তাইওয়ানে ফুডপান্ডাকে কিনে নিল উবার ইটস

অনলাইন ডেস্ক
Thumbnail image

তাইওয়ানে ফুডপান্ডার ব্যবসা কিনে নিয়েছে উবার ইটস। অ্যাপস-ভিত্তিক জায়ান্ট ডেলিভারি হিরো ও উবার টেকনোলজিসের এ চুক্তির আর্থিক পরিমাণ ৯৫ কোটি ডলার। এর মধ্য দিয়ে মার্কিন কোম্পানি উবারের বাণিজ্য এশিয়ায় বড় পরিসরে সম্প্রসারিত হলো। 

মার্কিন সংবাদমাধ্যম দ্য ওয়াল স্ট্রিট জার্নাল এক প্রতিবেদনে এ খবর জানিয়েছে। 

উবার অ্যাপ-ভিত্তিক রাইড শেয়ারিং কোম্পানি হিসেবে বেশি পরিচিত হলেও খাবার সরবরাহের অন্যতম আয়ের উৎস। ফুডপান্ডার তাইওয়ানের অংশ অধিগ্রহণের পাশাপাশি কৌশলগত পদক্ষেপটিতে যুক্ত থাকছে জার্মান কোম্পানি ডেলিভারি হিরোর নতুন শেয়ারের মালিকানা। 

তবে নতুন এই চুক্তির পর ফুডপান্ডার তাইওয়ানিজ গ্রাহক, ব্যবসায়ী এবং ডেলিভারি পার্টনারদের উবার ইটসে স্থানান্তর করা হবে। 

২০১৯ সালে দক্ষিণ কোরিয়ায় ৪০০ কোটি ডলার চুক্তির পর ডেলিভারি হিরোর বৃহত্তম বাজারে পরিণত হয় এশিয়া। তবে মুনাফা বৃদ্ধির লক্ষ্যে এ অঞ্চলে নতুন কিছু পদক্ষেপ নেয় কোম্পানিটি, যার সর্বশেষটি হলো উবারের সঙ্গে চুক্তি। 

কোভিড-১৯ মহামারীর পর এশিয়ার খাদ্য সরবরাহ পরিষেবাগুলো মন্থর হয়ে পড়েছিল। সম্প্রতি সে মন্থরতা কাটিয়ে উঠেছে অ্যাপ-ভিত্তিক কোম্পানিগুলো। ক্রমবর্ধমান মূল্যস্ফীতি ও জীবনযাত্রার ব্যয়ের বিষয়ে সতর্ক গ্রাহকদের ধরে রাখার জন্য মূল্যছাড়ের মতো পদক্ষেপ নিতে বাধ্য হচ্ছে কোম্পানিগুলো। সেই সঙ্গে প্রচারেও প্রচুর ব্যয় করছে। 

ডেলিভারি হিরোর সিইও ও সহপ্রতিষ্ঠাতা নিকলাস ওস্টবার্গ এক বিবৃতিতে বলেন, ‘বিশ্বের অন্যান্য অংশে উপস্থিতির ওপর আমরা এখন গুরুত্ব দিচ্ছি। আমরা মনে করি ওইসব অঞ্চলের গ্রাহক, বিক্রেতা ও রাইডারদের ওপর আরো মনোযোগের প্রয়োজন।’ 

এ চুক্তির অধীনে তাইওয়ানের ফুডপান্ডা ব্যবসা ৯৫ কোটি ডলারে অধিগ্রহণ করবে উবার। এ ছাড়া ডেলিভারি হিরোর নতুন শেয়ার কিনতে খরচ করবে আরও ৩০ কোটি ডলার, যার প্রতিটির দাম ৩৩ ইউরো। 

পুনর্গঠন প্রচেষ্টার অংশ হিসেবে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার কিছু বাজারে ফুডপান্ডার ব্যবসা বিক্রির কথা বিবেচনা করছিল ডেলিভারি হিরো। তবে ফেব্রুয়ারিতে জানিয়েছিল, সম্ভাব্য বিক্রি সম্পর্কিত আলোচনা বন্ধ করে দিয়েছে। 

এপ্রিলে শেষ হওয়া অর্থবছরে তাইওয়ানের বাজারে ফুডপান্ডা ১৭৩ কোটি ডলার লেনদেন করে। এর আগে গ্র্যাব হোল্ডিংস ও ডেলিভারি হিরোর মধ্যে সম্ভাব্য একটি চুক্তি বিষয়ে সিঙ্গাপুরের বাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা তদন্ত করে। তদন্তের পর বলা হয়েছিল, এ ধরনের চুক্তি প্রতিযোগিতা হ্রাস করতে পারে। 

জার্মানভিত্তিক খাবার সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠান ফুডপান্ডা ২০১৩ সালের শেষ দিকে বাংলাদেশে যাত্রা শুরু করে। দেশের ৬৪টি জেলাতেই তাদের খাবার সরবরাহের ব্যবস্থা আছে। ঘরে বসে পছন্দের খাবার পেতে করোনা মহামারির সময় ফুডপান্ডা থেকে খাবার কেনার চাহিদা বেড়ে যায়। বর্তমানে দেশে প্রায় হাজারখানেক কর্মী আছে তাদের। কিন্তু দেশের শীর্ষ এ খাবার সরবরাহের প্রতিষ্ঠানটি ২০২৩ সালে কিছু কর্মী ছাঁটাই করে। 

এর আগে ২০২০ সালে বেতন-ভাতা না পেয়ে কর্মীরা বিক্ষোভ ও ফুডপান্ডার অফিস ঘেরাও করেন। ঢাকা ও সিলেটে পৃথক এসব বিক্ষেভের ঘটনা ঘটে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত