অনলাইন ডেস্ক
বর্তমান সময়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম হিসেবে ফেসবুকের জনপ্রিয়তা সবচেয়ে বেশি। জনপ্রিয়তা পাবেই-বা না কেন? এই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমই যে বর্তমানে আয়ের অন্যতম মাধ্যম হয়ে উঠেছে! ফেসবুকের মাধ্যমে কীভাবে আয় করা যায়, তা নিয়েই আজকের এই লেখা।
যুগের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে আমরা হয়ে উঠছি আধুনিক। বিভিন্ন প্রযুক্তি ব্যবহারে নিজেদের জীবনকে সহজ করে নিয়েছি এবং নিচ্ছি। আর এই প্রযুক্তি ব্যবহারের ফলে ঘরে বসে আয়ের পথ খুঁজে নিচ্ছে মানুষ।
আমাদের দৈনন্দিন জীবনের বেশির ভাগ সময় অতিবাহিত হচ্ছে ফেসবুকে। আপনি চাইলে ফেসবুককে একটি পরিবার হিসেবে ধরে নিলেও ভুল হবে না।
একটি যোগাযোগমাধ্যমে ঘরে বসে বিশ্বের যেকোনো স্থানে, যেকোনো দেশের মানুষের সঙ্গে আমরা যোগাযোগ করছি। এই ফেসবুকের মাধ্যমে অল্প সময়ের মধ্যে বার্তা বিনিময় করা যায়, কল করা যায়, ভিডিও কলের মাধ্যমে একই সঙ্গে কথা বলে তথ্য আদান-প্রদান করা যায়। সম্পূর্ণ হিসাব করলে ফেসবুক সবার চেয়ে এগিয়ে আছে বলতে হবে।
বর্তমানে গুগল অ্যাডসেন্স ও ফেসবুক থেকে আয়ের বিষয়ে আমরা অনেকেই অবগত। এর মধ্যে ফেসবুক এমন জনপ্রিয় একটি জায়গা হয়ে দাঁড়িয়েছে যে, আপনি শুধু কিছু নিয়মকানুন ও গাইডলাইন জানলে খুব সহজেই টাকা আয় করতে পারেন।
ফেসবুক থেকে আয় (২০২২)
আমরা অনেকেই এমন অনেক বিজ্ঞাপন দেখেছি যে, কীভাবে ঘরে বসে ফেসবুক থেকে টাকা উপার্জন করা যায়, তাই না? কিন্তু দুঃখজনক হলেও সত্যি যে, এই বিজ্ঞাপন সব সময় আমাদের উপকারে আসে না। কারণ, তারা শেখানোর চেয়ে নিজেদের উপার্জনের উদ্দেশ্যেই হয়তো এমন বিজ্ঞাপন দিয়ে থাকে।
বর্তমান করোনা পরিস্থিতিতে লকডাউনের কারণে গৃহবন্দী সময়কে কাজে লাগিয়ে সহজেই আপনিও পারেন ফেসবুকের মাধ্যমে আয় করতে। তবে তার জন্য আপনাকে সঠিক গাইডলাইন অনুসরণ করতে হবে।
গোটা বিশ্বের সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলতে গিয়ে আমরাও এখন ডিজিটাল আইডিয়া কার্যকর করতে বেশি আগ্রহী হচ্ছি। ফেসবুককে আমরা সবচেয়ে সহজ প্ল্যাটফর্ম হিসেবে দেখে আসছি, যা থেকে খুব সহজেই ইনকাম করতে পারবেন। দিনের পর দিন আমরা টাকা আয়ের জন্য এই প্ল্যাটফর্মটাই বেছে নিচ্ছি, যেটা ঘরে বসে কাজ করতে আমাদের উদ্দীপনা দিচ্ছে।
ফেসবুকে আয় করার পদ্ধতি
জেনে খুশি হবেন যে, ফেসবুকে শুধু এক-দুটি মাধ্যমেই টাকা উপার্জন করা যায় না। ফেসবুকে আপনি বিভিন্ন উপায়ে টাকা উপার্জন করতে পারবেন, আর সেটা খুবই সহজ। চলুন তবে আজ দেখে নিই আপনি কী কী উপায়ে সামাজিক যোগাযোগ ফেসবুকের মাধ্যমে ইনকাম করতে পারবেন।
ফেসবুকে কনটেন্ট ক্রিয়েশন করে আয়
এখনকার সময়ে খুব বেশি জনপ্রিয়তা পাওয়া একটি পেশা হচ্ছে কনটেন্ট ক্রিয়েশন। আগে শুধু ভিডিও আপলোডের জন্য ইউটিউবকে গুরুত্ব দেওয়া হতো। কিন্তু বর্তমানে আমরা এখন ভিডিও আপলোডের ক্ষেত্রে, নিজেকে একজন কনটেন্ট ক্রিয়েটর হিসেবে প্রতিষ্ঠার ক্ষেত্রে বেছে নিচ্ছে ফেসবুককে। আমরা দেখছি, দিনের পর দিন কনটেন্ট ক্রিয়েটররা ফেসবুককে ভিডিও আপলোড ও কনটেন্ট শেয়ারিংয়ের অন্যতম সেরা প্ল্যাটফর্ম হিসেবে ব্যবহার করতে শুরু করেছে।
কনটেন্ট ক্রিয়েটররা সাধারণত কী করেন? তাঁরা নিজের সৃজনশীলতা, মেধা ও বুদ্ধিমত্তা কাজে লাগিয়ে শিক্ষা, সংস্কৃতি, ইতিহাস, ঐতিহ্য কিংবা অন্য যেকোনো বিষয়ের ওপর কনটেন্ট তৈরি করেন।
একজন কনটেন্ট ক্রিয়েটর তাঁর কনটেন্টগুলো নিজেদের ফেসবুক অ্যাকাউন্, কিংবা নিজস্ব পেজ অ্যাকাউন্টে পাবলিশ করেন। এর মাধ্যমে তাঁদের সেই কনটেন্ট বিশ্ব দেখতে পারে এবং ভিউ বাড়ে। সেই ভিডিও সবাই উপভোগ করে, আবার নিজের ফ্রেন্ড সার্কেলে সেই ভিডিও শেয়ারও করে অনেকে।
এভাবে ভিডিওগুলো ছড়িয়ে পড়ে সারা সোশ্যাল মিডিয়ায় এবং এর ভিউ বাড়তে থাকে। আপনি একজন কনটেন্ট ক্রিয়েটর হিসেবে ফেসবুককে বেছে নিয়ে থাকলে আপনার জন্য টাকা ইনকাম করার বিভিন্ন সুযোগ রয়েছে। যেমন—
১। ফেসবুক অ্যাড থেকে
২। গুগল অ্যাডসেন্স থেকে
৩। বিভিন্ন স্পনসরশিপ থেকে
কনটেন্ট ক্রিয়েটর ক্যারিয়ারে আপনি সাফল্য পেতে পারেন এভাবেই। সঠিকভাবে কনটেন্ট ক্রিয়েট করে সোশ্যাল মিডিয়াতে ছড়িয়ে দিতে পারলে আপনি নিজেকে একটি ভালো উচ্চতায় অধিষ্ঠিত করতে পারবেন। একজন ভালো কনটেন্ট ক্রিয়েটর হয়ে উঠতে পারলে ফেসবুক থেকে আয় করতে পারবেন খুব সহজে।
ফেসবুক পেজের মাধ্যমে টাকা আয়
আমরা সবাই ই-কমার্স প্ল্যাটফর্ম সম্পর্কে জানি, যা বর্তমানে বহুল আলোচিত একটি ব্যবসার পথ। অল্প সময়ে আয় বৃদ্ধির লক্ষ্যে এই পেশায় আগ্রহী হচ্ছে অনেকেই। আমরা সব সময় চাই নিজের একটি পরিচয় তৈরি করতে। আমরা চাই একটি স্বাধীন ব্যবসা করতে। এ ক্ষেত্রে ই-কমার্স হচ্ছে জনপ্রিয় একটি প্ল্যাটফর্ম। এ ক্ষেত্রে ফেসবুকের জনপ্রিয়তা এতটাই বেড়েছে যে, নতুন টার্ম হিসেবে সামনে এসেছে এফ-কমার্স। এফ-কমার্স হলো ফেসবুক পেজ বা আইডির মাধ্যমে নিজের ব্যবসা উদ্যোগকে এগিয়ে নেওয়া। বর্তমানে বহু ব্যবসা গড়ে উঠছে শুধু ফেসবুককে কেন্দ্র করেই।
ফেসবুকে আমরা বিভিন্ন বয়সের মানুষ রয়েছি। এ ক্ষেত্রে ই-কমার্স ব্যবসা আমাদের সাফল্য এনে দিতে অনেক সহায়তা করতে পারে। এখনকার সময়ে যারা ব্যবসা করার চিন্তাধারা নিয়ে এগিয়ে আসে, তারা ফেসবুকে নিজের একটি পেজ খোলে। সময়ের সঙ্গে তাদের সেই পেজে মানুষের উপস্থিতি বাড়ে। দিনের পর দিন বাড়তে থাকে তাদের পেজের ফলোয়ার। ব্যবসার উদ্দেশ্যে খোলা পেজটি আস্তে আস্তে জনপ্রিয়তা পেতে থাকে।
অনেকেই আবার তাদের ফেসবুক পেজটিতে ঠিকমতো সময় দিতে পারে না কর্মব্যস্ততার কারণে। সে ক্ষেত্রে অনেকেই তাদের পেজটি বিক্রি করেও টাকা আয় করতে পারবেন। এ ক্ষেত্রে লাভ উভয় পক্ষের। প্রথমত, পেজ বিক্রির মাধ্যমে আপনি একটা ভালো টাকা পেতে পারেন, যা আপনাকে লাভবান করবে। পাশাপাশি যিনি পেজ কিনবে, তিনিও লাভবান হবে। কারণ, সেটা জনপ্রিয়তা পাওয়া একটি ফেসবুক পেজ। তাই ফেসবুক থেকে টাকা আয় করতে চাইলে আপনি আপনার পেজটি বিক্রি করে টাকা আয় করতে পারেন।
ফেসবুকে ফ্যান পেজ তৈরি করে আয়
টাকা উপার্জনের ক্ষেত্রে ফেসবুক সত্যিই অসাধারণ একটি প্ল্যাটফর্ম। আপনি নিজের পরিচিতি বৃদ্ধির ক্ষেত্রে ফেসবুকে পেজ খুলতে পারেন।
সে ক্ষেত্রে অনেকেই আছেন, যারা জানেন না কীভাবে একটি ফেসবুক পেজ তৈরি করতে হয়। ধরুন, আপনার একটি ফেসবুক আইডি আছে এবং সেই ফেসবুক আইডিতে ৫০০-এর অধিক ফ্রেন্ড আছে; তাহলে দেরি না করে আপনিও তৈরি করতে পারেন একটি ফ্যানপেজ। এই ফ্যানপেজে আপনি চাইলে আপনার ব্যবসার প্রচার, বিভিন্ন পণ্য বিক্রি ইত্যাদির মাধ্যমে টাকা উপার্জন করতে পারেন।
ফেসবুকে ভিডিও আপলোড করে টাকা উপার্জন
আপনি চাইলে ইউটিউবের মতো ফেসবুকেও এখন ভিডিও আপলোড করে টাকা আয় করতে পারেন। ঠিক একইভাবে আপনি ইউটিউবের মতো আপনার ফেসবুক ভিডিওগুলোতে মনিটাইজ করে ইনকাম করতে পারবেন। এ ক্ষেত্রে একটু পার্থক্য হচ্ছে—ইউটিউবে গুগল অ্যাডসেন্স ব্যবহার করে ভিডিও মনিটাইজ করে টাকা উপার্জন করা হয়। আর অনেকটা একইভাবে হলেও ফেসবুকে অ্যাড চয়েসের মাধ্যমে কাজ করে টাকা আয় করা হয়।
Freelancing ও ফেসবুক মার্কেটিং ম্যানেজার হিসেবে টাকা উপার্জন
প্রথমে জানিয়ে নিই ফ্রিল্যান্সিং কী এবং তারপর আমরা জানাব কীভাবে Freelancing ও ফেসবুক মার্কেটিং ম্যানেজার হিসেবে টাকা উপার্জন করা যায়। ফ্রিল্যান্সিং বলতে মূলত কোনো প্রতিষ্ঠানের অধীনে কাজ না করে নিজের মতো স্বাধীনভাবে কাজ করাকে বোঝায়। সহজ ভাষায় বলতে গেলে, ফ্রিল্যান্সিং হচ্ছে নিজের দক্ষতা, শিক্ষা ও অভিজ্ঞতা কাজে লাগিয়ে একাধিক ক্লায়েন্টের কাজ করা। এ ক্ষেত্রে আপনি কোনো একটি প্রতিষ্ঠানের অধীনে কাজ করতে বাধ্য নন এবং আপনি স্বাধীনভাবে কাজ করতে পারেন।
বিভিন্ন মার্কেটপ্লেস যেমন ফাইভার, আপওয়ার্কসহ অন্যসব জায়গায় গেলে আপনি দেখতে পাবেন, আপনার সামনে ফেসবুক মার্কেটিং ম্যানেজার হিসেবে কাজ করতে প্রচুর জব অফার রয়েছে। তাই আপনি যদি ফেসবুক মার্কেটিং শিখতে পারেন, তাহলে আপনার জন্য ফ্রিল্যান্সিং করে টাকা উপার্জন একটি অসাধারণ পথ।
এই কাজ করার ক্ষেত্রে অবশ্যই আপনাকে জানতে হবে কীভাবে ফেসবুকে অ্যাড রান করতে হয়। আপনাকে তারা ফেসবুক পেজ ম্যানেজ করার জন্য হায়ার করবে। তাই অবশ্যই শিখে নিন, কীভাবে ফেসবুক পেজ চালাতে হয়। আরেকটি খুশির বিষয় হচ্ছে, আপনি চাইলে এই কাজগুলো মোবাইল দিয়েও সম্পন্ন করতে পারবেন। বর্তমানে ছাত্রদের জন্য অনলাইনে ইনকাম এবং মোবাইল দিয়ে টাকা উপার্জনের ক্ষেত্রে ফেসবুক সবচেয়ে বেশি সাহায্য করছে।
ফেসবুক গ্রুপের মাধ্যমে টাকা আয়
আমরা আগেই বলেছি ই-কমার্স হচ্ছে বর্তমান সময়ের সবচেয়ে জনপ্রিয় ব্যবসাক্ষেত্র। আপনি চাইলে এই প্ল্যাটফর্মকে ভাগ্য পরিবর্তনের কেন্দ্রবিন্দুও করতে পারেন। ফেসবুককে কেন্দ্র করে এখন নানা ব্যবসা করা হচ্ছে। আপনার ব্যবসার পণ্যসমূহ ঠিক তখনই মানুষের আকর্ষণ কেড়ে নেবে, যখন সেটা সুন্দরভাবে তুলে ধরতে পারবেন। তাই এ ক্ষেত্রে বিজ্ঞাপন প্রচার হতে পারে সবচেয়ে কার্যকর পদ্ধতি।
আপনার ব্যবসাকে সবার সামনে সুন্দর করে তুলে ধরার ক্ষেত্রে একটা গ্রুপের ভূমিকাও অনেক। কারণ, আপনার ব্যবসার পণ্যগুলো প্রোমোট করে কমিশনভিত্তিক ভালো পরিমাণের টাকা আয় করতে একটি গ্রুপ থাকা জরুরি। তাই গ্রুপ থেকে আপনি টাকা আয় করতে চাইলে গ্রুপের মাধ্যমে অন্যের প্রোডাক্ট প্রোমোট করে ভালো টাকা ইনকাম করতে পারবেন।
অনলাইন মার্কেটিং হচ্ছে এই সময়ের আরেকটি অসাধারণ জায়গা, যার মাধ্যমে আমরা ভালো টাকা উপার্জন করতে পারি। ফেসবুককে কেন্দ্র করে অনেকগুলো মার্কেটপ্লেস আছে। খুঁজলে দেখতে পাবেন ফেসবুকে অনেক রকম অনলাইন শপ রয়েছে।
আমরা বিভিন্ন গ্রুপ বা পেজে পণ্যের ছবি, বিবরণ, সাইজ ও মূল্য লিখে সেই প্রোডাক্টগুলোকে প্রোমোট করি। পণ্য অর্ডার করতে গ্রাহকেরা ইনবক্সে অথবা কমেন্টে আমাদের জানান। আবার কিছু কিছু কোম্পানিতে অর্ডার করার সময় ক্রেডিট কার্ড বা বিকাশের মাধ্যমে মূল্য পরিশোধের সিস্টেম চালু থাকে।
ফেসবুক মার্কেটপ্লেস থেকে টাকা আয়
ফেসবুক মার্কেটপ্লেস থেকে আয় করা যায় সহজেই। এই জায়গায় আপনি নিজের বা অন্য কারও নতুন-পুরোনো পণ্য বিক্রি করে আয় করতে পারবেন। আপনি যদি প্লে স্টোর চেক করেন, তাহলে অনেকগুলো রিসেলিং অ্যাপ পেয়ে যাবেন। যেমন— Glowroad, Shop 101, Messho. আপনার প্রথম কাজ হবে এই অ্যাপগুলো ইনস্টল করা। তারপর রেজিস্ট্রেশন করে ব্যাংক ডিটেইলসহ সাবমিট করুন।
এই অ্যাপগুলোতে আপনি কী পাবেন? এখানে আপনি বিভিন্ন কোম্পানির ভিন্ন ভিন্ন প্রোডাক্ট পাবেন। আপনার কাজ হবে সেই প্রোডাক্টগুলোর ছবি ডাউনলোড করে ফেসবুক মার্কেটপ্লেসে লিস্ট করে এসবের মূল্য দিয়ে দেওয়া।
এই মার্কেটিংয়ের ক্ষেত্রে ধরুন আপনি ওই অ্যাপ থেকে একটি টি-শার্ট কিনলেন ১৫০ টাকা দিয়ে। এবার আপনি সেটা চেঞ্জ করে প্রাইস করলেন ২৫০ টাকা। এ ক্ষেত্রে যখন আপনি আইটেমটি বিক্রি করতে পারবেন, তখন আপনার লাভ হচ্ছে ১০০ টাকা।
আপনি এভাবে চাইলে অনেকগুলো ছবি আপনার নিজের ফেসবুক মার্কেটপ্লেসে লিস্ট করতে পারেন। এবার কেউ আপনাকে ওই পণ্য কেনার জন্য মেসেজ করলে তখন তাঁর অ্যাড্রেসটা সেই অ্যাপসে, আর সেখানে আপনার প্রাইসটি ফিক্সড করে দিন। এ ক্ষেত্রে আপনি যদি ফেসবুক শপ ডিজাইন জেনে থাকেন, তাহলে এটা আপনার জন্য আরও বেশি ভালো হয়।
এরপর কোম্পানি সেই অ্যাড্রেসে প্রোডাক্ট ডেলিভারি করে দেবে আপনার নামে। আর পণ্যটি বিক্রি হওয়ার পর একটা ফিক্সড কমিশন চলে আসবে আপনার ব্যাংক অ্যাকাউন্টে। এভাবেই আপনি ফেসবুক মার্কেটিংয়ের মাধ্যমে টাকা উপার্জন করতে পারেন।
গুগল অ্যাডসেন্স ও টাকা উপার্জন
আমরা সবাই গুগল অ্যাডসেন্স সম্পর্কে খুব একটা পরিচিত নই। এটি হচ্ছে গুগল পরিচালিত একটি ওয়েব অ্যাপ্লিকেশন, যা মূলত একটি লাভ-অংশীদার প্রকল্প নামে পরিচিত। গুগল অ্যাডসেন্সের মাধ্যমে গুগল ও তার ব্যবহারকারীরা তাদের নিজেদের ওয়েবসাইটে বিজ্ঞাপন প্রচার করে অর্থ উপার্জন করে থাকে। এ ক্ষেত্রে একটি ব্লগ বা ওয়েবসাইটের মালিক কিছু নিয়ম অনুসরণ করে তাদের নিজেদের সাইটে গুগল নির্ধারিত বিজ্ঞাপন দেখানোর মাধ্যমে টাকা উপার্জন করতে পারেন।
গুগল অ্যাডসেন্স থেকে ইনকাম করার ক্ষেত্রে আপনাকে প্রথমে গুগল অ্যাডসেন্সের পাবলিশার হতে হবে। এরপর আপনার ব্লগ/ওয়েবসাইট বা ইউটিউব চ্যানেলে অ্যাডসেন্সের বিজ্ঞাপন প্রচার করতে হবে। সেই বিজ্ঞাপন দেখে কেউ যখন ক্লিক করবে, তখন প্রতি ক্লিকের জন্য নির্দিষ্ট পরিমাণ টাকা আপনি পাবেন। এটা ছাড়াও শুধু আপনার ব্লগ/সাইটের বিজ্ঞাপন দেখানোর জন্যও আপনি কিছু ইনকাম করতে পারেন।
তবে হ্যাঁ, গুগল অ্যাডসেন্স বিজ্ঞাপনের কোডগুলো সঠিক জায়গায় বসাতে হবে, যাতে করে ভিজিটররা সহজে বিজ্ঞাপনটি দেখতে পান এবং ক্লিক করেন। জেনে রাখা ভালো, গুগল অ্যাডসেন্স সব সময় কনটেন্ট-বিষয়ক বিজ্ঞাপন প্রদর্শন করে। তাই ভিজিটরের সুবিধার্থে আপনি বিজ্ঞাপনের কোডগুলো বসাবেন। ভিজিটর নিশ্চয়ই তাঁর প্রয়োজনে বিজ্ঞাপনে ক্লিক করবেন। তবে ভুল করেও বেশি বিজ্ঞাপন ব্যবহার না করাই ভালো।
কারণ, গুগল অ্যাডসেন্স তাদের বিজ্ঞাপনের পাশাপাশি অন্য কোনো বিজ্ঞাপন দেখতে পছন্দ করে না। গুগল অ্যাডসেন্সের জন্য আবেদন করার আগে খেয়াল করে দেখুন অন্য বিজ্ঞাপনের বিষয়গুলো। চেষ্টা করুন ভিজিটরের চাহিদামতো অরিজিনাল, সৃজনশীল ও মানসম্পন্ন কনটেন্ট তৈরি করতে। অ্যাডসেন্স থেকে ভালো ইনকাম জেনারেট করতে এটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
ব্লগে সব সময় নতুন নতুন আর্টিকেল পোস্ট করার চেষ্টা করুন, যা ইউনিক ও নতুন ভিজিটর পেতে অবশ্যই আপনাকে সাহায্য করবে। এসইও অনুযায়ী ব্লগে সৃজনশীল কনটেন্ট শেয়ার করলেই ভিজিটর ও আয় দুটিই বাড়তে থাকবে এবং এ বিষয়ে আপনি আশাবাদী থাকতে পারেন।
ফেসবুকে কনটেন্ট রাইটিং গ্রুপ থেকে আয়
বর্তমান সময়ে আয়ের অনেক উৎস বের হচ্ছে। আর ফেসবুক সোশ্যাল মিডিয়া ঘরে বসে সহজে আয় করার নতুন পদ্ধতি তৈরির ক্ষেত্রে অনেক বেশিই প্রভাব ফেলছে। ফেসবুকে আয়ের এতসব প্ল্যাটফর্মের মধ্যে উল্লেখযোগ্য একটি হলো আর্টিকেল রাইটিং কিংবা কনটেন্ট রাইটিং।
এখন ফেসবুকের বিভিন্ন গ্রুপের মাধ্যমে আপনি সহজেই পেতে পারেন আর্টিকেল রাইটিংয়ের কাজ। এই কাজ করে আপনি ভালো টাকা আয় করতে পারবেন। তাই আপনি যদি মনে করেন আর্টিকেল রাইটিং আপনার জন্য সহজ হবে, তাহলে আজই শুরু করতে পারেন আর্টিকেল রাইটিং।
অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং ও ফেসবুকে আয়
আমাদের অনেকের মনেই প্রশ্ন জাগবে যে, অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিংটা আবার কী? তাই প্রথমেই আমরা আপনাকে বলতে চাই যে, অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং হচ্ছে কোনো কোম্পানি বা কোনো প্রতিষ্ঠানের প্রোডাক্ট বিক্রি করে দেওয়া। এটাও খুবই জনপ্রিয় একটি আয়ের পথ।
আপনি চাইলে খুব সহজেই আপনার ফেসবুক পেজ বা গ্রুপে অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করে টাকা আয় করতে পারবেন। এই মাধ্যমে আপনি যাদের প্রোডাক্ট বিক্রি করে দেবেন, তাদের কাছ থেকে কিছু কমিশন পাবেন।
যে মার্কেটপ্লেসে অনেক ওয়েবসাইট রয়েছে, সেখানে আপনি এই ওয়েবসাইটগুলোর অ্যাফিলিয়েট প্রোগ্রামে থাকতে পারেন। বড় বড় ওয়েবসাইট; যেমন—আমাজন, আলিবাবা, ফ্লিপকার্ট ওয়েবসাইটগুলোতে অ্যাফিলিয়েট প্রোগ্রামে যোগদানের মাধ্যমে চাইলে আপনি টাকা উপার্জন করতে পারেন। এ ছাড়া টেক রিলেটেড কনটেন্ট পেজ হলে আপনার জন্য রয়েছে সুবর্ণ সুযোগ। চাইলে আপনার ফেসবুক পেজ থেকে খুবই বড় অঙ্কের টাকা আয় করতে পারবেন।
এসব পথ অনুসরণ করে আপনি খুব সহজেই ফেসবুক থেকে আয় করতে পারবেন। বর্তমান সময়ে ঘরে বসে আয়ের ক্ষেত্রে ফেসবুকের অবদান সত্যিই অপরিসীম। তাই বসে না থেকে আজই শুরু করতে পারেন ফেসবুকে টাকা উপার্জন।
ফেসবুক সম্পর্কিত পড়ুন:
বর্তমান সময়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম হিসেবে ফেসবুকের জনপ্রিয়তা সবচেয়ে বেশি। জনপ্রিয়তা পাবেই-বা না কেন? এই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমই যে বর্তমানে আয়ের অন্যতম মাধ্যম হয়ে উঠেছে! ফেসবুকের মাধ্যমে কীভাবে আয় করা যায়, তা নিয়েই আজকের এই লেখা।
যুগের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে আমরা হয়ে উঠছি আধুনিক। বিভিন্ন প্রযুক্তি ব্যবহারে নিজেদের জীবনকে সহজ করে নিয়েছি এবং নিচ্ছি। আর এই প্রযুক্তি ব্যবহারের ফলে ঘরে বসে আয়ের পথ খুঁজে নিচ্ছে মানুষ।
আমাদের দৈনন্দিন জীবনের বেশির ভাগ সময় অতিবাহিত হচ্ছে ফেসবুকে। আপনি চাইলে ফেসবুককে একটি পরিবার হিসেবে ধরে নিলেও ভুল হবে না।
একটি যোগাযোগমাধ্যমে ঘরে বসে বিশ্বের যেকোনো স্থানে, যেকোনো দেশের মানুষের সঙ্গে আমরা যোগাযোগ করছি। এই ফেসবুকের মাধ্যমে অল্প সময়ের মধ্যে বার্তা বিনিময় করা যায়, কল করা যায়, ভিডিও কলের মাধ্যমে একই সঙ্গে কথা বলে তথ্য আদান-প্রদান করা যায়। সম্পূর্ণ হিসাব করলে ফেসবুক সবার চেয়ে এগিয়ে আছে বলতে হবে।
বর্তমানে গুগল অ্যাডসেন্স ও ফেসবুক থেকে আয়ের বিষয়ে আমরা অনেকেই অবগত। এর মধ্যে ফেসবুক এমন জনপ্রিয় একটি জায়গা হয়ে দাঁড়িয়েছে যে, আপনি শুধু কিছু নিয়মকানুন ও গাইডলাইন জানলে খুব সহজেই টাকা আয় করতে পারেন।
ফেসবুক থেকে আয় (২০২২)
আমরা অনেকেই এমন অনেক বিজ্ঞাপন দেখেছি যে, কীভাবে ঘরে বসে ফেসবুক থেকে টাকা উপার্জন করা যায়, তাই না? কিন্তু দুঃখজনক হলেও সত্যি যে, এই বিজ্ঞাপন সব সময় আমাদের উপকারে আসে না। কারণ, তারা শেখানোর চেয়ে নিজেদের উপার্জনের উদ্দেশ্যেই হয়তো এমন বিজ্ঞাপন দিয়ে থাকে।
বর্তমান করোনা পরিস্থিতিতে লকডাউনের কারণে গৃহবন্দী সময়কে কাজে লাগিয়ে সহজেই আপনিও পারেন ফেসবুকের মাধ্যমে আয় করতে। তবে তার জন্য আপনাকে সঠিক গাইডলাইন অনুসরণ করতে হবে।
গোটা বিশ্বের সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলতে গিয়ে আমরাও এখন ডিজিটাল আইডিয়া কার্যকর করতে বেশি আগ্রহী হচ্ছি। ফেসবুককে আমরা সবচেয়ে সহজ প্ল্যাটফর্ম হিসেবে দেখে আসছি, যা থেকে খুব সহজেই ইনকাম করতে পারবেন। দিনের পর দিন আমরা টাকা আয়ের জন্য এই প্ল্যাটফর্মটাই বেছে নিচ্ছি, যেটা ঘরে বসে কাজ করতে আমাদের উদ্দীপনা দিচ্ছে।
ফেসবুকে আয় করার পদ্ধতি
জেনে খুশি হবেন যে, ফেসবুকে শুধু এক-দুটি মাধ্যমেই টাকা উপার্জন করা যায় না। ফেসবুকে আপনি বিভিন্ন উপায়ে টাকা উপার্জন করতে পারবেন, আর সেটা খুবই সহজ। চলুন তবে আজ দেখে নিই আপনি কী কী উপায়ে সামাজিক যোগাযোগ ফেসবুকের মাধ্যমে ইনকাম করতে পারবেন।
ফেসবুকে কনটেন্ট ক্রিয়েশন করে আয়
এখনকার সময়ে খুব বেশি জনপ্রিয়তা পাওয়া একটি পেশা হচ্ছে কনটেন্ট ক্রিয়েশন। আগে শুধু ভিডিও আপলোডের জন্য ইউটিউবকে গুরুত্ব দেওয়া হতো। কিন্তু বর্তমানে আমরা এখন ভিডিও আপলোডের ক্ষেত্রে, নিজেকে একজন কনটেন্ট ক্রিয়েটর হিসেবে প্রতিষ্ঠার ক্ষেত্রে বেছে নিচ্ছে ফেসবুককে। আমরা দেখছি, দিনের পর দিন কনটেন্ট ক্রিয়েটররা ফেসবুককে ভিডিও আপলোড ও কনটেন্ট শেয়ারিংয়ের অন্যতম সেরা প্ল্যাটফর্ম হিসেবে ব্যবহার করতে শুরু করেছে।
কনটেন্ট ক্রিয়েটররা সাধারণত কী করেন? তাঁরা নিজের সৃজনশীলতা, মেধা ও বুদ্ধিমত্তা কাজে লাগিয়ে শিক্ষা, সংস্কৃতি, ইতিহাস, ঐতিহ্য কিংবা অন্য যেকোনো বিষয়ের ওপর কনটেন্ট তৈরি করেন।
একজন কনটেন্ট ক্রিয়েটর তাঁর কনটেন্টগুলো নিজেদের ফেসবুক অ্যাকাউন্, কিংবা নিজস্ব পেজ অ্যাকাউন্টে পাবলিশ করেন। এর মাধ্যমে তাঁদের সেই কনটেন্ট বিশ্ব দেখতে পারে এবং ভিউ বাড়ে। সেই ভিডিও সবাই উপভোগ করে, আবার নিজের ফ্রেন্ড সার্কেলে সেই ভিডিও শেয়ারও করে অনেকে।
এভাবে ভিডিওগুলো ছড়িয়ে পড়ে সারা সোশ্যাল মিডিয়ায় এবং এর ভিউ বাড়তে থাকে। আপনি একজন কনটেন্ট ক্রিয়েটর হিসেবে ফেসবুককে বেছে নিয়ে থাকলে আপনার জন্য টাকা ইনকাম করার বিভিন্ন সুযোগ রয়েছে। যেমন—
১। ফেসবুক অ্যাড থেকে
২। গুগল অ্যাডসেন্স থেকে
৩। বিভিন্ন স্পনসরশিপ থেকে
কনটেন্ট ক্রিয়েটর ক্যারিয়ারে আপনি সাফল্য পেতে পারেন এভাবেই। সঠিকভাবে কনটেন্ট ক্রিয়েট করে সোশ্যাল মিডিয়াতে ছড়িয়ে দিতে পারলে আপনি নিজেকে একটি ভালো উচ্চতায় অধিষ্ঠিত করতে পারবেন। একজন ভালো কনটেন্ট ক্রিয়েটর হয়ে উঠতে পারলে ফেসবুক থেকে আয় করতে পারবেন খুব সহজে।
ফেসবুক পেজের মাধ্যমে টাকা আয়
আমরা সবাই ই-কমার্স প্ল্যাটফর্ম সম্পর্কে জানি, যা বর্তমানে বহুল আলোচিত একটি ব্যবসার পথ। অল্প সময়ে আয় বৃদ্ধির লক্ষ্যে এই পেশায় আগ্রহী হচ্ছে অনেকেই। আমরা সব সময় চাই নিজের একটি পরিচয় তৈরি করতে। আমরা চাই একটি স্বাধীন ব্যবসা করতে। এ ক্ষেত্রে ই-কমার্স হচ্ছে জনপ্রিয় একটি প্ল্যাটফর্ম। এ ক্ষেত্রে ফেসবুকের জনপ্রিয়তা এতটাই বেড়েছে যে, নতুন টার্ম হিসেবে সামনে এসেছে এফ-কমার্স। এফ-কমার্স হলো ফেসবুক পেজ বা আইডির মাধ্যমে নিজের ব্যবসা উদ্যোগকে এগিয়ে নেওয়া। বর্তমানে বহু ব্যবসা গড়ে উঠছে শুধু ফেসবুককে কেন্দ্র করেই।
ফেসবুকে আমরা বিভিন্ন বয়সের মানুষ রয়েছি। এ ক্ষেত্রে ই-কমার্স ব্যবসা আমাদের সাফল্য এনে দিতে অনেক সহায়তা করতে পারে। এখনকার সময়ে যারা ব্যবসা করার চিন্তাধারা নিয়ে এগিয়ে আসে, তারা ফেসবুকে নিজের একটি পেজ খোলে। সময়ের সঙ্গে তাদের সেই পেজে মানুষের উপস্থিতি বাড়ে। দিনের পর দিন বাড়তে থাকে তাদের পেজের ফলোয়ার। ব্যবসার উদ্দেশ্যে খোলা পেজটি আস্তে আস্তে জনপ্রিয়তা পেতে থাকে।
অনেকেই আবার তাদের ফেসবুক পেজটিতে ঠিকমতো সময় দিতে পারে না কর্মব্যস্ততার কারণে। সে ক্ষেত্রে অনেকেই তাদের পেজটি বিক্রি করেও টাকা আয় করতে পারবেন। এ ক্ষেত্রে লাভ উভয় পক্ষের। প্রথমত, পেজ বিক্রির মাধ্যমে আপনি একটা ভালো টাকা পেতে পারেন, যা আপনাকে লাভবান করবে। পাশাপাশি যিনি পেজ কিনবে, তিনিও লাভবান হবে। কারণ, সেটা জনপ্রিয়তা পাওয়া একটি ফেসবুক পেজ। তাই ফেসবুক থেকে টাকা আয় করতে চাইলে আপনি আপনার পেজটি বিক্রি করে টাকা আয় করতে পারেন।
ফেসবুকে ফ্যান পেজ তৈরি করে আয়
টাকা উপার্জনের ক্ষেত্রে ফেসবুক সত্যিই অসাধারণ একটি প্ল্যাটফর্ম। আপনি নিজের পরিচিতি বৃদ্ধির ক্ষেত্রে ফেসবুকে পেজ খুলতে পারেন।
সে ক্ষেত্রে অনেকেই আছেন, যারা জানেন না কীভাবে একটি ফেসবুক পেজ তৈরি করতে হয়। ধরুন, আপনার একটি ফেসবুক আইডি আছে এবং সেই ফেসবুক আইডিতে ৫০০-এর অধিক ফ্রেন্ড আছে; তাহলে দেরি না করে আপনিও তৈরি করতে পারেন একটি ফ্যানপেজ। এই ফ্যানপেজে আপনি চাইলে আপনার ব্যবসার প্রচার, বিভিন্ন পণ্য বিক্রি ইত্যাদির মাধ্যমে টাকা উপার্জন করতে পারেন।
ফেসবুকে ভিডিও আপলোড করে টাকা উপার্জন
আপনি চাইলে ইউটিউবের মতো ফেসবুকেও এখন ভিডিও আপলোড করে টাকা আয় করতে পারেন। ঠিক একইভাবে আপনি ইউটিউবের মতো আপনার ফেসবুক ভিডিওগুলোতে মনিটাইজ করে ইনকাম করতে পারবেন। এ ক্ষেত্রে একটু পার্থক্য হচ্ছে—ইউটিউবে গুগল অ্যাডসেন্স ব্যবহার করে ভিডিও মনিটাইজ করে টাকা উপার্জন করা হয়। আর অনেকটা একইভাবে হলেও ফেসবুকে অ্যাড চয়েসের মাধ্যমে কাজ করে টাকা আয় করা হয়।
Freelancing ও ফেসবুক মার্কেটিং ম্যানেজার হিসেবে টাকা উপার্জন
প্রথমে জানিয়ে নিই ফ্রিল্যান্সিং কী এবং তারপর আমরা জানাব কীভাবে Freelancing ও ফেসবুক মার্কেটিং ম্যানেজার হিসেবে টাকা উপার্জন করা যায়। ফ্রিল্যান্সিং বলতে মূলত কোনো প্রতিষ্ঠানের অধীনে কাজ না করে নিজের মতো স্বাধীনভাবে কাজ করাকে বোঝায়। সহজ ভাষায় বলতে গেলে, ফ্রিল্যান্সিং হচ্ছে নিজের দক্ষতা, শিক্ষা ও অভিজ্ঞতা কাজে লাগিয়ে একাধিক ক্লায়েন্টের কাজ করা। এ ক্ষেত্রে আপনি কোনো একটি প্রতিষ্ঠানের অধীনে কাজ করতে বাধ্য নন এবং আপনি স্বাধীনভাবে কাজ করতে পারেন।
বিভিন্ন মার্কেটপ্লেস যেমন ফাইভার, আপওয়ার্কসহ অন্যসব জায়গায় গেলে আপনি দেখতে পাবেন, আপনার সামনে ফেসবুক মার্কেটিং ম্যানেজার হিসেবে কাজ করতে প্রচুর জব অফার রয়েছে। তাই আপনি যদি ফেসবুক মার্কেটিং শিখতে পারেন, তাহলে আপনার জন্য ফ্রিল্যান্সিং করে টাকা উপার্জন একটি অসাধারণ পথ।
এই কাজ করার ক্ষেত্রে অবশ্যই আপনাকে জানতে হবে কীভাবে ফেসবুকে অ্যাড রান করতে হয়। আপনাকে তারা ফেসবুক পেজ ম্যানেজ করার জন্য হায়ার করবে। তাই অবশ্যই শিখে নিন, কীভাবে ফেসবুক পেজ চালাতে হয়। আরেকটি খুশির বিষয় হচ্ছে, আপনি চাইলে এই কাজগুলো মোবাইল দিয়েও সম্পন্ন করতে পারবেন। বর্তমানে ছাত্রদের জন্য অনলাইনে ইনকাম এবং মোবাইল দিয়ে টাকা উপার্জনের ক্ষেত্রে ফেসবুক সবচেয়ে বেশি সাহায্য করছে।
ফেসবুক গ্রুপের মাধ্যমে টাকা আয়
আমরা আগেই বলেছি ই-কমার্স হচ্ছে বর্তমান সময়ের সবচেয়ে জনপ্রিয় ব্যবসাক্ষেত্র। আপনি চাইলে এই প্ল্যাটফর্মকে ভাগ্য পরিবর্তনের কেন্দ্রবিন্দুও করতে পারেন। ফেসবুককে কেন্দ্র করে এখন নানা ব্যবসা করা হচ্ছে। আপনার ব্যবসার পণ্যসমূহ ঠিক তখনই মানুষের আকর্ষণ কেড়ে নেবে, যখন সেটা সুন্দরভাবে তুলে ধরতে পারবেন। তাই এ ক্ষেত্রে বিজ্ঞাপন প্রচার হতে পারে সবচেয়ে কার্যকর পদ্ধতি।
আপনার ব্যবসাকে সবার সামনে সুন্দর করে তুলে ধরার ক্ষেত্রে একটা গ্রুপের ভূমিকাও অনেক। কারণ, আপনার ব্যবসার পণ্যগুলো প্রোমোট করে কমিশনভিত্তিক ভালো পরিমাণের টাকা আয় করতে একটি গ্রুপ থাকা জরুরি। তাই গ্রুপ থেকে আপনি টাকা আয় করতে চাইলে গ্রুপের মাধ্যমে অন্যের প্রোডাক্ট প্রোমোট করে ভালো টাকা ইনকাম করতে পারবেন।
অনলাইন মার্কেটিং হচ্ছে এই সময়ের আরেকটি অসাধারণ জায়গা, যার মাধ্যমে আমরা ভালো টাকা উপার্জন করতে পারি। ফেসবুককে কেন্দ্র করে অনেকগুলো মার্কেটপ্লেস আছে। খুঁজলে দেখতে পাবেন ফেসবুকে অনেক রকম অনলাইন শপ রয়েছে।
আমরা বিভিন্ন গ্রুপ বা পেজে পণ্যের ছবি, বিবরণ, সাইজ ও মূল্য লিখে সেই প্রোডাক্টগুলোকে প্রোমোট করি। পণ্য অর্ডার করতে গ্রাহকেরা ইনবক্সে অথবা কমেন্টে আমাদের জানান। আবার কিছু কিছু কোম্পানিতে অর্ডার করার সময় ক্রেডিট কার্ড বা বিকাশের মাধ্যমে মূল্য পরিশোধের সিস্টেম চালু থাকে।
ফেসবুক মার্কেটপ্লেস থেকে টাকা আয়
ফেসবুক মার্কেটপ্লেস থেকে আয় করা যায় সহজেই। এই জায়গায় আপনি নিজের বা অন্য কারও নতুন-পুরোনো পণ্য বিক্রি করে আয় করতে পারবেন। আপনি যদি প্লে স্টোর চেক করেন, তাহলে অনেকগুলো রিসেলিং অ্যাপ পেয়ে যাবেন। যেমন— Glowroad, Shop 101, Messho. আপনার প্রথম কাজ হবে এই অ্যাপগুলো ইনস্টল করা। তারপর রেজিস্ট্রেশন করে ব্যাংক ডিটেইলসহ সাবমিট করুন।
এই অ্যাপগুলোতে আপনি কী পাবেন? এখানে আপনি বিভিন্ন কোম্পানির ভিন্ন ভিন্ন প্রোডাক্ট পাবেন। আপনার কাজ হবে সেই প্রোডাক্টগুলোর ছবি ডাউনলোড করে ফেসবুক মার্কেটপ্লেসে লিস্ট করে এসবের মূল্য দিয়ে দেওয়া।
এই মার্কেটিংয়ের ক্ষেত্রে ধরুন আপনি ওই অ্যাপ থেকে একটি টি-শার্ট কিনলেন ১৫০ টাকা দিয়ে। এবার আপনি সেটা চেঞ্জ করে প্রাইস করলেন ২৫০ টাকা। এ ক্ষেত্রে যখন আপনি আইটেমটি বিক্রি করতে পারবেন, তখন আপনার লাভ হচ্ছে ১০০ টাকা।
আপনি এভাবে চাইলে অনেকগুলো ছবি আপনার নিজের ফেসবুক মার্কেটপ্লেসে লিস্ট করতে পারেন। এবার কেউ আপনাকে ওই পণ্য কেনার জন্য মেসেজ করলে তখন তাঁর অ্যাড্রেসটা সেই অ্যাপসে, আর সেখানে আপনার প্রাইসটি ফিক্সড করে দিন। এ ক্ষেত্রে আপনি যদি ফেসবুক শপ ডিজাইন জেনে থাকেন, তাহলে এটা আপনার জন্য আরও বেশি ভালো হয়।
এরপর কোম্পানি সেই অ্যাড্রেসে প্রোডাক্ট ডেলিভারি করে দেবে আপনার নামে। আর পণ্যটি বিক্রি হওয়ার পর একটা ফিক্সড কমিশন চলে আসবে আপনার ব্যাংক অ্যাকাউন্টে। এভাবেই আপনি ফেসবুক মার্কেটিংয়ের মাধ্যমে টাকা উপার্জন করতে পারেন।
গুগল অ্যাডসেন্স ও টাকা উপার্জন
আমরা সবাই গুগল অ্যাডসেন্স সম্পর্কে খুব একটা পরিচিত নই। এটি হচ্ছে গুগল পরিচালিত একটি ওয়েব অ্যাপ্লিকেশন, যা মূলত একটি লাভ-অংশীদার প্রকল্প নামে পরিচিত। গুগল অ্যাডসেন্সের মাধ্যমে গুগল ও তার ব্যবহারকারীরা তাদের নিজেদের ওয়েবসাইটে বিজ্ঞাপন প্রচার করে অর্থ উপার্জন করে থাকে। এ ক্ষেত্রে একটি ব্লগ বা ওয়েবসাইটের মালিক কিছু নিয়ম অনুসরণ করে তাদের নিজেদের সাইটে গুগল নির্ধারিত বিজ্ঞাপন দেখানোর মাধ্যমে টাকা উপার্জন করতে পারেন।
গুগল অ্যাডসেন্স থেকে ইনকাম করার ক্ষেত্রে আপনাকে প্রথমে গুগল অ্যাডসেন্সের পাবলিশার হতে হবে। এরপর আপনার ব্লগ/ওয়েবসাইট বা ইউটিউব চ্যানেলে অ্যাডসেন্সের বিজ্ঞাপন প্রচার করতে হবে। সেই বিজ্ঞাপন দেখে কেউ যখন ক্লিক করবে, তখন প্রতি ক্লিকের জন্য নির্দিষ্ট পরিমাণ টাকা আপনি পাবেন। এটা ছাড়াও শুধু আপনার ব্লগ/সাইটের বিজ্ঞাপন দেখানোর জন্যও আপনি কিছু ইনকাম করতে পারেন।
তবে হ্যাঁ, গুগল অ্যাডসেন্স বিজ্ঞাপনের কোডগুলো সঠিক জায়গায় বসাতে হবে, যাতে করে ভিজিটররা সহজে বিজ্ঞাপনটি দেখতে পান এবং ক্লিক করেন। জেনে রাখা ভালো, গুগল অ্যাডসেন্স সব সময় কনটেন্ট-বিষয়ক বিজ্ঞাপন প্রদর্শন করে। তাই ভিজিটরের সুবিধার্থে আপনি বিজ্ঞাপনের কোডগুলো বসাবেন। ভিজিটর নিশ্চয়ই তাঁর প্রয়োজনে বিজ্ঞাপনে ক্লিক করবেন। তবে ভুল করেও বেশি বিজ্ঞাপন ব্যবহার না করাই ভালো।
কারণ, গুগল অ্যাডসেন্স তাদের বিজ্ঞাপনের পাশাপাশি অন্য কোনো বিজ্ঞাপন দেখতে পছন্দ করে না। গুগল অ্যাডসেন্সের জন্য আবেদন করার আগে খেয়াল করে দেখুন অন্য বিজ্ঞাপনের বিষয়গুলো। চেষ্টা করুন ভিজিটরের চাহিদামতো অরিজিনাল, সৃজনশীল ও মানসম্পন্ন কনটেন্ট তৈরি করতে। অ্যাডসেন্স থেকে ভালো ইনকাম জেনারেট করতে এটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
ব্লগে সব সময় নতুন নতুন আর্টিকেল পোস্ট করার চেষ্টা করুন, যা ইউনিক ও নতুন ভিজিটর পেতে অবশ্যই আপনাকে সাহায্য করবে। এসইও অনুযায়ী ব্লগে সৃজনশীল কনটেন্ট শেয়ার করলেই ভিজিটর ও আয় দুটিই বাড়তে থাকবে এবং এ বিষয়ে আপনি আশাবাদী থাকতে পারেন।
ফেসবুকে কনটেন্ট রাইটিং গ্রুপ থেকে আয়
বর্তমান সময়ে আয়ের অনেক উৎস বের হচ্ছে। আর ফেসবুক সোশ্যাল মিডিয়া ঘরে বসে সহজে আয় করার নতুন পদ্ধতি তৈরির ক্ষেত্রে অনেক বেশিই প্রভাব ফেলছে। ফেসবুকে আয়ের এতসব প্ল্যাটফর্মের মধ্যে উল্লেখযোগ্য একটি হলো আর্টিকেল রাইটিং কিংবা কনটেন্ট রাইটিং।
এখন ফেসবুকের বিভিন্ন গ্রুপের মাধ্যমে আপনি সহজেই পেতে পারেন আর্টিকেল রাইটিংয়ের কাজ। এই কাজ করে আপনি ভালো টাকা আয় করতে পারবেন। তাই আপনি যদি মনে করেন আর্টিকেল রাইটিং আপনার জন্য সহজ হবে, তাহলে আজই শুরু করতে পারেন আর্টিকেল রাইটিং।
অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং ও ফেসবুকে আয়
আমাদের অনেকের মনেই প্রশ্ন জাগবে যে, অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিংটা আবার কী? তাই প্রথমেই আমরা আপনাকে বলতে চাই যে, অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং হচ্ছে কোনো কোম্পানি বা কোনো প্রতিষ্ঠানের প্রোডাক্ট বিক্রি করে দেওয়া। এটাও খুবই জনপ্রিয় একটি আয়ের পথ।
আপনি চাইলে খুব সহজেই আপনার ফেসবুক পেজ বা গ্রুপে অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করে টাকা আয় করতে পারবেন। এই মাধ্যমে আপনি যাদের প্রোডাক্ট বিক্রি করে দেবেন, তাদের কাছ থেকে কিছু কমিশন পাবেন।
যে মার্কেটপ্লেসে অনেক ওয়েবসাইট রয়েছে, সেখানে আপনি এই ওয়েবসাইটগুলোর অ্যাফিলিয়েট প্রোগ্রামে থাকতে পারেন। বড় বড় ওয়েবসাইট; যেমন—আমাজন, আলিবাবা, ফ্লিপকার্ট ওয়েবসাইটগুলোতে অ্যাফিলিয়েট প্রোগ্রামে যোগদানের মাধ্যমে চাইলে আপনি টাকা উপার্জন করতে পারেন। এ ছাড়া টেক রিলেটেড কনটেন্ট পেজ হলে আপনার জন্য রয়েছে সুবর্ণ সুযোগ। চাইলে আপনার ফেসবুক পেজ থেকে খুবই বড় অঙ্কের টাকা আয় করতে পারবেন।
এসব পথ অনুসরণ করে আপনি খুব সহজেই ফেসবুক থেকে আয় করতে পারবেন। বর্তমান সময়ে ঘরে বসে আয়ের ক্ষেত্রে ফেসবুকের অবদান সত্যিই অপরিসীম। তাই বসে না থেকে আজই শুরু করতে পারেন ফেসবুকে টাকা উপার্জন।
ফেসবুক সম্পর্কিত পড়ুন:
এক্সের (সাবেক টুইটার) প্রতিদ্বন্দ্বী মাইক্রোব্লগিং প্ল্যাটফর্ম থ্রেডসের অ্যালগরিদম পরিবর্তন করল মেটা। এর ফলে যেসব অ্যাকাউন্ট ব্যবহারকারীরা ফলো করেন সেগুলোর কনটেন্টই বেশি দেখানো হবে। গত বৃহস্পতিবার থেকে ফিচারটি চালু হয়।
৮ ঘণ্টা আগেযুক্তরাষ্ট্রের প্রভাবশালী পত্রিকা টাইম ম্যাগাজিন–এর কভারে ধনকুবের ইলন মাস্কের ‘টু ডু লিস্ট’ বা দিনের কাজের তালিকা প্রকাশ করেছে। তবে এটি মাস্কের ব্যক্তিগত চেকলিস্ট নয় বলে স্পষ্টভাবে জানিয়েছেন মাস্ক।
৮ ঘণ্টা আগেটাইপ করার চেয়ে ভয়েস মেসেজ পাঠানো বেশ সহজ। তবে অনেক সময় ভয়েস মেসেজ সবার সামনে শোনা যায় না। সে ক্ষেত্রে মেসেজ না শুনে রিপ্লাই–ও দেওয়া যায়না। এই সমস্যা থেকে মুক্তি দেওয়ার জন্য মেসেজ ট্রান্সক্রাইব ফিচার যুক্ত করল হোয়াটসঅ্যাপ। এই ফিচারের মাধ্যমে ভয়েস মেসেজগুলো সহজে টেক্সটে রূপান্তর করা যাবে।
১০ ঘণ্টা আগেনিয়মিত নতুন উদ্ভাবনী ধারণা ও প্রযুক্তি দিয়ে বিশ্বকে চমকে দেওয়ার জন্য পরিচিত জাপান। এবার ‘মানুষ ধোয়ার মেশিন’ তৈরি করে তাক লাগিয়ে দিল দেশটি। এটি মানুষ গোসলের জন্য ব্যবহার করতে পারবে। যন্ত্রটির কার্যকারিতা ও ডিজাইন দেখে একে ‘মানুষ ধোয়ার ওয়াশিং মেশিন’ বলে আখ্যা দিয়েছে অনেকই।
১০ ঘণ্টা আগে