ইন্দোনেশিয়াতে আইফোনের পর পিক্সেল ফোন বিক্রিতেও নিষেধাজ্ঞা

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশ : ০২ নভেম্বর ২০২৪, ০৯: ৫২
পিক্সেল ফোনের বিক্রি নিষিদ্ধ হয়েছে ইন্দোনেশিয়ায়। ছবি: সিনেট

দেশের অভ্যন্তরে আইফোন ১৬ বিক্রির ওপর নিষেধাজ্ঞা জারির পর এবার গুগলের তৈরি স্মার্টফোন পিক্সেল বিক্রি ও বাজারজাতকরণের ক্ষেত্রেও একই আদেশ দিয়েছে ইন্দোনেশিয়ার বাণিজ্য ও শিল্প বিষয়ক মন্ত্রণালয়। স্থানীয় উৎপাদন বাড়াতে এবং আমদানি করা প্রযুক্তির ওপর নির্ভরতা কমাতে এসব সিদ্ধান্ত নিচ্ছে ইন্দোনেশিয়া।

সংবাদ সংস্থা রয়টার্স বলছে, পিক্সেল ফোনের বিক্রি নিষিদ্ধ হয়েছে, কারণ দেশটির আইন অনুযায়ী ফোনটি তৈরিতে গুগল অন্তত ৪০ শতাংশ স্থানীয় উপাদান ব্যবহার করেনি গুগল।

ইন্দোনেশিয়ার প্রচলিত আইন অনুযায়ী, বিদেশি কোনো কোম্পানি যদি তাদের পণ্য দেশটিতে বিক্রি করতে চায়, সে ক্ষেত্রে অবশ্যই সেই পণ্য প্রস্তুতের ক্ষেত্রে ইন্দোনেশিয়ার স্থানীয় কোম্পানিগুলোর কাছ থেকে অন্তত ৪০ শতাংশ যন্ত্রাংশ বা উপাদান কিনতে হবে। অ্যাপল ও গুগল উভয়ই এই আইন মেনে চলেনি। তাই দুই কোম্পানির ফোন বিক্রি ও বাজারজাতকরণ ওপর নিষেধাজ্ঞা দিল দেশটি।

ইন্দোনেশিয়ার শিল্প মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র ফেব্রি হেন্দ্রি অ্যান্টনি আরিফ বলেন, ‘আমরা এই নীতিমালাগুলো প্রণয়ন করছি যাতে ইন্দোনেশিয়ায় সকল বিনিয়োগকারীদের জন্য ন্যায্যতা নিশ্চিত করা যায়। গুগলের পণ্য আমাদের নির্ধারিত আইনের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ নয়। তাই সেগুলো এখানে বিক্রি করা যাবে না।

তিনি আরও বলেন, ‘দেশের বিনিয়োগকারীদের স্বার্থরক্ষার জন্য এই আইনটি করা হয়েছিল। গুগলের স্মার্টফোন উৎপাদনকারীরা সেই নিয়ম মানেননি। তাই দেশের ভেতর গুগলের পিক্সেল ফোন বিক্রি ও বাজারজাত করণ নিষিদ্ধের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।’

তবে ক্রেতারা প্রয়োজনীয় শুল্ক দিয়ে বিদেশ থেকে গুগল পিক্সেল স্মার্টফোন কিনে দেশে নিয়ে আসতে পারে। তবে কর্তৃপক্ষ সতর্ক করেছে যে, ইন্দোনেশিয়ায় অবৈধভাবে বিক্রি হওয়া ফোনগুলো বন্ধ করে দেওয়ার হতে পারে।

শিল্প মন্ত্রী আগুস গুমিওয়াং কার্তাসাস্মিতা বলেছেন, ইন্দোনেশিয়ায় যেকোনো আইফোন ১৬ এর বিক্রি ‘অবৈধ’ এবং নাগরিকদের এই ডিভাইসের বিক্রি দেখলে রিপোর্ট করতে বলেছেন। এই পদক্ষেপটি দেশের ‘ডোমেস্টিক কম্পোনেন্ট লেভেল (টিকেডিএন’) সার্টিফিকেশনের সঙ্গে সম্পর্কিত, যা কোম্পানিগুলোকে তাদের পণ্যে অন্তত ৪০ শতাংশ স্থানীয় উপাদান অন্তর্ভুক্ত করতে বাধ্য করে।

অ্যাপলের টিকেডিএন সার্টিফিকেশন মুলতবি রয়েছে, কারণ কোম্পানিটির স্থানীয় গবেষণা ও উন্নয়ন সুবিধায় বিনিয়োগ সম্পূর্ণ করেনি। শিল্প মন্ত্রণালয় আইফোন ১৬-এর জন্য প্রয়োজনীয় ইন্টারন্যাশনাল মোবাইল ইকুইপমেন্ট আইডেনটিটি (আইএমইআই) সার্টিফিকেশন বন্ধ রেখেছে। ফলে ইন্দোনেশিয়ায় ডিভাইসটি বিক্রি ও ব্যবহার অবৈধ।

গত এপ্রিলে ইন্দোনেশিয়ায় সফর করেন অ্যাপলের সিইও টিম কুক। প্রেসিডেন্ট জোকো উইদোদো সঙ্গে টিম কুক আইফোনের সম্ভাব্য উৎপাদন পরিকল্পনা নিয়ে আলোচনা সত্ত্বেও নতুন আইফোন ১৬ ইন্দোনেশিয়ায় পাওয়া যাচ্ছে না। পাশাপাশি অ্যাপল ওয়াচ সিরিজ ১০-এর মতো অ্যাপলের পণ্যও অন্যান্য নতুন সেখানে বিক্রি হচ্ছে না।

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

টাঙ্গাইলে দুই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের প্রধান র‍্যাবের হাতে গ্রেপ্তার

পুলিশ ফাঁড়ি দখল করে অফিস বানিয়েছেন সন্ত্রাসী নুরু

ঢাকার রাস্তায় ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা চালকদের বিক্ষোভ, জনদুর্ভোগ চরমে

শেয়ারবাজারে বিনিয়োগ সুরক্ষায় নতুন উদ্যোগ

ফ্রি, ফেয়ার অ্যান্ড ক্রেডিবল নির্বাচন জাতিকে উপহার দিতে চাই: নতুন সিইসি

এলাকার খবর
খুঁজুন

সম্পর্কিত