি ডাউনলোড করে ফেসবুক মার্কেটপ্লেসে লিস্ট করে এসবের মূল্য দিয়ে দেওয়া।
এই মার্কেটিংয়ের ক্ষেত্রে ধরুন আপনি ওই অ্যাপ থেকে একটি টি-শার্ট কিনলেন ১৫০ টাকা দিয়ে। এবার আপনি সেটা চেঞ্জ করে প্রাইস করলেন ২৫০ টাকা। এ ক্ষেত্রে যখন আপনি আইটেমটি বিক্রি করতে পারবেন, তখন আপনার লাভ হচ্ছে ১০০ টাকা।
আপনি এভাবে চাইলে অনেকগুলো ছবি আপনার নিজের ফেসবুক মার্কেটপ্লেসে লিস্ট করতে পারেন। এবার কেউ আপনাকে ওই পণ্য কেনার জন্য মেসেজ করলে তখন তাঁর অ্যাড্রেসটা সেই অ্যাপসে, আর সেখানে আপনার প্রাইসটি ফিক্সড করে দিন। এ ক্ষেত্রে আপনি যদি ফেসবুক শপ ডিজাইন জেনে থাকেন, তাহলে এটা আপনার জন্য আরও বেশি ভালো হয়।
এরপর কোম্পানি সেই অ্যাড্রেসে প্রোডাক্ট ডেলিভারি করে দেবে আপনার নামে। আর পণ্যটি বিক্রি হওয়ার পর একটা ফিক্সড কমিশন চলে আসবে আপনার ব্যাংক অ্যাকাউন্টে। এভাবেই আপনি ফেসবুক মার্কেটিংয়ের মাধ্যমে টাকা উপার্জন করতে পারেন।
গুগল অ্যাডসেন্স ও টাকা উপার্জন
আমরা সবাই গুগল অ্যাডসেন্স সম্পর্কে খুব একটা পরিচিত নই। এটি হচ্ছে গুগল পরিচালিত একটি ওয়েব অ্যাপ্লিকেশন, যা মূলত একটি লাভ-অংশীদার প্রকল্প নামে পরিচিত। গুগল অ্যাডসেন্সের মাধ্যমে গুগল ও তার ব্যবহারকারীরা তাদের নিজেদের ওয়েবসাইটে বিজ্ঞাপন প্রচার করে অর্থ উপার্জন করে থাকে। এ ক্ষেত্রে একটি ব্লগ বা ওয়েবসাইটের মালিক কিছু নিয়ম অনুসরণ করে তাদের নিজেদের সাইটে গুগল নির্ধারিত বিজ্ঞাপন দেখানোর মাধ্যমে টাকা উপার্জন করতে পারেন।
গুগল অ্যাডসেন্স থেকে ইনকাম করার ক্ষেত্রে আপনাকে প্রথমে গুগল অ্যাডসেন্সের পাবলিশার হতে হবে। এরপর আপনার ব্লগ/ওয়েবসাইট বা ইউটিউব চ্যানেলে অ্যাডসেন্সের বিজ্ঞাপন প্রচার করতে হবে। সেই বিজ্ঞাপন দেখে কেউ যখন ক্লিক করবে, তখন প্রতি ক্লিকের জন্য নির্দিষ্ট পরিমাণ টাকা আপনি পাবেন। এটা ছাড়াও শুধু আপনার ব্লগ/সাইটের বিজ্ঞাপন দেখানোর জন্যও আপনি কিছু ইনকাম করতে পারেন।
তবে হ্যাঁ, গুগল অ্যাডসেন্স বিজ্ঞাপনের কোডগুলো সঠিক জায়গায় বসাতে হবে, যাতে করে ভিজিটররা সহজে বিজ্ঞাপনটি দেখতে পান এবং ক্লিক করেন। জেনে রাখা ভালো, গুগল অ্যাডসেন্স সব সময় কনটেন্ট-বিষয়ক বিজ্ঞাপন প্রদর্শন করে। তাই ভিজিটরের সুবিধার্থে আপনি বিজ্ঞাপনের কোডগুলো বসাবেন। ভিজিটর নিশ্চয়ই তাঁর প্রয়োজনে বিজ্ঞাপনে ক্লিক করবেন। তবে ভুল করেও বেশি বিজ্ঞাপন ব্যবহার না করাই ভালো।
কারণ, গুগল অ্যাডসেন্স তাদের বিজ্ঞাপনের পাশাপাশি অন্য কোনো বিজ্ঞাপন দেখতে পছন্দ করে না। গুগল অ্যাডসেন্সের জন্য আবেদন করার আগে খেয়াল করে দেখুন অন্য বিজ্ঞাপনের বিষয়গুলো। চেষ্টা করুন ভিজিটরের চাহিদামতো অরিজিনাল, সৃজনশীল ও মানসম্পন্ন কনটেন্ট তৈরি করতে। অ্যাডসেন্স থেকে ভালো ইনকাম জেনারেট করতে এটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
ব্লগে সব সময় নতুন নতুন আর্টিকেল পোস্ট করার চেষ্টা করুন, যা ইউনিক ও নতুন ভিজিটর পেতে অবশ্যই আপনাকে সাহায্য করবে। এসইও অনুযায়ী ব্লগে সৃজনশীল কনটেন্ট শেয়ার করলেই ভিজিটর ও আয় দুটিই বাড়তে থাকবে এবং এ বিষয়ে আপনি আশাবাদী থাকতে পারেন।
ফেসবুকে কনটেন্ট রাইটিং গ্রুপ থেকে আয়
বর্তমান সময়ে আয়ের অনেক উৎস বের হচ্ছে। আর ফেসবুক সোশ্যাল মিডিয়া ঘরে বসে সহজে আয় করার নতুন পদ্ধতি তৈরির ক্ষেত্রে অনেক বেশিই প্রভাব ফেলছে। ফেসবুকে আয়ের এতসব প্ল্যাটফর্মের মধ্যে উল্লেখযোগ্য একটি হলো আর্টিকেল রাইটিং কিংবা কনটেন্ট রাইটিং।
এখন ফেসবুকের বিভিন্ন গ্রুপের মাধ্যমে আপনি সহজেই পেতে পারেন আর্টিকেল রাইটিংয়ের কাজ। এই কাজ করে আপনি ভালো টাকা আয় করতে পারবেন। তাই আপনি যদি মনে করেন আর্টিকেল রাইটিং আপনার জন্য সহজ হবে, তাহলে আজই শুরু করতে পারেন আর্টিকেল রাইটিং।
অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং ও ফেসবুকে আয়
আমাদের অনেকের মনেই প্রশ্ন জাগবে যে, অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিংটা আবার কী? তাই প্রথমেই আমরা আপনাকে বলতে চাই যে, অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং হচ্ছে কোনো কোম্পানি বা কোনো প্রতিষ্ঠানের প্রোডাক্ট বিক্রি করে দেওয়া। এটাও খুবই জনপ্রিয় একটি আয়ের পথ।
আপনি চাইলে খুব সহজেই আপনার ফেসবুক পেজ বা গ্রুপে অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করে টাকা আয় করতে পারবেন। এই মাধ্যমে আপনি যাদের প্রোডাক্ট বিক্রি করে দেবেন, তাদের কাছ থেকে কিছু কমিশন পাবেন।
যে মার্কেটপ্লেসে অনেক ওয়েবসাইট রয়েছে, সেখানে আপনি এই ওয়েবসাইটগুলোর অ্যাফিলিয়েট প্রোগ্রামে থাকতে পারেন। বড় বড় ওয়েবসাইট; যেমন—আমাজন, আলিবাবা, ফ্লিপকার্ট ওয়েবসাইটগুলোতে অ্যাফিলিয়েট প্রোগ্রামে যোগদানের মাধ্যমে চাইলে আপনি টাকা উপার্জন করতে পারেন। এ ছাড়া টেক রিলেটেড কনটেন্ট পেজ হলে আপনার জন্য রয়েছে সুবর্ণ সুযোগ। চাইলে আপনার ফেসবুক পেজ থেকে খুবই বড় অঙ্কের টাকা আয় করতে পারবেন।
এসব পথ অনুসরণ করে আপনি খুব সহজেই ফেসবুক থেকে আয় করতে পারবেন। বর্তমান সময়ে ঘরে বসে আয়ের ক্ষেত্রে ফেসবুকের অবদান সত্যিই অপরিসীম। তাই বসে না থেকে আজই শুরু করতে পারেন ফেসবুকে টাকা উপার্জন।
ফেসবুক সম্পর্কিত পড়ুন:

বর্তমান সময়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম হিসেবে ফেসবুকের জনপ্রিয়তা সবচেয়ে বেশি। জনপ্রিয়তা পাবেই-বা না কেন? এই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমই যে বর্তমানে আয়ের অন্যতম মাধ্যম হয়ে উঠেছে! ফেসবুকের মাধ্যমে কীভাবে আয় করা যায়, তা নিয়েই আজকের এই লেখা।
যুগের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে আমরা হয়ে উঠছি আধুনিক। বিভিন্ন প্রযুক্তি ব্যবহারে নিজেদের জীবনকে সহজ করে নিয়েছি এবং নিচ্ছি। আর এই প্রযুক্তি ব্যবহারের ফলে ঘরে বসে আয়ের পথ খুঁজে নিচ্ছে মানুষ।
আমাদের দৈনন্দিন জীবনের বেশির ভাগ সময় অতিবাহিত হচ্ছে ফেসবুকে। আপনি চাইলে ফেসবুককে একটি পরিবার হিসেবে ধরে নিলেও ভুল হবে না।
একটি যোগাযোগমাধ্যমে ঘরে বসে বিশ্বের যেকোনো স্থানে, যেকোনো দেশের মানুষের সঙ্গে আমরা যোগাযোগ করছি। এই ফেসবুকের মাধ্যমে অল্প সময়ের মধ্যে বার্তা বিনিময় করা যায়, কল করা যায়, ভিডিও কলের মাধ্যমে একই সঙ্গে কথা বলে তথ্য আদান-প্রদান করা যায়। সম্পূর্ণ হিসাব করলে ফেসবুক সবার চেয়ে এগিয়ে আছে বলতে হবে।
বর্তমানে গুগল অ্যাডসেন্স ও ফেসবুক থেকে আয়ের বিষয়ে আমরা অনেকেই অবগত। এর মধ্যে ফেসবুক এমন জনপ্রিয় একটি জায়গা হয়ে দাঁড়িয়েছে যে, আপনি শুধু কিছু নিয়মকানুন ও গাইডলাইন জানলে খুব সহজেই টাকা আয় করতে পারেন।
ফেসবুক থেকে আয় (২০২২)
আমরা অনেকেই এমন অনেক বিজ্ঞাপন দেখেছি যে, কীভাবে ঘরে বসে ফেসবুক থেকে টাকা উপার্জন করা যায়, তাই না? কিন্তু দুঃখজনক হলেও সত্যি যে, এই বিজ্ঞাপন সব সময় আমাদের উপকারে আসে না। কারণ, তারা শেখানোর চেয়ে নিজেদের উপার্জনের উদ্দেশ্যেই হয়তো এমন বিজ্ঞাপন দিয়ে থাকে।
বর্তমান করোনা পরিস্থিতিতে লকডাউনের কারণে গৃহবন্দী সময়কে কাজে লাগিয়ে সহজেই আপনিও পারেন ফেসবুকের মাধ্যমে আয় করতে। তবে তার জন্য আপনাকে সঠিক গাইডলাইন অনুসরণ করতে হবে।
গোটা বিশ্বের সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলতে গিয়ে আমরাও এখন ডিজিটাল আইডিয়া কার্যকর করতে বেশি আগ্রহী হচ্ছি। ফেসবুককে আমরা সবচেয়ে সহজ প্ল্যাটফর্ম হিসেবে দেখে আসছি, যা থেকে খুব সহজেই ইনকাম করতে পারবেন। দিনের পর দিন আমরা টাকা আয়ের জন্য এই প্ল্যাটফর্মটাই বেছে নিচ্ছি, যেটা ঘরে বসে কাজ করতে আমাদের উদ্দীপনা দিচ্ছে।
ফেসবুকে আয় করার পদ্ধতি
জেনে খুশি হবেন যে, ফেসবুকে শুধু এক-দুটি মাধ্যমেই টাকা উপার্জন করা যায় না। ফেসবুকে আপনি বিভিন্ন উপায়ে টাকা উপার্জন করতে পারবেন, আর সেটা খুবই সহজ। চলুন তবে আজ দেখে নিই আপনি কী কী উপায়ে সামাজিক যোগাযোগ ফেসবুকের মাধ্যমে ইনকাম করতে পারবেন।
ফেসবুকে কনটেন্ট ক্রিয়েশন করে আয়
এখনকার সময়ে খুব বেশি জনপ্রিয়তা পাওয়া একটি পেশা হচ্ছে কনটেন্ট ক্রিয়েশন। আগে শুধু ভিডিও আপলোডের জন্য ইউটিউবকে গুরুত্ব দেওয়া হতো। কিন্তু বর্তমানে আমরা এখন ভিডিও আপলোডের ক্ষেত্রে, নিজেকে একজন কনটেন্ট ক্রিয়েটর হিসেবে প্রতিষ্ঠার ক্ষেত্রে বেছে নিচ্ছে ফেসবুককে। আমরা দেখছি, দিনের পর দিন কনটেন্ট ক্রিয়েটররা ফেসবুককে ভিডিও আপলোড ও কনটেন্ট শেয়ারিংয়ের অন্যতম সেরা প্ল্যাটফর্ম হিসেবে ব্যবহার করতে শুরু করেছে।
কনটেন্ট ক্রিয়েটররা সাধারণত কী করেন? তাঁরা নিজের সৃজনশীলতা, মেধা ও বুদ্ধিমত্তা কাজে লাগিয়ে শিক্ষা, সংস্কৃতি, ইতিহাস, ঐতিহ্য কিংবা অন্য যেকোনো বিষয়ের ওপর কনটেন্ট তৈরি করেন।
একজন কনটেন্ট ক্রিয়েটর তাঁর কনটেন্টগুলো নিজেদের ফেসবুক অ্যাকাউন্, কিংবা নিজস্ব পেজ অ্যাকাউন্টে পাবলিশ করেন। এর মাধ্যমে তাঁদের সেই কনটেন্ট বিশ্ব দেখতে পারে এবং ভিউ বাড়ে। সেই ভিডিও সবাই উপভোগ করে, আবার নিজের ফ্রেন্ড সার্কেলে সেই ভিডিও শেয়ারও করে অনেকে।
এভাবে ভিডিওগুলো ছড়িয়ে পড়ে সারা সোশ্যাল মিডিয়ায় এবং এর ভিউ বাড়তে থাকে। আপনি একজন কনটেন্ট ক্রিয়েটর হিসেবে ফেসবুককে বেছে নিয়ে থাকলে আপনার জন্য টাকা ইনকাম করার বিভিন্ন সুযোগ রয়েছে। যেমন—
১। ফেসবুক অ্যাড থেকে
২। গুগল অ্যাডসেন্স থেকে
৩। বিভিন্ন স্পনসরশিপ থেকে
কনটেন্ট ক্রিয়েটর ক্যারিয়ারে আপনি সাফল্য পেতে পারেন এভাবেই। সঠিকভাবে কনটেন্ট ক্রিয়েট করে সোশ্যাল মিডিয়াতে ছড়িয়ে দিতে পারলে আপনি নিজেকে একটি ভালো উচ্চতায় অধিষ্ঠিত করতে পারবেন। একজন ভালো কনটেন্ট ক্রিয়েটর হয়ে উঠতে পারলে ফেসবুক থেকে আয় করতে পারবেন খুব সহজে।
ফেসবুক পেজের মাধ্যমে টাকা আয়
আমরা সবাই ই-কমার্স প্ল্যাটফর্ম সম্পর্কে জানি, যা বর্তমানে বহুল আলোচিত একটি ব্যবসার পথ। অল্প সময়ে আয় বৃদ্ধির লক্ষ্যে এই পেশায় আগ্রহী হচ্ছে অনেকেই। আমরা সব সময় চাই নিজের একটি পরিচয় তৈরি করতে। আমরা চাই একটি স্বাধীন ব্যবসা করতে। এ ক্ষেত্রে ই-কমার্স হচ্ছে জনপ্রিয় একটি প্ল্যাটফর্ম। এ ক্ষেত্রে ফেসবুকের জনপ্রিয়তা এতটাই বেড়েছে যে, নতুন টার্ম হিসেবে সামনে এসেছে এফ-কমার্স। এফ-কমার্স হলো ফেসবুক পেজ বা আইডির মাধ্যমে নিজের ব্যবসা উদ্যোগকে এগিয়ে নেওয়া। বর্তমানে বহু ব্যবসা গড়ে উঠছে শুধু ফেসবুককে কেন্দ্র করেই।
ফেসবুকে আমরা বিভিন্ন বয়সের মানুষ রয়েছি। এ ক্ষেত্রে ই-কমার্স ব্যবসা আমাদের সাফল্য এনে দিতে অনেক সহায়তা করতে পারে। এখনকার সময়ে যারা ব্যবসা করার চিন্তাধারা নিয়ে এগিয়ে আসে, তারা ফেসবুকে নিজের একটি পেজ খোলে। সময়ের সঙ্গে তাদের সেই পেজে মানুষের উপস্থিতি বাড়ে। দিনের পর দিন বাড়তে থাকে তাদের পেজের ফলোয়ার। ব্যবসার উদ্দেশ্যে খোলা পেজটি আস্তে আস্তে জনপ্রিয়তা পেতে থাকে।
অনেকেই আবার তাদের ফেসবুক পেজটিতে ঠিকমতো সময় দিতে পারে না কর্মব্যস্ততার কারণে। সে ক্ষেত্রে অনেকেই তাদের পেজটি বিক্রি করেও টাকা আয় করতে পারবেন। এ ক্ষেত্রে লাভ উভয় পক্ষের। প্রথমত, পেজ বিক্রির মাধ্যমে আপনি একটা ভালো টাকা পেতে পারেন, যা আপনাকে লাভবান করবে। পাশাপাশি যিনি পেজ কিনবে, তিনিও লাভবান হবে। কারণ, সেটা জনপ্রিয়তা পাওয়া একটি ফেসবুক পেজ। তাই ফেসবুক থেকে টাকা আয় করতে চাইলে আপনি আপনার পেজটি বিক্রি করে টাকা আয় করতে পারেন।
ফেসবুকে ফ্যান পেজ তৈরি করে আয়
টাকা উপার্জনের ক্ষেত্রে ফেসবুক সত্যিই অসাধারণ একটি প্ল্যাটফর্ম। আপনি নিজের পরিচিতি বৃদ্ধির ক্ষেত্রে ফেসবুকে পেজ খুলতে পারেন।
সে ক্ষেত্রে অনেকেই আছেন, যারা জানেন না কীভাবে একটি ফেসবুক পেজ তৈরি করতে হয়। ধরুন, আপনার একটি ফেসবুক আইডি আছে এবং সেই ফেসবুক আইডিতে ৫০০-এর অধিক ফ্রেন্ড আছে; তাহলে দেরি না করে আপনিও তৈরি করতে পারেন একটি ফ্যানপেজ। এই ফ্যানপেজে আপনি চাইলে আপনার ব্যবসার প্রচার, বিভিন্ন পণ্য বিক্রি ইত্যাদির মাধ্যমে টাকা উপার্জন করতে পারেন।
ফেসবুকে ভিডিও আপলোড করে টাকা উপার্জন
আপনি চাইলে ইউটিউবের মতো ফেসবুকেও এখন ভিডিও আপলোড করে টাকা আয় করতে পারেন। ঠিক একইভাবে আপনি ইউটিউবের মতো আপনার ফেসবুক ভিডিওগুলোতে মনিটাইজ করে ইনকাম করতে পারবেন। এ ক্ষেত্রে একটু পার্থক্য হচ্ছে—ইউটিউবে গুগল অ্যাডসেন্স ব্যবহার করে ভিডিও মনিটাইজ করে টাকা উপার্জন করা হয়। আর অনেকটা একইভাবে হলেও ফেসবুকে অ্যাড চয়েসের মাধ্যমে কাজ করে টাকা আয় করা হয়।
Freelancing ও ফেসবুক মার্কেটিং ম্যানেজার হিসেবে টাকা উপার্জন
প্রথমে জানিয়ে নিই ফ্রিল্যান্সিং কী এবং তারপর আমরা জানাব কীভাবে Freelancing ও ফেসবুক মার্কেটিং ম্যানেজার হিসেবে টাকা উপার্জন করা যায়। ফ্রিল্যান্সিং বলতে মূলত কোনো প্রতিষ্ঠানের অধীনে কাজ না করে নিজের মতো স্বাধীনভাবে কাজ করাকে বোঝায়। সহজ ভাষায় বলতে গেলে, ফ্রিল্যান্সিং হচ্ছে নিজের দক্ষতা, শিক্ষা ও অভিজ্ঞতা কাজে লাগিয়ে একাধিক ক্লায়েন্টের কাজ করা। এ ক্ষেত্রে আপনি কোনো একটি প্রতিষ্ঠানের অধীনে কাজ করতে বাধ্য নন এবং আপনি স্বাধীনভাবে কাজ করতে পারেন।
বিভিন্ন মার্কেটপ্লেস যেমন ফাইভার, আপওয়ার্কসহ অন্যসব জায়গায় গেলে আপনি দেখতে পাবেন, আপনার সামনে ফেসবুক মার্কেটিং ম্যানেজার হিসেবে কাজ করতে প্রচুর জব অফার রয়েছে। তাই আপনি যদি ফেসবুক মার্কেটিং শিখতে পারেন, তাহলে আপনার জন্য ফ্রিল্যান্সিং করে টাকা উপার্জন একটি অসাধারণ পথ।
এই কাজ করার ক্ষেত্রে অবশ্যই আপনাকে জানতে হবে কীভাবে ফেসবুকে অ্যাড রান করতে হয়। আপনাকে তারা ফেসবুক পেজ ম্যানেজ করার জন্য হায়ার করবে। তাই অবশ্যই শিখে নিন, কীভাবে ফেসবুক পেজ চালাতে হয়। আরেকটি খুশির বিষয় হচ্ছে, আপনি চাইলে এই কাজগুলো মোবাইল দিয়েও সম্পন্ন করতে পারবেন। বর্তমানে ছাত্রদের জন্য অনলাইনে ইনকাম এবং মোবাইল দিয়ে টাকা উপার্জনের ক্ষেত্রে ফেসবুক সবচেয়ে বেশি সাহায্য করছে।
ফেসবুক গ্রুপের মাধ্যমে টাকা আয়
আমরা আগেই বলেছি ই-কমার্স হচ্ছে বর্তমান সময়ের সবচেয়ে জনপ্রিয় ব্যবসাক্ষেত্র। আপনি চাইলে এই প্ল্যাটফর্মকে ভাগ্য পরিবর্তনের কেন্দ্রবিন্দুও করতে পারেন। ফেসবুককে কেন্দ্র করে এখন নানা ব্যবসা করা হচ্ছে। আপনার ব্যবসার পণ্যসমূহ ঠিক তখনই মানুষের আকর্ষণ কেড়ে নেবে, যখন সেটা সুন্দরভাবে তুলে ধরতে পারবেন। তাই এ ক্ষেত্রে বিজ্ঞাপন প্রচার হতে পারে সবচেয়ে কার্যকর পদ্ধতি।
আপনার ব্যবসাকে সবার সামনে সুন্দর করে তুলে ধরার ক্ষেত্রে একটা গ্রুপের ভূমিকাও অনেক। কারণ, আপনার ব্যবসার পণ্যগুলো প্রোমোট করে কমিশনভিত্তিক ভালো পরিমাণের টাকা আয় করতে একটি গ্রুপ থাকা জরুরি। তাই গ্রুপ থেকে আপনি টাকা আয় করতে চাইলে গ্রুপের মাধ্যমে অন্যের প্রোডাক্ট প্রোমোট করে ভালো টাকা ইনকাম করতে পারবেন।
অনলাইন মার্কেটিং হচ্ছে এই সময়ের আরেকটি অসাধারণ জায়গা, যার মাধ্যমে আমরা ভালো টাকা উপার্জন করতে পারি। ফেসবুককে কেন্দ্র করে অনেকগুলো মার্কেটপ্লেস আছে। খুঁজলে দেখতে পাবেন ফেসবুকে অনেক রকম অনলাইন শপ রয়েছে।
আমরা বিভিন্ন গ্রুপ বা পেজে পণ্যের ছবি, বিবরণ, সাইজ ও মূল্য লিখে সেই প্রোডাক্টগুলোকে প্রোমোট করি। পণ্য অর্ডার করতে গ্রাহকেরা ইনবক্সে অথবা কমেন্টে আমাদের জানান। আবার কিছু কিছু কোম্পানিতে অর্ডার করার সময় ক্রেডিট কার্ড বা বিকাশের মাধ্যমে মূল্য পরিশোধের সিস্টেম চালু থাকে।
ফেসবুক মার্কেটপ্লেস থেকে টাকা আয়
ফেসবুক মার্কেটপ্লেস থেকে আয় করা যায় সহজেই। এই জায়গায় আপনি নিজের বা অন্য কারও নতুন-পুরোনো পণ্য বিক্রি করে আয় করতে পারবেন। আপনি যদি প্লে স্টোর চেক করেন, তাহলে অনেকগুলো রিসেলিং অ্যাপ পেয়ে যাবেন। যেমন— Glowroad, Shop 101, Messho. আপনার প্রথম কাজ হবে এই অ্যাপগুলো ইনস্টল করা। তারপর রেজিস্ট্রেশন করে ব্যাংক ডিটেইলসহ সাবমিট করুন।
এই অ্যাপগুলোতে আপনি কী পাবেন? এখানে আপনি বিভিন্ন কোম্পানির ভিন্ন ভিন্ন প্রোডাক্ট পাবেন। আপনার কাজ হবে সেই প্রোডাক্টগুলোর ছবি ডাউনলোড করে ফেসবুক মার্কেটপ্লেসে লিস্ট করে এসবের মূল্য দিয়ে দেওয়া।
এই মার্কেটিংয়ের ক্ষেত্রে ধরুন আপনি ওই অ্যাপ থেকে একটি টি-শার্ট কিনলেন ১৫০ টাকা দিয়ে। এবার আপনি সেটা চেঞ্জ করে প্রাইস করলেন ২৫০ টাকা। এ ক্ষেত্রে যখন আপনি আইটেমটি বিক্রি করতে পারবেন, তখন আপনার লাভ হচ্ছে ১০০ টাকা।
আপনি এভাবে চাইলে অনেকগুলো ছবি আপনার নিজের ফেসবুক মার্কেটপ্লেসে লিস্ট করতে পারেন। এবার কেউ আপনাকে ওই পণ্য কেনার জন্য মেসেজ করলে তখন তাঁর অ্যাড্রেসটা সেই অ্যাপসে, আর সেখানে আপনার প্রাইসটি ফিক্সড করে দিন। এ ক্ষেত্রে আপনি যদি ফেসবুক শপ ডিজাইন জেনে থাকেন, তাহলে এটা আপনার জন্য আরও বেশি ভালো হয়।
এরপর কোম্পানি সেই অ্যাড্রেসে প্রোডাক্ট ডেলিভারি করে দেবে আপনার নামে। আর পণ্যটি বিক্রি হওয়ার পর একটা ফিক্সড কমিশন চলে আসবে আপনার ব্যাংক অ্যাকাউন্টে। এভাবেই আপনি ফেসবুক মার্কেটিংয়ের মাধ্যমে টাকা উপার্জন করতে পারেন।
গুগল অ্যাডসেন্স ও টাকা উপার্জন
আমরা সবাই গুগল অ্যাডসেন্স সম্পর্কে খুব একটা পরিচিত নই। এটি হচ্ছে গুগল পরিচালিত একটি ওয়েব অ্যাপ্লিকেশন, যা মূলত একটি লাভ-অংশীদার প্রকল্প নামে পরিচিত। গুগল অ্যাডসেন্সের মাধ্যমে গুগল ও তার ব্যবহারকারীরা তাদের নিজেদের ওয়েবসাইটে বিজ্ঞাপন প্রচার করে অর্থ উপার্জন করে থাকে। এ ক্ষেত্রে একটি ব্লগ বা ওয়েবসাইটের মালিক কিছু নিয়ম অনুসরণ করে তাদের নিজেদের সাইটে গুগল নির্ধারিত বিজ্ঞাপন দেখানোর মাধ্যমে টাকা উপার্জন করতে পারেন।
গুগল অ্যাডসেন্স থেকে ইনকাম করার ক্ষেত্রে আপনাকে প্রথমে গুগল অ্যাডসেন্সের পাবলিশার হতে হবে। এরপর আপনার ব্লগ/ওয়েবসাইট বা ইউটিউব চ্যানেলে অ্যাডসেন্সের বিজ্ঞাপন প্রচার করতে হবে। সেই বিজ্ঞাপন দেখে কেউ যখন ক্লিক করবে, তখন প্রতি ক্লিকের জন্য নির্দিষ্ট পরিমাণ টাকা আপনি পাবেন। এটা ছাড়াও শুধু আপনার ব্লগ/সাইটের বিজ্ঞাপন দেখানোর জন্যও আপনি কিছু ইনকাম করতে পারেন।
তবে হ্যাঁ, গুগল অ্যাডসেন্স বিজ্ঞাপনের কোডগুলো সঠিক জায়গায় বসাতে হবে, যাতে করে ভিজিটররা সহজে বিজ্ঞাপনটি দেখতে পান এবং ক্লিক করেন। জেনে রাখা ভালো, গুগল অ্যাডসেন্স সব সময় কনটেন্ট-বিষয়ক বিজ্ঞাপন প্রদর্শন করে। তাই ভিজিটরের সুবিধার্থে আপনি বিজ্ঞাপনের কোডগুলো বসাবেন। ভিজিটর নিশ্চয়ই তাঁর প্রয়োজনে বিজ্ঞাপনে ক্লিক করবেন। তবে ভুল করেও বেশি বিজ্ঞাপন ব্যবহার না করাই ভালো।
কারণ, গুগল অ্যাডসেন্স তাদের বিজ্ঞাপনের পাশাপাশি অন্য কোনো বিজ্ঞাপন দেখতে পছন্দ করে না। গুগল অ্যাডসেন্সের জন্য আবেদন করার আগে খেয়াল করে দেখুন অন্য বিজ্ঞাপনের বিষয়গুলো। চেষ্টা করুন ভিজিটরের চাহিদামতো অরিজিনাল, সৃজনশীল ও মানসম্পন্ন কনটেন্ট তৈরি করতে। অ্যাডসেন্স থেকে ভালো ইনকাম জেনারেট করতে এটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
ব্লগে সব সময় নতুন নতুন আর্টিকেল পোস্ট করার চেষ্টা করুন, যা ইউনিক ও নতুন ভিজিটর পেতে অবশ্যই আপনাকে সাহায্য করবে। এসইও অনুযায়ী ব্লগে সৃজনশীল কনটেন্ট শেয়ার করলেই ভিজিটর ও আয় দুটিই বাড়তে থাকবে এবং এ বিষয়ে আপনি আশাবাদী থাকতে পারেন।
ফেসবুকে কনটেন্ট রাইটিং গ্রুপ থেকে আয়
বর্তমান সময়ে আয়ের অনেক উৎস বের হচ্ছে। আর ফেসবুক সোশ্যাল মিডিয়া ঘরে বসে সহজে আয় করার নতুন পদ্ধতি তৈরির ক্ষেত্রে অনেক বেশিই প্রভাব ফেলছে। ফেসবুকে আয়ের এতসব প্ল্যাটফর্মের মধ্যে উল্লেখযোগ্য একটি হলো আর্টিকেল রাইটিং কিংবা কনটেন্ট রাইটিং।
এখন ফেসবুকের বিভিন্ন গ্রুপের মাধ্যমে আপনি সহজেই পেতে পারেন আর্টিকেল রাইটিংয়ের কাজ। এই কাজ করে আপনি ভালো টাকা আয় করতে পারবেন। তাই আপনি যদি মনে করেন আর্টিকেল রাইটিং আপনার জন্য সহজ হবে, তাহলে আজই শুরু করতে পারেন আর্টিকেল রাইটিং।
অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং ও ফেসবুকে আয়
আমাদের অনেকের মনেই প্রশ্ন জাগবে যে, অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিংটা আবার কী? তাই প্রথমেই আমরা আপনাকে বলতে চাই যে, অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং হচ্ছে কোনো কোম্পানি বা কোনো প্রতিষ্ঠানের প্রোডাক্ট বিক্রি করে দেওয়া। এটাও খুবই জনপ্রিয় একটি আয়ের পথ।
আপনি চাইলে খুব সহজেই আপনার ফেসবুক পেজ বা গ্রুপে অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করে টাকা আয় করতে পারবেন। এই মাধ্যমে আপনি যাদের প্রোডাক্ট বিক্রি করে দেবেন, তাদের কাছ থেকে কিছু কমিশন পাবেন।
যে মার্কেটপ্লেসে অনেক ওয়েবসাইট রয়েছে, সেখানে আপনি এই ওয়েবসাইটগুলোর অ্যাফিলিয়েট প্রোগ্রামে থাকতে পারেন। বড় বড় ওয়েবসাইট; যেমন—আমাজন, আলিবাবা, ফ্লিপকার্ট ওয়েবসাইটগুলোতে অ্যাফিলিয়েট প্রোগ্রামে যোগদানের মাধ্যমে চাইলে আপনি টাকা উপার্জন করতে পারেন। এ ছাড়া টেক রিলেটেড কনটেন্ট পেজ হলে আপনার জন্য রয়েছে সুবর্ণ সুযোগ। চাইলে আপনার ফেসবুক পেজ থেকে খুবই বড় অঙ্কের টাকা আয় করতে পারবেন।
এসব পথ অনুসরণ করে আপনি খুব সহজেই ফেসবুক থেকে আয় করতে পারবেন। বর্তমান সময়ে ঘরে বসে আয়ের ক্ষেত্রে ফেসবুকের অবদান সত্যিই অপরিসীম। তাই বসে না থেকে আজই শুরু করতে পারেন ফেসবুকে টাকা উপার্জন।
ফেসবুক সম্পর্কিত পড়ুন:

স্মার্টফোন ব্র্যান্ড রিয়েলমি দেশে রিয়েলমি সি৮৫ উন্মোচন করেছে। এই ডিভাইসটির প্রধান আকর্ষণ হলো এর শক্তিশালী ৭০০০ মিলি অ্যাম্পিয়ারের আলট্রা ব্যাটারি ও ৪৫ ওয়াট ফাস্ট চার্জিং সক্ষমতা (যা ১০ ওয়াট রিভার্স চার্জিংও সাপোর্ট করে)।
৫ ঘণ্টা আগে
কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা বা এআই এখন আর শুধু প্রযুক্তি খাতেই সীমাবদ্ধ নয়; ব্যক্তিগত অর্থ ব্যবস্থাপনাতেও এটি হয়ে উঠছে নতুন ভরসা। বিশেষ করে জেন-জি ও মিলেনিয়াল প্রজন্মের মধ্যে এআই ব্যবহার করে খরচ নিয়ন্ত্রণ ও সঞ্চয় বাড়ানোর প্রবণতা দ্রুত বাড়ছে।
১৮ ঘণ্টা আগে
অনলাইন ক্লাস, গাইডবুক আর মক টেস্টের পরেও বাংলাদেশের পরীক্ষার্থীদের বড় একটি অংশ নিয়মিত অনুশীলনের অভাবে পিছিয়ে পড়েন। পড়া থাকলেও কোথায় দুর্বলতা, কীভাবে নিজের অগ্রগতি যাচাই করবেন—সে প্রশ্নের উত্তর অনেক সময় মেলে না।
১ দিন আগে
মানুষ কি পৃথিবীকে ধ্বংসের দিকে নিয়ে যাচ্ছে? এ কথা কেন বলছি, তার কারণ আছে।গত বছর ডিসেম্বরে বিজ্ঞান পত্রিকা ‘সায়েন্স’-এ ৯টি দেশের মোট ৩৮ জন খ্যাতনামা বিজ্ঞানী একত্রে বিবৃতি দিয়ে মানুষকে সতর্ক করেছেন। তাঁদের মধ্যে দুজন আছেন নোবেলজয়ী বিজ্ঞানী।
১ দিন আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

স্মার্টফোন ব্র্যান্ড রিয়েলমি দেশে রিয়েলমি সি৮৫ উন্মোচন করেছে। এই ডিভাইসটির প্রধান আকর্ষণ হলো এর শক্তিশালী ৭০০০ মিলি অ্যাম্পিয়ারের আলট্রা ব্যাটারি ও ৪৫ ওয়াট ফাস্ট চার্জিং সক্ষমতা (যা ১০ ওয়াট রিভার্স চার্জিংও সাপোর্ট করে)।
ফোনটিতে গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ড বিজয়ী ইন্ডাস্ট্রির সর্বোচ্চ ওয়াটার অ্যান্ড ডাস্ট প্রোটেকশন স্ট্যান্ডার্ড—আইপি ৬৯ প্রো রেটিং রয়েছে, যা এটিকে ৬০ দিন পর্যন্ত পানির নিচে টিকে থাকতে সাহায্য করে।
এতে রয়েছে ৬.৮ ইঞ্চি অ্যামোলেড ডিসপ্লে, যার রিফ্রেশ রেট সুপার-স্মুথ ১৪৪ হার্জ এবং পিক ব্রাইটনেস ১,২০০ নিট।
ডিভাইসটিতে স্ন্যাপড্রাগন ৬৮৫ ফোরজি প্রসেসর ব্যবহার করা হয়েছে। ফটোগ্রাফির জন্য পেছনে ৫০ মেগাপিক্সেল প্রাইমারি ক্যামেরা এবং সামনে ৮ মেগাপিক্সেল ফ্রন্ট ক্যামেরা রয়েছে।
রিয়েলমি সি৮৫ সোয়ান ব্ল্যাক ও কিংফিশার ব্লু রঙে দুইটি ভ্যারিয়েন্টে পাওয়া যাচ্ছে: ৬ জিবি + ১২৮ জিবি: মূল্য ১৮,৯৯৯ টাকা। ৮ জিবি + ১২৮ জিবি: মূল্য ২০,৯৯৯ টাকা।

স্মার্টফোন ব্র্যান্ড রিয়েলমি দেশে রিয়েলমি সি৮৫ উন্মোচন করেছে। এই ডিভাইসটির প্রধান আকর্ষণ হলো এর শক্তিশালী ৭০০০ মিলি অ্যাম্পিয়ারের আলট্রা ব্যাটারি ও ৪৫ ওয়াট ফাস্ট চার্জিং সক্ষমতা (যা ১০ ওয়াট রিভার্স চার্জিংও সাপোর্ট করে)।
ফোনটিতে গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ড বিজয়ী ইন্ডাস্ট্রির সর্বোচ্চ ওয়াটার অ্যান্ড ডাস্ট প্রোটেকশন স্ট্যান্ডার্ড—আইপি ৬৯ প্রো রেটিং রয়েছে, যা এটিকে ৬০ দিন পর্যন্ত পানির নিচে টিকে থাকতে সাহায্য করে।
এতে রয়েছে ৬.৮ ইঞ্চি অ্যামোলেড ডিসপ্লে, যার রিফ্রেশ রেট সুপার-স্মুথ ১৪৪ হার্জ এবং পিক ব্রাইটনেস ১,২০০ নিট।
ডিভাইসটিতে স্ন্যাপড্রাগন ৬৮৫ ফোরজি প্রসেসর ব্যবহার করা হয়েছে। ফটোগ্রাফির জন্য পেছনে ৫০ মেগাপিক্সেল প্রাইমারি ক্যামেরা এবং সামনে ৮ মেগাপিক্সেল ফ্রন্ট ক্যামেরা রয়েছে।
রিয়েলমি সি৮৫ সোয়ান ব্ল্যাক ও কিংফিশার ব্লু রঙে দুইটি ভ্যারিয়েন্টে পাওয়া যাচ্ছে: ৬ জিবি + ১২৮ জিবি: মূল্য ১৮,৯৯৯ টাকা। ৮ জিবি + ১২৮ জিবি: মূল্য ২০,৯৯৯ টাকা।

বর্তমান সময়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম হিসেবে ফেসবুকের জনপ্রিয়তা সবচেয়ে বেশি। জনপ্রিয়তা পাবেই-বা না কেন? এই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমই যে বর্তমানে আয়ের অন্যতম মাধ্যম হয়ে উঠেছে! ফেসবুকের মাধ্যমে কীভাবে আয় করা যায়, তা নিয়েই আজকের এই লেখা।
০৮ মার্চ ২০২২
কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা বা এআই এখন আর শুধু প্রযুক্তি খাতেই সীমাবদ্ধ নয়; ব্যক্তিগত অর্থ ব্যবস্থাপনাতেও এটি হয়ে উঠছে নতুন ভরসা। বিশেষ করে জেন-জি ও মিলেনিয়াল প্রজন্মের মধ্যে এআই ব্যবহার করে খরচ নিয়ন্ত্রণ ও সঞ্চয় বাড়ানোর প্রবণতা দ্রুত বাড়ছে।
১৮ ঘণ্টা আগে
অনলাইন ক্লাস, গাইডবুক আর মক টেস্টের পরেও বাংলাদেশের পরীক্ষার্থীদের বড় একটি অংশ নিয়মিত অনুশীলনের অভাবে পিছিয়ে পড়েন। পড়া থাকলেও কোথায় দুর্বলতা, কীভাবে নিজের অগ্রগতি যাচাই করবেন—সে প্রশ্নের উত্তর অনেক সময় মেলে না।
১ দিন আগে
মানুষ কি পৃথিবীকে ধ্বংসের দিকে নিয়ে যাচ্ছে? এ কথা কেন বলছি, তার কারণ আছে।গত বছর ডিসেম্বরে বিজ্ঞান পত্রিকা ‘সায়েন্স’-এ ৯টি দেশের মোট ৩৮ জন খ্যাতনামা বিজ্ঞানী একত্রে বিবৃতি দিয়ে মানুষকে সতর্ক করেছেন। তাঁদের মধ্যে দুজন আছেন নোবেলজয়ী বিজ্ঞানী।
১ দিন আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা বা এআই এখন আর শুধু প্রযুক্তি খাতেই সীমাবদ্ধ নয়; ব্যক্তিগত অর্থ ব্যবস্থাপনাতেও এটি হয়ে উঠছে নতুন ভরসা। বিশেষ করে জেন-জি ও মিলেনিয়াল প্রজন্মের মধ্যে এআই ব্যবহার করে খরচ নিয়ন্ত্রণ ও সঞ্চয় বাড়ানোর প্রবণতা দ্রুত বাড়ছে। এরই একটি উদাহরণ কানাডার অন্টারিওভিত্তিক একটি প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠানের সহপ্রতিষ্ঠাতা তাকি ওং।
মঙ্গলবার (১৬ ডিসেম্বর) রয়টার্স জানিয়েছে, ২৭ বছর বয়সী তাকি ওং ব্যস্ত পেশাজীবীদের জন্য এআই টুল তৈরি করেন। তবে নিজের ব্যক্তিগত অর্থ পরিচালনায়ও তিনি এআইয়ের ওপর ভরসা রাখেন। গুগলের জেমিনি এআই মডেলকে তিনি নিজের ‘২৪ ঘণ্টার ব্যক্তিগত আর্থিক উপদেষ্টা’ বলে মনে করেন।
ওং জানান, প্রতি মাসে তিনি নিজের ক্রেডিট কার্ড ও অন্যান্য খরচের হিসাব নিজে হাতে এআইয়ে ইনপুট দেন। এরপর এআই সেই তথ্য বিশ্লেষণ করে তাঁকে জানায় কোথায় অপ্রয়োজনীয় খরচ হচ্ছে।
ওংয়ের ভাষায়, এআই কখনো বলে দেয়—‘তুমি হয়তো রেস্তোরাঁয় বেশি খাচ্ছ’, আবার কখনো সতর্ক করে—‘এই সাবস্ক্রিপশনগুলো অপ্রয়োজনীয়।’ এই ধরনের বিশ্লেষণের ফলেই তিনি বাইরে খাওয়ার খরচ মাসে ৬০০ ডলার থেকে কমিয়ে ২০০ ডলারে নামাতে পেরেছেন। একইভাবে টিভি ও অন্যান্য সাবস্ক্রিপশনের খরচ ৩০০ ডলার থেকে কমে দাঁড়িয়েছে মাত্র ৫০ ডলারে।
তবে সুবিধার পাশাপাশি সতর্কতাও অবলম্বন করছেন তিনি। ওং স্পষ্ট করে বলেন, তিনি কখনোই এআইয়ের সঙ্গে নিজের ব্যাংক অ্যাকাউন্ট যুক্ত করেন না। শুধুমাত্র মোট খরচের সংখ্যা বা সামগ্রিক তথ্যই তিনি শেয়ার করেন, যাতে ব্যক্তিগত ডেটা সুরক্ষিত থাকে।
এই প্রবণতা শুধু ওংয়ের মধ্যেই সীমাবদ্ধ নয়। এক গবেষণায় দেখা গেছে, এআই ব্যবহারকারী আমেরিকানদের একটি বড় অংশ আর্থিক পরামর্শ নিতে এআইয়ের ওপর নির্ভর করছে। এঁদের মধ্যে জেন জি ও মিলেনিয়ালদের হার ৮২ শতাংশ। যুক্তরাজ্যেও প্রায় তিনজনের একজন নিয়মিত ব্যক্তিগত অর্থ ব্যবস্থাপনায় এআই ব্যবহার করেন।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এআই সময় বাঁচাতে ও খরচের দুর্বল জায়গা চিহ্নিত করতে সহায়ক হলেও সব পরামর্শ যাচাই করে নেওয়া জরুরি। পাশাপাশি ব্যক্তিগত তথ্য শেয়ার করার ক্ষেত্রে সতর্ক থাকাই সবচেয়ে নিরাপদ পথ।

কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা বা এআই এখন আর শুধু প্রযুক্তি খাতেই সীমাবদ্ধ নয়; ব্যক্তিগত অর্থ ব্যবস্থাপনাতেও এটি হয়ে উঠছে নতুন ভরসা। বিশেষ করে জেন-জি ও মিলেনিয়াল প্রজন্মের মধ্যে এআই ব্যবহার করে খরচ নিয়ন্ত্রণ ও সঞ্চয় বাড়ানোর প্রবণতা দ্রুত বাড়ছে। এরই একটি উদাহরণ কানাডার অন্টারিওভিত্তিক একটি প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠানের সহপ্রতিষ্ঠাতা তাকি ওং।
মঙ্গলবার (১৬ ডিসেম্বর) রয়টার্স জানিয়েছে, ২৭ বছর বয়সী তাকি ওং ব্যস্ত পেশাজীবীদের জন্য এআই টুল তৈরি করেন। তবে নিজের ব্যক্তিগত অর্থ পরিচালনায়ও তিনি এআইয়ের ওপর ভরসা রাখেন। গুগলের জেমিনি এআই মডেলকে তিনি নিজের ‘২৪ ঘণ্টার ব্যক্তিগত আর্থিক উপদেষ্টা’ বলে মনে করেন।
ওং জানান, প্রতি মাসে তিনি নিজের ক্রেডিট কার্ড ও অন্যান্য খরচের হিসাব নিজে হাতে এআইয়ে ইনপুট দেন। এরপর এআই সেই তথ্য বিশ্লেষণ করে তাঁকে জানায় কোথায় অপ্রয়োজনীয় খরচ হচ্ছে।
ওংয়ের ভাষায়, এআই কখনো বলে দেয়—‘তুমি হয়তো রেস্তোরাঁয় বেশি খাচ্ছ’, আবার কখনো সতর্ক করে—‘এই সাবস্ক্রিপশনগুলো অপ্রয়োজনীয়।’ এই ধরনের বিশ্লেষণের ফলেই তিনি বাইরে খাওয়ার খরচ মাসে ৬০০ ডলার থেকে কমিয়ে ২০০ ডলারে নামাতে পেরেছেন। একইভাবে টিভি ও অন্যান্য সাবস্ক্রিপশনের খরচ ৩০০ ডলার থেকে কমে দাঁড়িয়েছে মাত্র ৫০ ডলারে।
তবে সুবিধার পাশাপাশি সতর্কতাও অবলম্বন করছেন তিনি। ওং স্পষ্ট করে বলেন, তিনি কখনোই এআইয়ের সঙ্গে নিজের ব্যাংক অ্যাকাউন্ট যুক্ত করেন না। শুধুমাত্র মোট খরচের সংখ্যা বা সামগ্রিক তথ্যই তিনি শেয়ার করেন, যাতে ব্যক্তিগত ডেটা সুরক্ষিত থাকে।
এই প্রবণতা শুধু ওংয়ের মধ্যেই সীমাবদ্ধ নয়। এক গবেষণায় দেখা গেছে, এআই ব্যবহারকারী আমেরিকানদের একটি বড় অংশ আর্থিক পরামর্শ নিতে এআইয়ের ওপর নির্ভর করছে। এঁদের মধ্যে জেন জি ও মিলেনিয়ালদের হার ৮২ শতাংশ। যুক্তরাজ্যেও প্রায় তিনজনের একজন নিয়মিত ব্যক্তিগত অর্থ ব্যবস্থাপনায় এআই ব্যবহার করেন।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এআই সময় বাঁচাতে ও খরচের দুর্বল জায়গা চিহ্নিত করতে সহায়ক হলেও সব পরামর্শ যাচাই করে নেওয়া জরুরি। পাশাপাশি ব্যক্তিগত তথ্য শেয়ার করার ক্ষেত্রে সতর্ক থাকাই সবচেয়ে নিরাপদ পথ।

বর্তমান সময়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম হিসেবে ফেসবুকের জনপ্রিয়তা সবচেয়ে বেশি। জনপ্রিয়তা পাবেই-বা না কেন? এই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমই যে বর্তমানে আয়ের অন্যতম মাধ্যম হয়ে উঠেছে! ফেসবুকের মাধ্যমে কীভাবে আয় করা যায়, তা নিয়েই আজকের এই লেখা।
০৮ মার্চ ২০২২
স্মার্টফোন ব্র্যান্ড রিয়েলমি দেশে রিয়েলমি সি৮৫ উন্মোচন করেছে। এই ডিভাইসটির প্রধান আকর্ষণ হলো এর শক্তিশালী ৭০০০ মিলি অ্যাম্পিয়ারের আলট্রা ব্যাটারি ও ৪৫ ওয়াট ফাস্ট চার্জিং সক্ষমতা (যা ১০ ওয়াট রিভার্স চার্জিংও সাপোর্ট করে)।
৫ ঘণ্টা আগে
অনলাইন ক্লাস, গাইডবুক আর মক টেস্টের পরেও বাংলাদেশের পরীক্ষার্থীদের বড় একটি অংশ নিয়মিত অনুশীলনের অভাবে পিছিয়ে পড়েন। পড়া থাকলেও কোথায় দুর্বলতা, কীভাবে নিজের অগ্রগতি যাচাই করবেন—সে প্রশ্নের উত্তর অনেক সময় মেলে না।
১ দিন আগে
মানুষ কি পৃথিবীকে ধ্বংসের দিকে নিয়ে যাচ্ছে? এ কথা কেন বলছি, তার কারণ আছে।গত বছর ডিসেম্বরে বিজ্ঞান পত্রিকা ‘সায়েন্স’-এ ৯টি দেশের মোট ৩৮ জন খ্যাতনামা বিজ্ঞানী একত্রে বিবৃতি দিয়ে মানুষকে সতর্ক করেছেন। তাঁদের মধ্যে দুজন আছেন নোবেলজয়ী বিজ্ঞানী।
১ দিন আগে
অনলাইন ক্লাস, গাইডবুক আর মক টেস্টের পরেও বাংলাদেশের পরীক্ষার্থীদের বড় একটি অংশ নিয়মিত অনুশীলনের অভাবে পিছিয়ে পড়েন। পড়া থাকলেও কোথায় দুর্বলতা, কীভাবে নিজের অগ্রগতি যাচাই করবেন—সে প্রশ্নের উত্তর অনেক সময় মেলে না। এই প্রেক্ষাপটে ‘চর্চা’ নিজেকে উপস্থাপন করছে একটি অনুশীলনকেন্দ্রিক লার্নিং প্ল্যাটফর্ম হিসেবে। দেশের এডটেক খাতে এই উদ্যোগের ভাবনা, চ্যালেঞ্জ ও ভবিষ্যৎ দৃষ্টিভঙ্গি নিয়ে কথা বলেছেন চর্চার প্রতিষ্ঠাতা ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা রায়হান উল ইসলাম সানজিদ। সাক্ষাৎকার নিয়েছেন মো. আশিকুর রহমান।
আশিকুর রহমান

চর্চার শুরুটা কীভাবে?
চর্চার আনুষ্ঠানিক যাত্রা শুরু হয় ২০২১ সালে। তখন আমি নিজেই ইঞ্জিনিয়ারিং ভর্তি পরীক্ষার প্রস্তুতি নিচ্ছিলাম। প্রতিদিন ক্লাস, লেকচার, গাইডবুক আর প্রশ্নব্যাংকের চাপ—সব মিলিয়ে নিজের মতো করে প্র্যাকটিস করার সময় খুব কম পাওয়া যেত। এই জায়গায় সমস্যাটা সবচেয়ে বেশি চোখে পড়ে। ভাবলাম, যদি এমন একটি প্ল্যাটফর্ম থাকে, যেখানে গৎবাঁধা নিয়মে আটকে না থেকে নিয়মিত ও সহজভাবে প্র্যাকটিস করা যায়, তাহলে শেখাটা অনেক বেশি আনন্দের হতে পারে। সেই ভাবনা থেকে চর্চার জন্ম। রুয়েটের কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগে ভর্তির পর কাজটি আরও গতি পায়। ক্লাসরুম থেকেই আমার কো-ফাউন্ডার ও সিএমও নাফিসের সঙ্গে পরিচয়। পরে গালিব কো-ফাউন্ডার ও সিওও হিসেবে যুক্ত হন। শুরু থেকেই মার্কেটিং ও অপারেশনের দায়িত্ব মূলত তাঁরা দুজনই সামলাচ্ছেন।
চর্চা অ্যাপ তৈরির পেছনে মূল অনুপ্রেরণা কী ছিল?
আমাদের শিক্ষাব্যবস্থায় পড়াশোনা আর পরীক্ষাকে প্রায় সব সময় ভয়ের বিষয় হিসেবে উপস্থাপন করা হয়। অথচ শেখার প্রক্রিয়াটা হওয়া উচিত আনন্দদায়ক, যেখানে একজন শিক্ষার্থী সমস্যা সমাধান করতে করতেই শিখবেন। নিজের অভিজ্ঞতা থেকে দেখেছি, পড়ার উপকরণ অনেক থাকলেও নিয়মিত প্র্যাকটিসের সুযোগ খুব সীমিত। এই বাস্তবতা থেকে চর্চার ভাবনা। আমরা চাই, শিক্ষার্থীরা পরীক্ষাকে ভয় না পেয়ে প্র্যাকটিসের মাধ্যমে শেখার আনন্দ খুঁজে পাক। শেখার প্রতিটি ধাপ যেন চাপ না হয়ে আগ্রহ তৈরি করে—এটিই ছিল চর্চার মূল অনুপ্রেরণা।
শুরুতে বড় চ্যালেঞ্জ কী ছিল?
নির্ভরযোগ্য প্ল্যাটফর্ম তৈরি করা ‘চর্চা’র বড় চ্যালেঞ্জ ছিল। যেটি একসঙ্গে হাজার হাজার ব্যবহারকারী সামলাতে পারবে এবং সবার জন্য অভিজ্ঞতাটি হবে নিরবচ্ছিন্ন। এর পাশাপাশি বাস্তব চ্যালেঞ্জ ছিল দেশের বিভিন্ন প্রান্তের, বিভিন্ন স্তরের শিক্ষার্থীদের জন্য মানসম্মত ও উপযোগী কনটেন্ট তৈরি করা। অষ্টম শ্রেণি থেকে বিসিএস—প্রতিটি স্তরের জন্য আলাদা চাহিদা রয়েছে। সেই কনটেন্ট যেন একদিকে নির্ভুল হয়, অন্যদিকে আকর্ষণীয় ও গেমিফাইড হয়। এই ভারসাম্য বজায় রাখাটা ছিল কঠিন। তবে ধাপে ধাপে এসব চ্যালেঞ্জ অতিক্রম করে আজ চর্চা একটি গ্রহণযোগ্য প্ল্যাটফর্মে পরিণত হয়েছে।
‘চর্চা এআই’-এর ধারণা কীভাবে এল?
এটি মূলত এআই এজেন্ট, যা এনসিটিবি পাঠ্যবই এবং আমাদের ১০ লক্ষাধিক প্রশ্নের ডেটাবেইসের ওপর প্রশিক্ষিত। শিক্ষার্থীরা টেক্সট বা ছবি আকারে যেকোনো প্রশ্ন দিতে পারেন, আর চর্চা এআই বইভিত্তিক রেফারেন্সসহ উত্তর দেয়। এটি শুধু ডাউট সলভিং নয়, বরং একটি পার্সোনালাইজড লার্নিং সলিউশন। শিক্ষার্থী বুঝতে পারেন—কোন টপিকে তিনি দুর্বল, কোথায় আরও প্র্যাকটিস দরকার। মাত্র তিন মাসে চর্চা এআই-এ ৩ লাখ ৫০ হাজারের বেশি চ্যাটরুম তৈরি হয়েছে।
প্রশ্নভান্ডারের মান কীভাবে নিশ্চিত করেন?
চর্চার কনটেন্ট মান নিশ্চিত করতে আমাদের একটি আলাদা কনটেন্ট টিম রয়েছে। অষ্টম শ্রেণি, এসএসসি, এইচএসসি ও বিসিএস—প্রতিটি সেগমেন্টে আলাদা টিম কাজ করে। বিজ্ঞান, মানবিক ও ব্যবসায় শিক্ষা এই তিন ধারার জন্য রয়েছে বিষয়ভিত্তিক এক্সপার্টরা। নিয়মিত আপডেট, রিভিউ এবং গবেষণার মাধ্যমে কনটেন্টের মান ধরে রাখাই আমাদের মূল অগ্রাধিকার।
স্ট্রিক, লিডার বোর্ড ও রিপোর্ট কতটা কার্যকর?
চর্চা ‘লার্নিং থ্রো প্র্যাকটিস’ ধারণাটিকে প্রাধান্য দেয়। স্ট্রিক শিক্ষার্থীদের দৈনিক অভ্যাস গড়তে সাহায্য করে। আমাদের এমন ব্যবহারকারীও আছেন, যাঁদের স্ট্রিক এক বছরের বেশি। লিডার বোর্ড শিক্ষার্থীদের মধ্যে প্রতিযোগিতা তৈরি করে। আর মাসিক রিপোর্ট শিক্ষার্থীকে নিজের অগ্রগতি বুঝতে সাহায্য করে। কোথায় উন্নতি হচ্ছে বা কোথায় আরও মনোযোগ দরকার, সেসব বোঝা যায় এ থেকে।
ডেটা প্রাইভেসি ও নিরাপত্তা কীভাবে নিশ্চিত করছেন?
ব্যবহারকারীর ডেটা সুরক্ষা আমাদের কাছে গুরুত্বপূর্ণ। ব্যবহারকারীরা যেকোনো সময় নিজেদের তথ্য বা অ্যাকাউন্ট মুছে ফেলতে পারেন। কোনো তথ্য ব্যবহারকারীর সম্মতি ছাড়া সংগ্রহ করা হয় না। সব ডেটা এনক্রিপটেড থাকে এবং অ্যাপ সার্ভার যোগাযোগ এইচটিটিপিএস সিকিউরিটির মাধ্যমে সুরক্ষিত। এই ব্যবস্থাগুলো ব্যবহারকারীদের নিশ্চিন্ত অভিজ্ঞতা নিশ্চিত করে।
ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা কী?
আগামী পাঁচ বছরে আমরা চর্চাকে বাংলাদেশের সবচেয়ে বেশি ব্যবহৃত লার্নিং অ্যাপে পরিণত করতে চাই। আমাদের লক্ষ্য ১০ কোটির বেশি শিক্ষার্থীকে সেবা দেওয়া। একই সঙ্গে আমরা বিশ্বাস করি, শেখার কোনো সীমানা নেই। তাই চর্চাকে একটি গ্লোবাল লার্নিং অ্যান্ড প্র্যাকটিস ব্র্যান্ড হিসেবে প্রতিষ্ঠা করাও আমাদের লক্ষ্য। বাংলাদেশ থেকে জন্ম নেওয়া একটি প্ল্যাটফর্ম যেন বিশ্বজুড়ে শিক্ষার্থীদের শেখার সঙ্গী হয়ে ওঠে, এই স্বপ্ন নিয়েই আমরা এগোচ্ছি।
চর্চার শুরুটা কীভাবে?
চর্চার আনুষ্ঠানিক যাত্রা শুরু হয় ২০২১ সালে। তখন আমি নিজেই ইঞ্জিনিয়ারিং ভর্তি পরীক্ষার প্রস্তুতি নিচ্ছিলাম। প্রতিদিন ক্লাস, লেকচার, গাইডবুক আর প্রশ্নব্যাংকের চাপ—সব মিলিয়ে নিজের মতো করে প্র্যাকটিস করার সময় খুব কম পাওয়া যেত। এই জায়গায় সমস্যাটা সবচেয়ে বেশি চোখে পড়ে। ভাবলাম, যদি এমন একটি প্ল্যাটফর্ম থাকে, যেখানে গৎবাঁধা নিয়মে আটকে না থেকে নিয়মিত ও সহজভাবে প্র্যাকটিস করা যায়, তাহলে শেখাটা অনেক বেশি আনন্দের হতে পারে। সেই ভাবনা থেকে চর্চার জন্ম। রুয়েটের কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগে ভর্তির পর কাজটি আরও গতি পায়। ক্লাসরুম থেকেই আমার কো-ফাউন্ডার ও সিএমও নাফিসের সঙ্গে পরিচয়। পরে গালিব কো-ফাউন্ডার ও সিওও হিসেবে যুক্ত হন। শুরু থেকেই মার্কেটিং ও অপারেশনের দায়িত্ব মূলত তাঁরা দুজনই সামলাচ্ছেন।
চর্চা অ্যাপ তৈরির পেছনে মূল অনুপ্রেরণা কী ছিল?
আমাদের শিক্ষাব্যবস্থায় পড়াশোনা আর পরীক্ষাকে প্রায় সব সময় ভয়ের বিষয় হিসেবে উপস্থাপন করা হয়। অথচ শেখার প্রক্রিয়াটা হওয়া উচিত আনন্দদায়ক, যেখানে একজন শিক্ষার্থী সমস্যা সমাধান করতে করতেই শিখবেন। নিজের অভিজ্ঞতা থেকে দেখেছি, পড়ার উপকরণ অনেক থাকলেও নিয়মিত প্র্যাকটিসের সুযোগ খুব সীমিত। এই বাস্তবতা থেকে চর্চার ভাবনা। আমরা চাই, শিক্ষার্থীরা পরীক্ষাকে ভয় না পেয়ে প্র্যাকটিসের মাধ্যমে শেখার আনন্দ খুঁজে পাক। শেখার প্রতিটি ধাপ যেন চাপ না হয়ে আগ্রহ তৈরি করে—এটিই ছিল চর্চার মূল অনুপ্রেরণা।
শুরুতে বড় চ্যালেঞ্জ কী ছিল?
নির্ভরযোগ্য প্ল্যাটফর্ম তৈরি করা ‘চর্চা’র বড় চ্যালেঞ্জ ছিল। যেটি একসঙ্গে হাজার হাজার ব্যবহারকারী সামলাতে পারবে এবং সবার জন্য অভিজ্ঞতাটি হবে নিরবচ্ছিন্ন। এর পাশাপাশি বাস্তব চ্যালেঞ্জ ছিল দেশের বিভিন্ন প্রান্তের, বিভিন্ন স্তরের শিক্ষার্থীদের জন্য মানসম্মত ও উপযোগী কনটেন্ট তৈরি করা। অষ্টম শ্রেণি থেকে বিসিএস—প্রতিটি স্তরের জন্য আলাদা চাহিদা রয়েছে। সেই কনটেন্ট যেন একদিকে নির্ভুল হয়, অন্যদিকে আকর্ষণীয় ও গেমিফাইড হয়। এই ভারসাম্য বজায় রাখাটা ছিল কঠিন। তবে ধাপে ধাপে এসব চ্যালেঞ্জ অতিক্রম করে আজ চর্চা একটি গ্রহণযোগ্য প্ল্যাটফর্মে পরিণত হয়েছে।
‘চর্চা এআই’-এর ধারণা কীভাবে এল?
এটি মূলত এআই এজেন্ট, যা এনসিটিবি পাঠ্যবই এবং আমাদের ১০ লক্ষাধিক প্রশ্নের ডেটাবেইসের ওপর প্রশিক্ষিত। শিক্ষার্থীরা টেক্সট বা ছবি আকারে যেকোনো প্রশ্ন দিতে পারেন, আর চর্চা এআই বইভিত্তিক রেফারেন্সসহ উত্তর দেয়। এটি শুধু ডাউট সলভিং নয়, বরং একটি পার্সোনালাইজড লার্নিং সলিউশন। শিক্ষার্থী বুঝতে পারেন—কোন টপিকে তিনি দুর্বল, কোথায় আরও প্র্যাকটিস দরকার। মাত্র তিন মাসে চর্চা এআই-এ ৩ লাখ ৫০ হাজারের বেশি চ্যাটরুম তৈরি হয়েছে।
প্রশ্নভান্ডারের মান কীভাবে নিশ্চিত করেন?
চর্চার কনটেন্ট মান নিশ্চিত করতে আমাদের একটি আলাদা কনটেন্ট টিম রয়েছে। অষ্টম শ্রেণি, এসএসসি, এইচএসসি ও বিসিএস—প্রতিটি সেগমেন্টে আলাদা টিম কাজ করে। বিজ্ঞান, মানবিক ও ব্যবসায় শিক্ষা এই তিন ধারার জন্য রয়েছে বিষয়ভিত্তিক এক্সপার্টরা। নিয়মিত আপডেট, রিভিউ এবং গবেষণার মাধ্যমে কনটেন্টের মান ধরে রাখাই আমাদের মূল অগ্রাধিকার।
স্ট্রিক, লিডার বোর্ড ও রিপোর্ট কতটা কার্যকর?
চর্চা ‘লার্নিং থ্রো প্র্যাকটিস’ ধারণাটিকে প্রাধান্য দেয়। স্ট্রিক শিক্ষার্থীদের দৈনিক অভ্যাস গড়তে সাহায্য করে। আমাদের এমন ব্যবহারকারীও আছেন, যাঁদের স্ট্রিক এক বছরের বেশি। লিডার বোর্ড শিক্ষার্থীদের মধ্যে প্রতিযোগিতা তৈরি করে। আর মাসিক রিপোর্ট শিক্ষার্থীকে নিজের অগ্রগতি বুঝতে সাহায্য করে। কোথায় উন্নতি হচ্ছে বা কোথায় আরও মনোযোগ দরকার, সেসব বোঝা যায় এ থেকে।
ডেটা প্রাইভেসি ও নিরাপত্তা কীভাবে নিশ্চিত করছেন?
ব্যবহারকারীর ডেটা সুরক্ষা আমাদের কাছে গুরুত্বপূর্ণ। ব্যবহারকারীরা যেকোনো সময় নিজেদের তথ্য বা অ্যাকাউন্ট মুছে ফেলতে পারেন। কোনো তথ্য ব্যবহারকারীর সম্মতি ছাড়া সংগ্রহ করা হয় না। সব ডেটা এনক্রিপটেড থাকে এবং অ্যাপ সার্ভার যোগাযোগ এইচটিটিপিএস সিকিউরিটির মাধ্যমে সুরক্ষিত। এই ব্যবস্থাগুলো ব্যবহারকারীদের নিশ্চিন্ত অভিজ্ঞতা নিশ্চিত করে।
ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা কী?
আগামী পাঁচ বছরে আমরা চর্চাকে বাংলাদেশের সবচেয়ে বেশি ব্যবহৃত লার্নিং অ্যাপে পরিণত করতে চাই। আমাদের লক্ষ্য ১০ কোটির বেশি শিক্ষার্থীকে সেবা দেওয়া। একই সঙ্গে আমরা বিশ্বাস করি, শেখার কোনো সীমানা নেই। তাই চর্চাকে একটি গ্লোবাল লার্নিং অ্যান্ড প্র্যাকটিস ব্র্যান্ড হিসেবে প্রতিষ্ঠা করাও আমাদের লক্ষ্য। বাংলাদেশ থেকে জন্ম নেওয়া একটি প্ল্যাটফর্ম যেন বিশ্বজুড়ে শিক্ষার্থীদের শেখার সঙ্গী হয়ে ওঠে, এই স্বপ্ন নিয়েই আমরা এগোচ্ছি।

বর্তমান সময়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম হিসেবে ফেসবুকের জনপ্রিয়তা সবচেয়ে বেশি। জনপ্রিয়তা পাবেই-বা না কেন? এই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমই যে বর্তমানে আয়ের অন্যতম মাধ্যম হয়ে উঠেছে! ফেসবুকের মাধ্যমে কীভাবে আয় করা যায়, তা নিয়েই আজকের এই লেখা।
০৮ মার্চ ২০২২
স্মার্টফোন ব্র্যান্ড রিয়েলমি দেশে রিয়েলমি সি৮৫ উন্মোচন করেছে। এই ডিভাইসটির প্রধান আকর্ষণ হলো এর শক্তিশালী ৭০০০ মিলি অ্যাম্পিয়ারের আলট্রা ব্যাটারি ও ৪৫ ওয়াট ফাস্ট চার্জিং সক্ষমতা (যা ১০ ওয়াট রিভার্স চার্জিংও সাপোর্ট করে)।
৫ ঘণ্টা আগে
কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা বা এআই এখন আর শুধু প্রযুক্তি খাতেই সীমাবদ্ধ নয়; ব্যক্তিগত অর্থ ব্যবস্থাপনাতেও এটি হয়ে উঠছে নতুন ভরসা। বিশেষ করে জেন-জি ও মিলেনিয়াল প্রজন্মের মধ্যে এআই ব্যবহার করে খরচ নিয়ন্ত্রণ ও সঞ্চয় বাড়ানোর প্রবণতা দ্রুত বাড়ছে।
১৮ ঘণ্টা আগে
মানুষ কি পৃথিবীকে ধ্বংসের দিকে নিয়ে যাচ্ছে? এ কথা কেন বলছি, তার কারণ আছে।গত বছর ডিসেম্বরে বিজ্ঞান পত্রিকা ‘সায়েন্স’-এ ৯টি দেশের মোট ৩৮ জন খ্যাতনামা বিজ্ঞানী একত্রে বিবৃতি দিয়ে মানুষকে সতর্ক করেছেন। তাঁদের মধ্যে দুজন আছেন নোবেলজয়ী বিজ্ঞানী।
১ দিন আগেমইনুল হাসান, ফ্রান্স

মানুষ কি পৃথিবীকে ধ্বংসের দিকে নিয়ে যাচ্ছে? এ কথা কেন বলছি, তার কারণ আছে।গত বছর ডিসেম্বরে বিজ্ঞান পত্রিকা ‘সায়েন্স’-এ ৯টি দেশের মোট ৩৮ জন খ্যাতনামা বিজ্ঞানী একত্রে বিবৃতি দিয়ে মানুষকে সতর্ক করেছেন। তাঁদের মধ্যে দুজন আছেন নোবেলজয়ী বিজ্ঞানী। তাঁরা বিবৃতির সঙ্গে যুক্ত করেছেন ৩০০ পাতার এক বিশাল সচিত্র প্রতিবেদন। তাঁরা সে প্রতিবেদনে সরাসরি জানিয়ে দিয়েছেন, জীবন নিয়ে খেলা চলবে না। সে বিজ্ঞানীরা আয়নার মধ্যে পুরো পৃথিবী ধ্বংসের অতি মারাত্মক অশনিসংকেত পাচ্ছেন। কারণ, পৃথিবীর দেশে দেশে বিভিন্ন গবেষণাগারে ‘মিরর লাইফ’ বা ‘আয়না জীবন’ উদ্ভাবনে একই সঙ্গে বহু বিজ্ঞানী নিরলসভাবে কাজ করছেন এবং সফলতার দ্বারপ্রান্তে উপনীত হয়েছেন। বিশেষ করে চীনের ওয়েস্ট লেক বিশ্ববিদ্যালয়ের স্কুল অব লাইফ সায়েন্সের গবেষক বিজ্ঞানী টিং ঝু জীববিজ্ঞানীদের বিস্মিত করে আয়না জীবন উদ্ভাবনে অনেক দূর এগিয়ে গিয়েছেন।
‘আয়না জীবন’ একধরনের কৃত্রিম জীবন। প্রকৃতিতে জীবনের প্রধান আণবিক উপাদান, অনুঘটক প্রোটিন, ডিএনএ, আরএনএ ইত্যাদির অণুগুলো অসমমিতিক অর্থাৎ মাঝখান থেকে বিভাজন করলে দুটি অসমান অংশে বিভক্ত হবে। এ ছাড়া এই অণুগুলো একটি বিশেষ নকশার আকারে সাজানো। কোনোটি ডান দিকে ঘোরানো আবার কোনোটি বাঁ দিকে। সাধারণভাবে পৃথিবীর সব জীবের ডিএনএ ডান দিকে আর প্রোটিন পাক খায় বাঁ দিকে। কিন্তু ‘মিরর লাইফ’-এ বিষয়টা একদম উল্টো, এখানে ডিএনএ বাঁ দিকে আর প্রোটিন পাক খায় ডান দিকে। ডান ও বাঁ হাতের মতো। দেখতে ঠিক এক রকম, একে অন্যের প্রতিবিম্ব, তবে ভিন্ন। কেন এমন হয়? এ প্রশ্নের উত্তর মানুষ আজও জানে না। প্রকৃতির এ এক অভেদ্য রহস্য।
বিজ্ঞানীরা চেষ্টা করছেন, জীবনের এই ডান দিককে বাঁ দিকে আর বাঁ দিককে ডান দিকে করে নতুন ধরনের জীবন উদ্ভাবনের। প্রকৃতির এই ‘ডান’ ও ‘বাঁ’-এর বিপরীতে গিয়ে গবেষণাগারে জীবনের সরল মডেল এককোষী ব্যাকটেরিয়ার কোষে ডিএনএ পরিবর্তন করে বাঁ দিকে ঘুরিয়ে দিলে অর্থাৎ আয়নার প্রতিবিম্ব অনুসারে অণুগুলো গঠন করলে সৃষ্টি হবে ‘আয়না ব্যাকটেরিয়া’। বাইরে থেকে সেগুলোর কোনো পার্থক্য করা যাবে না। তাঁদের যুক্তি হচ্ছে, বিভিন্ন জটিল রোগ নিরাময়ে তা হবে এক অব্যর্থ মহৌষধ।
তবে বহু বিজ্ঞানীর মতে, এর প্রভাব ভয়াবহ হতে পারে। তাঁরা উদ্বিগ্ন হচ্ছেন এই ভেবে যে এমন গঠনের অণুজীব যদি একবার তৈরি হয়, তবে তা পৃথিবীর বিদ্যমান বাস্তুতন্ত্র ও জীববৈচিত্র্যের বিরুদ্ধে কাজ করতে পারে। প্রতিটি জীবের দেহে প্রাকৃতিকভাবে রয়েছে এক চমৎকার রোগপ্রতিরোধ ব্যবস্থা। শরীরের অভ্যন্তরে প্রাণঘাতী অণুজীব বা ভাইরাস ঢুকে পড়লে, জীবদেহের প্রতিরক্ষাব্যবস্থা নিজে থেকেই সক্রিয় হয়ে ওঠে এবং অনুপ্রবেশকারী কোষকে পর্যুদস্ত করতে শুরু করে। ল্যাবরেটরিতে কৃত্রিম উপায়ে সৃষ্ট এই আয়না ব্যাকটেরিয়াকে জীবদেহের প্রতিরক্ষাব্যবস্থা শনাক্ত করতে মোটেই সক্ষম নয়।

ডান হাতের দস্তানা যেমন বাঁ হাতে ঢোকানো সহজসাধ্য নয়, তেমনই জীবদেহের প্রকৃতিপ্রদত্ত রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা আয়না ব্যাকটেরিয়ার ক্ষেত্রে মোটেও কার্যকর নয়। প্রচলিত অ্যান্টিবায়োটিক এবং ব্যাকটেরিয়া খাদক ভাইরাস দিয়েও একে নির্মূল করা যাবে না। কোনো রকম অসতর্কতা বা ভুলের কারণে গবেষণাগার থেকে এই মারাত্মক সংক্রামক রোগের আয়না ব্যাকটেরিয়া বেরিয়ে পড়লে দ্রুত সংক্রমিত করবে পুরো জীবজগৎ। শরীরের প্রাকৃতিক প্রতিরোধব্যবস্থা কাজ করবে না এবং উপযুক্ত প্রতিষেধক না থাকায় পশুপাখি, উদ্ভিদ, জলজ জীব এমনকি মানুষও এই অভিশপ্ত অণুজীবের মরণ কামড় থেকে রেহাই পাবে না। বিশ্বব্যাপী উজাড় হবে প্রাণ, সমাপ্তি ঘটবে মাটির পৃথিবীতে দৃশ্যমান জীবনের, এমনটাই আশঙ্কা করছেন বিবৃতিদাতা বিজ্ঞানীরাসহ অনেকেই। হতে পারে কোনো এক অশুভ শক্তির হাতে পৌঁছে গেছে এই প্রাণঘাতী এবং অপ্রতিরোধ্য, অতি ক্ষুদ্র আয়না অণুজীব। তাহলে তা হবে এক অতি ভয়ংকর মারণাস্ত্র।
সূত্র: ‘সিয়োন্স এ আভেনির’, ফ্রান্স।

মানুষ কি পৃথিবীকে ধ্বংসের দিকে নিয়ে যাচ্ছে? এ কথা কেন বলছি, তার কারণ আছে।গত বছর ডিসেম্বরে বিজ্ঞান পত্রিকা ‘সায়েন্স’-এ ৯টি দেশের মোট ৩৮ জন খ্যাতনামা বিজ্ঞানী একত্রে বিবৃতি দিয়ে মানুষকে সতর্ক করেছেন। তাঁদের মধ্যে দুজন আছেন নোবেলজয়ী বিজ্ঞানী। তাঁরা বিবৃতির সঙ্গে যুক্ত করেছেন ৩০০ পাতার এক বিশাল সচিত্র প্রতিবেদন। তাঁরা সে প্রতিবেদনে সরাসরি জানিয়ে দিয়েছেন, জীবন নিয়ে খেলা চলবে না। সে বিজ্ঞানীরা আয়নার মধ্যে পুরো পৃথিবী ধ্বংসের অতি মারাত্মক অশনিসংকেত পাচ্ছেন। কারণ, পৃথিবীর দেশে দেশে বিভিন্ন গবেষণাগারে ‘মিরর লাইফ’ বা ‘আয়না জীবন’ উদ্ভাবনে একই সঙ্গে বহু বিজ্ঞানী নিরলসভাবে কাজ করছেন এবং সফলতার দ্বারপ্রান্তে উপনীত হয়েছেন। বিশেষ করে চীনের ওয়েস্ট লেক বিশ্ববিদ্যালয়ের স্কুল অব লাইফ সায়েন্সের গবেষক বিজ্ঞানী টিং ঝু জীববিজ্ঞানীদের বিস্মিত করে আয়না জীবন উদ্ভাবনে অনেক দূর এগিয়ে গিয়েছেন।
‘আয়না জীবন’ একধরনের কৃত্রিম জীবন। প্রকৃতিতে জীবনের প্রধান আণবিক উপাদান, অনুঘটক প্রোটিন, ডিএনএ, আরএনএ ইত্যাদির অণুগুলো অসমমিতিক অর্থাৎ মাঝখান থেকে বিভাজন করলে দুটি অসমান অংশে বিভক্ত হবে। এ ছাড়া এই অণুগুলো একটি বিশেষ নকশার আকারে সাজানো। কোনোটি ডান দিকে ঘোরানো আবার কোনোটি বাঁ দিকে। সাধারণভাবে পৃথিবীর সব জীবের ডিএনএ ডান দিকে আর প্রোটিন পাক খায় বাঁ দিকে। কিন্তু ‘মিরর লাইফ’-এ বিষয়টা একদম উল্টো, এখানে ডিএনএ বাঁ দিকে আর প্রোটিন পাক খায় ডান দিকে। ডান ও বাঁ হাতের মতো। দেখতে ঠিক এক রকম, একে অন্যের প্রতিবিম্ব, তবে ভিন্ন। কেন এমন হয়? এ প্রশ্নের উত্তর মানুষ আজও জানে না। প্রকৃতির এ এক অভেদ্য রহস্য।
বিজ্ঞানীরা চেষ্টা করছেন, জীবনের এই ডান দিককে বাঁ দিকে আর বাঁ দিককে ডান দিকে করে নতুন ধরনের জীবন উদ্ভাবনের। প্রকৃতির এই ‘ডান’ ও ‘বাঁ’-এর বিপরীতে গিয়ে গবেষণাগারে জীবনের সরল মডেল এককোষী ব্যাকটেরিয়ার কোষে ডিএনএ পরিবর্তন করে বাঁ দিকে ঘুরিয়ে দিলে অর্থাৎ আয়নার প্রতিবিম্ব অনুসারে অণুগুলো গঠন করলে সৃষ্টি হবে ‘আয়না ব্যাকটেরিয়া’। বাইরে থেকে সেগুলোর কোনো পার্থক্য করা যাবে না। তাঁদের যুক্তি হচ্ছে, বিভিন্ন জটিল রোগ নিরাময়ে তা হবে এক অব্যর্থ মহৌষধ।
তবে বহু বিজ্ঞানীর মতে, এর প্রভাব ভয়াবহ হতে পারে। তাঁরা উদ্বিগ্ন হচ্ছেন এই ভেবে যে এমন গঠনের অণুজীব যদি একবার তৈরি হয়, তবে তা পৃথিবীর বিদ্যমান বাস্তুতন্ত্র ও জীববৈচিত্র্যের বিরুদ্ধে কাজ করতে পারে। প্রতিটি জীবের দেহে প্রাকৃতিকভাবে রয়েছে এক চমৎকার রোগপ্রতিরোধ ব্যবস্থা। শরীরের অভ্যন্তরে প্রাণঘাতী অণুজীব বা ভাইরাস ঢুকে পড়লে, জীবদেহের প্রতিরক্ষাব্যবস্থা নিজে থেকেই সক্রিয় হয়ে ওঠে এবং অনুপ্রবেশকারী কোষকে পর্যুদস্ত করতে শুরু করে। ল্যাবরেটরিতে কৃত্রিম উপায়ে সৃষ্ট এই আয়না ব্যাকটেরিয়াকে জীবদেহের প্রতিরক্ষাব্যবস্থা শনাক্ত করতে মোটেই সক্ষম নয়।

ডান হাতের দস্তানা যেমন বাঁ হাতে ঢোকানো সহজসাধ্য নয়, তেমনই জীবদেহের প্রকৃতিপ্রদত্ত রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা আয়না ব্যাকটেরিয়ার ক্ষেত্রে মোটেও কার্যকর নয়। প্রচলিত অ্যান্টিবায়োটিক এবং ব্যাকটেরিয়া খাদক ভাইরাস দিয়েও একে নির্মূল করা যাবে না। কোনো রকম অসতর্কতা বা ভুলের কারণে গবেষণাগার থেকে এই মারাত্মক সংক্রামক রোগের আয়না ব্যাকটেরিয়া বেরিয়ে পড়লে দ্রুত সংক্রমিত করবে পুরো জীবজগৎ। শরীরের প্রাকৃতিক প্রতিরোধব্যবস্থা কাজ করবে না এবং উপযুক্ত প্রতিষেধক না থাকায় পশুপাখি, উদ্ভিদ, জলজ জীব এমনকি মানুষও এই অভিশপ্ত অণুজীবের মরণ কামড় থেকে রেহাই পাবে না। বিশ্বব্যাপী উজাড় হবে প্রাণ, সমাপ্তি ঘটবে মাটির পৃথিবীতে দৃশ্যমান জীবনের, এমনটাই আশঙ্কা করছেন বিবৃতিদাতা বিজ্ঞানীরাসহ অনেকেই। হতে পারে কোনো এক অশুভ শক্তির হাতে পৌঁছে গেছে এই প্রাণঘাতী এবং অপ্রতিরোধ্য, অতি ক্ষুদ্র আয়না অণুজীব। তাহলে তা হবে এক অতি ভয়ংকর মারণাস্ত্র।
সূত্র: ‘সিয়োন্স এ আভেনির’, ফ্রান্স।

বর্তমান সময়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম হিসেবে ফেসবুকের জনপ্রিয়তা সবচেয়ে বেশি। জনপ্রিয়তা পাবেই-বা না কেন? এই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমই যে বর্তমানে আয়ের অন্যতম মাধ্যম হয়ে উঠেছে! ফেসবুকের মাধ্যমে কীভাবে আয় করা যায়, তা নিয়েই আজকের এই লেখা।
০৮ মার্চ ২০২২
স্মার্টফোন ব্র্যান্ড রিয়েলমি দেশে রিয়েলমি সি৮৫ উন্মোচন করেছে। এই ডিভাইসটির প্রধান আকর্ষণ হলো এর শক্তিশালী ৭০০০ মিলি অ্যাম্পিয়ারের আলট্রা ব্যাটারি ও ৪৫ ওয়াট ফাস্ট চার্জিং সক্ষমতা (যা ১০ ওয়াট রিভার্স চার্জিংও সাপোর্ট করে)।
৫ ঘণ্টা আগে
কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা বা এআই এখন আর শুধু প্রযুক্তি খাতেই সীমাবদ্ধ নয়; ব্যক্তিগত অর্থ ব্যবস্থাপনাতেও এটি হয়ে উঠছে নতুন ভরসা। বিশেষ করে জেন-জি ও মিলেনিয়াল প্রজন্মের মধ্যে এআই ব্যবহার করে খরচ নিয়ন্ত্রণ ও সঞ্চয় বাড়ানোর প্রবণতা দ্রুত বাড়ছে।
১৮ ঘণ্টা আগে
অনলাইন ক্লাস, গাইডবুক আর মক টেস্টের পরেও বাংলাদেশের পরীক্ষার্থীদের বড় একটি অংশ নিয়মিত অনুশীলনের অভাবে পিছিয়ে পড়েন। পড়া থাকলেও কোথায় দুর্বলতা, কীভাবে নিজের অগ্রগতি যাচাই করবেন—সে প্রশ্নের উত্তর অনেক সময় মেলে না।
১ দিন আগে