Ajker Patrika

নাসা ইন্টারন্যাশনাল স্পেস অ্যাপস চ্যালেঞ্জ-২০২৫

ফিচার ডেস্ক
নাসা ইন্টারন্যাশনাল স্পেস অ্যাপস চ্যালেঞ্জে অংশগ্রহণকারীরা
নাসা ইন্টারন্যাশনাল স্পেস অ্যাপস চ্যালেঞ্জে অংশগ্রহণকারীরা

বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী, কোডার, বিজ্ঞানী, ডিজাইনার, গল্পকার, নির্মাতা, প্রযুক্তিবিদ ও উদ্ভাবকদের নিয়ে প্রতিবছর আয়োজন করা হয় নাসা ইন্টারন্যাশনাল স্পেস অ্যাপস চ্যালেঞ্জ। ২০১২ সালে শুরু হওয়া এই চ্যালেঞ্জে পৃথিবীর প্রায় ১৮৫টি দেশ ও অঞ্চল থেকে ২ লাখ ২০ হাজারের বেশি উদ্ভাবক অংশ নিয়েছেন।

এ বছর নাসা এবং এর আন্তর্জাতিক স্পেস এজেন্সি পার্টনারদের সহায়তায় বাংলাদেশের জন্য বিশেষ সুযোগ তৈরি করেছে ‘বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব সফটওয়্যার অ্যান্ড ইনফরমেশন সার্ভিসেস’ (বেসিস)। প্রতিষ্ঠানটি ১০ বছর ধরে এই ইভেন্টের আয়োজক হিসেবে কাজ করছে।

ঢাকাসহ চট্টগ্রাম, সিলেট, রাজশাহী, রংপুর, বরিশাল, খুলনা, কুমিল্লা ও ময়মনসিংহ থেকে প্রতিযোগীরা এতে অংশ নিয়েছেন। তাঁরা হার্ডওয়্যার, সফটওয়্যার, মোবাইল অ্যাপ্লিকেশন, গেম, প্রোটোটাইপসহ নাসার দেওয়া বিভিন্ন চ্যালেঞ্জের ভিত্তিতে উদ্ভাবনী প্রকল্প তৈরি করতে একত্র হবেন।

যেসব চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হন প্রতিযোগীরা

নাসা ইন্টারন্যাশনাল স্পেস অ্যাপস চ্যালেঞ্জে বিশ্বের বিভিন্ন দেশ ও অঞ্চল থেকে অংশগ্রহণকারীরা একত্র হয়ে নাসার দেওয়া বিভিন্ন সমস্যা সমাধানে কাজ করেন। এই সমস্যাগুলো পৃথিবী ও মহাকাশে বিজ্ঞান, প্রযুক্তি ও মানবিক চ্যালেঞ্জের ওপর ভিত্তি করে হয়। প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণকারীরা হার্ডওয়্যার প্রোটোটাইপস, সফটওয়্যার ডেভেলপমেন্ট, মোবাইল অ্যাপ্লিকেশন, গেমস, ডেটা ভিজ্যুয়ালাইজেশন ইত্যাদি বিভিন্ন প্রকল্প তৈরি করেন। এ জন্য তাঁদের সময় দেওয়া হয় ৪৮ ঘণ্টা।

অংশগ্রহণের উপায়

  • এই চ্যালেঞ্জে অংশ নেওয়ার জন্য কিছু সহজ পদক্ষেপ অনুসরণ করতে হবে।
  • প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণের জন্য নাসার অফিশিয়াল ওয়েবসাইটে গিয়ে রেজিস্ট্রেশন
  • করতে হবে। সেখানে আপনি আপনার দল গঠন করতে অথবা এককভাবে নিবন্ধন করে অংশ নিতে পারবেন।
  • নাসা প্রতিযোগিতার জন্য বিভিন্ন চ্যালেঞ্জ দিয়ে থাকে। আপনি কিংবা আপনার দল যে চ্যালেঞ্জে কাজ করতে আগ্রহী, তা নির্বাচন করতে হবে। প্রতিটি চ্যালেঞ্জের জন্য সুনির্দিষ্ট নির্দেশিকা ও সমস্যা দেওয়া থাকবে।
  • নির্বাচিত চ্যালেঞ্জের জন্য ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে একটি প্রকল্প তৈরি করতে হবে। এটি সফটওয়্যার, হার্ডওয়্যার বা অন্যান্য উদ্ভাবনী সমাধান হতে পারে।
  • চ্যালেঞ্জের নির্দিষ্ট সময়সীমার মধ্যে আপনার প্রকল্প জমা দিতে হবে। নাসার বিচারকেরা সেরা প্রকল্পগুলো নির্বাচন করবেন এবং বিজয়ীদের পুরস্কৃত করবেন।

বাংলাদেশ দলের সাফল্য

এই চ্যালেঞ্জে বাংলাদেশি দলগুলো গত কয়েক বছরে অসাধারণ সাফল্য অর্জন করেছে। ২০১৮ সালে বাংলাদেশ দল তৃতীয় ও পঞ্চম স্থান অধিকার করে নেয়। ২০১৯ সালে প্রথমবারের মতো

শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ‘টিম অলীক’ দলের সদস্যরা নাসার বেস্ট ইউজ

অব ডেটা ক্যাটাগরিতে চ্যাম্পিয়ন হয়ে বিশ্বকে দারুণভাবে চমকে দিয়েছিলেন। তাঁদের তৈরি

লুনার ভার্চুয়াল রিয়েলিটি অ্যাপ্লিকেশনটি অ্যাপোলো-১১-এর ঐতিহাসিক ল্যান্ডিং সাইটে ব্যবহারকারীদের নিয়ে গিয়ে একটি বিস্ময়কর ভার্চুয়াল রিয়েলিটি অভিজ্ঞতা তৈরি করে।

সূত্র: নাসা স্পেস অ্যাপস

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত