মাহিন আলম
বুগাত্তি ত্যুরবিলন নিছক স্পোর্টস কার নয়, যেন এক শিল্পকর্ম। এর নামকরণ করা হয়েছে ঘড়ির নির্ভুল একটি গিয়ারের সেটের নামে। গাড়িটির বিশেষত্ব হলো, এর শক্তিশালী ১ হাজার ৮০০ হর্সপাওয়ারের (এইচপি) ইঞ্জিন। হাইব্রিড মডেলের গাড়ির প্রাথমিক মূল্য ধরা হয়েছে ৪০ লাখ ডলার বা ৪৭ কোটি টাকা! ফ্রান্সের মোলশাইমে বুগাত্তির কারখানায় এই গাড়ি অ্যাসেম্বল করা হবে বলে জানা গেছে।
ত্যুরবিলনের স্টিয়ারিং হুইলের মাঝখানে বসানো হয়েছে ক্ল্যাসিক স্টাইলের যান্ত্রিক ঘড়ির মতো দেখতে কয়েকটি ডায়াল আকৃতির ডিসপ্লে। এগুলোয় গাড়ির গতি, ইঞ্জিনের আরপিএম, তাপ, ফুয়েল ও ব্যাটারির চার্জের পরিমাণ আর হর্সপাওয়ার দেখা যাবে। পুরো ইনস্ট্রু্মেন্ট ক্লাস্টারটি সুইস ঘড়ি নির্মাতাদের সহায়তায় ডিজাইন করেছে মার্কিন অলংকার নির্মাতা প্রতিষ্ঠান জ্যাকব অ্যান্ড কোম্পানি। বুগাত্তি কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, এই ক্লাস্টারে টাইটানিয়ামের পাশাপাশি নীলকান্তমণি ও রুবির মতো রত্নপাথর ব্যবহার করা হয়েছে। এ ছাড়া সেন্টার কনসোলটি পলিশ করা অ্যালুমিনিয়াম ও ক্রিস্টাল গ্লাস দিয়ে তৈরি।
ত্যুরবিলন ইন্টেরিয়র অনেকটা রিট্রো ধাঁচের। সেন্ট্রাল স্পিডোমিটার ডিসপ্লেতে সাধারণ ঘড়ির মতো লম্বা ও ছোট দুটি কাঁটা রয়েছে। বড়টি গাড়ির গতি নির্দেশ করে। আর ছোটটি হাই-রেভিং সিক্সটিন-সিলিন্ডার ইঞ্জিনের প্রতি মিনিটে ঘূর্ণন রেজিস্টার করে। গাড়ির ব্যাটারিতে ফুল চার্জ থাকলে গ্যাস ইঞ্জিন চালু হওয়ার আগে এটি শুধু বৈদ্যুতিক শক্তিতে প্রায় ৬০ কিলোমিটার বা ৩৭ মাইল চলতে সক্ষম। তবে চালক ইচ্ছা করলে ক্রমাগত গ্যাস ইঞ্জিন চালানোর বিকল্প ব্যবস্থা থাকবে। বুগাত্তির আগের মডেলের মতো ত্যুরবিলনে অ্যাপল কার প্লেসহ একটি বড় ডিসপ্লে স্ক্রিন রয়েছে। চালক চাইলে এটি ব্যবহার করতে পারবেন।
ত্যুরবিলনের বিশাল ১৬ সিলিন্ডার গ্যাস ইঞ্জিন ডিজাইন করা হয়েছে ব্রিটিশ রেস কার ইঞ্জিনিয়ারিং ফার্ম কসওয়ার্থের সহযোগিতায়। এই ইঞ্জিন তিনটি শক্তিশালী বৈদ্যুতিক মোটরের সহায়তায় চলবে। গাড়ির পেছনে একটি এবং সামনে আরও দুটি মোটর নিজে থেকে অন্তত ৮০০ হর্সপাওয়ার উৎপাদন করতে সক্ষম। সব মিলিয়ে বুগাত্তি ত্যুরবিলন অন্তত ১ হাজার ৮০০ হর্সপাওয়ার শক্তি উৎপাদন করতে পারবে। বৈদ্যুতিক মোটরগুলো নতুন গ্যাস ইঞ্জিনের টার্বো চার্জারের বিকল্প হিসেবে ব্যবহৃত হবে। বুগাত্তির আগের মডেল ২০১৬ সালে বাজারে আসা চিরনের গ্যাস ইঞ্জিনে রয়েছে চারটি টার্বো চার্জার। সেগুলো ইঞ্জিনে বাতাস প্রবেশ করিয়ে আরও বেশি শক্তি উৎপাদন করতে সহায়তা করে।
ত্যুরবিলন মাত্র ২ সেকেন্ডে প্রতি ঘণ্টায় শূন্য থেকে ১০০ কিলোমিটার গতি তুলতে সক্ষম। ত্যুরবিলনে একটি ৮ দশমিক ৩ লিটার ভি১৬ হাইব্রিড ইঞ্জিন রয়েছে। এই আইস ইঞ্জিন একাই ১ হাজার এইচপি এবং ৯০০ এনএম টর্ক উৎপন্ন করে। এই ইঞ্জিনের সঙ্গে তিনটি বৈদ্যুতিক মোটর সংযুক্ত করা হয়েছে। সম্পূর্ণ সেটআপের মাধ্যমে হাইপার কার মোট ১ হাজার ৮০০ এইচপি পাওয়ার উৎপন্ন করে। নতুন পাওয়ার ট্রেনটি ৮-স্পিড ডুয়েল-ক্লাচ অটো গিয়ারবক্সের সঙ্গে সংযুক্ত।
বুগাত্তির দাবি, ত্যুরবিলনের গতি প্রতি ঘণ্টায় শূন্য থেকে ৩০০ কিলোমিটার তুলতে সময় লাগবে ১০ সেকেন্ডের কম। এর সর্বোচ্চ গতি ঘণ্টায় ৪৪৫ কিলোমিটার। বুগাত্তি মোট ২৫০ ত্যুরবিলন তৈরি করবে। প্রতিষ্ঠানটি ২০২৬ সালের প্রথম দিকে এই সুপার কার ডেলিভারি দিতে শুরু করবে বলে জানিয়েছে।
ছবি ও সূত্র: নিউজরুম ডট বুগাত্তি ডট কম
বুগাত্তি ত্যুরবিলন নিছক স্পোর্টস কার নয়, যেন এক শিল্পকর্ম। এর নামকরণ করা হয়েছে ঘড়ির নির্ভুল একটি গিয়ারের সেটের নামে। গাড়িটির বিশেষত্ব হলো, এর শক্তিশালী ১ হাজার ৮০০ হর্সপাওয়ারের (এইচপি) ইঞ্জিন। হাইব্রিড মডেলের গাড়ির প্রাথমিক মূল্য ধরা হয়েছে ৪০ লাখ ডলার বা ৪৭ কোটি টাকা! ফ্রান্সের মোলশাইমে বুগাত্তির কারখানায় এই গাড়ি অ্যাসেম্বল করা হবে বলে জানা গেছে।
ত্যুরবিলনের স্টিয়ারিং হুইলের মাঝখানে বসানো হয়েছে ক্ল্যাসিক স্টাইলের যান্ত্রিক ঘড়ির মতো দেখতে কয়েকটি ডায়াল আকৃতির ডিসপ্লে। এগুলোয় গাড়ির গতি, ইঞ্জিনের আরপিএম, তাপ, ফুয়েল ও ব্যাটারির চার্জের পরিমাণ আর হর্সপাওয়ার দেখা যাবে। পুরো ইনস্ট্রু্মেন্ট ক্লাস্টারটি সুইস ঘড়ি নির্মাতাদের সহায়তায় ডিজাইন করেছে মার্কিন অলংকার নির্মাতা প্রতিষ্ঠান জ্যাকব অ্যান্ড কোম্পানি। বুগাত্তি কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, এই ক্লাস্টারে টাইটানিয়ামের পাশাপাশি নীলকান্তমণি ও রুবির মতো রত্নপাথর ব্যবহার করা হয়েছে। এ ছাড়া সেন্টার কনসোলটি পলিশ করা অ্যালুমিনিয়াম ও ক্রিস্টাল গ্লাস দিয়ে তৈরি।
ত্যুরবিলন ইন্টেরিয়র অনেকটা রিট্রো ধাঁচের। সেন্ট্রাল স্পিডোমিটার ডিসপ্লেতে সাধারণ ঘড়ির মতো লম্বা ও ছোট দুটি কাঁটা রয়েছে। বড়টি গাড়ির গতি নির্দেশ করে। আর ছোটটি হাই-রেভিং সিক্সটিন-সিলিন্ডার ইঞ্জিনের প্রতি মিনিটে ঘূর্ণন রেজিস্টার করে। গাড়ির ব্যাটারিতে ফুল চার্জ থাকলে গ্যাস ইঞ্জিন চালু হওয়ার আগে এটি শুধু বৈদ্যুতিক শক্তিতে প্রায় ৬০ কিলোমিটার বা ৩৭ মাইল চলতে সক্ষম। তবে চালক ইচ্ছা করলে ক্রমাগত গ্যাস ইঞ্জিন চালানোর বিকল্প ব্যবস্থা থাকবে। বুগাত্তির আগের মডেলের মতো ত্যুরবিলনে অ্যাপল কার প্লেসহ একটি বড় ডিসপ্লে স্ক্রিন রয়েছে। চালক চাইলে এটি ব্যবহার করতে পারবেন।
ত্যুরবিলনের বিশাল ১৬ সিলিন্ডার গ্যাস ইঞ্জিন ডিজাইন করা হয়েছে ব্রিটিশ রেস কার ইঞ্জিনিয়ারিং ফার্ম কসওয়ার্থের সহযোগিতায়। এই ইঞ্জিন তিনটি শক্তিশালী বৈদ্যুতিক মোটরের সহায়তায় চলবে। গাড়ির পেছনে একটি এবং সামনে আরও দুটি মোটর নিজে থেকে অন্তত ৮০০ হর্সপাওয়ার উৎপাদন করতে সক্ষম। সব মিলিয়ে বুগাত্তি ত্যুরবিলন অন্তত ১ হাজার ৮০০ হর্সপাওয়ার শক্তি উৎপাদন করতে পারবে। বৈদ্যুতিক মোটরগুলো নতুন গ্যাস ইঞ্জিনের টার্বো চার্জারের বিকল্প হিসেবে ব্যবহৃত হবে। বুগাত্তির আগের মডেল ২০১৬ সালে বাজারে আসা চিরনের গ্যাস ইঞ্জিনে রয়েছে চারটি টার্বো চার্জার। সেগুলো ইঞ্জিনে বাতাস প্রবেশ করিয়ে আরও বেশি শক্তি উৎপাদন করতে সহায়তা করে।
ত্যুরবিলন মাত্র ২ সেকেন্ডে প্রতি ঘণ্টায় শূন্য থেকে ১০০ কিলোমিটার গতি তুলতে সক্ষম। ত্যুরবিলনে একটি ৮ দশমিক ৩ লিটার ভি১৬ হাইব্রিড ইঞ্জিন রয়েছে। এই আইস ইঞ্জিন একাই ১ হাজার এইচপি এবং ৯০০ এনএম টর্ক উৎপন্ন করে। এই ইঞ্জিনের সঙ্গে তিনটি বৈদ্যুতিক মোটর সংযুক্ত করা হয়েছে। সম্পূর্ণ সেটআপের মাধ্যমে হাইপার কার মোট ১ হাজার ৮০০ এইচপি পাওয়ার উৎপন্ন করে। নতুন পাওয়ার ট্রেনটি ৮-স্পিড ডুয়েল-ক্লাচ অটো গিয়ারবক্সের সঙ্গে সংযুক্ত।
বুগাত্তির দাবি, ত্যুরবিলনের গতি প্রতি ঘণ্টায় শূন্য থেকে ৩০০ কিলোমিটার তুলতে সময় লাগবে ১০ সেকেন্ডের কম। এর সর্বোচ্চ গতি ঘণ্টায় ৪৪৫ কিলোমিটার। বুগাত্তি মোট ২৫০ ত্যুরবিলন তৈরি করবে। প্রতিষ্ঠানটি ২০২৬ সালের প্রথম দিকে এই সুপার কার ডেলিভারি দিতে শুরু করবে বলে জানিয়েছে।
ছবি ও সূত্র: নিউজরুম ডট বুগাত্তি ডট কম
এক্সের (সাবেক টুইটার) প্রতিদ্বন্দ্বী মাইক্রোব্লগিং প্ল্যাটফর্ম থ্রেডসের অ্যালগরিদম পরিবর্তন করল মেটা। এর ফলে যেসব অ্যাকাউন্ট ব্যবহারকারীরা ফলো করেন সেগুলোর কনটেন্টই বেশি দেখানো হবে। গত বৃহস্পতিবার থেকে ফিচারটি চালু হয়।
২ ঘণ্টা আগেযুক্তরাষ্ট্রের প্রভাবশালী পত্রিকা টাইম ম্যাগাজিন–এর কভারে ধনকুবের ইলন মাস্কের ‘টু ডু লিস্ট’ বা দিনের কাজের তালিকা প্রকাশ করেছে। তবে এটি মাস্কের ব্যক্তিগত চেকলিস্ট নয় বলে স্পষ্টভাবে জানিয়েছেন মাস্ক।
৩ ঘণ্টা আগেটাইপ করার চেয়ে ভয়েস মেসেজ পাঠানো বেশ সহজ। তবে অনেক সময় ভয়েস মেসেজ সবার সামনে শোনা যায় না। সে ক্ষেত্রে মেসেজ না শুনে রিপ্লাই–ও দেওয়া যায়না। এই সমস্যা থেকে মুক্তি দেওয়ার জন্য মেসেজ ট্রান্সক্রাইব ফিচার যুক্ত করল হোয়াটসঅ্যাপ। এই ফিচারের মাধ্যমে ভয়েস মেসেজগুলো সহজে টেক্সটে রূপান্তর করা যাবে।
৫ ঘণ্টা আগেনিয়মিত নতুন উদ্ভাবনী ধারণা ও প্রযুক্তি দিয়ে বিশ্বকে চমকে দেওয়ার জন্য পরিচিত জাপান। এবার ‘মানুষ ধোয়ার মেশিন’ তৈরি করে তাক লাগিয়ে দিল দেশটি। এটি মানুষ গোসলের জন্য ব্যবহার করতে পারবে। যন্ত্রটির কার্যকারিতা ও ডিজাইন দেখে একে ‘মানুষ ধোয়ার ওয়াশিং মেশিন’ বলে আখ্যা দিয়েছে অনেকই।
৫ ঘণ্টা আগে