অনলাইন ডেস্ক
ইসরায়েলের সঙ্গে ১২০ কোটি ডলারের একটি প্রকল্প নিয়ে কাজ করছে টেক জায়ান্ট গুগল ও আমাজন। কিন্তু এই প্রকল্প বা গুগলের সঙ্গে ইসরায়েলের সঙ্গে সম্পর্ক কেমন—তার প্রকৃতি নিয়ে সন্দিহান কোম্পানিটির অনেক কর্মীই। আর এ বিষয়টি কোম্পানির ভেতরে বিদ্রোহের আগুন উসকে দিয়েছে।
প্রখ্যাত সংবাদমাধ্যম টাইম ম্যাগাজিন এই বিষয়ে একটি অনুসন্ধানী প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। সেখানে বলা হয়েছে, গত ৪ মার্চ এক বৈঠক গুগলের ইসরায়েলবিষয়ক অংশের ব্যবস্থাপনা পরিচালক বারাক রেগেভ দেশটির প্রযুক্তি শিল্প এগিয়ে নেওয়ার ক্ষেত্রে গুগলের অংশগ্রহণের বিষয়ে কথা বলছিলেন। সেখানে গুগলের ২৩ বছর বয়সী প্রকৌশলী এই কৌশলের বিরোধিতা করেন।
এডি হ্যাটফিল্ড নামে ওই প্রকৌশলী বলেন, ‘আমি গুগল ক্লাউডের একজন সফটওয়্যার প্রকৌশলী এবং আমি এমন প্রযুক্তি তৈরি করতে অস্বীকার করছি—যা গণহত্যা, জাতিবিদ্বেষ বা নজরদারির ক্ষমতা দেয়।’ তিনি আরও দাবি করেন, ‘জাতিবিদ্বেষীদের জন্য কোনো প্রযুক্তি থাকা উচিত নয়।’
ঘটনাস্থলে উপস্থিত গুগলের অনেক কর্মী হ্যাটফিল্ডের সমালোচনা করেন। এমনকি এ ঘটনার তিন দিন পর তাঁকে গুগল থেকে চাকরিচ্যুত করা হয়। তবে হ্যাটফিল্ড একা নন, তাঁর মতো আরও অনেকেই গুগলের সঙ্গে ইসরায়েলের সংশ্লিষ্টতা নিয়ে প্রতিবাদ, এমনকি বিদ্রোহ পর্যন্ত শুরু করেছেন।
গুগল ও আমাজন যৌথভাবে ইসরায়েলে ১২০ কোটি ডলারের একটি প্রকল্প ‘নিমবাজ’ বাস্তবায়ন করছে। এই প্রকল্পের আওতায় গুগল ও আমাজন ইসরায়েল ও এর সামরিক বাহিনীকে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা ও ক্লাউড কম্পিউটিং সেবা দেবে।
এ ছাড়া, ইসরায়েলের মাটিতে একটি গুগল ক্লাউড স্টেশনও স্থাপন করা হবে। যা ইসরায়েল সরকার ও এর সামরিক বাহিনীকে আরও বিপুল পরিমাণ ডেটা বিশ্লেষণের সুযোগ দেবে। বিশেষ করে, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার সাহায্যে মানুষে মুখচ্ছবি শনাক্ত করা, লাখো ছবি আলাদা করা এবং কোনো লক্ষ্যবস্তুকে অনুসরণ করার বিষয়টিকে আরও শক্তিশালী করে তুলবে এই প্রকল্প।
টাইম ম্যাগাজিনের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গুগলের অন্তত ৪০ জন কর্মী কোম্পানিটির ভেতরে ‘জাতিবিদ্বেষীদের জন্য কোনো প্রযুক্তি নয়’ শীর্ষক আন্দোলন শুরু করেছেন। সংগঠকদের দাবি, গুগলে আরও হাজারো কর্মী আছেন—যাঁরা তাঁদের সঙ্গে একমত। এমনকি অনেক কর্মী গাজায় ইসরায়েলি আগ্রাসনে ইসরায়েলকে সহায়তা করায় গুগলের ওপর ক্ষিপ্ত।
টাইম ম্যাগাজিন এই বিষয়ে গুগলের পাঁচ বর্তমান ও পাঁচ সাবেক কর্মীর সঙ্গে কথা বলেছে। তাঁদের মধ্যে দুজন জানিয়েছেন, তাঁরা নিমবাজ প্রকল্পের বিরোধিতা করে গত মাসেই চাকরি থেকে ইস্তফা নিয়েছেন।
আন্দোলনকারীদের আশঙ্কা, গুগল, আমাজন ও ইসরায়েল সরকার নিমবাজ প্রকল্পের ব্যাপারে অনেক কিছুই লুকিয়ে যাচ্ছে। কারণ, এই তিন অংশের কেউই এই বিষয়ে কখনোই বিস্তারিত কোনো তথ্য দেয়নি। অবশ্য গুগল দাবি করেছে, এই প্রকল্প কেবলই বাণিজ্যিক উদ্দেশ্যে। যেমন—অর্থ খাত, স্বাস্থ্যসেবা, পরিবহন, শিক্ষাসহ বিভিন্ন খাতে ব্যবহার করা হবে।
যদিও এমন কোনো প্রমাণ নেই যে গুগল বা আমাজনের প্রযুক্তি ব্যবহার করে ইসরায়েল বেসামরিক নাগরিক হত্যা করেছে। তারপরও গুগলকর্মীদের দাবি, তাঁরা মূলত তিনটি প্রধান উদ্বেগের ওপর ভিত্তি করে প্রতিবাদ করছেন।
প্রথমত, ইসরায়েলের অর্থ মন্ত্রণালয় ২০২১ সালে স্পষ্ট বিবৃতিতে উল্লেখ করেছিল যে ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় নিমবাজ ব্যবহার করবে। দ্বিতীয়ত, গুগল ক্লাউডের মধ্যে ইসরায়েল সরকার কী ধরনের সেবা পায় এবং ইসরায়েল গুগলের প্রযুক্তি নিয়ে তা কী কাজে ব্যবহার করছে, তা পর্যবেক্ষণ করতে পারেন না গুগলের কর্মীরাও। তৃতীয়ত, কর্মীরা উদ্বিগ্ন যে গুগলের শক্তিশালী এআই ও ক্লাউড কম্পিউটিং সেবা নজরদারি, সামরিক লক্ষ্যবস্তু বা অন্য ধরনের অস্ত্রে জন্য ব্যবহার করতে পারে ইসরায়েল।
ইসরায়েলের সঙ্গে ১২০ কোটি ডলারের একটি প্রকল্প নিয়ে কাজ করছে টেক জায়ান্ট গুগল ও আমাজন। কিন্তু এই প্রকল্প বা গুগলের সঙ্গে ইসরায়েলের সঙ্গে সম্পর্ক কেমন—তার প্রকৃতি নিয়ে সন্দিহান কোম্পানিটির অনেক কর্মীই। আর এ বিষয়টি কোম্পানির ভেতরে বিদ্রোহের আগুন উসকে দিয়েছে।
প্রখ্যাত সংবাদমাধ্যম টাইম ম্যাগাজিন এই বিষয়ে একটি অনুসন্ধানী প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। সেখানে বলা হয়েছে, গত ৪ মার্চ এক বৈঠক গুগলের ইসরায়েলবিষয়ক অংশের ব্যবস্থাপনা পরিচালক বারাক রেগেভ দেশটির প্রযুক্তি শিল্প এগিয়ে নেওয়ার ক্ষেত্রে গুগলের অংশগ্রহণের বিষয়ে কথা বলছিলেন। সেখানে গুগলের ২৩ বছর বয়সী প্রকৌশলী এই কৌশলের বিরোধিতা করেন।
এডি হ্যাটফিল্ড নামে ওই প্রকৌশলী বলেন, ‘আমি গুগল ক্লাউডের একজন সফটওয়্যার প্রকৌশলী এবং আমি এমন প্রযুক্তি তৈরি করতে অস্বীকার করছি—যা গণহত্যা, জাতিবিদ্বেষ বা নজরদারির ক্ষমতা দেয়।’ তিনি আরও দাবি করেন, ‘জাতিবিদ্বেষীদের জন্য কোনো প্রযুক্তি থাকা উচিত নয়।’
ঘটনাস্থলে উপস্থিত গুগলের অনেক কর্মী হ্যাটফিল্ডের সমালোচনা করেন। এমনকি এ ঘটনার তিন দিন পর তাঁকে গুগল থেকে চাকরিচ্যুত করা হয়। তবে হ্যাটফিল্ড একা নন, তাঁর মতো আরও অনেকেই গুগলের সঙ্গে ইসরায়েলের সংশ্লিষ্টতা নিয়ে প্রতিবাদ, এমনকি বিদ্রোহ পর্যন্ত শুরু করেছেন।
গুগল ও আমাজন যৌথভাবে ইসরায়েলে ১২০ কোটি ডলারের একটি প্রকল্প ‘নিমবাজ’ বাস্তবায়ন করছে। এই প্রকল্পের আওতায় গুগল ও আমাজন ইসরায়েল ও এর সামরিক বাহিনীকে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা ও ক্লাউড কম্পিউটিং সেবা দেবে।
এ ছাড়া, ইসরায়েলের মাটিতে একটি গুগল ক্লাউড স্টেশনও স্থাপন করা হবে। যা ইসরায়েল সরকার ও এর সামরিক বাহিনীকে আরও বিপুল পরিমাণ ডেটা বিশ্লেষণের সুযোগ দেবে। বিশেষ করে, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার সাহায্যে মানুষে মুখচ্ছবি শনাক্ত করা, লাখো ছবি আলাদা করা এবং কোনো লক্ষ্যবস্তুকে অনুসরণ করার বিষয়টিকে আরও শক্তিশালী করে তুলবে এই প্রকল্প।
টাইম ম্যাগাজিনের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গুগলের অন্তত ৪০ জন কর্মী কোম্পানিটির ভেতরে ‘জাতিবিদ্বেষীদের জন্য কোনো প্রযুক্তি নয়’ শীর্ষক আন্দোলন শুরু করেছেন। সংগঠকদের দাবি, গুগলে আরও হাজারো কর্মী আছেন—যাঁরা তাঁদের সঙ্গে একমত। এমনকি অনেক কর্মী গাজায় ইসরায়েলি আগ্রাসনে ইসরায়েলকে সহায়তা করায় গুগলের ওপর ক্ষিপ্ত।
টাইম ম্যাগাজিন এই বিষয়ে গুগলের পাঁচ বর্তমান ও পাঁচ সাবেক কর্মীর সঙ্গে কথা বলেছে। তাঁদের মধ্যে দুজন জানিয়েছেন, তাঁরা নিমবাজ প্রকল্পের বিরোধিতা করে গত মাসেই চাকরি থেকে ইস্তফা নিয়েছেন।
আন্দোলনকারীদের আশঙ্কা, গুগল, আমাজন ও ইসরায়েল সরকার নিমবাজ প্রকল্পের ব্যাপারে অনেক কিছুই লুকিয়ে যাচ্ছে। কারণ, এই তিন অংশের কেউই এই বিষয়ে কখনোই বিস্তারিত কোনো তথ্য দেয়নি। অবশ্য গুগল দাবি করেছে, এই প্রকল্প কেবলই বাণিজ্যিক উদ্দেশ্যে। যেমন—অর্থ খাত, স্বাস্থ্যসেবা, পরিবহন, শিক্ষাসহ বিভিন্ন খাতে ব্যবহার করা হবে।
যদিও এমন কোনো প্রমাণ নেই যে গুগল বা আমাজনের প্রযুক্তি ব্যবহার করে ইসরায়েল বেসামরিক নাগরিক হত্যা করেছে। তারপরও গুগলকর্মীদের দাবি, তাঁরা মূলত তিনটি প্রধান উদ্বেগের ওপর ভিত্তি করে প্রতিবাদ করছেন।
প্রথমত, ইসরায়েলের অর্থ মন্ত্রণালয় ২০২১ সালে স্পষ্ট বিবৃতিতে উল্লেখ করেছিল যে ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় নিমবাজ ব্যবহার করবে। দ্বিতীয়ত, গুগল ক্লাউডের মধ্যে ইসরায়েল সরকার কী ধরনের সেবা পায় এবং ইসরায়েল গুগলের প্রযুক্তি নিয়ে তা কী কাজে ব্যবহার করছে, তা পর্যবেক্ষণ করতে পারেন না গুগলের কর্মীরাও। তৃতীয়ত, কর্মীরা উদ্বিগ্ন যে গুগলের শক্তিশালী এআই ও ক্লাউড কম্পিউটিং সেবা নজরদারি, সামরিক লক্ষ্যবস্তু বা অন্য ধরনের অস্ত্রে জন্য ব্যবহার করতে পারে ইসরায়েল।
বিশ্বব্যাপী নতুন সিরিজ ফাইন্ড এক্স ৮ উন্মোচন করল চীনের স্মার্টফোন নির্মাতা অপো। এই সিরিজে অপো ফাইন্ড এক্স ও অপো ফাইন্ড এক্স ৮ প্রো মডেল দুটি অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। মডেল দুটিতেই ৫০ মেগাপিক্সেল ক্যামেরা রয়েছে। তবে অপো ফাইন্ড এক্স ৮ প্রো মডেলে আইফোনের মতো ক্যামেরা বাটন যুক্ত করা হয়েছে। সিরিজটিতে মিডিয়াটেক
১৩ ঘণ্টা আগেবৈদ্যুতিক গাড়ির জন্য সলিড স্টেট ব্যাটারি ব্যাপক পরিমাণে তৈরি করবে হোন্ডা। এ জন্য জাপানে একটি উৎপাদন কেন্দ্র তৈরি করেছে কোম্পানিটি। এখানে ব্যাটারিটি তৈরি পরিকল্পনাটি পরীক্ষা–নিরীক্ষা করা হবে। এই পরিকল্পনা কম খরচে ও টেকসই ব্যাটারি তৈরিতে সহায়ক হবে।
১৫ ঘণ্টা আগেম্যাসেজিং প্ল্যাটফর্ম মেসেঞ্জারে একযোগে বেশ কিছু ফিচার যুক্ত করেছে মেটা। ফিচারগুলো ভিডিও কল ও অডিও কলের অভিজ্ঞতাকে আরও উন্নত করবে। নতুন আপডেটের মাধ্যমে মেসেঞ্জারে নয়েজ সারপ্রেশন, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা বা এআইভিত্তিক ব্যাকগ্রাউন্ড, এইচডি ভিডিও কল এবং হ্যান্ডস ফ্রি কলিংয়ের মতো ফিচার পাওয়া যাবে। এক ব্লগ প
১৭ ঘণ্টা আগেযুক্তরাষ্ট্রের সরকার যেন অ্যাপলের বিরুদ্ধে দায়ের করা অ্যান্টিট্রাস্ট বা প্রতিযোগিতা মামলা খারিজ করে, এ জন্য ফেডারেল বিচারককে অনুরোধ করেছে কোম্পানিটি। টেক জায়ান্টটি বলছে, তাদের বিরুদ্ধে দায়ের করা মামলাটি কাল্পনিক এবং অ্যাপল একচেটিয়া আধিপত্য বিস্তার করে তা প্রমাণ করতে পারেনি যুক্তরাষ্ট্রের সরকার।
১৮ ঘণ্টা আগে