Ajker Patrika

উন্নত এআই ফিচারসহ এল শাওমির ১৪টি নতুন সিরিজ 

আপডেট : ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১৫: ১৩
উন্নত এআই ফিচারসহ এল শাওমির ১৪টি নতুন সিরিজ 

এআই বা কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার যুগে প্রবেশ করেছে আইফোন ও স্যামসাংসহ জনপ্রিয় স্মার্টফোন ব্র্যান্ড। এবার প্রতিযোগিতায় নাম লেখাল চীনের কোম্পানি শাওমি। আর্কষণীয় এআই ফিচারসহ নতুন ১৪টি সিরিজ উন্মোচন করেছে কোম্পানিটি। নতুন সিরিজে যেসব প্রযুক্তি ব্যবহার করা হয়েছে, তা ছবি তোলার ক্ষেত্রে অন্যন্য মাত্রা যোগ করবে।

এই সিরিজের আওতায় শাওমি ১৪টি ও শাওমি ১৪টি প্রো মডেল রয়েছে। এআই ফিচারের পাশাপাশি দুটি মডেলেই আকর্ষণীয় ডিজাইন, শক্তিশালী মিডিয়াটেক প্রসেসর এবং অ্যামলেড ডিসপ্লে যুক্ত করা হয়েছে। 

সিরিজটি গত বৃহস্পতিবার বার্লিনে অনুষ্ঠিত এক ইভেন্টে উন্মোচন করা হয়। এ ছাড়া শাওমির নতুন ফোল্ডেবল ফোন মিক্স ফ্লিপ নিয়ে এসেছে শাওমি। 

লেইকা অপটিকের মাধ্যমে রাতের বেলা ফটোগ্রাফি 
শাওমি ১৪টি সিরিজের মডেলগুলোতে কম আলোতে দুর্দান্ত ছবি তুলতে সাহায্য করবে শাওমির এআই সমর্থিত এআইএসপি প্ল্যাটফর্ম ও ফিউশনএলএম প্রযুক্তি। এটি বিভিন্ন পরিস্থিতিতে (যেমন রাতের আলোর মধ্যে) তোলা ছবিকে প্রাণবন্ত করে তুলবে। সিরিজটির ‘আলট্রাএইচডিআর’ ও ‘পোর্ট্রেটএল’–এর মতো ফিচারগুলো এইচডিআর এবং পোর্ট্রেট ছবির মান উন্নত করে। 

শাওমির ১৪টি প্রো ফোনে ত্রিপল ক্যামেরা সিস্টেম রয়েছে। এর মধ্যে প্রধান ক্যামেরা হিসেবে রয়েছে—লেইকা সামুলাক্স লেন্সে সমর্থিত ৫০ মেগাপিক্সেল ক্যামেরা। এটি ‍ ৩২ শতাংশ বেশি আলো ধারণ করতে পারবে। 

অপরদিকে শাওমি ১৪টি ফোনে সনির আইএসএক্স ৯০৬ সেন্সরসহ ৫০ মেগাপিক্সেল ক্যামেরা রয়েছে। দুটি মডেলেই ‘মুভি মডেল’ রয়েছে। এই সিরিজের ফোনগুলো দিয়ে ৪কে ভিডিও রেকর্ডিং করা যাবে। 

দৈনন্দিন ব্যবহারের জন্য শাওমির এআই ফিচার 
শাওমির ১৪টি সিরিজের ফোনগুলোর সার্চ, ভয়েস, টেক্সট, ছবি এবং ভিডিওর মতো ফিচারে উন্নত এআই প্রযুক্তি যুক্ত করা হয়েছে। ফলে ব্যবহারকারীর বিভিন্ন কাজের গতি বাড়বে। 

ডিভাইসে থাকা এআই ফিচার এবং ক্লাউড কম্পিউটিং একযোগে ফোনের কাজ ও কনটেন্ট তৈরিকে সহজ করে দেবে। গুগলের সঙ্গে সহযোগিতায় শাওমি ১৪টি প্রো সিরিজে ‘সার্কেল টু সার্চ’ ফিচারটি নিয়ে এসেছে। ফোনের স্ক্রিনে থাকা যে কোনো কনটেন্ট, ছবি বা ভিডিও ওপর আঙুল বা স্টাইলাস দিয়ে বৃত্ত অঙ্কন করলেই এই ফিচার স্বয়ংক্রিয়ভাবে গুগল সার্চে সে সম্পর্কিত তথ্য জানাবে। 

এ ছাড়া লেখালেখি, পরিকল্পনা ও কোন কিছু জানার জন্য গুগলের জেমিনি এআই–এর সমর্থন পাওয়া যাবে। স্মার্টফোনগুলোর এআই ইন্টারপ্রিটার ও এআই নোটস যথাক্রমে অনুবাদ এবং ট্রান্সক্রিপশনে (ভয়েস থেকে টেক্সটে রূপান্তরের ফিচার) সাহায্য করবে। অপরদিকে ছবি ও ভিডিও এডিটের জন্য এআই ইমেজ এডিটিং, এআই ইরেজর প্রো ও এআই ফিল্মের মতো টুল ১৪টি সিরিজের মডেলগুলোতে পাওয়া যাবে।     
সহজ করে। 

মন্ত্রমুগ্ধকর ডিসপ্লে ও সাউন্ড
এই সিরিজের মডেলগুলোতে ৬ দশমিক ৬৭ ইঞ্চির অ্যামলেড ডিসপ্লে রয়েছে, যা ১ দশমিক ৫ কে রেজল্যুশনের ১২ বিট রঙের গভীরতা, ১২০ হার্টজ রিফ্রেশ রেট এবং ৪০০০ নিটস পিক ব্রাইটনেস সমর্থন করে। চোখের আরামের জন্য এআই প্রযুক্তি ডিসপ্লে রং ও উজ্জ্বলতা স্বয়ংক্রিয়ভাবে সামঞ্জস্য করে। 

অডিওতে ক্ষেত্রে হাই–রেস ওয়ারলেস অডিও সার্টিফিকেশন এবং ডলবি অটোমস স্টেরিও স্পিকার রয়েছে। এগুলো সব মিলিয়ে একটি মন্ত্রমুগ্ধকর অডিও অভিজ্ঞতা নিশ্চিত করে। 

অসাধারণ পারফরম্যান্স 
শাওমি ১৪টি প্রো মডেলে প্রসেসর হিসেবে মিডিয়াটেক ডাইমেনসিটি ৯৩০০ প্লাস রয়েছে, যা সিপিইউ এর ৩৭ শতাংশ ও গ্রাফিকসের ৪৪ শতাংশ কর্মদক্ষতা বৃদ্ধি করে। ফোনটিতে ইমোরটালিস–জি ৭২০ জিপিইউ রয়েছে। এ ছাড়া এতে শাওমি সার্জ টি১ টিউনার রয়েছে, যা স্থিতিশীল সংযোগ নিশ্চিত করে এবং শাওমি ৩ডি আইসলুপ কুলিং সিস্টেম রয়েছে, যা অতিরিক্ত তাপ থেকে ফোনকে রক্ষা করে। 

অপরদিকে শাওমি ১৪টি মডেলে মিডিয়াটেক ডাইমেনসিটি ৮৩০০ আলট্রা চিপসেট ব্যবহার করা হয়েছে যা ফোনটির জিপিইউ ও সিপিইউ–এর কর্মদক্ষতা বাড়াবে। 

দুটি মডেলেই শক্তিশালি ব্যাটারি ও দ্রুত চার্জিং ক্ষমতা রয়েছে। শাওমি ১৪টি প্রো–তে ৫০০০ এমএইচের ব্যাটারি রয়েছে যা ৫০ ওয়াট ওয়্যারলেস চার্জিং ও ১২০ ওয়াট হাইপারচার্জ সমর্থন করে। আর ১৪টি মডেলে ৫০০০ এমএইচের ব্যাটারি রয়েছে। এটি ৬৭ ওয়াট হাইপারচার্জ সমর্থন করে। 

ডিজাইন ও টেকসই 
পারফরম্যান্সের সঙ্গে ডিজাইনের দিকেও বিশেষভাবে নজর দিয়েছে শাওমি। এতে খুব চিকন বেজেল (স্ক্রিনের চারপাশে থাকা কালো অংশ) রয়েছে যা পুরুত্ব মাত্র ১ দশমিক ৭ এমএম। মডেলগুলোর আইপি রেটিং—আইপি ৬৮। ফলে পানির ছিটাফোঁটা ও ধুলা ফোনটির ক্ষতি করতে পারবে না। 

শাওমির ১৪টি প্রো–তে ধাতব ফ্রেম এবং ৩ডি কার্ভড ব্যাক রয়েছে। ফলে ফোনটি ধরে রাখতে ব্যবহার যা ব্যবহারকারীর তেমন কষ্ট হবে না। ফোনটিতে ধাতব ফ্রেম ব্যবহার করার কারণে এটি বেশ টেকসই হবে। 

রং
শাওমি ১৪টি প্রো ফোনটি টাইটান গ্রে (ধূসর), টাইটান ব্লু (নীল) ও টাইটান ব্ল্যাক (কালো) রঙে পাওয়া যাবে। আর ১৪টি ফোনটি এসব রং ছাড়াও লেমন গ্রিন (হালকা সবুজ) সংস্করণে পাওয়া যাবে। 

শাওমি ১৪টি প্রো–এর দাম 
শাওমি ১৪টি প্রো–এর ১২ জিবি র‍্যাম ও ২৫৬ জিবি ইন্টারনাল স্টোরজ সংস্করণের দাম ৭৯৯ দশমিক ৯৯ ইউরো বা প্রায় ১ লাখ ৬ হাজার ৭৭৬ টাকা। 
শাওমি ১৪টি প্রো–এর ১২ জিবি র‍্যাম ও ৫১২ জিবি ইন্টারনাল স্টোরজ সংস্করণের দাম ৮৯৯ দশমিক ৯৯ ইউরো বা প্রায় ১ লাখ ২০ হাজার ৮৭ টাকা। 
শাওমি ১৪টি প্রো–এর ১২ জিবি র‍্যাম ও ১ টিবি (টেরাবাইট) ইন্টারনাল স্টোরজ সংস্করণের দাম ৯৯৯ দশমিক ৯৯ ইউরো বা প্রায় ১ লাখ ৩৩ হাজার ৪৭০ টাকা। 

শাওমি ১৪টি এর দাম 
শাওমি ১৪ টি–এর ১২ জিবি র‍্যাম ও ২৫৬ জিবি ইন্টারনাল স্টোরজ সংস্করণের দাম ৬৪৯ দশমিক ৯৯ ইউরো বা প্রায় ৮৬ হাজার ৭৫৫ টাকা। 
শাওমি ১৪ টি–এর ১২ জিবি র‍্যাম ও ৫১২ জিবি ইন্টারনাল স্টোরজ সংস্করণের দাম ৬৯৯ দশমিক ৯৯ ইউরো বা প্রায় ৯৩ হাজার ৪২৮ টাকা। 

তথ্যসূত্র: গালফ নিউজ

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

সকালের নাশতা কখন খাবেন

ফিচার ডেস্ক, ঢাকা 
বিশেষজ্ঞদের মতে, ঘুম থেকে ওঠার দুই ঘণ্টার মধ্যে সকালের ভারসাম্যপূর্ণ নাশতা সেরে ফেলা উচিত। প্রতীকী ছবিটি এআই দিয়ে তৈরি।
বিশেষজ্ঞদের মতে, ঘুম থেকে ওঠার দুই ঘণ্টার মধ্যে সকালের ভারসাম্যপূর্ণ নাশতা সেরে ফেলা উচিত। প্রতীকী ছবিটি এআই দিয়ে তৈরি।

সকালের নাশতা বা ব্রেকফাস্টকে দিনের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ খাবার বলা হয়। কিন্তু এ ক্ষেত্রে কী খাচ্ছেন, সেটা বড় প্রশ্ন নয়। বড় প্রশ্ন হলো, কখন খাচ্ছেন। পুষ্টিবিদ ও বিশেষজ্ঞরা বলছেন, কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণ, ওজন কমানো এবং হৃদ্‌রোগের ঝুঁকি এড়াতে সকালের নাশতা খাওয়ার সময়টি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। তাই ভালো অভ্যাসের জন্য জেনে নিন, কখন নাশতা খাবেন। সঠিক সময়ে স্বাস্থ্যকর নাশতা শুধু আপনার শরীরের ওজন বা কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণ করবে না, বরং সারা দিনের শক্তি, মানসিক স্বচ্ছতা এবং কর্মক্ষমতা নিশ্চিত করবে।

হৃদ্‌যন্ত্রের সুরক্ষায় ‘দুই ঘণ্টার নিয়ম’

বিশেষজ্ঞদের মতে, ঘুম থেকে ওঠার দুই ঘণ্টার মধ্যে সকালের ভারসাম্যপূর্ণ নাশতা সেরে ফেলা উচিত। এটি কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণে সরাসরি সাহায্য করে। দীর্ঘক্ষণ না খেয়ে থাকলে পরে অস্বাস্থ্যকর নাশতা বা বেশি পরিমাণে খাওয়ার প্রবণতা বেড়ে যায়। নিবন্ধিত ডায়েটিশিয়ান ভেরোনিকা রাউস এবং ডোবরা মারফির মতে, নাশতার সময় যত দ্রুত হয়, কোলেস্টেরলের জন্য, তা তত মঙ্গলজনক। গবেষণায় দেখা গেছে, যাঁরা নিয়মিত সকালের নাশতা এড়িয়ে যান, তাঁদের শরীরে ক্ষতিকর এলডিএল কোলেস্টেরলের মাত্রা বেড়ে যায়। ২০২১ সালে চীনে ৩৭ হাজার ৩৫৫ জন প্রাপ্তবয়স্কের ওপর করা একটি গবেষণায় দেখা গেছে, যাঁরা নাশতা খান না, তাঁদের রক্তে চর্বির পরিমাণ ১০ দশমিক ৬ শতাংশ এবং মোট কোলেস্টেরল ৫ দশমিক ৫ শতাংশ বেশি। ২০২৩ সালের অন্য একটি বিশ্লেষণ বলছে, নাশতা বাদ দিলে এলডিএল কোলেস্টেরল গড়ে ৯ দশমিক ৮৯ এমজি/ডিএল পর্যন্ত বাড়তে পারে।

ওজন নিয়ন্ত্রণ ও ১২ ঘণ্টার ফাস্টিং

যদি আপনার লক্ষ্য হয় ওজন কমানো বা নিয়ন্ত্রণে রাখা, তবে খাবারের সময়ের ক্ষেত্রে একটি বিশেষ হিসাব কাজ করে। নাশতা মানেই উপবাস ভাঙা। গবেষকদের মতে, আগের দিনের রাতের খাবার এবং পরের দিনের সকালের নাশতার মধ্যে অন্তত ১২ ঘণ্টার ব্যবধান থাকা উচিত। যেমন আপনি যদি রাত ৮টায় রাতের খাবার খেয়ে নেন, তবে সকাল ৮টার আগে নাশতা না করাই ভালো। এই ১২ ঘণ্টার বিরতি শরীরে কেটোসিস প্রক্রিয়া শুরু করতে সাহায্য করে; যেখানে শরীর শক্তির জন্য গ্লুকোজের বদলে জমানো চর্বি পোড়াতে থাকে। এ ছাড়া এই বিরতি অন্ত্রের উপকারী ব্যাকটেরিয়া বা মাইক্রোবায়োমকে বিশ্রাম ও পুনর্গঠনের সুযোগ দেয়, যা মেটাবলিজম দ্রুত করে।

কত দেরি হলে তা ‘খুব দেরি’

একটি গবেষণা অনুযায়ী, সকাল ৯টার মধ্যে নাশতা সেরে ফেলা আদর্শ সময়। এটি টাইপ-২ ডায়াবেটিসের ঝুঁকি প্রায় ৬০ শতাংশ পর্যন্ত কমিয়ে দেয়। এর কারণ হলো, সকালে আমাদের মেটাবলিজম বা বিপাক প্রক্রিয়া সবচেয়ে ভালো কাজ করে। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে শরীর ইনসুলিন প্রতিরোধী হতে শুরু করে, যা রক্তে শর্করার মাত্রা বাড়িয়ে দেয় এবং পেটে চর্বি জমায়। তবে মনে রাখতে হবে, ১২ ঘণ্টার উপবাসের নিয়মটি নমনীয়। যদি কোনো কারণে রাতে দেরি করে খাবার খান, তবে পরের দিন ১২ ঘণ্টা পূর্ণ করেই হালকা নাশতা করা উচিত।

দেরিতে ডিনার ও নাশতা বর্জন নয়

ইউরোপীয় ‘জার্নাল অব প্রিভেনটিভ কার্ডিওলজি’তে প্রকাশিত গবেষণায় দেরিতে রাতের খাবার এবং সকালের নাশতা বাদ দেওয়াকে মারাত্মক উল্লেখ করা হয়েছে। যাঁরা এই অভ্যাসে অভ্যস্ত, তাঁদের হৃদ্‌রোগ, হার্ট অ্যাটাক এবং শরীরে প্রদাহের ঝুঁকি অনেক বেশি। গবেষকেরা একে একটি ‘কিলার’ বা প্রাণঘাতী কম্বিনেশন হিসেবে অভিহিত করেছেন।

কোলেস্টেরল কমাতে আদর্শ নাশতা

ডোনাট বা পেস্ট্রির মতো চিনিযুক্ত খাবার এড়িয়ে চলুন। এগুলোতে প্রচুর স্যাচুরেটেড ফ্যাট থাকে, যা সরাসরি এলডিএল কোলেস্টেরল বাড়ায়। নাশতায় উদ্ভিজ্জ খাবার বা প্ল্যান্ট-বেসড খাবারের ওপর জোর দেওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা।

ফল ও ওটস: এতে থাকা সলুবল ফাইবার অন্ত্রে কোলেস্টেরলকে আটকে ফেলে রক্তে মিশতে বাধা দেয়।

হোল-গ্রেইন টোস্ট বা সিরিয়াল: এতে থাকা ভিটামিন-বি হৃদ্‌রোগের ঝুঁকি কমায়।

বাদাম ও বীজ: এগুলো স্বাস্থ্যকর চর্বি ও প্ল্যান্ট স্টেরল সমৃদ্ধ।

ব্যায়ামের ভূমিকা

নাশতার পাশাপাশি নিয়মিত সকালে ব্যায়াম কোলেস্টেরলের জন্য মহৌষধ। এটি এলডিএল কমায় এবং ভালো কোলেস্টেরল বাড়ায়। হার্টের সুস্বাস্থ্যের জন্য সপ্তাহে অন্তত ১৫০ মিনিট মাঝারি পরিশ্রম, যেমন দ্রুত হাঁটা অথবা ৭৫ মিনিট দৌড়ানোর মতো কঠিন কাজ করা জরুরি।

সূত্র: ভোগ, ডেইলি মেইল

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

ঢাকায় স্কুলের ফুটবল টিমে গোলকিপার ছিলেন জাইমা রহমান

আজকের পত্রিকা ডেস্ক­
সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার সঙ্গে জাইমা রহমান। ছবি: সংগৃহীত
সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার সঙ্গে জাইমা রহমান। ছবি: সংগৃহীত

যে বয়সে মানুষ কৈশোরে পা রাখে ঠিক সেই বয়সেই, অর্থাৎ মাত্র ১৩ বছর বয়সে বাবা-মায়ের সঙ্গে দেশান্তরী হয়েছিলেন জাইমা রহমান। সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার নাতনি ও বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের একমাত্র কন্যা জাইমার কৈশোর কেটেছে লন্ডনে। সেখানেই স্কুল-কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের গণ্ডি পেরিয়ে এখন ব্যারিস্টার তিনি।

তবে, জাইমা রহমানের শৈশবের পুরোটা সময় বাংলাদেশেই কেটেছে। প্রাথমিকে পড়াশোনা করেছেন বসুন্ধরা আবাসিক এলাকায় অবস্থিত ইন্টারন্যাশনাল স্কুল ঢাকায় (আইএসডি)। এই স্কুলেরই ফুটবল দলের সদস্য ছিলেন তিনি। শুধু তাই নয়, গোলকিপার হিসেবে দলের গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্বও সামাল দিয়েছেন। এমনকি জয় করেছেন মেডেলও।

সম্প্রতি বাংলাদেশে ফিরে আসাকে সামনে রেখে এক ফেসবুক স্ট্যাটাসে শৈশবের সেই অভিজ্ঞতার স্মৃতিচারণা করেন জাইমা। তিনি জানান, ফুটবল খেলে তিনি যে মেডেলটি পেয়েছিলেন, সেটি দাদিকে দেখাতে নিয়ে গিয়েছিলেন দাদির অফিসেই।

সেই সময়টিতে জাইমা রহমানের দাদি বেগম খালেদা জিয়া ছিলেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী। নাতনির মুখে মেডেল জয়ের গল্পটি তিনি বেশ মনোযোগ দিয়ে শুনছিলেন এবং এই গল্পটি তিনি অন্যদের সঙ্গেও খুব গর্ব করে বলতেন।

এ বিষয়ে জাইমা লিখেছেন—‘আমার বয়স তখন এগারো। আমাদের স্কুলের ফুটবল টিম একটা টুর্নামেন্ট জিতেছিল, আর আমি মেডেল পেয়েছিলাম। আম্মু আমাকে সরাসরি দাদুর অফিসে নিয়ে গিয়েছিলেন, আমি যেন নিজেই দাদুকে আমার বিজয়ের গল্পটা বলতে পারি; তাঁকে আমার বিজয়ের মেডেলটা দেখাতে পারি। আমি খুব উচ্ছ্বসিত হয়ে গোলকিপার হিসেবে কী-কী করেছি, সেটা বলছিলাম; আর স্পষ্ট টের পাচ্ছিলাম, দাদু প্রচণ্ড মনোযোগ নিয়ে আমাকে শুনছেন। তিনি এতটাই গর্বিত হয়েছিলেন যে, পরে সেই গল্পটা তিনি অন্যদের কাছেও বলতেন।’

১৭ বছর পর বাবা-মায়ের সঙ্গে আবারও দেশে ফিরে আসা জাইমা রহমান এখন ৩০ বছরের পরিপূর্ণ এক ব্যক্তিত্ব। লন্ডনে গিয়ে তাঁর জীবন নতুনভাবে গড়ে ওঠে। শেকড় হারানোর বেদনার সঙ্গে যুক্ত হয় নতুন সমাজ, নতুন ভাষা, নতুন লড়াই। কিন্তু তিনি থেমে থাকেননি। লন্ডনের ম্যারিমাউন্ট গার্লস স্কুল থেকে তিনি ও-লেভেল পাস করেন। পরে আইন বিষয়ে স্নাতক ডিগ্রি নেন লন্ডনের কুইন মেরি ইউনিভার্সিটি থেকে। পরে তিনি লন্ডনের ঐতিহ্যবাহী আইন প্রতিষ্ঠান ‘ইনার টেম্পল’ থেকে ‘বার-এট-ল’ কোর্স সম্পন্ন করে ব্যারিস্টার হিসেবে আত্মপ্রকাশ করেছেন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

বড়দিনে কেন টার্কি খাওয়া হয়, প্রচলন হয়েছিল কীভাবে

আজকের পত্রিকা ডেস্ক­
আপডেট : ২৫ ডিসেম্বর ২০২৫, ২১: ৫৪
ষোড়শ শতাব্দীর শুরুতে স্পেনীয় অভিযাত্রীদের মাধ্যমে টার্কি প্রথম ইউরোপে আসে। ছবি: সংগৃহীত
ষোড়শ শতাব্দীর শুরুতে স্পেনীয় অভিযাত্রীদের মাধ্যমে টার্কি প্রথম ইউরোপে আসে। ছবি: সংগৃহীত

বড়দিন বা ক্রিসমাস মানেই ডাইনিং টেবিলে সাজানো বড়সড় এক টার্কি রোস্ট। কিন্তু উত্তর আমেরিকার আদি নিবাসী এই পাখি কীভাবে ইউরোপীয়দের উৎসবের প্রধান অনুষঙ্গ হয়ে উঠল, তা বেশ কৌতূহল উদ্দীপক। ষোড়শ শতাব্দীর শুরুতে স্পেনীয় অভিযাত্রীদের মাধ্যমে টার্কি প্রথম ইউরোপে আসে। তার আগে উৎসবের ভোজ বলতে ছিল ময়ূর বা রাজহাঁসের মাংস।

ইংল্যান্ডের রাজা হেনরি অষ্টম প্রথম ব্রিটিশ সম্রাট হিসেবে বড়দিনের ভোজে টার্কি খেয়েছিলেন বলে ধারণা করা হয়। তবে টার্কিকে জনপ্রিয়তার শিখরে পৌঁছে দেওয়ার মূল কৃতিত্ব ভিক্টোরিয়ান যুগের। রানি ভিক্টোরিয়া যখন তাঁর রাজকীয় ক্রিসমাস ভোজে টার্কি খাওয়া শুরু করেন, তখন থেকেই এটি আভিজাত্যের প্রতীক হয়ে দাঁড়ায়।

ইংল্যান্ডের রাজা হেনরি অষ্টম প্রথম ব্রিটিশ সম্রাট হিসেবে বড়দিনের ভোজে টার্কি খেয়েছিলেন বলে ধারণা করা হয়। ছবি: সংগৃহীত
ইংল্যান্ডের রাজা হেনরি অষ্টম প্রথম ব্রিটিশ সম্রাট হিসেবে বড়দিনের ভোজে টার্কি খেয়েছিলেন বলে ধারণা করা হয়। ছবি: সংগৃহীত

রাজকীয় পছন্দের বাইরে সাধারণ মানুষের ঘরে টার্কিকে জনপ্রিয় করার পেছনে বড় ভূমিকা ছিল লেখক চার্লস ডিকেন্সের। ১৮৪৩ সালে প্রকাশিত তাঁর বিখ্যাত উপন্যাস ‘আ ক্রিসমাস ক্যারল’-এ দেখা যায়, একসময়ের কৃপণ ইবেনেজার স্ক্রুজ বড়দিনে ক্র্যাচিট পরিবারকে একটি বিশাল টার্কি উপহার পাঠাচ্ছেন। এই গল্প সাধারণ মানুষের মনে গেঁথে দেয় যে—বড়দিনের আদর্শ খাবার মানেই টার্কি।

কেন টার্কিই সেরা পছন্দ

টার্কি জনপ্রিয় হওয়ার পেছনে কিছু ব্যবহারিক কারণও রয়েছে। আকার ও উপযোগিতা—গরু দুধ দেয় আর মুরগি দেয় ডিম; কিন্তু টার্কির অন্য কোনো ব্যবহার নেই। এ ছাড়া একটি বড় টার্কি দিয়ে অনায়াসেই পুরো পরিবারের ভোজ সম্পন্ন করা যায়। অনেকগুলো ছোট পাখি রান্না করার চেয়ে একটি বড় পাখি রান্না করা অনেক বেশি সাশ্রয়ী।

হিমায়িত বা ফ্রোজেন টার্কি—রেফ্রিজারেশন বা ফ্রিজ আবিষ্কারের আগে টাটকা টার্কি কেনা ছিল বেশ ঝক্কির কাজ। কিন্তু ফ্রোজেন টার্কি বাজারে আসার পর মানুষ আগে থেকেই পরিকল্পনা করে এটি কিনতে শুরু করে, যা এর জনপ্রিয়তা বহুগুণ বাড়িয়ে দেয়।

রাজকীয় পছন্দের বাইরে সাধারণ মানুষের ঘরে টার্কিকে জনপ্রিয় করার পেছনে বড় ভূমিকা ছিল লেখক চার্লস ডিকেন্সের। ছবি: সংগৃহীত
রাজকীয় পছন্দের বাইরে সাধারণ মানুষের ঘরে টার্কিকে জনপ্রিয় করার পেছনে বড় ভূমিকা ছিল লেখক চার্লস ডিকেন্সের। ছবি: সংগৃহীত

পরদিনের চমৎকার নাশতা—বড়দিনের পরদিন অর্থাৎ ‘বক্সিং ডে’তে টার্কির বেঁচে যাওয়া মাংস (Leftovers) দিয়ে স্যান্ডউইচ, স্টু, কারি বা পাই তৈরি করা যায়। বিশেষ করে, টার্কি কারি এখন অনেক দেশেই বেশ জনপ্রিয়।

যুক্তরাজ্যে টার্কির একটি দীর্ঘ ঐতিহাসিক ঐতিহ্য রয়েছে। সেই ঐতিহ্যের ধারাবাহিকতায় আজও ক্রিসমাসে টার্কি খাওয়ার রীতি বজায় আছে।

যাঁরা বড় টার্কি রান্না করতে চান না বা ঝামেলা ছাড়াই উৎসবের খাবার উপভোগ করতে চান, তাঁদের জন্যও আজ নানা ধরনের প্রস্তুত টার্কি খাওয়ার ব্যবস্থা রয়েছে—যা ক্রিসমাস উদ্‌যাপনকে আরও সহজ করে তুলেছে। বড়দিনের এই দীর্ঘ ঐতিহ্যের কারণে আজও বিশ্বের কোটি কোটি মানুষ টার্কি ছাড়া উৎসবের কথা কল্পনাও করতে পারেন না। আপনিও কি এবার বড়দিনের আয়োজনে টার্কি রাখছেন?

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

কাজুবাদাম কেন খাবেন, কতটুকু খাবেন

ফিচার ডেস্ক
এতে আছে ম্যাগনেশিয়াম, কপার আর জিংক। ছবি: সংগৃহীত
এতে আছে ম্যাগনেশিয়াম, কপার আর জিংক। ছবি: সংগৃহীত

কাজুবাদামকে বলা হয় ‘পুষ্টির ছোট প্যাকেট’। এটি যেমন সুস্বাদু তেমনি পুষ্টিকর। এ কারণে যে আপনি মুঠো মুঠো করে সব সময় এটি খেতেই থাকবেন, তা হবে না। নিয়মিত কাজুবাদাম পরিমিত খেতে হবে। এতে আপনি পেতে পারেন দীর্ঘমেয়াদি শারীরিক সুস্থতা। মূলত ব্রাজিলীয় বংশোদ্ভূত এই বৃক্ষজাত বীজ বর্তমানে বিশ্বজুড়ে তার স্বাস্থ্যগুণের জন্য সমাদৃত। হৃদ্‌রোগ প্রতিরোধ থেকে শুরু করে ওজন নিয়ন্ত্রণ—কাজুবাদামের আছে বহুমুখী উপকারিতা। এটি নিয়মিত খাওয়ার পেছনে অনেকগুলো স্বাস্থ্যগত কারণ আছে। আবার খাওয়ার ক্ষেত্রে রয়েছে কিছু সতর্কতাও। তাই নিজের খাবারের তালিকায় কাজুবাদাম রাখার আগে ভালো ও খারাপ দিক জেনে রাখুন।

হৃদ্‌যন্ত্রের সুরক্ষা

কাজুবাদামে রয়েছে প্রচুর অসম্পৃক্ত চর্বি। এটি রক্তের ক্ষতিকর কোলেস্টেরল বা এলডিএলের মাত্রা কমাতে সাহায্য করে। গবেষণায় দেখা গেছে, নিয়মিত বাদাম খেলে হৃদ্‌রোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুর ঝুঁকি প্রায় ২৭ শতাংশ পর্যন্ত কমে যায়। এ ছাড়া এতে থাকা ম্যাগনেশিয়াম রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রেখে হার্ট অ্যাটাক ও স্ট্রোকের ঝুঁকি কমায়।

ওজন নিয়ন্ত্রণ

কাজুবাদাম উচ্চ ক্যালরিযুক্ত হলেও এটি ওজন কমাতে সহায়ক হতে পারে। এর কারণ হলো, কাজুবাদামের সবটুকু ক্যালরি শরীর শোষণ করতে পারে না। এর ভেতরের আঁশ বা ফাইবার চর্বিকে আটকে ফেলে, যা হজমের সময় শরীরে পুরোপুরি শোষিত হয় না। ফলে এটি দীর্ঘক্ষণ পেট ভরা রাখতে সাহায্য করে এবং আজেবাজে খাওয়ার প্রবণতা কমায়।

ডায়াবেটিসের জন্য উপকারী

টাইপ-২ ডায়াবেটিসে আক্রান্তদের জন্য কাজুবাদাম খুবই উপকারী। এতে থাকা আঁশ রক্তে শর্করার মাত্রা হঠাৎ বেড়ে যাওয়া রোধ করে। এ ছাড়া এর ম্যাগনেশিয়াম ইনসুলিন হরমোনের কার্যকারিতা বাড়াতে সাহায্য করে। এক গবেষণায় দেখা গেছে, দৈনিক ক্যালরির ১০ শতাংশ কাজুবাদাম থেকে গ্রহণ করলে ইনসুলিনের মাত্রা উল্লেখযোগ্যভাবে কমে আসে।

শক্তিশালী রোগ প্রতিরোধক্ষমতা

কাজুবাদাম কপার ও জিঙ্কের চমৎকার উৎস। এই দুটি খনিজ উপাদান শরীরের রোগ প্রতিরোধব্যবস্থাকে শক্তিশালী রাখতে অপরিহার্য। এ ছাড়া এতে থাকা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট (পলিফেনল ও ক্যারোটিনয়েড) শরীরের ভেতরের ব্যথা কমাতে এবং কোষের ক্ষতি রোধ করতে কাজ করে।

হাড় ও মস্তিষ্কের স্বাস্থ্য

কাজুবাদামে আছে ভরপুর ম্যাঙ্গানিজ, ফসফরাস, ভিটামিন কে। এগুলো হাড়ের গঠনে ভূমিকা রাখে। এর কপার উপাদান মস্তিষ্কের সুস্থ বিকাশ ও শক্তি উৎপাদনে সরাসরি সাহায্য করে।

কাঁচা কাজু নিরাপদ কি না

আমরা বাজারে যে কাজুবাদাম কাঁচা হিসেবে কিনি, তা আসলে পুরোপুরি কাঁচা নয়। গাছের তাজা কাজুবাদামের খোসায় ইউরুশিয়াল নামক বিষাক্ত উপাদান থাকে, যা ত্বকে অ্যালার্জি বা ফোসকা তৈরি করতে পারে। প্রক্রিয়াজাত করার সময় তাপ দিয়ে এই বিষাক্ত অংশ দূর করা হয়। তাই গাছ থেকে সরাসরি পেড়ে কাজু খাওয়া নিরাপদ নয়।

খাদ্যাভ্যাসে যুক্ত করার সহজ উপায়

কাজুবাদাম খুব সহজে প্রতিদিনের খাবারে যোগ করা যায়। বিকেলের নাশতায় এক মুঠো ভাজা কাজু খেতে পারেন। সালাদ, স্যুপ বা স্ট্যুতে কাজুবাদাম ছড়িয়ে দিলে স্বাদ ও পুষ্টি—দুই-ই বেড়ে যায়। কাজুবাদাম ভিজিয়ে ব্লেন্ড করে দুধ মুক্ত ক্রিম বা পনির তৈরি করা সম্ভব। টোস্ট বা ওটমিলের সঙ্গে কাজু বাটার ব্যবহার করা যায়।

মনে রাখবেন

পরিমাণ: কাজুবাদাম অত্যন্ত পুষ্টিকর হলেও এতে ক্যালরি বেশি। তাই দিনে ২৮ গ্রাম বা প্রায় ১৮টি বাদাম খাওয়াই যথেষ্ট।

লবণ ও তেল: অতিরিক্ত লবণ বা তেলে ভাজা কাজুর চেয়ে শুকনো ভাজা বা আনসলটেড কাজু বেছে নেওয়া ভালো।

অ্যালার্জি: যাদের কাঠবাদাম বা পেস্তাবাদামে অ্যালার্জি আছে, তাদের কাজু খাওয়ার আগে সতর্ক হওয়া উচিত। শ্বাসকষ্ট বা চুলকানির মতো লক্ষণ দেখা দিলে দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।

সূত্র: হেলথ লাইন, ইভিএন এক্সপ্রেস, ওয়েব মেড

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত