ফিচার ডেস্ক

আমাদের গৃহের হোম অ্যাপ্লায়েন্সগুলো আমাদের জীবনকে অনেকটা সহজ করে তোলে। হোম অ্যাপ্লায়েন্স হলো এমন বৈদ্যুতিক বা ইলেকট্রনিক যন্ত্রপাতি, যা আমাদের বাসাবাড়ির দৈনন্দিন কাজগুলো সম্পাদনে পরোক্ষভাবে ভূমিকা রাখে। আমাদের পরিবারের মা-বোনেরা এগুলো ব্যবহারের মাধ্যমে অনেকভাবে উপকৃত হন। সচরাচর যেসব কাজের ক্ষেত্রে আমরা কিছু হোম অ্যাপ্লায়েন্সের সহায়তা নিতে পারি, সেগুলো হলো—
রান্নাবান্না
পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা
বিনোদন
খাবার ব্যবস্থাপনা
স্বাচ্ছন্দ্য নিশ্চিতকরণ
আজকে আমরা কিছু জনপ্রিয় হোম অ্যাপ্লায়েন্স নিয়ে বিস্তারিত জানব। আরও জানব তাদের উপকারিতা এবং সেগুলো কীভাবে কীভাবে আমাদের জীবনযাত্রাকে আরও অনায়াসে কাটাতে সাহায্য করে।
১. এয়ার কন্ডিশনার
এয়ার কন্ডিশনার (AC) গরমের সময় তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণের মাধ্যমে আমাদের শীতল অনুভূতি দিতে সাহায্য করে। এটি রুমের তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণ করে এবং আমাদের জন্য স্বস্তিদায়ক পরিবেশ বয়ে এনে দেয়। এসি বিভিন্ন ধরনের হয়ে থাকে; যেমন স্প্লিট এসি, উইন্ডো এসি এবং পোর্টেবল এসি; যার মধ্যে আপনি আপনার প্রয়োজন অনুযায়ী বেছে নিতে পারেন আপনার বাজেটে সেরা এসিটি।
এয়ার কন্ডিশনারের ক্রমবিকাশ বলতে গেলে বেশ পুরোনো। প্রথম দিকের এসিগুলো ছিল আকারে বড় ও ভারী এবং শুধু বড় বড় অট্টালিকায় ব্যবহার করা হতো। কিন্তু আধুনিক এয়ার কন্ডিশনারগুলো তুলনামূলকভাবে আকারে ছোট, বহনযোগ্য এবং ঘরের জন্য উপযুক্ত। এ ছাড়া আধুনিক এয়ার কন্ডিশনারগুলো বিদ্যুৎসাশ্রয়ী এবং এগুলোয় রয়েছে বিভিন্ন সুবিধা, যেমন অটো ক্লিন, হিউমিডিটি কন্ট্রোল এবং স্মার্ট কন্ট্রোল।
২. রেফ্রিজারেটর
রেফ্রিজারেটর বা ফ্রিজ প্রতিটি গৃহের জন্য একটি অপরিহার্য অ্যাপ্লায়েন্স। এটি খাবারকে দীর্ঘ সময়ের জন্য ফ্রেশ রাখে, পচনশীলতা থেকে রক্ষা করে এবং খাবারের পুষ্টিগুণ অক্ষুণ্ন রাখতে সহায়তা করে। আধুনিক রেফ্রিজারেটরগুলো বিদ্যুৎসাশ্রয়ী হয় এবং তাদের মধ্যে অনেক অত্যাধুনিক সুবিধাদি দেখা যায়, যেমন ডিজিটাল টেম্পারেচার কন্ট্রোল, আইস মেকার এবং ওয়াটার ডিসপেনসার।
রেফ্রিজারেটর ব্যবহার বাসাবাড়িসহ বিভিন্ন অফিস-আদালতে অনেক আগে থেকেই দেখা যায়। প্রথম দিকের রেফ্রিজারেটরগুলো ছিল বরফের ব্লক ব্যবহার করে তৈরি করা। কিন্তু আধুনিক রেফ্রিজারেটরগুলো ফ্রিওন গ্যাস ব্যবহার করে ঠান্ডা করে। এটি খাবারকে দীর্ঘ সময় ধরে তাজা রাখতে সাহায্য করে। এ ছাড়া কিছু রেফ্রিজারেটরে ডুয়েল কুলিং সিস্টেম থাকে, যা ফ্রিজ এবং ফ্রিজার উভয় অংশকে পৃথক পৃথকভাবে ঠান্ডা করে।
৩. ওয়াশিং মেশিন
ওয়াশিং মেশিন আমাদের অনেক পরিশ্রম কমিয়ে দেয় এবং সময় বাঁচাতে সাহায্য করে। অ্যাপ্লায়েন্সটি বিভিন্ন ধরনের কাপড় ধোয়া, রিন্স করা থেকে ড্রাই করার কাজও করে। অটোমেটিক ওয়াশিং মেশিনগুলো আরও বেশি সুবিধাজনক; কারণ, এটি আপনাকে কোনো রূপ হাতের স্পর্শ ছাড়াই কাপড় পরিষ্কারের কাজ শেষ করে দেয়।
ওয়াশিং মেশিনেরও একটি দীর্ঘ ইতিহাস রয়েছে। প্রথম দিকের ওয়াশিং মেশিনগুলো ছিল ম্যানুয়াল, যেখানে হাত দিয়ে কাপড় কাচতে হতো। কিন্তু আধুনিক ওয়াশিং মেশিনগুলো সম্পূর্ণ স্বয়ংক্রিয় এবং তাদের মধ্যে বিভিন্ন প্রোগ্রামিং করা থাকে, যা বিভিন্ন ফেব্রিকের কাপড়ের জন্য উপযুক্ত। এ ছাড়া কিছু ওয়াশিং মেশিনে ড্রাইং ফাংশনও থাকে, যা কাপড়কে দ্রুত শুকাতে সাহায্য করে।
৪. মাইক্রোওয়েভ ওভেন
মাইক্রোওয়েভ ওভেন হলো আরও একটি উপকারী হোম অ্যাপ্লায়েন্স, যা খাবার গরম করা, ডিফ্রস্ট করা এবং কিছু ক্ষেত্রে বেকিংয়ের কাজও করে। এটি খুব স্বল্প সময়ে খাবার গরম করতে সক্ষম, যার ফলে আপনার সময় অনেকটা বাঁচবে। আধুনিক মাইক্রোওয়েভ ওভেনগুলোতে কনভেকশন এবং গ্রিল ফিচারও থাকে, যার ফলে আপনি আরও বিভিন্ন ধরনের রান্না করতে পারবেন।
মাইক্রোওয়েভ ওভেনের উদ্ভাবন নিশ্চিতরূপে রান্নার জগতে এক নতুন সম্ভাবনার দুয়ার খুলে দিয়েছিল। ১৯৪৫ সালে পেরসি স্পেন্সার নামক একজন ইঞ্জিনিয়ার মাইক্রোওয়েভ রেডিয়েশন নিয়ে কাজ করার সময় দুর্ঘটনাক্রমে একটি চকলেট বার গলিয়ে ফেলেন। এরপর তিনি বুঝতে পারেন যে মাইক্রোওয়েভ রেডিয়েশন খাবার গরম করতে ব্যবহার করা যেতে পারে। এর পর থেকেই মাইক্রোওয়েভ ওভেনের যাত্রা শুরু।
৫. টেলিভিশন (TV)
যেমনটা আমরা সবাই জানি, টেলিভিশন বা TV আমাদের ঘরের বিনোদনের শ্রেষ্ঠ মাধ্যম। টিভি ছাড়া বর্তমানে আমাদের এক দিনও চলে না। এটি আমাদের বিভিন্ন ধরনের প্রোগ্রাম, সিনেমা, খবর এবং অন্যান্য কনটেন্ট উপভোগ করার সুযোগ দেয়। আধুনিক টেলিভিশনগুলোয় বিভিন্ন ফিচার থাকে, যেমন স্মার্ট টিভি ফাংশন, 4K রেজল্যুশন, HDR এবং ইন্টারনেট কানেকটিভিটি।
টেলিভিশনও একটি প্রাচীনতম আবিষ্কার। প্রথম দিকের টেলিভিশনগুলো ছিল সাদাকালো এবং তাদের পর্দা ছিল ছোট। কিন্তু আধুনিক টেলিভিশনগুলো রঙিন, বড় পর্দার এবং হাই রেজল্যুশনের সঙ্গে আসে। এ ছাড়া স্মার্ট টিভিগুলো ইন্টারনেট কানেকটিভিটি এবং বিভিন্ন অ্যাপ্লিকেশন সাপোর্ট করে, যার ফলে আপনি স্ট্রিমিং সার্ভিস, গেমিং এবং অন্যান্য অনেক কিছু করা যায়।
৬. ভ্যাকুয়াম ক্লিনার
ভ্যাকুয়াম ক্লিনার আপনার গৃহস্থলের ধুলা, ময়লা এবং পোকামাকড় পরিষ্কার করতে সাহায্য করে। এটি অনেকটা পরিশ্রম কমিয়ে দেয় এবং আপনার ঘরে একটি পরিচ্ছন্ন পরিবেশ নিশ্চিত করে। আধুনিক ভ্যাকুয়াম ক্লিনারগুলো ওজনে হালকা, বহনযোগ্য এবং তাদের মধ্যে অনেক অত্যাধুনিক সুবিধাদি থাকে, যেমন HEPA ফিল্টার, যা অ্যালার্জেনসকে ফিল্টার করে।
ভ্যাকুয়াম ক্লিনারের আবিষ্কারও একটি আকর্ষণীয় ঘটনা ছিল। ১৯০১ সালে হাবার্ট বুথ নামক একজন ব্রিটিশ ইঞ্জিনিয়ার প্রথম ভ্যাকুয়াম ক্লিনার আবিষ্কার করেন। প্রথম দিকের ভ্যাকুয়াম ক্লিনারগুলো ছিল বড় এবং ভারী এবং তাদের পরিচালনা করতে অনেকটা বেগ পেতে হতো। কিন্তু আধুনিক ভ্যাকুয়াম ক্লিনারগুলো ছোট ও সহজে ব্যবহারযোগ্য। তাদের মধ্যে বিভিন্ন ফিচার থাকে, যা পরিষ্কার করার কাজকে আরও সহজতর করে তোলে।
৭. রাইস কুকার
রাইস কুকার রান্নার কাজকে অনেকটা সহজ করে দেয়, বিশেষ করে এশিয়ান দেশগুলোতে। এটি চাল রান্না করার কাজকে সহজ এবং দ্রুত করে তোলে। আধুনিক রাইস কুকারগুলোতে বিভিন্ন প্রোগ্রাম থাকে, যা বিভিন্ন ধরনের চাল রান্নার জন্য উপযুক্ত।
রাইস কুকারের আবিষ্কার বেশ পুরোনো না হলেও বলার মতো। প্রথম দিকের রাইস কুকারগুলো ছিল ম্যানুয়াল, যেখানে হাত দিয়ে চাল রান্না করতে হতো। কিন্তু আধুনিক রাইস কুকারগুলো সম্পূর্ণ অটোমেটিক এবং তাদের মধ্যে বিভিন্ন ফিচার থাকে, যেমন টাইমার, কিপ ওয়ার্ম ফাংশন এবং ডিলে স্টার্ট।
৮. ডিশওয়াশার
ডিশওয়াশার একটি গুরুত্বপূর্ণ হোম অ্যাপ্লায়েন্স, যা বাসনপত্র পরিষ্কারের কাজকে সহজ করে তোলে। এটি অনেক গৃহিণীর সময় এবং পরিশ্রম বাঁচাতে সাহায্য করে। আধুনিক ডিশওয়াশারগুলোয় বিভিন্ন পূর্বনির্ধারিত প্রোগ্রাম থাকে, যা বিভিন্ন ধরনের থালাবাসনের জন্য উপযুক্ত।
ডিশওয়াশারের ব্যবহার অনেক সময় ধরেই। প্রথম দিকের ডিশওয়াশারগুলো ছিল ম্যানুয়াল, যেখানে নিজ হাতে বাসনপত্র পরিষ্কার করা হতো। কিন্তু আধুনিক ডিশওয়াশারগুলো সম্পূর্ণ অটোমেটিক এবং তাদের মধ্যে বিভিন্ন ফিচার থাকে, যেমন হিটেড ড্রাইং, স্যানিটাইজিং এবং এনার্জি এফিশিয়েন্ট মোড।
৯. ব্লেন্ডার
ব্লেন্ডার একটি বহুমুখী হোম অ্যাপ্লায়েন্স, যা বিভিন্ন ধরনের খাবার প্রস্তুত করতে সাহায্য করে। এটি স্মুদি, সস, স্যুপ এবং অন্যান্য খাবার তৈরি করতে ব্যবহার করা হয়। আধুনিক ব্লেন্ডারগুলোতে বিভিন্ন স্পিড এবং ফাংশন থাকে, যা বিভিন্ন ধরনের খাবার প্রস্তুত করতে সহায়তা করে।
ব্লেন্ডার আরও আগে থেকে রান্নার কাজে রাঁধুনিদের পরিশ্রম লাঘব করে আসছে। আগের ব্লেন্ডারগুলো ছিল ম্যানুয়াল, যেখানে হাতের সাহায্যে খাবার ব্লেন্ড করতে হতো। কিন্তু আধুনিক ব্লেন্ডারগুলো সম্পূর্ণ স্বয়ংক্রিয় এবং তাদের মধ্যে বিভিন্ন ফিচার থাকে, যেমন পালস ফাংশন, আইস ক্রাশিং এবং ডিশওয়াশার সেফ পার্টস।
১০. ফুড প্রসেসর
ফুড প্রসেসর একটি গুরুত্বপূর্ণ হোম অ্যাপ্লায়েন্স, যা বিভিন্ন ধরনের খাবার প্রস্তুতকরণে সাহায্য করে। এটি চপিং, স্লাইসিং, গ্রেটিং এবং মিক্সিংয়ের কাজ করে। আধুনিক ফুড প্রসেসরগুলোতে বিভিন্ন অ্যাটাচমেন্ট থাকে, যা বিভিন্ন ধরনের কাজ করার জন্য ডিজাইন করা।
আগের ফুড প্রসেসরগুলো ম্যানুয়ালি অপারেট করতে হতো, যেখানে হাতের সহায়তায় খাবার প্রসেস করতে হতো। কিন্তু আধুনিক ফুড প্রসেসরগুলো সম্পূর্ণ অটোমেটিক এবং তাদের মধ্যে বিভিন্ন ফিচার থাকে, যেমন মাল্টিপল ব্লেডস, ডিফারেন্ট স্পিড সেটিংস এবং লার্জ ক্যাপাসিটি বোল।
১১. ইলেকট্রিক গ্রিল
ইলেকট্রিক গ্রিল ভোজনরসিক ব্যক্তিদের জন্য অত্যন্ত জনপ্রিয় একটি হোম অ্যাপ্লায়েন্স, যা গ্রিলিংয়ের কাজকে সহজ করে তোলে। এটি মাংস, মাছ এবং সবজি গ্রিল করতে ব্যবহার করা হয়। আধুনিক ইলেকট্রিক গ্রিলগুলোতে বিভিন্ন ফিচার থাকে, যেমন অ্যাডজাস্টেবল টেম্পারেচার কন্ট্রোল, নন-স্টিক সারফেস এবং রিমুভেবল ড্রিপ ট্রে।
প্রাথমিক পর্যায়ের ইলেকট্রিক গ্রিলগুলো ছিল ম্যানুয়াল। অটোমেটিক ফিচারগুলো তেমন একটা ছিল না, তাই হাত দিয়ে খাবার গ্রিল করতে হতো। কিন্তু আধুনিক ইলেকট্রিক গ্রিলগুলো সম্পূর্ণ অটোমেটিক এবং সব আধুনিক ফিচারসমৃদ্ধ, যা গ্রিলিংয়ের কাজকে আরও নিরাপদ এবং নির্ঝঞ্ঝাট করে তোলে।
১২. হেয়ার ড্রায়ার
যাঁরা চুলের যত্ন নেন, তাঁদের একটি হেয়ার ড্রায়ার না হলেই নয়। এটি চুল শুকানোর কাজকে সহজ করে এবং দ্রুত রেডি হওয়ার ক্ষেত্রে বিশেষ করে নারীদের সহায়তা করতে সক্ষম। আধুনিক হেয়ার ড্রায়ারগুলোয় অত্যাধুনিক ফিচার থাকে, যেমন মাল্টিপল হিট এবং স্পিড সেটিংস, কুল শট বাটন এবং ডিফিউজার অ্যাটাচমেন্ট।
Star Tech আপনার এবং আপনার পরিবারের জীবনযাত্রাকে আরও সহজ করতে অত্যন্ত আকর্ষণীয় মূল্যে এসব হোম অ্যাপ্লায়েন্স সরবরাহ করে থাকে। নিঃসন্দেহে স্টার টেক আপনার নিত্যদিনের প্রয়োজনীয় হোম অ্যাপ্লায়েন্সগুলো সরবরাহে one-stop সার্ভিস দিয়ে থাকে। আমাদের অনলাইন শপ বা সরাসরি দোকানে এসে সংগ্রহ করুন আপনার প্রয়োজনীয় হোম অ্যাপ্লায়েন্সে।

আমাদের গৃহের হোম অ্যাপ্লায়েন্সগুলো আমাদের জীবনকে অনেকটা সহজ করে তোলে। হোম অ্যাপ্লায়েন্স হলো এমন বৈদ্যুতিক বা ইলেকট্রনিক যন্ত্রপাতি, যা আমাদের বাসাবাড়ির দৈনন্দিন কাজগুলো সম্পাদনে পরোক্ষভাবে ভূমিকা রাখে। আমাদের পরিবারের মা-বোনেরা এগুলো ব্যবহারের মাধ্যমে অনেকভাবে উপকৃত হন। সচরাচর যেসব কাজের ক্ষেত্রে আমরা কিছু হোম অ্যাপ্লায়েন্সের সহায়তা নিতে পারি, সেগুলো হলো—
রান্নাবান্না
পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা
বিনোদন
খাবার ব্যবস্থাপনা
স্বাচ্ছন্দ্য নিশ্চিতকরণ
আজকে আমরা কিছু জনপ্রিয় হোম অ্যাপ্লায়েন্স নিয়ে বিস্তারিত জানব। আরও জানব তাদের উপকারিতা এবং সেগুলো কীভাবে কীভাবে আমাদের জীবনযাত্রাকে আরও অনায়াসে কাটাতে সাহায্য করে।
১. এয়ার কন্ডিশনার
এয়ার কন্ডিশনার (AC) গরমের সময় তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণের মাধ্যমে আমাদের শীতল অনুভূতি দিতে সাহায্য করে। এটি রুমের তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণ করে এবং আমাদের জন্য স্বস্তিদায়ক পরিবেশ বয়ে এনে দেয়। এসি বিভিন্ন ধরনের হয়ে থাকে; যেমন স্প্লিট এসি, উইন্ডো এসি এবং পোর্টেবল এসি; যার মধ্যে আপনি আপনার প্রয়োজন অনুযায়ী বেছে নিতে পারেন আপনার বাজেটে সেরা এসিটি।
এয়ার কন্ডিশনারের ক্রমবিকাশ বলতে গেলে বেশ পুরোনো। প্রথম দিকের এসিগুলো ছিল আকারে বড় ও ভারী এবং শুধু বড় বড় অট্টালিকায় ব্যবহার করা হতো। কিন্তু আধুনিক এয়ার কন্ডিশনারগুলো তুলনামূলকভাবে আকারে ছোট, বহনযোগ্য এবং ঘরের জন্য উপযুক্ত। এ ছাড়া আধুনিক এয়ার কন্ডিশনারগুলো বিদ্যুৎসাশ্রয়ী এবং এগুলোয় রয়েছে বিভিন্ন সুবিধা, যেমন অটো ক্লিন, হিউমিডিটি কন্ট্রোল এবং স্মার্ট কন্ট্রোল।
২. রেফ্রিজারেটর
রেফ্রিজারেটর বা ফ্রিজ প্রতিটি গৃহের জন্য একটি অপরিহার্য অ্যাপ্লায়েন্স। এটি খাবারকে দীর্ঘ সময়ের জন্য ফ্রেশ রাখে, পচনশীলতা থেকে রক্ষা করে এবং খাবারের পুষ্টিগুণ অক্ষুণ্ন রাখতে সহায়তা করে। আধুনিক রেফ্রিজারেটরগুলো বিদ্যুৎসাশ্রয়ী হয় এবং তাদের মধ্যে অনেক অত্যাধুনিক সুবিধাদি দেখা যায়, যেমন ডিজিটাল টেম্পারেচার কন্ট্রোল, আইস মেকার এবং ওয়াটার ডিসপেনসার।
রেফ্রিজারেটর ব্যবহার বাসাবাড়িসহ বিভিন্ন অফিস-আদালতে অনেক আগে থেকেই দেখা যায়। প্রথম দিকের রেফ্রিজারেটরগুলো ছিল বরফের ব্লক ব্যবহার করে তৈরি করা। কিন্তু আধুনিক রেফ্রিজারেটরগুলো ফ্রিওন গ্যাস ব্যবহার করে ঠান্ডা করে। এটি খাবারকে দীর্ঘ সময় ধরে তাজা রাখতে সাহায্য করে। এ ছাড়া কিছু রেফ্রিজারেটরে ডুয়েল কুলিং সিস্টেম থাকে, যা ফ্রিজ এবং ফ্রিজার উভয় অংশকে পৃথক পৃথকভাবে ঠান্ডা করে।
৩. ওয়াশিং মেশিন
ওয়াশিং মেশিন আমাদের অনেক পরিশ্রম কমিয়ে দেয় এবং সময় বাঁচাতে সাহায্য করে। অ্যাপ্লায়েন্সটি বিভিন্ন ধরনের কাপড় ধোয়া, রিন্স করা থেকে ড্রাই করার কাজও করে। অটোমেটিক ওয়াশিং মেশিনগুলো আরও বেশি সুবিধাজনক; কারণ, এটি আপনাকে কোনো রূপ হাতের স্পর্শ ছাড়াই কাপড় পরিষ্কারের কাজ শেষ করে দেয়।
ওয়াশিং মেশিনেরও একটি দীর্ঘ ইতিহাস রয়েছে। প্রথম দিকের ওয়াশিং মেশিনগুলো ছিল ম্যানুয়াল, যেখানে হাত দিয়ে কাপড় কাচতে হতো। কিন্তু আধুনিক ওয়াশিং মেশিনগুলো সম্পূর্ণ স্বয়ংক্রিয় এবং তাদের মধ্যে বিভিন্ন প্রোগ্রামিং করা থাকে, যা বিভিন্ন ফেব্রিকের কাপড়ের জন্য উপযুক্ত। এ ছাড়া কিছু ওয়াশিং মেশিনে ড্রাইং ফাংশনও থাকে, যা কাপড়কে দ্রুত শুকাতে সাহায্য করে।
৪. মাইক্রোওয়েভ ওভেন
মাইক্রোওয়েভ ওভেন হলো আরও একটি উপকারী হোম অ্যাপ্লায়েন্স, যা খাবার গরম করা, ডিফ্রস্ট করা এবং কিছু ক্ষেত্রে বেকিংয়ের কাজও করে। এটি খুব স্বল্প সময়ে খাবার গরম করতে সক্ষম, যার ফলে আপনার সময় অনেকটা বাঁচবে। আধুনিক মাইক্রোওয়েভ ওভেনগুলোতে কনভেকশন এবং গ্রিল ফিচারও থাকে, যার ফলে আপনি আরও বিভিন্ন ধরনের রান্না করতে পারবেন।
মাইক্রোওয়েভ ওভেনের উদ্ভাবন নিশ্চিতরূপে রান্নার জগতে এক নতুন সম্ভাবনার দুয়ার খুলে দিয়েছিল। ১৯৪৫ সালে পেরসি স্পেন্সার নামক একজন ইঞ্জিনিয়ার মাইক্রোওয়েভ রেডিয়েশন নিয়ে কাজ করার সময় দুর্ঘটনাক্রমে একটি চকলেট বার গলিয়ে ফেলেন। এরপর তিনি বুঝতে পারেন যে মাইক্রোওয়েভ রেডিয়েশন খাবার গরম করতে ব্যবহার করা যেতে পারে। এর পর থেকেই মাইক্রোওয়েভ ওভেনের যাত্রা শুরু।
৫. টেলিভিশন (TV)
যেমনটা আমরা সবাই জানি, টেলিভিশন বা TV আমাদের ঘরের বিনোদনের শ্রেষ্ঠ মাধ্যম। টিভি ছাড়া বর্তমানে আমাদের এক দিনও চলে না। এটি আমাদের বিভিন্ন ধরনের প্রোগ্রাম, সিনেমা, খবর এবং অন্যান্য কনটেন্ট উপভোগ করার সুযোগ দেয়। আধুনিক টেলিভিশনগুলোয় বিভিন্ন ফিচার থাকে, যেমন স্মার্ট টিভি ফাংশন, 4K রেজল্যুশন, HDR এবং ইন্টারনেট কানেকটিভিটি।
টেলিভিশনও একটি প্রাচীনতম আবিষ্কার। প্রথম দিকের টেলিভিশনগুলো ছিল সাদাকালো এবং তাদের পর্দা ছিল ছোট। কিন্তু আধুনিক টেলিভিশনগুলো রঙিন, বড় পর্দার এবং হাই রেজল্যুশনের সঙ্গে আসে। এ ছাড়া স্মার্ট টিভিগুলো ইন্টারনেট কানেকটিভিটি এবং বিভিন্ন অ্যাপ্লিকেশন সাপোর্ট করে, যার ফলে আপনি স্ট্রিমিং সার্ভিস, গেমিং এবং অন্যান্য অনেক কিছু করা যায়।
৬. ভ্যাকুয়াম ক্লিনার
ভ্যাকুয়াম ক্লিনার আপনার গৃহস্থলের ধুলা, ময়লা এবং পোকামাকড় পরিষ্কার করতে সাহায্য করে। এটি অনেকটা পরিশ্রম কমিয়ে দেয় এবং আপনার ঘরে একটি পরিচ্ছন্ন পরিবেশ নিশ্চিত করে। আধুনিক ভ্যাকুয়াম ক্লিনারগুলো ওজনে হালকা, বহনযোগ্য এবং তাদের মধ্যে অনেক অত্যাধুনিক সুবিধাদি থাকে, যেমন HEPA ফিল্টার, যা অ্যালার্জেনসকে ফিল্টার করে।
ভ্যাকুয়াম ক্লিনারের আবিষ্কারও একটি আকর্ষণীয় ঘটনা ছিল। ১৯০১ সালে হাবার্ট বুথ নামক একজন ব্রিটিশ ইঞ্জিনিয়ার প্রথম ভ্যাকুয়াম ক্লিনার আবিষ্কার করেন। প্রথম দিকের ভ্যাকুয়াম ক্লিনারগুলো ছিল বড় এবং ভারী এবং তাদের পরিচালনা করতে অনেকটা বেগ পেতে হতো। কিন্তু আধুনিক ভ্যাকুয়াম ক্লিনারগুলো ছোট ও সহজে ব্যবহারযোগ্য। তাদের মধ্যে বিভিন্ন ফিচার থাকে, যা পরিষ্কার করার কাজকে আরও সহজতর করে তোলে।
৭. রাইস কুকার
রাইস কুকার রান্নার কাজকে অনেকটা সহজ করে দেয়, বিশেষ করে এশিয়ান দেশগুলোতে। এটি চাল রান্না করার কাজকে সহজ এবং দ্রুত করে তোলে। আধুনিক রাইস কুকারগুলোতে বিভিন্ন প্রোগ্রাম থাকে, যা বিভিন্ন ধরনের চাল রান্নার জন্য উপযুক্ত।
রাইস কুকারের আবিষ্কার বেশ পুরোনো না হলেও বলার মতো। প্রথম দিকের রাইস কুকারগুলো ছিল ম্যানুয়াল, যেখানে হাত দিয়ে চাল রান্না করতে হতো। কিন্তু আধুনিক রাইস কুকারগুলো সম্পূর্ণ অটোমেটিক এবং তাদের মধ্যে বিভিন্ন ফিচার থাকে, যেমন টাইমার, কিপ ওয়ার্ম ফাংশন এবং ডিলে স্টার্ট।
৮. ডিশওয়াশার
ডিশওয়াশার একটি গুরুত্বপূর্ণ হোম অ্যাপ্লায়েন্স, যা বাসনপত্র পরিষ্কারের কাজকে সহজ করে তোলে। এটি অনেক গৃহিণীর সময় এবং পরিশ্রম বাঁচাতে সাহায্য করে। আধুনিক ডিশওয়াশারগুলোয় বিভিন্ন পূর্বনির্ধারিত প্রোগ্রাম থাকে, যা বিভিন্ন ধরনের থালাবাসনের জন্য উপযুক্ত।
ডিশওয়াশারের ব্যবহার অনেক সময় ধরেই। প্রথম দিকের ডিশওয়াশারগুলো ছিল ম্যানুয়াল, যেখানে নিজ হাতে বাসনপত্র পরিষ্কার করা হতো। কিন্তু আধুনিক ডিশওয়াশারগুলো সম্পূর্ণ অটোমেটিক এবং তাদের মধ্যে বিভিন্ন ফিচার থাকে, যেমন হিটেড ড্রাইং, স্যানিটাইজিং এবং এনার্জি এফিশিয়েন্ট মোড।
৯. ব্লেন্ডার
ব্লেন্ডার একটি বহুমুখী হোম অ্যাপ্লায়েন্স, যা বিভিন্ন ধরনের খাবার প্রস্তুত করতে সাহায্য করে। এটি স্মুদি, সস, স্যুপ এবং অন্যান্য খাবার তৈরি করতে ব্যবহার করা হয়। আধুনিক ব্লেন্ডারগুলোতে বিভিন্ন স্পিড এবং ফাংশন থাকে, যা বিভিন্ন ধরনের খাবার প্রস্তুত করতে সহায়তা করে।
ব্লেন্ডার আরও আগে থেকে রান্নার কাজে রাঁধুনিদের পরিশ্রম লাঘব করে আসছে। আগের ব্লেন্ডারগুলো ছিল ম্যানুয়াল, যেখানে হাতের সাহায্যে খাবার ব্লেন্ড করতে হতো। কিন্তু আধুনিক ব্লেন্ডারগুলো সম্পূর্ণ স্বয়ংক্রিয় এবং তাদের মধ্যে বিভিন্ন ফিচার থাকে, যেমন পালস ফাংশন, আইস ক্রাশিং এবং ডিশওয়াশার সেফ পার্টস।
১০. ফুড প্রসেসর
ফুড প্রসেসর একটি গুরুত্বপূর্ণ হোম অ্যাপ্লায়েন্স, যা বিভিন্ন ধরনের খাবার প্রস্তুতকরণে সাহায্য করে। এটি চপিং, স্লাইসিং, গ্রেটিং এবং মিক্সিংয়ের কাজ করে। আধুনিক ফুড প্রসেসরগুলোতে বিভিন্ন অ্যাটাচমেন্ট থাকে, যা বিভিন্ন ধরনের কাজ করার জন্য ডিজাইন করা।
আগের ফুড প্রসেসরগুলো ম্যানুয়ালি অপারেট করতে হতো, যেখানে হাতের সহায়তায় খাবার প্রসেস করতে হতো। কিন্তু আধুনিক ফুড প্রসেসরগুলো সম্পূর্ণ অটোমেটিক এবং তাদের মধ্যে বিভিন্ন ফিচার থাকে, যেমন মাল্টিপল ব্লেডস, ডিফারেন্ট স্পিড সেটিংস এবং লার্জ ক্যাপাসিটি বোল।
১১. ইলেকট্রিক গ্রিল
ইলেকট্রিক গ্রিল ভোজনরসিক ব্যক্তিদের জন্য অত্যন্ত জনপ্রিয় একটি হোম অ্যাপ্লায়েন্স, যা গ্রিলিংয়ের কাজকে সহজ করে তোলে। এটি মাংস, মাছ এবং সবজি গ্রিল করতে ব্যবহার করা হয়। আধুনিক ইলেকট্রিক গ্রিলগুলোতে বিভিন্ন ফিচার থাকে, যেমন অ্যাডজাস্টেবল টেম্পারেচার কন্ট্রোল, নন-স্টিক সারফেস এবং রিমুভেবল ড্রিপ ট্রে।
প্রাথমিক পর্যায়ের ইলেকট্রিক গ্রিলগুলো ছিল ম্যানুয়াল। অটোমেটিক ফিচারগুলো তেমন একটা ছিল না, তাই হাত দিয়ে খাবার গ্রিল করতে হতো। কিন্তু আধুনিক ইলেকট্রিক গ্রিলগুলো সম্পূর্ণ অটোমেটিক এবং সব আধুনিক ফিচারসমৃদ্ধ, যা গ্রিলিংয়ের কাজকে আরও নিরাপদ এবং নির্ঝঞ্ঝাট করে তোলে।
১২. হেয়ার ড্রায়ার
যাঁরা চুলের যত্ন নেন, তাঁদের একটি হেয়ার ড্রায়ার না হলেই নয়। এটি চুল শুকানোর কাজকে সহজ করে এবং দ্রুত রেডি হওয়ার ক্ষেত্রে বিশেষ করে নারীদের সহায়তা করতে সক্ষম। আধুনিক হেয়ার ড্রায়ারগুলোয় অত্যাধুনিক ফিচার থাকে, যেমন মাল্টিপল হিট এবং স্পিড সেটিংস, কুল শট বাটন এবং ডিফিউজার অ্যাটাচমেন্ট।
Star Tech আপনার এবং আপনার পরিবারের জীবনযাত্রাকে আরও সহজ করতে অত্যন্ত আকর্ষণীয় মূল্যে এসব হোম অ্যাপ্লায়েন্স সরবরাহ করে থাকে। নিঃসন্দেহে স্টার টেক আপনার নিত্যদিনের প্রয়োজনীয় হোম অ্যাপ্লায়েন্সগুলো সরবরাহে one-stop সার্ভিস দিয়ে থাকে। আমাদের অনলাইন শপ বা সরাসরি দোকানে এসে সংগ্রহ করুন আপনার প্রয়োজনীয় হোম অ্যাপ্লায়েন্সে।
ফিচার ডেস্ক

আমাদের গৃহের হোম অ্যাপ্লায়েন্সগুলো আমাদের জীবনকে অনেকটা সহজ করে তোলে। হোম অ্যাপ্লায়েন্স হলো এমন বৈদ্যুতিক বা ইলেকট্রনিক যন্ত্রপাতি, যা আমাদের বাসাবাড়ির দৈনন্দিন কাজগুলো সম্পাদনে পরোক্ষভাবে ভূমিকা রাখে। আমাদের পরিবারের মা-বোনেরা এগুলো ব্যবহারের মাধ্যমে অনেকভাবে উপকৃত হন। সচরাচর যেসব কাজের ক্ষেত্রে আমরা কিছু হোম অ্যাপ্লায়েন্সের সহায়তা নিতে পারি, সেগুলো হলো—
রান্নাবান্না
পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা
বিনোদন
খাবার ব্যবস্থাপনা
স্বাচ্ছন্দ্য নিশ্চিতকরণ
আজকে আমরা কিছু জনপ্রিয় হোম অ্যাপ্লায়েন্স নিয়ে বিস্তারিত জানব। আরও জানব তাদের উপকারিতা এবং সেগুলো কীভাবে কীভাবে আমাদের জীবনযাত্রাকে আরও অনায়াসে কাটাতে সাহায্য করে।
১. এয়ার কন্ডিশনার
এয়ার কন্ডিশনার (AC) গরমের সময় তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণের মাধ্যমে আমাদের শীতল অনুভূতি দিতে সাহায্য করে। এটি রুমের তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণ করে এবং আমাদের জন্য স্বস্তিদায়ক পরিবেশ বয়ে এনে দেয়। এসি বিভিন্ন ধরনের হয়ে থাকে; যেমন স্প্লিট এসি, উইন্ডো এসি এবং পোর্টেবল এসি; যার মধ্যে আপনি আপনার প্রয়োজন অনুযায়ী বেছে নিতে পারেন আপনার বাজেটে সেরা এসিটি।
এয়ার কন্ডিশনারের ক্রমবিকাশ বলতে গেলে বেশ পুরোনো। প্রথম দিকের এসিগুলো ছিল আকারে বড় ও ভারী এবং শুধু বড় বড় অট্টালিকায় ব্যবহার করা হতো। কিন্তু আধুনিক এয়ার কন্ডিশনারগুলো তুলনামূলকভাবে আকারে ছোট, বহনযোগ্য এবং ঘরের জন্য উপযুক্ত। এ ছাড়া আধুনিক এয়ার কন্ডিশনারগুলো বিদ্যুৎসাশ্রয়ী এবং এগুলোয় রয়েছে বিভিন্ন সুবিধা, যেমন অটো ক্লিন, হিউমিডিটি কন্ট্রোল এবং স্মার্ট কন্ট্রোল।
২. রেফ্রিজারেটর
রেফ্রিজারেটর বা ফ্রিজ প্রতিটি গৃহের জন্য একটি অপরিহার্য অ্যাপ্লায়েন্স। এটি খাবারকে দীর্ঘ সময়ের জন্য ফ্রেশ রাখে, পচনশীলতা থেকে রক্ষা করে এবং খাবারের পুষ্টিগুণ অক্ষুণ্ন রাখতে সহায়তা করে। আধুনিক রেফ্রিজারেটরগুলো বিদ্যুৎসাশ্রয়ী হয় এবং তাদের মধ্যে অনেক অত্যাধুনিক সুবিধাদি দেখা যায়, যেমন ডিজিটাল টেম্পারেচার কন্ট্রোল, আইস মেকার এবং ওয়াটার ডিসপেনসার।
রেফ্রিজারেটর ব্যবহার বাসাবাড়িসহ বিভিন্ন অফিস-আদালতে অনেক আগে থেকেই দেখা যায়। প্রথম দিকের রেফ্রিজারেটরগুলো ছিল বরফের ব্লক ব্যবহার করে তৈরি করা। কিন্তু আধুনিক রেফ্রিজারেটরগুলো ফ্রিওন গ্যাস ব্যবহার করে ঠান্ডা করে। এটি খাবারকে দীর্ঘ সময় ধরে তাজা রাখতে সাহায্য করে। এ ছাড়া কিছু রেফ্রিজারেটরে ডুয়েল কুলিং সিস্টেম থাকে, যা ফ্রিজ এবং ফ্রিজার উভয় অংশকে পৃথক পৃথকভাবে ঠান্ডা করে।
৩. ওয়াশিং মেশিন
ওয়াশিং মেশিন আমাদের অনেক পরিশ্রম কমিয়ে দেয় এবং সময় বাঁচাতে সাহায্য করে। অ্যাপ্লায়েন্সটি বিভিন্ন ধরনের কাপড় ধোয়া, রিন্স করা থেকে ড্রাই করার কাজও করে। অটোমেটিক ওয়াশিং মেশিনগুলো আরও বেশি সুবিধাজনক; কারণ, এটি আপনাকে কোনো রূপ হাতের স্পর্শ ছাড়াই কাপড় পরিষ্কারের কাজ শেষ করে দেয়।
ওয়াশিং মেশিনেরও একটি দীর্ঘ ইতিহাস রয়েছে। প্রথম দিকের ওয়াশিং মেশিনগুলো ছিল ম্যানুয়াল, যেখানে হাত দিয়ে কাপড় কাচতে হতো। কিন্তু আধুনিক ওয়াশিং মেশিনগুলো সম্পূর্ণ স্বয়ংক্রিয় এবং তাদের মধ্যে বিভিন্ন প্রোগ্রামিং করা থাকে, যা বিভিন্ন ফেব্রিকের কাপড়ের জন্য উপযুক্ত। এ ছাড়া কিছু ওয়াশিং মেশিনে ড্রাইং ফাংশনও থাকে, যা কাপড়কে দ্রুত শুকাতে সাহায্য করে।
৪. মাইক্রোওয়েভ ওভেন
মাইক্রোওয়েভ ওভেন হলো আরও একটি উপকারী হোম অ্যাপ্লায়েন্স, যা খাবার গরম করা, ডিফ্রস্ট করা এবং কিছু ক্ষেত্রে বেকিংয়ের কাজও করে। এটি খুব স্বল্প সময়ে খাবার গরম করতে সক্ষম, যার ফলে আপনার সময় অনেকটা বাঁচবে। আধুনিক মাইক্রোওয়েভ ওভেনগুলোতে কনভেকশন এবং গ্রিল ফিচারও থাকে, যার ফলে আপনি আরও বিভিন্ন ধরনের রান্না করতে পারবেন।
মাইক্রোওয়েভ ওভেনের উদ্ভাবন নিশ্চিতরূপে রান্নার জগতে এক নতুন সম্ভাবনার দুয়ার খুলে দিয়েছিল। ১৯৪৫ সালে পেরসি স্পেন্সার নামক একজন ইঞ্জিনিয়ার মাইক্রোওয়েভ রেডিয়েশন নিয়ে কাজ করার সময় দুর্ঘটনাক্রমে একটি চকলেট বার গলিয়ে ফেলেন। এরপর তিনি বুঝতে পারেন যে মাইক্রোওয়েভ রেডিয়েশন খাবার গরম করতে ব্যবহার করা যেতে পারে। এর পর থেকেই মাইক্রোওয়েভ ওভেনের যাত্রা শুরু।
৫. টেলিভিশন (TV)
যেমনটা আমরা সবাই জানি, টেলিভিশন বা TV আমাদের ঘরের বিনোদনের শ্রেষ্ঠ মাধ্যম। টিভি ছাড়া বর্তমানে আমাদের এক দিনও চলে না। এটি আমাদের বিভিন্ন ধরনের প্রোগ্রাম, সিনেমা, খবর এবং অন্যান্য কনটেন্ট উপভোগ করার সুযোগ দেয়। আধুনিক টেলিভিশনগুলোয় বিভিন্ন ফিচার থাকে, যেমন স্মার্ট টিভি ফাংশন, 4K রেজল্যুশন, HDR এবং ইন্টারনেট কানেকটিভিটি।
টেলিভিশনও একটি প্রাচীনতম আবিষ্কার। প্রথম দিকের টেলিভিশনগুলো ছিল সাদাকালো এবং তাদের পর্দা ছিল ছোট। কিন্তু আধুনিক টেলিভিশনগুলো রঙিন, বড় পর্দার এবং হাই রেজল্যুশনের সঙ্গে আসে। এ ছাড়া স্মার্ট টিভিগুলো ইন্টারনেট কানেকটিভিটি এবং বিভিন্ন অ্যাপ্লিকেশন সাপোর্ট করে, যার ফলে আপনি স্ট্রিমিং সার্ভিস, গেমিং এবং অন্যান্য অনেক কিছু করা যায়।
৬. ভ্যাকুয়াম ক্লিনার
ভ্যাকুয়াম ক্লিনার আপনার গৃহস্থলের ধুলা, ময়লা এবং পোকামাকড় পরিষ্কার করতে সাহায্য করে। এটি অনেকটা পরিশ্রম কমিয়ে দেয় এবং আপনার ঘরে একটি পরিচ্ছন্ন পরিবেশ নিশ্চিত করে। আধুনিক ভ্যাকুয়াম ক্লিনারগুলো ওজনে হালকা, বহনযোগ্য এবং তাদের মধ্যে অনেক অত্যাধুনিক সুবিধাদি থাকে, যেমন HEPA ফিল্টার, যা অ্যালার্জেনসকে ফিল্টার করে।
ভ্যাকুয়াম ক্লিনারের আবিষ্কারও একটি আকর্ষণীয় ঘটনা ছিল। ১৯০১ সালে হাবার্ট বুথ নামক একজন ব্রিটিশ ইঞ্জিনিয়ার প্রথম ভ্যাকুয়াম ক্লিনার আবিষ্কার করেন। প্রথম দিকের ভ্যাকুয়াম ক্লিনারগুলো ছিল বড় এবং ভারী এবং তাদের পরিচালনা করতে অনেকটা বেগ পেতে হতো। কিন্তু আধুনিক ভ্যাকুয়াম ক্লিনারগুলো ছোট ও সহজে ব্যবহারযোগ্য। তাদের মধ্যে বিভিন্ন ফিচার থাকে, যা পরিষ্কার করার কাজকে আরও সহজতর করে তোলে।
৭. রাইস কুকার
রাইস কুকার রান্নার কাজকে অনেকটা সহজ করে দেয়, বিশেষ করে এশিয়ান দেশগুলোতে। এটি চাল রান্না করার কাজকে সহজ এবং দ্রুত করে তোলে। আধুনিক রাইস কুকারগুলোতে বিভিন্ন প্রোগ্রাম থাকে, যা বিভিন্ন ধরনের চাল রান্নার জন্য উপযুক্ত।
রাইস কুকারের আবিষ্কার বেশ পুরোনো না হলেও বলার মতো। প্রথম দিকের রাইস কুকারগুলো ছিল ম্যানুয়াল, যেখানে হাত দিয়ে চাল রান্না করতে হতো। কিন্তু আধুনিক রাইস কুকারগুলো সম্পূর্ণ অটোমেটিক এবং তাদের মধ্যে বিভিন্ন ফিচার থাকে, যেমন টাইমার, কিপ ওয়ার্ম ফাংশন এবং ডিলে স্টার্ট।
৮. ডিশওয়াশার
ডিশওয়াশার একটি গুরুত্বপূর্ণ হোম অ্যাপ্লায়েন্স, যা বাসনপত্র পরিষ্কারের কাজকে সহজ করে তোলে। এটি অনেক গৃহিণীর সময় এবং পরিশ্রম বাঁচাতে সাহায্য করে। আধুনিক ডিশওয়াশারগুলোয় বিভিন্ন পূর্বনির্ধারিত প্রোগ্রাম থাকে, যা বিভিন্ন ধরনের থালাবাসনের জন্য উপযুক্ত।
ডিশওয়াশারের ব্যবহার অনেক সময় ধরেই। প্রথম দিকের ডিশওয়াশারগুলো ছিল ম্যানুয়াল, যেখানে নিজ হাতে বাসনপত্র পরিষ্কার করা হতো। কিন্তু আধুনিক ডিশওয়াশারগুলো সম্পূর্ণ অটোমেটিক এবং তাদের মধ্যে বিভিন্ন ফিচার থাকে, যেমন হিটেড ড্রাইং, স্যানিটাইজিং এবং এনার্জি এফিশিয়েন্ট মোড।
৯. ব্লেন্ডার
ব্লেন্ডার একটি বহুমুখী হোম অ্যাপ্লায়েন্স, যা বিভিন্ন ধরনের খাবার প্রস্তুত করতে সাহায্য করে। এটি স্মুদি, সস, স্যুপ এবং অন্যান্য খাবার তৈরি করতে ব্যবহার করা হয়। আধুনিক ব্লেন্ডারগুলোতে বিভিন্ন স্পিড এবং ফাংশন থাকে, যা বিভিন্ন ধরনের খাবার প্রস্তুত করতে সহায়তা করে।
ব্লেন্ডার আরও আগে থেকে রান্নার কাজে রাঁধুনিদের পরিশ্রম লাঘব করে আসছে। আগের ব্লেন্ডারগুলো ছিল ম্যানুয়াল, যেখানে হাতের সাহায্যে খাবার ব্লেন্ড করতে হতো। কিন্তু আধুনিক ব্লেন্ডারগুলো সম্পূর্ণ স্বয়ংক্রিয় এবং তাদের মধ্যে বিভিন্ন ফিচার থাকে, যেমন পালস ফাংশন, আইস ক্রাশিং এবং ডিশওয়াশার সেফ পার্টস।
১০. ফুড প্রসেসর
ফুড প্রসেসর একটি গুরুত্বপূর্ণ হোম অ্যাপ্লায়েন্স, যা বিভিন্ন ধরনের খাবার প্রস্তুতকরণে সাহায্য করে। এটি চপিং, স্লাইসিং, গ্রেটিং এবং মিক্সিংয়ের কাজ করে। আধুনিক ফুড প্রসেসরগুলোতে বিভিন্ন অ্যাটাচমেন্ট থাকে, যা বিভিন্ন ধরনের কাজ করার জন্য ডিজাইন করা।
আগের ফুড প্রসেসরগুলো ম্যানুয়ালি অপারেট করতে হতো, যেখানে হাতের সহায়তায় খাবার প্রসেস করতে হতো। কিন্তু আধুনিক ফুড প্রসেসরগুলো সম্পূর্ণ অটোমেটিক এবং তাদের মধ্যে বিভিন্ন ফিচার থাকে, যেমন মাল্টিপল ব্লেডস, ডিফারেন্ট স্পিড সেটিংস এবং লার্জ ক্যাপাসিটি বোল।
১১. ইলেকট্রিক গ্রিল
ইলেকট্রিক গ্রিল ভোজনরসিক ব্যক্তিদের জন্য অত্যন্ত জনপ্রিয় একটি হোম অ্যাপ্লায়েন্স, যা গ্রিলিংয়ের কাজকে সহজ করে তোলে। এটি মাংস, মাছ এবং সবজি গ্রিল করতে ব্যবহার করা হয়। আধুনিক ইলেকট্রিক গ্রিলগুলোতে বিভিন্ন ফিচার থাকে, যেমন অ্যাডজাস্টেবল টেম্পারেচার কন্ট্রোল, নন-স্টিক সারফেস এবং রিমুভেবল ড্রিপ ট্রে।
প্রাথমিক পর্যায়ের ইলেকট্রিক গ্রিলগুলো ছিল ম্যানুয়াল। অটোমেটিক ফিচারগুলো তেমন একটা ছিল না, তাই হাত দিয়ে খাবার গ্রিল করতে হতো। কিন্তু আধুনিক ইলেকট্রিক গ্রিলগুলো সম্পূর্ণ অটোমেটিক এবং সব আধুনিক ফিচারসমৃদ্ধ, যা গ্রিলিংয়ের কাজকে আরও নিরাপদ এবং নির্ঝঞ্ঝাট করে তোলে।
১২. হেয়ার ড্রায়ার
যাঁরা চুলের যত্ন নেন, তাঁদের একটি হেয়ার ড্রায়ার না হলেই নয়। এটি চুল শুকানোর কাজকে সহজ করে এবং দ্রুত রেডি হওয়ার ক্ষেত্রে বিশেষ করে নারীদের সহায়তা করতে সক্ষম। আধুনিক হেয়ার ড্রায়ারগুলোয় অত্যাধুনিক ফিচার থাকে, যেমন মাল্টিপল হিট এবং স্পিড সেটিংস, কুল শট বাটন এবং ডিফিউজার অ্যাটাচমেন্ট।
Star Tech আপনার এবং আপনার পরিবারের জীবনযাত্রাকে আরও সহজ করতে অত্যন্ত আকর্ষণীয় মূল্যে এসব হোম অ্যাপ্লায়েন্স সরবরাহ করে থাকে। নিঃসন্দেহে স্টার টেক আপনার নিত্যদিনের প্রয়োজনীয় হোম অ্যাপ্লায়েন্সগুলো সরবরাহে one-stop সার্ভিস দিয়ে থাকে। আমাদের অনলাইন শপ বা সরাসরি দোকানে এসে সংগ্রহ করুন আপনার প্রয়োজনীয় হোম অ্যাপ্লায়েন্সে।

আমাদের গৃহের হোম অ্যাপ্লায়েন্সগুলো আমাদের জীবনকে অনেকটা সহজ করে তোলে। হোম অ্যাপ্লায়েন্স হলো এমন বৈদ্যুতিক বা ইলেকট্রনিক যন্ত্রপাতি, যা আমাদের বাসাবাড়ির দৈনন্দিন কাজগুলো সম্পাদনে পরোক্ষভাবে ভূমিকা রাখে। আমাদের পরিবারের মা-বোনেরা এগুলো ব্যবহারের মাধ্যমে অনেকভাবে উপকৃত হন। সচরাচর যেসব কাজের ক্ষেত্রে আমরা কিছু হোম অ্যাপ্লায়েন্সের সহায়তা নিতে পারি, সেগুলো হলো—
রান্নাবান্না
পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা
বিনোদন
খাবার ব্যবস্থাপনা
স্বাচ্ছন্দ্য নিশ্চিতকরণ
আজকে আমরা কিছু জনপ্রিয় হোম অ্যাপ্লায়েন্স নিয়ে বিস্তারিত জানব। আরও জানব তাদের উপকারিতা এবং সেগুলো কীভাবে কীভাবে আমাদের জীবনযাত্রাকে আরও অনায়াসে কাটাতে সাহায্য করে।
১. এয়ার কন্ডিশনার
এয়ার কন্ডিশনার (AC) গরমের সময় তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণের মাধ্যমে আমাদের শীতল অনুভূতি দিতে সাহায্য করে। এটি রুমের তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণ করে এবং আমাদের জন্য স্বস্তিদায়ক পরিবেশ বয়ে এনে দেয়। এসি বিভিন্ন ধরনের হয়ে থাকে; যেমন স্প্লিট এসি, উইন্ডো এসি এবং পোর্টেবল এসি; যার মধ্যে আপনি আপনার প্রয়োজন অনুযায়ী বেছে নিতে পারেন আপনার বাজেটে সেরা এসিটি।
এয়ার কন্ডিশনারের ক্রমবিকাশ বলতে গেলে বেশ পুরোনো। প্রথম দিকের এসিগুলো ছিল আকারে বড় ও ভারী এবং শুধু বড় বড় অট্টালিকায় ব্যবহার করা হতো। কিন্তু আধুনিক এয়ার কন্ডিশনারগুলো তুলনামূলকভাবে আকারে ছোট, বহনযোগ্য এবং ঘরের জন্য উপযুক্ত। এ ছাড়া আধুনিক এয়ার কন্ডিশনারগুলো বিদ্যুৎসাশ্রয়ী এবং এগুলোয় রয়েছে বিভিন্ন সুবিধা, যেমন অটো ক্লিন, হিউমিডিটি কন্ট্রোল এবং স্মার্ট কন্ট্রোল।
২. রেফ্রিজারেটর
রেফ্রিজারেটর বা ফ্রিজ প্রতিটি গৃহের জন্য একটি অপরিহার্য অ্যাপ্লায়েন্স। এটি খাবারকে দীর্ঘ সময়ের জন্য ফ্রেশ রাখে, পচনশীলতা থেকে রক্ষা করে এবং খাবারের পুষ্টিগুণ অক্ষুণ্ন রাখতে সহায়তা করে। আধুনিক রেফ্রিজারেটরগুলো বিদ্যুৎসাশ্রয়ী হয় এবং তাদের মধ্যে অনেক অত্যাধুনিক সুবিধাদি দেখা যায়, যেমন ডিজিটাল টেম্পারেচার কন্ট্রোল, আইস মেকার এবং ওয়াটার ডিসপেনসার।
রেফ্রিজারেটর ব্যবহার বাসাবাড়িসহ বিভিন্ন অফিস-আদালতে অনেক আগে থেকেই দেখা যায়। প্রথম দিকের রেফ্রিজারেটরগুলো ছিল বরফের ব্লক ব্যবহার করে তৈরি করা। কিন্তু আধুনিক রেফ্রিজারেটরগুলো ফ্রিওন গ্যাস ব্যবহার করে ঠান্ডা করে। এটি খাবারকে দীর্ঘ সময় ধরে তাজা রাখতে সাহায্য করে। এ ছাড়া কিছু রেফ্রিজারেটরে ডুয়েল কুলিং সিস্টেম থাকে, যা ফ্রিজ এবং ফ্রিজার উভয় অংশকে পৃথক পৃথকভাবে ঠান্ডা করে।
৩. ওয়াশিং মেশিন
ওয়াশিং মেশিন আমাদের অনেক পরিশ্রম কমিয়ে দেয় এবং সময় বাঁচাতে সাহায্য করে। অ্যাপ্লায়েন্সটি বিভিন্ন ধরনের কাপড় ধোয়া, রিন্স করা থেকে ড্রাই করার কাজও করে। অটোমেটিক ওয়াশিং মেশিনগুলো আরও বেশি সুবিধাজনক; কারণ, এটি আপনাকে কোনো রূপ হাতের স্পর্শ ছাড়াই কাপড় পরিষ্কারের কাজ শেষ করে দেয়।
ওয়াশিং মেশিনেরও একটি দীর্ঘ ইতিহাস রয়েছে। প্রথম দিকের ওয়াশিং মেশিনগুলো ছিল ম্যানুয়াল, যেখানে হাত দিয়ে কাপড় কাচতে হতো। কিন্তু আধুনিক ওয়াশিং মেশিনগুলো সম্পূর্ণ স্বয়ংক্রিয় এবং তাদের মধ্যে বিভিন্ন প্রোগ্রামিং করা থাকে, যা বিভিন্ন ফেব্রিকের কাপড়ের জন্য উপযুক্ত। এ ছাড়া কিছু ওয়াশিং মেশিনে ড্রাইং ফাংশনও থাকে, যা কাপড়কে দ্রুত শুকাতে সাহায্য করে।
৪. মাইক্রোওয়েভ ওভেন
মাইক্রোওয়েভ ওভেন হলো আরও একটি উপকারী হোম অ্যাপ্লায়েন্স, যা খাবার গরম করা, ডিফ্রস্ট করা এবং কিছু ক্ষেত্রে বেকিংয়ের কাজও করে। এটি খুব স্বল্প সময়ে খাবার গরম করতে সক্ষম, যার ফলে আপনার সময় অনেকটা বাঁচবে। আধুনিক মাইক্রোওয়েভ ওভেনগুলোতে কনভেকশন এবং গ্রিল ফিচারও থাকে, যার ফলে আপনি আরও বিভিন্ন ধরনের রান্না করতে পারবেন।
মাইক্রোওয়েভ ওভেনের উদ্ভাবন নিশ্চিতরূপে রান্নার জগতে এক নতুন সম্ভাবনার দুয়ার খুলে দিয়েছিল। ১৯৪৫ সালে পেরসি স্পেন্সার নামক একজন ইঞ্জিনিয়ার মাইক্রোওয়েভ রেডিয়েশন নিয়ে কাজ করার সময় দুর্ঘটনাক্রমে একটি চকলেট বার গলিয়ে ফেলেন। এরপর তিনি বুঝতে পারেন যে মাইক্রোওয়েভ রেডিয়েশন খাবার গরম করতে ব্যবহার করা যেতে পারে। এর পর থেকেই মাইক্রোওয়েভ ওভেনের যাত্রা শুরু।
৫. টেলিভিশন (TV)
যেমনটা আমরা সবাই জানি, টেলিভিশন বা TV আমাদের ঘরের বিনোদনের শ্রেষ্ঠ মাধ্যম। টিভি ছাড়া বর্তমানে আমাদের এক দিনও চলে না। এটি আমাদের বিভিন্ন ধরনের প্রোগ্রাম, সিনেমা, খবর এবং অন্যান্য কনটেন্ট উপভোগ করার সুযোগ দেয়। আধুনিক টেলিভিশনগুলোয় বিভিন্ন ফিচার থাকে, যেমন স্মার্ট টিভি ফাংশন, 4K রেজল্যুশন, HDR এবং ইন্টারনেট কানেকটিভিটি।
টেলিভিশনও একটি প্রাচীনতম আবিষ্কার। প্রথম দিকের টেলিভিশনগুলো ছিল সাদাকালো এবং তাদের পর্দা ছিল ছোট। কিন্তু আধুনিক টেলিভিশনগুলো রঙিন, বড় পর্দার এবং হাই রেজল্যুশনের সঙ্গে আসে। এ ছাড়া স্মার্ট টিভিগুলো ইন্টারনেট কানেকটিভিটি এবং বিভিন্ন অ্যাপ্লিকেশন সাপোর্ট করে, যার ফলে আপনি স্ট্রিমিং সার্ভিস, গেমিং এবং অন্যান্য অনেক কিছু করা যায়।
৬. ভ্যাকুয়াম ক্লিনার
ভ্যাকুয়াম ক্লিনার আপনার গৃহস্থলের ধুলা, ময়লা এবং পোকামাকড় পরিষ্কার করতে সাহায্য করে। এটি অনেকটা পরিশ্রম কমিয়ে দেয় এবং আপনার ঘরে একটি পরিচ্ছন্ন পরিবেশ নিশ্চিত করে। আধুনিক ভ্যাকুয়াম ক্লিনারগুলো ওজনে হালকা, বহনযোগ্য এবং তাদের মধ্যে অনেক অত্যাধুনিক সুবিধাদি থাকে, যেমন HEPA ফিল্টার, যা অ্যালার্জেনসকে ফিল্টার করে।
ভ্যাকুয়াম ক্লিনারের আবিষ্কারও একটি আকর্ষণীয় ঘটনা ছিল। ১৯০১ সালে হাবার্ট বুথ নামক একজন ব্রিটিশ ইঞ্জিনিয়ার প্রথম ভ্যাকুয়াম ক্লিনার আবিষ্কার করেন। প্রথম দিকের ভ্যাকুয়াম ক্লিনারগুলো ছিল বড় এবং ভারী এবং তাদের পরিচালনা করতে অনেকটা বেগ পেতে হতো। কিন্তু আধুনিক ভ্যাকুয়াম ক্লিনারগুলো ছোট ও সহজে ব্যবহারযোগ্য। তাদের মধ্যে বিভিন্ন ফিচার থাকে, যা পরিষ্কার করার কাজকে আরও সহজতর করে তোলে।
৭. রাইস কুকার
রাইস কুকার রান্নার কাজকে অনেকটা সহজ করে দেয়, বিশেষ করে এশিয়ান দেশগুলোতে। এটি চাল রান্না করার কাজকে সহজ এবং দ্রুত করে তোলে। আধুনিক রাইস কুকারগুলোতে বিভিন্ন প্রোগ্রাম থাকে, যা বিভিন্ন ধরনের চাল রান্নার জন্য উপযুক্ত।
রাইস কুকারের আবিষ্কার বেশ পুরোনো না হলেও বলার মতো। প্রথম দিকের রাইস কুকারগুলো ছিল ম্যানুয়াল, যেখানে হাত দিয়ে চাল রান্না করতে হতো। কিন্তু আধুনিক রাইস কুকারগুলো সম্পূর্ণ অটোমেটিক এবং তাদের মধ্যে বিভিন্ন ফিচার থাকে, যেমন টাইমার, কিপ ওয়ার্ম ফাংশন এবং ডিলে স্টার্ট।
৮. ডিশওয়াশার
ডিশওয়াশার একটি গুরুত্বপূর্ণ হোম অ্যাপ্লায়েন্স, যা বাসনপত্র পরিষ্কারের কাজকে সহজ করে তোলে। এটি অনেক গৃহিণীর সময় এবং পরিশ্রম বাঁচাতে সাহায্য করে। আধুনিক ডিশওয়াশারগুলোয় বিভিন্ন পূর্বনির্ধারিত প্রোগ্রাম থাকে, যা বিভিন্ন ধরনের থালাবাসনের জন্য উপযুক্ত।
ডিশওয়াশারের ব্যবহার অনেক সময় ধরেই। প্রথম দিকের ডিশওয়াশারগুলো ছিল ম্যানুয়াল, যেখানে নিজ হাতে বাসনপত্র পরিষ্কার করা হতো। কিন্তু আধুনিক ডিশওয়াশারগুলো সম্পূর্ণ অটোমেটিক এবং তাদের মধ্যে বিভিন্ন ফিচার থাকে, যেমন হিটেড ড্রাইং, স্যানিটাইজিং এবং এনার্জি এফিশিয়েন্ট মোড।
৯. ব্লেন্ডার
ব্লেন্ডার একটি বহুমুখী হোম অ্যাপ্লায়েন্স, যা বিভিন্ন ধরনের খাবার প্রস্তুত করতে সাহায্য করে। এটি স্মুদি, সস, স্যুপ এবং অন্যান্য খাবার তৈরি করতে ব্যবহার করা হয়। আধুনিক ব্লেন্ডারগুলোতে বিভিন্ন স্পিড এবং ফাংশন থাকে, যা বিভিন্ন ধরনের খাবার প্রস্তুত করতে সহায়তা করে।
ব্লেন্ডার আরও আগে থেকে রান্নার কাজে রাঁধুনিদের পরিশ্রম লাঘব করে আসছে। আগের ব্লেন্ডারগুলো ছিল ম্যানুয়াল, যেখানে হাতের সাহায্যে খাবার ব্লেন্ড করতে হতো। কিন্তু আধুনিক ব্লেন্ডারগুলো সম্পূর্ণ স্বয়ংক্রিয় এবং তাদের মধ্যে বিভিন্ন ফিচার থাকে, যেমন পালস ফাংশন, আইস ক্রাশিং এবং ডিশওয়াশার সেফ পার্টস।
১০. ফুড প্রসেসর
ফুড প্রসেসর একটি গুরুত্বপূর্ণ হোম অ্যাপ্লায়েন্স, যা বিভিন্ন ধরনের খাবার প্রস্তুতকরণে সাহায্য করে। এটি চপিং, স্লাইসিং, গ্রেটিং এবং মিক্সিংয়ের কাজ করে। আধুনিক ফুড প্রসেসরগুলোতে বিভিন্ন অ্যাটাচমেন্ট থাকে, যা বিভিন্ন ধরনের কাজ করার জন্য ডিজাইন করা।
আগের ফুড প্রসেসরগুলো ম্যানুয়ালি অপারেট করতে হতো, যেখানে হাতের সহায়তায় খাবার প্রসেস করতে হতো। কিন্তু আধুনিক ফুড প্রসেসরগুলো সম্পূর্ণ অটোমেটিক এবং তাদের মধ্যে বিভিন্ন ফিচার থাকে, যেমন মাল্টিপল ব্লেডস, ডিফারেন্ট স্পিড সেটিংস এবং লার্জ ক্যাপাসিটি বোল।
১১. ইলেকট্রিক গ্রিল
ইলেকট্রিক গ্রিল ভোজনরসিক ব্যক্তিদের জন্য অত্যন্ত জনপ্রিয় একটি হোম অ্যাপ্লায়েন্স, যা গ্রিলিংয়ের কাজকে সহজ করে তোলে। এটি মাংস, মাছ এবং সবজি গ্রিল করতে ব্যবহার করা হয়। আধুনিক ইলেকট্রিক গ্রিলগুলোতে বিভিন্ন ফিচার থাকে, যেমন অ্যাডজাস্টেবল টেম্পারেচার কন্ট্রোল, নন-স্টিক সারফেস এবং রিমুভেবল ড্রিপ ট্রে।
প্রাথমিক পর্যায়ের ইলেকট্রিক গ্রিলগুলো ছিল ম্যানুয়াল। অটোমেটিক ফিচারগুলো তেমন একটা ছিল না, তাই হাত দিয়ে খাবার গ্রিল করতে হতো। কিন্তু আধুনিক ইলেকট্রিক গ্রিলগুলো সম্পূর্ণ অটোমেটিক এবং সব আধুনিক ফিচারসমৃদ্ধ, যা গ্রিলিংয়ের কাজকে আরও নিরাপদ এবং নির্ঝঞ্ঝাট করে তোলে।
১২. হেয়ার ড্রায়ার
যাঁরা চুলের যত্ন নেন, তাঁদের একটি হেয়ার ড্রায়ার না হলেই নয়। এটি চুল শুকানোর কাজকে সহজ করে এবং দ্রুত রেডি হওয়ার ক্ষেত্রে বিশেষ করে নারীদের সহায়তা করতে সক্ষম। আধুনিক হেয়ার ড্রায়ারগুলোয় অত্যাধুনিক ফিচার থাকে, যেমন মাল্টিপল হিট এবং স্পিড সেটিংস, কুল শট বাটন এবং ডিফিউজার অ্যাটাচমেন্ট।
Star Tech আপনার এবং আপনার পরিবারের জীবনযাত্রাকে আরও সহজ করতে অত্যন্ত আকর্ষণীয় মূল্যে এসব হোম অ্যাপ্লায়েন্স সরবরাহ করে থাকে। নিঃসন্দেহে স্টার টেক আপনার নিত্যদিনের প্রয়োজনীয় হোম অ্যাপ্লায়েন্সগুলো সরবরাহে one-stop সার্ভিস দিয়ে থাকে। আমাদের অনলাইন শপ বা সরাসরি দোকানে এসে সংগ্রহ করুন আপনার প্রয়োজনীয় হোম অ্যাপ্লায়েন্সে।

ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব বলেন, দেশের ডিজিটাল রূপান্তর এখন আর খণ্ডিত প্রকল্প বা অ্যাপভিত্তিক উদ্যোগে সীমাবদ্ধ রাখা যাবে না। এটি একটি দীর্ঘমেয়াদি ও ভিত্তিমূলক রাষ্ট্রীয় রূপান্তর, যার কেন্দ্রে থাকবে ডেটা গভর্ন্যান্স, সাইবার নিরাপত্তা ও নাগরিক অধিকার। দেশে বহু ডিজিটাল সিস্টেম থাকলেও ইন্টারঅপারেবিলিটির...
৩ ঘণ্টা আগে
স্মার্টফোন ব্র্যান্ড রিয়েলমি দেশে রিয়েলমি সি৮৫ উন্মোচন করেছে। এই ডিভাইসটির প্রধান আকর্ষণ হলো এর শক্তিশালী ৭০০০ মিলি অ্যাম্পিয়ারের আলট্রা ব্যাটারি ও ৪৫ ওয়াট ফাস্ট চার্জিং সক্ষমতা (যা ১০ ওয়াট রিভার্স চার্জিংও সাপোর্ট করে)।
৯ ঘণ্টা আগে
কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা বা এআই এখন আর শুধু প্রযুক্তি খাতেই সীমাবদ্ধ নয়; ব্যক্তিগত অর্থ ব্যবস্থাপনাতেও এটি হয়ে উঠছে নতুন ভরসা। বিশেষ করে জেন-জি ও মিলেনিয়াল প্রজন্মের মধ্যে এআই ব্যবহার করে খরচ নিয়ন্ত্রণ ও সঞ্চয় বাড়ানোর প্রবণতা দ্রুত বাড়ছে।
১ দিন আগে
অনলাইন ক্লাস, গাইডবুক আর মক টেস্টের পরেও বাংলাদেশের পরীক্ষার্থীদের বড় একটি অংশ নিয়মিত অনুশীলনের অভাবে পিছিয়ে পড়েন। পড়া থাকলেও কোথায় দুর্বলতা, কীভাবে নিজের অগ্রগতি যাচাই করবেন—সে প্রশ্নের উত্তর অনেক সময় মেলে না।
২ দিন আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টার ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তিবিষয়ক বিশেষ সহকারী ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব বলেছেন, ডিজিটাল রূপান্তর মানে শুধু অ্যাপ নয়, রাষ্ট্রের ভিত্তি পুনর্গঠনের প্রক্রিয়া।
রাজধানীর বাংলাদেশ–চীন মৈত্রী সম্মেলন কেন্দ্রে আজ বুধবার ‘বিল্ডিং ট্রাস্ট অ্যান্ড সাসটেইনেবিলিটি থ্রু ডেটা গভর্ন্যান্স’ শীর্ষক সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
বাংলাদেশ সরকারের সহযোগিতায় দ্য ইনস্টিটিউট অব কস্ট অ্যান্ড ম্যানেজমেন্ট অ্যাকাউন্ট্যান্টস অব বাংলাদেশ (আইসিএমএবি) এবং তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগ (ইডিজিই প্রকল্প) এই সম্মেলনের আয়োজন করে।
ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব বলেন, দেশের ডিজিটাল রূপান্তর এখন আর খণ্ডিত প্রকল্প বা অ্যাপভিত্তিক উদ্যোগে সীমাবদ্ধ রাখা যাবে না। এটি একটি দীর্ঘমেয়াদি ও ভিত্তিমূলক রাষ্ট্রীয় রূপান্তর, যার কেন্দ্রে থাকবে ডেটা গভর্ন্যান্স, সাইবার নিরাপত্তা ও নাগরিক অধিকার। দেশে বহু ডিজিটাল সিস্টেম থাকলেও ইন্টারঅপারেবিলিটির অভাব বড় বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে। ফলে সঠিক সিদ্ধান্ত নিতে সমস্যা হচ্ছে এবং কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা কার্যকরভাবে ব্যবহার করা যাচ্ছে না।
তৈয়্যব জানান, অন্তর্বর্তী সরকার এরই মধ্যে সাইবার সেফটি, ব্যক্তিগত ডেটা সুরক্ষা ও জাতীয় ডেটা গভর্ন্যান্স—এই তিন আইনি ভিত্তি গড়ে তোলার কাজ শুরু করেছে, যা ভবিষ্যৎ ডিজিটাল পাবলিক ইনফ্রাস্ট্রাকচারের (ডিপিআই) মূল স্তম্ভ হবে। ভবিষ্যতে প্রতিটি নাগরিকের একটি ডিজিটাল ডেটা ওয়ালেট থাকবে; যেখানে জন্ম থেকে মৃত্যু পর্যন্ত তথ্য সুরক্ষিত থাকবে এবং নাগরিকের সম্মতিতেই নির্দিষ্ট সময়ের জন্য ডেটা ব্যবহার করা যাবে।
সম্মেলনে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের সচিব শীষ হায়দার চৌধুরী বলেন, কার্যকর ডেটা গভর্ন্যান্স কেবল নীতিমালা প্রণয়নের মধ্যেই সীমাবদ্ধ নয়; এর জন্য প্রয়োজন শক্তিশালী প্রাতিষ্ঠানিক সক্ষমতা, আন্তখাত সমন্বয় এবং সুস্পষ্ট জবাবদিহি কাঠামো। সরকারি ও বেসরকারি খাতে ডিজিটাল সেবার পরিসর বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে দায়িত্বশীল ডেটা ব্যবহার, নিরাপত্তা ও কমপ্লায়েন্স নিশ্চিত করা জনআস্থা অর্জন ও টেকসই ডিজিটাল রূপান্তরের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
সম্মেলনে তিনটি আলাদা অধিবেশনে ডেটা সুরক্ষা নীতিমালার বাস্তব প্রয়োগ, আন্তর্জাতিক মানের সঙ্গে বাংলাদেশের ডেটা ব্যবস্থাপনার তুলনা এবং ডেটা ব্যবস্থাপনায় পেশাদার হিসাববিদদের ভূমিকা নিয়ে আলোচনা হয়।
সম্মেলনে ইন্টারন্যাশনাল ফেডারেশন অব অ্যাকাউন্ট্যান্টসের (আইএফএসি) সভাপতি জ্যঁ বোকু, বিশ্বব্যাংকের বাংলাদেশ ও ভুটান অঞ্চলের ডিভিশন ডিরেক্টর জ্যঁ পেসমেসহ সরকারি নীতিনির্ধারক, আন্তর্জাতিক সংস্থা, পেশাদার হিসাববিদ, আইন ও প্রযুক্তি খাতের বিশেষজ্ঞরা অংশ নেন।

অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টার ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তিবিষয়ক বিশেষ সহকারী ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব বলেছেন, ডিজিটাল রূপান্তর মানে শুধু অ্যাপ নয়, রাষ্ট্রের ভিত্তি পুনর্গঠনের প্রক্রিয়া।
রাজধানীর বাংলাদেশ–চীন মৈত্রী সম্মেলন কেন্দ্রে আজ বুধবার ‘বিল্ডিং ট্রাস্ট অ্যান্ড সাসটেইনেবিলিটি থ্রু ডেটা গভর্ন্যান্স’ শীর্ষক সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
বাংলাদেশ সরকারের সহযোগিতায় দ্য ইনস্টিটিউট অব কস্ট অ্যান্ড ম্যানেজমেন্ট অ্যাকাউন্ট্যান্টস অব বাংলাদেশ (আইসিএমএবি) এবং তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগ (ইডিজিই প্রকল্প) এই সম্মেলনের আয়োজন করে।
ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব বলেন, দেশের ডিজিটাল রূপান্তর এখন আর খণ্ডিত প্রকল্প বা অ্যাপভিত্তিক উদ্যোগে সীমাবদ্ধ রাখা যাবে না। এটি একটি দীর্ঘমেয়াদি ও ভিত্তিমূলক রাষ্ট্রীয় রূপান্তর, যার কেন্দ্রে থাকবে ডেটা গভর্ন্যান্স, সাইবার নিরাপত্তা ও নাগরিক অধিকার। দেশে বহু ডিজিটাল সিস্টেম থাকলেও ইন্টারঅপারেবিলিটির অভাব বড় বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে। ফলে সঠিক সিদ্ধান্ত নিতে সমস্যা হচ্ছে এবং কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা কার্যকরভাবে ব্যবহার করা যাচ্ছে না।
তৈয়্যব জানান, অন্তর্বর্তী সরকার এরই মধ্যে সাইবার সেফটি, ব্যক্তিগত ডেটা সুরক্ষা ও জাতীয় ডেটা গভর্ন্যান্স—এই তিন আইনি ভিত্তি গড়ে তোলার কাজ শুরু করেছে, যা ভবিষ্যৎ ডিজিটাল পাবলিক ইনফ্রাস্ট্রাকচারের (ডিপিআই) মূল স্তম্ভ হবে। ভবিষ্যতে প্রতিটি নাগরিকের একটি ডিজিটাল ডেটা ওয়ালেট থাকবে; যেখানে জন্ম থেকে মৃত্যু পর্যন্ত তথ্য সুরক্ষিত থাকবে এবং নাগরিকের সম্মতিতেই নির্দিষ্ট সময়ের জন্য ডেটা ব্যবহার করা যাবে।
সম্মেলনে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের সচিব শীষ হায়দার চৌধুরী বলেন, কার্যকর ডেটা গভর্ন্যান্স কেবল নীতিমালা প্রণয়নের মধ্যেই সীমাবদ্ধ নয়; এর জন্য প্রয়োজন শক্তিশালী প্রাতিষ্ঠানিক সক্ষমতা, আন্তখাত সমন্বয় এবং সুস্পষ্ট জবাবদিহি কাঠামো। সরকারি ও বেসরকারি খাতে ডিজিটাল সেবার পরিসর বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে দায়িত্বশীল ডেটা ব্যবহার, নিরাপত্তা ও কমপ্লায়েন্স নিশ্চিত করা জনআস্থা অর্জন ও টেকসই ডিজিটাল রূপান্তরের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
সম্মেলনে তিনটি আলাদা অধিবেশনে ডেটা সুরক্ষা নীতিমালার বাস্তব প্রয়োগ, আন্তর্জাতিক মানের সঙ্গে বাংলাদেশের ডেটা ব্যবস্থাপনার তুলনা এবং ডেটা ব্যবস্থাপনায় পেশাদার হিসাববিদদের ভূমিকা নিয়ে আলোচনা হয়।
সম্মেলনে ইন্টারন্যাশনাল ফেডারেশন অব অ্যাকাউন্ট্যান্টসের (আইএফএসি) সভাপতি জ্যঁ বোকু, বিশ্বব্যাংকের বাংলাদেশ ও ভুটান অঞ্চলের ডিভিশন ডিরেক্টর জ্যঁ পেসমেসহ সরকারি নীতিনির্ধারক, আন্তর্জাতিক সংস্থা, পেশাদার হিসাববিদ, আইন ও প্রযুক্তি খাতের বিশেষজ্ঞরা অংশ নেন।

আমাদের গৃহের হোম অ্যাপ্লায়েন্সগুলো আমাদের জীবনকে অনেকটা সহজ করে তোলে। হোম অ্যাপ্লায়েন্স হলো এমন বৈদ্যুতিক বা ইলেকট্রনিক যন্ত্রপাতি, যা আমাদের বাসাবাড়ির দৈনন্দিন কাজগুলো সম্পাদনে পরোক্ষভাবে ভূমিকা রাখে। আমাদের পরিবারের মা-বোনেরা এগুলো ব্যবহারের মাধ্যমে অনেকভাবে উপকৃত হন। সচরাচর যেসব কাজের ক্ষেত্রে
২৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪
স্মার্টফোন ব্র্যান্ড রিয়েলমি দেশে রিয়েলমি সি৮৫ উন্মোচন করেছে। এই ডিভাইসটির প্রধান আকর্ষণ হলো এর শক্তিশালী ৭০০০ মিলি অ্যাম্পিয়ারের আলট্রা ব্যাটারি ও ৪৫ ওয়াট ফাস্ট চার্জিং সক্ষমতা (যা ১০ ওয়াট রিভার্স চার্জিংও সাপোর্ট করে)।
৯ ঘণ্টা আগে
কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা বা এআই এখন আর শুধু প্রযুক্তি খাতেই সীমাবদ্ধ নয়; ব্যক্তিগত অর্থ ব্যবস্থাপনাতেও এটি হয়ে উঠছে নতুন ভরসা। বিশেষ করে জেন-জি ও মিলেনিয়াল প্রজন্মের মধ্যে এআই ব্যবহার করে খরচ নিয়ন্ত্রণ ও সঞ্চয় বাড়ানোর প্রবণতা দ্রুত বাড়ছে।
১ দিন আগে
অনলাইন ক্লাস, গাইডবুক আর মক টেস্টের পরেও বাংলাদেশের পরীক্ষার্থীদের বড় একটি অংশ নিয়মিত অনুশীলনের অভাবে পিছিয়ে পড়েন। পড়া থাকলেও কোথায় দুর্বলতা, কীভাবে নিজের অগ্রগতি যাচাই করবেন—সে প্রশ্নের উত্তর অনেক সময় মেলে না।
২ দিন আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

স্মার্টফোন ব্র্যান্ড রিয়েলমি দেশে রিয়েলমি সি৮৫ উন্মোচন করেছে। এই ডিভাইসটির প্রধান আকর্ষণ হলো এর শক্তিশালী ৭০০০ মিলি অ্যাম্পিয়ারের আলট্রা ব্যাটারি ও ৪৫ ওয়াট ফাস্ট চার্জিং সক্ষমতা (যা ১০ ওয়াট রিভার্স চার্জিংও সাপোর্ট করে)।
ফোনটিতে গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ড বিজয়ী ইন্ডাস্ট্রির সর্বোচ্চ ওয়াটার অ্যান্ড ডাস্ট প্রোটেকশন স্ট্যান্ডার্ড—আইপি ৬৯ প্রো রেটিং রয়েছে, যা এটিকে ৬০ দিন পর্যন্ত পানির নিচে টিকে থাকতে সাহায্য করে।
এতে রয়েছে ৬.৮ ইঞ্চি অ্যামোলেড ডিসপ্লে, যার রিফ্রেশ রেট সুপার-স্মুথ ১৪৪ হার্জ এবং পিক ব্রাইটনেস ১,২০০ নিট।
ডিভাইসটিতে স্ন্যাপড্রাগন ৬৮৫ ফোরজি প্রসেসর ব্যবহার করা হয়েছে। ফটোগ্রাফির জন্য পেছনে ৫০ মেগাপিক্সেল প্রাইমারি ক্যামেরা এবং সামনে ৮ মেগাপিক্সেল ফ্রন্ট ক্যামেরা রয়েছে।
রিয়েলমি সি৮৫ সোয়ান ব্ল্যাক ও কিংফিশার ব্লু রঙে দুইটি ভ্যারিয়েন্টে পাওয়া যাচ্ছে: ৬ জিবি + ১২৮ জিবি: মূল্য ১৮,৯৯৯ টাকা। ৮ জিবি + ১২৮ জিবি: মূল্য ২০,৯৯৯ টাকা।

স্মার্টফোন ব্র্যান্ড রিয়েলমি দেশে রিয়েলমি সি৮৫ উন্মোচন করেছে। এই ডিভাইসটির প্রধান আকর্ষণ হলো এর শক্তিশালী ৭০০০ মিলি অ্যাম্পিয়ারের আলট্রা ব্যাটারি ও ৪৫ ওয়াট ফাস্ট চার্জিং সক্ষমতা (যা ১০ ওয়াট রিভার্স চার্জিংও সাপোর্ট করে)।
ফোনটিতে গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ড বিজয়ী ইন্ডাস্ট্রির সর্বোচ্চ ওয়াটার অ্যান্ড ডাস্ট প্রোটেকশন স্ট্যান্ডার্ড—আইপি ৬৯ প্রো রেটিং রয়েছে, যা এটিকে ৬০ দিন পর্যন্ত পানির নিচে টিকে থাকতে সাহায্য করে।
এতে রয়েছে ৬.৮ ইঞ্চি অ্যামোলেড ডিসপ্লে, যার রিফ্রেশ রেট সুপার-স্মুথ ১৪৪ হার্জ এবং পিক ব্রাইটনেস ১,২০০ নিট।
ডিভাইসটিতে স্ন্যাপড্রাগন ৬৮৫ ফোরজি প্রসেসর ব্যবহার করা হয়েছে। ফটোগ্রাফির জন্য পেছনে ৫০ মেগাপিক্সেল প্রাইমারি ক্যামেরা এবং সামনে ৮ মেগাপিক্সেল ফ্রন্ট ক্যামেরা রয়েছে।
রিয়েলমি সি৮৫ সোয়ান ব্ল্যাক ও কিংফিশার ব্লু রঙে দুইটি ভ্যারিয়েন্টে পাওয়া যাচ্ছে: ৬ জিবি + ১২৮ জিবি: মূল্য ১৮,৯৯৯ টাকা। ৮ জিবি + ১২৮ জিবি: মূল্য ২০,৯৯৯ টাকা।

আমাদের গৃহের হোম অ্যাপ্লায়েন্সগুলো আমাদের জীবনকে অনেকটা সহজ করে তোলে। হোম অ্যাপ্লায়েন্স হলো এমন বৈদ্যুতিক বা ইলেকট্রনিক যন্ত্রপাতি, যা আমাদের বাসাবাড়ির দৈনন্দিন কাজগুলো সম্পাদনে পরোক্ষভাবে ভূমিকা রাখে। আমাদের পরিবারের মা-বোনেরা এগুলো ব্যবহারের মাধ্যমে অনেকভাবে উপকৃত হন। সচরাচর যেসব কাজের ক্ষেত্রে
২৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪
ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব বলেন, দেশের ডিজিটাল রূপান্তর এখন আর খণ্ডিত প্রকল্প বা অ্যাপভিত্তিক উদ্যোগে সীমাবদ্ধ রাখা যাবে না। এটি একটি দীর্ঘমেয়াদি ও ভিত্তিমূলক রাষ্ট্রীয় রূপান্তর, যার কেন্দ্রে থাকবে ডেটা গভর্ন্যান্স, সাইবার নিরাপত্তা ও নাগরিক অধিকার। দেশে বহু ডিজিটাল সিস্টেম থাকলেও ইন্টারঅপারেবিলিটির...
৩ ঘণ্টা আগে
কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা বা এআই এখন আর শুধু প্রযুক্তি খাতেই সীমাবদ্ধ নয়; ব্যক্তিগত অর্থ ব্যবস্থাপনাতেও এটি হয়ে উঠছে নতুন ভরসা। বিশেষ করে জেন-জি ও মিলেনিয়াল প্রজন্মের মধ্যে এআই ব্যবহার করে খরচ নিয়ন্ত্রণ ও সঞ্চয় বাড়ানোর প্রবণতা দ্রুত বাড়ছে।
১ দিন আগে
অনলাইন ক্লাস, গাইডবুক আর মক টেস্টের পরেও বাংলাদেশের পরীক্ষার্থীদের বড় একটি অংশ নিয়মিত অনুশীলনের অভাবে পিছিয়ে পড়েন। পড়া থাকলেও কোথায় দুর্বলতা, কীভাবে নিজের অগ্রগতি যাচাই করবেন—সে প্রশ্নের উত্তর অনেক সময় মেলে না।
২ দিন আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা বা এআই এখন আর শুধু প্রযুক্তি খাতেই সীমাবদ্ধ নয়; ব্যক্তিগত অর্থ ব্যবস্থাপনাতেও এটি হয়ে উঠছে নতুন ভরসা। বিশেষ করে জেন-জি ও মিলেনিয়াল প্রজন্মের মধ্যে এআই ব্যবহার করে খরচ নিয়ন্ত্রণ ও সঞ্চয় বাড়ানোর প্রবণতা দ্রুত বাড়ছে। এরই একটি উদাহরণ কানাডার অন্টারিওভিত্তিক একটি প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠানের সহপ্রতিষ্ঠাতা তাকি ওং।
মঙ্গলবার (১৬ ডিসেম্বর) রয়টার্স জানিয়েছে, ২৭ বছর বয়সী তাকি ওং ব্যস্ত পেশাজীবীদের জন্য এআই টুল তৈরি করেন। তবে নিজের ব্যক্তিগত অর্থ পরিচালনায়ও তিনি এআইয়ের ওপর ভরসা রাখেন। গুগলের জেমিনি এআই মডেলকে তিনি নিজের ‘২৪ ঘণ্টার ব্যক্তিগত আর্থিক উপদেষ্টা’ বলে মনে করেন।
ওং জানান, প্রতি মাসে তিনি নিজের ক্রেডিট কার্ড ও অন্যান্য খরচের হিসাব নিজে হাতে এআইয়ে ইনপুট দেন। এরপর এআই সেই তথ্য বিশ্লেষণ করে তাঁকে জানায় কোথায় অপ্রয়োজনীয় খরচ হচ্ছে।
ওংয়ের ভাষায়, এআই কখনো বলে দেয়—‘তুমি হয়তো রেস্তোরাঁয় বেশি খাচ্ছ’, আবার কখনো সতর্ক করে—‘এই সাবস্ক্রিপশনগুলো অপ্রয়োজনীয়।’ এই ধরনের বিশ্লেষণের ফলেই তিনি বাইরে খাওয়ার খরচ মাসে ৬০০ ডলার থেকে কমিয়ে ২০০ ডলারে নামাতে পেরেছেন। একইভাবে টিভি ও অন্যান্য সাবস্ক্রিপশনের খরচ ৩০০ ডলার থেকে কমে দাঁড়িয়েছে মাত্র ৫০ ডলারে।
তবে সুবিধার পাশাপাশি সতর্কতাও অবলম্বন করছেন তিনি। ওং স্পষ্ট করে বলেন, তিনি কখনোই এআইয়ের সঙ্গে নিজের ব্যাংক অ্যাকাউন্ট যুক্ত করেন না। শুধুমাত্র মোট খরচের সংখ্যা বা সামগ্রিক তথ্যই তিনি শেয়ার করেন, যাতে ব্যক্তিগত ডেটা সুরক্ষিত থাকে।
এই প্রবণতা শুধু ওংয়ের মধ্যেই সীমাবদ্ধ নয়। এক গবেষণায় দেখা গেছে, এআই ব্যবহারকারী আমেরিকানদের একটি বড় অংশ আর্থিক পরামর্শ নিতে এআইয়ের ওপর নির্ভর করছে। এঁদের মধ্যে জেন জি ও মিলেনিয়ালদের হার ৮২ শতাংশ। যুক্তরাজ্যেও প্রায় তিনজনের একজন নিয়মিত ব্যক্তিগত অর্থ ব্যবস্থাপনায় এআই ব্যবহার করেন।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এআই সময় বাঁচাতে ও খরচের দুর্বল জায়গা চিহ্নিত করতে সহায়ক হলেও সব পরামর্শ যাচাই করে নেওয়া জরুরি। পাশাপাশি ব্যক্তিগত তথ্য শেয়ার করার ক্ষেত্রে সতর্ক থাকাই সবচেয়ে নিরাপদ পথ।

কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা বা এআই এখন আর শুধু প্রযুক্তি খাতেই সীমাবদ্ধ নয়; ব্যক্তিগত অর্থ ব্যবস্থাপনাতেও এটি হয়ে উঠছে নতুন ভরসা। বিশেষ করে জেন-জি ও মিলেনিয়াল প্রজন্মের মধ্যে এআই ব্যবহার করে খরচ নিয়ন্ত্রণ ও সঞ্চয় বাড়ানোর প্রবণতা দ্রুত বাড়ছে। এরই একটি উদাহরণ কানাডার অন্টারিওভিত্তিক একটি প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠানের সহপ্রতিষ্ঠাতা তাকি ওং।
মঙ্গলবার (১৬ ডিসেম্বর) রয়টার্স জানিয়েছে, ২৭ বছর বয়সী তাকি ওং ব্যস্ত পেশাজীবীদের জন্য এআই টুল তৈরি করেন। তবে নিজের ব্যক্তিগত অর্থ পরিচালনায়ও তিনি এআইয়ের ওপর ভরসা রাখেন। গুগলের জেমিনি এআই মডেলকে তিনি নিজের ‘২৪ ঘণ্টার ব্যক্তিগত আর্থিক উপদেষ্টা’ বলে মনে করেন।
ওং জানান, প্রতি মাসে তিনি নিজের ক্রেডিট কার্ড ও অন্যান্য খরচের হিসাব নিজে হাতে এআইয়ে ইনপুট দেন। এরপর এআই সেই তথ্য বিশ্লেষণ করে তাঁকে জানায় কোথায় অপ্রয়োজনীয় খরচ হচ্ছে।
ওংয়ের ভাষায়, এআই কখনো বলে দেয়—‘তুমি হয়তো রেস্তোরাঁয় বেশি খাচ্ছ’, আবার কখনো সতর্ক করে—‘এই সাবস্ক্রিপশনগুলো অপ্রয়োজনীয়।’ এই ধরনের বিশ্লেষণের ফলেই তিনি বাইরে খাওয়ার খরচ মাসে ৬০০ ডলার থেকে কমিয়ে ২০০ ডলারে নামাতে পেরেছেন। একইভাবে টিভি ও অন্যান্য সাবস্ক্রিপশনের খরচ ৩০০ ডলার থেকে কমে দাঁড়িয়েছে মাত্র ৫০ ডলারে।
তবে সুবিধার পাশাপাশি সতর্কতাও অবলম্বন করছেন তিনি। ওং স্পষ্ট করে বলেন, তিনি কখনোই এআইয়ের সঙ্গে নিজের ব্যাংক অ্যাকাউন্ট যুক্ত করেন না। শুধুমাত্র মোট খরচের সংখ্যা বা সামগ্রিক তথ্যই তিনি শেয়ার করেন, যাতে ব্যক্তিগত ডেটা সুরক্ষিত থাকে।
এই প্রবণতা শুধু ওংয়ের মধ্যেই সীমাবদ্ধ নয়। এক গবেষণায় দেখা গেছে, এআই ব্যবহারকারী আমেরিকানদের একটি বড় অংশ আর্থিক পরামর্শ নিতে এআইয়ের ওপর নির্ভর করছে। এঁদের মধ্যে জেন জি ও মিলেনিয়ালদের হার ৮২ শতাংশ। যুক্তরাজ্যেও প্রায় তিনজনের একজন নিয়মিত ব্যক্তিগত অর্থ ব্যবস্থাপনায় এআই ব্যবহার করেন।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এআই সময় বাঁচাতে ও খরচের দুর্বল জায়গা চিহ্নিত করতে সহায়ক হলেও সব পরামর্শ যাচাই করে নেওয়া জরুরি। পাশাপাশি ব্যক্তিগত তথ্য শেয়ার করার ক্ষেত্রে সতর্ক থাকাই সবচেয়ে নিরাপদ পথ।

আমাদের গৃহের হোম অ্যাপ্লায়েন্সগুলো আমাদের জীবনকে অনেকটা সহজ করে তোলে। হোম অ্যাপ্লায়েন্স হলো এমন বৈদ্যুতিক বা ইলেকট্রনিক যন্ত্রপাতি, যা আমাদের বাসাবাড়ির দৈনন্দিন কাজগুলো সম্পাদনে পরোক্ষভাবে ভূমিকা রাখে। আমাদের পরিবারের মা-বোনেরা এগুলো ব্যবহারের মাধ্যমে অনেকভাবে উপকৃত হন। সচরাচর যেসব কাজের ক্ষেত্রে
২৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪
ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব বলেন, দেশের ডিজিটাল রূপান্তর এখন আর খণ্ডিত প্রকল্প বা অ্যাপভিত্তিক উদ্যোগে সীমাবদ্ধ রাখা যাবে না। এটি একটি দীর্ঘমেয়াদি ও ভিত্তিমূলক রাষ্ট্রীয় রূপান্তর, যার কেন্দ্রে থাকবে ডেটা গভর্ন্যান্স, সাইবার নিরাপত্তা ও নাগরিক অধিকার। দেশে বহু ডিজিটাল সিস্টেম থাকলেও ইন্টারঅপারেবিলিটির...
৩ ঘণ্টা আগে
স্মার্টফোন ব্র্যান্ড রিয়েলমি দেশে রিয়েলমি সি৮৫ উন্মোচন করেছে। এই ডিভাইসটির প্রধান আকর্ষণ হলো এর শক্তিশালী ৭০০০ মিলি অ্যাম্পিয়ারের আলট্রা ব্যাটারি ও ৪৫ ওয়াট ফাস্ট চার্জিং সক্ষমতা (যা ১০ ওয়াট রিভার্স চার্জিংও সাপোর্ট করে)।
৯ ঘণ্টা আগে
অনলাইন ক্লাস, গাইডবুক আর মক টেস্টের পরেও বাংলাদেশের পরীক্ষার্থীদের বড় একটি অংশ নিয়মিত অনুশীলনের অভাবে পিছিয়ে পড়েন। পড়া থাকলেও কোথায় দুর্বলতা, কীভাবে নিজের অগ্রগতি যাচাই করবেন—সে প্রশ্নের উত্তর অনেক সময় মেলে না।
২ দিন আগে
অনলাইন ক্লাস, গাইডবুক আর মক টেস্টের পরেও বাংলাদেশের পরীক্ষার্থীদের বড় একটি অংশ নিয়মিত অনুশীলনের অভাবে পিছিয়ে পড়েন। পড়া থাকলেও কোথায় দুর্বলতা, কীভাবে নিজের অগ্রগতি যাচাই করবেন—সে প্রশ্নের উত্তর অনেক সময় মেলে না। এই প্রেক্ষাপটে ‘চর্চা’ নিজেকে উপস্থাপন করছে একটি অনুশীলনকেন্দ্রিক লার্নিং প্ল্যাটফর্ম হিসেবে। দেশের এডটেক খাতে এই উদ্যোগের ভাবনা, চ্যালেঞ্জ ও ভবিষ্যৎ দৃষ্টিভঙ্গি নিয়ে কথা বলেছেন চর্চার প্রতিষ্ঠাতা ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা রায়হান উল ইসলাম সানজিদ। সাক্ষাৎকার নিয়েছেন মো. আশিকুর রহমান।
আশিকুর রহমান

চর্চার শুরুটা কীভাবে?
চর্চার আনুষ্ঠানিক যাত্রা শুরু হয় ২০২১ সালে। তখন আমি নিজেই ইঞ্জিনিয়ারিং ভর্তি পরীক্ষার প্রস্তুতি নিচ্ছিলাম। প্রতিদিন ক্লাস, লেকচার, গাইডবুক আর প্রশ্নব্যাংকের চাপ—সব মিলিয়ে নিজের মতো করে প্র্যাকটিস করার সময় খুব কম পাওয়া যেত। এই জায়গায় সমস্যাটা সবচেয়ে বেশি চোখে পড়ে। ভাবলাম, যদি এমন একটি প্ল্যাটফর্ম থাকে, যেখানে গৎবাঁধা নিয়মে আটকে না থেকে নিয়মিত ও সহজভাবে প্র্যাকটিস করা যায়, তাহলে শেখাটা অনেক বেশি আনন্দের হতে পারে। সেই ভাবনা থেকে চর্চার জন্ম। রুয়েটের কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগে ভর্তির পর কাজটি আরও গতি পায়। ক্লাসরুম থেকেই আমার কো-ফাউন্ডার ও সিএমও নাফিসের সঙ্গে পরিচয়। পরে গালিব কো-ফাউন্ডার ও সিওও হিসেবে যুক্ত হন। শুরু থেকেই মার্কেটিং ও অপারেশনের দায়িত্ব মূলত তাঁরা দুজনই সামলাচ্ছেন।
চর্চা অ্যাপ তৈরির পেছনে মূল অনুপ্রেরণা কী ছিল?
আমাদের শিক্ষাব্যবস্থায় পড়াশোনা আর পরীক্ষাকে প্রায় সব সময় ভয়ের বিষয় হিসেবে উপস্থাপন করা হয়। অথচ শেখার প্রক্রিয়াটা হওয়া উচিত আনন্দদায়ক, যেখানে একজন শিক্ষার্থী সমস্যা সমাধান করতে করতেই শিখবেন। নিজের অভিজ্ঞতা থেকে দেখেছি, পড়ার উপকরণ অনেক থাকলেও নিয়মিত প্র্যাকটিসের সুযোগ খুব সীমিত। এই বাস্তবতা থেকে চর্চার ভাবনা। আমরা চাই, শিক্ষার্থীরা পরীক্ষাকে ভয় না পেয়ে প্র্যাকটিসের মাধ্যমে শেখার আনন্দ খুঁজে পাক। শেখার প্রতিটি ধাপ যেন চাপ না হয়ে আগ্রহ তৈরি করে—এটিই ছিল চর্চার মূল অনুপ্রেরণা।
শুরুতে বড় চ্যালেঞ্জ কী ছিল?
নির্ভরযোগ্য প্ল্যাটফর্ম তৈরি করা ‘চর্চা’র বড় চ্যালেঞ্জ ছিল। যেটি একসঙ্গে হাজার হাজার ব্যবহারকারী সামলাতে পারবে এবং সবার জন্য অভিজ্ঞতাটি হবে নিরবচ্ছিন্ন। এর পাশাপাশি বাস্তব চ্যালেঞ্জ ছিল দেশের বিভিন্ন প্রান্তের, বিভিন্ন স্তরের শিক্ষার্থীদের জন্য মানসম্মত ও উপযোগী কনটেন্ট তৈরি করা। অষ্টম শ্রেণি থেকে বিসিএস—প্রতিটি স্তরের জন্য আলাদা চাহিদা রয়েছে। সেই কনটেন্ট যেন একদিকে নির্ভুল হয়, অন্যদিকে আকর্ষণীয় ও গেমিফাইড হয়। এই ভারসাম্য বজায় রাখাটা ছিল কঠিন। তবে ধাপে ধাপে এসব চ্যালেঞ্জ অতিক্রম করে আজ চর্চা একটি গ্রহণযোগ্য প্ল্যাটফর্মে পরিণত হয়েছে।
‘চর্চা এআই’-এর ধারণা কীভাবে এল?
এটি মূলত এআই এজেন্ট, যা এনসিটিবি পাঠ্যবই এবং আমাদের ১০ লক্ষাধিক প্রশ্নের ডেটাবেইসের ওপর প্রশিক্ষিত। শিক্ষার্থীরা টেক্সট বা ছবি আকারে যেকোনো প্রশ্ন দিতে পারেন, আর চর্চা এআই বইভিত্তিক রেফারেন্সসহ উত্তর দেয়। এটি শুধু ডাউট সলভিং নয়, বরং একটি পার্সোনালাইজড লার্নিং সলিউশন। শিক্ষার্থী বুঝতে পারেন—কোন টপিকে তিনি দুর্বল, কোথায় আরও প্র্যাকটিস দরকার। মাত্র তিন মাসে চর্চা এআই-এ ৩ লাখ ৫০ হাজারের বেশি চ্যাটরুম তৈরি হয়েছে।
প্রশ্নভান্ডারের মান কীভাবে নিশ্চিত করেন?
চর্চার কনটেন্ট মান নিশ্চিত করতে আমাদের একটি আলাদা কনটেন্ট টিম রয়েছে। অষ্টম শ্রেণি, এসএসসি, এইচএসসি ও বিসিএস—প্রতিটি সেগমেন্টে আলাদা টিম কাজ করে। বিজ্ঞান, মানবিক ও ব্যবসায় শিক্ষা এই তিন ধারার জন্য রয়েছে বিষয়ভিত্তিক এক্সপার্টরা। নিয়মিত আপডেট, রিভিউ এবং গবেষণার মাধ্যমে কনটেন্টের মান ধরে রাখাই আমাদের মূল অগ্রাধিকার।
স্ট্রিক, লিডার বোর্ড ও রিপোর্ট কতটা কার্যকর?
চর্চা ‘লার্নিং থ্রো প্র্যাকটিস’ ধারণাটিকে প্রাধান্য দেয়। স্ট্রিক শিক্ষার্থীদের দৈনিক অভ্যাস গড়তে সাহায্য করে। আমাদের এমন ব্যবহারকারীও আছেন, যাঁদের স্ট্রিক এক বছরের বেশি। লিডার বোর্ড শিক্ষার্থীদের মধ্যে প্রতিযোগিতা তৈরি করে। আর মাসিক রিপোর্ট শিক্ষার্থীকে নিজের অগ্রগতি বুঝতে সাহায্য করে। কোথায় উন্নতি হচ্ছে বা কোথায় আরও মনোযোগ দরকার, সেসব বোঝা যায় এ থেকে।
ডেটা প্রাইভেসি ও নিরাপত্তা কীভাবে নিশ্চিত করছেন?
ব্যবহারকারীর ডেটা সুরক্ষা আমাদের কাছে গুরুত্বপূর্ণ। ব্যবহারকারীরা যেকোনো সময় নিজেদের তথ্য বা অ্যাকাউন্ট মুছে ফেলতে পারেন। কোনো তথ্য ব্যবহারকারীর সম্মতি ছাড়া সংগ্রহ করা হয় না। সব ডেটা এনক্রিপটেড থাকে এবং অ্যাপ সার্ভার যোগাযোগ এইচটিটিপিএস সিকিউরিটির মাধ্যমে সুরক্ষিত। এই ব্যবস্থাগুলো ব্যবহারকারীদের নিশ্চিন্ত অভিজ্ঞতা নিশ্চিত করে।
ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা কী?
আগামী পাঁচ বছরে আমরা চর্চাকে বাংলাদেশের সবচেয়ে বেশি ব্যবহৃত লার্নিং অ্যাপে পরিণত করতে চাই। আমাদের লক্ষ্য ১০ কোটির বেশি শিক্ষার্থীকে সেবা দেওয়া। একই সঙ্গে আমরা বিশ্বাস করি, শেখার কোনো সীমানা নেই। তাই চর্চাকে একটি গ্লোবাল লার্নিং অ্যান্ড প্র্যাকটিস ব্র্যান্ড হিসেবে প্রতিষ্ঠা করাও আমাদের লক্ষ্য। বাংলাদেশ থেকে জন্ম নেওয়া একটি প্ল্যাটফর্ম যেন বিশ্বজুড়ে শিক্ষার্থীদের শেখার সঙ্গী হয়ে ওঠে, এই স্বপ্ন নিয়েই আমরা এগোচ্ছি।
চর্চার শুরুটা কীভাবে?
চর্চার আনুষ্ঠানিক যাত্রা শুরু হয় ২০২১ সালে। তখন আমি নিজেই ইঞ্জিনিয়ারিং ভর্তি পরীক্ষার প্রস্তুতি নিচ্ছিলাম। প্রতিদিন ক্লাস, লেকচার, গাইডবুক আর প্রশ্নব্যাংকের চাপ—সব মিলিয়ে নিজের মতো করে প্র্যাকটিস করার সময় খুব কম পাওয়া যেত। এই জায়গায় সমস্যাটা সবচেয়ে বেশি চোখে পড়ে। ভাবলাম, যদি এমন একটি প্ল্যাটফর্ম থাকে, যেখানে গৎবাঁধা নিয়মে আটকে না থেকে নিয়মিত ও সহজভাবে প্র্যাকটিস করা যায়, তাহলে শেখাটা অনেক বেশি আনন্দের হতে পারে। সেই ভাবনা থেকে চর্চার জন্ম। রুয়েটের কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগে ভর্তির পর কাজটি আরও গতি পায়। ক্লাসরুম থেকেই আমার কো-ফাউন্ডার ও সিএমও নাফিসের সঙ্গে পরিচয়। পরে গালিব কো-ফাউন্ডার ও সিওও হিসেবে যুক্ত হন। শুরু থেকেই মার্কেটিং ও অপারেশনের দায়িত্ব মূলত তাঁরা দুজনই সামলাচ্ছেন।
চর্চা অ্যাপ তৈরির পেছনে মূল অনুপ্রেরণা কী ছিল?
আমাদের শিক্ষাব্যবস্থায় পড়াশোনা আর পরীক্ষাকে প্রায় সব সময় ভয়ের বিষয় হিসেবে উপস্থাপন করা হয়। অথচ শেখার প্রক্রিয়াটা হওয়া উচিত আনন্দদায়ক, যেখানে একজন শিক্ষার্থী সমস্যা সমাধান করতে করতেই শিখবেন। নিজের অভিজ্ঞতা থেকে দেখেছি, পড়ার উপকরণ অনেক থাকলেও নিয়মিত প্র্যাকটিসের সুযোগ খুব সীমিত। এই বাস্তবতা থেকে চর্চার ভাবনা। আমরা চাই, শিক্ষার্থীরা পরীক্ষাকে ভয় না পেয়ে প্র্যাকটিসের মাধ্যমে শেখার আনন্দ খুঁজে পাক। শেখার প্রতিটি ধাপ যেন চাপ না হয়ে আগ্রহ তৈরি করে—এটিই ছিল চর্চার মূল অনুপ্রেরণা।
শুরুতে বড় চ্যালেঞ্জ কী ছিল?
নির্ভরযোগ্য প্ল্যাটফর্ম তৈরি করা ‘চর্চা’র বড় চ্যালেঞ্জ ছিল। যেটি একসঙ্গে হাজার হাজার ব্যবহারকারী সামলাতে পারবে এবং সবার জন্য অভিজ্ঞতাটি হবে নিরবচ্ছিন্ন। এর পাশাপাশি বাস্তব চ্যালেঞ্জ ছিল দেশের বিভিন্ন প্রান্তের, বিভিন্ন স্তরের শিক্ষার্থীদের জন্য মানসম্মত ও উপযোগী কনটেন্ট তৈরি করা। অষ্টম শ্রেণি থেকে বিসিএস—প্রতিটি স্তরের জন্য আলাদা চাহিদা রয়েছে। সেই কনটেন্ট যেন একদিকে নির্ভুল হয়, অন্যদিকে আকর্ষণীয় ও গেমিফাইড হয়। এই ভারসাম্য বজায় রাখাটা ছিল কঠিন। তবে ধাপে ধাপে এসব চ্যালেঞ্জ অতিক্রম করে আজ চর্চা একটি গ্রহণযোগ্য প্ল্যাটফর্মে পরিণত হয়েছে।
‘চর্চা এআই’-এর ধারণা কীভাবে এল?
এটি মূলত এআই এজেন্ট, যা এনসিটিবি পাঠ্যবই এবং আমাদের ১০ লক্ষাধিক প্রশ্নের ডেটাবেইসের ওপর প্রশিক্ষিত। শিক্ষার্থীরা টেক্সট বা ছবি আকারে যেকোনো প্রশ্ন দিতে পারেন, আর চর্চা এআই বইভিত্তিক রেফারেন্সসহ উত্তর দেয়। এটি শুধু ডাউট সলভিং নয়, বরং একটি পার্সোনালাইজড লার্নিং সলিউশন। শিক্ষার্থী বুঝতে পারেন—কোন টপিকে তিনি দুর্বল, কোথায় আরও প্র্যাকটিস দরকার। মাত্র তিন মাসে চর্চা এআই-এ ৩ লাখ ৫০ হাজারের বেশি চ্যাটরুম তৈরি হয়েছে।
প্রশ্নভান্ডারের মান কীভাবে নিশ্চিত করেন?
চর্চার কনটেন্ট মান নিশ্চিত করতে আমাদের একটি আলাদা কনটেন্ট টিম রয়েছে। অষ্টম শ্রেণি, এসএসসি, এইচএসসি ও বিসিএস—প্রতিটি সেগমেন্টে আলাদা টিম কাজ করে। বিজ্ঞান, মানবিক ও ব্যবসায় শিক্ষা এই তিন ধারার জন্য রয়েছে বিষয়ভিত্তিক এক্সপার্টরা। নিয়মিত আপডেট, রিভিউ এবং গবেষণার মাধ্যমে কনটেন্টের মান ধরে রাখাই আমাদের মূল অগ্রাধিকার।
স্ট্রিক, লিডার বোর্ড ও রিপোর্ট কতটা কার্যকর?
চর্চা ‘লার্নিং থ্রো প্র্যাকটিস’ ধারণাটিকে প্রাধান্য দেয়। স্ট্রিক শিক্ষার্থীদের দৈনিক অভ্যাস গড়তে সাহায্য করে। আমাদের এমন ব্যবহারকারীও আছেন, যাঁদের স্ট্রিক এক বছরের বেশি। লিডার বোর্ড শিক্ষার্থীদের মধ্যে প্রতিযোগিতা তৈরি করে। আর মাসিক রিপোর্ট শিক্ষার্থীকে নিজের অগ্রগতি বুঝতে সাহায্য করে। কোথায় উন্নতি হচ্ছে বা কোথায় আরও মনোযোগ দরকার, সেসব বোঝা যায় এ থেকে।
ডেটা প্রাইভেসি ও নিরাপত্তা কীভাবে নিশ্চিত করছেন?
ব্যবহারকারীর ডেটা সুরক্ষা আমাদের কাছে গুরুত্বপূর্ণ। ব্যবহারকারীরা যেকোনো সময় নিজেদের তথ্য বা অ্যাকাউন্ট মুছে ফেলতে পারেন। কোনো তথ্য ব্যবহারকারীর সম্মতি ছাড়া সংগ্রহ করা হয় না। সব ডেটা এনক্রিপটেড থাকে এবং অ্যাপ সার্ভার যোগাযোগ এইচটিটিপিএস সিকিউরিটির মাধ্যমে সুরক্ষিত। এই ব্যবস্থাগুলো ব্যবহারকারীদের নিশ্চিন্ত অভিজ্ঞতা নিশ্চিত করে।
ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা কী?
আগামী পাঁচ বছরে আমরা চর্চাকে বাংলাদেশের সবচেয়ে বেশি ব্যবহৃত লার্নিং অ্যাপে পরিণত করতে চাই। আমাদের লক্ষ্য ১০ কোটির বেশি শিক্ষার্থীকে সেবা দেওয়া। একই সঙ্গে আমরা বিশ্বাস করি, শেখার কোনো সীমানা নেই। তাই চর্চাকে একটি গ্লোবাল লার্নিং অ্যান্ড প্র্যাকটিস ব্র্যান্ড হিসেবে প্রতিষ্ঠা করাও আমাদের লক্ষ্য। বাংলাদেশ থেকে জন্ম নেওয়া একটি প্ল্যাটফর্ম যেন বিশ্বজুড়ে শিক্ষার্থীদের শেখার সঙ্গী হয়ে ওঠে, এই স্বপ্ন নিয়েই আমরা এগোচ্ছি।

আমাদের গৃহের হোম অ্যাপ্লায়েন্সগুলো আমাদের জীবনকে অনেকটা সহজ করে তোলে। হোম অ্যাপ্লায়েন্স হলো এমন বৈদ্যুতিক বা ইলেকট্রনিক যন্ত্রপাতি, যা আমাদের বাসাবাড়ির দৈনন্দিন কাজগুলো সম্পাদনে পরোক্ষভাবে ভূমিকা রাখে। আমাদের পরিবারের মা-বোনেরা এগুলো ব্যবহারের মাধ্যমে অনেকভাবে উপকৃত হন। সচরাচর যেসব কাজের ক্ষেত্রে
২৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪
ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব বলেন, দেশের ডিজিটাল রূপান্তর এখন আর খণ্ডিত প্রকল্প বা অ্যাপভিত্তিক উদ্যোগে সীমাবদ্ধ রাখা যাবে না। এটি একটি দীর্ঘমেয়াদি ও ভিত্তিমূলক রাষ্ট্রীয় রূপান্তর, যার কেন্দ্রে থাকবে ডেটা গভর্ন্যান্স, সাইবার নিরাপত্তা ও নাগরিক অধিকার। দেশে বহু ডিজিটাল সিস্টেম থাকলেও ইন্টারঅপারেবিলিটির...
৩ ঘণ্টা আগে
স্মার্টফোন ব্র্যান্ড রিয়েলমি দেশে রিয়েলমি সি৮৫ উন্মোচন করেছে। এই ডিভাইসটির প্রধান আকর্ষণ হলো এর শক্তিশালী ৭০০০ মিলি অ্যাম্পিয়ারের আলট্রা ব্যাটারি ও ৪৫ ওয়াট ফাস্ট চার্জিং সক্ষমতা (যা ১০ ওয়াট রিভার্স চার্জিংও সাপোর্ট করে)।
৯ ঘণ্টা আগে
কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা বা এআই এখন আর শুধু প্রযুক্তি খাতেই সীমাবদ্ধ নয়; ব্যক্তিগত অর্থ ব্যবস্থাপনাতেও এটি হয়ে উঠছে নতুন ভরসা। বিশেষ করে জেন-জি ও মিলেনিয়াল প্রজন্মের মধ্যে এআই ব্যবহার করে খরচ নিয়ন্ত্রণ ও সঞ্চয় বাড়ানোর প্রবণতা দ্রুত বাড়ছে।
১ দিন আগে