ফিরে দেখা ২০২৪ /বছরজুড়ে ইন্টারনেটে ট্রেন্ডে শীর্ষে ছিল যা কিছু

প্রযুক্তি ডেস্ক   
প্রকাশ : ২৯ ডিসেম্বর ২০২৪, ১২: ৩৪
আপডেট : ২৯ ডিসেম্বর ২০২৪, ১২: ৫৮
Thumbnail image

ইন্টারনেট এখন মৌলিক অধিকারের পর্যায়ে চলে গেছে। মানুষের দৈনন্দিন জীবন ইন্টারনেট ছাড়া অচল। এই ইন্টারনেটের মাধ্যমেই মানুষ বিভিন্ন পরিষেবা নিয়ে থাকে। বিভিন্ন কাজে আলাদা প্ল্যাটফর্ম ব্যবহার করা হয়। আবার নির্দিষ্ট পরিষেবার জন্য বাজারে তীব্র প্রতিদ্বন্দ্বী একাধিক প্ল্যাটফর্মও রয়েছে। টেকসই পরিষেবা এবং তথ্য সুরক্ষায় কিছু প্ল্যাটফর্ম প্রতিযোগীর চেয়ে এগিয়ে। ২০২৪ সালে এমন কিছু উল্লেখযোগ্য প্ল্যাটফর্ম এবং সেই সঙ্গে বছরজুড়ে আলোচিত কিছু ঘটনা তুলে ধরা হলো:

ইন্টারনেটের সবচেয়ে জনপ্রিয় সেবা

গুগল টানা তৃতীয় বছরের মতো প্রথম স্থান দখল করেছে, এরপরে ফেসবুক (২), অ্যাপল (৩) ও টিকটক (৪) অবস্থান করছে। ২০২৩ সালেও অবশ্য ক্রমটি একই ছিল। তবে, হোয়াটসঅ্যাপ প্রথমবারের মতো বৈশ্বিকভাবে শীর্ষ দশ জনপ্রিয় সেবার মধ্যে প্রবেশ করেছে।

সবচেয়ে জনপ্রিয় জেনারেটিভ এআই সেবা

কোডিয়াম, ক্লড এবং কোপাইলট নতুন করে শীর্ষ দশ জেনারেটিভ এআই সেবার (৩, ৫ এবং ৭) তালিকায় প্রবেশ করেছে। যেখানে ওপেনএআই দ্বিতীয় বছরের মতো শীর্ষস্থান ধরে রেখেছে।

সবচেয়ে জনপ্রিয় গেমিং সেবা

গেমিং ব্যবহারকারীরা স্টিমকে প্রথমবারের মতো শীর্ষ পাঁচের তালিকায় নিয়ে এসেছে। আর মাইনক্রাফট এ বছর শীর্ষ দশে প্রবেশ করেছে। এদিকে, রোবলক্স টানা চতুর্থ বছরের মতো প্রথম স্থানে রয়েছে।

সবচেয়ে বেশি সাইবার হামলার শিকার শিল্প খাত

বিশ্বব্যাপী গেমিং এবং জুয়ার প্ল্যাটফর্মগুলো সাইবার আক্রমণের শীর্ষ লক্ষ্য হয়ে উঠেছে। যেখানে ২০২৩ সালের শীর্ষ লক্ষ্য ছিল অর্থ খাত। বিশেষত, সুপার বোউলের আগের সপ্তাহগুলোতে এই ধরনের আক্রমণ উল্লেখযোগ্যভাবে বেড়েছে। সুপার বোউল হলো যুক্তরাষ্ট্রের বার্ষিক রাগবি (ফুটবল) লিগ চ্যাম্পিয়নশিপ।

ইন্টারনেট বিভ্রাট

বিশ্বব্যাপী ইন্টারনেট বিভ্রাটের অর্ধেকের বেশিই ঘটেছে সরকারি হস্তক্ষেপে। বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই সরকার প্রতিবাদ, বিদ্রোহ বা সংঘাত এড়াতে ইন্টারনেট পরিষেবা বন্ধের নির্দেশ দিয়েছে। এ ছাড়া সামাজিক অস্থিরতা, এমনকি পরীক্ষার সময় নকল প্রতিরোধেও এমন পদক্ষেপ নেওয়া হয়। মোজাম্বিক, ইরাক, সিরিয়া, বাংলাদেশ, সেনেগাল, পাকিস্তানসহ অন্যান্য দেশে এ ঘটনা ঘটেছে। এতে বিশেষ করে আর্থিক ও আউটসোর্স খাত ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।

ক্ষতিকারক ট্রাফিক

গত বছরের তুলনায় এ বছর ইন্টারনেট খুব বেশি বিপজ্জনক হয়ে ওঠেনি, কারণ বৈশ্বিক ট্রাফিকের প্রায় ৬ দশমিক ৫ শতাংশ ক্ষতিকারক হিসেবে শনাক্ত করা হয়েছে। অবশ্য ২০২৩ সালের তুলনায় এটি সামান্য বেড়েছে।

সবচেয়ে আগ্রাসী এআই বট

কনটেন্ট তৈরি ও প্রচারে ব্যাপকভাবে এআই বট এবং ক্রলার ব্যবহার ছিল বছরজুড়ে আলোচনায়। এগুলোর মধ্যে বাইটস্পাইডার (বাইটড্যান্স) এবং ক্লডবট (অ্যানথ্রপিক) সবচেয়ে সক্রিয় ছিল, যদিও এগুলোর সামগ্রিক ট্রাফিক বছরজুড়ে ধীরে ধীরে কমেছে।

তথ্যসূত্র: ক্লাউডফ্লেয়ার

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

সম্পর্কিত