কৃত্রিম-বুদ্ধিমত্তাকেই মেটাভার্সের মূল চাবিকাঠি মানছেন জাকারবার্গ

প্রযুক্তি ডেস্ক
প্রকাশ : ২৪ ফেব্রুয়ারি ২০২২, ১৬: ১৫

গত বছর ঘোষণা দিয়েই মেটাভার্স তৈরিতে জোরেশোরে মাঠে নেমেছেন মেটার প্রধান নির্বাহী মার্ক জাকারবার্গ। সে লক্ষ্যেই বেশ কিছু উচ্চাভিলাষী কৃত্রিম-বুদ্ধিমত্তা প্রকল্প উন্মোচন করেছেন তিনি। এই কৃত্রিম-বুদ্ধিমত্তাকেই মেটাভার্সের মূল চাবিকাঠি মানছেন জাকারবার্গ। 

বার্তা সংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, একটি লাইভ স্ট্রিম প্রদর্শনীতে কৃত্রিম-বুদ্ধিমত্তা বিল্ডার বট ব্যবহার করে একটি মৌলিক ভার্চুয়াল বিশ্ব তৈরি করেছেন জাকারবার্গ। যেখানে ছিল একটি দ্বীপ, গাছ এবং একটি সমুদ্র সৈকত। এই কৃত্রিম-বুদ্ধিমত্তা সিস্টেমগুলি মানুষের গোপনীয়তা রক্ষায় আরও স্বচ্ছভাবে কাজ করবে বলে প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন তিনি। 

ওই প্রদর্শনীতে একটি সর্বজনীন অনুবাদক তৈরির পরিকল্পনাও ঘোষণা করেছেন জাকারবার্গ, যা মেটাভার্সে যেকোনো ভাষায় যে কারও সঙ্গে যোগাযোগ করার সেতু হিসেবে কাজ করবে বলে মনে করেন তিনি। 

গত ১০ বছর ধরে কৃত্রিম-বুদ্ধিমত্তায় বিনিয়োগ করে আসছে ফেসবুক। চলতি বছরের মাঝামাঝি সময়ে বিশ্বের দ্রুততম কৃত্রিম-বুদ্ধিমত্তার সুপার কম্পিউটার তৈরির কথা জানিয়েছিল প্রতিষ্ঠানটি। তাদের এ প্রকল্পে নেতৃত্ব দিচ্ছেন ইয়ান লেকুন, যিনি কৃত্রিম-বুদ্ধিমত্তায় বিশ্বের শীর্ষস্থানীয় বিশেষজ্ঞদের একজন। 

গত বছর অক্টোবরে মেটাভার্স তৈরির ঘোষণা দিয়েই ফেসবুক ইনকরপোরেশনের নাম রাখা হয় মেটা। এই মেটাভার্স তৈরিতে সহায়তা করার জন্য ইউরোপে ১০ হাজার লোক নিয়োগের পরিকল্পনার কথাও জানিয়েছিল প্রতিষ্ঠানটি। 

মেটাভার্স শব্দটি মূলত সায়েন্স ফিকশন গল্প থেকে এসেছে। এটি ইন্টারনেটের এমন এক ভবিষ্যৎ দুনিয়া, যেখানে বাস্তবের সবকিছুই একদম বাস্তবের মতোই ভার্চ্যুয়াল পাওয়া যাবে। এই দুনিয়ায় প্রবেশ করতে স্মার্ট ফোন বা ল্যাপটপের বদলে প্রয়োজন হবে অগমেন্টেড রিয়্যালিটি হেড সেট। 

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

সম্পর্কিত