ক্লাউড কম্পিটিং সেবার কয়েক শ কর্মী ছাঁটাই করল আমাজন

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশ : ০৪ এপ্রিল ২০২৪, ১৩: ৫৫
আপডেট : ০৪ এপ্রিল ২০২৪, ১৫: ৩১

ক্লাউড কম্পিটিং সেবা থেকে কয়েক শ কর্মী ছাঁটাই করল প্রযুক্তি কোম্পানি আমাজন। বিক্রয়, বিপণন ও বৈশ্বিক পরিষেবাসহ কিছু আউটলেটের কর্মীরা এর আওতায় পড়বে।

আমাজন ওয়েব সার্ভিসের (এডব্লিউএস) মুখপাত্র বিবিসিকে বলেন, ‘এই সিদ্ধান্ত কঠিন হলেও  প্রয়োজনীয়। কারণ আমরা নতুন নতুন উদ্ভাবনের জন্য বিনিয়োগ, কর্মী নিয়োগ ও সম্পদের সঠিক ব্যবহার করি।’

কোম্পানিটির শেষ আর্থিক প্রতিবেদন অনুযায়ী, আমাজনের মোট আয়ের ১৪ শতাংশই ওয়েব সার্ভিস থেকে আসে। ২০২০ সালে ‘আমাজন ফ্রেশ’ নামে স্টোর চালু করে কোম্পানিটি ব্যবসা কৌশল পরিবর্তন করেছে।

গত মঙ্গলবার এক ঘোষণায় আমাজন বলে, এসব দোকানে ‘জাস্ট ওয়াক আউট ফ্রম অল স্টোর’ পদ্ধতি চালু করেছে। এর ফলে পণ্য কিনে চেক আউটের জন্য আলাদাভাবে ক্যাশ কাউন্টারে দাঁড়াতে হবে না। স্মার্টফোনের মাধ্যমে ব্যাংক অ্যাকাউন্ট থেকে স্বয়ংক্রিয়ভাবে টাকা কেটে রাখা হবে। তাই পণ্য নিয়েই গ্রাহকেরা দোকান থেকে বের হয়ে যেতে পারবেন।

আমাজন আরও বলেছে, কোম্পানিটি নিয়োগ ও বৃদ্ধি অব্যাহত রাখবে, বিশেষ করে ব্যবসার মূল ক্ষেত্রগুলোতে। আমাজনে হাজার হাজার চাকরি নিয়োগও দেওয়া হয়েছে এবং ছাঁটাই করা কর্মীদের জন্য কোম্পানির অভ্যন্তরীণ কাজ খুঁজে বের করার জন্য চেষ্টা করা হচ্ছে।

তবে সারা বিশ্বে কর্মী ছাঁটাই কার্যক্রমে অব্যাহত থাকবে। এডব্লিউএস বিভাগ ও যুক্তরাষ্ট্রের সিয়াটলের বেশির ভাগ কর্মী ছাঁটাই হবে।

কোম্পানিটি বলেছে, যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক ছাঁটাই করা  কর্মীরা কমপক্ষে ৬০ দিনের বেতন ও অন্যান্য সুবিধা পাবেন। অন্য চাকরি খুঁজে পেতে ও চাকরি পরিবর্তনে স্বাস্থ্য সম্পর্কিত বিভিন্ন সুবিধার অ্যাকসেস পেতেও কোম্পানিটি সাহায্য করবে। চাকরি থেকে ছাঁটাইয়ের জন্য একটি অতিরিক্ত বেতনও দেওয়া হবে।

গত বছরের শেষ পর্যন্ত ঠিকাদার এবং অস্থায়ী কর্মী ছাড়াও আমাজনে মোট ১৫০ কোটিরও বেশি পূর্ণকাল ও খণ্ডকালীন কর্মী ছিল।

আমাজন এডাব্লুএসের মাধ্যমে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার (এআই) ওপর বেশি জোর দিয়েছে। নিরাপত্তা এবং এআই বিষয়ক গবেষণা স্টার্ট-আপ এনথ্রপিকেও বিনিয়োগ করা রয়েছে আমাজন।

মাইক্রোসফটসহ বিভিন্ন প্রযুক্তি জায়ান্টরা চ্যাটপজিপিটিতে বিনিয়োগ করেছে। এভাবে কোম্পানিগুলো এআই ক্ষমতা বাড়ানোর জন্য একে অপরের সঙ্গে প্রতিযোগিতা করছে।

টুইচ, প্রাইম ভিডিও ও এমজিএম স্টুডিও–এর মতো কোম্পানিটির অন্যান্য সেবা থেকে গত জানুয়ারিতে শত শত কর্মী ছাঁটাই করে। টুইচের ৫০০ জন কর্মীকে ছাঁটাই করা হয় যা প্ল্যাটফর্মটির কর্মীর প্রায় এক–তৃতীয়াংশ।

যুক্তরাষ্ট্রের ক্যারিয়ার কনসালটেন্সি চ্যালেঞ্জার গ্রে অ্যান্ড ক্রিসমাস অনুসারে, ২০২৩ সালে প্রযুক্তি খাতে ১ লাখ ৬৮ হাজার ৩২ জন কর্মী ছাঁটাই করা হয় যা ২০২২ সালের তুলনায় ৭৩ শতাংশ বেশি।

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

টাঙ্গাইলে দুই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের প্রধান র‍্যাবের হাতে গ্রেপ্তার

পুলিশ ফাঁড়ি দখল করে অফিস বানিয়েছেন সন্ত্রাসী নুরু

ঢাকার রাস্তায় ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা চালকদের বিক্ষোভ, জনদুর্ভোগ চরমে

শেয়ারবাজারে বিনিয়োগ সুরক্ষায় নতুন উদ্যোগ

জাতিকে ফ্রি, ফেয়ার অ্যান্ড ক্রেডিবল নির্বাচন উপহার দিতে চাই: নতুন সিইসি

এলাকার খবর
খুঁজুন

সম্পর্কিত